Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kolkata Metro: গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রোর যাত্রী পরিষেবা শুরু চলতি বছরের শেষেই?

    Kolkata Metro: গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রোর যাত্রী পরিষেবা শুরু চলতি বছরের শেষেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মধ্যে প্রথম কোনও নদীর তলা দিয়ে ছুটবে মেট্রো। এনিয়ে কৌতূহলের সীমা নেই! কেমন হবে সেই অভিজ্ঞতা তা ভাবছেন অনেকেই। পরীক্ষামূলকভাবে গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রো (kolkata Metro) তো ছুটেছে, এবার যাত্রী নিয়ে ছুটবে। রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষেই এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান শাখার মেট্রো চালু হয়ে যেতে চলেছে। এর মধ্যে সেজে উঠছে বিভিন্ন স্টেশন।

    গঙ্গার নিচে ৫২০ মিটার পথ অতিক্রম

    হাওড়া ময়দান স্টেশনে গেট বসানোর কাজ চলছে। গঙ্গার নিচে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো যাত্রীরা (kolkata Metro) কাটাবেন আধ মিনিটেরও কম সময়। গঙ্গার নিচে মেট্রো ছুটবে ৫২০ মিটার। এই নিয়েই কৌতূহল তুঙ্গে। জোর আলোচনা সারা দেশে। ভারতে এটা প্রথম। অবশ্য যাঁরা গঙ্গার নিচে মেট্রো সফর করবেন, তাঁদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় যে তাঁরা জলের তলায় রয়েছেন। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মাটির ১০০ ফুট নিচে কেউ বুঝতেই পারবেন না, গঙ্গা কোথায় শুরু হচ্ছে আর কোথায় শেষ হচ্ছে! কিন্তু সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে যখন গঙ্গার নিচে প্রবেশ করবে মেট্রো, তখন একটি সাইনবোর্ড দেখতে পাবেন যাত্রীরা। আবার যখন বেরোবেন তখনও একটি সাইনবোর্ড দেখা যাবে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর এই অংশটি পরিদর্শন করে গিয়েছেন। কলকাতার মেট্রো (kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে যে রেলমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সিগন্যাল এবং ট্র্যাক যেন ১০০ শতাংশ কর্মক্ষম হয়! আপাতত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বেশি জোর দিচ্ছেন মেট্রো কর্তারা!

    কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ?

    বৃহস্পতিবার গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো চালানো নিয়ে পাতাল রেল (kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘‘হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড রুটে বেশিরভাগ স্টেশন তৈরি হয়ে গেছে। সৌন্দর্যায়ন, বৈদ্যুতিক কাজ এ সমস্ত কিছু এখনও চলছে। চলতি বছরের শেষে জনসাধারণের জন্য খুলে যাবে মেট্রোর দরজা, গঙ্গার তলা দিয়ে হাওড়া থেকে কলকাতায় পৌঁছানো যাবে।’’ মেট্রোর তরফে আরও জানানো হয়েছে যে হাওড়া ময়দান স্টেশনে আটটি গেট বসানো হচ্ছে। এই গেটগুলির মধ্য দিয়েই যাত্রীরা স্টেশনে আসতে পারবেন। যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে চারটি গেট দ্বিমুখী করা হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের ক্যালকুলেশন বলছে প্রতি মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন এই গেটগুলি দিয়ে। অন্যান্য স্টেশনের মতো টোকেন পাঞ্চ করেও ঢোকা যাবে। কিউআর কোড স্ক্যানারও থাকছে। প্রসঙ্গত চলতি বছরের ১২ এপ্রিল প্রথম বার গঙ্গার তলা দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পূর্ণ করেছিল মেট্রো। সেই প্রথম দেশের মধ্যে কোনও নদীর নিচে দিয়ে ছুটেছিল পাতাল রেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: রূপনারায়ণের জলের তোড়ে ভাঙল বাঁশের সেতু! হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের তিনটি গ্রাম বিচ্ছিন্ন

