Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Poll: বাসন্তীর পর কুলতলিতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল প্রার্থী, অভিযুক্ত সিপিএম

    Panchayat Poll: বাসন্তীর পর কুলতলিতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল প্রার্থী, অভিযুক্ত সিপিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। শুধু গুলিবিদ্ধ হয়ে একের পর এক রাজনৈতিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দুদিন আগেই যুব তৃণমূল কর্মীকে খুন করার ঘটেছিল ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। সোমবার রাতে বাসন্তীতে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মঙ্গলবার কুলতলিতে  গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল প্রার্থী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    কুলতলির মেরীগঞ্জ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটের (Panchayat Poll) প্রচার করছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিন ঘরামি। সেই সময় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। তৃণমূল প্রার্থীর পায়ে গুলি লাগে। হামলাকারীরা সিপিএম এবং এসইউসি আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে তৃণমূলের অভিযোগ। মেরিগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর বুথের গ্রাম সভার তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিনসাহেব। কুতুবুদ্দিনকে উদ্ধার করে জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে উত্তেজনা মারিগঞ্জ এলাকায়। কখনও দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী?

    তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিনসাহেব বলেন, এলাকায় তৃণমূলের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) আমরা ভাল ফল করব। প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিরোধীরা এটা মেনে নিতে পারছে না। সিপিএম এবং এসইউসি মিলে এই হামলা চালিয়েছে। আমাকে খুন করার জন্যই ওরা হামলা চালিয়েছিল। আমি পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচেছি। তবে, ওদের ছোঁড়া গুলি আমার পায়ে লেগেছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    কুলতলি এরিয়া কমিটির সেক্রেটারি উদয় মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। সিপিএম কর্মীদেরকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যে মামলা দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে বদনাম করার জন্য তারা সিপিএমের নাম বলছে। এর ঘটনার সঙ্গে সিপিএম কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা, গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল?” সং সেজে গানে প্রতিবাদ

    Birbhum: “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা, গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল?” সং সেজে গানে প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানুর, কীর্ণাহার (Birbhum) সরগরম কেষ্ট মণ্ডলের তিহারবাস আর জেলযাত্রা নিয়ে সং-এর গানে। নানুর বিধানসভার কীর্ণাহারের দাসকল গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের ধূলোট উৎসবে এক অভিনব “সং”-এর দল দেখা গেল, যেখানে গানের মধ্যে উঠে এল তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তথা কেষ্ট মণ্ডলের তিহার জীবনের কথা। এমনকি হাস্যরসাত্মক সুর দিয়ে “সং” শিল্পীরা তুলে ধরলেন দুর্নীতির প্রসঙ্গও। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    কেন গান (Birbhum)?

    বাংলা শিল্প, সৃষ্টি, কৃষ্টির ভূমি। সমাজ জীবনে ঘটে চলা বিষয়কে নিয়ে বাঙালি সর্বাদা শিল্প-নাটক-নৃত্য গান ও কলমের ভাষায় প্রতিবাদ করে থাকে। ঠিক এমনটাই করল গ্রামীণ “সং” গানের শিল্পীরা। তবে এবার অনুব্রত মণ্ডল (Birbhum) আর দুয়ারে উন্নয়ন-এই দুই স্লোগান নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার শাসক দলের। আর এই দুই স্লোগানকে গানের সুরে তীব্র কটাক্ষ করে গ্রামের মানুষের মনোরঞ্জন করলেন একদল গ্রামীণ শিল্পী। প্রত্যেকেই মহিলা সেজে গান পরিবেশন করেন। “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল? “সং” সেজে গানে প্রতিবাদ দেখা গেল।

    প্রতিবাদের ভাষা “সং”

    তবে এমন একটা সময় ছিল, যখন এখনকার মতো ডিজিটাল বিনোদন আর মুঠো ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম ছিল না। মানুষ যাত্রা, নাটকের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাস্যরসের বন্যা বইয়ে দিত “সং”সেজে। যেখানে তিনদিনের হরিনাম-সংকীর্তন শেষে ধূলোট উৎসবে “সং” সেজে দল বেঁধে হাস্যরসাত্মক গান শুনিয়ে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিলেন গ্রামেরই গৌতম মণ্ডল, পরেশ চট্টরাজ, বাপি কর্মকার, দ্রুপদ ব্যানার্জি, লালু মাঝিরা। তবে “সং” মানেই কটাক্ষ, “সং” মানেই হাস্যরস। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা কেষ্ট মণ্ডল বা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেও, “সং” পরিবেশনের বিষয়টা পুরোটাই ছিল অ-রাজনৈতিক। কিন্তু “সং” এর গানে ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতার কথাই।

    শিল্পীরা কী বলেছেন?

