Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Vote: প্রার্থীর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত্যাহার! অভিযোগ ঘিরে হইচই রানিগঞ্জে

    Panchayat Vote: প্রার্থীর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত্যাহার! অভিযোগ ঘিরে হইচই রানিগঞ্জে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসের বলি হয়েছে ১১টি তাজা প্রাণ। এবার প্রশাসনের মদতে শাসক দলের বিরুদ্ধে নিঃশব্দ সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল। প্রার্থীর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের অভিযোগ আসানসোলে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রানিগঞ্জে।

    ঠিক কী অভিযোগ? 

    রানিগঞ্জ ব্লকের পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) সমিতির ৬ নং আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী বিকাশচন্দ্র মাজি। অভিযোগ, তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন না, তবুও তাঁর সই জাল করে প্রার্থীপদ প্রত‍্যাহার করানো হয়েছে। এই অভিযোগে বুধবার রানিগঞ্জ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন দফতর ঘেরাও করা হয় সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে।

    কী বলছেন বিরোধী নেতৃত্ব? 

    সিপিআই(এম) রানিগঞ্জের সম্পাদক সুপ্রিয় রায় বলেন, ‘‘বিকাশচন্দ্র মাজি কোনও ভাবেই সশরীরে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। বিডিও বলছে, শেষ দিনে তা প্রত্যাহার হয়ে গেছে। যা এক আশ্চর্যজনক ঘটনা।’’ সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, এই ক্ষেত্রে প্রার্থীর সই জাল করে মনোনয়ন প্রত‍্যাহার করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২১ ও ২৬ জুন এই বিষয়ে রাজ‍্য নির্বাচন কমিশন ও জেলা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তারা। কিন্তু বিষয়টির কোনও সুরাহা হয়নি। তাঁদের দাবি, বিডিওকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনিও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। প্রার্থীকে নির্বাচনে (Panchayat Vote) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অনড় তাঁরা। একই সঙ্গে যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তিরও দাবি জানায় সিপিএম। 

    কী বলছেন বিডিও?

    রানিগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিক ব্যানার্জি বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। আমি সমস্ত রকম তদন্ত করে দেখেছি। সমস্ত রকম প্রমাণ রয়েছে। ভিডিওগ্রাফিও রয়েছে। প্রার্থী নিজে সই করে প্রত্যাহার করেছে।’’

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙন তৃণমূলে। এবার নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur)। নির্বাচনী প্রচার সভায় দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এলাকায় দল আরও শক্তিশালী বলে দাবি বিজেপির। অপর দিকে রাজ্যপালকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভকে অনৈতিক বললেন দিলীপ।

    যোগদান বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য

    যোগদান সভায় (Paschim Medinipur) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল থেকে প্রায় ৫০০ জন কর্মী দিলীপ ঘোষের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদান প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ে বিজেপির উত্তর মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ দে বলেন, চার নম্বর কুণালপুর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দে সহ ২৭ জন অঞ্চল নেতৃত্ব সভায় এসে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুমাস ধরে বিজেপিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। আর এদিন দিলীপ ঘোষের হাত ধরে যোগদান করানো হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দল অনেকটাই শক্তিশালী বলে দাবি করলেন বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন দাস বলেন, বর্তমান শাসকদল দুর্নীতিগ্রস্থ। আমাদের কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দেয়নি শাসক দল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই আমাদের দলের মধ্যে অচ্ছুৎ করে রাখা হয়। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আমাদের উপেক্ষা করেন। তাই আমরা আজ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ের শিয়ারা গ্রামে বিজেপির নির্বাচনী গ্রামসভা আয়োজিত হয়েছিল। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্যপালকে ঘিরে যেভাবে শাসক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা অনভিপ্রেত। বিক্ষোভ দেখিয়ে কী হবে! রাজ্যপাল ভোট দেবেন না যেমন, ঠিক তেমনি তিনি ভোট নেবেনও না। এমনকী ভোট পরিচালনাও করবেন না তিনি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, অত্যাচার হয়েছে এমন সাধারণ মানুষের পাশে উনি দাঁড়াচ্ছেন। আর তাই রাজ্যপালকে তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Iskcon Rath Yatra: ইসকনের ‘পুনঃ রথযাত্রায়’ মায়াপুর যেন দেশি-বিদেশি ভক্তের মিলন ক্ষেত্র

