Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: নবগ্রামে দুধ ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    Murshidabad: নবগ্রামে দুধ ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খুন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এবার খুনের ঘটনা ঘটল নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গৌর ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই জেলায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিনই সাগরদিঘি এলাকায় এক কংগ্রেস এজেন্টকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজেশ সেখ নামে কংগ্রেসের সেই এজেন্ট এতদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবারই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের জেলায় খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সূত্র পাওয়া যায়নি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকার দুধ ব্যবসায়ী গৌর ঘোষ প্রতিদিনের মতো দুধ দিতে জারুলিয়া গ্রামে যান। বুধবার রাতে তিনি সেই গ্রামে গিয়েছিলেন। রাতে জারুলিয়া থেকে ফেরার পথে মাঝিগ্রাম গ্রামে ঢোকার রাস্তায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। কে বা কারা তাঁকে খুন করেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। এমনকী কারও সঙ্গে বিবাদও ছিল না তাঁর। তা সত্ত্বেও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য নবগ্রামের মাঝিগ্রাম এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে নবগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃতের দাদার বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। আমার ভাই কেমন তা এলাকার মানুষ জানেন। কারও সঙ্গে কোনও বিবাদ ছিল না। তারপরও এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, যে বা যারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ছিটকে পড়ে শিশুর হাত আটকে গেল চলমান সিঁড়িতে, ভয়াবহ ঘটনা শপিং মলে!

    Howrah: ছিটকে পড়ে শিশুর হাত আটকে গেল চলমান সিঁড়িতে, ভয়াবহ ঘটনা শপিং মলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল হাওড়ার (Howrah) একটি শপিং মল। বুধবার বাবা-মায়ের সঙ্গে হাওড়ার একটি শপিং মলে এসেছিল পাঁচ বছরের এক শিশু। শপিং মল থেকে চলমান সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় ছিটকে পড়ে যায় শিশুটি। এমন অবস্থায় তার হাত আটকে যায় সিঁড়িতে। যদিও শপিং মলের অন্য ক্রেতারা জানিয়েছেন, ওই শিশুটির হাতে ছিল একটি বেলুন। শিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে এসকালেটর বা চলমান সিঁড়ি দিয়ে একতলায় নামছিল। সেই সময় শিশুর হাত থেকে উড়ে যায় বেলুনটি। সেটি আটকে যায় এসকালেটরের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিও সেই বেলুনটি নেওয়ার জন্য দৌড় দিতে থাকে। এরপর এসকালেটরে হাত ঢোকাতেই তার হাতটিও আটকে যায়।

    ইঞ্জিনিয়াররা এসে বন্ধ করেন চলমান সিঁড়ির (Howrah) বিদ্যুৎ সংযোগ

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনা ঘটে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন শপিং মলের নিরাপত্তা কর্মীরা। এরপর ইঞ্জিনিয়াররা চলমান সিঁড়ির  বিদ্যুৎ সংযোগ  বিচ্ছিন্ন করে সেটিকে বন্ধ করে দেন। কিন্তু তারপর নানাভাবে তার হাতটিকে টেনে বার করার চেষ্টা করলেও তা করা যায়নি। প্রায় দু’ঘণ্টা ওইভাবে আটকে থাকার পর চলমান সিঁড়ি খুলে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী যায় শপিং মলে (Howrah) । সমস্ত ক্রেতাদের মল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

    শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে

    ঘটনায় পরিবারের লোকেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং শপিং মলে (Howrah) বহু মানুষ দাঁড়িয়ে যান। চলমান সিঁড়ি খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, তার হাতে চোট লেগেছে। পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সকে এসকর্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার জেরে যাঁরা শপিং করতে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শপিং করতে আসা এক ভদ্রমহিলা বলেন, ‘‘যেভাবে শিশুটির হাত আটকে যায়, সকলেই খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু দ্রুত পুলিশ এসে প্রথমে শপিং মল খালি করে দেয়। তারপর চলমান সিঁড়ি বন্ধ করে ছেলেটিকে উদ্ধার করে। ভগবানের কৃপায় বড় কোনও চোট লাগেনি। শুধুমাত্র দীর্ঘক্ষণ শিশুটিকে আটকে থাকতে হয়। সে নিজের হাত বার করতে না পেরে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। পরে পুলিশ কর্মী ও অন্যান্যরা তাকে বুঝিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। অবশেষে হাত বেরিয়ে এলে শিশুটি আনন্দে তার পরিবারের লোকেদের জড়িয়ে ধরে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘তৃণমূলের এত সন্ত্রাসের পরও রাজ্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে’’, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘তৃণমূলের এত সন্ত্রাসের পরও রাজ্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বেড়েছে’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পঞ্চায়েতের তুলনায় অনেক বেশি আসন বেড়েছে বিজেপির। শতাংশের বিচারে ভোটের হারও অনেক বেড়েছে। বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল এত সন্ত্রাস করেও কিছু করতে পারেনি। বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক বিপুল বেড়েছে। এই ফল আগামী নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করছে বিজেপির নেতৃত্ব।

    রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা শুরু হয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য এসেছে যে এখনও গণনা চলছে। ভোট লুটে কিভাবে এই বাংলা এগিয়ে আছে, তা গোটা বাংলার মানুষ দেখল। বিডিওদের আমরা তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্টের মতো কাজ করতে দেখলাম। প্রশাসন ভোট লুট করার পরেও বিজেপি এখনও পর্যন্ত ৯৫১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে। গণনা চলছে এখনও। ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপির জেতা আসন ছিল ৫৭৭৯। এবার সেই আসন সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালে বিজেপি ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ২০০৮ সালে তৃণমূল পঞ্চায়েতে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এত কিছু করার পরও বিজেপি যখন এত পরিমাণে ভোট পেয়েছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, বাংলার মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে।

    বিজেপির পাঁচজন অনুসন্ধানকারী দল প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে আরও চার জন পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও সাধারণ মানুষের উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, তা সব খতিয়ে দেখবেন। তার সার্বিক রিপোর্ট সর্বভারতীয় সভাপতির হাতে জমা দেবেন।

    ভাঙড়ে পুলিশ-আইএসএফ সংঘর্ষ নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    ভাঙড় নিয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য সরকারই পুলিশকে দিয়ে সাধারণ নাগরিকের জীবন নিয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে বাংলার সাধারণ মানুষের এক পয়সা দাম নেই। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ও বাংলার মানুষের গর্জে ওঠা উচিত। গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে এবার গোটা রাজ্যে প্রায় ৫০ জনের জীবন চলে গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে ধমক, রাজি না হলে বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন!

    Paschim Medinipur: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে ধমক, রাজি না হলে বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার জন্য বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ধমক দিচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। শুধু তাই নয়, বোর্ড গঠনের জন্য বাড়ি-গাড়ি দেওয়ারও প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনলেন বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরের দিন,পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার খড়্গপুর ১ নম্বর ব্লকের গোপালী বাজারে পৌঁছে যান খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ জন পঞ্চায়েত প্রার্থী ও একজন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হওয়ায় স্থানীয় লোকেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। ঠিক তার পরেই বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূল প্রলোভন দিচ্ছে বলে বিস্ফোরক হন বিজেপির এই বিধায়ক।

    কত আসন?

    গোপালী গ্রাম পঞ্চায়েতে (Paschim Medinipur) মোট আসন সংখ্যা ২৪ টি। তৃণমূল কংগ্রেসর ১১ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বিজেপির জয়ী হয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। আর রয়েছেন সিপিএমের ১ জন এবং নির্দলের ১ জন প্রার্থী।

    কেন প্রলোভন?

    নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর গ্রাম পঞ্চায়েত (Paschim Medinipur) এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। যে দল বোর্ড গঠন করুক না কেন, অন্য দল থেকে নিজেদের দলে ২ জন পঞ্চায়েত প্রার্থীকে যোগ দেওয়ার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারবে। এছাড়াও গোপালীতে বিজেপির ১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ কী?

