Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Puruliya: ট্রেনের সংরক্ষিত আসনে বসে তৃণমূলের ব্যাজ লাগানো কর্মীরা, বিক্ষোভ পুরুলিয়া স্টেশনে

    Puruliya: ট্রেনের সংরক্ষিত আসনে বসে তৃণমূলের ব্যাজ লাগানো কর্মীরা, বিক্ষোভ পুরুলিয়া স্টেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কর্মীদের দৌরাত্ম্যে সিট না পেয়ে চরম হয়রানির মুখে পড়তে হল রেল যাত্রীদের। প্রতিবাদ করলে জোটে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার। ঘটনায় ক্ষুব্ধ রেল যাত্রীরা প্রতিবাদ জানিয়ে রেল লাইনে নেমে  অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে পুরুলিয়া (Puruliya) রেল স্টেশন।

    কেন সংরক্ষিত আসনে তৃণমূল কর্মীরা (Puruliya)?

    প্রসঙ্গত আজ কলকাতায় ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সভা। আর সেই সভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুলিয়া (Puruliya) রেল স্টেশনে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কোচে চেপে ভিড় জমান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। মূল অভিযোগ, সংরক্ষিত যাত্রীদের আসন অবৈধভাবে দখল করে সেই খানে বসে পড়েন তৃণমূলের কর্মীরা। অথচ রিজার্ভেশন টিকিট থাকা রেলযাত্রীদের বসতে দেওয়া হয়নি। এমনকি রেল যাত্রীদের মারধর ও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

    প্রতিবাদে বিক্ষোভ রেল যাত্রীদের

    গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রেলযাত্রীরা। প্রতিবাদ জানিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের (Puruliya) সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনায় হাওড়া-পুরুলিয়া রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ২৫ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকে স্টেশনে। ঘটনাকে ঘিরে পুরুলিয়া রেল স্টেশন জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। রূম্পা নিয়োগী নামে এক যাত্রী বলেন, আমার সংরক্ষিত টিকিট রয়েছে, কিন্তু ট্রেনে উঠতে পারলাম না। রেলের পুলিশকে বলতে উত্তর দিল, টিকিট কাউন্টারে কথা বলুন। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হল আজ। আরেক যাত্রী তনুশ্রী পালধী বলেন, প্রচুর ভিড় ছিল ট্রেনে, টিকিট সংরক্ষিত থাকলেও ট্রেনে যেতে পারলাম না। তিনি আরও বলেন, আমার জায়গা তৃণমূলের কর্মীরা দখল করে রেখেছে। আমরা তো টাকা দিয়ে সংরক্ষিত টিকিট কেটেছি! আর অপর দিকে বুকে ‘ধর্মতলা চলো’ বলে তৃণমূলের ব্যাজ নিয়ে আমাদের সিট দখল করেছে তৃণমূলের কর্মীরা। সরকার কি কেবল এই তৃণমূল কর্মীদের! আমরা যাঁরা আজ অসুবিধার মধ্যে রয়েছি তাঁদের সরকার কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। এই ভাবে প্রশ্ন তোলেন সাধারণ যাত্রীরা। 

    রেল পুলিশের ভূমিকা

    অবশেষে পরিস্থিতিকে সামাল দিতে রেল পুলিশ (Puruliya) ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর সংরক্ষিত কামরার টিকিট থাকা যাত্রীদের বিকল্প কামরায় আসনের ব্যবস্থা করে দিলেন রেল পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যদিও অনেকে ট্রেনে উঠতে না পারায় বাড়ি ফিরতে বাধ্য হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হাওড়ার মঙ্গলাহাট তুলে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের পর সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    BJP: হাওড়ার মঙ্গলাহাট তুলে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের পর সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া ময়দানের মঙ্গলাহাটে চক্রান্ত করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যাবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই পোড়া মঙ্গলাহাটের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শুক্রবার দুপুরে বিজেপির (BJP) হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল বিজেপি নেতা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সম্পাদক উমেশ রায় বলেন, এই হাটে ব্যবসায়ীদের থেকে মোটা টাকা তোলা হয়। আর ব্যবসায়ীদের কোনও স্বার্থ দেখা হয় না। এই হাটে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। যার ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের  ব্যবসা করার জায়গা দিতে হবে। বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, মঙ্গলাহাটের বেচাকেনার দিন বদল করা হচ্ছে। এই হাটকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তিনি এর জন্য সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিন সকালে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় আলাদাভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, কী কারণে আগুন লাগল তা নিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করবেন। তাতে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে অরূপ রায়ের বক্তব্য, কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন মঙ্গলহাটের মালিক?

