Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Alipurduar: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    Alipurduar: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি শাসিত অসম রাজ্যেই অবশেষে আশ্রয় নিতে হল সদ্য বিজেপির টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিদের। মূল অভিযোগ, শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকি-ধমকের জেরে তাঁরা গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে নয় জন, এবং সেই সঙ্গে আরও চারজন নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এসে শুক্রবার রাতে আশ্রয় নেন। ওই নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যাদের সঙ্গে শিশু-কিশোরও রয়েছে। এরপর তাঁরা সেখানেও নিরপদ নন বলে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। পীড়িত এই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা।

    কেন যেতে হল অসমে?

    গত শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Alipurduar) ঘরছাড়া ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের উপর নানা অত্যাচারের কথা শোনেন। দলীয় কার্যালয়েও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা। দলের জেলা নেতৃত্ব তাঁদেরকে নিরাপদ জায়গায় হিসেবে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর বিজেপি জেলা কার্যালয় থেকে শনিবার রাতেই তাঁদেরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Alipurduar) মিডিয়া সেলের মুখপাত্র শংকর সিনহা বলেন, শাসকদলের অত্যাচারে নিজেদের বাড়িতেই বিজেপির নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা থাকতে পারছেন না। তাঁদেরকে শাসক দলের যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়াও নানা ধরনের হুমকি চলছেই। তাই ওই নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের আমরা নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছি অসমে।

    কীভাবে ভোট হয়েছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)?

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই যেতে চলেছে। তা সত্ত্বেও এখানে বিজেপি জেলা পরিষদে একটি আসনেও জয়ী হতে পারেননি। তবে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজেপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। জেলার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ওই সকল গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসক দলে টানতে নানা  ভাবে হুমকি, এমনকি প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বাড়িতে থাকতে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায়, সদ্য নির্বাচিত ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রথমে জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। এরপর জনপ্রতিনিধিদের নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে প্রতিবেশী বিজেপি শাসিত অসমে পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: জয়ী হওয়ার পর থেকে শান্তিপুরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বিজেপির দুই সদস্য

    BJP: জয়ী হওয়ার পর থেকে শান্তিপুরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বিজেপির দুই সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বিজেপির (BJP) দুই জয়ী প্রার্থী। তাঁরা হলেন তারাবাবু রায় এবং সুস্মিতা মুন্ডা। খোঁজ না মেলায় তীব্র আতঙ্কে দিন কাটছে দুই প্রার্থীর পরিবারের লোকজনদের। অভিযোগ, তাঁদের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পিছনে রয়েছে তৃণমূল। নদিয়ার শান্তিপুর থানার বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসপাড়া এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি (BJP) সদস্যদের পরিবারের লোকজন?

    বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৭। সেখানে ১৬ টি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। আর ১১ টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের আসনটি সংরক্ষিত। তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সংরক্ষিত হওয়ার কারণে যে দুটি উপজাতির বুথ ছিল, সেই দুটিতে বিজেপি (BJP) জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল সেখানে বোর্ড গঠন না করতে পারার আশঙ্কায় ভুগছে। অভিযোগ, সেই কারণেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির ওই দুই সংরক্ষিত জয়ী প্রার্থীদের পরিবারকে কখনও টাকার প্রলোভন, কখনও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার একটাই কারণ যে কোন উপায়ে ওই দুটি তফশিলি উপজাতি প্রার্থীর মধ্যে একজনকে তৃণমূলে যোগদান করাতে হবে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বাবলা অঞ্চলের এই দুটি বিজেপি প্রার্থী নিখোঁজ। কোথায় রয়েছেন তাঁরা, পরিবারের লোকজন কিছু জানেন না। সেই কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। বিজেপি জয়ী প্রার্থীর পরিবার লোকজনের বক্তব্য, যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসন নিখোঁজ দুজনকে ঘরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক। তাঁরা যাতে শান্তিতে নিরাপদে বসবাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন বাবলা অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি গোরাচাঁদ প্রামাণিক। তিনি বলেন, আমরা মানুষের রায় মাথা পেতে নিয়েছি। বাবলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। বিজেপি (BJP) নিজেরাই তাদের প্রার্থীকে লুকিয়ে রেখে নাটক করছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। তবে, পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও বর্তমানে বোর্ড গঠন নিয়ে চরম আশঙ্কায় রয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, তারা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: গণনার দিন থেকে বুদবুদে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    TMC: গণনার দিন থেকে বুদবুদে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর এক তৃণমূল (TMC) কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চাঁদ বাউড়ি। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদবুদ থানার পোতনা গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কোথা থেকে উদ্ধার হল দেহ?

