Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: অনুব্রতর জেলায় উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায়! জলে ভরা গর্তে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    BJP: অনুব্রতর জেলায় উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায়! জলে ভরা গর্তে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল এখন জেলে। ভোটের আগে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বারবারই বলেছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন। কিন্তু বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন যে কতটা হয়েছে, তা বিভিন্ন এলাকা ঘুরলে সহজেই বোঝা যায়। বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড অল্প বৃষ্টিতেই থানা-খন্দে ভরে ওঠে। যেমন বড়বাগান প্রান্তিক সংঘের সামনের রাস্তা একেবারে ভঙ্গুর। অন্যদিকে সিউড়ির ব্যস্ততম সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের রাস্তা, সেখানেও অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। স্থানীয় দোকানদাররা নোংরা ফেলার কারণে হাইড্রেনের মধ্যে জমা থাকে ওই নোংরা। যার ফলে জল বেরিয়ে যেতে পারে না। যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি যেন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নামল বিজেপি (BJP)। 

    কী বলছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা?

    এলাকার মানুষের বক্তব্য, জেলায় জেলায় ডেঙ্গু যেভাবে বাড়ছে, তাতে জমা জল নিয়ে তাঁরা এমনিতেই আতঙ্কিত। অন্যান্য জায়গায় জল বের করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে চুন, মশা মারার তেল প্রভৃতি। কিন্তু সিউড়ি পুরসভা এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। যে কারণে যে কোনও সময় ডেঙ্গুর  প্রকোপ বাড়তে পারে। পুরসভার বিভিন্ন রাস্তা এখনও পর্যন্ত খারাপ। সেই কারণে অল্প বৃষ্টিতেই সেখানে জল জমে যাচ্ছে। এখানেও পুরসভার কোনও হেলদোল নেই।

    ধান গাছ লাগিয়ে আন্দোলনে বিজেপির (BJP) যুব মোর্চা

    প্রান্তিক সংঘের সামনের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। ইতিমধ্যেই সেখানে যে গর্ত রয়েছে, সেখানে জমতে শুরু করেছে জল। এই নিয়ে সিউড়ি নগর যুব মোর্চার (BJP) তরফ থেকে পথ অবরোধ করা হয়। শুধু এখানেই নয়, যেখানে জল জমে আছে, সেখানে তারা ধান গাছ লাগিয়ে এবং মাছ ছেড়ে পুরসভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। সংগঠনের সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি রাস্তা ঠিক না হয়, তাহলে যে আন্দোলনে তাঁরা নেমেছেন, তার থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মঙ্গলাহাট কবে থেকে সচল হবে? ফের উত্তেজনা হাওড়ায়

    Howrah: মঙ্গলাহাট কবে থেকে সচল হবে? ফের উত্তেজনা হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোড়া মঙ্গলাহাটের (Howrah) ব্যবসায়ীরা সোমবার থেকেই ব্যবসা শুরু করতে গেলে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ব্যবসায়ী সমিতির হস্তক্ষেপে এক বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হাটে বসবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

    কেন সাময়িক উত্তেজনা (Howrah)?

    গত ২০ জুলাই গভীর রাতে মঙ্গলাহাটের একাংশ বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পোড়া মঙ্গলাহাটের নামে মঙ্গলাহাটের (Howrah) ওই অংশে চার হাজারের বেশি দোকান ভষ্মীভূত হয়ে যায়। সামনেই পুজো, আর সেই পুজোর মুখে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন হাটের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় হাট না খুললে, দোকান না বসতে দিলে, ব্যবসায়ীদের রুটিরুজির কী সংস্থান হবে? এই নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    মুখ্যমন্ত্রী কী আশ্বাস দিয়েছিলেন?

    আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন যে, মঙ্গলহাটের জমি বেসরকারি হাতে রয়েছে। মামলা চলছে। প্রয়োজন হলে জমি অধিগ্রহণ করব। জমি অধিগ্রহণ করে বিল্ডিং করব। আমরা নবান্ন জোর করে দখল করিনি। মঙ্গলহাটের ব্যবসায়ীরা নবান্নতে যেতে চায়নি। ওই বিল্ডিং এমনি পড়ে ছিল, তাই আমরা গেছি। গত একুশে জুলাই বিকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মঙ্গলাহাট (Howrah) পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেই কমিটি কাজ করেছে। আগে ঠিক হয়েছিল হাটের যে অংশ পুড়ে গেছে সেখান থেকে যাবতীয় জঞ্জাল সরিয়ে দেওয়া হবে, যাতে সোমবার থেকে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ফের বিক্রিবাটা শুরু করতে পারেন। কিন্তু আজ সকালে ব্যবসায়ীরা এসে দেখেন জঞ্জালের স্তূপ এখনও সরানো হয়নি। সেই কারণে ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষুব্ধ হন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার মহরম এবং রবিবার ছুটি থাকায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    হাটের (Howrah) ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করেন যে হাটের যে অংশ পুড়ে যায়নি সেখানে তাঁদের ব্যবসা করার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। আজ খোলা হবে কাল খোলা হবে বলে প্রশাসন কেবল আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারছে না! আর এই নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বচসা হয় পুলিশের। সবটা মিলিয়ে উত্তেজনা চরমে। যদিও এ প্রসঙ্গে মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নবান্ন কোনও ভাবেই মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের জন্য করা হয়নি। ওটি একটি আলাদা গার্মেন্টস হাব করা হয়েছিল বড় বড় ব্যবসায়ীদের জন্য। তাছাড়া হাওড়া ময়দানে যেখানে মঙ্গলাহাট রয়েছে সেই হাট ছেড়ে অন্যত্র তাঁরা কোনভাবেই যেতে রাজি নন। মুখ্যমন্ত্রী যদি পোড়া মঙ্গলাহাটের জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে তাঁদের জন্য পাকাপাকি স্টল বানিয়ে দেন, তাহলে তাঁরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে রাজি।

    ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য

    তবে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রশাসনের পাশে রয়েছে। তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেই জঞ্জাল দ্রুত সরাতে চান। মঙ্গলবার থেকে যাতে হাট (Howrah) চালু করা যায় সেই ব্যবস্থাই করা হবে।

    এই নিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন কার্যত ওই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে! ডেঙ্গি রুখতে ফিভার ক্লিনিক কি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে?

    Dengue: ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে! ডেঙ্গি রুখতে ফিভার ক্লিনিক কি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার শুরুতেই বেড়েছে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। কলকাতার পাশপাশি নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি চিন্তা বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার গতানুগতিক ধারায় ফিভার ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সরকারি হাসপাতালের ভিড় প্রশ্ন তুলছে, ফিভার ক্লিনিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে তো?

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, জুলাই মাসে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭০০ জন। গত কয়েক দিনের মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৮ জন। তার মধ্যে দশ বছরের পড়ুয়াও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি-তে ইতিমধ্যেই রোগী ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মতো প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালে জেলা থেকে আসা মানুষের ভিড় বাড়ছে। অধিকাংশ জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। রোগীরা জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসছেন। ফলে, কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে বেড দেওয়া যাচ্ছে না। ডেঙ্গির জন্য যে বাড়তি শয্যার পরিকল্পনা সরকার করেছিল, তা পর্যাপ্ত হচ্ছে না। ফলে, ভোগান্তি বাড়ছে।

    রোগী ও পরিজনদের সমস্যা কোথায়? 

