Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    TMC: ক্যানিংয়ে শাসক দলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন, বাসন্তীতে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীকে (TMC) ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নান্টি গাজি। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। যদিও আইএসএফের পক্ষ থেকে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাসন্তীতে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটেছে?

    ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়া এলাকায় ভোটের ফল ঘোষণায় তৃণমূল জয়ী হয়। অনেক আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূল (TMC)  জয়লাভ করে। ভোটে জেতার আনন্দে শুক্রবার এলাকায় বিজয় উৎসব চলে। সেই ঘটনার পর রাতে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। আইএসএফের বিরুদ্ধে এই বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে।  কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় বোমাবাজি করার প্রতিবাদ করতে যান। তারপরই আইএসএফ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের  লক্ষ্য করে তেড়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে  তৃণমূল কর্মীরা ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। ছুটতে গিয়ে নান্টু গাজি নামে ওই তৃণমূল কর্মী রাস্তায় পড়ে যান। ওই অবস্থায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পরে, হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জখম তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসকরা কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তিরিত করা হয়।   সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতাদের বক্তব্য, ভোট তৃণমূল অধিকাংশ আসনে জিতে গিয়েছে তা আইএসএফ কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। বিজয় মিছিল হওয়ার পর ওরা সন্ত্রাস করতে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছিল। সেটার প্রতিবাদ করার দলীয় কর্মীকে এভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।

    বাসন্তীতে চলল গুলি

    বাসন্তীতে ফের চলল গুলি। গুলিতে জখম হয়েছেন এক তৃণমূল (TMC)  কর্মী। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শামিম সর্দার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগের তির আর এস পির দিকে। রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল বিধয়াক পরেশরাম দাস বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাস চলছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। আরএসপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটছে। এরসঙ্গে আরএসপির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আলিপুরদুয়ার ও বালুরঘাটে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী

    BJP: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আলিপুরদুয়ার ও বালুরঘাটে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘর ছাড়া শতাধিক বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক। বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। প্রতিদিন ঘরছাড়াদের সংখ্যা বাড়ছে জেলায়। একই অবস্থা আলিপুরদুয়ার জেলাতেও। সেখানে মহিলা সহ শিশুরা আশ্রয় নিয়েছে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘর ছাড়া বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকরা

    জেলাজুড়ে বর্তমানে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ১০০ বেশি দলীয় কর্মী সমর্থক আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সকলেই শাসক দলের দুষ্কৃতিদের দ্বারা অত্যাচারিত। শুধুমাত্র বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নয় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন নিকট আত্মীয়র বাড়িতে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রাণ সংশয়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে ঘরছাড়াদের, ভাঙা হয়েছে বাড়িঘর। বাড়িঘর ছেড়ে এখন এই সমস্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়। জেলা কার্যালয়ে তাদের থাকা ও খাওয়ার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে প্রাণ নাশের হুমকি। ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে জেলার শতাধিক বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক ঘরছাড়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যে সব জায়গায় জয়ী ও পরাজিত হয়েছে সব জায়গাতেই এই সন্ত্রাস সমান ভাবে চলছে। ঘরছাড়াদের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। পুলিশকে হামলার প্রসঙ্গে জানালে সবকিছু হয়ে যাওয়ার পর তারা আসছে। ততক্ষণে তো সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাই প্রাণভয়ে পরিবার সহ বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। তারা আদৌ ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রতিদিনই ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা বাড়ছে জেলায়। এই বিষয়ে এক ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘আমাদের ওপর ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের কর্মীরা হামলা করছে, প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি কিন্তু পুলিশের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। সেই জন্য আমরা জীবন বাঁচাতে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি।’’ বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, ভোটের আগে এবং ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। শতাধিক কর্মকর্তারা বাড়ি যেতে পারছে না। তাঁদেরকে হুমকি দিচ্ছে তাই তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে  পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছে।