    শিল্পীরা (Birbhum) বলেন, সমাজে যা দেখেছি আর তাই নিয়ে গান বানিয়েছি। নাম সংকীর্তনের পাশাপাশি এই গান করে থাকি। শুধুমাত্র মানুষের মুখে হাসি আনতে আমরা পরিবেশন করি। বর্তমান সমাজে হাসি আর সুখের অভাব, তাই সাময়িক বিনোদনের চেষ্টা করে থাকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ দুর্নীতির পোস্টারে ছয়লাপ বারাকপুরের গ্রাম

    TMC: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ দুর্নীতির পোস্টারে ছয়লাপ বারাকপুরের গ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই বারাকপুর-১ ব্লকের কাঁপা-চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান রবীন্দ্রনাথ নিয়োগীর (TMC) নামে দুর্নীতির পোস্টার পড়ল। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এরকম এক দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার পড়ায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, এই পোস্টারের বিষয়বস্তু নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষও এই পোস্টারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘কল্যাণী রোডের বিভিন্ন হোটেল-বার থেকে তোলাবাজি, পঞ্চায়েত সদস্যদের একাধিক ঘর পাইয়ে দেওয়া, পুকুর ভরাট করে বে-আইনি ফ্ল্যাট নির্মাণ, সামান্য কাঠমিস্ত্রি থেকে তিন কোটি টাকার বাড়ি’-এরকম বিভিন্ন অভিযোগ। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে কাঁপা-চাকলা পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তবে এই ঘটনায় বিজেপি ও সিপিআইএমের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন রবি নিয়োগী। এই নিয়ে জেটিয়া থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন রবিবাবু। তিনি বলেন, এসব বিরোধীদের কাজ। রাতের অন্ধকারে চোরের মতো এই সব পোস্টার মেরেছে। যে সব অভিযোগ এনেছে তার প্রমাণ দিতে পারবে তো। অভিযোগ যে কেউ করতেই পারে। তাতে ভোটে কোনও প্রভাব পড়়বে না। তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে মানুষ রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কুৎসা করে কোনও লাভ হবে না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    অপরদিকে, বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি রূপক ঘোষ বলেন, এটা তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। আসলে যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁরা এই সব পোস্টার মেরেছেন। কারণ, দলের নেতাকর্মীরা জানেন, রবি নিয়োগী কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত। এখন নিজের দলের কুৎসা ঢাকতে আমাদের দলের নামে অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। কারণ, বিজেপি কেমন দল, তা এই এলাকার মানুষ জানেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: বিজেপি প্রার্থীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে পোস্টার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purba Bardhaman: বিজেপি প্রার্থীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে পোস্টার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। প্রার্থীকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়ে পড়ল পোস্টার। প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়ান গ্রামে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    ঘটনা কী হয়েছে (Purba Bardhaman)?

    রায়ান (Purba Bardhaman) ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ নং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে এবার বিজেপি প্রার্থী কৌশিক কুণ্ডু ওরফে চাঁদ। এর আগেও তাঁর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল শাসক দলের যুব নেতা মানস ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এবার সরাসরি তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি প্রার্থী কৌশিক কুণ্ডুর বাড়ির সামনে রাতে কে বা কারা পোস্টার মেরে যায়! পোস্টারে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দেওয়া আছে। পোস্টারে লেখা আছে, ‘১১ তারিখের পর খেলা হবে। পুড়িয়ে মারবো তোর গোটা গুষ্টিকে!’ এছাড়াও বলা আছে, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেরই জয় হবে। 