    Iskcon Rath Yatra: ইসকনের ‘পুনঃ রথযাত্রায়’ মায়াপুর যেন দেশি-বিদেশি ভক্তের মিলন ক্ষেত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহা সমারোহে পালিত হল মায়াপুরের ইসকনে পুনঃ রথযাত্রা (Iskcon Rath Yatra) উৎসব। উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্ত। এদিন চন্দ্রোদয় মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়ি থেকে পুনরায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম। প্রতি বছর মহা সমারোহে দেশ জুড়ে পালিত হয় রথযাত্রা উৎসব। ইসকনের প্রধান কার্যালয় মায়াপুরেও প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয় এই রথযাত্রা উৎসব। আর এই উৎসবকে ঘিরে প্রশাসনের তরফেও থাকে কড়া নজরদারি। পাশাপাশি এই উৎসবকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকেও আগমন ঘটে অসংখ্য ভক্তের, এবছরও যার ব্যতিক্রম হয়নি।

    চন্দ্রোদয় মন্দিরে হল বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান (Iskcon Rath Yatra)

    গত ২০ শে জুন রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রভু জগন্নাথ দেব, মাতা শুভদ্রা ও প্রভু বলভদ্র নিজ বাড়ি থেকে এসেছিলেন ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দির বা গুন্ডিচা মন্দির তথা অস্থায়ী মাসির বাড়িতে। আর এখানেই প্রতিদিন আয়োজিত হয়েছিল বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের। ছিল ছাপ্পান্ন ভোগের আয়োজন। ২৮ শে জুন বুধবার অনুষ্ঠিত হল প্রভু জগন্নাথ দেবের পুনঃ রথযাত্রা উৎসব। এদিনও সকাল থেকেই ইসকনের চন্দ্রোদয় মন্দিরে শুরু হয় বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সহ বিশেষ পূজা-অর্চনা। সকাল থেকেই এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্ত সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু স্থানীয় নয়, দেশ-বিদেশের বহু ভক্ত সকাল থেকেই এই পুনঃ রথযাত্রা (Iskcon Rath Yatra) উৎসবকে ঘিরে ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে ভিড় জমাতে শুরু করেন।

    ৮০০ বড় শহরে ইসকনের তত্ত্বাবধানে রথযাত্রা (Iskcon Rath Yatra)

    ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, প্রতি বছর রথযাত্রা ও পুনঃ রথযাত্রা (Iskcon Rath Yatra) উৎসব ইসকনের প্রধান কার্যালয় মায়াপুর সহ ইসকনের পরিচালনায় দেশের শতাধিক জায়গায় যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়। আর সর্বত্রই এই উৎসবকে ঘিরে সমাগম হয় দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তের। পাশাপাশি তিনি জানান, প্রভু জগন্নাথ দেবের কৃপায় বর্তমানে ইসকনের এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রশান্ত পল্লি-রাজাপুর আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১০০ দেশের প্রায় ৮০০ বড় শহরে ইসকনের তত্ত্বাবধানে রথযাত্রা হয়। এছাড়া এবছরও পুরি থেকে জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর রথের তিনটি চাকা আনা হয়েছে এবং তা সকলের দর্শনের জন্য অস্থায়ী মাসির বাড়িতে রাখা আছে। বুধবার দুপুর আনুমানিক দু-টো নাগাদ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান শেষে তিনটি পৃথক সুসজ্জিত রথে প্রভু জগন্নাথ দেব, মাতা সুভদ্রা ও প্রভু বলভদ্রকে নিয়ে নাম সংকীর্তনের মাধ্যমে ভক্তরা রওনা দেন রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মেয়াদ ৩ মাস বেঁধে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলেও দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বুধবার পটাশপুরের জনসভা থেকে তাঁর আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার জনসমর্থন হারিয়েছে। এরই সঙ্গে শুভেন্দু বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ বিজেপি নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সবরকম চেষ্টা করবে। এদিন পটাশপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সারেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সভায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত। বামফ্রন্ট জমানাতেও ২০০৮ সালে জেলা পরিষদ দখল করতে সমর্থ হন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যাপক সাফল্যের ব্যাপারে তাই আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন পটাশপুরের নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ ১০০ দিনের কাজের নামে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে তৃণমূলের নেতারা। ১ কোটি ভুয়ো জব কার্ডের হদিশ মিলেছে। বিজেপি ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেনি, চুরি বন্ধ করেছে।’’ শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের কোনও কোনও গোষ্ঠী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং তারাও বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে বিজেপিই জিতবে। বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়াই হল বিজেপির লক্ষ্য।’’ 

    বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন বলেন, ‘‘জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমার বিধানসভা এলাকার ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে থানায় দেখা করার কথা বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের জেলবন্দি করার ষড়যন্ত্র চলছে। আগাম বুঝতে পেরে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রক্ষাকবচ নিয়েছি। তাই বিরোধীদেরও বলব, যাঁরা বুঝতে পারছেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারে তাঁরা যেন আগাম আদালতের রক্ষা কবচ নিয়ে রাখেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

     

  • Rath Yatra: বীরনগরে মুখার্জি পরিবারের তামা ও পিতল মিশ্রিত রথে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া

    Rath Yatra: বীরনগরে মুখার্জি পরিবারের তামা ও পিতল মিশ্রিত রথে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহ দুয়ার মুখার্জি পরিবার। নামটা অতি পরিচিত নদিয়ার বীরনগরবাসীর কাছে। প্রায় ৭০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এবং মিশ্রিত ধাতুর তৈরি রথে পূজিত হন আরাধ্য দেবতা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা (Rath Yatra)। মুখার্জি বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, রথটি ৭০০ বছর আগে ঢাকা থেকে নদিয়ার ফুলিয়াতে আনা হয়। সেখানে ২০০ বছর অবস্থান করার পর নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জি পরিবারে। রথটি তৈরি তামা ও পিতল দিয়ে। রথের চাকাও তৈরি মিশ্রিত ধাতু দিয়ে। এখনও মুখার্জি পরিবারে গেলে দেখা যাবে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া। সুদর্শন কারুকার্যের মধ্যে দিয়ে এখনও ফুটে ওঠে ইটের প্রাচীর।

    রথ উৎসবের (Rath Yatra) দিন সবাই একত্রিত হন

    একটা সময় দেশ-বিদেশ থেকে পণ্ডিতরা আসতেন। ধুম ধাম করে পালিত হত রথ উৎসব (Rath Yatra)। উৎসব শেষে পণ্ডিতরা দীর্ঘদিন ওই স্থানে বসবাস করতেন। কিন্তু হঠাৎই গভীর রাতে চুরি করার উদ্দেশ্যে ছক করে একদল ডাকাত। এরপর চুরি করে নেয় রথের সারথি ও মূল্যবান বেশ কিছু ধাতু। তারপর থেকে সারা বছরই বিগ্রহ দেবতাদের রাখা হয় মুখার্জি বাড়ির একটি শিব মন্দিরে। তবে সেকালের রথ উৎসবের জাঁকজমকে এখন অনেকটাই ঘাটতি পড়েছে। চিরাচরিত প্রথা মেনে রথ উৎসব পালন হলেও আগের মতো আর মানুষের আনাগোনা দেখা যায় না। তবে পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও এই রথ উৎসবের দিন সবাই একত্রিত হয়ে পালন করেন রথ উৎসব। মিশ্রিত ধাতুর রথের চারদিকে ঘুরলে দেখা যাবে সেকালের শিল্পীদের অপূর্ব কারুকার্য, যা এখনকার শিল্পীদের ভাবনার বিষয়। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী রথের রশিতে টান দেন মুখার্জি পরিবারের বংশধররা। এর পরে একই জায়গাতে রেখে দেওয়া হয় মিশ্রিত ধাতুর তৈরি রথ সহ আরাধ্য দেবতা জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা দেবীকে।

    এখনও নিয়মিত পালিত হয় এই রথযাত্রা (Rath Yatra)