    আলিপুরদুয়ারেও একই ছবি 

    জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা এখন ঘরছাড়া। অভিযোগ, শাসক দল আশ্রিত  দুষ্কৃতীদের হুমকি, চমকানিতে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই থাকতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই এসে আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপি (BJP) জেলা কার্যালয়ে। সাত মাসের দুধের শিশু কোলে সদ্য নির্বাচিত এক পঞ্চায়েত সদস্যা সহ আরও কয়েকজন মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যার এখন ঠিকানা দলের জেলা কার্যালয়। এছাড়া পুরুষ পঞ্চায়েত সদস্যরাও অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন দলের জেলা কার্যালয়ে। বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তাঁরা এসে জেলা কার্যালয় আশ্রয় নিলেও এখন যেন তারা সকলে একটি পরিবারের মতো একসঙ্গে ঢালা বিছানায় রাতে ঘুমোচ্ছেন, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সারছেন। ওই নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা জানেন না, তাঁরা ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা। বিজেপির মিডিয়া সেলের জেলা মুখপাত্র শংকর সিনহা বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের পাতলাখাওয়া, চকোয়াখেতি পূর্ব কাঠালবাড়ি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবারেও তৃণমূলের ভোট লুট,বুথ জ্যামের পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি সদস্যরা সেখানে জয়ী হয়েছেন। বিজেপি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড  দখল করতে পারবে, সেটা বুঝতে পেরেই শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দলের নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর দলত্যাগের চাপ সৃষ্টি করেছে। বাধ্য হয়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় আমাদের রাখার ব্যবস্থা করতে হয়েছে।’’ সাত মাসের শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, ‘‘এলাকার মানুষ বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু শাসকদলের স্থানীয় কিছু নেতা আমাকে বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মানুষের রায়কে সম্মান জানাতে দুধের শিশুকে কোলে নিয়েই পার্টি অফিসে চলে এসেছি। গ্রাম পঞ্চায়েত  বিজেপির বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না।’’ জেলা পার্টি অফিসে আশ্রয় নেওয়া আরেক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘‘আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাতে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে  মানসিক চাপ দিচ্ছে এলাকারই কিছু শাসকদলের নেতা। তাই বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: চন্দ্রযানে জুড়ল বাঙালি নাম! ক্যামেরা ডিজাইন করেছেন অনুজ নন্দী

    Chandrayaan-3: চন্দ্রযানে জুড়ল বাঙালি নাম! ক্যামেরা ডিজাইন করেছেন অনুজ নন্দী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের চন্দ্রযানের কথা মনে আছে? ইসরোর বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে শুরু করেছিলেন মিশন চন্দ্রযান ২। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সেই অভিযানে, চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কিছু আগেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রোভারটি। বছর চার আগের ব্যর্থতা দূরে ঠেলে শুক্রবার চাঁদের দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। আর এই সফল অভিযানের অন্যতম অংশীদার বাংলাও। কারণ চন্দ্রযান-৩ ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    ইসলামপুরের অনুজ নন্দী

    স্বাভাবিক ভাবেই এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা অনুজ নন্দীর বাড়িতে  খুশির মহল দেখা যাচ্ছে। এই ঐতিহাসিক অভিযানের সঙ্গে নাম জুড়ে গিয়েছে জেলার ছেলের। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে ইসলামপুর হাইস্কুলে  পড়াশোনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। এরপরই আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে৷ বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। ছেলের কাজে গর্বিত কৃতী বিজ্ঞানীর মা সোমাদেবী আজ উচ্ছ্বসিত৷ তিনি বলেন, “একমাস আগেই ইসলামপুরের বাড়িতে এসেছিল। বেঙ্গালুরু থেকে আজ ফোনে সবটা জানিয়েছে। আমরা এখানে বসেই মোবাইল ফোনে চন্দ্রযান অভিযানের দৃশ্যের সাক্ষী থাকলাম।” 

    শুক্রবার ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)

    শুক্রবার পূর্ব নির্দিষ্ট মাহেন্দ্রক্ষণ, দুপুর ঠিক ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। মাত্র ১৭ মিনিটে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছনোর কথা। তবে চাঁদে পৌঁছতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে ইসরোর তৈরি চন্দ্রযানের। বিজ্ঞানীদের অঙ্ক বলছে, ২৩ বা ২৪ অগাস্ট উপগ্রহের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান-৩। আর চাঁদ অভিযানে ভারতের এই সাফল্যে নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার জগতে বিশাল কীর্তি। এর আগে এমন কৃতিত্বের অধিকারী রাশিয়া, আমেরিকা, চিন। ভারত বসল চতুর্থ স্থানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মালদায় রাস্তার ধারে উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার ব্যালট! বিক্ষোভে বিজেপি

