Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    Nadia: তৃণমূলের হুমকিতে বাড়িছাড়া, এলাকায় গেলেই দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল তৃণমূলের ভয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না, এমন অভিযোগ তুলে বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে নদিয়া ধুবুলিয়ায় (Nadia)। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মনোনয়নের পর থেকেই একমাত্র শাসক দলের বিরোধী প্রার্থী হওয়ায় এইরকম অতাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। 

    কী ঘটেছে (Nadia)?

    বেশ কয়েক দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মিথ্যা মোকদ্দমায় ফাঁসানো হয় ধুবুলিয়া থানার অন্তর্গত খাজুরি পুকুরপাড় এলাকার কয়েকজন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের। ভোটের আগে বাড়িতে ফিরতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠিও লিখেছেন এই বিরোধী কর্মীরা। কিন্তু কিছু ফল হয়নি। গত বুধবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটে নাগাদ কৃষ্ণনগর (Nadia) ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে উপস্থিত হন তাঁরা। এলাকার বিরোধী কর্মীদের দাবি, আমরা কংগ্রেস করি। তাই আমাদের উপর অত্যাচার করছে শাসক দলের লোকেরা। এখন আমরা বাড়িতে ফিরতে চাই। তাই প্রশাসন এবং বিডিওর কাছে নিরাপত্তা চেয়ে, একটা মীমাংসা করে বাড়ি ফিরতে চাইছি।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    এলাকায় (Nadia) কংগ্রেস করেন সুনিতা বিবি। তিনি বলেন, আমরা গত এক মাস ধরে ঘরছাড়া। কংগ্রেস দল করার জন্য আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় গেলেই বলে, দেখে নেব, খুন করে দেব এবং বাড়িঘর লুটপাটেরও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়ির পুরুষদের খুনের হুমকি মিলছে রোজ। শুধু তাই নই, প্রথমে শাসক দল আমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস দেয় এবং এর পর আমদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বুঝে আমরা জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হই। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। বাড়িতে গেলেই রোজ মিলছে খুনের হুমকি। পুলিশের কাছে আমাদের কোনও অভিযোগের গুরুত্ব নেই। তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবো! নিজের বাড়ি থাকতেই আমরা আজ গৃহহীন! এই প্রসঙ্গে সুনীতা বিবি পুলিশের থেকে কোনও রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান। অবশেষে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে ভয়মুক্ত হয়ে শান্তিতে বসবাস করার জন্য বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বালুরঘাটে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক

    BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বালুরঘাটে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট আর হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। তার আগেই তৃণমূলে ফের ভাঙন। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি এলাকা থেকে ৪৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিনায়পোতা এলাকা ও ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা এলাকায় বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তপনের বিজেপির বিধায়ক বুধরাই টুডু ও জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    যোগদানকারীদের কী বক্তব্য?

    মূলত এলাকার অনুন্নয়নের কারণেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন দুটি গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে ভোটের কয়েক দিন আগে বালুরঘাটে বিজেপিতে (BJP) বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে। এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসলাম। আমরা তৃণমূলে থেকে শুধু বঞ্চনা ভোগ করেছি। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। দলটা সুবিধাবাদী আর দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজনে ভরে গিয়েছে। তাই আমরা সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বলেন, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিনায়পোতা গ্রামে ২০ টি পরিবার ও ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নকশা গ্রামে ২৫ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগাদান কর। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করত। কিন্তু, তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে না। তাই তারা এদিন বিজেপিতে যোগদান করল। এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ভালো হবে বলে আশা করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের বালুরঘাট ব্লকের সভাপতি স্বপন বর্মন বলেন, যারা যোগদান করেছে তারা কেউ তৃণমূলের নয়। বিজেপি (BJP) দেখানোর জন্য নিজেরাই নিজেদের লোককে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছে। বরং জলঘর গ্রাঞ্চায়েতের চককাশিতে বিজেপি ছেড়ে ২৩ টি পরিবার তৃণমূলে এসেছে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রায়দিঘিতে বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: রায়দিঘিতে বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূলী তাণ্ডব শুরু হয়েছে। রাজ্যে এখন প্রধান বিরোধী শক্তি হচ্ছে বিজেপি। সেই বিজেপির (BJP) প্রার্থী এবং দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটছে জেলায় জেলায়। এবার বিজেপির বুথ সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার বামুনের চক ১২৭ নম্বর বুথে। জখম বিজেপি কর্মীর নাম দেবাশিস হালদার। ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়দিঘি বিধানসভার খাঁড়াপাড়া এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি দেবাশিস হালদার। সেই সময় কয়েক জন তৃণমূল কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে প্রথমে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে, রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে জখম ওই বুথ সভাপতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পর এলাকা ছেড়ে পালায় হামলাকারীরা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি দেবাশিসবাবু বলেন, বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের ছেলেরা আমাকে ঘিরে ধরে। বিজেপি না করার জন্য চাপ দেয় তারা। পঞ্চায়েতে হারলে বা জয়ী হলেও হামলা চালানো হবে এবং স্ত্রীর শাঁখা ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়। আমি আপত্তি করলেই ওরা আমায় রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। হাতে, পায়ে গুরুতর চোট লাগে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    স্থানীয় বিজেপি (BJP) প্রার্থী বিভাস কাজি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই। ওরা সেটা বুঝে গিয়েছে। বিজেপির পক্ষেই এবার জনমত যাবে, এই আশঙ্কা করেই ওরা আমাদের দলীয় কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যুব তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপি হালদার বলেন, বিজেপি (BJP) নাটক করছে। এই ধরনের হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। নিজেরা হারবে জেনে আগাম এসব সন্ত্রাসএর মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আইসি বদল নন্দীগ্রামে! কী বলছেন শুভেন্দু?