    গত ১১ জুলাই গণনার দিন চাঁদবাবু নামে ওই তৃণমূল (TMC) কর্মী বাজার করতে বুদবুদে গিয়েছিলেন। বাজারে পুলিশ জমায়েত দেখে লাঠিচার্জ করেছিল। তবে, বাজার করার পর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজ করার পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু, এতদিন তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। রবিবার গভীর রাতে বুদবুদ জাতীয় সড়কের বাইপাসে জঙ্গল থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে, পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয় দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হবে। পরে, দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃতের ভাই ফাগন বাউড়ি বলেন, ভোট গণনার দিন দাদা বাজারে এসেছিলেন। তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। আমরা বহু জায়গায় খোঁজ করেছি। বুদবুদ বাজারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল বলে শুনেছি। সেই লাঠির আঘাতে দাদা জখম হয়েছিল কি না জানি না। দাদার কোনও শত্রু ছিল না। কেন যে দাদাকে এভাবে খুন হতে হল বুঝতে পারছি না। তবে, পুলিশ একটু উদ্যোগী হলে আমার দাদাকে খুঁজে পাওয়া যেত। পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) গলসি-১ নম্বর ব্লকের সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন,  ওই তৃণমূল কর্মীর কীভাবে মৃত্যু হল তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোট মিটে গেলেও স্কুলের পাশে কয়েকশো ব্যালট পেপার উদ্ধার, শোরগোল নদিয়াতে

    Nadia: ভোট মিটে গেলেও স্কুলের পাশে কয়েকশো ব্যালট পেপার উদ্ধার, শোরগোল নদিয়াতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) জঙ্গলে পড়ে রয়েছে কয়েকশো ব্যালট পেপার, যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিজেপির অভিযোগ, ওই ব্যালট পেপারগুলিতে বিজেপিতে ভোট পড়েছিল। ভোট মিটে গেলেও কেন বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের পাশের জঙ্গলে এইভাবে পড়ে রয়েছে ব্যালট পেপার! প্রশাসনের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছে বিজেপি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট দু নম্বর ব্লকের ধানতলা থানার নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। ওই বিদ্যালয়ের বুথ নম্বর ৫৬/১। আজ সোমবার, সকালে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী দেখতে পান, পাশের জঙ্গলে পড়ে রয়েছে বিজেপির সিম্বল দেওয়া একাধিক ব্যালট পেপার। চোখ ঘোরাতেই তাঁদের নজরে পড়ে, কয়েকশো ব্যালট পেপার, যা ছেঁড়া ও পোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় ধানতলা থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে ধানতলা থানার পুলিশ এবং এরপরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। এলাকার এক সাধারণ ভোটার আনন্দ রায় বলেন, সবগুলিতে বিজেপিই ভোট পেয়েছে। কিন্তু ভোটের পর কেন এই ভাবে ব্যালট পড়ে থাকবে! অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত চাই।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির এই বুথের (Nadia) প্রার্থী অখিলচন্দ্র রাহা অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যেভাবে তৃণমূল ছাপ্পা মেরেছে এবং লুটপাট করেছে ব্যালট বক্সগুলিকে, এর দায় পুলিশকেই নিতে হবে। কেননা পুলিশের মদতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। ফলে এর দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। ব্যালট যত্রতত্র পড়ে থাকার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেন বিজেপির এই প্রার্থী।

