Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rajya Sabha Election: পঞ্চায়েতের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার নির্বাচনের! ভোট কবে?

    Rajya Sabha Election: পঞ্চায়েতের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার নির্বাচনের! ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার ভোটের (Rajya Sabha Election)। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাতটি রাজ্যসভা আসনে ভোট হবে আগামী ২৪ জুলাই। ভোটগণনা হবে ওই দিন সন্ধেতেই। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, ছ’জন রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এই নির্বাচন হচ্ছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। মেয়াদ শেষের আগেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইস্তফা দেন তিনি। ২০২১ সালের তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষের মেয়াদ শেষ হলে সেই কোটায় পাঠানো হয় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই ওই সপ্তম আসনটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    ২০১৭ সালে এই আসনগুলিতে নির্বাচন হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) সাংসদদের মেয়াদ থাকে ৬ বছরের জন্য। ২০১৭ সালের নির্বাচনে ছ’টি আসনে নির্বাচন হয়। যার মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছিল তৃণমূল। ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তা ছেত্রী এবং মানস ভুঁইয়া। পরে মানস ইস্তফা দেন। সেই আসনে জেতেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব। ২০২৩ সালে তাঁদের সকলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অন্য দিকে, ২০১৭ সালে জয়ী কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যেরও মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই দফায়। প্রসঙ্গত, বাম কংগ্রেসের একজনও বিধায়ক নেই এরাজ্যে। তাই রাজ্যসভার নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

    একটি আসনে জয়ের জন্য ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার

    প্রসঙ্গত, একটি আসনে জয়ের জন্য সরাসরি ৪২ জন বিধায়কের সমর্থনের প্রয়োজন। ফলে বিধানসভার সংখ্যার ভিত্তিতে তৃণমূল পাঁচটি এবং বিজেপি একটিতে জিততে পারে।  বাংলার পাশাপাশি ২৪ জুলাই গুজরাতের তিন এবং গোয়ার একটি রাজ্যসভা আসনেও ভোটগ্রহণ এবং গণনা হবে বলে এদিন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Satabdi Roy: প্রচারে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী, শুনতে হল নানা সমস্যার কথা

    Satabdi Roy: প্রচারে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী, শুনতে হল নানা সমস্যার কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিক্ষোভের মুখে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। পানীয় জলের সমস্যা, বিধবা ভাতা না পাওয়া সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমেছেন সাংসদ শতাব্দী রায়। আর এই প্রচারে নেমেই বারংবার তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। দুদিন আগেই সিউড়ি-১ ব্লকের বড়গ্রামে তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। মঙ্গলবার দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাই গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কালী মন্দিরের কাছে শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। আর এই গ্রামেই বাড়ি তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের। যাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে তাঁকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ১৫ জনের কোর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় এই ব্লকে। উল্লেখ্য, এর আগেও দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বারংবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তারপর ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারেও সেই একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। 

    কী বললেন বিক্ষোভকারী মহিলা?

    বিক্ষোভকারী মহিলা বলেন, তৃণমূল এখানে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। চরম সমস্যা হয় আমাদের। সাংসদকে (Satabdi Roy) সেই সমস্যার কথা বললাম। বিধবা ভাতা পাচ্ছি না। সেটাও জানানো হল। কোনও কাজই তৃণমূল করেনি। সাংসদকে সেটাই বলেছি।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Satabdi Roy)? 

    তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy) সাংবাদিকরা বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বার বারই সেই একই প্রশ্ন। এর আগে বলেছি। নতুন কোনও প্রশ্ন থাকলে আমি উত্তর দিতে রাজি আছি। এসবের আমি কোনও উত্তর দেব না।

    গোঁজ প্রার্থী নিয়ে কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Satabdi Roy)? 

    দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাইয়ের জনসভা থেকে গোঁজ প্রার্থীর প্রসঙ্গ তুলে এবার দলের নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। তিনি বলেন, দলে থেকে দলকে হারানোর জন্য গোঁজ প্রার্থীদের যারা উৎসাহ দিচ্ছেন এবং দলের সঙ্গে বেইমানি করছেন তাদের খুঁজে বের করতে দু’মিনিট লাগবে ও শাস্তি দিতেও দু’মিনিট লাগবে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বীরভূম জেলাতেও ইতিমধ্যে এই গোঁজ প্রার্থী হওয়ার কারণে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ জনকে। তারই মধ্যে এবার গোঁজ প্রার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার কারণে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: তৃণমূলের জেলা সম্পাদক এবং ব্লক সভাপতির কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে শাসক দল

    Purba Bardhaman: তৃণমূলের জেলা সম্পাদক এবং ব্লক সভাপতির কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শাসক দলে ভাঙন পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়লেন জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অভিজিৎ সোম সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। মঙ্গলবার বিকালে অভিজিৎ সোম তাঁর দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। ফলে নির্বাচনের আগে তৃণমূল ফের অস্বস্তিতে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক (Purba Bardhaman)?