     মঙ্গলহাটের মালিক শান্তিরঞ্জন দে বলেন, এই হাট নিয়ে অনেকগুলি মামলা চলছে। আমার বিরুদ্ধে যে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এই ধরনের কোনও কাজ করিনি। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, শট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পারে।

    ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?

    ব্যাবিসায়ীদের অভিযোগ,এই হাটের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল। ৩৬ বছর আগে একবার এই হাটে আগুন ধরে যায়। তারপর থেকে এটিকে পোড়া হাট নামেই চেনেন সকলে। এই পোড়া হাট ছাড়াও আরও প্রায় ১১ টি হাট ভবন আছে এখানে। সেই সব ভবনেও আগুন নেভানোর কোনও পরিকাঠামো নেই। এসব নিয়ে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব সরব হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: অন্ডালে ডাইনি সন্দেহে নির্মম অত্যাচারের শিকার ৬০ বছরের বৃদ্ধা

    Paschim Bardhaman: অন্ডালে ডাইনি সন্দেহে নির্মম অত্যাচারের শিকার ৬০ বছরের বৃদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলমূত্র মিশিয়ে খাওয়ানো, মাথা ন্যাড়া করা, আগুনে পোড়ানো সহ ভয়ংকর অত্যাচারের শিকার হলেন এক বৃদ্ধা। এই বৃদ্ধা আতঙ্কে ঘরছাড়া হয়েছেন বর্তমানে। বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পাশে দাঁড়িয়েছে আদিবাসী সমাজের সংগঠন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানে (Paschim Bardhaman) এই ঘটনায় অত্যন্ত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Paschim Bardhaman)?

    বর্তমান স্মার্ট যুগে দাঁড়িয়েও কুসংস্কারে বিশ্বাসী একদল মহিলার পৈশাচিক অত্যাচারের শিকার হন এক বৃদ্ধা। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের (Paschim Bardhaman) দক্ষিণ খণ্ড ডামারিবাঁধ আদিবাসী পাড়ায়। অভিযো, এক গুণিনের নির্দেশেই বৃদ্ধার উপর এমন অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। আতঙ্কে ১৩ দিন ধরে ঘরছাড়া রয়েছেন নির্যাতিতা বৃদ্ধা।

    নির্যাতিতা বৃদ্ধার বক্তব্য

    নির্যাতিতা বৃদ্ধা জানান, ফরিদপুর (Paschim Bardhaman) থানার ইচ্ছাপুর এলাকার এক গুণিন তথা ওঝা সরস্বতী বাউরি, তাঁকে ডাইনি অপবাদ দেয়। অন্ডাল এলাকার কয়েকজন স্থানীয় ওই গুণিনের কাছে গেলে সে বলে, ওই বৃদ্ধা নাকি তুকতাক জানে। এর পরেই চলতি মাসের ৭ তারিখে প্রায় ১৪-১৫ জন এসে বৃদ্ধার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেয় এবং মারধরও করে বলে জানা যায়। এরপর তাঁকে নগ্ন করে মাথা ন্যাড়া করে এবং মলমূত্র মিশিয়ে জোর করে খাওয়ানো হয়। আর তারপর মাথায় বাঁশ লাঠি দিয়ে মেরে অচেতন করে দিয়ে আগুন দেয় গায়ে বলে অভিযোগ করেন ওই বৃদ্ধা। বাধা দিতে গেলে বৃদ্ধার ছেলেমেয়েকেও মারধর করা হয়। বৃদ্ধার আত্মীয়রা কোনওপ্রকার উদ্ধার করে কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এরপর ওই দিন থেকে আতঙ্কে ঘরছাড়া বৃদ্ধা আশ্রয় নিয়েছেন মেয়ের বাড়িতে।

    ঘরে ফেরাতে আদিবাসী সংগঠন

    নির্যাতিত এই বৃদ্ধাকে বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। ওই বৃদ্ধা, অভিযুক্ত গুণিন সহ আরও ১৫ জন নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে দুর্গাপুর (Paschim Bardhaman) ফরিদপুর ব্লকের বিডিও ও অন্ডাল থানার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই রাজ্যের অধিকাংশ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে!

