Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: খুলে যাচ্ছে ব্লাউজ শাড়ি! নগ্ন করে দুই মহিলাকে মার মালদায়

    Malda: খুলে যাচ্ছে ব্লাউজ শাড়ি! নগ্ন করে দুই মহিলাকে মার মালদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্মত্ত জনতার মাঝে প্রায় বিবস্ত্র দুই মহিলা। এনিয়ো ভাইরাল হয়েছে ভিডিও (যদিও ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখা যাচ্ছে বেধড়ক মার চলছে ওই ভিডিওতে। কারও হাতে উঠেছে জুতো, কেউ আবার চুলের মুঠি ধরে মারছে দুই মহিলাকে। খুলে গিয়েছে ব্লাউজ!

    বাংলার এহেন চিত্র দেখে লজ্জিত গোটা দেশ

    মণিপুরের ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে দেশ, তখন তৃণমূল শাসিত বাংলার এহেন চিত্র দেখে লজ্জিত গোটা দেশ। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দূর থেকে কয়েক জন বলে উঠলেন, আর মেরো না। এবার মরে যাবে তো! তবে সে সবে কারও গ্রাহ্য নেই, নেই কোনও মায়া। প্রতি মুহূর্তেই যেন বেড়ে চলেছে মারের তীব্রতা। এদিকে মারের চোটে পরনে থাকা শাড়ি, ব্লাউজ খুলে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছেন মহিলা। কিন্তু পারছেন না। নগ্ন অবস্থাতেই চলছে মার। হাউহাউ করে কেঁদেই চলেছেন দুই মহিলা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। কিন্তু, তাতেও কমছে না মারের দাপট। 

    কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    সূত্রের খবর, ঘটনাটি হল মালদার (Malda) বামোনগোলা থানার পাকুয়াহাটের। এখানে প্রতি মঙ্গলবার হাট বসে নিয়ম করে। এদিন হাটেই দুই মহিলাকে পকেটমার সন্দেহে আটক করা হয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় মারধর। যদিও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সিভিক ভলান্টিয়াররা। কিন্তু, তারাও শান্ত করতে পারেনি উত্তেজিত জনতাকে। কিল, চড়ের পাশাপাশি জুতো খুলেও মারতে দেখা যায় বহু মহিলাকে। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই যদি পকেটমার হবে এই দুই মহিলা তবে তাদের বিচারের জন্য আদালত রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এখন জোর শোরগোল রাজ্যজুড়ে। বিরোধী দল বিজেপি সরব হয়েছে প্রতিবাদে। সূত্রের খবর, নির্যাতিত দুই মহিলা মানিকচকের বাসিন্দা। যদিও এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি পুলিশে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিকে আরও প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘ সময় ধরে এই মারধরের পালা চললেও কেন এল না পুলিশ? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: বোলপুরে তৃণমূল কাউন্সিলারকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রাখল স্থানীয় বাসিন্দারা

    Bolpur: বোলপুরে তৃণমূল কাউন্সিলারকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রাখল স্থানীয় বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বোলপুর (Bolpur) ছিল অনুব্রতর খাসতালুক। এবার সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলারকে দলীয় কার্যালয়ের আটক করে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় ১৮ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দার। তবে কেন এই আটক?  কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে জমি দখল সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। স্থানীয় মানুষজন এদিন তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তৃণমূল কাউন্সিলারকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। আবার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাহায্যে এলাকাবাসীকে হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিনের ঘেরাও-এ আট থেকে আশি প্রত্যেকেই সামিল হয়। এলাকাবাসী কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলার তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ  বিবরণ 

    বোলপুর (Bolpur) পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবি, বোলপুর পৌরসভা এলাকার কাশিমবাজারের কাছে একটি সরকারি জমি পড়ে রয়েছে। সেই জমিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে জল প্রকল্প করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখান দিয়ে তাঁদের যাওয়া আসার রাস্তা রয়েছে। স্থানীয় বাচ্চারা ওই মাঠে খেলাধূলাও করে। জোরপূর্বক ওই জায়গা ঘিরতে চাইছেন কাউন্সিলার। এই সমস্ত বিষয়  নিয়েই স্থানীয় কাউন্সিলর তাপস সরকারের সঙ্গে বচসা বাধে এলাকাবাসীর। বিকালে এলাকায় গিয়ে কাউন্সিলার স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে পুলিশের সাহায্যে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁদেরকে মারধরও করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

