Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Howrah: হাওড়া যেন জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হচ্ছে, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ও!

    Howrah: হাওড়া যেন জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হচ্ছে, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া শহরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হাওড়া (Howrah) পুরসভার উদ্যোগে ঘটা করে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা তোলার নতুন ভ্যাট উদ্বোধন হয়েছে কিছুদিন আগেই। পুরসভা বাজার এলাকা থেকে জঞ্জাল চার্জ নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু তার পরেও হাওড়া শহর নোংরাই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে সময় মতো নোংরা-আবর্জনা না তোলার অভিযোগ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শহরের পুকুরগুলিতে নোংরা ফেলার অভিযোগ। হাওড়া শহরে এমনিতেই পুকুর বুজতে বুজতে জলাশয়ের অস্তিত্ব মুছতে শরু করেছে। যে কটা অবশিষ্ট আছে, সেখানেও পুকুর পাড়েই বাসিন্দারা নোংরা-আবর্জনা ফেলতে শুরু করেছেন। সেই নোংরা পুরসভার জঞ্জাল সাফাইয়ের গাড়ি তুলে নিয়েও যাচ্ছে না। ফলে সেই আবর্জনা পুকুর পাড় থেকে পুকুরের জলে মিশে পুকুরের জলকে দূষিত করে তুলছে। হাওড়া শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে যে কটি পুকুর অবশিষ্ট আছে তার বেশিরভাগ পুকুরেই এই ছবি দেখা যাবে। ফলে শহর পরিষ্কার তো হচ্ছে না উলটে দূষণ বেড়েই চলেছে। বাসিন্দাদের দাবি, শহরে ভ্যাটের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি এই নোংরা যাতে সময় মতো তোলা হয়, সেদিকে পুরসভার জোর দেওয়া উচিত।

    কী অভিযোগ করছেন পুর নাগরিকরা (Howrah)?

    হাওড়া শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় নোংরা জমে থাকা পুকুরগুলি পরিষ্কারের জন্যে ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভাকে চিঠি দিয়েছেন নাগরিকরা। তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হাওড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাকলি দত্ত জানান, মধুসুদন পাল চৌধুরি লেনের (Howrah) কাছে একটি পুকুর দীর্ঘদিন নোংরা-আবর্জনায় ভরে রয়েছে৷ পুরসভার কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও সেই পুকুর সংস্কার করা হয়নি। হাওড়ার ডুমুরজলার বাসিন্দা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা পুকুরগুলি থেকে নোংরা তুলছে না। আর এই সুযোগকে কাজে  লাগিয়েই এক শ্রেণির লোক পুকুর পাড়ে নোংরা ফেলে একটু একটু করে পুকুরগুলিকে বুজিয়ে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় খুব দ্রুত পুকুরগুলি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, পুকুরের নোংরা আবর্জনা তুলে ফেলা হচ্ছে না বলেই দূষণ বাড়ছে।

    কী জানালেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান (Howrah)?

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ডক্টর সুজয় চক্রবর্তী বলেন, হাওড়া (Howrah) শহরের পুকুরগুলিতে এভাবে নোংরা ফেলা হচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই পুরসভার নজরে এসেছে। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে হাওড়া পুর এলাকায় ব্যক্তিগত ও ভেস্টেড এলাকা মিলিয়ে ১১০ টি পুকুরের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী পুকুর পাড়গুলিকে বাঁধিয়ে দিয়ে বেড়া দিয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে৷ ফান্ড এলেই কাজ শুরু হবে। আপাতত নাগরিকরা যাতে এভাবে পুকুরের পাড়ে নোংরা না ফেলে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন, ভোট, গণনা ও ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী ও কর্মীরা। জামুরিয়ায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

    ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পাশে জিতেন্দ্র তেওয়ারি (Asansol)

    রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি-ঘরছাড়া, লুটপাট, আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুর, খুন, হত্যা, মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বারবার বিজেপি সরব হয়েছে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা কেমন আছেন, তা দেখতেই বৃহস্পতিবার জামুরিয়া (Asansol) বিধানসভা অন্তর্গত তপসি বাহাদুরপুর লালগোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসীদের বাড়ি গিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, যেভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলেছে এবং ভোট লুট হয়েছে রাজ্যে অবিলম্বে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা উচিত। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! সমস্তটাই চলে গেছে কয়লা চোর, বালি চোর, লোহা মাফিয়াদের হাতে। সারা রাজ্য জুড়ে এক অগণতান্ত্রিক এবং হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতে হিংসার আশ্রয় করে জয়লাভ করেছে। এই নির্বাচনে টাকা দিয়ে টিকিট বিক্রি করেছে তৃণমূল। প্রার্থীর পদ বিক্রির দর উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের পদের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা। এই টাকা দেবে কয়লা চোর, বালি চোরেরা। তাদের হাতেই পঞ্চায়েত চালানোর দায়িত্ব থাকবে। সাধারণ মানুষ যেমন আগেও বঞ্চিত হয়েছে, এবারও বঞ্চিত হবে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিজেপি একটি বড় পরিবার। ভোটের পর সকল সদস্যরা কেমন আছেন, তা জানতেই জামুরিয়াতে এসেছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়া থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা সকল স্তরেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। তাই তাঁদের সাথে দেখা করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান ও সমিতির সদস্যদের পদ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় (Asansol) তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রানাঘাটে ডেঙ্গির সংক্রমণ ভয়াবহ, পুরসভাকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    Nadia: রানাঘাটে ডেঙ্গির সংক্রমণ ভয়াবহ, পুরসভাকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট (Nadia) সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে নদিয়ার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে রোগী ভর্তির জায়গা পর্যন্ত নেই। যে সমস্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন, তাঁদের নব্বই শতাংশই জ্বরের রোগী অথবা ডেঙ্গি আক্রান্ত। একই বেডে থাকতে হচ্ছে দু থেকে তিনজনকে, থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের করিডরে অথবা মেঝেতেও। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। এমনটাই দাবি রোগী পরিবারগুলির। অপর দিকে বিজেপির অভিযোগ পুরসভার দিকে। সবটা মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের।

    পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল বিজেপির (Nadia)

    বর্তমানে রানাঘাটে (Nadia) ডেঙ্গির ভয়াবহতা নিয়ে রানাঘাট পুরসভার দিকে আঙুল তুলছেন রানাঘাট পৌরসভার বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলার কামনাশিষ চ্যাটার্জি। তাঁর বক্তব্য, প্রথম থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে একাধিকবার রানাঘাট পৌরসভায় চিঠি করেছিলাম, কিন্তু পুরসভা কোনও গুরুত্ব দেয়নি। আগে থেকে কোনও রকম সচেতনতার প্রচার পুরসভা করেনি। পুরসভার প্রধানকে বারবার কীটনাশক তেলের ব্যবস্থা করে এলাকায় দেওয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু কোনও উদ্যোগের চিত্র নজরে আসেনি। চোর পালালে বুদ্ধি আসে! আর তাই ডেঙ্গি যখন মারাত্মক তখন পুরসভার জ্ঞান ফিরেছে। তিনি আরও বলেন, আগে থেকে যদি ডেঙ্গি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিত পুরসভা, তাহলে আজকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাটা এতো বাড়তো না।

    পুরসভার বক্তব্য

    বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলারের তোলা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে রানাঘাট (Nadia) পুরসভার পুরপ্রধান কৌশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা ঠিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বিজেপি কাউন্সিলারের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে করা হচ্ছে সার্ভে, এছাড়াও ড্রেন থেকে শুরু করে জলাশয়ের জায়গাগুলিতে দেওয়া হয়েছে কীটনাশক তেল। কলকাতা থেকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা এসে করছেন পর্যবেক্ষণ।

    তবে ডেঙ্গি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ করলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malaria: ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া! জোড়া আক্রমণে নাজেহাল বঙ্গবাসী!

