Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Uttar Dinajpur: মেয়ে নির্দল প্রার্থী! গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেলেন তৃণমূল বিধায়ক

    Uttar Dinajpur: মেয়ে নির্দল প্রার্থী! গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) নিজের মেয়ে নির্দল প্রার্থী। তার হয়ে গণনা কেন্দ্রে ঢোকার সময় পুলিশি বাধার মুখে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। পুলিশি লাঠিচার্জের অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত চোপড়ার এই তৃণমূল বিধায়ক। অবৈধ জমায়েত ও জোর পূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টার কারণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার ইসলামপুর হাই স্কুল প্রাঙ্গণে।

    কেন ঢুকতে চেয়েছিলেন বিধায়ক (Uttar Dinajpur)?

    উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে ইসলামপুরের বিদ্রোহী বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আর্জুনা বেগম। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইসলামপুর হাই স্কুলে গণনা কেন্দ্রে জমায়েত করেছিলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীরা। জানা গেছে, গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় বিপুল পরিমাণ লোকজন থাকায় পুলিশ প্রবেশে বাধা দেন। সেই সময় পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

    পুলিশের বক্তব্য

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জোরপূর্বক গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয় এবং পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের মারে আহত হন খোদ বিধায়ক সহ তাঁর বেশ কয়েকজন অনুগামীরা। তাঁদের তড়িঘড়ি ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিধায়ক সহ ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও বিধায়ক হামিদুল রহমানের (Uttar Dinajpur) অভিযোগ, “ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিনা প্ররোচনায় তার অনুগামীদের ওপরে চড়াও হয় পুলিশ এবং লাঠিচার্জ করে।” তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করছে রাজনৈতিক মহল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    গণনার দিন মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটলে পরের দিন বুধবার সকালে বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ তাঁর অনুগামীদের ওপরে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একাংশ। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে চোপড়ার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বিধায়ক সহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চোপড়া থানার পুলিশ। পুলিশি আশ্বাসে প্রায় দুই ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Howrah Mangla Haat: মেট্রোর জন্য মঙ্গলা হাটের দিন পরিবর্তনের প্রস্তাব, শুরু জোর বিতর্ক

    Howrah Mangla Haat: মেট্রোর জন্য মঙ্গলা হাটের দিন পরিবর্তনের প্রস্তাব, শুরু জোর বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার বৃহত্তম বস্ত্র বাজার হাওড়ার মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat)। শুধুমাত্র মঙ্গলবার এই হাট বসার কথা হলেও বাস্তবে সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে বসে এই হাট। এখান থেকে জামাকাপড় সহ অন্যান্য বস্ত্র বিভিন্ন রাজ্যে সরবরাহ করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ভিন রাজ্য থেকে প্রচুর ব্যবসায়ী কাপড় কেনার জন্য একদিন আগেই হাওড়ায় পৌঁছে যান। অনেক ব্যবসায়ী মঙ্গলবারের ভিড় এড়াতে সোমবারই কেনাকাটা সেরে নেন। তারপর বড় বড় লরিতে বোঝাই করে বা ট্রেনে করে সেই বস্ত্র চলে যায় ভিন রাজ্যের বস্ত্র বিপণী কেন্দ্রগুলিতে। ফলে মঙ্গলবার ছাড়াও সোমবার এবং বুধবারেও হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে হাওড়া ময়দান চত্বরে।