    West Bengal Health: ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই রাজ্যের অধিকাংশ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জলপাইগুড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে গোপীবল্লভপুর, রাজ্যের একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নীল-সাদা বহুতল ছাড়া রোগী পরিষেবা কার্যত তলানিতে। কোথাও মাসের পর মাস এক্স-রে মেশিন খারাপ। আবার কোথাও স্নায়ু, শিশু-শল্য বিভাগের মতো একাধিক বিভাগে নিয়মিত পরিষেবা পাওয়া যায় না। তাই দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। জেলার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে গড়ে ওঠা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আর বিনামূল্যে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) কার্যত বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ে আটকে আছে।

    কী অভিযোগ (West Bengal Health) করছে রোগীর পরিবার? 

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (West Bengal Health) গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। গোটা রাজ্যে ৩০টি সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। সরকারের তরফ থেকে একাধিক বার জানানো হয়, জেলার মানুষের কলকাতা নির্ভরতা কমাতেই এই পরিকল্পনা। জেলার মানুষকে চিকিৎসা করাতে আর কলকাতার হাসপাতালের উপরে নির্ভর করে থাকতে হবে না। কিন্তু বাস্তবে ছবিটা একেবারেই অন্যরকম। 

    সম্প্রতি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভুক্তভোগীদের একাংশ অভিযোগ করেন, কয়েক মাস ধরে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন খারাপ। বারবার অভিযোগ জানিয়েও, মেশিন ঠিক হয়নি। ফলে, রোগীদের এক্স-রে করা যাচ্ছে না। অনেক সময়েই তাদের বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। 
    একই রকম ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। রোগীর পরিবারের একাংশের অভিযোগ, শিশু-শল্য চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। হাসপাতালে শিশু রোগ বিভাগ থাকলেও, কোনও দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও সমস্যা হলে শিশুকে নিয়ে কলকাতা ছুটতে হয়। কারণ, ওই হাসপাতালে শিশুদের অস্ত্রোপচার করার মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। 
    ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর সহ একাধিক জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (West Bengal Health) পুড়ে যাওয়া রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য বার্ন ওয়ার্ডের পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নেই। যার জেরে মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে কয়েকশো কিলোমিটার পাড়ি দিতে বাধ্য হন। এমনকি একাধিক জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগীদের অভিযোগ, স্নায়ু, বক্ষঃরোগের মতো সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গেলে নিয়মিত পরিষেবা পাওয়া যায় না। অনেক সময়েই চিকিৎসক ও পরিকাঠামোর অভাবে তাদের দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। আবার হৃদরোগের মতো সমস্যা হলে, জেলা থেকে পাঠানো হয় কলকাতার হাসপাতালে। আর তার জেরে পরিষেবা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা আরও বাড়ে। সব মিলিয়ে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকেই।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health) ? 

    স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health) অবশ্য অভিযোগ কিছুটা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, “জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তবে, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কোথাও অভিযোগ পেলে, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টাও হচ্ছে। কিন্তু জেলার সব হাসপাতালে কার্ডিওভাসকুলার, নিউরোলজির মতো বিভাগ নিয়মিত চালু করার কিছু সমস্যা রয়েছে। কারণ, শুধু পরিকাঠামো নয়, চিকিৎসকের ঘাটতিও রয়েছে। তবে, সাধারণ মানুষ যাতে ঠিকমতো স্বাস্থ্য পরিষেবা পান, সে দিকে নজর রয়েছে। “

     

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • TMC: ২১ জুলাইয়ের গুঁতোয় অবরুদ্ধ হাওড়া ব্রিজ, বন্ধ লঞ্চ পরিষেবা, দুর্ভোগ চরমে