    অধিকাংশ রোগী ও পরিজনরা জানাচ্ছেন, রোগী ভর্তি নিয়ে হয়রানি শুরু হয়েছে। বিশেষত, আরজি কর এবং বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। তাই ভোগান্তি বাড়ছে। উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদিয়া থেকে বহু রোগী রেফার হয়ে আসছেন। রোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, জ্বরের উপসর্গের সঙ্গে মাথা ব্যথা বা অন্য কোনও শারীরিক জটিলতা তৈরি হলেই রেফার করা হচ্ছে। জেলা হাসপাতাল জানিয়ে দিচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। আবার কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের আকাল। অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে। যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ডেঙ্গি (Dengue) রোগীকে রেফার করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবের অভিজ্ঞতা অনেকটাই অন্যরকম, এমনই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতাল চত্বরেই বসে থাকছেন। তাই শুধু আক্রান্ত নন, ঝুঁকি বাড়ছে অন্যদের।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় ফিভার ক্লিনিক যে যথেষ্ট নয়, তা গত কয়েক বছরে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়, কিন্তু তারপরেও রোগী ভোগান্তি থাকে। জেলা থেকে রেফার কমানোর দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ। জেলার ডেঙ্গি রোগী কলকাতার হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হওয়া ও তারপরে তার চিকিৎসা শুরু করা, একদিকে যেমন সময় বহুল, তেমনি সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই জেলা হাসপাতাল ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। পাশপাশি, ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে না পারলে ডেঙ্গি মোকাবিলা কঠিন হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের পাশপাশি পুর ও পঞ্চায়েত দফতর এক যোগে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয় না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ। তবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে। নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং হুগলি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখনই চিন্তার কিছু নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Nadia: ভয় দেখাতেই কি বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির পিছনে সকেট বোমা? অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: ভয় দেখাতেই কি বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির পিছনে সকেট বোমা? অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর ঘরের পিছন থেকে ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপিকে ভয় দেখাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার গোবিন্দপুর এলাকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর থানার পুলিশ। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই এলাকার বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভক্ত বিশ্বাস প্রতিদিনকার মতো আজও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাজে বেরিয়ে যান। এরপর তাঁর মেয়ে সকালে বাড়ির কাজ করার সময় পিছনে একটি বাজার করার ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই বাজারের ব্যাগে কিছু রয়েছে বলে সন্দেহ হয় এবং এরপর তিনি বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। বাড়ির লোকজন প্রাথমিকভাবে ব্যাগটি খুলতেই দেখেন, ভিতরে সকেট বোমা জাতীয় কিছু রয়েছে! এরপরেই খবর দেওয়া হয় ভীমপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই জায়গাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরবর্তীকালে বোম নিষ্ক্রিয় করার আধিকারিকরা এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    বিজেপির জয়ী প্রার্থীর মেয়ের বক্তব্য

    ব্যাগে বোমার ঘটনায় বিজেপির জয়ী প্রার্থীর মেয়ে প্রীতি বিশ্বাস বলেন, সকালে কাজ করার সময় ওই ব্যাগটি আমার নজরে পড়ে। প্রথমে দেখে বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরে দেখি ব্যাগে লোহার গোলাকার বস্তু! এরপর বাড়ির (Nadia) অন্যরাও দেখে বলেন এগুলি সকেট বোমা। এরপর বাড়ির সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    ব্যাগে বোমার বিষয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভক্ত বিশ্বাসের দাবি, যেহেতু গোটা এলাকায় বিজেপি আধিপত্য বিস্তার করেছে, সেই কারণেই ভয় দেখানোর জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। আমি নিজেও একজন বিজেপি জয়ী প্রার্থী। সেই কারণেই দুষ্কৃতীরা চাইছে আমাদের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে। কিন্তু এভাবে দমানো যাবে না। 

    লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে উত্তপ্ত রাজ্য। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চলছে। মিছিলে হামলা, বাড়িতে ঢুকে হামলা, কোনও কিছুই বাদ নেই। বিজেপির পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে, স্রেফ বিরোধী দল করার অপরাধেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। যদিও তৃণমূল এইসব অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার হুগলি (Hooghly) জেলায় এমন একটি ঘটনা সামনে এল, যাতে তৃণমূলের গোপন সন্ত্রাস আর গোপন রইল না। তা প্রকাশ্যে এনে দিলেন খোদ দলের বিধায়ক। এতে একদিকে যেমন বিরোধীদের তোলা অভিযোগ মান্যতা পেল, তেমনি সামনে এল তৃণমূলের নোংরা রাজনীতও।

    বিধায়ক কীভাবে সামনে আনলেন দলেরই সন্ত্রাস (Hooghly)!