    কাউন্সিলার ঘেরাও

    পরবর্তী সময় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের যে দলীয় কার্যালয় রয়েছে, সেই কার্যালয় রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছে স্থানীয় লোকেরা গিয়ে পার্টি অফিস দীর্ঘক্ষন ধরে ঘেরাও করে রাখে বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এলাকাতে উন্নয়ন হবে কিন্তু তা বলে হুমকি মারধর ভয় দেখানো কেন হবে? স্থানীয় কাউন্সিলর সহ বেশ কিছু ব্যক্তিকে পার্টি অফিসের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘেরাও করে রাখে এবং উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

     

    আরও পড়ুুন: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: মুর্শিদাবাদে গণনাকেন্দ্রের পিছনে উদ্ধার হাজার খানেক ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির

    Panchayat Vote: মুর্শিদাবাদে গণনাকেন্দ্রের পিছনে উদ্ধার হাজার খানেক ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গণনার (Panchayat Vote) পরে ব্যালট উদ্ধার চলছেই জেলায় জেলায়। কোথাও আস্ত ব্যালট বক্সও উদ্ধার হচ্ছে। নদীর ধারে, ঝোপে জঙ্গলে, রাস্তার ধারে উড়ছে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতীক। এবার একই ঘটনা মুর্শিদাবাদ জেলার সূতিতে। শুক্রবার সূতি-২ ব্লকের গণনাকেন্দ্রের পিছনের জঙ্গল থেকে হাজার খানেক ব্যালট উদ্ধার হয়। বিরোধী প্রার্থীদের ভোট দেওয়া  ব্যালট পেপার (Panchayat Vote) উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি সহ  বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীরা বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। দেখা যাচ্ছে অসংখ্য ব্যালট পুড়িয়েও ফেলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    বিজেপির বিক্ষোভ

    ঘটনার খবর পেয়ে সূতি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী বিডিও অফিসে আসে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে ব্লক অফিস চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ঘোষণা মতো এদিনই সূতি-২ বিডিও অফিসে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডেপুটেশন ছিল। তখনই বিডিও অফিস সংলগ্ন গণনাকেন্দ্র দফাহাট মডেল ইস্কুলের পিছনের জঙ্গল প্রচুর সংখ্যায় প্রচুর সংখ্যায় ব্যালট পেপার (Panchayat Vote) পড়ে থাকতে দেখা যায়। 

    বিরোধীদের দাবি

    জানা গিয়েছে সমস্ত ব্যালট পেপারগুলি (Panchayat Vote) ৭ নম্বর জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে ভোট (Panchayat Vote) দেওয়া রয়েছে। গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকটি এলাকার কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দেওয়া ব্যালটও রয়েছে। খবর পেয়ে ৭ নং  জেলা পরিষদ প্রার্থী সোহরাব আলি হাজি এবং কংগ্রেস কর্মীদের পাশাপাশি সিপিএম, বিজেপির নেতৃত্ব ও কর্মীরা ছুটে আসেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের পক্ষে ভোটের ব্যালট পেপারগুলি বেছে বেছে সরিয়ে দিয়ে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিডিও ও আইসির মদতেই এই কারচুপি হয়েছে।

     

    আরও পড়ুুন: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত! লজ্জা ও ঘৃণায় তৃণমূলের প্রথম নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপিতে

    BJP: সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত! লজ্জা ও ঘৃণায় তৃণমূলের প্রথম নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের আঁতাত দেখে লজ্জায় এবং ঘৃণায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন রাজ্যের প্রথম তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান স্বপন সান্যাল। এদিন জেলা সভাপতি ও বিজেপি নেতা জয় ব্যানার্জির উপস্থিতিতে পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। ১৯৯৮ সালে শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম তৃণমূলের নির্বাচিত প্রধান ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২১ শে জুলাই নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতার ধর্মতলায় ঐতিহাসিক জন সমাবেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই দিন যাদের অত্যাচারে তাঁরা শহিদ হয়েছিলেন, রাজ্যের বাইরে গিয়ে তাদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লজ্জা আর ঘৃণাতেই এবার তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

    কোথায় যোগদান করলেন বিজেপিতে (BJP)?