    বর্ধমান (Purba Bardhaman) ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি তা-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিজিৎ সোম বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তাঁদের সঙ্গে ব্লক সভাপতি কোনও আলোচনা করেননি। কীভাবে দেওয়াল লিখন হবে বা ভোটপ্রচার হবে, সব ব্যাপারেই আমরা অন্ধকারে আছি। ব্লক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পার্টির কর্মসূচি সম্বন্ধে আমাদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। তাঁর আরও অভিযোগ, যে বাড়িতে আমরা দলীয় কার্যালয় খুলেছি, সেই বাড়ির মালিককে দলের অঞ্চল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন হুমকি দিচ্ছে বলে বাড়ির মালিক জানিয়েছেন। বাড়ির মালিককে পার্টি অফিস করার জন্য ঘর দিতে নিষেধ করা হয়েছে। সেসব কারণেই আমরা দলের পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ যা কিছু ছিল, সবই এলাকার বিভিন্ন সংস্থাকে দান করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে তাঁরা শুধু নিছকই সাধারণ ভোটার হিসাবেই থাকবেন।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    এবিষয়ে ব্লক (Purba Bardhaman) সভাপতি কাকলি তা পাল্টা বলেন, অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে অভিজিৎ সোম কোনও রকম যোগাযোগ রাখতেন না, আলাপ আলোচনা করতেন না। তিনি কেবল মাত্র শহর কেন্দ্রীক দল করেন। তাই তাঁর থাকা বা না থাকাতে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁকে দল আগেও সম্মান দিয়েছিল, এখনও তাঁকে দল পদ দিয়ে সম্মান দেয়। আমাদের দলে কোনও বিভাজন বা গোষ্ঠীকোন্দল নেই বলে তিনি সাফ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্কে পুরুষশূন্য গোটা গ্রাম। চারদিন অনাহারে গ্রামের মহিলা সহ শিশুরা। প্রাণের ভয়ে গ্রাম ছাড়ছেন অনেকে। কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে গোটা গ্রাম। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে তৃণমূল (TMC)-সিপিএম সংঘর্ষে গত চারদিন ধরে এই চিত্র পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ নং ব্লকের কলাগাড়া গ্রামের। কবে ফিরবে গ্রামের শান্তি, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অসহায় গ্রামবাসীরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে গোটা রাজ্যের সঙ্গে অশান্তির কবলে পুরুলিয়া। জানা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ২৪ জুন গ্রামে সিপিএমের একটি সভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেই সভায় তৃণমূল (TMC) হামলা চালায়। ছোড়া হয় ইট, পাটকেল। ঘটনার পর পরই সিপিএমের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করা হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষও সামিল হন। আর এর পরেই ২৫ জুন দিনভর কলাগাড়া গ্রামে লাগাতার হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। অবস্থা সামাল দিতে গ্রামে ছুটে আসে রঘুনাথপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। গোটা ঘটনায় অতঙ্কিত গ্রামের মহিলা ও শিশুরা। গ্রামে ফিরতে পারছেন না পুরুষ সদস্যরা। যে কজন মানুষ গ্রামে রয়েছেন, তাঁদেরকেও পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। গ্রামের দোকানপাট বন্ধ থাকায় খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। অনাহারে গ্রামের মহিলা ও শিশুরা। নেই প্রশাসনের কোনও সাহায্য। আর সিপিএমের যে দুই প্রার্থীর সমর্থনে গ্রামে এত গণ্ডগোল, তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, নির্বাচনের আগে গ্রাম দখল করতে ও এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে তৃণমূল (TMC) গ্রামে হামলা চালিয়ে বহু বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গৃহহীন হয়ে পড়ে এলাকার সাধারণ মানুষ। আর ভোট না হতেই দলেরই দুই প্রার্থীকে ওরা নিজেদের দলে নিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, কোথাও কোনও সন্ত্রাস করা হয়নি। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। সিপিএম আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আর দুজন সিপিএম প্রার্থী আমাদের দলে স্বেচ্ছায় এসেছে। জোর করে কাউকে আমাদের দলে নেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: খড়্গপুরে শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনই বেকসুর খালাস!

