Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) বোর্ড গঠন করতে হলে একজন বিরোধী প্রার্থীর সমর্থন প্রয়োজন। সেই কারণে বিনা অপরাধে নির্দল প্রার্থীকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দলের জয়ী প্রার্থী গোপাল ঘোষ। ওই এলাকার এর আগে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন এবং পাঁচ বছরের জন্য প্রধান ছিলেন তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল টিকিট দেয়নি তাঁকে। সেই কারণে তিনি নির্দলের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট গণনার পর দেখা যায় প্রচুর ভোটে তিনি জয়লাভ করেন। হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২২ টি। এবার তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ১১ টি আসন, ৮ টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে এবং ৩টি নির্দল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে গেলে এখনও একটি আসন প্রয়োজন তৃণমূলের। অভিযোগ রবিবার গোপাল ঘোষ তাঁর পরিবারের এক ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে কলকাতায় একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি যখন বাড়িতে ফিরছিলেন রানাঘাটে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। তাঁর গাড়ি সহ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তিন দিন থানায় থাকতে হবে এমনটাই তাঁকে জানানো হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। তবে, তাঁকে আটকে রাখার কারণ হিসেবে কিছুই জানায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে এলাকাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নির্দল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে তাঁকে ছেড়ে না দিলে এবং বোর্ড গঠনের দিন তাঁকে অংশগ্রহণ করতে না দিলে পথ অবরোধ করে আরও বড়সড় বিক্ষোভে নামব। এ বিষয়ে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের এক সদস্য অপর্ণা ঘোষ বলেন, যেহেতু দুদিন পরেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন, সেই কারণে তাঁকে শাসকদলের (TMC) নির্দেশে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অবিলম্বে হয় তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে, না হলে বোর্ড গঠনের দিন পুলিশকে পঞ্চায়েত অফিসে তাঁকে নিয়ে আসতে হবে। বোর্ড গঠনের ভোটাভুটিতে তিনি যেন অংশগ্রহণ করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: ভাল আছেন বুদ্ধদেব, বুধবারে ফিরতে পারেন বাড়ি

    Buddhadeb Bhattacharjee: ভাল আছেন বুদ্ধদেব, বুধবারে ফিরতে পারেন বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। জানা গিয়েছে, তাঁর ছুটি নিয়ে সোমবারই বৈঠকে বসেছিল মেডিক্যাল বোর্ড। এবং সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের থেকে অনেকটাই শারীরিক উন্নতি ঘটেছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (Buddhadeb Bhattacharjee)। তাঁর শরীরে সংক্রমণও নেই। প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    সংক্রমণমুক্ত বুদ্ধদেব (Buddhadeb Bhattacharjee)  

    সোমবার হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বর্তমানে সংক্রমণ মুক্ত রয়েছেন। মঙ্গলবার বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) আরও কতগুলো রক্ত পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবং সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মনে হয়, তখনই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ছাড়া হতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখনও কঠিন খাবার খেতে পারছেন না। এবং যার ফলে রাইস টিউবেই তাঁর শরীরে খাবার প্রবেশ করছে। তিনি বর্তমানে উঠে দাঁড়াতে পারছেন বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাড়ি ফিরলে সেখানেও হাসপাতালের মতোই সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে। এবং একজন নার্স সর্বদা দেখাশোনা করবেন বাড়িতেই। রাখা হবে বাইপ্যাপ সাপোর্ট, নেবুলাইজেশন ইত্যাদি। বর্তমানে বুদ্ধদেব তাঁর প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত শুনছেন।  

    শনিবার থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ হয় বুদ্ধদেবের

    জানা গিয়েছে, গত শনিবার থেকেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবং তারপর থেকে ভালই রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন চিকিৎসকরাও। তরল খাবার সরাসরি তাঁকে মুখ দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। রবিবার তিনি স্যুপ খেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।  বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাড়িতেও বাইপ্যাপ ব্যবহার করেন। জানা গিয়েছে, বাড়িতে তিনি যে বাইপ্যাপটি ব্যবহার করেন, সেটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ভর্তির সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) শ্বাসনালিতে সংক্রমণ ছিল। ২৯ জুলাই ভর্তির পর থেকেই তাঁর আরোগ্য কামনায় হাসপাতালে ঢল নামে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের। এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিরোধী দলনেতা প্রত্যেকেই। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থেকে চলচ্চিত্র জগতের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও হাসপাতালে হাজির থেকেছেন। তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    Murshidabad: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরে (Murshidabad) বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে গভীর রাতে হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বহরমপুরে ১৩ নম্বর সংসদের প্রার্থী উপেন মণ্ডলের বাড়িতে হামলা করে গুলি চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এর প্রতিবাদে, গভীর রাতে বহরমপুর থানায় বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই নিয়ে তীব্র শোরগোল জেলায়।