    Howrah: রূপনারায়ণের জলের তোড়ে ভাঙল বাঁশের সেতু! হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের তিনটি গ্রাম বিচ্ছিন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রূপনারায়ণের পানার চাপ আর জোয়ারের তোড়, দুইয়ে মিলে ভাঙল হাওড়ার (Howrah) দ্বীপাঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী তিন-তিনটি বাঁশের সেতু। তিনটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুরের মধ্যে আজানগাছি, কুলিয়া ও গায়েনপাড়া-এই  তিনটি এলাকায় তিনটি সেতুই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আপাততভাবে যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে স্পিডবোট ও নৌকা।

    কীভাবে ভাঙল সেতু?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির জেরে ডিভিসি জল ছেড়েছে। সেই জল রূপনারায়ণ নদী বয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে যায়। সঙ্গে প্রচুর পানা বহন করে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে জোয়ারের সময় সেই পানা মুণ্ডেশ্বরী নদীতে চলে আসে এবং সেই পানা প্রথমে আজানগাছির সেতুতে আটকে যায় এবং জোয়ারের তোড় আর পানার চাপে প্রথমেই ভেঙে পড়ে আজানগাছি বাঁশের সেতু। এরপর সেতুর বাঁশ এবং পানা  মিলে এসে ধাক্কা মারে কুলিয়ার সেতুতে। ভেঙে পড়ে কুলিয়ার সেতু। একইভাবে কুলিয়া সেতু ও আজানগাছি সেতুর বাঁশ ও পানা গিয়ে ফের ধাক্কা মারে গায়েনপাড়ার সেতুতে (Howrah)। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গায়েনপাড়ার সেতুও।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Howrah) বিদায়ী বোর্ডের প্রধান অশোক গায়েন বলেন, ‘‘তিনটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় দীপাঞ্চল কার্যত হাওড়ার (Howrah) মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ব্যাপক সমস্যায় পড়ে গেছেন দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দারা। আপাততভাবে তাঁদের যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা।’’ যদিও দীপাঞ্চলের মানুষরা এই তিনটি প্রধান সংযোগকারী সেতু ভেঙে যাওয়ায় ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন। কারণ এই দীপাঞ্চলের মূল দোকান-বাজার থেকে প্রায় সব জিনিসই তাঁদের হাওড়ার মূল ভূখণ্ড থেকে নিয়ে যেতে হয়। বিশেষ করে ওই দীপাঞ্চলে (Howrah) কাজের সুযোগ সেভাবে না থাকায় কাজের সন্ধানে এবং চিকিৎসার কাজে মানুষ এই সাঁকো পেরিয়ে মূল ভূখণ্ডে আসেন। সেতু ভেঙে যাওয়ায় যেমন কাজের সুযোগ বন্ধ তেমন কিছু বিপদ হলেও হাসপাতালেও পৌঁছাতে পারছেন না তাঁরা। কারণ স্পিড বোট বা ইঞ্জিন চালিত নৌকার যে পরিষেবা রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাই দ্রুত এই সেতুগুলি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন দীপাঞ্চলের বাসিন্দারা (Howrah)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভায় ৩৬ আসন জেতার শপথ নিন’, বিজেপি কর্মীদের বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভায় ৩৬ আসন জেতার শপথ নিন’, বিজেপি কর্মীদের বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী জোটের ইন্ডিয়া নামকরণ নিয়েও কটাক্ষ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ইন্ডিয়া লিখলেই ভারতীয় হওয়া যায় না। রাষ্ট্রবাদী হওয়া যায় না। বৃটিশরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামে আমাদের দেশে ব্যবসা করেছে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন কাশ্মীরে জঙ্গিহানা করেছে। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরাতে নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী করতে আগলি বার ৪০০ পার। আর লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৬ আসন তুলে দেওয়ার শপথ নিন।’’