    BJP: মালদায় রাস্তার ধারে উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার ব্যালট! বিক্ষোভে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়ায়। জেলায় জেলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ৮ জুলাই ভোটের দিনও সকাল থেকেই ছাপ্পা, বোমাবাজি, রাজনৈতিক খুনের খবর আসতে থাকে। ১১ জুলাই গণনাতেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে থেকে উদ্ধার হতে থাকে ব্যালট। শুক্রবার সকালে মালদাতেও দেখা যায় একই চিত্র। মানিকচক ব্লকের মথরাপুর হাটখোলা গরু হাটে অসংখ্য ব্যালট পেপার ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যালটগুলিতে দেখা যায়, বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে  ঘটনাস্থলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা গৌর মন্ডল যান। প্রায় ৩০০০ ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় মানিকচক ব্লকে। দেওয়া হয় ডেপুটেশনও। বিডিও ও প্রশাসন শাসকদলকে জেতাতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে একই চিত্র দেখা যায় গঙ্গাসাগরেও। সেখানেও গণনাকেন্দ্রের বাইরে উদ্ধার হয়েছে অজস্র ব্যালট।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    বিজেপির (BJP) অভিযোগ পত্র

    শুক্রবার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে স্থানীয় মানিকচক ব্লকের বিডিওকে ডেপুটেশনও জমা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ পত্রে, তাঁরা উল্লেখ করেন, নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা হয়েছে। শাসক দল ব্যালট বক্স বদল করেছে বলেও সরব হয় বিজেপি। এপ্রসঙ্গে, মানিকচক ব্লকের একটি বুথের উদাহরণও দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা তথ্য দিয়ে বলেন, উত্তর চন্ডীপুর মানিকনগর বুথে মোট ভোটার ১১০৪ অথচ ভোট পড়েছে ১২৯৮।

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এসডিও এবং বিডিও-এর মদতে বদলে ফেলা হয়েছে ব্যালট বক্স। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, এসডিও এবং বিডিওদের গাড়িতেই এসেছে তৃণমূলের বদলে ফেলা ব্যালট বক্সগুলি। নির্বাচনের নামে এই প্রহসনের শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। প্রয়োজনে তাঁরা হাইকোর্টেও যাবেন বলেছেন।

     

    গঙ্গাসাগরের গণনা কেন্দ্রের পিছনে উদ্ধার ব্যালট পেপার

    অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের গণনা কেন্দ্রের পিছন থেকে মিলল অসংখ্য ব্যালট পেপার। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গঙ্গাসাগর চৌরঙ্গী জনকল্যাণ সঙ্ঘ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে সম্পন্ন হয়েছিল ভোট গণনার কাজ। ঠিক স্কুলের পিছনে পড়ে রয়েছে অজস্র ব্যালট পেপার। বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতীকে ছাপ রয়েছে ব্যালটগুলিতে। কীভাবে ব্যালটগুলি এখানে এল তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাস্থলে চলে আসেন সাগর বিধানসভার বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই শুনানি ছিল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর আইনজীবীরা এদিন আদালতে উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু বাধা খারাপ নেটওয়ার্ক। কোনওভাবেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা গেল না। বারবার সংযোগ করতে চেয়েও এদিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় আসানসোল আদালতের। শুক্রবার তাই শুনানি সত্ত্বেও জামিনের কোনও আবেদন করতে পারলেন না, কেষ্টর আইনজীবীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতিতেও কেষ্ট?

    গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এবার আরও এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে কেষ্টর নাম।  সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। সূত্রের খবর এনিয়ে উদ্যোগ নিতেও শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, একধাপ এগিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে ইডি। আগামী ২০ জুলাই বিচারক রঘুবীর সিং-এর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি রয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। ইডি-র আর্জি আদালতে মঞ্জুর হলে তারা তিহাড় জেলে গিয়ে কেষ্টকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে। 

    সুকন্যার নামে পেট্রল পাম্পের হদিশ

    সিবিআই তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল (Anubrata Mondal) নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে রয়েছে। সিবিআই এর আরও অভিযোগ, খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা জমা হয়েছে। সিবিআই এর দাবি,  ওই কোম্পানির মালিক সায়গলের সম্পর্কে শ্যালক। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, অনুব্রতের নামে চারটি পেট্রল পাম্প থাকার কথা এর আগে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, নতুন একটি চালকলের খোঁজও পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে কেষ্টর প্রত্যক্ষ আর্থিক লেনদেন হতো বলে খবর। অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জমি কেনা বেচা নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআই আদালতে বিচারককে জানিয়েছে, কেষ্টর জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থে জমির রেজিস্ট্রি হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস কোনও প্রশ্নই নাকি তোলেনি। এতেই বোঝা যায়, কেষ্ট কতটা প্রবাবশালী, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bjp: জয়ী প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি, থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপি সাংসদ