    TMC: ২১ জুলাইয়ের গুঁতোয় অবরুদ্ধ হাওড়া ব্রিজ, বন্ধ লঞ্চ পরিষেবা, দুর্ভোগ চরমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় তৃণমূলের (TMC) ২১ জুলাইয়ের সভা শুরু হয়ে গিয়েছে। সভা শুরুর ৪-৫ ঘণ্টা আগে থেকেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ শুরু করে দেয় হাওড়া ও কলকাতা পুলিশ। এর জেরে সকাল ১০ টার পর থেকেই তীব্র যানজট লেগে যায় হাওড়া ব্রিজে। এমনিতেই ব্রিজের উপর গাড়ি পার্কিং করার কথা নয়। কিন্তু, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন গাড়ি ও ভ্যান পার্কিং করে রাখা হয় হাওড়া ব্রিজের উপর। তার উপর বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে আসা মানুষের ভিড়।

    তৃণমূলের মিছিল নেমে পড়ে হাওড়া ব্রিজের রাস্তায়, বন্ধ হয়ে যায় লঞ্চ পরিষেবা

    তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সমর্থকরা ব্রিজের ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ব্রিজের রাস্তায় নেমে পড়েন। এর জেরে তীব্র যানজট লেগে যায় হাওড়া ব্রিজের উপর। মিছিল যাওয়ার পর হাওড়া ব্রিজের যানজট আরও বড় আকার নেয়। আটকে পড়ে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট গাড়ি। শুক্রবার অফিস টাইমে বহু মানুষ এদিন ভিড় উপেক্ষা করেই অফিস বেরিয়েছিলেন। অনেকেই ভিড় এড়াতে সময়ের অনেক আগে অফিস চলে আসেন। কিন্তু, রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশি নিয়ন্ত্রণ ও মিছিলের  জন্যে হাওড়া ব্রিজের মুখে গাড়ির জ্যাম লেগে যায়। ফলে অনেক যাত্রীকেই দীর্ঘ পথ হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। এরপর উত্তর হাওড়া ও হাওড়া ময়দান থেকে আসা মিছিলের জেরে সেতু একরকম অবরুদ্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, দূরের জেলাগুলি থেকে আসা পার্টি কর্মীরা লঞ্চ পেরিয়ে কলকাতায় সভাস্থলে আসে। লঞ্চগুলিতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার্টি কর্মীরা উঠে পড়েন। এর ফলে অতিরিক্ত চাপে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়।

    কী বললেন অফিস যাত্রী?

    তৃণমূলের (TMC) মিটিংয়ের জন্য সরকারি বাস আগেই তুলে নেওয়া হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই বেসরকারি বাসের সংখ্যাও অনেক কমে যায়। বিশেষ করে ধর্মতলা এড়িয়ে বাসগুলি গন্তব্যের উদ্দশে রওনা দেয়। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। এক অফিস যাত্রীর বক্তব্য, অফিস আসার জন্য কয়েক ঘণ্টা আগেই আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু, মিছিলের দাপটে রাস্তায় এতটাই যানজট সময়ে অফিস ঢুকতে পারিনি। রাস্তাতেই ফেঁসে গিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কাকদ্বীপের ইলিশ বোঝাই ট্রলার ডুবে গেল গভীর সমুদ্রে

    South 24 Parganas: কাকদ্বীপের ইলিশ বোঝাই ট্রলার ডুবে গেল গভীর সমুদ্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় বাঘেরচড়, বকখালি (South 24 Parganas) থেকে ৪০ কিমি দূরে গভীর সমুদ্রে অক্ষয়সনগর কাকদ্বীপের এফবি অনিক ফিশিং ট্রলারের নিচের অংশ ফেটে ডুবে যায়। ১৭ জন মৎস্যজীবীকে পার্শ্ববর্তী অপরাজিতা ফিশিং ট্রলার উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। আপাতত ট্রলারটিকে উদ্ধার করার জন্য ৫টি বোট চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ইলিশ মাছ বোঝাই ছিল। ট্রলারের সমস্ত মৎস্যজীবী সুস্থ আছেন। এলাকায় বিষণ্ণার ছায়া।

    কীভাবে ঘটল এই বিপত্তি (South 24 Parganas)?