    মূল অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    মূল অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে পরাজিত হয়েছে, সেই সব জায়গায় জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে (Murshidabad) হামলা, গুলি চালানো, বাড়ির মেয়েদের শ্লীলতাহানি এবং অপহরণের চেষ্টা করছে তৃণমূল। গতকাল রাতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গিয়ে ভাঙচুর চালায় এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। রাতে চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির বাইরে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার জন্য ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভূপেন মণ্ডলের বাড়িতে হামলার আগে সাত নম্বর পঞ্চায়েতের চন্দনের বাড়ি এবং বিজেপির মেম্বার মামনী সাহার বাড়িতেও হামলা করে দুষ্কৃতীরা।

    নব নির্বাচিত প্রার্থীর বক্তব্য

    জয়ী বিজেপি প্রার্থী উপেন মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে (Murshidabad) গিয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালায়। বাড়ির বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে মারধর করে, বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টাও করে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। উপেন মণ্ডলের স্ত্রী সোমা মণ্ডল জানিয়েছেন, গভীর রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে (Murshidabad) এসে হুমকি দেয় এবং বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে বহরমপুর ব্লকের মণীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’ জন বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি নির্বাচিত সদস্যের ১২ বছরের ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই রাতেই বিজেপি সদস্যের বাড়িতে পৌঁছায় জেলা নেতৃত্ব। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে, বিজেপির নির্বাচিত সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাত দুটো থেকে বহরমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে তাড়া করে বেধড়ক মার, ধর্না মঞ্চে শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে তাড়া করে বেধড়ক মার, ধর্না মঞ্চে শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের (TMC) ধর্না কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার খাতড়া এলাকায়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত মহাপাত্রসহ কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। আর এই হামলার ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে ব্লক সভাপতির উপর হামলার ঘটনা সামনে আসতেই সাধারণ মানুষ রীতিমতো হাসাহাসি শুরু করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে সারা রাজ্যের পাশাপশি খাতড়া ব্লকেও ধর্না কর্মসূচির ডাক দেয় তৃণমূল (TMC)। খাতড়ার করালী মোড়ে রীতিমত মঞ্চ বেঁধে বেলা বারোটা নাগাদ শুরু হয় ধর্না। অভিযোগ, বেলা আড়াইটার আশপাশে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির ঘনিষ্ঠ কিছু তৃণমূল কর্মী আচমকাই ধর্না মঞ্চে চড়াও হয়। আক্রান্ত হতে পারেন বুঝতে পেরেই মঞ্চ ছেড়ে পাশের গলি দিয়ে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূলের খাতড়া ব্লকের সভাপতি সুব্রত মহাপাত্র। অভিযোগ, সেই অবস্থায় হামলাকারীরা ব্লক সভাপতিকে তাড়া করে গলির ভিতরে ঢুকে রাস্তায় ফেলে মারধর করতে শুরু করেন। আক্রান্ত হন সুব্রত মহাপাত্র ঘনিষ্ঠ আরও দুজন। পরে, ব্লক সভাপতি সহ আহতদের উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ নিমেষেই চেহারা নেয় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ স্থল হিসাবে। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় ধর্না মঞ্চে অংশ নেওয়া দলেরই ব্লক সভাপতি সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    জখম ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুব্রতবাবু বলেন, সম্প্রতি খাতড়া ব্লকের অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা নিয়েই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। তার জেরেই আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কোনও বক্তব্য মেলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলিপুরদুয়ারে চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