    হুগলি জেলার চুঁচুড়ার কোদালিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রবীন্দ্রনগর কালীতলা এলাকার ঘটনা। এখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলেরই (TMC) প্রার্থী কৃষ্ণা মণ্ডল। কিন্তু জিতেও মেটেনি সাধ। এলাকার সাতটি পরিবার নাকি তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। এটাই তাঁদের অপরাধ। আর যায় কোথায়! শুরু হয়ে যায় ধমক-চমক। অভিযোগ ওঠে, ওই প্রার্থীর স্বামী আধার মণ্ডল ওই পরিবারগুলিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাতে থাকে ওইসব পরিবার। কোনও ভাবেই সুরাহা না মেলায় অবশেষে তারা এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের অসিত মজুমদারের দ্বারস্থ হয়।

    সেই অভিযোগ পেয়ে অসিতবাবু ওই এলাকায় গিয়ে যা করলেন, তাতে কিছুই আর আড়ালে থাকল না। নিজের দলের সন্ত্রাসই বেআব্রু হয়ে পড়ল। তিনি এলাকায় (Hooghly) গিয়ে দলের যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে ডেকে প্রকাশ্যে এমন ধমক দিলেন, যাতে সবার মনে হতেই পারে, তৃণমূল দলটা সত্যিই কতখানি শৃঙ্খলপরায়ণ। জনতার সামনে বিধায়ক ওই নেতাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বললেন, “এই তোর লাস্ট চান্স। তুই যদি একটা লোককে চমকাস, তোর হাড়গোড় আমি এক করে দেব।… তুই কেন চমকাবি?…তুই বাইরে থাকবি, না ভিতরে থাকবি?” তিনি পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকারও করে নেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। ভবিষ্যতে আর করবে না বলেও কথা দিয়েছে। অর্থাৎ বিধায়কের ওই আপাত ধমক থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল, স্রেফ তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার জন্য ৭টি পরিবারকে ব্যাপক সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়েছে।

    বিধায়ক নাটক করছেন, তোপ বিজেপির

    এলাকার (Hooghly) মানুষ অবশ্য এসবকে আমল দিতে নারাজ। কারণ, তাঁদের বক্তব্য, বিধায়কের প্রচ্ছন্ন মদত না থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। আর ওই নেতাকে লাস্ট চান্স দিয়ে বিধায়ক এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের কাজ ওই নেতা এই প্রথম করছেন না। বিজেপিও এই জায়গাতেই আক্রমণ হেনেছে। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, চুঁচুড়ায় সবথেকে বড় চমকাইবাজ নেতা যদি কেউ হয়ে থাকে, তবে সেটা তো হচ্ছে আমাদের চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC)। যে দলের গোড়ায় এরকম গলদ হয়ে রয়েছে, সেই দলের শাখাপ্রশাখা তো এই রকমই হবে। এ একে চমকাবে, ও তাকে চমকাবে। এটাই তো দলের কালচার। আজ উনি শুধুমাত্র একটা নাটক করার জন্য আইওয়াশ করতে শুরু করেছেন। লোককে ধমকানো চমকানোটাই এই দলের আইডিওলজি। কখনও কর্মীরা চমকাবে, কখনও বিধায়ক চমকাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Birbhum: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে হুক্কাবারের রমরমা, হুঁশ নেই পুরসভার

    Birbhum: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে হুক্কাবারের রমরমা, হুঁশ নেই পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে (Birbhum) রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার। সন্ধ্যা নামলেই ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। নেশায় বুঁদ যুবসমাজ। কোপাই নদীর অদূরেই প্রশাসনের ঠিক নাকের ডগায় কোনও অনুমতি ছাড়াই বসছে হুক্কার আসর৷ এমনকি, ১৮ বছরের নীচেও ছেলেমেয়েরা মজেছে হুক্কায়। আর এতে নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন। সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদের একাংশ।

    কীভাবে চলছে হুক্কাবার (Birbhum)?

    সাধারণত হুক্কাবারে ১৮ বছরের নিচে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না৷ কিন্তু, এখানে এসব ছাড়! কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী ছাড়াও এই বোলপুর-শান্তিনিকেতনে (Birbhum) রয়েছে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পচর্চা ও সাহিত্য কেন্দ্র। সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় হুক্কার আসর বসায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে, কেন নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন?

    কী কী লাগে হুক্কাবার চালাতে?

    আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শহর বোলপুর (Birbhum)৷ আর বোলপুর পুরসভা হল এই সরকারের মডেল পুরসভা৷ এই পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কোপাই নদীর অদূরে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি হুক্কাবার। একটি হুক্কাবার চালাতে গেলে ২০০৩ সালের ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ টি লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। যেমন স্থানীয় পৌরসভা থেকে ফুড লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, ইন্ডিয়ান পারফরম্যান্স রাইটস সোসাইটি থেকে মিউজিক লাইসেন্স, সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক, ফায়ার লাইসেন্স, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন, স্টাফ ও লেবার লাইসেন্স, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ লাইসেন্স সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে নো অবজেকশন এবং পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রভৃতি। কিন্তু, শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত গোয়ালপাড়া রাস্তায় কোনও রকম কোনও প্রশাসনিক দফতরের অনুমতি ছাড়াই রমরমিয়ে চলছে পশালবনী নামে এক হুক্কাবার৷

    বোলপুর পুরসভার বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই কলকাতা, সল্টলেক, বিধাননগর, শিলিগুড়ি প্রভৃতি জায়গায় হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুরনিগম। যদিও, এই বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে লাইসেন্স প্রাপ্ত হুক্কাবার মালিকেরা৷ কিন্তু, শান্তিনিকেতনে (Birbhum)  হুক্কাবার বা হুক্কার আসরের কোনও অনুমতি নেই প্রশাসনের। আর এই নিয়ে সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, “বোলপুর পুরসভা হুক্কাবারের লাইসেন্স দেওয়ার অধিকারী নয়। রবিঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত এই শহর, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন। এখানে যুবসমাজ নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ুক আমরা চাই না। তারজন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার আমরা নেব। পুলিশকেও বলব বিষয়টি দেখার জন্য৷”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • South 24 Parganas: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    South 24 Parganas: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হতেই সন্ত্রাসের বধ্যভূমি হয়ে ওঠে বাংলা। ভোটের রেজাল্ট বের হয়ে গেলেও তার রেশ চলছেই। এখনও রাজ্যের বহু প্রান্তে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। দিকে দিকে চলছে ব্যালট, বোমা উদ্ধার। ফের বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas)। রবিবার কাকদ্বীপের নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই ঘটনা ঘটে। 

    রবিবার বিকালে বোমা বিস্ফোরণ তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে 

    জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের (South 24 Parganas) পাকুরতলা গ্রামের ১৭৫ নম্বর বুথের এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রবিবার বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মীর নাম আসাদুল খান। ডাক নাম লোটু। বিরোধীরা বারংবার অভিযোগ তোলে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতে মজুত রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত বোমা। এই ঘটনা বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, রবিবার বিকাল নাগাদ হঠাৎ আসাদুলের বাড়ির বারান্দায় বিকট আওয়াজ হয়। ঘটনায় চারিদিকের লোকজন ভিড় করেন তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে। দেখা যায়, অ্যাসবেস্টসের চাল ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। চারিদিক থেকে মানুষ বেরিয়ে এলেও আরও বোমা থাকতে পারে বা বিস্ফোরণ হতে পারে এই ভয়ে বাড়ির কাছে কেউ যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে (South 24 Parganas) আসে ঢোলা থানার পুলিশ। পুলিশ বাড়িটিকে ঘিরে রাখে। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাড়ির সবাই পলাতক।

    কী বলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    তাদের কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে এটা মানতেই চাইছে না তৃণমূল নেতৃত্ব (South 24 Parganas)। উপরন্তু অভিযুক্তকে দরাজ সার্টিফিকেটও দিচ্ছেন তাঁরা।এই বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা নাজমুল সেখ বলেন, ‘‘আসাদুল তৃণমূলের বা তাদের দলের একনিষ্ঠকর্মী, তবে রোজগারের জন্য মুম্বইয়ে কাজ করে, ভোটের সময় বাড়ি এসেছে। ওর মতো সরল সাদাসিধে ভালো ছেলে এলাকায় নেই। ওকে মিথ্যা করে বা চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Death: খাস কলকাতায় মদের দোকানে ক্রেতাকে পিটিয়ে খুন, প্রবল বিক্ষোভ