    Nandigram: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আইসি বদল নন্দীগ্রামে! কী বলছেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নন্দীগ্রামের (Nandigram) আইসি সুমন রায় চৌধুরিকে ছুটিতে পাঠাল রাজ্য। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল জেলা ডিআইবি দফতরের কাশীনাথ চৌধুরিকে। আজই তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে নন্দীগ্রামের (Nandigram) আইসি সুমন রায় চৌধুরি ১৫ দিনের ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কাশীনাথ চৌধুরি আগেও নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    ভোটের আগে আইসি বদলে প্রশ্ন

    ভোটের আগেই এই আইসি বদলকে ঘিরে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক মহলেও পড়ে গিয়েছে শোরগোল। এক্ষেত্রে নির্বাচন শান্তিতে সম্পন্ন হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে। এখানেই পরাস্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বার বার সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
    এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইভোল্টেজ এলাকা বলে চিহ্নিত নন্দীগ্রাম। বিরোধীদের উপর হামলার বার বার অভিযোগ আসছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বার বার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্য সরকার পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে চলেছে। বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও সরব শুভেন্দু। শান্তিপূর্ণ ভোটের আবেদন জানাচ্ছেন বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুলিশের এই পরিবর্তনে কি শান্তিতে ভোট হবে বাংলা তথা নন্দীগ্রামে।

    আইসি বদল নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘কোনও লাভ হবে না। এই আইসি ওদের ক্যাডার ছিল। এগুলো করে কোনও লাভ নেই। থানার টেবিল-চেয়ার-কম্পিউটার সব আমার সঙ্গে আছে। থানার প্রতিটা ইট আমার সঙ্গে আছে। ফলে কোনও একজন ব্যক্তিকে বদলে, এখানে কেন, কোথাও কোনও সুবিধা হবে না। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি পুলিশ নির্ভর রাজনীতি করি না। পুলিশ নির্ভর রাজনীতি করে চোর তোলামূল। তাদের লাগে পুলিশ। আমাদের লাগে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর

    BJP Murder: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাইতে বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের (BJP Murder) প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সবং থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের স্ত্রী বৈশালী সামন্ত। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব মৃতের স্ত্রীকে এদিন থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করান। খুনের ঘটনায় মোট ২০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, মৃত বিজেপির বুথ সভাপতি ও তাঁর পরিবারকে বার বার খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সাদা থান পরানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়, এমনটাই দাবি মৃতের স্ত্রীর। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার কাতর আকুতি-মিনতি করে তৃণমূলের হাতে-পায়ে ধরলেও তারা ছাড়েনি, উপরন্তু তাঁকে লাথি মেরে সরিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন ভারতী ঘোষ?

    থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর এদিন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘এই পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শাসক দলের পক্ষ থেকে বার বার বলা হতে থাকে পঞ্চায়েতে যেন মনোনয়ন না করা হয়।’’ এদিন পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। তাঁর মতে, ‘‘পুলিশের কাছে বার বার নিরাপত্তার দরবার করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সবং থানা।’’ এদিন কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

    কী বলছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘ঝুলন্ত মৃতদেহ (BJP Murder) উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞার রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে সিবিআিই তদন্তের দাবি পরিবারের

    CBI: বারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞার রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে সিবিআিই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্তে খুশি নয় পরিবার। তাই, এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল পরিবারের লোকজন। প্রজ্ঞাদীপার পক্ষের আইনজীবী বৃহস্পতিবার লিটন মৈত্র বলেন, পুলিশি তদন্তে আমরা খুশি নয়। এই খুনের ঘটনার আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সোমবারই হাইকোর্টে এই মর্মে আবেদন জানানো হবে। ফলে, এই খুনের তদন্তের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে বলে পরিবারের লোকজনের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, তদন্তে নানাভাবে প্রভবিত করা হয়েছে। ফলে, সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। সিবিআই (CBI) তদন্ত একমাত্র পথ।

    আটদিনের পুলিশ হেফাজত সেনা চিকিৎসকের

    এদিনই প্রজ্ঞাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন প্রথম প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবীকে আদালতে দাঁড় করানো হয়। মূলত, এই ঘটনায় পুলিশ ৩০৬ ধারা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। এবার প্রজ্ঞার আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে ৩০২ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান। কৌশিকের আইনজীবী সুদীপ মৈত্র পাল্টা বলেন, প্রজ্ঞা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে কেউ মারধর করেনি। তিনি নিজেই শরীরে আঘাত করেছেন। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রজ্ঞার আইনজীবী এদিন বলেন, যে চিকিৎসক প্রজ্ঞার ময়না তদন্ত করেছিলেন, তাঁকে সেনার এক আধিকারিক ফোন করেছিলেন। ফলে, প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে তা প্রমাণ। সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাল পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে, কৌশিকের বিরুদ্ধে সেনা দফতরের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের মতে, কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারী এবং প্রজ্ঞা লিভ- ইন  করলেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়ে ছিল। তাই, প্রজ্ঞার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য ক্রমশ্য ঘনীভূত হচ্ছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারীর ঘরের ভিতর থেকে প্রজ্ঞার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে লিভ-ইনে থাকতেন। এই ঘটনার পর সুইসাইড নোটে নাম থাকায় সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দক্ষিণেশ্বরে তৃণমূল যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলের অন্য গোষ্ঠী

    TMC: দক্ষিণেশ্বরে তৃণমূল যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলের অন্য গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে তৃণমূলের (TMC) যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি। পরে, লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণেশ্বর থানার আড়িয়াদহ এলাকায়। আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতার নাম অরিত্র ঘোষ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, একটি গণ্ডগোল হয়েছে। গুলি চলার কোনও প্রমাণ নেই। সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার যুব তৃণমূল (TMC) নেতা অরিত্র ঘোষ বাইকে চেপে অফিসে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। কিন্তু, যুব তৃণমূল নেতার গায়ে লাগেনি। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর হামলাকারীরা তাঁকে ঘিরে ধরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। লোহর রড, বাঁশ দিয়ে যুব তৃণমূল নেতাকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। হামলার জেরে তাঁর হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। হামলার অভিযোগ তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী জয়ন্ত সিং ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)?

    আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা অরিত্র ঘোষ বলেন, আমি বাইকে করে অফিসে যাচ্ছিলাম। বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই জয়ন্ত সিংহ এবং তাঁর দলের লোকেরা আমাকে গুলি করে। গুলিটা পায়ের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। আমি বাইক থেকে পড়ে যাই। তার পর ওরা আমাকে রড, লাঠি দিয়ে আধ ঘণ্টা ধরে মারে। আমি চাই প্রশাসন এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, ঘটনার কথা আমি শুনেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে কথা বলব। দলগত কিছু হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, অরিত্র আমাদের দলের কর্মী। ওর নামে কোনও অভিযোগ নেই। প্রকাশ্যে দিবালোকে পর পর দুরাউন্ড গুলু চলেছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মালদা, ৮টি বাড়ি ভাঙচুর, দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