    ফুটপাত দখল হয়ে থাকায় যানজটের আশঙ্কা

    কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে যোগাযোগে গতি আনতে কয়েক মাসের মধ্যেই হাওড়া ময়দান থেকে চালু হতে চলেছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। আর মঙ্গলা হাটের ভিড় ঠেলে এই মেট্রো যাত্রীরা কীভাবে যাতায়াত করবেন, এখন সেটাই হয়ে গেছে প্রধান চিন্তার বিষয়। কারণ, মঙ্গলা হাটের (Howrah Mangla Haat) ১১ টি প্রধান ভবন ছাড়াও হাওড়া ময়দান চত্বরের সমস্ত রাস্তা, আদালত চত্বর, এমনকী বঙ্কিম সেতুর কিছুটা অংশেও ডালা পেতে ও প্লাস্টিক টাঙিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাপড় বিক্রি করতে বসে যান। ভোর থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত হাট চলে। হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু হলে কলকাতাগামী যাত্রীদের প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠবে হাওড়া ময়দান। সেখান থেকে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রোয় যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু এত ফুটপাতের দোকানদার যেভাবে রাস্তা দখল করে বসে থাকেন, তাতে একদিকে যেমন যানজট তৈরি হয়, অন্যদিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই যদি ফুটপাতের এই দোকান থাকে, তাহলে মেট্রো যাত্রীদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হবে। এই সমস্যা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীদের মঙ্গলবারের বদলে শনি ও রবিবার হাট বসানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

    ব্যবসায়ীরা (Howrah Mangla Haat) কী বলছেন?

    কিন্তু ব্যবসায়ীদের সিংহভাগই তাতে রাজি নয়। কারণ তাঁদের মতে, মঙ্গলবার যদি হাট না বসে, তাহলে মঙ্গলা হাট নামটারই কোনও সার্থকতা রইল না। অন্যদিকে স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যদি ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরানো যায় অথবা তাঁদের বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এই সমস্যা মিটতে পারে। মঙ্গলা হাটকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে তুলে নিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েক বার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাও কার্যকর হয়নি। কারণ ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা হাওড়া স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে কিংবা দূরপাল্লার গাড়িতে হাওড়া স্টেশনে এসে খুব সহজেই মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat) থেকে বস্ত্র কিনে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবসায়ীরাও যেমন চাইছেন না মঙ্গলাহাট অন্য দিন নিয়ে যাওয়া হোক, একইভাবে ক্রেতারাও মঙ্গলা হাটকে মঙ্গলবার রাখারই কথা জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মতে, পুলিশ যদি ঠিকঠাক যান নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে মেট্রোর আশপাশের রাস্তায় মেট্রো যাত্রীদের যাতায়াতে অসুবিধা অনেকটাই আটকানো যাবে। রতন সমাদ্দার নামে এক ব্যবসায়ী জানান, হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর ওপর আগে দু’ধারে মঙ্গলা হাট বসত। কিন্তু সেতুর ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পুলিশের উদ্যোগে বঙ্কিম সেতুর ওপর থেকে মঙ্গল হাট তুলে দেওয়া হয়। যদি পুলিশের উদ্যোগে তা সম্ভব হয়, তাহলে বঙ্গবাসী সিনেমার উল্টোদিকে হাওড়া ময়দান সংলগ্ন যেখানে মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে, সেখানে মঙ্গলা হাট বসানো অনেকটাই আটকানো যাবে। একই ভাবে হাওড়া স্টেশন থেকে বা হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাওড়া ময়দান যাতায়াতের প্রধান প্রধান রাস্তাগুলিকে ফাঁকা করে ফুটপাতের দোকানদারদের গঙ্গার ধারের রাস্তায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও মেট্রো যাত্রীদের অসুবিধা দূর করা সম্ভব। এদিকে ব্যবসায়ীদের একাংশের মত, সোম এবং মঙ্গলবারের বদলে যদি মঙ্গলা হাটকে রবি ও সোমবার করা যায়, তাতেও তাঁরা কিছুটা রাজি। কিন্তু শনি ও রবিবার দুটোই ছুটির দিন হলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।

    কী বলছেন বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী?

    হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, মঙ্গলবার এই হাট বসে বলেই মঙ্গলা হাট (Howrah Mangla Haat) নামকরণ হয়েছে। ফলে এই হাট যদি শনি বা রবিবার নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে মঙ্গলা হাটের কোনও তাৎপর্য রইল না। তিনি বলেন, শুধুমাত্র মঙ্গলবার হাট বসার কথা থাকলেও বাস্তবে সোমবার সকাল থেকেই হাট শুরু হয়ে যায়। সোমবার যাতে হাট না বসে, সে ব্যাপারে তিনি প্রায় কুড়ি বছর আগে মামলা করেছিলেন এবং আদালত রায়ও দিয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি। তাই তাঁর মতে, যদি শুধুমাত্র মঙ্গলবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাট বসে, তাহলে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অন্যদিকে হাওড়ার মঙ্গলা হাট ছাড়াও সরিষা হাট, খিদিরপুরের ফ্যান্সি হাট সহ আরও কয়েকটি হাট সপ্তাহে অন্যান্য দিন বসে। ফলে অন্য দিন যদি মঙ্গলা হাটকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেই সব হাটের সঙ্গে একটা সংঘাত হতে পারে। তাতে ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হবে। তাই মঙ্গলা হাটকে শুধুমাত্র মঙ্গলবার বসিয়ে যদি হাওড়া শহরের যান নিয়ন্ত্রণ ঠিকমতো করা যায়, তাহলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে তিনি মনে করেন।

    কী জানালেন পুরসভার প্রশাসন মণ্ডলীর চেয়ারম্যান?

    অন্যদিকে হাওড়া পুরসভার প্রশাসন মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, মেট্রো চালু হলে কীভাবে হাওড়ায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, এ ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। একইভাবে মঙ্গলা হাটকে শনি ও রবিবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব তিনি দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সেভাবে মতামত আসেনি। মতামত পেলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ইতিমধ্যেই হাট (Howrah Mangla Haat) মালিকদের সঙ্গে এক দফা বৈঠক হয়েছে। শনি ও রবিবার হাট সরিয়ে আনার ব্যাপারে মালিকদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এখনও বৈঠক হয়নি। এই সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে বৈঠক হবে। তারপর কী সিদ্ধান্ত হল, তা নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গণনার দিনেও উত্তপ্ত রায়দিঘি, প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর

    South 24 Parganas: গণনার দিনেও উত্তপ্ত রায়দিঘি, প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষেও জারি মৃত্যু মিছিল। ভোট পরবর্তী হিংসায় দুষ্কৃতীদের আক্রমণে এবার প্রাণ গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আরও এক তৃণমূল কর্মীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে রক্ত ঝরেছে সারা পশ্চিমবঙ্গে। এই নির্বাচনে অবশ্য সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে শাসক দলেরই। এই আবহে ফের আরও এক শাসক দলের কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল।

    কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (South 24 Parganas)?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভার কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপাশা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম বিপ্লব হালদার। জানা গিয়েছে, বিপ্লবের বুথে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, দুই দলের সংঘর্ষের আবহে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিপ্লবকে কুপিয়ে খুন করে। যদিও খুনের ঘটনা অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষেই খুন হন এই তৃণমূল কর্মী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বিপ্লবের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে খুন হয়েছিল বাসন্তীতেও

    এর আগে ভোটগ্রহণ চলাকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক ভোটার। মৃত ব্যক্তির নাম আনিসুর রহমান। দাবি করা হয়, তিনি তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয়। বোমার আঘাতে প্রাণ হারান তিনি। উল্লেখ্য, যুব ও তৃণমূলের মূল সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এর আগেও বাসন্তীর মাটি রক্তে লাল হয়েছিল। সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজে। ভোটের দিনও রক্তাক্ত হয় বাসন্তী! যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ঘাসফুল শিবির। এবার ভোটপর্বের সময়ই বাংলার মোট ৪২ জনের প্রাণ গিয়েছে। ভোটের দিন মারা গিয়েছিলেন ১৬। ভোটের দিনের হিংসায় জখম আরও দুই ব্যক্তি মারা যান পরে। আর এবার ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক তৃণমূল কর্মী। অপর দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমাতেও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলল।