    Rape: শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলিপুরদুয়ারে চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত ট্রেন থেকে শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ (Rape) করার ঘটনায় তোলপাড় আলিপুরদুয়ার। অভিযুক্ত দুই ট্রেন যাত্রী যুবককে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। গ্রেফতার দুই যুবকের নাম নয়নাল আব্দুল (২৫) ও মইনুল হক (২৬)। তারা অসমের কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা। ধৃত দুই যুবককে গ্রেফতার করে রবিবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলে রেল পুলিশ। বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করছে রেল পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিফং এক্সপ্রেসে শনিবার রাতে  অসমের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের বাড়িতে  ফিরছিলেন নির্যাতিতা মহিলা। মহিলার কোলে আড়াই বছরের একটি শিশু ছিল। জেনারেল বগিতে ওই মহিলা আলিপুরদুয়ারের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু, ফকিরাগ্রাম স্টেশনে ওই বগির বেশিরভাগ যাত্রী নেমে যায় বলে জানা গিয়েছে। এই সুযোগে দুই যুবক মহিলাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। মহিলা রাজি না হলে মহিলার শিশুকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর শ্রীরামপুর স্টেশনের পরে এই ধর্ষণের (Rape) ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মধ্যরাতে ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ালে মহিলা জিআরপি থানায় অভিযোগ জানান। সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি থানার পুলিশ আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনেই ট্রেন থেকে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে। তাদের রবিবার আলিপুরদুয়ার বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক যুই অভিযুক্তকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্যাতিতা মহিলা লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ্যে আসছেন না।

    রেল আধিকারিকদের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনায় চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিত গৌতম বলেন, ‘আমি নতুন এই ডিভিশনে যোগ দিয়েছি। এইরকম ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এদিকে ট্রেনে ধর্ষণের (Rape) ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও রেলের আরপিএফ আধিকারিকদের ঘটনা নিয়ে তেমন সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে তারা ওই দুই যুবক অসমের ফকিরাগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিল বলে জানালেও অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে তারা কোকরাঝাড় স্টেশন থেকে শিফং এক্সপ্রেসে ওঠে। এই ঘটনায় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার জংশন ডিভিশনের আরপিএফের সহকারী ডিভিশনাল কমিশনার দীপক কুমার চৌধুরী বলেন,  ওই মহিলা জিআরপি থানায় অভিযোগ করলে দুই যুবককে গ্রেফতার করে জিআরপি। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধর্নাকে ‘চোরেদের ধর্না’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধর্নাকে ‘চোরেদের ধর্না’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা বলতে চোরের দলেরা আজ ধর্নায় বসেছেন। তাঁরা বলছেন, বৈমাত্রিক আচরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের উচিত দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিবস পালন করা। প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি নয়, রাজধর্ম পালন করেন। উত্তরপ্রদেশের পর রেল দফতরের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ৩৭টি রেল স্টেশনে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে আধুনিকরণ করার সূচনা করেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, তৃণমূল সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁদের এই সব ধর্না করা সাজে না।

    প্রয়াত বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের স্মরণ সভায় বিরোধী দলনেতা

    ধূপগুড়ি বিধানসভার প্রয়াত বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের স্মরণ সভায় যোগ দিতে ধূপগুড়িতে যান রাজ্যের বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। রবিবার ধূপগুড়ি শহরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে ধূপগুড়ির বিধানসভার ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। সেই স্মরণ সভাতেই উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন প্রথমে তিনি বিধায়কের বাসভবনে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। বেশ কিছুটা সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। এরপর তিনি স্মরণ সভায় যোগ দেন। বিধায়কের শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিরোধী দলনেতা। এদিনের স্মরণ সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা,ফালাকাটার বিধানসভা দীপক বর্মন, নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেংরা,জলপাইগুড়ির জেলার বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী সহ নেতৃত্ব বৃন্দ। স্মরণ সভায় দলীয় নেতাদের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে দলীয় কর্মী সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৫শে জুলাই মঙ্গলবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়।

    চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিন এই স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে কটাক্ষ করেন। সবার আগেই রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, যে রাজ্যের সাংসদ আমেরিকাতে চোখ দেখাতে যায়, সেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলেও কিছু  আছে? পাশাপাশি যে দেশের রাষ্ট্রপতির চিকিৎসা হয় সেনা হাসপাতালে, সেই দেশের সাংসদকে আমেরিকা যেতে হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amrit Bharat Project: অমৃত ভারত প্রকল্পে রাজ্যে বহু স্টেশনে ঢালাও উন্নয়নের ঘোষণা, খুশির হাওয়া

    Amrit Bharat Project: অমৃত ভারত প্রকল্পে রাজ্যে বহু স্টেশনে ঢালাও উন্নয়নের ঘোষণা, খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) মাধ্যমে রাজ্যে বদলে যেতে চলেছে বহু স্টেশন। একের পর এক স্টেশন সেজে উঠবে। বদলে যাবে পরিষেবা। উন্নতমানের একের পর এক নয়া রেল স্টেশন তাক লাগাবে দেশজুড়ে। রবিবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে এই প্রকল্পকে ঘিরে ছিল আলাদা উন্মাদনা।

    রাজ্যে কোন স্টেশনে কত টাকা বরাদ্দ?