    তৃণমূল-সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার আগুন এখনও ধিক ধিক করে জ্বলছে। এখনও দুর্গাপুর সহ বেশ কিছু পুরসভায় মেয়াদ শেষের পরও নির্বাচন হয়নি। তার ওপর ভোট লুট ও কারচুপির অভিযোগে সরব বিজেপি। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ টি আসনের টার্গেট নিয়ে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় সংগঠন শক্তিশালী করতে ও জনসম্পর্ক দৃঢ় করতে আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার বিকালে দুর্গাপুরের কল্পতরু ময়দানে ছিল বিজেপির জনসভা। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভায় বক্তব্যের শুরু থেকে রাজ্যের তৃণমূল ও সিপিএমকে একই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিপিএমকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘২০১১ সালে সিপিএমের বিরোধী দলনেতা ছিল। বেঙ্গালুরুতে সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে ভাব, ভালবাসা, প্রীতি তৈরি হয়ে গেছে তৃণমূলের। দিল্লিতে দোস্তি আর রাজ্যে কুস্তি করা যায় না। আপনারা কিছু বললে মানুষ বিশ্বাস করে না। বিজেপি লাগাতার সংগ্রাম করছে। তাই মানুষ বিশ্বাস করে। আর তাই নিচু তলার সিপিএম কর্মীদের বলছি, চোর পিসি-ভাইপোকে তাড়াতে বিজেপিতে আসুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিধানসভায় হাসপাতাল খুলতে বললে, বলে টাকা নেই। রাস্তা করতে টাকা নেই। আর সারাদিন চুরি করে বেড়ায়।’’

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও সংযোজন, ‘‘কয়লা চুরি করে ফাঁক করে দিয়েছে তোলামূল। বীরভুম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলার এসপি ৪৩ কোটি টাকা করে তুলে নিয়ে চলে গেছে। আইপিএস-রা যদি ৪৩ কোটি তোলে, তাহলে ভাইপো কত কোটি তুলেছে ভাবুন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে কাশিকর্ন শাখায় রুজিরার অ্যাকাউন্টে লালার কত কোটি টাকা গেছে হদিশ উঠে এসেছে।’’ বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেকারত্ব নিয়েও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যে ২ কোটি বেকার। নতুন কর্মসংস্থান নেই। ৫০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্যে ৩০ লক্ষ রাজ্য সরকারের স্থায়ী চাকরি ফাঁকা। ১৭ সালে পিএসসির শেষবার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পুলিশ নিয়োগ বোর্ড উঠে গেছে। পিএসসি, স্টাফ সিলেকশন বোর্ড তুলে দিয়েছে। এসএসসিকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলেছে। ১২ বছরে কোনও নিয়োগ নেই। ৭০টার বেশি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি। রাজ্যে দুর্নীতি আর তৃণমূল সমার্থক হয়ে গেছে। তাই তোলামূলের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষকে জোট বাঁধতে হবে।’’

    প্রসঙ্গ পরিবারবাদ

    ছাপ্পা, রিগিং, সন্ত্রাস নিয়েও তৃণমূলকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘কর্পোরেশন, পুরসভায় ভিভি প্যাড ছাড়া ভোট করে জেতে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে ডাকাতি করেছে। কয়লা চোর, বালি চোর, চাকরি চোর, ব্যালট চোর মমতা ব্যানার্জির তৃণমূলকে তাড়াতে হবে।’’ দেশজুড়ে আঞ্চলিক দলগুলির পরিবাররাজের বিরুদ্ধেও সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মুলায়ম সিংয়ের মত পরিবারকে ফুলে ফেঁপে তুলতে চাইলে সাইকেল চিহ্নে ভোট দেবেন। চারা ঘোটালা চাইলে লালু প্রসাদের হ্যারিক্যানে ভোট দেবেন। কয়লা, বালি চোর, ব্যালট চোর গরু চোর চাইলে তোলামূলকে ভোট দেবেন। আর নিজের পরিবার, নিজের সমাজের, দেশের ভালো চিন্তা করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন। তৃতীয় বারের জন্য নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী করবেন।’’

    মমতার ইভিএম হ্যাক তত্ত্বের উত্তর

    পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আফগানিস্তানে যেরকম হয়েছিল ধর্ম ছাড়ো, না হয় দেশ ছাড়ো, পশ্চিমবঙ্গে সেরকম আশঙ্কা করছি। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পেতে পারি, তার লড়াই চলছে। তাই নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী করতে আগামী লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৬ আসন তুলে দেবো। এটাই আমাদের শপথ।’’ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী লোকসভায় এনএডিএ ইভিএম হ্যাক করার পরিকল্পনা করেছে। তার পাল্টা জবাবে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চাঁছাছোলা আক্রমণ করে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত ভোটে বিডিও, এসডিও, পুলিশকে দিয়ে কারচুপি করেছে, ভোট লুট করেছে। তাই এসব বলার আগে ইভিএমের সঙ্গে ভিভি প্যাড লাগিয়ে সততা প্রমাণ করুন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলালেই দেখে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল যুব নেতার