    এদিন একুশে জুলাই উপলক্ষে তৃণমূল  একদিকে যখন জনসভা করছে, ঠিক তার উল্টোদিকে গোটা রাজ্য জুড়ে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি (BJP)। সেই মতো নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বিডিও অফিসের কিছুটা দূরে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায় বিজেপিকে। সেখানেই নীল-সাদা পতাকা ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন পোড় খাওয়া তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা।

    কী বললেন প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান?

    এ বিষয়ে প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান স্বপন সান্যাল বলেন, যাদের অত্যাচারে আজ এই শহিদ দিবস পালন হচ্ছে, তাদের সঙ্গেই তৃণমূল জোটবদ্ধ হচ্ছে। আমি এই রাজ্যের প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ছিলাম। আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম আমার পঞ্চায়েতটিকে মডেল হিসাবে তৈরি করব। কিন্তু দুর্ভাগ্য বিজেপিকে হারানোর জন্য সব নীতিবোধ বিসর্জন দিয়ে চিরশত্রুদের সঙ্গেই তিনি জোটবদ্ধ হয়েছেন। সেই কারণেই আমি আজ বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলাম। 

    উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই সিপিএমের এক পরিবার তৃণমূলের হামলা নিয়ে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। তাঁরাও মমতার পদক্ষেপের ব্যাপারে ক্ষোভ এবং ঘৃণাই উগরে দিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিডিও অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিজেপির ব্যাপক সংঘর্ষ শান্তিপুরে

    Nadia: বিডিও অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিজেপির ব্যাপক সংঘর্ষ শান্তিপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে বিজেপির বিডিও অফিস অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত শান্তিপুর (Nadia)। চলল ব্যারিকেড ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি। গ্রেফতার বিজেপির দুই বিধায়ক সহ ৫০০ জন কর্মী। ডেপুটেশন দিতেই পারল না বিজেপি নেতৃত্ব। তীব্র উত্তেজনা জেলায়।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর (Nadia) ব্লকের ফুলিয়া বিডিও অফিসে। উল্লেখ্য, একুশে জুলাই উপলক্ষে যখন ধর্মতলায় ঐতিহাসিক জন সমাবেশ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তাখন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বিডিও অফিসে ডেপুটেশন কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নদিয়া জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। ঠিক সেই মতো ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে বিডিও অফিস থেকে কিছুটা দূরে মঞ্চ বাঁধে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে একের পর এক নেতৃত্ব বক্তব্য রাখার পর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা।

    পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    তবে বিডিও (Nadia) অফিসের কিছুটা দূরে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশকে নেতৃত্ব দেন রানাঘাট এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল এবং শান্তিপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার। বিজেপির মিছিল ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছাতেই বাধা দেয় প্রশাসন। এরপরেই প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ধস্তাধস্তি চলার পর অবশেষে পিছু হটে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, শান্তিপুর ব্লকের বিডিও ডেপুটেশন নিতে অস্বীকার করেছে, সেই কারণে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, বিধায়কসহ ৫০০ জন বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হল বলে পুলিশের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে রানাঘাট (Nadia) বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জি বলেন, আমরা জেলার অন্যান্য ব্লক অফিসেও আজ ডেপুটেশন দিয়েছি। কিন্তু এইরকম প্রশাসনের ব্যবহার দেখিনি। অন্যান্য ব্লক অফিসে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা কয়েকজন মিলিতভাবে ডেপুটেশন দিয়ে এসেছি। এখানে আমাদের ডেপুটেশন দিতেই দেওয়া হল না। যেহেতু শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে আমাদের দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, সেই কারণে পুলিশ এই ধরনের ব্যবহার করছে। আমরা বলেছি যদি বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি গঠন না করতে পারে তাহলে আন্দোলন আরও ব্যাপক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করে নগ্ন করে নির্যাতন তৃণমূলের, তোলপাড় হাওড়ায়

    Howrah: মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করে নগ্ন করে নির্যাতন তৃণমূলের, তোলপাড় হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ৮ জুলাই হাওড়ার পাঁচলায় (Howrah) এক মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, এই প্রার্থীকে কাপড় খুলে নগ্ন করে অসম্মানিত করার অভিযোগও করা হয়েছে। মণিপুরের ছায়া কি বাংলাতেও! প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতারা। বর্তমানে ওই পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