    তৃণমূলের অভিযোগ

    অন্যদিকে তৃণমূল স্থানীয় ১৭০ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী (Nadia) অসিত পাণ্ডে বলেন, ঘটনা জানতে পেরে এসে দেখি, সই করা অবস্থায় ব্যালট পেপারগুলি পড়ে রয়েছে যেখানে সেখানে। তবে আদৌ কি ওই ভোটকেন্দ্রের ব্যালট পেপার! নাকি অন্য কোনও জায়গা থেকে ব্যালট পেপারগুলি এখানে নিয়ে আসা হয়েছে! এই নিয়ে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করে তদন্ত করতে বলব। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক এই ঘটনার পিছনে কী চক্রান্ত রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনের মামলায় চার্জশিট পেশ করল সিট

    Asansol: কয়লা কারবারি রাজু ঝা খুনের মামলায় চার্জশিট পেশ করল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কারবারি রাজেশ ঝা ওরফে রাজুকে খুনের মামলায় (Asansol) ১০৬ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিট। ঘটনায় ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ গিরি, লালবাবু কুমার, মুকেশ কুমার ও পবন কুমার ওরফে ভক্তের বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক খুন, খুনের চেষ্টা, মারাত্মকভাবে জখম করা ও অস্ত্র আইনে শনিবার চার্জশিট পেশ করেছেন সিটের তদন্তকারী অফিসার। তবে, পরবর্তীকালে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশের কথাও আদালতে জানিয়েছে সিট।

    কীভাবে চার্জশিট গঠন হল (Asansol)?

    অভিযোগ প্রমাণে কেসের তদন্তকারী অফিসার সহ ৮০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তদন্ত যে মূলত প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল তা চার্জশিট (Asansol) থেকে পরিষ্কার। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জাম ও মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের উপর ভিত্তি করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করেছে সিট। ঘটনাস্থলে মুকেশ ও পবনের উপস্থিতির কথা পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। গরু পাচারে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের গাড়ির চালক শেখ নূর হোসেন ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রাজুর সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। তিনিও গুলিতে জখম হন। বর্ধমান সংশোধনাগারে টিআই প্যারেডে মুকেশ ও পবনকে শনাক্ত করেন ব্রতীন ও নূর। স্বাভাবিকভাবেই রাজুকে খুনের সময় মুকেশ ও পবন যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, তা দুই প্রত্যক্ষদর্শীর শনাক্তকরণ থেকে পরিষ্কার হয়েছে। চার্জশিট সিজেএম চন্দা হাসমত গ্রহণ করেছেন।

    তদন্তকারী অফিসার কী বললেন?

    চার্জশিটে (Asansol) সিটের তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে একটি ফরচুনা গাড়িতে রাজু, ব্রতীন, আব্দুল লতিফ কলকাতা যাচ্ছিলেন। নূর গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার থেকে গাড়িতে ওঠেন রাজু। শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের কাছে তাঁদের গাড়িটি দাঁড়ায়। গাড়িটিকে পিছন থেকে অনুসরণ করছিল একটি নীল রঙের বালেনো গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে লতিফ, ব্রতীন ও নূর কিছু কিনতে যায়। রাজু একাই গাড়িতে ছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ব্রতীন গাড়ির কাছে আসেন। সেই সময় বালেনো গাড়িতে আসা তিন দুষ্কৃতী রাজুর গাড়ির কাছে এসে দাঁড়ায়। দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে রাজুকে গুলি করে। রাজুকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রতীনের বাঁ হাতে গুলি লাগে। দুষ্কৃতীরা দ্রুত অপারেশন সেরে চম্পট দেয়। বালেনো গাড়িটি শক্তিগড় থানার কাছে রেখে অন্য একটি গাড়িতে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে জানা যায় দুটি গাড়িই দিল্লি থেকে চুরি করে আনা হয়েছিল।