    অনিক নামে ওই ট্রলারটি ইলিশ মাছ নিয়ে নামখানার দিকে আসছিল। কিন্তু সমুদ্রে (South 24 Parganas) প্রচণ্ড রোলিং হওয়ার কারণে ইলিশ বোঝাই ট্রলারের তলা ফেটে গেলে হু হু করে জল ঢুকতে থাকে। জল বেশি পরিমাণে ঢুকে পড়ায় বেগতিক পরিস্থিতি হয়। জলের গতি প্রবল হওয়ায় মাঝিও সামাল দিতে পারছিলেন না। এরপর সমুদ্রে অন্যান্য মৎস্যজীবীরা লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচান। এক মৎস্যজীবী বলেন, দূরে দেখি একটি ট্রলার। এরপর আমরা বাঁশি বাজিয়ে বার্তা দিলে অপরাজিতা ফিশিং ট্রলারের মাঝি আমাদের উদ্ধার করেন। ট্রলারের মধ্যে প্রচুর ইলিশ মাছ ভর্তি ছিল। মাছ সমেত ট্রলারটি সমুদ্রে পুরোপুরি ডুবে যায় বলে জানা যায়। ট্রলারে যা মাছ ছিল তাতে কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি বলে জানিয়েছেন ট্রলারের মৎস্যজীবীরা।

    মৎস্যজীবীদের বক্তব্য

    ফ্রেজারগঞ্জেরের (South 24 Parganas) অপরাজিতা ট্রলারের মালিক নিতাই মাইতি বলেন, আমি দেখি দূর থেকে হুইসেল দিচ্ছে। এরপর দেখি ওই ট্রলারটি ক্রমেই বসে যাচ্ছে। আর এরপর আমি আমার ট্রলারের জাল ফেলে দিয়ে দ্রুত অনিক ট্রলারকে লক্ষ্য করে দড়ি ফেলতে শুরু করি। এরপর অনিক ট্রলারের মৎস্যজীবীদের একে একে দড়ি দিয়ে আমার ট্রলারে তুলে নিই। তিনি আরও বলেন, বড় বিপত্তি ঘটল। কিন্তু সম্পত্তির ক্ষতি হলেও প্রাণ বেঁচে গেল এই যা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • English Channel: ২৬ বছর পর বিশেষভাবে সক্ষম হিসেবে টু ওয়ে ইংলিশ চ্যানেল পার করলেন হাওড়ার রিমো

    English Channel: ২৬ বছর পর বিশেষভাবে সক্ষম হিসেবে টু ওয়ে ইংলিশ চ্যানেল পার করলেন হাওড়ার রিমো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২৬ বছর পর আরও এক বিশেষভাবে সক্ষম বাঙালি সাঁতারু উত্তর হাওড়ার সালকিয়ার এস বি লেনের বাসিন্দা ৩২ বছরের রিমো সাহা সাঁতরে ইংলিশ চ্যানেল (English Channel) জয় করলেন। বাঙালি এই সাঁতারু বিশেষভাবে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েই তিনি লক্ষ্যপূরণ করলেন। তাঁর এই সাফল্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন রাজ্যবাসী। এর আগে নর্থ চ্যানেল পার করেছিলেন তিনি। মনের জোর আর দৃঢ়সংকল্প থাকলে যে সবই সম্ভব সেটাই তিনি প্রমাণ করে দেখালেন। রিমোর সঙ্গেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এলিভিস আলি হাজারিকা টু ওয়ে ইংলিশ চ্যানেল পারাপার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে এই দুই সাঁতারুর সাফল্যে খুশি দেশবাসী।

    কবে ইংলিশ চ্যানেল (English Channel) অভিযানে নামেন তিনি?

    নতুন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী রিমো সাহার আগে ১৯৯৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা মাসুদুর রহমান বৈদ্য এশিয়ার প্রথম বিশেষভাবে সক্ষম সাঁতারু হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল (English Channel) জয় করেছিলেন। পরে, জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রিমো ইংলিশ চ্যানেল পার করেছিলেন আগেই। এ বার তাঁর অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে আবার ফিরে আসা। সাঁতারের পরিভাষায় যাকে বলে ‘টু ওয়ে’। এ জন্য গত ৮ জুলাই রওনা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অসম, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রের পাঁচজন সাঁতারুও। ইংল্যান্ডে পৌঁছে তাঁরা অনুশীলন করেন। প্রথমে সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য। এর পর, মঙ্গলবার রিমো-সহ বাকি পাঁচ সাঁতারু মিলে রিলে পদ্ধতিতে ইংলিশ চ্যানেলে নামেন। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয় অভিযান। বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টেয় তাঁরা অভিযান সফল করেন।

    কী বললেন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সাঁতারু (English Channel)?