    নিপীড়িত মহিলার বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলা (Howrah) জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। গত ৮ ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিনে সকাল ১১ টা নাগাদ স্থানীয় বুথে তিনি যখন ভোট দিতে যান, তখন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর কাপড় ধরে টানাটানি করা হয়। ঠিক তারপরেই ওই মহিলা দৌড়ে বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর তাঁকে নগ্ন করে নির্যাতন চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং তাঁর স্বামী তাঁকে উদ্ধার করেন। পরিবারের অভিযোগ, বুথ থেকে সব ভোট লুট করেছিল তৃণমূল। তাঁর উপর যে নির্যাতন হয়, তাতে অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর গোটা পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মেল করে পাঁচলা থানার ওসির কাছে অভিযোগ জানায় পরিবার। এরপরই তদন্তে নামে হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশ। মহিলার বেশি চোট না থাকায় তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। গোটা পরিবার এখন শান্তিতে বসবাস করতে চাইছে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।

    স্বামীর বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলার (Howrah) স্বামী জানিয়েছেন, তিনি পরপর দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচন দেখলেন। বিজেপি করার জন্য তাঁর স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে নগ্ন করে যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, সেই ঘটনার স্মৃতি মনে পড়লে তাঁরা আঁতকে উঠেছেন। তাই তাঁরা আর এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে চান না। তাঁদের পরিবার চায় বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসে রাজ্য জুড়ে এই নারী সমাজের উপর অত্যাচার, হিংসা এবং অরাজকতার অবসান ঘটাক।

    আজকেই দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মুজমদার এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির কর্মী-সমর্থক এবং প্রার্থীদের উপর অত্যাচারের কথায় সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে হাওড়ার পাঁচলায় নারী নির্যাতনের কথাকে তুলে ধরে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য যথারীতি বলেন, পাঁচলায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সার্ভের কাজ শেষ, জমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সার্ভের কাজ শেষ, জমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য জমি সার্ভে করার কাজ শেষ। এবার প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করল রেলমন্ত্রক। ফলে প্রকল্পে আর কোনও জটিলতাই রইল না। শীঘ্রই শুরু হচ্ছে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সার্ভেও শেষ হয়েছে। এখন রেল প্রকল্পের অর্থ পেলে জমি অধিগ্রহণ শুরু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন হিলি রেল প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু জমি জটে থমকে ছিল গোটা প্রক্রিয়া। প্রকল্প বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন জেলার বাসিন্দারা। রেলমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের নভেম্বরে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে রেলপথের জন্য জমি উল্লেখ করা হয়। মৌজার নাম দিয়ে সেই বিজ্ঞপ্তি বের হয়। এরপর সেই মতো জেলা প্রশাসন সার্ভে করে জমির ভ্যালুয়েশনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছে। এবার ফাইনাল গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করল রেল। ওই বিজ্ঞপ্তিতে কাদের কাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই কাজ দ্রুত শুরু হবে বলেও রেলের তরফে জানা গিয়েছে।

    মামলাও হয়েছে হাইকোর্টে

    এবিষয়ে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, হিলি রেল প্রকল্প নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলাম। সেই মামলায় রায়ে বলা হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে জমি (Balurghat) অধিগ্রহণের নোটিস জারি করতে হবে। যদিও সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এখন দেরি হলেও রেলমন্ত্রক চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছি, যাতে হাইকোর্টের নজরদারিতে সেই কাজের অগ্রগতি হয়। আদালত সেই আর্জি মেনে নিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Balurghat)?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জন্য জমির সার্ভে সহ নানা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ যেভাবে পাব সেভাবেই কাজ চলবে। বালুরঘাটের এমপি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রেলের তরফে চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছি। অবশেষে চেষ্টা সফল হল। এবার হিলি পর্যন্ত ট্রেন পৌঁছাবেই। কোনও বাধা আটকাতে পারবে না। জমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত শেষ করতে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব। কাটিহারের ডিআরএম শুভেন্দুকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, হ্যাঁ, এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।

    আশাবাদী জেলার বাসিন্দারা (Balurghat)