    কোন কোন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে

    তদন্তে নেমে পুলিশ দুর্গাপুর (Asansol) থেকে অভিজিৎকে গ্রেফতার করে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে তার বাড়ি। সে পেশায় গাড়ি চালক। বর্তমানে সে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় থাকে। এরপর ইন্দ্রজিৎ গিরি ও লালবাবু কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিহারের বৈশালী থেকে মুকেশ ও পবনকে গ্রেফতার করা হয়। জাতীয় সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পরিষ্কার হয়, সিটি সেন্টার থেকে রাজুর গাড়িকে খুনিদের গাড়িটি অনুসরণ করেছিল। সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে তারা রাজুর গাড়িটিকে অনুসরণ করেছিল। অপারেশন সেরে কাটোয়ায় জাজিগ্রাম হয়ে দুষ্কৃতীরা পালায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও অভিজিতের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন থেকে সেই তথ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঘাটালে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে হামলা, বিজেপি সমর্থকদের ক্লাবে ভাঙচুর

    BJP: ঘাটালে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে হামলা, বিজেপি সমর্থকদের ক্লাবে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত। তৃণমূল এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে ক্রমাগত বিরোধীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। রবিবারই বিজেপি (BJP) সমর্থিত ক্লাবে তাণ্ডব চালাল তৃণমূলের লোকজন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের কুঠিঘাট এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ভোটে জয়ী হওয়ার পর রবিবার বিকেলে কুঠিঘাট এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা বিজয় মিছিল বের করেন। বিজয় মিছিল যাওয়ার রাস্তায় বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের একটি ক্লাব রয়েছে। বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূলের লোকজন ওই ক্লাবে হামলা চালায়। ক্লাবের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। ক্লাবের ভিতরে থাকা ট্রফি থেকে সমস্ত সরঞ্জাম ভেঙে চুরমার করা হয়। ক্লাবে তাণ্ডব চালানোর পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    ঘাটালের বিজেপি (BJP) বিধায়ক শীতল কপাটের বক্তব্য, বিজেপি সমর্থকরা ওই ক্লাবে ওঠাবসা করেন। সেটা তৃণমূলের লোকজনের পছন্দ হয়নি। তাই, ভোটে জেতার পর সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। ক্লাবের ভিতরে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আমরা পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। কারণ, এভাবে সন্ত্রাস চালিয়ে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে পারবে না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। চরম অস্বস্তিতে পড়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দোলুই। দ্রুত সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দেন তিনি। ক্লাব সদস্যের সঙ্গে শংকরবাবু কথা বলেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় কে বা কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, দলের কেউ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। কেউ শান্ত এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য এসব করেছে। আমরা এসব সমর্থন করি না। এমনকী আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা আর হবে না। আর এই বিষয় নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আমি কথা বলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: বসিরহাট স্টেশনের কাছে চলল গুলি, মৃত্যু এক দুষ্কৃতীর, গুলিবিদ্ধ এক যুবক