    আজ উল্টোরথ, সকাল থেকেই রথকে সাজানো হয় সুন্দরভাবে। বিকেলের পরে হরিনাম সংকীর্তন করে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হবে আবার শিব মন্দিরে। বংশের ৩৬ তম বংশধর অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ৭০০ বছর আগে ঢাকা থেকে এই রথটি ফুলিয়া এলাকায় ছিল প্রায় ২০০ বছর ধরে। বিভিন্ন কারণে পরবর্তীকালে ওই রথ নিয়ে এসে নিজেদের বাড়িতে একটি মন্দিরে রাখে আমাদের এই বংশধরের। প্রাচীন সেই রীতি মেনেই এখনও নিয়মিত পালিত হয় এই রথযাত্রা (Rath Yatra)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতি, চলল বোমা-গুলি! আতঙ্ক এলাকায়

    Malda: ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতি, চলল বোমা-গুলি! আতঙ্ক এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার মালতীপুর (Malda) দুর্গা মন্দিরের পাশে এক সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি। আটজনের ডাকাতদল ওই সোনার দোকানে সামনে এসে বোমা ফাটায়, গুলিও ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মালিক সহ মোট তিনজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানের মালিকের নাম গৌতম সেন। বাড়ি চাঁচলে। মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কী ভাবে ঘটনা ঘটেছে (Malda)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর সন্ধ্যায় আটজনের ডাকাতদল চারটি বাইক নিয়ে ওই সোনার দোকানের সামনে হাজির হয়। ডাকাতি করার আগে প্রথমে কয়েকটি বোমা ফাটায়। তারপর দোকান মালিককে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। গুলি লাগা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন দোকানের মালিক, একজন কর্মচারী এবং একজন ক্রেতা। এরপর দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকাপয়সা ও দোকানের সোনা, রুপোর অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডাকাতদল। গুলির ঘায়ে জখমদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য চাঁচল (Malda) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    ডাকাতদল ঠিক কত টাকা ও কত পরিমাণ সোনা, রুপোর অলঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। খবর পেয়ে চাঁচল থানার (Malda) আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুণ্ডুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আইসি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চারদিকে নাকা চেকিং চলছে। খুব শীঘ্রই সোনার দোকানে ডাকাতি কাণ্ডে অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে।

    আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    দোকানে ডাকাতির ঘটনাটি চাউর হতেই মালতীপুরে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। ভর সন্ধ্যায় ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্কিত মালতীপুরের (Malda) বাসিন্দারা। মালতীপুরের বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতা আদিত্যনারায়ণ দাস বলেন, ঘটনার পর এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন। মালতীপুর জনবহুল এলাকা। জনগণের চোখের সামনেই ডাকাতদল প্রথমে বোমা ফাটায় এবং এরপর গুলি চালিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। আর ঠিক এরপরেই ওই দোকানটি লুট করে চম্পট দিল ডাকাতদল। ফলে এই ঘটনায় দোকান ব্যবসায়ীরা সকলেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই এলাকায় জোরদার পুলিশি নিরাপত্তার দাবি করেছেন বাসিন্দারা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর চোট কি রাজনৈতিক! সুস্থতা কামনা করেও তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

    Paschim Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর চোট কি রাজনৈতিক! সুস্থতা কামনা করেও তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে খড়্গপুরে (Paschim Medinipur) চা চক্রে যোগ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন?

    মুখ্যমন্ত্রী পায়ে চোট পেয়েছেন। আশা করি মুখ্যমন্ত্রীর চোট তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে উঠবে। তবে এটা মুখ্যমন্ত্রীর কি আসল চোট, নাকি রাজনৈতিক চোট? বুঝতে পারছি না! ভোট এলে অনেকেরই চোট লেগে যায়। সব সময় সেনাকে গালাগাল দেন আর সংকটের সময় সেনার কাছেই যেতে হয়, কটাক্ষ দিলীপের।

    শ্রীনু নাইডু হত্যা কেসে মন্তব্য (Paschim Medinipur)

    শ্রীনু নাইডু হত্যা মামলা খড়্গপুরকে (Paschim Medinipur) নাড়িয়ে দিয়েছিল। দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল আমাকেও ওই মামলায় ঢোকানোর চক্রান্ত করেছিল। একটা এত বড় হত্যা হয়ে গেল, সেখানে কেউ সাজা পেল না, সবাই ছাড়া পেয়ে গেল? প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ। এভাবে দোষীরা সাজা না পেলে খড়্গপুরে আবারও হিংসা বাড়বে। পঞ্চায়েত ভোটে জেতার জন্যই কি খালাস করে দেওয়া হল মাফিয়াদের? প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ।