    TMC: বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলালেই দেখে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপি সহ বিরোধীদের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছিল। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরও চলছে হুমকি। তৃণমূলের হুগলি জেলার পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি সিপিএম নেতাদের নাম করে সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর শহিদ দিবসের দিন মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার ডাক দিয়েছিলেন। এরপর বিরোধী দলের জয়ী প্রাথীদের নিজের দলে নিয়ে আসার জন্য একাধিক জেলায় শাসক দলের নেতারা হুমকি দিয়ে চলেছেন।  এবার খোদ মুর্শিদাবাদ জেলায় বড়ঞা ব্লকের পাঁচথুপি এলাকায় বাবাই চৌধুরী নামে যুব নেতা  সোশ্যাল মিডিয়াতে বিরোধীদের হুমকি দিয়েছিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা কী হুমকি দিয়েছেন?

    তৃণমূলের (TMC) ওই যুব নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন,’ তৃণমূল কংগ্রেসে  থেকে যারা পাঁচথুপি অঞ্চলে ভোটের সময় বা এখনও পর্যন্ত বিরোধীদের হাত মিলাচ্ছেন, সাবধান হয়ে যান। নাহলে আপনাদের বাপের দিন নাই আপনাদের কেউ বাঁচাবে। দলটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস।’ সোশ্যাল মিডিয়াতে এইরকম হুমকি পোস্ট করার পর ওই তৃণমূল নেতা কোনও কথা বলতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতা মাহে আলম বলেন, বাবাই চৌধুরী বাচ্চা ছেলে। আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি দেখেছি। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। আসলে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে  যারা কাজ করছে তাদের বার্তা দিয়েছেন, ঠিক একইভাবে সেই বার্তার মাধ্যমে হয় তো গ্রামগঞ্জের ওই ছেলে আবেগবশত এসব বলে দিয়েছেন। এটা নিয়ে অন্য কিছু বিষয় নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যেভাবে হওয়া দরকার সেভাবে হয়নি। এখন চমকাবে,ধমকাবে,ভয় দেখাবে এটাই হচ্ছে তৃণমূল (TMC)। এখন ওদের শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভয় দেখানো, প্রশাসনের কাছে বলব এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: জলের তোড়ে ভাঙল একাধিক সেতু, আরামবাগে বহু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগ

    Arambagh: জলের তোড়ে ভাঙল একাধিক সেতু, আরামবাগে বহু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের তোড়ে ভেসে গেল আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার একাধিক অস্থায়ী সেতু। যার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই মহকুমার একাধিক গ্রামের। কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি এবং বাঁকুড়া জেলার জল ঢুকে ফুঁসছে দ্বারকেশ্বর ও রুপনারায়ণ। যার জেরেই একাধিক সেতু ভেঙে বিপত্তি তৈরি হয়েছে। বুধবার বিকালের পর নদী গুলোতে জলস্তর বাড়তে শুরু করে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেই জল বেড়ে দ্বারকেশ্বর নদীতে আরামবাগের ডোঙ্গল এলাকায় বাঁশের সেতু ভেঙে ভেসে যায়। অন্যদিকে, রুপনারায়ণের জলের তোড়ে মারোখানা, জগৎপুর সহ সাতটি জায়গায় বাঁশ ও কাঠের সেতু ভেঙে ভেসে গিয়েছে। নদীতে জল বাড়ছে দেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। সেতুগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষদের।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    আরামবাগ (Arambagh), খানাকুল সহ একাধিক এলাকায় সেতু ভেঙে যাওয়ায় এবার সেই গ্রাম গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়়েছে।  আচমকাই নদীতে জল বাড়তে শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধগুলি এখনও সম্পূর্ণভাবে মেরামতি করা হয়নি। এরমধ্যেই বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে জলে তলিয়ে গিয়েছে। নদীতে এভাবে দ্রুত জল বাড়ে তাহলে আরও সমস্যায় বাড়বে। এমনিতেই বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আগামীদিনে ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    আরামবাগের (Arambagh) মহকুমা শাসক সুভাষিণী ই বলেন, জলের তোড়ে এই মহকুমার ৭টি জায়গায় সেতু ভেঙে গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে নৌকার ব্যবস্থা করেছি। আর এই পারাপারের জন্য এলাকাবাসীকে কোনও পয়সা দিতে হবে না। আর পারাপারে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তারজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। আর এলাকার মানুষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: গৃহবধূ তুলতে গিয়েছিলেন ঝিঙে, দেখতে পেলেন ১১ টি তাজা বোমা!