    Basirhat: বসিরহাট স্টেশনের কাছে চলল গুলি, মৃত্যু এক দুষ্কৃতীর, গুলিবিদ্ধ এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের বেলায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) স্টেশনের কাছে শ্যুটআউট। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক দুষ্কৃতীর। গুলিবিদ্ধ আরও একজন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও তিনি গ্যাংওয়ারের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতর নাম শম্ভুনাথ গায়েন। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত শম্ভুনাথ গায়েন এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। বসিরহাট (Basirhat) থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজীব কলোনি এলাকা যথেষ্ট জনবহুল। পাশেই বসিরহাট স্টেশন। স্বাভাবিকভাবে ঘটনার সময় রাস্তায় লোকজন গমগম করছে। রবিবার রাত নটা নাগাদ স্থানীয় লোকজন আচমকা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলার আওয়াজ শুনতে পান। তারপরেই অনেকে সেদিকে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন, শম্ভুনাথ গায়েন নামে ওই দুষ্কৃতী মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ছটফট করছেন। কিন্তু, ঠিক কী কারণে দুষ্কৃতীরা ওই এলাকায় তাণ্ডব এবং গুলি চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শম্ভুনাথের বুকের নীচে গুলি লেগেছে বলে সূত্রের খবর। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এলাকা দখলের লড়াই থেকেই বিরোধী পক্ষের দুষ্কৃতী দলের কেউ এই গুলি চালাতে পারে। প্রাথমিক অনুমান, হামলাকারীরা শম্ভুনাথ গায়েনের পূর্ব পরিচিত। ব্যক্তিগত কোনও কারণেই তাকে গুলি করা হয়ে থাকতে পারে। অন্য কোনও ঘটনাও ঘটতে পারে। এই ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এই গ্যাংওয়ারের ঘটনায় আরও একজন যিনি জখম হয়েছেন, তাঁর বাড়ি দমদম লাগোয়া এলাকায়। সূত্রের খবর, কোনও একটি অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বসিরহাট গিয়েছিলেন। ফেরার সময় গুলি চালনার মাঝে পড়ে যাওয়ায় তাঁর গায়ে গুলি লাগে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত! একনাগাড়ে বৃষ্টি কোন জেলাগুলিতে?

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত! একনাগাড়ে বৃষ্টি কোন জেলাগুলিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ভারতে একনাগাড়ে অতি ভারী বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বর্ষা বঙ্গে প্রবেশ করেছে এক মাস আগে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলেও দক্ষিণবঙ্গে সেই অর্থে বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা (Weather Update) জানাচ্ছেন, এবার খানিকটা বারিধারা জুটবে দক্ষিণবঙ্গের কপালে। কেরলে বর্ষা ঢোকে ১ জুন। তারপর দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে বাংলায়। মৌসম ভবনের রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরে পয়লা জুনের হিসাবে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৪২ শতাংশ। তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষায় তেমন বৃষ্টি না হলেও প্রায় বানভাসি অবস্থা উত্তরের। যদিও বঙ্গে আশার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস বলছে, ফের সাগরে ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত। রবিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তিশালী হতে চলেছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস মিলতেই খুশি দক্ষিণবঙ্গবাসী। এবার ভিজতে চলেছে তাদের উঠোন, বাড়ির ছাদ। মিলবে কি স্বস্তি? আপাতত সেদিকেই চেয়ে দক্ষিণবঙ্গবাসী।

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি (Weather Update)  

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণাবর্তের জেরে সোমবারও দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অতিরিক্ত আর্দ্রতার জন্য প্যাচপ্যাচে গরমের কথাও শুনিয়েছে মৌসম ভবন। উল্লেখ্য দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। সোমবারও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ দেখা যাচ্ছে। 

    উত্তরবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া (Weather Update)?

    উত্তরবঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে ভারী বৃষ্টিপাত (Weather Update)। একনাগাড়ে বৃষ্টিতে কার্যত বানভাসি অবস্থা উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। রবিবার থেকে সেখানে বৃষ্টি কমেছে। তবে ভারী বৃষ্টি চলতেই থাকবে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে। উত্তরের বাকি পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    ঘূর্ণাবর্ত ওড়িশার দিকে যাবে

    আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে (Weather Update) পরিণত হওয়ার পরই এগোবে ওড়িশা অভিমুখে। তাঁদের মতে, ‘‘রাজস্থান থেকে গয়া হয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের মিজোরামের দিকে চলে গিয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। তার জেরেই উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাড়বে বৃষ্টি। বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডেও এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে চলবে বর্ষণ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভোটের দিন বুথে তৃণমূলের সন্ত্রাস, হরিহরপাড়ায় ফের খুন হলেন সিপিএম কর্মী