    বিজেপি বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী কৌশিক কুণ্ডু বলেন, ‘কাল রাতে আমাকে মানস ভট্টাচার্য ফোন করে হুমকি দেয়। আমার স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর কাছে যাব কি না জানতে চায়! আজ সকালে আমার শাশুড়ি দেখতে পান কে বা কারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পোস্টার মেরে গেছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেসেরই কাজ’। এলাকার (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা সুধীরঞ্জন সাউ বলেন, এখানে কিছু খুনের আসামি আছে। এর আগেও চাঁদের বাড়িতে একাধিকবার হামলা হয়েছে। আমরা থানায় জানিয়েছি। এবার রাজ্যপাল এবং নির্বাচন কমিশনকেও জানাবো।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অভিযুক্ত মানস ভট্টাচার্য ওই একই কেন্দ্রে (Purba Bardhaman) এবারে শাসক দলের প্রার্থী। তিনি এই অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘হ্যাঁ আমি ওঁকে ফোন করেছিলাম। বেশ কিছুদিন আগেও স্ত্রীকে নিয়ে একটা বিপদে পড়ে এসেছিল, আমিই ওঁর সমস্যা মিটিয়ে দিই। তা নিয়েই ফোন করেছিলাম। পোস্টার মারা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। ওঁর বাড়িতে সিসিটিভি আছে। তার ফুটেজেই দেখা যাবে কে পোস্টার মেরেছে। উনি পরাজয় নিশ্চিত জেনে প্রচারের আলোয় থাকতে চেয়ে নিজেই পোস্টার মেরেছেন।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar:  ‘পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছেন ভাইপো,’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছেন ভাইপো,’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পর্শকাতর বুথ জেলা প্রশাসন ঠিক করেনি, ঠিক করেছে ভাইপো। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, ভাইপো সেখান থেকে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছে। ভাইপো এই রাজ্যের কিছু জানে নাকি! রাজ্যের কোথায় ধান, গম চাষ হয়, সেটাও ভাইপো ঠিকমতো জানে না। সে আবার স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করছে।

    রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডিতে বিজেপির প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে হাঁটলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার কুশমন্ডিতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি নির্বাচনী প্রচার মিছিল বের করা হয়। সেই প্রচারে বিজেপির প্রার্থীদের সমর্থনে তাঁদের সঙ্গে পায়ে পা মেলান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ দলের নেতৃত্বরা। পাশাপাশি এদিন কুশমন্ডি বিধানসভার উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগাদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যোগদানের ফলে উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবারের নির্বাচনে ভালো ফল করবে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    রাজ্যপাল প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যপাল নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি তৃণমূল নেতাদের বাড়িতেও যাচ্ছেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন। আর নিরপেক্ষ যে কোনও সংস্থাকে তৃণমূল ভয় পায়। তাই রাজ্যপালকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ভাবছে রাজ্যপাল যদি কিছু করে দেন।

    তৃণমূলের কোন্দল নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    কেশপুরে শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মূলত ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোল। এটা নতুন কী। সেখানকার গাছ কেটে বিক্রি করে, নদীর বালি কেটে বিক্রি করে শাসক দল। তাই দ্বন্দ্ব হচ্ছে। সায়নী ঘোষ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সায়নী ঘোষকে প্রয়োজনে বার বার ডাকবে। যদি আমার নামে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তাহলে আমাকেও ডাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া জনরঞ্জন কেন্দ্রের মাঠে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার প্রার্থনা জানান তিনি। অন্যদিকে রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে কী বললেন (Nadia)?

    শান্তিপুরে (Nadia) নির্বাচনী সভায় দলীয় প্রার্থীদের জয়লাভের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই আধ ঘণ্টা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রথমেই দিনহাটায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। শুভেন্দু বলেন, গোটা রাজ্য এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিন ধুপগুড়িতে একজনকে গুলি করে মারা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

    বীরভূমের সভায় ফোনে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? কী জবাব দিলেন শুভেন্দু?

    উল্লেখ্য বীরভূমের একটি জনসভায় নিজে হাজির না থাকলেও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বলেন, প্রায় এগারো মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে আটকে রেখেছে সিবিআই ও ইডি। এমনকী তার মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছে! ওর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালতে প্রমাণ করুন। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একা টাকা খায়নি, সেই টাকা পৌঁছে যেত কালীঘাটে। ২৫-৭৫ এর ভাগাভাগি ছিল তাদের মধ্যে। এখন যদি অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে সব বলে দেয়, তাহলে দিদিও গারদে যাবে। সেই কারণেই তার গুনগান গাইছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুব্রতকে ক্লিনচিট দেওয়ার প্রসঙ্গে ঠিক এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ!