    আরও কী বললেন

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে রাজ্যের শাসক শিবিরের দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের (Paschim Medinipur) দাবি, এই রাজ্যে ঐতিহাসিক দুর্নীতি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এক গলা গঙ্গা জলে দাঁড়িয়ে বলেন বিজেপি চোর তাহলেও কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ তাঁর ডানদিক বামদিক সবদিকেই চোরেরা ভর্তি। সারা দেশ জুড়ে যখন বিজেপির এবং মোদিজীর সমর্থন বাড়ছে, তখন সব চোরেরা একজোট হয়েছেন। হাম সব চোর এক-এই স্লোগান দিয়ে পাটনায় একজোট হয়েছে। এভাবেই তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। 

    সারা রাজ্য জুড়ে বোমাবাজি হচ্ছে। এখনও প্রচুর জায়গায় বোমা-বন্দুক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশের এগুলো খুঁজে বার করা উচিত। বোমা-বন্দুক উদ্ধার না হলে পঞ্চায়েত ভোট রক্তাক্ত হবে, অনেক জীবনহানি হবে। অনেক জায়গায় আবার সিভিক পুলিশ দিয়ে বোমা রেখে আসা হচ্ছে লোককে ভয় দেখানোর জন্য। সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে সমস্ত বোমা উদ্ধার করা উচিত। মাফিয়াদের সাথে তৃণমূলের এগ্রিমেন্ট হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে। নির্বাচনে মাফিয়ারা সাহায্য করবে তৃণমূলকে, ঠিক এভাবেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া। কয়লা, বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। তাই ও চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।” গতকাল প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

    কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে নেমেছে। তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে বলেন, চার বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এই চার বছরে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি। রানাঘাটবাসীর জন্য কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন, এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখবো না।

    বিজেপি (BJP)  সাংসদের বক্তব্য

    গতকাল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রানাঘাটে সভার পর বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিষেকের মতো বড় বড় বাতেলা মারি না। কয়লা চুরি থেকে শুরু করে বালি চুরির বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে যেতে যেতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে অভিষেকের। সেই কারণে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। রানাঘাটবাসীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, অভিষেকের জানা উচিত ভারতবর্ষের কোনও কৃষক রেল তার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আনা যায় না।। আমি রানাঘাটে কৃষক রেল চালু করেছি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০০০ লাইটের ব্যবস্থা করেছি রানাঘাট কেন্দ্রে। তার মূল্য কি কোনওদিন তৃণমূল হিসাব করে দেখেছে? অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছি, তা তৃণমূলের কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলে ফুলিয়ায় ৬০ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তৃণমূলের কোনও সাংসদ এমন কাজ করতে পেরেছেন! পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lord Jagannath: গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ ভান্ডার লুট! এর নেপথ্য কাহিনী জানেন?

    Lord Jagannath: গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ ভান্ডার লুট! এর নেপথ্য কাহিনী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দুশো আশি বছর ধরে চলে আসছে গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। উল্টো রথের ঠিক আগের দিন মঙ্গলবার ভান্ডার লুট উৎসব অনুষ্ঠিত হল এখানে। স্থান ভেদে রথযাত্রার উৎসব এবং অনুষ্ঠানে কিছু বৈচিত্র ধরা পড়ে। দেখা যায় বিশেষ কিছু রীতি। গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় (Lord Jagannath) সেরকই উৎসব হল ভান্ডার লুট। যেখানে ভক্তরা প্রসাদ লুট করেন।