    Malaria: ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া! জোড়া আক্রমণে নাজেহাল বঙ্গবাসী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক বছর ডেঙ্গির দাপটে নাজেহাল হয় বঙ্গবাসী। এবার তার সঙ্গে শক্তি বাড়িয়েছে ম্যালেরিয়া (Malaria)। যার জেরে ভোগান্তি আরও বাড়ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মশার এই জোড়া আক্রমণ সামলাতে পারবে কি রাজ্য প্রশাসন? নাকি ডেঙ্গির মতো ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে? উদ্বিগ্ন রাজ্যবাসী!

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Malaria)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহেই ম্যালেরিয়া (Malaria) সংক্রমণ ছড়িয়েছে দ্বিগুণ। তাই উদ্বেগ বাড়ছে। ২০২২ সালে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২৬ জন। কিন্তু ২০২৩ সালের জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২৯০ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশেষত, গিরিশ পার্ক, শোভাবাজার, শিয়ালদহ, কসবা, খিদিরপুরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মারাত্মক। তবে, কলকাতার পাশপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং হাওড়া। এই তিন জেলাতেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে ম্যালেরিয়ার (Malaria) প্রকোপ? 

    পতঙ্গবিদরা জানাচ্ছেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য বাড়ছে ম্যালেরিয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়ার (Malaria) সংক্রমণ বহন করে স্ত্রী অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই। এই মশার প্রজাতি জমা জলে বংশ বিস্তার করে। বিশেষত, বড় জায়গার জমা জল, যেখানে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানেই ম্যালেরিয়ার রোগ বহনকারী মশার আঁতুড় ঘর। আর শহরের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হলেই জল জমে। বৃষ্টি কমলেও, শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল সরতে কয়েক দিন সময় লাগে। আর জমা জল থেকেই বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। শহরের রাস্তায় জল জমা বন্ধ করতে না পারলে কিংবা নর্দমা অপরিচ্ছন্ন থাকলে ম্যালেরিয়া থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন পতঙ্গবিদরা।

    ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে কী করবেন সাধারণ মানুষ? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে নিজের বাড়ি ও আশপাশ পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দিক এলাকাবাসী। ছাদে কিংবা বাগানে যাতে কোনও ভাবেই জল না জমে, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হোক। পাশপাশি, নিকাশির সমস্যা হলে পুরসভাকেও জানাতে হবে। কারণ, পরিষ্কার পরিবেশ না থাকলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ মুশকিল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, জ্বর হলে মোটেও অবহেলা করা চলবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর টানা তিন দিন থাকলে, অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। যাতে সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা যায়।

    ম্যালেরিয়া রুখতে কী পদক্ষেপ করবে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী অবশ্য জানিয়েছেন, ম্যালেরিয়া (Malaria) রুখতে পারেন সাধারণ মানুষ। তিনি জানান, মানুষের সচেতনতা না থাকলে এই সমস্যা আটকানো যাবে না। তবে, ডেঙ্গির মতো ম্যালেরিয়া ভয়াবহ হবে না। কারণ, তার চিকিৎসা রয়েছে। 
    কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শুধুই সাধারণ মানুষের সচেতনতা গড়ার কাজ কি যথেষ্ট? ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের আরও তৎপরতার কি প্রয়োজন নেই? সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ! কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে?

    Weather Update: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ! কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে মানুষের বৃষ্টির আক্ষেপ (Weather Update) এবার দূর হতে চলেছে। অন্তত তেমনটাই খবর মিলেছে হাওয়া অফিস সূত্রে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে প্রবল নিম্নচাপ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এর জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। তবে রবিবার থেকে বাড়বে বৃষ্টির দাপট। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে নিম্নচাপের কারণে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের এই ঘোষণার পরেই মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৮ তারিখ থেকেই ফুঁসবে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের তাই আজ ২৮ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

    নিম্নচাপের খুঁটিনাটি

    বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে নিম্নচাপটি (Weather Update)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তের আকার নিয়েছে ওই নিম্নচাপ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি আরও শক্তিশালী হবে। নিম্নচাপের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে হাওয়া অফিস। এই নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তাদের মতে, এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলার উপরে অবস্থান করছে না। সেকারণে সেভাবে রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। 

    উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস…

    দক্ষিণবঙ্গের কম বেশি সব জেলাতেই আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে জানা গিয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেই দিনভর ভিজবে দক্ষিণবঙ্গবাসী। তবে কখনও মেঘ কখনও রোদ আবার কখনও হালকা বৃষ্টি, এ খেলা চলবে। আলিপুরের অধিকর্তারা (Weather Update) জানাচ্ছেন, ২৯ তারিখের পর থেকে বৃষ্টির দাপট ফের বাড়তে শুরু করবে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন, হাওয়া অফিস। আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গে একনাগাড়ে চলবে বৃষ্টি। জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কার্শিয়াং, আলিপুরদুয়ার জেলাতে ব্যাপক বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ চলিত বছরের বর্ষায় (Weather Update) বৃষ্টি থেকে একেবারেই বঞ্চিত। এর জেরে ক্ষতি হচ্ছে চাষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ উঠতেই সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

    TMC: ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ উঠতেই সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-সিবিআইয়ের তলবে হাজিরা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। কয়লাপাচার কাণ্ডে এই নিয়ে ১৩ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী। এদিন, নানুরে শহীদ স্মরণ (TMC) সভায় যোগ দেন তিনি। সভা শেষে সটান গাড়িতে চেপে পরেন। যাতে সাংবাদিকদের এড়ানো যায়! এবার কি হাজিরা দেবেন? প্রশ্ন করতেই মন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাকে কেন বলব?’’ এই বলেই গাড়ির কাঁচ তুলে দেন তিনি। অর্থাৎ, কয়লা পাচার কাণ্ডে হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান রাজ্যের আইনমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একাধিক পুলিশ কর্তারও। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকাও রয়েছেন ইডি রেডারে।

    ১২ জুলাই ফের তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি

    শেষবারের মতো গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। চলতি সপ্তাহেই তাঁর দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রীমশাই চিঠি দিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি থাকার কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারছেন না। পঞ্চায়েত ভোটের (TMC) আগে ২০ ও ২৬ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। সেইসময় রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। ভোটপর্ব মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। কিন্তু তখনও হাজিরা দেননি মন্ত্রী (TMC)

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    এদিকে, বার বার ডাকা সত্ত্বেও মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) যেভাবে হাজিরা এড়াচ্ছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছে ইডি। এ নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা যাকে হাজিরার জন্য ডাকবে তাকে যেতে হবে। না গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইডি-র। এক্ষেত্রে, তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা মনে করেন যে তিনি শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন তবে তাকে গ্রেফতারির জন্য আদালতের কাছে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদনও করতে পারেন। কারণ ইডির গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Migrant Labour: ফের মর্মান্তিক ঘটনা! বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হল তেলঙ্গানায় 

    Migrant Labour: ফের মর্মান্তিক ঘটনা! বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হল তেলঙ্গানায় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মর্মান্তিক ঘটনা। ফের প্রকাশ্যে এল রাজ্যের কর্ম সংস্থানের কঙ্কালসার চেহারা। স্রেফ পেটের টানে ভিন রাজ্যে কত আসহায় যুবক (Migrant Labour) যে ছুটছেন, বিপদে পড়ছেন, তা একটি ঘটনা থেকে আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। তেলঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদ শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূর। সেখানকার রাঙ্গারেড্ডি জেলার শাদনগরের বারগুলা এলাকায় একটি প্রাইভেট পলিমার সামগ্রী তৈরির কারখানায় কাজ করতেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার বেতুলিয়াচক লালপুর গ্রামের মনোজিৎ দাস। ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানায় কর্মরত অবস্থায় দেহ ঝলসে যায় মনোজিতের। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এইভাবে কতদিন আর রাজ্যের শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়কে শুধুমাত্র সংসার প্রতিপালনে পড়ে থাকতে হবে বিদেশের মাটিতে, যেখানে পদে পদে বিপদের হাতছানি?

    কীভাবে অগ্নিকাণ্ড?