    খড়গপুর (Paschim Medinipur) সদরের বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানকার কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলাম। ফল প্রকাশ হওয়ার পর এখানে এসে আমরা সবাই শপথ নিলাম। চোরেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা জয়ী হয়েছি। তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী গতকাল রাত থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে, প্রলোভন দেখাচ্ছে গাড়ি-বাড়ি-টাকা দেবে বলে। কিন্তু চোরেদের দলে আমরা যাব না। ওরাও ১১ টায় জয়ী হয়েছে, আমরাও ১১ টায় জয়ী হয়েছি। বোর্ড গঠনের জন্য আমাদের দল ভাঙতে ওরা এই পথ নিয়েছে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। হিরণ আরও অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে! এটাই তো নির্বাচন কমিশনারের চরিত্র। প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের সঙ্গে উনি মদ্যপান করতে বসে যান। এই নির্বাচন কমিশনার কী করবে! পা চাটবে। এই কমিশনার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটে কাজে লাগায়নি‌।

    উল্টো দিকে এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অজিত মাইতি বলেন, বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পালে হাওয়া নেই, তাই এমন অভিযোগ তুলছেন বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ৩ জনের!

    Panchayat Poll: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ৩ জনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জেরে আজ ফের ৩ জনের মৃত্যু হল। ফলে ভোটে (Panchayat Poll) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮। আজ যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মালদার দুজন রয়েছেন। একজন রতুয়ায়, অন্যজন চাঁচলে। এছাড়া সাগরদিঘিতে রয়েছেন একজন কংগ্রেস কর্মী। রক্তস্নাত এই নির্বাচনের মৃত্যু মিছিল যেন থামছে না। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠল সামশেরগঞ্জে।

    রতুয়া ও চাঁচলে কারা খুন (Panchayat Poll) হলেন?

    ফের রাজনৈতিক (Panchayat Poll) প্রতিহিংসার বলি মালদায়। কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার রতুয়া থানার ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর এলাকায়। মৃত কংগ্রেস কর্মীর নাম ফটিকুল হক, বয়স ২৪ বছর। অভিযোগের তীর ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী রোজিনা বিবি, তাঁর স্বামী তোফাজুল হক সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী রোজিনা বিবি। আর জয়ের পরেই এলাকায় বেরিয়েছিল বিজয় মিছিল। সেই মিছিলেই ফটিকুল হকের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাচ্ছিল রোজিনা বিবির স্বামী ও তাঁর দলের কর্মীরা। আর তারই প্রতিবাদ করেছিলেন ফটিকুল হক। সেই সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পাশাপাশি তাঁর মাথায় বাঁশের আঘাত করা হয়। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ফটিকুল ও তাঁর মামা হবিবুরকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার সকালে মৃত্যু হয় ফটিকুল হকের। অন্যদিকে, চাঁচল-২ ব্লকের পরাণপুর গ্রামে তৃণমূলের বিজয় মিছিল ছিল। মিছিলে মুফিজউদ্দিন নামে এক তৃণমূল কর্মী ছিলেন। গ্রামেই জালালউদ্দিনের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ থামাতে যান মুফিজউদ্দিন। সেখানেই তাঁকে ইটের আঘাত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।

    সাগরদিঘিতে কে মারা (Panchayat Poll) গেলেন?

    মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে মৃত (Panchayat Poll) কংগ্রেস কর্মীর নাম রাজেশ শেখ। তিনি ১২০ নং বুথের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন। মৃতের পরিবার ও কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনের দিন সাগরদিঘির কিসমতগাদি এলাকার ১২০ নং বুথে জোর করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেসের এজেন্টকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল। এছাড়াও কংগ্রেসের ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছিল না। এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এমনকী বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল না। পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে মৃতের পরিবার। রাজেশকে রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার দিন আহত হলেও আজ দুপুরের পরে তিনি মারা যান বলে জানা যায়। 

    কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে বোমাবাজি

    জয়ী হয়ে বিজয় উল্লাসে বাজি ফাটাকে কেন্দ্র করে ফের বোমাবাজি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। বুধবার তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি (Panchayat Poll) করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বোমাবাজির ঘটনায় হাতে বোমা লেগে জখম এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া পঞ্চায়েতের পূর্ব দেবীদাসপুর এলাকায়। আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম অসিকুল আলম (২৫)। বর্তমানে তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে  তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ করে বোমা চালানোর অভিযোগ উঠলেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বোমাবাজির পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটে হারতেই শান্তিপুরে জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ভোটে হারতেই শান্তিপুরে জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জেতার কারণে বিজেপি প্রার্থীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একাধিক বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গবাচ্চর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনা চলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা না ছাড়ায় সেই কারণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন থেকেই এলাকায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটের দিনও ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোটের ফলাফলে গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই এলাকায় গৌরাঙ্গ বিশ্বাস জিতে যান। অন্যদিকে ওই এলাকারই বিজেপির প়ঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী কামনা বিশ্বাস জয় লাভ করেন। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার সকালে হঠাৎ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। সেখানেই  বিজেপি প্রার্থী এবং বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। এরপরেই আচমকা গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মাথায় বাঁশ দিয়ে বাড়ি মারে তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি ওই এলাকার বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর স্বামী সমীর বিশ্বাসকেও মারধর করা হয়। বিজেপির অন্যান্য কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন বিজেপি প্রার্থী সহ আরও বেশ কয়েকজন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মেয়ে পিপাসা বিশ্বাস বলেন, ভোটের পর থেকে তৃণমূল এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। ভোটের দিনও ছাপ্পা ভোট মেরেছে এবং বোমাবাজি করেছে এলাকায়। এদিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী পুতুল বিশ্বাস হেরে যাওয়ার কারণে আচমকা আমার বাবার উপর ওরা হামলা চালায়। মাথায় আঘাত করে। এর পাশাপাশি অন্য দলীয় নেতা কর্মীদের ওরা মারধর করে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী পুতুল বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের পরিবার তাদের উপর হামলা করেছে। তৃণমূল কোনও হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: জয়ী বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছে বিডিও, অভিযোগে সরব দেবশ্রী

    Uttar Dinajpur: জয়ী বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছে বিডিও, অভিযোগে সরব দেবশ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) গণনা কেন্দ্রে কারচুপি করে বিজেপির জেতা প্রার্থীদের হারিয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে গণনা কেন্দ্রে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের গণনা কেন্দ্রে বিডিও-র অস্থায়ী কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি নেতৃত্ব। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরি এবং জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার।

    গণনা কেন্দ্রে কী হয়েছে (Uttar Dinajpur)?

    বুধবার রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার, বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও-র অস্থায়ী কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ছুড়ে ফেলা হয় টেবিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিক্ষোভের ঘটনায় রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল আহত হন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। আপাতত তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, জেলার প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে সারা রাত ধরে তৃণমূল কারচুপি করেছে এবং তাতে মদত দিয়েছে প্রশাসনিক কর্তারা। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গণনা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বিজেপির জেতা প্রার্থীদের কমিশন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা করে বসিয়ে রেখেছে। সার্টিফিকেট দেয়নি! বিডিও নিজের মতো ইচ্ছে করে পুনরায় গণনা করে তৃণমূলের প্রার্থীদের জয়ী করেছে। বিজেপিকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে বলে দাবি করেন রায়গঞ্জের সাংসদ। এতে মদত দিয়েছে জেলার প্রশাসনিক কর্তারাই বলে অভিযোগ দেবশ্রী দেবীর। পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রে এই কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই বিজেপি নেত্রী।

    বিডিও-র বক্তব্য

    অপরদিকে, রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, গণনা প্রক্রিয়ার কাজ চলাকালীন কিছু বোঝার আগেই তাঁর ওপরে চড়াও হয়। চেয়ার টেবিল ছুড়ে মারা হয় বলে জানান তিনি। এই নিয়ে গণনা কেন্দ্রে তীব্র উত্তেজনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: জয়ী প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট, মালদায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

    BJP: জয়ী প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট, মালদায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্য সড়ক অবরোধ ও ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করল বিজেপি (BJP)। আর সেই বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হলেন উত্তর মালদার এমপি খগেন মুর্মু, বিধায়ক সহ বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের দালাল চোর বিডিও স্লোগান তুলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জেলা পরিষদের ৩ নং আসনে দিপালী বলা এবং ৪ নং আসনে সোনালী টুডু এবং ৫ নং আসনে তারাশঙ্কর রায় নামে বিজেপি প্রার্থীরা তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন। অথচ তাঁদের কাউকে জয়ীর সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হবিবপুর ব্লকের মালদা নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। অবরোধের জেরে রাজ্য সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে এবং পথ অবরোধ উঠিয়ে দেয়। এবং পরে বুলবুলচণ্ডি জিএসভি হাইস্কুলে ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরে মালদা জেলা পরিষদের ৩ নং আসনের দিপালী বলা এবং ৫ নং আসনের তারাশঙ্কর রায়কে জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। তবে, মালদা ৪ নং আসনের সোনালী টুডুকে জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট না দেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে বিজেপির পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ?

