Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cyclone Dana: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও 

    Cyclone Dana: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana) আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাত থেকে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port) বন্ধ রাখা হয়েছে অপারেশনের কাজ। বন্দরের বড় বড় ক্রেনগুলির অপারেশন বুধবার দুপুরের পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ক্রেনগুলির লম্বা আর্ম নামিয়ে সেগুলিকে লোহার খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানা-র মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port)। তাই আগেভাগেই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে ক্রেন। সুরক্ষিত জায়গায় রাখা হচ্ছে জাহাজ ও ভেসেলগুলিকে। সতর্ক দমদম বিমানবন্দর (Kolkata Airport) কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। 

    বন্ধ বন্দরের কাজ

    হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) গতিপথের উপর নজর রাখতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সাইক্লোনের সতর্কবার্তা দেখে আপাতত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হলদিয়া বন্দরের সমস্ত ধরনের অপারেশনের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বন্দরের লকগেটের অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের আশঙ্কায় আগামী দু’দিন বন্দরে জাহাজ চলাচল বা পণ্য ওঠানামার কাজ কার্যত বন্ধ থাকবে। 

    ডক এরিয়ায় সুরক্ষিত জাহাজ

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) জন্য বন্দরের ডক এলাকায় অপারেশনের ক্ষেত্রে একাধিক সতর্কতা জারি করেছে হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) কর্তৃপক্ষ। ডক এরিয়ার মধ্যে মোট ১৬টি ছোট বড় জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি কোস্টগার্ডের নজরদারি ভেসেল ও জাহাজ রয়েছে। এছাড়া ৫টি বার্জও ডকে রাখা রাখা হয়েছে। ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে ডক এরিয়ায় নিরাপদ জায়গায় এগুলি সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদি নদীর তীরে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জেটি থেকে ভেসেল ও জাহাজগুলিকে বুধবার বিকেলে দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে আনা হয়েছে। ওই ভেসেলগুলি এদিন দুপুর পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের ডাঙায় ফেরার বার্তা দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    সতর্ক বিমানবন্দর

    ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দমদম বিমানবন্দরও (Kolkata Airport)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। ওই সময়ে বিমানবন্দরে কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সমাজমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার আশঙ্কা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে শহরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো ঐতিহ্য ও রীতি-রেওয়াজ মেনে ৫০০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুরের কালীকাপুরের কালী বিগ্রহের। ফি বছর গ্রামের বাসিন্দারা পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন। আর এই পুজো শুরু হওয়ার সুন্দর ইতিহাস রয়েছে।

    কাপালিক শুরু করেছিলেন কালীপুজো (Kali Puja 2024)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কালীপুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করেই এই গ্রামের নাম কালীকাপুর। সে প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগের কথা। বর্তমানের জনবহুল গ্রাম সে সময় ছিল জনশূন্য। ঘন জঙ্গলে ঢাকা নির্জন স্থান। কানা দামোদর নদীর পাড়। জঙ্গলে বন্য পশুর দাপট ছিল। কেউ সাহস পেত না এখানে আসার। জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, এই ঘন জঙ্গলেই বাস করতেন এক কাপালিক। তিনি জঙ্গলে একাকী থেকে মা কালীর আরাধনা করতেন। তখন বর্ধমান রাজার রাজত্বকাল। কথিত রয়েছে, রাজার আদেশ মতোই কাপালিকের অবর্তমানে মা কালীকে সেবা করার দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন বর্ধমানের ঘোষ পরিবার। জানা যায়, সে সময় বর্ধমান রাজসভার নবরত্নের একজন ছিলেন তিলকরাম ঘোষ। বর্ধমান থেকে রাজার আদেশ মতোই মা কালীর সেবার উদ্দেশ্যে সপরিবারে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে চলে এসেছিল ঘোষ পরিবার। তৎকালীন ঘোষ পরিবার ভাট উপাধি পেয়েছিল রাজার কাছে। ধীরে ধীরে বসতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। মন্দির থেকে কিছুটা দূরে ভাট পরিবারের বসবাস শুরু করেছিল সেখানেই। সেই স্থান দেবীপুর গ্রাম নামে পরিচিত।