    জানা গেছে, ১৬ ই জুলাই রাতে কাজের সময় হঠাৎই আগুন লেগে যায় কারখানায়। মুহূর্তের মধ্যেই তাতে অগ্নিদগ্ধ হন ৯ জন শ্রমিক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই রাতে মৃত্যু হয় মনোজিৎ দাসের। মনোজিৎ সহ চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এখনওপর্যন্ত। যাঁদের বাড়ি মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গে। আশঙ্কাজনক পাঁচজন এখনও চিকিৎসাধীন। ২৬ জুলাই রাতে দেহ (Migrant Labour) এসে পৌঁছয় ভগবানপুরে, নিজের বাড়িতে। রাতেই সম্পন্ন হয়েছে শেষকৃত্য। ২৯ বছরের তরতাজা যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।

    কী বললেন বাবা ও প্রতিবেশীরা?

    মনোজিতের (Migrant Labour) প্রতিবেশী দাদা পবিত্র কুমার দাস বলেন, মনোজিৎ ওই কোম্পানিতে পাঁচ বছর কাজ করেছিল। আমিও ওই কোম্পানিতে ৯ বছর কাজ করেছি। এর আগে কোনওদিন এমন ঘটনা ঘটেনি। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। কোম্পানি চিকিৎসা করিয়েছে, পরিবারের পুরো দায়িত্ব কোম্পানি নিয়েছে। ছেলেকে বিয়ে করানোর কথা আলোচনা চলছিল। বাড়ি তুলেছেন নতুন। মনোজিতের বাবা বাদল চন্দ্র দাস দোষ দিচ্ছেন নিজের কপালকে। ভারী গলায় তিনি বললেন, ছেলে কি আর ফিরবে! 

    তরতাজা যুবকের কাজের জন্য ভিন রাজ্যে গিয়ে মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

  • Murshidabad: বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, অভিযুক্ত সিপিআইএম

    Murshidabad: বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, অভিযুক্ত সিপিআইএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনদুপুরে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল সিপিআইএমের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে মু্র্শিদাবাদের ইসলামপুর (Murshidabad) থানার বনমালী ঘাট এলাকায়। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    কেন ঘটল ঘটনা?

    সূত্র মারফত জানা গেছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই ওই বিজেপি (Murshidabad) কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই এলাকায় বিজেপি প্রার্থী মাত্র ১৫ ভোটে হেরে যায়। তারপর থেকেই সিপিআইএমের লোকজন লাগাতার শাসানি, হুমকি দিত বলে জানান আহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ। বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনায় এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে তড়িঘড়ি গোধনপাড়া (Murshidabad) গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। ওই হামলার ঘটনায় রবীন্দ্র মণ্ডল নামের একজন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সারা শরীরে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে আহত বিজেপি কর্মীদের বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি কর্মী রাজদীপ মণ্ডল বলেন, গতকাল বিকেলে মাঠে নিজের মধ্যে আমরা মজা করছিলাম। সেখান থেকেই দুষ্কৃতীরা আমাদের লক্ষ্য করে। এরপর আজ দুপুর ১২ টায় হঠাৎ আক্রমণ হয় আমাদের উপর। সিপিআইএম দলের প্রতাপ, বাপি, সঞ্জিত সকলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার বাবা, ভাই এবং আমাকে কোপায়। খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই তারা বাড়িতে আসে। আমার জ্যাঠার পেটে গভীর আঘাত লাগে। আমি আগে থানায় (Murshidabad) জানিয়েছিলাম। কিন্তু জানিয়ে লাভ হয় না। পুলিশ কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি।

    সিপিআইএমের বক্তব্য

    সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক (Murshidabad) জামির মোল্লা বলেন, আক্রান্ত পরিবার বিজেপির হলেও বিষয়টা পারিবারিক। এই ঘটনায় সিপিআইএমের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। বিষয়টিকে ইচ্ছে করে রাজনৈতিক রং দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বলিয়ে বিক্ষোভ, এস পি অফিস ঘেরাও করল এবিভিপি