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করেন, যে সব রাজ্যে বিজেপি শাসন করছে, সেখানে দুই হাজার টাকা কেন! অন্তত এক হাজার টাকা করে যদি দিতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো! আর সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, ভাইপো এর আগেও একাধিকবার রাজনীতি ছেড়েছেন। উনি বলেছিলেন অর্জুন সিং জিততে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! নন্দীগ্রামে আমি যদি জিতে যাই, তাহলেও রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু উনি রাজনীতি ছাড়েননি।

    সিপিএম সম্পর্কে বিস্ফোরক

    অন্যদিকে এই সভা (Nadia) থেকে সিপিএমকেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। মহঃ সেলিম অভিযোগ তোলেন ১৪ বছর আগে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মাওবাদীদের সঙ্গে নিয়ে সিপিএম নেতাদের খুন করা হত। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সেলিম হচ্ছে তৃণমূলের দালাল।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে লাগানো হল আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে লাগানো হল আগুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করাটাই কি অপরাধ? বিজেপি করার অপরাধে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার খিদিরপুর গ্রামে বিজেপি (BJP)  কর্মী মোহন দাসের বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নার খিদিরপুর গ্রামে মোহন দাস বিজেপির (BJP) সক্রিয় কর্মী। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। শাসক দলের নেতারা তাঁর এই ভূমিকা মেনে নিতে পারেননি। এর আগেও তিনি শাসক দলের নেতা-কর্মীদের চোখ রাঙানির মুখে পড়েছেন। তবে, তিনি থেমে থাকেননি। সোমবার রাতের অন্ধকারে বিজেপির ওই কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় মোহনবাবু দলীয় কাজে বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী শিবানী দাস দুই শিশুকে নিয়ে ঘরের মধ্যে শুয়েছিলেন। রাত ১১ টা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী এসে আচমকা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, মোহন আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। বাকচা দখলের জন্যই তৃণমূল মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের দলীয় কর্মীর বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজীব বাছাড়ি বলেন, এই এলাকায় তৃণমূলের ভাল সংগঠন নেই। আমরা খিদিরপুর এলাকায় সোমবারই প্রচার করেছি। বিজেপি (BJP) আমাদের দলীয় পতাকা সব খুলে ফেলে দিয়েছে। ওরা এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। আর নিজেরা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে আমাদের নামে বদনাম দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৪

    Cooch Behar: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের সন্ত্রস্ত এলাকা রাজ্যপাল পরিদর্শন করে ফেরার পরই আজ মঙ্গলবার দিনহাটায় (Cooch Behar) ফের বোমা বিস্ফোরণে আহত ৪ জন। এর মধ্যে দু’জন শিশু। রাজ্য জুড়ে যেভাবে ভোটের আগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, তাতে জেলা জুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    কীভাবে বিস্ফোরণ হল (Cooch Behar)?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে একদিকে বীরভূম, মুর্শিদাবাদে যেমন বোমা-বন্দুক উদ্ধার হয়েছে, তেমনি বোমা বিস্ফোরণে উত্তাল হয়ে উঠল দিনহাটা। মঙ্গলবার বোমা বিস্ফোরণ ঘটে দুপুর ১২ টার সময়। কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বিস্ফোরণ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে বলেন, গোসানমারি এলাকার ছোট নাটাবাড়িতে সাত্তার মিঞা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে লতিফ মিঞা ও লুতফর মিঞা নামে দুই শিশু গুরুতর জখম হয়। বাড়ির মালিক সাত্তার নিজে এবং মুজফফর মিঞা নামে দুই প্রৌঢ়ও আহত হন। আহতদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আপাতত পুলিশ গিয়ে পৌঁছেছে। তবে কী কারণে, কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ হল, সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ভোটের আগে এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আহত ব্যক্তির পরিবারের বক্তব্য

    আহত ব্যক্তি মুজফফর মিঞার (Cooch Behar) মেয়ে জানান, তাঁর বাবা টোটো চালাতেন। বাবা দ্রুত সরে যেতে না পারায় বিস্ফোরণের তীব্রতায় আহত হন। অপর দিকে আহত শিশুর পরিবার থেকে জানানো হয়, বল ভেবে খেলতে গেলে বোমায় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু বাড়িতে কোনও বোমার কারখানা ছিল কি না, সেই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি কোনও আহতের পরিবারই।  

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত!