    TMC: ভোটের দিন বুথে তৃণমূলের সন্ত্রাস, হরিহরপাড়ায় ফের খুন হলেন সিপিএম কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের জেরে মুর্শিদাবাদের আরও একজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রিন্টু শেখ। তাঁর বাড়ি হরিহরপাড়া ব্লকের নিয়ামতপুর গ্রামে। তিনি সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে  ভোট লুটের চেষ্টা করে। তাতে এই সিপিএম কর্মী বাধা দেন। এরপরই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে এতদিন ভর্তি ছিলেন। এদিন দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) হামলায় দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ভোটে তৃণমূল লুট করেছিল। সেটা বাধা দিতে গিয়ে আমাদের আরও এক কর্মীকে প্রাণ হারাতে হল।

    দৌলতাবাদে ও বড়ঞায় উদ্ধার হল বোমা

    দৌলতাবাদ থানার গৌরীপুর এলাকায় পাটের জমিতে তিনটি সকেট বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। জমিতে পাট কাটতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন বোমাগুলি দেখতে পান। তারপর দৌলতাবাদ থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বোমা তিনটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিন  বড়ঞায় দুই জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, নিমা গ্ৰামের মাঠ থেকে এদিন সকালেই এলাকার বাসিন্দারা একটি জার দেখতে পেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, পরে পুলিশ গেলে সেটি বোমা বলে জানানো হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই বড়ঞার সুন্দরপুর সংলগ্ন  হাতিশালা গ্রামের মাঠেও উদ্ধার হয়েছে আরও একটি জার ভর্তি তাজা বোমা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের জন্য বোমা মজুত করেছিল। তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISF: ভাঙড়ে ঢোকার আগে পুলিশি বাধার মুখে নওশাদ, সরব আইএসএফ বিধায়ক

    ISF: ভাঙড়ে ঢোকার আগে পুলিশি বাধার মুখে নওশাদ, সরব আইএসএফ বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভাঙড় এলাকা। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন, এমনকী ফলাফল প্রকাশের দিনেও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। রাতের বেলায় বোমাবাজি হয়। একাধিক আইএসএফ (ISF) কর্মীর মৃত্যু হয়। তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে বহু কর্মী, সমর্থক চরম আতঙ্কে রয়েছেন। সেই কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে রবিবার ভাঙড় যাচ্ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড়ে ঢোকার মুখে আটকে দেওয়া হল তাঁকে। রবিবার বিকেলে ভাঙড়ের অনেক আগেই তাঁকে লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় আটকে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    শনিবার ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা, নওশাদে আপত্তি পুলিশের

    শনিবার রাতে ভাঙড়ের উদ্দেশে যান তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। ভাঙড় বাজারের কাছে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। তবে, তাঁদের বাজার এলাকা পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এদিন ভাঙড়ের যাওয়ার জন্য আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ রওনা হলে তাঁকে ভাঙড়ের অনেক আগেই আটকে দেওয়া হয়। এদিন হাতিশালা মোড়ের অনেক আগেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। এর আগেও তাঁকে ভাঙড়ে ঢোকার আগেই বাধা দেওয়া হয়েছিল। এদিন নওশাদকে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ভাঙড় থানা এবং কাশীপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা থাকার কারণে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন নওশাদ সিদ্দিকি?

    নওশাদ বলেন, আমাকে যেভাবে আটকানো হয়েছে, সেটা পুরো অনৈতিক। নিয়মের বাইরে গিয়ে এটা করা হচ্ছে। ১৪৪ ধারা থাকলে একসঙ্গে চার জন জমায়েত হতে পারে না। আমি একজনকে নিয়ে যাচ্ছি। আমার বিধায়ক হিসাবে কাজে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। এখানে আইএসএফ (ISF) কর্মীদের সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই। বিধায়ক হিসাবে আমার অনেক কাজ রয়েছে। সেই কারণেই আমি ভাঙড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। শাসক দলের জন্য আলাদা ভূমিকা নিচ্ছে, বিরোধীদের জন্য আলাদা ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে। শনিবার ভাঙড় বাজার পর্যন্ত গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ও অন্যান্যরা। এর বিরুদ্ধে তিনি আদালতে যাবেন বলেও জানান নওশাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share