    Bjp: জয়ী প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি, থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের রাতের অন্ধকারে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। এমনই অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হল শান্তিপুর থানার সামনে। এদিন একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে থানার সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের নিয়ে অবশেষে থানার সামনে বসে পড়েন বিজেপির (Bjp) সাংসদ। দীর্ঘক্ষণ ধরে থানার গেট আটকে চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। যদিও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তার খাতিরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    থানার ওসিকে তীব্র আক্রমণ

    ভোট পরবর্তী হিংসার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা এবং বিজেপির (Bjp) জয়ী প্রার্থীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে থানা ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির এই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে শান্তিপুর থানার ওসিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। স্লোগান ওঠে ‘তৃণমূলের দালাল ওসি দূর হটো’। ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরো’। ‘তৃণমূলের দালাল ওসি সুব্রত মালাকার দূর হটো’।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    তাঁর দাবি, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারপরে রাতের অন্ধকারে বিজেপির (Bjp) জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যার মদত দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাই। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীদের উপর যদি কড়া ব্যবস্থা পুলিশ প্রশাসন না নেয়, তাহলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তম আন্দোলনের পথে নামবে বিজেপি। শান্তিপুর থানার গেটের সামনে বসে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিজেপি (Bjp) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক বিজেপি প্রার্থী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের কেওড়াডাঙা পঞ্চায়েতের ঘটনা। গণনার দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। তারপর আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিলেন। অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভোলানাথ মণ্ডল (৫৩)। রাজ্য জুড়ে ভোটের সন্ত্রাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছে (South 24 Parganas)?

    কেওড়াডাঙা (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের ঘটনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন রাতে তৃণমূলের বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রথম বার। সেই সময় মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। ভোটে মনোনয়নের পর থেকেই ভোলানাথ মণ্ডলকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর গত ১১ জুলাই গণনার দিন বিষ্ণুপুরে ভোটের গণনায় হেরে যান। আর তার পরেই গণনা কেন্দ্র থেকে বেরনোর সময় বিকেলে তাঁকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। এবারও মাথায় আবার আঘাত পান তিনি। এরপর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি শিরাকোলে গিয়ে উঠেছিলেন ভোলানাথ। কিন্তু আজ ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ বেলা বারোটা নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভোলানাথ মণ্ডলের। মৃত্যুর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ডায়মন্ডহারবার (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি দীপক হালদার বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে সারা রাজ্য উত্তাল। কেবল মাত্র বিজেপি করা এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য খুন করা হয় ভোলানাথ মণ্ডলকে। মনোনয়নের পর থেকেই তাঁকে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল। অবশেষে খুন হতে হল তাঁকে। এই মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হত্যার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কালিয়াচকে লিচু বাগানে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত ১, আহত ২

    Malda: কালিয়াচকে লিচু বাগানে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত ১, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়ে মৃত এক এবং আহত দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের খাসচাঁদপুরের একটি লিচু বাগানে। জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম মুকলেসুর রহমান। বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ঘেরা ভগবানপুরের বাসিন্দা এই ব্যক্তি। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। বাকিদের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কয়েকজন নির্জন স্থানে বোমা বাঁধছিল। এমন সময় আচমকাই বোমা বিস্ফোরণে গোটা এলাকা কেঁপে উঠে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে আহতরা। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরেই মারা যায় মুকলেসুর রহমান। এরপর বাকি আহতরা তাকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়।

    পুলিশের ভূমিকা

    বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পুলিশের কাছে গেলে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনও পর্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও উপকরণ। পুলিশ ইতিমধ্যেই সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করেছে। এর পরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে এলাকায়।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কালিয়াচক ব্লক কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়ির কাছে এক লিচু বাগানে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয় এক ব্যক্তি। এই বোমা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্যই বানাচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার কাজই করছে রাজ্যের শাসক দল। তাই বলব প্রশাসন যেন এলাকায় টহলদারি নিয়মিত করে। তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের এই ঘটনার পেছনে যারা আছে সেই দুষ্কৃতীদেরকে অবিলম্বে পুলিশ যেন গ্রেফতার করে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন‌ও সম্পর্ক নেই, কংগ্রেসের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা চাই পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ছাপ মারা ব্যালট!

    Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ছাপ মারা ব্যালট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার ব্যালট উদ্ধার কুমারগঞ্জে। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর ব্লকের কুমারগঞ্জের ধাদলপাড়ায় বেশ কিছু ব্যালট (Panchayat Election 2023) দেখতে পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন কুমারগঞ্জের বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রে (ডাম্পিং গ্রাউন্ড) এই ব্যালটগুলি দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ ব্যালটগুলি উদ্ধার করে।

    বিজেপির ছাপ মারা ব্যালটই (Panchayat Election 2023) বেশি

    উল্লেখ্য, কুমারগঞ্জ ব্লকের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা হয়েছিল কুমারগঞ্জ হাই স্কুলে। গতকাল সেই গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর ধারে প্রায় ৪০টি ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বরা। গতকালের ব্যালট উদ্ধারকে নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকি বিক্ষোভে চলে পুলিশের লাঠিচার্জ। আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। সেই বিক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ব্যালট (Panchayat Election 2023) উদ্ধার। যার ফলে ফের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কুমারগঞ্জে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যালটগুলিতে ছাপ মারা রয়েছে। যার বেশিরভাগ বিজেপির দলীয় চিহ্নে, কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি ও সিপিএমের দলীয় চিহ্নে বেশি ছাপ রয়েছে। গণনার পরপরই একের পর এক ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় গোটা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    একে স্থানীয় বাসিন্দা জানান,আমরা গতকাল দেখেছিলাম কুমারগঞ্জের আত্রেয়ী নদীর ধারে ব্যালট (Panchayat Election 2023) উদ্ধার হওয়া । আজ আবার কুমারগঞ্জে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে প্রায় ৫০ টি ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপির দলীয় চিহ্নে, কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ ব্যালটগুলি উদ্ধার করে।

    কী বলছেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, ভোটের (Panchayat Election 2023) নামে প্রহসন হয়েছে। গতকাল নদীর ধার থেকে ব্যালট উদ্ধারের পর এদিন আবার ডাম্পিং গাউন্ড থেকে ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। এভাবেই বিজেপি প্রার্থীদের হারানো হয়েছে। ব্যালট বাইরে থাকার কথা নয়, এর জবাব প্রশাসকে দিতে হবে। এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, ব্যালটের নমুনা প্রিন্ট করে, এটা বিজেপি চক্রান্ত করে করছে। কেউ চুরি করলে কি রাস্তায় ফেলে দেবে? বিজেপি একটা নাটক তৈরি করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষ, গণনাও শেষ। বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাস চালিয়ে তৃণমূল রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছে। কিন্তু শাসক দলের রক্তচক্ষু শান্ত হয়নি। বিরোধীদের উপর একের পর এক হামলা হয়েই চলেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িছাড়া করার ঘটনাও (Panchayat Violence) ঘটেছে হাওড়া জেলার আমতায়। শুক্রবার ফের একাধিক জায়গায় হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।

    ফের ভোট পরবর্তী হিংসা (Panchayat Violence) হুগলির গোঘাটে

    বিজেপি ও তৃণমুল সংঘর্ষে উত্তেজনা গোঘাটের সন্তা এলাকায়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় গোঘাটের সন্তা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে হঠাৎ করে তৃণমুলের দলবল লাঠি, বাঁশ নিয়ে গ্রামে ঢুকে অতর্কিত হামলা (Panchayat Violence) চালায়। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে দু’জনকে রাতেই গোঘাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় গোঘাট থানার পুলিশ। আটক করা হয় ৮ জনকে। রাতের পর শুক্রবার সকালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল ও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গোঘাটের বিজেপি বিধায়কের উস্কানিতে তৃণমূলের উপর চড়াও হয় বিজেপির লোকজন।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত (Panchayat Violence) গলসি

    এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ আচমকা শাসক দলের লোকেরা সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের উপরে চড়াও (Panchayat Violence) হয় বলে অভিযোগ। এরপরই এক মহিলা সহ চার সিপিএম সমর্থকের উপর হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি ঘটনায় তৃণমূলের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাহাঙ্গীর সেখকে ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের করকডাল গ্রামে।  ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে চারজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বর্ধমানে স্থানান্তর করা হয়।

    খেজুরিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বাড়ি ভাঙচুর (Panchayat Violence) 

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে (Panchayat Violence) উত্তপ্ত খেজুরি। আহত দুপক্ষের বেশ কয়েক জন। খেজুরি দুই ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেখালি গ্রামের ১৬১ নম্বর মহামায়া বুথের ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল জয় লাভ করায় তাদের কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল কংগ্রেস জেতার ফলে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশি টহলও চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share