    Cooch Behar: ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বলিয়ে বিক্ষোভ, এস পি অফিস ঘেরাও করল এবিভিপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালজানিতে (Cooch Behar) চোদ্দ বছরের নাবালিকাকে পাঁচজন দুষ্কৃতী ধর্ষণ করে এবং তার পরবর্তীতে এক সপ্তাহের উপরে জ্ঞানহীন থাকার পর গতকাল সেই নবম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর প্রতিবাদে কোচবিহার জেলার সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের অফিস ঘেরাও করল এবিভিপি। অপর দিকে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে কালজানির সেই মৃত নাবালিকার বাড়িতে পরিবারের সাথে কথা বলতে এল বিশেষ প্রতিনিধি দল। শিশু সুরক্ষা কমিটির বক্তব্য, আমরা পরিবারের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমরাও চাইব দোষীদের যাতে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হয়।

    এবিভিপির বক্তব্য (Cooch Behar)

    এবিভিপি সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গের সম্পাদক সুব্রত অধিকারী বলেন, গত সাত দিনে ৫টা এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে মহিলাদের নগ্ন করে নির্যাতন করা হয়েছে। কোচবিহারের (Cooch Behar) কালজিনি এবং তুফানগঞ্জে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের কাছে নারী সুরক্ষা বিপন্ন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে রাজ্যে। তিনি আরও বলেন, এই জেলাশাসক নিজে তৃণমূল জেলা সভাপতির চামচা।

    অপর দিকে কোচবিহারের রামকৃষ্ণ বয়েজ স্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্ররা কোচবিহারের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টায়া, কাঠ জ্বলিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়েছেন। ছাত্রদের বক্তব্য এই জায়গায় কোনও রাজনীতির রং লাগিয়ে লাভ হবে না। যে পাঁচ জন দোষী ধরা পড়েছে, তাদের প্রত্যেককে ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। শাস্তি এমন দিতে হবে যেন পরবর্তীতে এই ধরনের অপরাধ করতে দুষ্কৃতীদের ভিতর কেঁপে ওঠে।

    রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য

    কালজানিতে (Cooch Behar) নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যা নিয়োতি মাহাতো বলেন, আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি, এই নির্মম ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে শাস্তি চাই। প্রশাসন, পুলিশ, শাসক দলের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এই ধরনের বিঙেগুলির উপর নজর রাখব। উল্লেখ্য কমিশনের সদস্যারা নির্যাতিতা পরিবারের বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। ঘটনা ঘটার এতদিন পরে কেন এসেছেন! ঠিক এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম, শোরগোল

    Scam: ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) মামলায় ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকায় উত্তর দিনাজপুরের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম। আর ঘটনায় গোটা জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধীরাও এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি করার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের বিদায়ী সভাধিপতির বিরুদ্ধে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় ওই তালিকায় ৩০০ নম্বরে নাম রয়েছে বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মনের। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন। এরপর ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর থেকে বালিজোল হাইস্কুলে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা পদে যোগদান করেন তিনি। বুধবার ৯০৭ জনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ৩০০ নম্বরে কবিতা বর্মনের নাম রয়েছে। নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। এনিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    কী বললেন তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি?

    এ বিষয়ে তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০১৮ সালে চাকরি পেয়েছি। নিয়মনীতি মেনেই চাকরি হয়েছে। কোনও দুর্নীতি (Scam) করা হয়নি। কী কারণে এই তালিকায় আমার নাম এল, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। কবিতা বর্মনের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা প্রফুল্ল বর্মন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আমি মর্মাহত। ছোট থেকেই ভালো ছাত্রী ছিলেন আমার স্ত্রী। নিয়ম নীতি মেনেই তাঁর চাকরি হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দলের পক্ষ থেকে কবিতা বর্মনের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে বৈধ কাগজপত্র পেয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা দলের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় বিজেপির রায়গঞ্জ উত্তর শহর মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ যোশি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ৩০০ নম্বরে কবিতা বর্মনের নাম রয়েছে। বিজেপি বরাবর বলে এসেছে যে তৃণমূল নেতাদের বাড়ির বাইরের রেট চার্ট ঝোলানো হোক, যে কোনও চাকরিতে কত টাকা লাগে। যেখানে সাধারণ মানুষ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাচ্ছে না অথচ তৃণমূল নেতা নেত্রীর আত্মীয়রা চাকরি পাচ্ছে। নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে। সমস্তটাই অনৈতিক। আমরা ধিক্কার জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share