    Hooghly: গৃহবধূ তুলতে গিয়েছিলেন ঝিঙে, দেখতে পেলেন ১১ টি তাজা বোমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চুঁচুড়া স্টেশনের (Hooghly) অদূরেই আনন্দমঠ এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বারান্দা থেকে ১১ টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। এদিন সকালের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পাশের বাড়ির এক গৃহবধূ ওই বোমাগুলি দেখতে পান। তিনি ভেবেছিলেন, গোলাকার ওই বস্তুগুলি বোধহয় নারকেল। কিন্তু কাছে গিয়ে ভুল ভাঙে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পাড়ার লোকজনদের খবর দেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও খবর পেয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে। বস্তুত বিশাল সাইজের ওই বোমাগুলি দেখে পুলিশও অবাক। জায়গাটি সিল করে বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে হদিশ মিলল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে এলাকার (Hooghly) বাসিন্দা মমতা রায়ভৌমিক ঝিঙে তুলতে বাড়ি লাগোয়া জমিতে গিয়েছিলেন। ওই জমির পিছনেই একটি পরিত্যক্ত ঘর আছে। সেখানেই ওই ঘরের বারান্দায় অনেকগুলি বোমা পড়ে থাকতে দেখেন। ভয় পেয়ে পড়শিদের জানান তিনি। কিন্তু ওই বোমাগুলি এল কোথা থেকে? রেললাইন সংলগ্ন ওই এলাকা কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধানের বুথ। পঞ্চায়েত নির্বাচন সবে মিটেছে। তারপর এই বোমা উদ্ধার।

    বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের জবাব (Hooghly)

    স্থানীয় বিজেপি নেতা (Hooghly) সুরেশ সাউয়ের কটাক্ষ, ভোটে রিগিং করবে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, এই উদ্দেশ্যেই শাসক দল ওই বোমাগুলি ওখানে মজুত করেছিল। কিন্তু ওই এলাকায় আমাদের মজবুত সংগঠন। কিছু করতে পারেনি। তাই এবার নিজেরাই পুলিশকে খবর দিয়ে একটা নাটক তৈরি করে বোমাগুলি সরিয়ে দিল। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দেবাশিষ চক্রবর্তী ( টুকুন) জানিয়েছেন, এসব দুষ্কৃতীদের কাজ। আমাদের এখানে শান্ত এলাকা। আজ অবধি ভোটে কোনওদিন অশান্তি হয়নি। তাই বোমা-গুলির প্রয়োজন এখানে হয় না। ওখানে কিছু বাইরের দুষ্কৃতী আনাগোনা করছে। পুলিশ ভালভাবে তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

    কী বলছে পুলিশ (Hooghly)?

    চুঁচুড়া থানার (Hooghly) এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিকভাবে বোমই মনে হচ্ছে। ওই বাড়িটিতে গত ১০ বছর ধরে কেউ থাকে না। কীভাবে বোমাগুলি ওই জায়গায় এল, সে বিষয়ে আশপাশের বাড়িগুলিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের বক্তব্য, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কিছু অসামাজিক যুবক এখানে আনাগোনা করত। এটা তাদের কাজ হতে পারে। জোরদার তদন্ত চলছে। স্থানীয় কেউ জড়িত আছে, এটা নিশ্চিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অশান্তি ও সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ (NIA)। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল আজ বৃহস্পতিবার হাওড়ার শিবপুরে আসে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে। তারপর আজ এনআইএ-র একটি তিন সদস্যর প্রতিনিধি দল শিবপুর থানায় আসে। এখান থেকেই অফিসাররা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। জানা গেছে, থানা থেকে সেদিনের ঘটনা পরম্পরার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নির্যাতিত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। 

    কী ঘটেছিল সেদিন?

    রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মার্চ হাওড়ার শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অঞ্জনী সেনাপুত্র এবং আরও কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিল প্রতি বছরের মতো এবারেও একই রোড দিয়ে বার করা হয়। অভিযোগ, কাজিপাড়া মোড় থেকে মিছিল যখন হাওড়া ময়দানের দিকে আসছিল, সেই সময় পিএম বস্তির কাছে মিছিলের ওপর হামলা হয়। তা নিয়েই মিছিলকারীদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এবং গভীর রাত পর্যন্ত সেই খণ্ডযুদ্ধে একাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়, একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়, দুপক্ষের বহু মানুষ এমনকী পুলিশ কর্মীরা পর্যন্ত জখম হন।

    অশান্তি চলেছিল আরও কয়েকদিন

    এই ঘটনার পরদিন এবং তারপর তিনদিন ধরে এই অশান্তি বজায় থাকে। দফায় দফায় হামলা এবং পাল্টা হামলা চলতে থাকে ফ্ল্যাটে, বাড়িতে। অভিযোগ ওঠে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই গন্ডগোল ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নির্ধারিত রুট দিয়ে মিছিল না যাওয়ার কারণে এবং পুলিশি অনুমোদন না থাকার কারণে এই অশান্তি বাধে। অন্যদিকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের কাছ থেকে যে অনুমোদন নিয়েছি্লেন, তার প্রমাণ দেখান, এমনকী মিছিলের ওপর সংগঠিত হামলা বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, মিছিলের রুট বদল করা হয়নি, প্রতি বছরের মতো একই সময়ে একই রুটে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল একটু এগোতেই মিছিলের উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে শিবপুর থানার পুলিশ। পরে সেই তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। এই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার এলাকায় এল এনআইএর (NIA) প্রতিনিধি দল। বাসিন্দাদের আশা, তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rampurhat: স্ত্রীকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, দেহ বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা!

    Rampurhat: স্ত্রীকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, দেহ বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যান্য রাজ্যে এই ধরনের ঘটনার কথা মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। এবার রীতিমতো রোমহর্ষক ঘটনা ঘটল খোদ বাংলায়। স্ত্রীকে খুন করে বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টার মতো মর্মান্তিক এবং ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল। তবে তার আগেই হাজির হয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বীরভূমের মল্লারপুর থানার সোঁজ গ্রামের ঘটনা। মল্লারপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি লাগোয়া পুকুরপাড় থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। এখনও ফেরার অভিযুক্ত স্বামী। মহিলার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

    কীভাবে ঘটনার কথা জানাজানি হল?

    পাঁচ বছর আগে মেদিনীপুরে কাজে গিয়ে স্থানীয় তরুণী প্রিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোঁজ গ্রামের সুফল মণ্ডল। বিয়েও হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, তাদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। বুধবার সন্ধেয় অশান্তি চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে সুফল। মৃত্যুর পর দেহ চালের বস্তায় ঢুকিয়ে পুকুরপাড়ে পাচারের জন্য রেখে দেয়। প্রমাণ লোপাটে রাতে সেই বস্তাটি অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু খুনের পরে তার ছোট মেয়ের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী (Rampurhat) অর্ঘ্য ভুঁইমালি বলেন, “আমরা যখন আসি তখন সুফল ঘরের বাইরে হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি করছিল। বলল, আমাকে বউ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। তাই আমিও তাকে মেরেছি। তারপর গলায় দড়ি দিয়ে স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছে।” কথা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই অন্ধকারে সে ছুটে পালিয়ে যায়। দাদা দোলগোবিন্দ মণ্ডলকে সুফলই তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর দিয়ে পালিয়ে যায়।

    পুলিশ (Rampurhat) প্রাথমিক তদন্তে কী জানতে পারল?