    ভান্ডার লুট উৎসবের লৌকিক কথা

    ভান্ডার লুট উৎসব শুরু হল কীভাবে? প্রতিটি স্থানীয় উৎসবের পিছনে থাকে একটি লৌকিক গল্প। গুপ্তিপাড়ার ভান্ডার লুট উৎসবেও রয়েছে একটি প্ৰচলিত গল্প। লৌকিক কথা অনুসারে, একবার প্রভু জগন্নাথ দেব রথে চড়ে মাসির বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু কোনওভাবেই বাড়ি থেকে আর বৈকুণ্ঠধামে ফিরছেন না। জানা গেল, লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে ঝগড়া করে আসার কারণেই তিনি মাসির বাড়ি থেকে ফিরতে চাইছেন না। ওদিকে বৈকুণ্ঠধামে লক্ষ্মীদেবী বেশ চিন্তিত। ভাবছেন প্রভু নিশ্চয়ই পরকীয়াতে জড়িয়েছেন! তাই তাঁর সংসার বা দেবলোকে মন নেই। কী করা যায়? এমন অবস্থায় দেবতাদের পরামর্শ নিলেন লক্ষ্মীদেবী। সেই পরামর্শ মতো লক্ষ্মীদেবী পঞ্চমীতে এসে সরষে পোড়া দেন। এই অনুষ্ঠান লক্ষ্মী বিজয় বা হোরা পঞ্চমী নামে খ্যাত। কিন্তু তাতেও কাজ হয় না। তখন বৈকুণ্ঠের দেবতারা প্রভু বৃন্দাবনচন্দ্র ও কৃষ্ণচন্দ্রকে পাঠান। প্রভুর মাসির বাড়ির সমস্ত সুস্বাদু খাবার, পানীয় লুট করে নেওয়ার জন্য। খাদ্য ভান্ডার শেষ হলে প্রভু জগন্নাথ বৈকুণ্ঠধামে ফিরবেন এই ভরসায়। তখন থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে এই উৎসব।

    ভান্ডার লুটে কী হয়?

    গুপ্তিপাড়ার মাসির বাড়ির গর্ভগৃহে প্রচুর পরিমাণ সুস্বাদু খাদ্য সাজানো থাকে। মূল চারটি দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মন্দির থেকে বিগ্রহ আসার পর নারায়ণ বা শালগ্রাম শিলা পিছন দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে। এরপর শুরু হয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এর পর এক সঙ্গে সংকেত দেওয়ার পর সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। তখন এক ফাঁকে ভক্তরা কায়দা মতো মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে ও সমস্ত প্রসাদ লুট করে। এটাই ভান্ডার লুট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ১১ জন কুড়মি নেতাই জামিন পেয়ে গেলেন! 

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ১১ জন কুড়মি নেতাই জামিন পেয়ে গেলেন! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগে ধৃত কুড়মি (Abhishek Banerjee) নেতারা জামিন পেলেন। জানা গিয়েছে, জামিনে মুক্ত হলেও আপাতত অনুপ মাহাতো ছাড়া বাকি সবাইকে জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে। কারণ কুড়মি নেতা অনুপ মাহাতো বাদে রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো সহ গ্রেফতার হওয়া মোট ১০ জন নেতা ও আন্দোলনকারীর নামে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। শাসকদলের অভিযোগ ছিল, ঘটনায় ষড়যন্ত্র অন্য কোথা থেকে পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে। কিন্তু কুড়মি নেতাদের জামিন মেলায়, এই অভিযোগ ধোপে টিকল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা।

    মে মাসের ২৬ তারিখ ঝাড়গ্রামে ঘটে এই ঘটনা

    গত মে মাসের ২৬ তারিখ নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন ঝাড়গ্রাম থানার গড়শালবনি এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলা এবং মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার রাত্রেই ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ আদিবাসী নেগাচারি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি অনুপ মাহাতো সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তার পরের দিন ওড়িশা সীমানা লাগোয়া এলাকার নয়াগ্রাম থানা এলাকা থেকে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি (Abhishek Banerjee) সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতো সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সিআইডি তদন্তভার নেয় 

    পরে মামলা তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। ঘটনা তদন্তে নেমে সিআইডি আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় মোট গ্রেফতার হয় ১১ জন। সিআইডি রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতোকে নিজেদের হেফাজতের চেয়েও পায়নি। এই প্রভাবশালী কুড়মি নেতাদের জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিন গড় শালবনির ঘটনায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি চালক এবং ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি নবু গোয়ালা ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সিআইডি-র মামলাটি ঝাড়গ্রামের এডিজে-১ আদালতে চলছিল। সোমবার ঝাড়গ্রামের এডিজে-১ আদালত রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো, অনুপ মাহাতো সহ মোট ১১ জন কুড়মি (Abhishek Banerjee) নেতা ও আন্দোলনকারীর জামিন মঞ্জুর করে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অশ্বিনী মণ্ডল ও তপন চৌধুরী বলেন,‘‘এই মামলার তদন্তে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসেনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share