    পাথরপ্রতিমায় বাড়িতে ঢুকে হামলা

    ভোট শেষেও হিংসা অব্যাহত জেলার বিভিন্ন জায়গায়। পাথরপ্রতিমায় (South 24 Parganas) তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পাথরপ্রতিমার পূর্বশ্রীধর নগর বালিখালপাড়া এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল জানায়, মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অর্ধেন্দু ভূঁইয়া সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় বিজেপির দুষ্কৃতীরা। তারা বাঁশ, রড থেকে শুরু করে একাধিক অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। আর তার ফলেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অর্ধেন্দু ভূঁইয়া সহ ৮ থেকে ৯ জন কর্মী গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় পাথরপ্রতিমা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির অভিযোগ, যুব তৃণমূল এবং মাদার তৃণমূলের সংঘর্ষের কারণেই এই হিংসার ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় পাথরপ্রতিমা থানা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি প্রদ্যুৎ কুমার বৈদ্য বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলেই রায়দিঘিতে মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি বুথে জিতলেও আমরা কোনও হিংসার আশ্রয়কে বিশ্বাস করি না। তিনি আরও বলেন, পাথরপ্রতিমাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের জের, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বাজিমাত বিজেপির

    BJP: এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের জের, তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে ১২ জনের মৃত্যু হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার খাদিকুল গ্রামে। বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এলাকার মানুষের জনরোষ এবার গিয়ে পড়ল ভোটের বাক্সে। খাদিকুল গ্রামে এবার জয়লাভ করল বিজেপি (BJP)। শুধু তাই নয়, সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। খাদিকুলে ৮২ ভোটে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী পুষ্পলতা সাউ। আর তিনি হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শান্তিলতা দাসকে। তিনি এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেত্রী হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি তিনি সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’বারের প্রাক্তন প্রধান। শান্তিলতা দাসকে শিপুর গ্রামসভাতে ৮২ ভোটে পরাজিত করল বিজেপি। এই শান্তিলতা দাসের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা এনেছিল নির্দল এবং তৃণমূল। পরে নির্দলের প্রধান হন তিনি। এবার এই পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করল। ১৭ টি আসনের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী?

    বিস্ফোরণে ভয়াবহ ভাবে অগ্নিদগ্ধ কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর মৃত্যু হয় ওড়িশার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন ও এলাকার মানুষ সে সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব মানস ভুঁইয়া, দোলা সেন সহ একাধিক নেতাকে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী পুষ্পলতা সাউ বলেন, তৃণমূল প্রচার করেছিল উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। কিন্তু, এত কিছু করেও তৃণমূল এই আসন ধরে রাখতে পারল না। কারণ, দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে এলাকার মানুষ জোট বেঁধেছিল। এই জয় এলাকার মানুষের জয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিতে মৃত ৩ আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    Panchayat Poll: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিতে মৃত ৩ আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন (Panchayat Poll) থেকেই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। দফায় দফায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এবার গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ভাঙড়। গণনা কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ ও আইএসএফের মধ্যে ব্যাপক বোমা ও গুলির লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। গণ্ডগোলে তিনজন আইএসএফ কর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এক পুলিশ আধিকারিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম হাসান আলি মোল্লা, রাজু মোল্লা, রেজাউল গাজি। হাসান, রাজু এলাকায় চিনে পুকুর এলাকায় থাকত। আর রেজাউল থাকত ভোগালি-১ পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অশান্তি বাড়তে থাকে এলাকায়। সূত্রের খবর, ভাঙড়ে ততক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) জেলা পরিষদের একটি আসনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। বাকি দুটি আসনের ফল ঘোষণা বাকি রয়েছে। গণনা চলছিল জেলা পরিষদ আসনের। জানা গিয়েছে, একটি আসনে আইএসএফ এগিয়েছিল। সেই আসনে তৃণমূল জয়ী ঘোষণা করার পর পরই আইএসএফ কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আচমকাই ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া স্কুলের বাইরে ঘিরে ফেলে আইএসএফরা। এই স্কুলেই গণনা চলছিল। সেই গণনা কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে তারা। পাল্টা তাদেরকে হটাতে পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ফাটানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ ও আইএসএফের মধ্যে খণ্ড যুদ্ধে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনজন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়। এক পুলিশ কর্তাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ভাঙড় ২ ব্লক জুড়ে। এই ব্লকের মোট ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ১৮ টি পঞ্চায়েত দখল করলেও ১ টি পঞ্চায়েত দখল করেছে আইএসএফ ও জমি কমিটির জোট।

    কী বললেন আইএসএফ নেত্রী?

    আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুনের অভিযোগ, ভোটের দিন (Panchayat Poll) থেকেই তৃণমূলকে সাহায্য করছে প্রশাসন। আমাদের জেলা পরিষদের এক প্রার্থী জাহানারা খাতুন পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু, রাত সাড়ে বারোটার সময় বিডিও জানিয়ে দেন সে ৩৬০ ভোটে হেরেছে। আইএসএফের দাবি, পুলিশ ও তৃণমূল সেটিং করে তাদেরকে হারিয়ে দিচ্ছে। তাঁরা এই সিটে পুনরায় গণ্নার দাবি জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গণনা শেষ হতেই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গণনা শেষ হতেই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর বারাকপুর-১ ব্লকের কাউগাছি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি (BJP) প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী আগুন লাগানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পাশাপাশি বেলে শংকরপুরে সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফল বের হওয়ার পরই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী এলাকায় তাণ্ডব চালাতে শুরু করে। আমাদের দলীয় প্রার্থী মৌসুমী মিত্রের বাড়িতে ভাঙচুর করে ওরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আসলে বিজেপি বহু জায়গায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। তাতেই তৃণমূল এসব করে বেড়াচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, বিজেপির (BJP) অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে রাজনৈতিক কারণে কোনও ভাঙচুর করা হয়নি। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আর বেলে শংকরপুর এলাকায় সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙুচর হয়েছে। তবে, সেটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে গণনা কেন্দ্র থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ

    বারাকপুর মহকুমায় পানপুর মাখনলাল ও ঘোলা শশীভূষণ স্কুলে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। পানপুরে মামুদপুর গণনাকেন্দ্র কিছুক্ষণের জন্য বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি প্রার্থী বরুণ সরদার দাবি করেন, যেসব ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারের পুরো সই নেই, সেগুলি বাতিল করতে হবে। এই নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিতণ্ডা বেধে যায়। নৈহাটি টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সনৎ দে অভিযোগ করেন, তিনি মদ খেয়ে বেলেল্লাপনা করছেন। এই নিয়ে গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই অশান্তি বেধে যায়। পরে তৃণমূল নেতাদের কথা মতো পুলিশ ওই বিজেপি প্রার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: জয়ী ঘোষণার পরেও বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ! সরব সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: জয়ী ঘোষণার পরেও বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ! সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ী ঘোষণার পর ফের বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাটের বিডিও তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন, বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্রে দেওয়া হচ্ছে না সিলমোহর, এমনই অভিযোগ বিজেপির। বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের মধ্যে বিজেপিকে ১৫টি ও তৃণমূলকে ৭টি আসনে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে দেখা যায় বিজেপি ও তৃণমূলকে টাই করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও তৃণমূলের এমন দুর্নীতির প্রতিবাদে গণনার দিন বিকালে বালুরঘাটে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরে এনিয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণার সঙ্গে দেখাও করেন তিনি।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ ও ১২ নম্বর বুথের দুই প্রার্থী মুক্তি মার্ডি ও স্বপ্না পাহানকে প্রথমে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে আবার ঘোষণা করা হয়, তারা হেরে গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে বিজেপি। মঙ্গলবার বিক্ষোভ-অবস্থান চলতে থাকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে। সেখানে সামিল হন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু। সুকান্ত মজুমদার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ জানান। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থীদের কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে ১৫ টি সিটে জয়লাভ করেছিল আমাদের প্রার্থীরা। কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বাইরে বের করে দিয়ে পরে ফলাফল পাল্টে দেয় তারা। আমাদের প্রার্থীদের জোর করে হারিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ মঙ্গলবার রাতে সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘জেলাশাসককে আমরা যখন অভিযোগ জানাই, তখন ১১ জন প্রার্থীকে জয়ের সার্টিফিকেট দিয়েছিল প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে ওয়েবসাইটে দেখা যায়, তৃণমূল ১২ পেয়েছে, বিজেপি পেয়েছে ১০। এই চালাকি গোটা রাজ্য জুড়ে হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে বিজেপির জেতা মেম্বারকে হারিয়ে অন্যকে জেতানো হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত জায়গায় তৃণমূল এই ভাবে ভোট করিয়েছে। নির্বাচন নয়, প্রহসন করা হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    Purba Medinipur: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর বিধানসভা (Purba Medinipur) কেন্দ্রে দুটি ব্লকের ১৭ টি অঞ্চলের মধ্যে দশটি অঞ্চলে জয় বিজেপির। আর বাকি সাতটি অঞ্চল তৃণমূলের দখলে গেল। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খেলা হল গেরুয়া আবির। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের আগে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলাফলের পর এলাকায় জয়ের তীব্র উত্তেজনা দেখা গেল।

    নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) ফলাফল কেমন হল বিজেপির?

    ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৮ই জুলাই ভোটের দিন নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের খবর উঠে আসছিল বিরোধীদের মুখে। নন্দীগ্রামে ১০ই জুলাই পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তার পরেই মঙ্গলবার সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ ছিল নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রাম বিধানসভার দুটি ব্লক। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক ও রিয়াপাড়া ব্লক। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে দশটি অঞ্চল এবং রেয়াপাড়া ব্লকে ৭ টি অঞ্চল। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকে ১০ টি অঞ্চলের মধ্যে ৫ টি অঞ্চল তৃণমূলের দখলে ও বিজেপি বাকি ৫ টি অঞ্চল দখল করে। রেয়াপাড়া ব্লকের ৭ টি অঞ্চলের মধ্যে তৃণমূল ২ টি অঞ্চল ও বিজেপি ৫ টি অঞ্চল দখল করেছে। নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকে হরিপুর অঞ্চলে খাতা খুলতে পারল না তৃণমূল। এখানে ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৫ টিই বিজেপির দখলে।

    অন্য দিকে কাঁথিতেও জয়ী বিজেপি

    অপর দিকে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথিতেও উড়ল গেরুয়া আবির। কাঁথি ১ নং ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। তাই জয়ের পরেই শান্তিকুঞ্জের সামনে অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা গেরুয়া আবির মেখে উল্লাসে মেতে ওঠে। সবার মুখেই একটাই কথা ‘শুভেন্দু ম্যাজিক’ কাজে লেগেছে। রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি পাঁচটি অঞ্চল দখল করেছে। এখন দেখার বিষয় জেলার ২৫ টি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ কার দখলে যায়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “দাদা আমাকে বাঁচান”, নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে অঝোরে কান্না বিজেপি প্রার্থীর

    Cooch Behar: “দাদা আমাকে বাঁচান”, নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে অঝোরে কান্না বিজেপি প্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিতাই ব্লকে (Cooch Behar) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী। ওই মহিলা বললেন, তাঁর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হতে পারে। বোমা মারার হুমকিতে আতঙ্কে আছেন তিনি। ফলাফল ঘোষণার পর এইভাবেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই বিজেপি প্রার্থী। ভোটে হেরেছেন। তার জন্য তৃণমূলকে দিতে হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা। না হলে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে তৃণমূলের গুন্ডারা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

    কেন পায়ে ধরে সুরক্ষা চাইলেন (Cooch Behar)?