    ‘একাহারি কালী মা’

    বর্তমানে যে স্থানে কালী মন্দির রয়েছে, তখন সেখানে ঘন জঙ্গল, পুজো (Kali Puja 2024) করার জন্য পুরোহিতের সঙ্গে লেঠেল নিয়ে আসা হত বন্য পশুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে। মন্দির সংলগ্ন ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে বর্তমানে ঘনবসতি গড়ে উঠেছে। মন্দিরের পুরনো রীতি অনুযায়ী প্রতিদিন একবার মাতৃ পুজো অনুষ্ঠিত হয় এখানে। জানা যায়, সে সময় ঘন জঙ্গল কোনওরকমে লেঠেল সঙ্গে নিয়ে দিনে একবার মা কালীর পুজো করা সম্ভব হত। একবার পুজো হওয়ার কারণেই “একাহারি ‘কালী মা”ও বলা হয়। কথিত রয়েছে, শুরুতে মূর্তি ছাড়াই ঘট প্রতিষ্ঠা করে মা কালী রূপে পুজো হত। সেই ঘট নাকি আজও মন্দিরে রয়েছে বলেই জানান পুরোহিত এবং স্থানীয় মানুষ।

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    পরিবারের সদস্য অনির্বাণ ভাট বলেন, “এখানে ভাট পরিবারের প্রথম পুরুষ তিলকরাম ঘোষ (ভাট) রাজার আদেশমতো বর্ধমান থেকে এখানে মায়ের সেবা করতে এসেছিলেন। সে সময় থেকে কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে। তবে প্রায় সমস্ত নিয়ম রীতি রয়েছে অক্ষত। জানা যায়, মন্দিরে কষ্ঠি পাথরের মায়ের যে মূর্তি তা প্রায় দু’শো বছর প্রাচীন। গ্রামে অন্য কোনও মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ ছিল। বৈশাখের ফলহারিণী, মকর সংক্রান্তি, নবমী এবং শ্যামাকালী পুজো-সহ মোট চারটি বিশেষ পুজো হয় প্রতি বছর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gita Path: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    Gita Path: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের (Gita Path) আয়োজন। তবে এবার আর কলকাতা নয়। এবার লাখো কণ্ঠের গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির বিশ্ববাংলা শিল্পহাটের পাশে কাওয়াখালি ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ (Sanatan Sanskriti Sansad)। এবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর সঙ্গে গীতাপাঠের এই আসরে যোগ দিতে পারেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও।

    লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর (Gita Path)

    গত বছরই ব্রিগেডে প্রথম বসেছিল লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর। সেবার উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই মতো প্রচারও করা হয়েছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে বিশেষ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে নজরকাড়া ভিড় হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। কলকাতার ওই আয়োজনে সাফল্যে উৎসাহী হয়ে এবার শিলিগুড়িতে একই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।

    আমন্ত্রণ রাষ্ট্রপতি, মুখ্যমন্ত্রীকেও

    এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক সংঘের প্রধান তথা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব হিন্দুত্ববাদী সংস্থা ও সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। সব মঠ, মিশনেরও যোগদান থাকবে এই কর্মসূচিতে। খুব তাড়াতাড়ি গীতাপাঠের অভ্যাসও শুরু হবে।” তিনি জানান (Gita Path), ধনখড় ও হিমন্ত শিলিগুড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে কথা দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে হয়েছিল গীতাপাঠের আয়োজন। সেবার বিভিন্ন মঠ-মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নেতানেত্রীরাও। আয়োজকদের দাবি ছিল, লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ এবং এতজনের এক সঙ্গে গীতাপাঠে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, গতবারের মতো এবারও মূল অনুষ্ঠানের আগে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হবে ‘হে পার্থসারথি’ নজরুলগীতিটি। পাঠ হবে প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ এবং অষ্টাদশ অধ্যায়। ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে ফের কলকাতায় হবে (Sanatan Sanskriti Sansad) লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। তার আগে হবে বর্ধমানেও (Gita Path)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    Cyclone Dana: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার ভোরেই তা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Dana) পরিণত হবে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে ‘দানা’। সব মিলিয়ে দুই রাজ্যের প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গে।