    প্রথম দফায় ভার্চুয়ালি দেশের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে এই অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পূর্ব রেলের আওতায় একাধিক স্টেশনের পুনর্গঠনের শিলান্যাস হল। আসানসোল, হাওড়া, মালদা, শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু স্টেশন রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের স্টেশনগুলিতে কতটাকা খরচ হবে? জানা গিয়েছে, আসানসোলের স্টেশনের জন্য খরচ হবে ৪৩১ কোটি টাকা। বর্ধমান স্টেশনে খরচ হবে ৬৪.২ কোটি টাকা। মালদা টাউন স্টেশনের জন্য খরচ ৪৩ কোটি টাকা। রামপুরহাটের জন্য খরচ ৩৮.৬ কোটি টাকা। কাটোয়া জংশনের জন্য খরচ ৩৩.৬ কোটি টাকা। শিয়ালদহ স্টেশনের জন্য খরচ ২৭ কোটি টাকা। বারাকপুর স্টেশনের জন্য ২৬.৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজিমগঞ্জ স্টেশনের জন্য ৩১. ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক স্টেশন পুনর্গঠনের মধ্যে থাকবে এস্কালেটর ব্যবস্থা। থাকবে পার্কিংয়ের অত্যাধুনিক সুবিধা। যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য এই প্রকল্প। স্টেশনগুলি পুনর্গঠনের ফলে আরও ভাল হবে যাত্রী পরিষেবা।

    অমৃত ভারত প্রকল্পে হাজির হয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা?

    এদিন আজিমগঞ্জ রেল স্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Project) অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। রেল আধিকারিকদের পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প কার্যকরী হলে এই স্টেশনের ভোল বদলে যাবে। শান্তিপুর স্টেশনে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, এই রাজ্যে শুধু প্রতিহিংসার রাজনীতি হয়, উন্নয়ন কিছু হয় না। প্রধানমন্ত্রী বাংলার জন্য কী করছেন তা কিছুদিনের মধ্যে এখানকার মানুষ তা বুঝতে পারবেন। আগামীদিনে বিজেপি ভাল ফল করলে আরও উন্নয়ন হবে। আসানসোল স্টেশনে এই প্রকল্পের অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, এই রাজ্যের জন্য সব সময় প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharya: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, বাড়িতে ফিরেও সাবধানে থাকতে হবে বুদ্ধদেবকে

    Buddhadeb Bhattacharya: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে, বাড়িতে ফিরেও সাবধানে থাকতে হবে বুদ্ধদেবকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের আর দরকার নেই। রোগের সঙ্গে লড়াই করে আগের তুলনায় বেশ ভাল আছেন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharya)। তাঁর সিআরপি ২০ র নিচে রয়েছে। জানা গেছে, সংক্রমণ আর নতুন করে হচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাড়িতে গিয়েও নিয়মের মধ্যেই থাকতে হবে বুদ্ধবাবুকে। বাড়িতে ফেরার বিষয়ে আগামীকাল একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, এরকমই সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

    কী বললেন চিকিৎসকরা (Buddhadeb Bhattacharya)?

    নতুন করে সংক্রমণ হয়নি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। কিন্তু সংক্রমণ যাতে আর দ্রুত না ছড়ায়, তাই বাড়িতে ফিরে কড়া বিধির মধ্যেই থাকতে হবে তাঁকে। বুদ্ধবাবুর (Buddhadeb Bhattacharya) খুব কাছের ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে কাছাকাছি যেতে না বলেছেন চিকিৎসকরা। শারীরিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, ঠিক কবে থেকে বিধিনিষেধ কম করা হবে। সূত্রে আরও জানা গেছে, বাইপ্যাপ সাপোর্টে বেশ ভাল রয়েছেন বুদ্ধবাবু।

    স্বাস্থ্য বুলেটিনে কী বলা হয়েছে?