    সিতাই বিধানসভার (Cooch Behar) ৬/১০৪ নম্বর বুথে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ছিলেন বিউটিবালা দাস। নির্বাচনে কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। আর এর পর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যাপক হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের পা জড়িয়ে ধরে আশ্রয় চান তিনি! প্রার্থী বলেন, দাদা আমাকে বাঁচান! মন্ত্রীর পায়ে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন এই বিজেপি প্রার্থী। প্রার্থী আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করবে। বাড়িঘর ভাঙচুর করবে! ইতিমধ্যেই লুটপাটের হুমকি আসছে বলে অসহায় হয়ে আশ্রয় চাইলেন। প্রার্থী আরও বলেন, গণনা কেন্দ্রে আমাদের না ডেকেই গণনা করা হয়েছে। একতরফা আমদের ঢুকতে না দিয়ে জোর করে নিজেদের জয়ী বলে ঘোষণা করেছে তৃণমূল। মন্ত্রী পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি তিনি আরও জানান, যদি মন্ত্রী তাঁর পাশে না দাঁড়ান, তাহলে তাঁর আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। যদিও দলীয় প্রার্থীর মুখে এমন আর্তনাদ শুনে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য

    এত সন্ত্রাসের পরে এই ফল! সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Cooch Behar) বলেন, এত সন্ত্রাসের চোখ রাঙানি, বোমা-বারুদ, মারামারি-হানাহানি-লড়াইয়ের মধ্যেও মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে লড়াইতে নেমেছেন, এটা কম বড় বিষয় নয়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। কিন্তু সাহস দেখিয়ে চোখে চোখ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাটাই আসল কথা। তৃণমূল যেখানে যেখানে ছাপ্পা মেরেছে, সেখানে সেখানে জয়ী হয়েছে। প্রশ্ন করা হয়, ছাপ্পা হবে বুঝতে পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন প্রতিরোধ করতে পারল না বিজেপি? উত্তরে নিশীথ বলেন, যেখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে সন্ত্রাস করে, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে লড়াই করবে! প্রশাসন দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দেয়, বিরোধীদের মিথ্যা কেসে তুলে নিয়ে যায়। তৃণমূলের গুন্ডাদের সঙ্গে লড়াই সম্ভব। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে লড়াই কী করে সম্ভব? সুতরাং তৃণমূলের শাসন শেষ না হলে এই ব্যবস্থার বদল ঘটবে না। তিনি আরও বলেন, আগামী লোকসভার ভোটে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের দিন এক বুথ থেকে অন্য বুথে ছুটে বেড়িয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলীয় প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। মনোবল বাড়িয়েছিলেন কর্মী-সমর্থকের। এবার গণনার দিনও এলাকা চষে বেড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কথা বলেছেন বিজেপির গণনা কেন্দ্রের এজেন্টদের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র চত্বরে যান তিনি। শুধু দক্ষিণ দিনাজপুর নয়, উত্তর দিনাজপুরেও ছুটেছেন তিনি।

    কর্মীদের কী বার্তা দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের লড়াই জারি রাখার বার্তা দিয়েছেন। গণনা কেন্দ্রে এজেন্টরা যাতে মাঝ পথে উঠে চলে না আসে, তাই প্রতিটা গণনা কেন্দ্রে গিয়ে একই বার্তা দিচ্ছেন রাজ্য সভাপতি। মূলত, কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতেই বিভিন্ন এলাকায় ছুটেছেন তিনি। তিনি বলেন, ভোট যা হয়েছে তাতে আমাদের কর্মীদের একটাই কর্তব্য, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া। কাউন্টিং হলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি  উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ও ইটাহারে যান তিনি। গত কয়েকদিন থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেই রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এবং পুনর্নির্বাচনের দিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন তিনি। যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই দলীয় কর্মীরা তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। সুকান্তর দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে সারা রাজ্যেই।

    প্ররোচনা পা না দেওয়ার বার্তা বিজেপির রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের কার্যকর্তারা তৈরি আছে লড়াইয়ের জন্য। আমরা খুব ভালো করে লড়েছি। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা পরিষদে বিজেপির পতাকা উড়বে। বিজেপি বহু জায়গায় ভাল ফল করেছে। আরও ভাল ফল করবে। দলীয় কর্মীদের বলেছি কোনওরকম ভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় পা দেবেন না। এবং গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যেন গণনা কেন্দ্র না ছাড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share