     কেমন প্রভাব পড়বে কলকাতায়? (Cyclone Dana)

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ (Cyclone Dana) পৌঁছবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটারে। আর এর প্রভাবেই আগামী দু’দিন বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনাও। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কলকাতায় (Kolkata) জারি হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির (৭-২০ সেন্টিমিটার) কমলা সতর্কতা। শনিবারও শহরের কোনও কোনও অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে শহরে। সর্বোচ্চ বেগ পৌঁছতে পারে ৮০ কিলোমিটারেও। ঝড়ের প্রভাবে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ভেঙে পড়তে পারে গাছ। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে ব্যাহত হতে পারে যান চলাচল। বন্দর এলাকাতেও জারি হয়েছে সতর্কতা। ঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    খোলা হল হেল্পলাইন

    বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা পুলিশের তরফে মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়েছে। দুর্যোগের (Cyclone Dana) সময় শহরবাসীকে অযথা বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। মোবাইল-সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী চার্জ দিয়ে রাখা এবং দরকারি কাগজপত্র সুরক্ষিত রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি রয়েছে কন্ট্রোল রুমও। বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে চারটি হেল্পলাইন নম্বর। ৯৪৩২৬১০৪৫৫, ৯৪৩২৬১০৪৪৫, ৯৪৩২৬১০৪৩০ এবং ৬২৯২২৬৩৪৪০-এই চারটি নম্বরের মাধ্যমে সরাসরি লালবাজারের ‘ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার’-এ যোগাযোগ করা যাবে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ উপকূল থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’। বৃহস্পতিবার ভোরেই তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপরই স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বৈঠকে বোতল ভেঙে বরখাস্ত হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর পরই ওয়াকফ বোর্ড নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই বোর্ড নিয়ে বিজেপি সরকারের অবস্থানও তিনি স্পষ্ট করেছেন।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    শিলিগুড়িতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “বিজেপি সরকার ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অন্যায় দূর করার চেষ্টা করছে। যেমন, তারা ১৫০০ বছরের পুরানো মন্দিরকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছে। ইসলামের বয়স ১৪০০ বছর। আর ভারতে তার বয়স আরও অনেক কম। কিন্তু, ১৫০০ বছরের পুরানো মন্দির ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা কি একটা ভোট ব্যাঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়”? প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪-এ জেপিসির এক অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হয়। সূত্রের মতে, ৯ জন সাংসদ সাসপেনশনের পক্ষে রায় দেন। আর ৭ জন বিপক্ষে রায় দেন। এরপরই ৩৪৭ বিধির অধীনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একদিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    ঠিক কী হয়েছিল?

    মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ওয়াকফ (Waqf Board) বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছিলেন। পর পর তিনবার তিনি তাঁর বক্তব্য রেখেছেন। তারপরও আরও একবার বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন।  কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আপত্তি করেন, যার ফলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়। এরপরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কাচের জলের বোতল তুলে নিয়ে টেবিলের ওপর আঘাত করেন এবং নিজেকে আহত করেন। এরপর ভাঙা বোতলটি চেয়ারম্যানের দিকে ছুড়ে দেন তিনি। ঘটনার জেরে বৈঠক মুলতবি করা হয়। ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৪, রেকর্ডের ডিজিটাইজেশন, কঠোর অডিট, বর্ধিত স্বচ্ছতা এবং অবৈধভাবে দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সহ উল্লেখযোগ্য সংস্কার আনার লক্ষ্যেই এই বৈঠক করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    Cyclone Dana: জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়, বন্ধ হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, তৈরি ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) দানা। ইতিমধ্যেই সাগরে জন্ম নিয়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার রাতেই বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘দানা’। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সরকার।

    পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা বন্ধ (Cyclone Dana)

    ‘দানা’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় দানার (Cyclone Dana) প্রভাবে যাতে মন্দিরে কোনও বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য আপাতত মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পুরী মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার শঙ্কায় আপাতত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, পুজো বন্ধ হবে না। মন্দিরের ভিতরে প্রতিদিনের মতোই সমস্ত আচার মেনে জগন্নাথ দেবের পুজো হবে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুর জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে পুরী। রাজ্য জুড়ে মোতায়েন হয়েছে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    ঝড়ের প্রভাব পড়বে ওড়িশার কোন কোন জেলায়?

    মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার (Cyclone Dana) ছাড়িয়ে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব পড়বে ময়ূরভঞ্জ, পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে। ‘দানা’ বাঁধার আগে থেকেই এর প্রভাবে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ভিজতে পারে উপকূলীয় ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দাপাড়া, পুরী এবং জজপুর। বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ,কটক, ভদ্রক এবং বালাসোরে জারি হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। রাজ্যের ৮০০টি দুর্যোগ আশ্রয় শিবিরের পাশাপাশি ৫০০টি অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কী বললেন?

    ঘূর্ণিঝড়টি (Cyclone Dana) সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের কাছাকাছি এসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘দানা’। ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পুজারি জানিয়েছেন, ৮০০টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্কুল-কলেজ সহ আরও ৫০০টি অস্থায়ী ত্রাণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ওড়িশায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি টিম ও পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি টিমকে স্ট্যান্ড বাই রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করল রেল, দেখুন সেই তালিকা

    IRCTC: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করল রেল, দেখুন সেই তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) আগামী বৃহস্পতিবার তীব্রতার সঙ্গে আছড়ে পড়বে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝড় তীব্রতর হবে বলে আশঙ্কা থাকায় রেলের তরফে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। আইআরসিটিসি (IRCTC) বাতিল ট্রেনের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল হয়েছে। আসুন জেনে নিই কোন কোন ট্রেন তালিকায় রয়েছে।

    ২৩ এবং ২৫ অক্টোবর বাতিল ট্রেন (IRCTC)

    দক্ষিণ পূর্ব রেল (IRCTC) এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০টিরও বেশি এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-যশোবন্তপুর এসি এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভুবনেশ্বর শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। বাতিল করা ট্রেনগুলি আগামী ২৩ অক্টোবর এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে মূল স্টেশনগুলি ছাড়ার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, “ঝড়ের গতি এবং পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে এই ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে চলা আরও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হতে পারে। রেলের এই ক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত।”

    আর কোন কোন ট্রেন বাতিল?

    রেল (IRCTC) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে ছাড়া বা ওপর দিয়ে যাওয়া ১৯৮টি ইস্ট কোস্ট ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ, শালিমার পুরী, কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু, নিউ দিল্লি-ভুবনেশ্বর, খড়গপুর-ভিলুপুরম, হাওড়া-ভুবনেশ্বর, শালিমার-হায়দারবাদ, হাওড়া-পুরী। আবার ইস্টার্ন রেলওয়েতে পাটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী, পুরী-কলকাতা, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি সহ বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হয়েছে। একই ভাবে বাতিল হওয়া আরও কিছু নম্বর সহ ট্রেন হল–

    আরও পড়ুন: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    ২২৩২৯ হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস

    ২২৩৩০ আসানসোল-হলদিয়া এক্সপ্রেস

    ১২৫৫২ কামাখ্যা-এসএমভিবি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস        

    ২২৬৪৪ পাটনা-এরনাকুলাম এক্সপ্রেস

    ৩১০১ কলকাতা–পুরী এক্সপ্রেস স্পেশাল       

    ৩১০২ পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশাল       

    ২২৫০৪ ডিব্রুগড়- কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস       

    ২২৫০৩ কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস        

    ১২৫০৯ এসএমভিবি বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস        

    ৩৪২৯ সেকেন্দ্রাবাদ-মালদা টাউন এক্সপ্রেস       

    ৩৪৩০ মালদা টাউন-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস     

    ১৮৪১৯ পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস      

    ২২২০২ পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস        

    ৩২৩০ পাটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশাল

    ১২৫১৪ শিলচর-সেকেন্দ্রাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস       

    ১৫২২৭ এসএমভিবি বেঙ্গালুরু-মুজফফরপুর এক্সপ্রেস  

    ১৩৪১৮ মালদা টাউন-দিঘা এক্সপ্রেস 

    ১৩৪১৭ দিঘা-মালদা টাউন এক্সপ্রেস

    আরব সাগরে অগাস্টের শেষের দিকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উত্তর ভারত মহাসাগরের অববাহিকায় এটি দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana)। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নিল ‘দানা’, দিঘায় হোটেল ছাড়ার হিড়িক পর্যটকদের

    Cyclone Dana: বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নিল ‘দানা’, দিঘায় হোটেল ছাড়ার হিড়িক পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমস্ত জল্পনার অবসান। অবশেষে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি এবার ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’-র (Cyclone Dana) আকার ধারণ করল। আর সেই ঘুর্ণিঝড়টি ক্রমশ এগোচ্ছে স্থলভাগের দিকে। তার গতিপ্রকৃতির ওপর সর্বদা নজর রেখেছেন আবহবিদেরা। বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে উপগ্রহচিত্র। সেই সব ছবি থেকেই নিম্নচাপের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য নিয়ে আগাম সতর্ক করছে হাওয়া অফিস।

    কত দূরে রয়েছে ‘দানা’? (Cyclone Dana)

    মৌসম ভবনের দেওয়া বুধবার সকালের তথ্য অনুযায়ী, নিম্নচাপটি (Cyclone Dana) সাগরদ্বীপ থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৫টায় মধ্যেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার বেগে তা এগিয়ে আসছে। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫২০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। আবহবিদদের অনুমান, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর ‘দানা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে। ‘ল্যান্ডফলের’ সময় এটির সর্বাধিক গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার সর্বাধিক গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।

    আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    দানার দাপটে বৃষ্টি কোথায়?

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, নিম্নচাপের (Cyclone Dana) কারণে বুধবার আন্দামানের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ওড়িশার ভদ্রক, বালেশ্বর, কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর, পুরী এবং খোরড়া জেলাও ভিজবে ভারী বৃষ্টিতে। পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার থেকে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের এই সব জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত দুর্যোগের আশঙ্কা।

    দিঘায় হোটেল খালির নির্দেশ

    বুধবার থেকেই রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার থেকেই ন’টি জেলার স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে মাইকিং। উপকূলবর্তী নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনার কাজও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল দিঘার (Digha) সৈকত। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুরের  হোটেল মালিকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে হোটেল খালি করে দিতে হবে পর্যটকদের। ফলে, সমুদ্র সৈকত ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছে পর্যটকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • By Election 2024: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    By Election 2024: বিজেপির দাবিকেই মান্যতা, রাজ্যের ছয় জেলায় আবাস প্রকল্পের বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর পর পরই রাজ্যে ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন (By Election 2024) হতে চলেছে। পুজোর এই আবহের মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রচার চলছে জোর কদমে। এই অবস্থায় রাজ্যের চার জেলার সর্বত্র এবং অন্য দু’টি জেলার অন্তর্গত তিনটি বিধানসভা এলাকায় আবাস যোজনার (Awas Yojana) অধীনে বাড়ি তৈরির প্রকল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। 