    খবর পেয়ে রামপুরহাট (Rampurhat) মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বস্তা খুলে টিনের চালের বারান্দার সামনে দেহটি উদ্ধার করে। সেখানে চাপ চাপ রক্ত পড়েছিল। একটি হেলমেট পড়েছিল। প্রিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হেলমেট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে তাকে খুন করেছে সুফল। কিন্তু তাকে খুনের পরে দেহটি একার পক্ষে বস্তাবন্দি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কে তাকে সাহায্য করল, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আপাতত সুফলের মা শোভারানি মণ্ডল গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুফলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ইছাপুরে দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    TMC: ইছাপুরে দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে বারাকপুর মহকুমার ইছাপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল। এক তৃণমূল (TMC) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম তৃণমূল কর্মীর নাম রবীন দাস। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  রবীনবাবু ইছাপুর এলাকায় তৃণমূলের (TMC) সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যেই বাজার থেকে ফুল কিনে বাড়িতে দিয়ে কাজে বের হতেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে ২১ নম্বর রেল গেটের কাছে ফুল কিনতে গিয়েছিলেন। আচমকা তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই রবীনবাবুকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি করে বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরে তিনটে গুলি লাগে। একটি গুলি হাতে লাগে। পেট ছুঁয়ে আর একটি গুলি বেরিয়ে যায়। আর অন্যটি পীঠের শিড়়দাঁড়ার পাশে লাগে। এমনিতেই সকালের দিকে ২১ নম্বর রেল গেটের কাছে বাজারে লোকজনের ভিড় লেগে থাকে। আর অফিস টাইম হওয়ায় ভিড় অনেকটাই বেশি ছিল। আচমকা গুলির শব্দ শুনে বাজারে থাকা লোকজন ছুটে পালাতে শুরু করে। দুষ্কৃতীরা বাইকে করে না পায়ে হেঁটে এসেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পর পরই তৃণমূল কর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জগদ্দলের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, রবীনের ডাকনাম ডন। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। কী কারণে দুষ্কৃতীরা তাঁকে এভাবে গুলি করল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যানজট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জমা পড়েছিল আদালতে। তার পরিপেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বর্ধমান (Burdwan) শহরের ভিতর দিয়ে বাইরের বাস চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতে কড়া জেলা প্রশাসন। চলছে অভিযান। অন্যদিকে এই ধরনের ব্যবস্থার জেরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল শহরবাসী, যাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে।

    আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

    গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান (Burdwan) শহরের মূল অংশের ভিতর টাউন সার্ভিস আর স্কুল বাসই শুধু চলবে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি (সিঙ্গল বেঞ্চ) নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বড়শুল, মেমারি, খণ্ডঘোষের বাস মালিকদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ডিভিশন বেঞ্চ আগের রায়কেই বহাল রাখে। এই নির্দেশের ফলে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া আরামবাগ, বাঁকুড়া, মেমারি, বড়শুল, খণ্ডঘোষ, রায়নার বিভিন্ন ছোট ও বড় রুটের বাস আর ঢুকবে না। সেই রায় কার্যকর করতে মঙ্গলবারই পরিবহণ দফতর ও পুলিশ যৌথভাবে উল্লাসের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায়।

    কী ব্যবস্থা নিল জেলা পরিবহণ দফতর (Burdwan)?

    জেলা (Burdwan) পরিবহণ দফতরের অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক (এআরটিও) সুপ্রভাত দাস বলেন, শহরের যানজট মোকাবিলায় পূর্বেই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছিল। কিন্তু তারপর আবারও পাল্টা কেস হয়। গত ২৬ শে জুলাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পূর্বের রায়ই বহাল রাখে। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে ও রুট ঠিক করে দেওয়ার জন্যই আজ অভিযান চালানো হয়। বাসগুলি যাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট রুটে যাতায়াত করে, সেটাই বলা হচ্ছে।

    বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া (Burdwan) 

    এদিকে, শহরের (Burdwan) ভিতর বাস ঢোকায় বাধা পড়তেই ভোগান্তির মুখে পড়েন অনেক যাত্রী। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই নির্দেশের ফলে একদিকে যেমন খরচ বাড়বে, তেমনি সময়ও অপচয় হবে।। বাসকর্মীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এই নির্দেশের ফলে বাসের রুট ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাই খরচ উঠবে না, লোকসান হবে। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে। যদিও যানজট মোকাবিলায় আদালতের দেওয়া নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের একাংশ। অন্যদিকে বর্ধমান জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানকীরঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, যানজট মোকাবিলায় ও দুর্ঘটনা এড়াতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share