    ইংলিশ চ্যানেল (English Channel) জয়ী সাঁতারু রিমো সাহা বলেন, সাঁতারের সময় আবহাওয়া ছিল প্রতিকূল। ছিল ঝোড়ো হাওয়া এবং প্রচণ্ড স্রোত ছিল। সেই সঙ্গে জলে প্রচুর জেলিফিশও ছিল। সেই সব প্রতিকূলতা দূর করে সাফল্য পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে তাঁর।

    কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    রিমোর এই সাফল্যে খুশি হাওড়ার সালকিয়ায় তাঁর প্রতিবেশী ও আত্মীয়রাও। প্রতিবেশীর বক্তব্য, রিমোর জন্য আমাদের গর্ব হচ্ছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে রিমো ফিরে এলে বড়ো করে সাফল্য উদযাপন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Mangalahat: হাওড়ার মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত এক হাজার কাপড়ের দোকান

    Howrah Mangalahat: হাওড়ার মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত এক হাজার কাপড়ের দোকান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হল হাওড়ার মঙ্গলাহাট (Howrah Mangalahat)। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে খাক হয়ে গেল প্রায় এক হাজারের বেশি কাপড়ের দোকান। একুশে জুলাইয়ের আগের দিন রাত একটা নাগাদ আগুন দেখতে পান আশপাশের লোকজন। তাঁরাই দমকলে খবর দেন। বহু বছর আগে একবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছিল দেশের মধ্যে অন্যতম এই মঙ্গলহাট। সেই থেকে মঙ্গলাহাটের একটি ভবনকে পোড়াহাট নামেই লোকে চেনেন। ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    দমকল সূ্ত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায় মঙ্গলাহাটে (Howrah Mangalahat)। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন হাটের দোকানগুলি দাউ দাউ করে জ্বলছে। অগ্নিকাণ্ডে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাটের কাছেই হাওড়া থানা। প্রথমে থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে খবর যায় দমকলে। একে একে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। হাটের ছোট ছোট দোকানগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জামাকাপড় মজুত ছিল। দোকানগুলি বাঁশ এবং কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ১৮ টি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে দমকলের ধারণা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। যদিও স্থানীয় দোকানদারদের অভিযোগ, মঙ্গলাহাট ভবনটি পুরানো ও জরাজীর্ণ আকার নিয়েছিল। ভবনের আসল মালিক কে তা নিয়ে ছিল দ্বন্দ্ব। মালিকানা নিয়ে বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নজরানা দিয়ে এতদিন বেআইনিভাবে হাট চলছিল। মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন দমকলের আধিকারিক?

    ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ এবং দমকল। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের সামনেই গঙ্গা এবং দমকলের সদর দফতর থাকায় আগুন নেভানোর কাজে জলের কোনও অভাব হয়নি। দমকল বিভাগের ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার রঞ্জনকুমার ঘোষ বলেন, মঙ্গলাহাটে (Howrah Mangalahat) আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। আগুনের ভয়াবহতা দেখে হাওড়া ময়দান ছাড়াও বালি, লিলুয়া সহ বিভিন্ন দমকল কেন্দ্র থেকে গাড়ি নিয়ে এসে আগুন নেভানো হয়। প্রথমে আগুনকে চারদিক থেকে নিয়ন্ত্রণ করে নেওয়া হয়। তারপর আগুন নেভাতে আগুনের মূল কেন্দ্রস্থলে পৌঁছায় দমকল। এভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রায়দিঘিতে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর ভেড়িতে দিল বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: রায়দিঘিতে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর ভেড়িতে দিল বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিজেপি (BJP) প্রার্থীর মাছের ভেড়িতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আর পুকুরে বিষ দেওয়ার কারণে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি।  ঘটনাটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার রায়দিঘি বিধানসভার কন কন দিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪৬ নম্বর বুথের আড়িয়াপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

     পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা  মণ্ডল বিজেপির প্রার্থী হয়ে শাসকদলের পুষ্পিতা মাঝির কাছে হেরে যায়। হঠাৎ করে বুধবার রাতে দুষ্কৃতীরা বিজেপি প্রার্থীর ভেড়িতে বিষ দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ভেড়িতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীর শ্বশুর দেখতে পান, ভেড়িতে প্রচুর মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই দলমত নির্বিশেষে  কয়েক শতাধিক মানুষ ঘটনাস্থলে আসেন। দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন।  তবে ভোটে হারার পর পুকুরে বিষ পড়লেও বিরোধী দলের দিকে আঙুল তুলতে নারাজ পরাজিত প্রার্থী এবং পরিবারের লোকজন। 

    কী বললেন পরাজিত বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    পরাজিত বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুপর্ণা মণ্ডল বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার পর ভেড়িতে এভাবে বিষ দিয়ে মাছ মেরে দেবে তা ভাবতে পারছি না। যে বা যেসব দুষ্কৃতী এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা সুব্রত বর বলেন, দলীয় প্রার্থী হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যে বা যারা এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী  পুষ্পিতা মাঝি বলেন, আমাদের দল এমন জঘন্য কাজ করতে পারে না। ভোট যুদ্ধে হার-জিত আছে, তাই বলে কাউকে পুকুরে বিষ দিতে হবে এমন কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না। তবে, যে বা যারা  করেছে তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে মহকুমা শাসক, তৈরি করা হল স্কেচ

    Kaliyaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে মহকুমা শাসক, তৈরি করা হল স্কেচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ (Kaliyaganj) ব্লকের রাধিকাপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয়ের নিহত হওয়ার ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হল। এর পর আজ রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ঘটনাস্থল চাঁদগা গ্রামে পরিদর্শনে যান। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধানে সেদিনের ঘটনার স্কেচ তৈরি করা হয়। তবে এদিনের তদন্ত নিয়ে মহকুমা শাসক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আজও ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি মহকুমা শাসকের কাছে জানানো হয়েছে।

    কীভাবে গ্রহণ হল সাক্ষ্য (Kaliyaganj)?

    এদিন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি, কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) জয়েন্ট বিডিও এবং স্কেচ তৈরিতে পারদর্শী একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে পৌঁছান। মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে সেই রাতের ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন মহকুমা শাসক। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি স্কেচ তৈরি করা হয়। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন মহকুমা শাসক।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী কোথাও পুলিশের গুলিতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতিকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২২ মে এই মর্মে মহকুমা শাসক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে বলা হয়, ৬ জুন কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসে ওইদিন রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে রাতে তল্লাশি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশকর্মীকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শীদেরকেও আসার জন্য বলা হয়। ৬ জুন ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় মহকুমা শাসকের (Kaliyaganj) উপস্থিতিতে। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এই তদন্তের কাজ থেমে থাকে। নির্বাচন পর্ব মিটতেই এই তদন্তের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরপর তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে ঘটনার দিন এই গ্রামে অভিযানে নিযুক্ত প্রত্যেক পুলিশকর্মীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এরপর স্কেচ ফাইনাল করে মহকুমাশাসক তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মৃত্যুঞ্জয় (Kaliyaganj) বর্মনের দাদা মৃণালকান্তি বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসকের আজকের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের উপর আমাদের আস্থা নেই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আধিকারিকদের যেসব ঘটনা সামনে এসেছে তাতে তো বোঝাই যাচ্ছে যে তাঁরা মমতা ব্যানার্জির সাথে মিলে রয়েছেন।  বিভিন্ন আধিকারিকরা আসছেন, সিআইডি এসেছেন। তাঁরা সব তথ্য নিয়ে গেছেন।  কিন্তু আদৌ এই সমস্ত তথ্য হাইকোর্টে পেশ করবে কিনা তা নিয়ে আমাদের সংশয় আছে।”

    অপরদিকে, মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসককে ঘটনার সম্পর্কে জানিয়েছি। কিন্তু সিআইডি কিংবা পুলিশের ওপর আমাদের ভরসা নেই। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share