    উত্তর মালদার বিজেপি (BJP) সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, মালদা জেলা পরিষদের একাধিক আসনে দলীয় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। অথচ তাঁদের জয়ী হওয়ার সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। এটা কাম্য নয়। কারণ, আমরা সার্টিফিকেট না পেয়ে জয়ী হচ্ছে বলতে পারছি না। তৃণমূলের কথা শুনে প্রশাসন যা খুশি তাই করছে। এসব মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    Hooghly: পঞ্চায়েতের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা আরামবাগে, অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই তৃণমূলের সন্ত্রাস আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুরের পূর্বপাড়া এলাকায়। মারধর, গাড়ি ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরো ঘটনায় এলাকায় (Hooghly) দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আরামবাগ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনার জেরে এখনও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। এলাকার লোকজন বলছেন, সিপিএমের আমলে যে ঘটনা ঘটত, তৃণমূলের জমানায় তার কোনও পরিবর্তন হল না!

    আরামবাগের (Hooghly) ফলাফল কেমন?

    আরামবাগের (Hooghly) মলয়পুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে বিজেপির দখলে ৮টি আসন এবং বাকি ৯টি দখল করেছে তৃণমূল। তবে মলয়পুরের পূর্বপাড়া বুথে এবারে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর অনেক বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করেছে তৃণমূল। শাসক দলের সন্ত্রাসে ভীত এলাকাবাসী।

    বিজেপির বক্তব্য

    আরামবাগের (Hooghly) বিজেপির বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলেন, তৃণমূলের লোকজন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকায় অশান্তি করতে এসেছিল। আর তাই গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে! ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে হিংসার কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির বিধায়ক বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে আমাদের অনেক বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হয়ে আছেন। শাসক দল যেখানে যেখানে জয়ী হয়েছে, সেখানে সেখানে তীব্র সন্ত্রাস চলছে। 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপিই হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, বন্দুক ছিল। এমনকী জেলার সহ সভাপতির গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের পিছনে ছুটে ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা। কোনও রকমে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় সকলে। তৃণমূল প্রার্থী (Hooghly) শ্যামসুন্দর কোয়ালের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থীর বাবা নিমাই কোয়ালকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে পঞ্চায়েতে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনও তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। আর তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়ী হন। অথচ এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বরাবরই তৃণমূলের দাপট ছিল।

    ভোটে হেরে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়। মঙ্গলবার রাতে গণনার পর বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। জানা গিয়েছে, ৬ ভোটে জয়ের খবর পেয়ে আনন্দে মেতেছিলেন পম্পাদেবী। কিছুক্ষণ পর খবর পান, তিনি ৩৬ ভোট পরাজিত হয়েছেন। এরপর ফের তিনি রামপুরহাট কলেজের গণনা কেন্দ্রে পৌঁছন। এনিয়ে গণনা কেন্দ্রে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির কাছে ৩৬ ভোট পরাজিত হন মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধায়। ওই আসনে বিজেপির সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পম্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি জিতেছিলাম। তারপর শুনছি, আমি হেরে গিয়েছি। আমি ফের গণনার দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনা নন্দীগ্রামের মতো হয়ে গেল।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থী?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পরাজিত হলেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ভোটের সম্পূর্ণ ফল না জেনেই তৃণমূল জিতে গিয়েছে বলে নাচতে নাচতে ওরা বাড়ি চলে যায়। কিন্তু, বাস্তবে গণনার পর দেখা যায়, আমরা ৩৬ ভোটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছি। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ওদের দেখেছে। মানুষ আর ওদের মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূলকে হারানোর জন্য মানুষ তৈরি ছিল। মানুষের ভালোবাসায় আমি জয়লাভ করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share