    Kolkata Death: খাস কলকাতায় মদের দোকানে ক্রেতাকে পিটিয়ে খুন, প্রবল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতায় ঢাকুরিয়া মোড়ের কাছেই একটি মদের দোকানে মদ কিনতে গিয়ে দোকানের কর্মচারীর হাতে খুন (Kolkata death) হতে হল এক ব্যক্তিকে। মৃতের নাম সুশান্ত মণ্ডল। পিটিয়ে খুন করার সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সংবাদ মাধ্যমের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যায়, সুশান্তকে নির্মম ভাবে টেনে দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে বেধড়ক কিল, চড়, লাথি মেরে প্রথমে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং এরপর মাটিতে তাঁর মাথা কয়েকবার ঠুকে দেয় ওই মদের দোকানের কর্মচারী। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় মানুষ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আর এরপর ওই মদের দোকানের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দোষীকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে দোকানের সামনে স্থানীয় জনতা অবস্থান বিক্ষোভ  শুরু করেন। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়।

    প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে খুন! (Kolkata death)

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার ছুটির দিনে, বিকেলে ঢাকুরিয়া মোড়ের মদের দোকানে সুশান্ত মণ্ডল মদ কিনতে যান। তিনি ঢাকুরিয়ার পঞ্চাননতলা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গছে। কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ে মদের দোকানদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতেই দোকানের ভিতর থেকে এক কর্মচারী, সুশান্তকে দরজা খুলে টেনে ভিতরে নিয়ে এসে ব্যাপক মারধর করে। শহর কলকাতায় প্রকাশ্য দিবালোকে এইভাবে মারতে মারতে মাটিতে শুইয়ে দিয়ে সুশান্তের মাথা মাটিতে ঠুকে ঠুকে মেরেই (Kolkata death) ফেলা হবে, তা ভাবাই যাচ্ছে না। স্থানীয়দের কাছে সত্যিই অবিশ্বাস্য এবং আতঙ্কের ঘটনা। মানুষ এতটা নিষ্ঠুর কীভাবে হতে পারে! খুনের প্রতিবাদে এলাকার রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করা হয়।

    উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভ

    এরপর উত্তেজিত জনতা ওই মদের দোকানের উপর চড়াও হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের ঘিরে এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশের সঙ্গে চলে ধাক্কাধাক্কি। স্থানীয় মহিলাদের দাবি, পুলিশ মদের দোকানে টাকা খেয়ে দোষীদের গ্রেফতার করছে না। তাঁরা আরও বলেন, পুলিশ যদি আইনের ব্যবস্থা না নিতে পারে, তাহলে আমাদের কাছে ছেড়ে দিক, আমরা খুনির (Kolkata death) কাছে সুশান্তের হত্যার বিচার চেয়ে নেবো।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, সুশান্ত এলাকার খুব ভালো ছেলে। আমাদের পরিচিত ছেলে। দোষী যারা তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না। খুনিকে (Kolkata death) কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

    পুলিশের বক্তব্য

    পুলিশ জানায়, খুনের (Kolkata death) সঙ্গে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ হাতে এসেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কোনও অপরাধীকেই ছাড়া হবে না।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এরকম সৎ রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে বিরল, বুদ্ধদেবকে দেখে এসে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: এরকম সৎ রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে বিরল, বুদ্ধদেবকে দেখে এসে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যতে দেখতে হাসপাতালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার বিকেল নাগাদ হাসপাতালে প্রাক্তনবুদ্ধদেবকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, মিনিট পাঁচেক হাসপাতালে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের কাছ থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরিক অবস্থার খোঁজ নেন শুভেন্দু। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “আমাকে ওনার পার্টির সকলে খুব সহযোগিতা করেছেন। ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন, ওনার শরীরের অক্সিজেন লেভেল বেড়েছে। উনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় আমি বিধায়ক ছিলাম। শুধু বলতে পারি ওনার মতো সৎ রাজনীতিবিদ এ রাজ্যে আর হবে না।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘আমার একজন পরিচিত ডাক্তারবাবু আছেন। কালকে অনেক রাতে তাঁকে ফোন করেছিলাম, তিনিও একই কথা বললেন। বাকি পরিবার বা হাসপাতাল সূত্রে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখছি বা জানাচ্ছে সেইটাই সকলের বলা উচিত, আলাদা করে না বলাই ভাল। ভগবানের কাছ প্রার্থনা করব, যাতে তিনি এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারেন।’’