    রবিবারে স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুদ্ধবাবুর (Buddhadeb Bhattacharya) রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা স্বাভাবিক। আর্টারিয়াল চ্যানেল খুলে ফেলা হয়েছে। হাত ও পায়ে করা চ্যানেলগুলি খুলে ফেলা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষার সমস্ত রিপোর্টই বেশ ভাল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধবাবু। সব ঠিক থাকলে তাঁকে ছাড়ার বিষয়ে আগামি কাল সিদ্ধান্ত হতে পারে।

    কেন হাসপাতালে যেতে হয়েছিল

    ২৯ জুলাই ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তাঁকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আর তারপরে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কয়েকদিন পর তাঁর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি দেখা গেছে। কড়া মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর শরীরে খাবারের জন্য নল লাগানো হয়েছিল। খেতে হচ্ছে এই রাইলস টিউবের মাধ্যমেই। চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা বলেন, এখনও পর্যন্ত অতটা খেতে পাচ্ছেন না। শরীর অনেকটাই দুর্বল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: বড়ঞায় যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে মাথা কেটে উধাও অভিযুক্ত, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Rape: বড়ঞায় যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে মাথা কেটে উধাও অভিযুক্ত, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে যুবতীকে ধর্ষণের (Rape) পর খুন করে কাটা মুণ্ডু নিয়ে চম্পট দিল অভিযুক্ত। শনিবার রাতে হারহিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার বিছুর গ্ৰামে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। যুবতীর কাটা মুণ্ডু রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যুবতীর পরিচয়ও জানা যায়নি।  রাজ্যে মহিলাদের যে নিরাপত্তা বলে কিছু নেই, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিছুর গ্রামে হুড়োগাছা পুকুরের পাশে ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার রাতে ওই পুকুরের পাশে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুকুরের পাশেই তাঁর দেহ পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। শনিবার রাতে ওই যুবতীকে প্রথমে ধর্ষণ (Rape) করা হয়। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কার্যত নৃশংসভাবে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্যই খুনি ওই কাটা মুণ্ডু নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বড়ঞা থানার পুলিশ প্রশাসন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দা চিন্ময় রায় বলেন, এই ধরনের ঘটনা শুনেই আতঙ্ক লাগছে। আমাদের এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এই যুবতী অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিল। ধর্ষণ (Rape) করা হয়েছে বলে জানতে পারছি। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। মর্মান্তিক এমন ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যে বা যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা মাহে আলম বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তবে, ওই যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনাটি আমাদের থানা এলাকার নয়। অন্য কোথাও  অপকর্ম করে এই এলাকায় দেহ ফেলে যেতে পারে। তবে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তারা এই ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে পারবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা শংকর তরফদার বলেন, রাজ্যে খুন, ধর্ষণ (Rape)  লেগেই রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এই রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দিমৃত্যু কাণ্ডে ওসির পর এবার সাসপেন্ড আইও

    Murshidabad: নবগ্রামে লকআপে বন্দিমৃত্যু কাণ্ডে ওসির পর এবার সাসপেন্ড আইও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবগ্রামে (Murshidabad) গতকাল চোর সন্দেহে ধৃত ব্যক্তির লকআপের খুনের ঘটনায় তীব্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল ঘটনায় তদন্তের গাফিলতির জন্য নবগ্রাম থানার ওসি অমিত ভকতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার সাসপেন্ড করা হল থানার তদন্তকারী অফিসার শ্যামল মণ্ডলকে। উল্লেখ্য চোর সন্দেহে গোবিন্দ ঘোষকে ধরে আনে পুলিশ, এরপর লকআপের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবার এই মৃত্যুকে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আর এই খুনের বিচার চেয়ে থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পাল্টা পুলিশ লাঠি, টিআর গ্যাস ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে। আর এই ঘটনায় রীতিমতন পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে নবগ্রাম।

    পুলিশের বক্তব্য (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। মৃতদেহের সৎকারের সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য আবেদন করেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে উত্তেজনাকে শান্ত করার আবেদন করা হয়েছে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে কিন্তু পুলিশের প্রতি গ্রামবাসী এবং মৃতের পরিবারে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।

    তদন্ত কোন পথে?

    বহরমপুর (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং আটজন বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে মৃত গোবিন্দ ঘোষের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন তদন্তের সময়। মৃতের বাবা ষষ্ঠী ঘোষ বলেন, “আগামীকাল ওসি এবং আইও এর বিরুদ্ধে খুনের মামালা করব”। তিনি আরও বলেন, এই খুনের পেছনে থানার ওসি এবং তদন্তের আইও বিশেষ ভাবে যুক্ত রয়েছে। থানার লকআপে মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় পুলিশের বিরদ্ধে সাধারণ মানুষের তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share