    দিনহাটা (Cooch Behar), শীতলকুচি, সিতাই পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কোচবিহারের সার্কিট হাউস থেকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন, দোষী দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। আইনের শাসন প্রয়োগে প্রশাসনকে হাইকোর্টের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কিন্তু যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ ভোটের আগে ঘটল, তাতে জেলার মানুষ ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।    

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে গুলি সহ দেশি পাইপগান উদ্ধার! কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    Murshidabad: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে গুলি সহ দেশি পাইপগান উদ্ধার! কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বলছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামান্য এক-দুটো জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা এবং দেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সমালোচনায় বিদ্ধ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার প্রশাসন। আর মাত্র মাঝে তিন দিন! তারপর ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বেলডাঙা, কান্দি, হরিহরপাড়া, খড়গ্রামে বোমা উদ্ধার এবং ভাঙ্গনপাড়ায় গুলিসহ দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্তে নেমেছে জেলার পুলিশ। সাধারণ মানুষ ভোটের আগে ব্যাপক আতঙ্কিত।

    বেলডাঙা, হরিহরপাড়া এবং খড়গ্রামে (Murshidabad) বোমা উদ্ধার!

    পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিভিন্ন জায়গায় বোমা উদ্ধার হয়। বেলডাঙার কাজিশা এলাকায় মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ৩ ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। এই এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তবে কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আবার মঙ্গলবারই সাত সকালে হরিহরপাড়াতেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। কলাবাগান পাড়া এলাকায় পাটের জমির পাশে ঝোপের মধ্যে রাখা ছিল এক ব্যাগ ভর্তি বোতল বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোমার হদিশ পায় এই পাটের জমিতে। এছাড়া খড়গ্রামেও উদ্ধার হয়েছে আরও প্রচুর বোমা। এই এলাকার সাদল অঞ্চলের শঙ্খপুর গ্রামে মাঠের ধারে বালতির মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল বলে জানা গেছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।

    কান্দিতে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কান্দি (Murshidabad) মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত শংকরপুর গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠ থেকে এক ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। আবার লালগোলা থানার ডিহিপাড়ারের ভুট্টার ক্ষেত থেকে একটি ব্যাগে ছটি সকেট বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

    দেশি পাইপ গান উদ্ধার

    সোমবার রাতে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে, কাটাবাড়ি ভাঙ্গনপাড়া (Murshidabad) এলাকা থেকে ফরিদুল শেখ ও সাজিরুল সেখ নামে দুই দুষ্কৃতীকে আটক করে পুলিশ। এই ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপ গান এবং দু রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ তাদেরকে বহরমপুর আদালতে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী কারণে তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছিল সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাগরপাড়া থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী ভোটে লড়তে পারবেন না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Vote: ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী ভোটে লড়তে পারবেন না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) লড়াই করার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এই প্রার্থীদের এর আগে ভোটে লড়তে দেওয়ার নির্দেশ কমিশনকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ। কিন্তু মঙ্গলবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৫ দিন পর এই মামলার নিষ্পত্তি করার কথাও বলা হয়েছে এদিনের নির্দেশে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট হল শনিবার। তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী লড়তে পারবেন না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে হঠাৎ করেই নাম মুছে যায় আইএসএফ প্রার্থীদের

    জানা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই মনোনয়ন জমা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের নাম হঠাৎ মুছে গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে। এই মর্মে সোমবার তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।সোমবারের এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ সত্য হলে তাঁদের নির্বাচনে (Panchayat Vote) অংশ নেওয়ার সুযোগও করে দিতে হবে কমিশনকে।’’ আইএসএফের অভিযোগ, এরপরেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মঙ্গলবার একই আর্জি নিয়ে আইএসএফ দ্বারস্থ হয় ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।

    কী বলল ডিভিশন বেঞ্চ?

    মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একক বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে।’’ তবে শুধু আইএসএফ নয় এদিন ভোটে (Panchayat Vote) লড়ার ওপর স্থগিতাদেশ চলে এল ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। ভাঙড়ের সিপিএম প্রার্থীরা একই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share