    বিজেপির তরফেও গতকাল দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে ভুগছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে তাঁকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে বিজেপির তরফেও। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য শনিবার বলেন, ‘‘দলের তরফে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।’’

    বুদ্ধদেব ইস্যুতে কুণাল-সুকান্ত দ্বৈরথ

    রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নাকি ‘মহাপুরুষ’ বানানো হচ্ছে, এনিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কুণাল লেখেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আরোগ্য কামনা আমি করছি। কিন্তু তার পাশাপাশি যাঁরা তাঁকে আদিখ্যেতা করে মহাপুরুষ সাজাচ্ছেন, তার সঙ্গে একমত নই। কারণ বুদ্ধদেববাবুর জমানায় সিপিএম অনেক ভুল কাজ করেছে। আর ওঁর ঔদ্ধত্যে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ভুল কী বলেছি?” এ দিকে এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি কুণাল ঘোষের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সুকান্তর দাবি, আর যাই হোক বুদ্ধবাবুকে ‘চোর’ বলে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আসলে এই মন্তব্য তিনি কুণালের উদ্দেশে করেছেন। কারণ সারদার আর্থিক  জেল খেটেছেন কুণাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তখন নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অধুনা তৃণমূলের মুখপাত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বসিরহাটে খেলতে গিয়েই বিপত্তি, বোমায় হাত উড়ে গেল শিশুর

    North 24 Parganas: বসিরহাটে খেলতে গিয়েই বিপত্তি, বোমায় হাত উড়ে গেল শিশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বল ভেবে খেলতে গিয়ে হাত উড়ে গেলে এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট (North 24 Parganas) পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাবাগান এলাকায়। আহত শিশু চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। শিশুর নাম ইউসুফ মণ্ডল। রবিবার সকাল ৮ টা নাগাদ এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

    কীভবে ঘটল ঘটনা (North 24 Parganas)?

    রবিবার সকালে বাড়ির (North 24 Parganas) কাছেই একটি মাঠের ফাঁকা জায়গায় বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গেলে আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দের বিস্ফোরণে আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন এবং দ্রুত আহত শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হলে শিশুকে কলকাতায় আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা প্রবল ছিল বলে জানা যায়। শিশুর হাতের মধ্যে বোমাটি বিস্ফোরণ হলে গুরুতর আঘাতে একটি হাত কেটে বাদ দিতে হয়েছে। শিশুর পরিবার অত্যন্ত উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছেন।

    পুলিশের ভূমিকা

    এই ঘটনার সম্পর্কে খবর দিলে স্থানীয় (North 24 Parganas) থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এই ঘটনায় কে বা কারা মাঠে বোমা ফেলে রেখে গেছে, তা নিয়ে রীতিমতো তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল রাতেই এই বোমা এখানে ফেলা হয়েছে কিনা, সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    বোমায় কতটা সুরক্ষিত পশ্চিমবঙ্গ?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই জেলায় জেলায় প্রচুর বোমা-বারুদ উদ্ধারের কথা সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্য বোমা উদ্ধারের ঘটনার কথা উঠে আসে। ইতিমধ্যে বোমাচ-বারুদের বিস্ফোরণে প্রচুর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন রাজ্যে। এই মাসের ১৫ই জুলাই মুর্শিদাবাদের সালারে বোমার আঘতে আহত হয়েছে দুই জন শিশু। সম্প্রতি নির্বাচন চলাকালীন কোচবিহারেও বোমার আঘাতে নিহত হয়েছে শিশু। কালিয়চক, জীবনতলা, ভাটপাড়া এলাকায় বোমার আঘাতে প্রাণ গেছে বেশ কিছু শিশুর। বসিরহাটে (North 24 Parganas) বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় তোপ দেগেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি প্রশ্ন করেন, “রাজ্যে এত বোমা-বারুদ কথা থেকে আসছে?”। পাশাপাশি পুলিশ, সিআইডি এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share