    Malda: তৃণমূল-নির্দল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মালদা, ৮টি বাড়ি ভাঙচুর, দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদার (Malda) ইংরেজ বাজারের ফুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নগরিয়া গ্রাম। দুই পক্ষের একাধিক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পরে, পুলিশ গিয়েছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মালদার (Malda) ইংরেজ বাজারের ফুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১২টি আসন রয়েছে। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা জাহিদুল শেখের গোষ্ঠীর লোকেরা সমস্ত আসনে টিকিট পেয়েছে। অপরদিকে লাকি আলির গোষ্ঠীর কেউ এবার গ্রাম পঞ্চায়েতে টিকিট পাননি। জাহিদুল এবং লাকি আলি দুজনেই তৃণমূলের দাপুটে নেতা। স্বাভাবিকভাবে লাকি আলির কেউ টিকিট না পাওয়ায় তাঁরা কেউ নির্দলে, কেউ বা আবার কংগ্রেসের চিহ্নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই দুই নেতার এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় আটটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। দুটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। পরে, এলাকায় টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিরোধীদের চক্রান্তেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা (Malda) জেলার নেতা দুলাল সরকার। তিনি বলেন, সবাই প্রার্থী হতে চাইছে। যারা সেই সুযোগ পায়নি, তাদের বিরোধীরা মদত দিচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ রয়েছে। জনতার রায় শাসক দলের পক্ষেই যাবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, এটা তৃণমূলের নিজস্ব বিষয়। নিজেদের মধ্যে ওরা লড়াই করছে। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে। আর এই গণ্ডগোলের জন্য সাধারণ মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাই এলাকায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করেছে সবং থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার তৃণমূল নেতারা রাজনৈতিক হুমকি, সন্ত্রাস চালাচ্ছিল এই পরিবারের ওপর। তাঁর জমিতে তৃণমূল দীর্ঘদিন চাষ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। তারা জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাদের কোনও আস্থা নেই। এই ঘটনার পর পরিবারে উঠেছে কান্নার রোল। এলাকা জুড়েও শোকের ছায়া। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কী অভিযোগ করল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    কী জবাব দিল তৃণমূল?

    যদিও এই ঘটনায় অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতির দাবি, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। একটি মৃত্যুকে সম্পূর্ণ রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল রক্তের হোলি খেললে বিজেপিকেও সেই খেলায় নামতে হবে, চরম হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি তৃণমূল কংগ্রেস ভাবে রক্তের হোলি খেলবে, তাহলে বিজেপিকেও (BJP) সেই খেলায় নামতে হবে। তখন যেন আমাদের কেউ দোষ না দেয় যে বিজেপি আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলছে না। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি বাধ্য হবে ব্যবস্থা নিতে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নির্বাচনী মিছিলে এসে রাজ্যে শাসক দল ও কমিশনকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন নবদ্বীপের শ্যামপুর বাজার থেকে রাওতারা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল করেন তিনি।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে নেমে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে আসছে। কোথাও বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়া, আবার কোথাও বিরোধী প্রার্থীদের মারধর এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। গতকাল মেদিনীপুরের সবংয়ে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক দল রক্তের হোলি খেলছে। আর তারা যদি এই খেলা বন্ধ না করে, তাহলে বিজেপিও বাধ্য হয়ে এই খেলায় নামবে। তখন যেন প্রশাসন বা কমিশন বিজেপিকে কিছু না বলতে আসে।

    উদয়ন গুহ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ

    কোচবিহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকা জুড়ে যত তৃণমূলের নেতা রয়েছেন, সবাই চোরাচালানোর সঙ্গে যুক্ত। তারা চায় জোর করে পঞ্চায়েত দখল করতে। কারণ বিএসএফের নিয়ম অনুসারে জন প্রতিনিধিদের কথা কিছুটা হলেও তাদের শুনতে হয়। আর এর মাথায় রয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এই গুন্ডা তৃণমূলে থাকবে, ততদিন এই চোরাকারবার এবং সংঘর্ষ চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, তিনি সব সময় বিএসএফ থেকে শুরু করে আর্মিদেরও টার্গেট করে মন্তব্য করেন। কিন্তু জীবন বাঁচানোর সময় এলে আর্মি বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বিপদে পড়েছিল। তখন আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নামতে হয়েছিল। আবার বলতে হল আমার ছোটবেলায় আর্মিতে কাজ করা খুব ইচ্ছে ছিল। যার ইচ্ছা থাকবে, সে কখনও আর্মি সম্পর্কে এই ধরনের কথা বলে? যখন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল, তখন ইমরান খান এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মিলে গিয়েছিল।

    পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানের নামুক। ভালো খেলোয়াড় না হলে খেলে মজা হয় না। উনাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় হারাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share