    কমিশনে কী অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি? (By Election 2024)

    রাজ্যের যে ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন, ওই সব জায়গায় আদর্শ নির্বাচনী বিধি (By Election 2024) জারি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, যে সব এলাকায় উপনির্বাচন হবে, সে সকল জায়গায় আবাস যোজনার কাজ চললে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে। এ নিয়ে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে গিয়েছিল বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তারা জানায়, বাংলা আবাস যোজনায় পাকা বাড়ির জন্য এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সরকারি অনুদানের যাচাই করার (ভেরিফিকেশন) কাজ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। যে পাঁচ জেলায় উপনির্বাচন রয়েছে, সেখানে এই যাচাই করার কাজ বন্ধ রাখা হোক। কারণ, উপনির্বাচনের জন্য পাঁচ জেলায় আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়েছে। সেই দাবি মেনে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানায়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত যে তিন বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচন সেখানে আবাস প্রকল্পের কাজ উপনির্বাচন না মেটা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। তবে, অন্যান্য জেলা এবং জলপাইগুড়ি-উত্তর ২৪ পরগনার বাকি অংশে এই কাজ চলতে পারে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    কবে উপনির্বাচন?

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে,  আগামী ১৩ নভেম্বর কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট (এই বিধানসভার কিছু অংশ জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে পড়ে), উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় উপনির্বাচন (By Election 2024) রয়েছে। ২৩ নভেম্বর ভোটের ফল ঘোষণা। কমিশনের নির্দেশ মেনে আবাসের বাড়ি তৈরির কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    RG Kar Case: নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে সাসপেন্ড হোমগার্ড! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদী গান গেয়ে রাজ্য প্রশাসনের কোপের মুখে। হোমগার্ড কাশীনাথ পাণ্ডাকে কেন সাসপেন্ড করা হল, জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যের প্রতিবাদী আন্দোলনে। উল্লেখ্য, ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামলে প্রশাসনের রোষের মুখে পড়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে তিন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। একই ভাবে নানা সময়ে ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশনমঞ্চ থেকে প্রতিবাদীদের জোর করে তুলে দেওয়ার ঘটনা এই রাজ্যে বিরল নয়। তবে প্রবুদ্ধ নাগরিক সমাজকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে।

    উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খড়্গহস্ত (RG Kar Case)

    জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে থেকে বেলঘড়িয়া থানায় ট্রাফিক হোমগার্ডের চাকরি করছিলেন কাশীনাথ পাণ্ডা। গত ২১ অগাস্ট তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে (RG Kar Case) একটি গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন। মূলত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ হল, এই গান গাওয়ার পর থেকেই উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা খড়্গহস্ত হন। একই ভাবে সিনিয়ররা তাঁকে হেনস্থা করেন, পোস্ট তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাপক চাপ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সাময়িক ভাবে কাজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এখন এই ভাবে কেন কাশীনাথকে সাসপেন্ড করা হল, তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে কী অভিযোগ রয়েছে- এসব বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দ। পুজো অবকাশের পর হাইকোর্টে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশে দেন বিচারপতি। এই ঘটনায় ফের একবার অভয়ার ন্যায় বিচারের আন্দোলনে প্রতিবাদের ভাষা, বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    আরও পড়ুন: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    আগেও চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ

    অপর দিকে অভয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল। জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন, ধর্না, অবস্থান-বিক্ষোভ, আমরণ অনশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন। রাজ্যের উৎসবের কার্নিভালের বিরুদ্ধে দ্রোহের কার্নিভাল হয়েছে। একই ভাবে প্রতীকী অনশনের (RG Kar Case) ব্যাজ লাগিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলে কলকাতা পুরসভার এক চিকিৎসককে তলব করেছিল পুলিশ। ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে চিকিৎসক মহলে। একই ভাবে হোমগার্ড কাশীনাথের প্রতি রোষের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দার বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share