    প্রসঙ্গত, বালুরঘাট (Balurghat) থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথে দূরত্ব ২৯.৭ কিলোমিটার এবং ওই পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১০ সালে রেলমন্ত্রক বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কথা ঘোষণার পরই জমি চিহ্নিত করা হয়। পরে আত্রেয়ী নদী ও বেশ কয়েকটি ছোট খালের মাঝে রেলব্রিজের পিলারও তৈরি করা হয়। তবে কাজ শুরুর বছর খানেকের মধ্যেই তা থমকে যায়। এরপর দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের জেরে প্রায় ১২ বছর কাজ থমকে থাকে। নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে এই রেলপথ সম্প্রসারণের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ হল। দীর্ঘদিন ধরেই হিলির বাসিন্দারা রেল বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন। অনেকেরই আক্ষেপ, হিলির পাশে বাংলাদেশ দিয়ে রেল যায়। যা এপার থেকে দেখা যায়। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও হিলিতে রেলের চাকা গড়াল না। সেই আক্ষেপ এবার দূর হয়ে যাবে বলে আশাবাদী জেলার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ডায়মন্ড হারবারে গর্ভবতী মহিলাদেরও ছাড়েনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    South 24 Parganas: ডায়মন্ড হারবারে গর্ভবতী মহিলাদেরও ছাড়েনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আজ শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার থানার দক্ষিণ কুলেশ্বরে আহত বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অপরদিকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার ডাক দিয়েছেন। আবার মঙ্গলা হাটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূলের অন্তর্ঘাত। আর ঠিক এর পরেই হাটের পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করে সিআইডি তদন্তের অনুমতি দিলেন। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা।

    আক্রান্ত কর্মীদের পাশে শুভেন্দু (South 24 Parganas)

    রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত। বোমাবাজি, ঘরবাড়ি, সম্পত্তি লুট, মহিলাদের উপর অত্যাচার, বোমা-বন্দুক-পিস্তলের হুমকিতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে  সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি দলীয় কর্মীদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। পুলিশের সামনে মারধর থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে মিথ্যা মামলা দেওয়া, বাড়ি ভাঙচুর করা, মারধর করার মতো একাধিক বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কর্মীদেরকে অভয় দিয়ে বলেন, আগামী দিনে কোনও হেনস্থার শিকার হতে হবে না, দল সম সময় কর্মীদের পাশে রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু তৃণমূল যুবনেতার নাম করে সাংবাদিকদের সামনে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই যুব তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আগামী দিনে কোর্টে যাব।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এই এলাকার (South 24 Parganas) মানুষ অত্যন্ত সহজ সরল। শুধু বিজেপি করার জন্যই তৃণমূলের হার্মাদরা এলাকায় অত্যাচার করেছে। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বিজেপির কর্মীদের মারধর করা হয়। বাড়ির মহিলাদের উপর চলছে অত্যাচার। এসসি মহিলাদের কাপড় ধরে টানাটানি করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। গণতন্ত্র নেই, কিমের রাজ্যের থেকেও খুব খারাপ অবস্থা এখানে। এলাকার মানুষ বাঁচতে চায়। শান্তিতে জীবন জীবিকা নিয়ে বসবাস করতে চায়। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। শুভেন্দু আরও বলেন, ভাইপো নিজে এই এলাকাকে নোংরা করেছেন। আজ, যাঁরা কলকাতায় বসে ডিমভাতের উৎসব করছেন, তাঁরা এই এলাকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছেন। স্থানীয় এক বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী গর্ভবতী, তাঁকেও পর্যন্ত অত্যাচারের শিকার হতে হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে। তিনি আরও বলেন, এই বাংলাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবে তৃণমূলের বিরুদ্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

    TMC: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই একুশে জুলাই নিয়ে যে আন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তা কি সম্পূর্ণ ভুলে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মঞ্চে ওঠার পর থেকে এক বারের জন্যও তাঁর মুখে এল না একুশে জুলাই যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন এবং একুশে জুলাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে একটা কথাও। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর (TMC) বক্তব্যে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা, প্ররোচনা এবং বিরুদ্ধাচারণ ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না।

    শুধুই কেন্দ্রের বিরুদ্ধাচারণ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৮ সালে আজকের দিনে মানুষের সচিত্র ভোটার কার্ডের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবিতে মহাকরণ ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন। আর সেখানেই এই আন্দোলনের মাঝে পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন ১৩ জন। আজ ২৫ বছর পর ২১ শে জুলাই-এর মঞ্চে একবারের জন্যও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল না সেদিনের কোনও কথা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের ঢাক পেটাতে, মিথ্যাচার করতে এবং একদিকে বিজেপি ও অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসার কথা ছাড়া কিছুই বলতে বাকি রাখলেন না। গোটা দেশের মানুষ করোনার সময় থেকে আজও বিনা পয়সায় রেশন পান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী (TMC) নিজেই দাবি করলেন, এই রেশন নাকি বিনা মূল্যে তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে আজও পৌঁছে দিচ্ছেন। পাশাপাশি বাজারদরের প্রতি তাঁর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, সে কথা স্বীকার না করে উল্টে কেন্দ্রীয় সরকারকেই এসব কিছুর জন্য দায়ী করলেন।

    এড়িয়ে গেলেন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি

    রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা না বলে সম্প্রতি মণিপুরের ঘটনার কথা তুলে ফের আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে রাজ্যের পাওনা আদায়ের জন্য দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সঠিক হিসাব দিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্য যেভাবে অশান্ত হয়ে রয়েছে, সে কথাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মাত্র তিনটে ঘটনা ঘটেছে আর তাকে নিয়েই যত রঙ্গতামাশা করছে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলো। কার্যত একুশে জুলাই যে শহিদ দিবস, সে কথাকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের কাছে দরবার করলেন রাজ্যের প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে। চেয়ারকে কেয়ার করেন না তিনি। তাই মমতার স্পষ্ট দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে দাবিদার নেই তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির বিডিও ঘেরাও কর্মসূচিতে উত্তেজনা জামুরিয়ায়, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    BJP: বিজেপির বিডিও ঘেরাও কর্মসূচিতে উত্তেজনা জামুরিয়ায়, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা জামুরিয়ার বিডিও অফিস এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপির নেতা-কর্মীদের। ব্যারিকেড ভেঙে বিডিও অফিসের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ। বিজেপি নেতা তাপস রায়, জামুরিয়া মণ্ডল ২ এর বিজেপি সভাপতি রমেশ ঘোষ অভিযোগ করেন, নমিনেশন থেকে শুরু করে ভোটের দিন ও গণনার দিন পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রশাসনের মদতে ভোট লুট হয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে আগাম ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁরা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা এসে দেখেন, বিডিও অফিসের অনেকটা দূরে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছে। সেখানেই তাঁদেরকে জানানো হয় যে বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাঁরা বিডিও অফিস যাবার চেষ্টা করেন। সেই সময় পুলিশ তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে দেয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত বলে জানান রমেশবাবু। এই নিয়ে বিডিও জানান, কিছু দাবি নিয়ে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের দাবিদাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

    বর্ধমান ১ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ (BJP)

    ‘বিডিও ঘেরাও গণতন্ত্র ফেরাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ধমান ১ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার দুপুরে বিজেপি কর্মীরা বিডিও অফিসে ঢুকতে গেলে তাঁদের গেটের বাইরে আটকে দেয় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। বিডিও অফিসে ঢুকতে না পেরে গেটের বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে্ন তাঁরা। বিক্ষোভ চলাকালীন শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজেই চলে বিক্ষোভ, স্লোগান। এদিন বিজেপির বিডিও ঘেরাও অভিযানকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ছিল বিডিও অফিসে। বর্ধমান ১ বিডিও অফিসকে মুড়ে ফেলা হয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। পরে বিজেপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেয়।

    খড়গ্রাম বিডিও অফিসে ফের নির্বাচনের দাবি (BJP)

    ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় ছাপ্পা, কারচুপি, ব্যালট লুট হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আজ খড়গ্রাম বিডিও অফিসে ছয় দফা দাবি নিয়ে বিজেপির (BJP) এস টি মোর্চার সভাপতি আদিত্য মৌলিকের নেতৃত্বে একটি দল খড়গ্রাম বিডিও-র সঙ্গে দেখা করে। তাদের বক্তব্য, যেভাবে ভোট ভোট লুট হয়েছে এবং ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়েছে, তাতে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন বিজেপির নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, পুনরায় যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন করা হয় ও সেন্ট্রাল ফোর্সকে যেন কাজে লাগানো হয়। খড়গ্রামের বিডিও অরুণাভ মণ্ডল জানালেন, রাজ্য জুড়ে যে বিজেপির কর্মসূচি চলছে, তারা আজকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share