    Paschim Medinipur: খড়্গপুরে শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনই বেকসুর খালাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়্গপুরের (Paschim Medinipur) এক সময়ের ত্রাস শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিলেন বিচারক। বিচারকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সরকারি পক্ষের আইনজীবী সমরকুমার নায়েকের। শ্রীনু নাইডুর স্ত্রী পূজা নাইডু বলেন, আইনের প্রতি বিশ্বাস আমার চলে গেল। হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন করব।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য, রেল শহরের (Paschim Medinipur) এক সময়ের ‘ত্রাস’ শ্রীনু নাইডু খুনের রায় ঘোষণা হল দীর্ঘ ছয় বছর পর। ২০১৭ সালের ১১ই জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন শ্রীনু। দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হন শ্রীনুর ডান হাত ধর্মা রাও। জখম হন আরও তিনজন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই বছরই ২৮ শে ফেব্রুয়ারি অন্ধপ্রদেশের তানুকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাসব রামবাবুকে। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পড়েছিল মেদিনীপুর আদালতে। খড়্গপুরে এক সময়ের রেল মাফিয়া বাসব রামবাবু সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয় এই মামলায়। দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ঘোষণা হল রেল শহরের অন্যতম মাফিয়া শ্রীনু নাইডু হত্যা মামলার রায়। অপর দিকে রায় অপ্রত্যাশিত বলে দাবি সরকারি পক্ষের আইনজীবীর।

    স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরের বক্তব্য

    স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সমরকুমার নায়ক বলেন, কোর্টের আদেশকে প্রভাবিত করা হয়েছে। এই মামলায় (Paschim Medinipur) সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের বিষয়কে উপেক্ষা করে রায় ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত অনভিপ্রেত এই রায়। যেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার তথ্য, যাঁরা গুলি খেয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাঁরা সবাই দোষীদের চিহ্নিত করেছেন। ফলে, এই আদেশে বিচারক প্রভাবিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী। তিনি বলেন, আমরা বিচারে খুশি নই। এসপির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে কেস ফাইল করব।

    আসামি পক্ষের উকিলের বক্তব্য

    আসামি পক্ষের আইনজীবী (Paschim Medinipur) অজয়কুমার ঘোষের বক্তব্য, ১৩ জন আসামি যারা ছিল, তাদের সকলকেই এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক। মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে অজয়বাবু বলেন, যদি দোষীরা কেউ অন্য মামলায় গ্রেফতার না হয়ে থাকেন, তাহলে মুক্তি পাবেন। আর যদি গ্রেফতার হয়ে থাকেন তাহলে মুক্তি পাবেন না। কিন্তু এই মামলায় ১৩ জন সকলেই অব্যাহতি পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বারাসতে তৃণমূলের কাউন্সিলারকে বেধড়ক পেটাল দলেরই এক নেতা, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: বারাসতে তৃণমূলের কাউন্সিলারকে বেধড়ক পেটাল দলেরই এক নেতা, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতা দখলের লড়াই। আর তার জেরে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া বারাসতের হেলাবটতলা এলাকায়। দলেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হয়ে রক্তাক্ত হলেন বারাসত পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত পাল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বুড়ো নামে এক ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতার পরিচয় দিয়ে টোটো, অটো এবং ভ্যানরিক্সা থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করে বলে দলেরই অন্য গোষ্ঠীর অভিযোগ। ঘটনাচক্রে আইএনটিটিইউসির হেলাবটতলা ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে এখনও বর্তমান রয়েছেন অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বুড়ো। আর দলের সেই পদ ব্যবহার করে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টোটো রুট তিনি চালু করেন। বিষয়টি জানার পরই মঙ্গলবার দুপুরে দলবল নিয়ে সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতে যান ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার দেবব্রত পাল। তখনই দুই পক্ষের প্রথমে বচসা বাধে। পরে, তা সংঘর্ষের আকার নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বারাসত থানার পুলিশ। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং বারাসত-বারাকপুর নীলগঞ্জ রোডে। পরে অবশ্য পুলিশ দুই পক্ষকে লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার?

    ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার দেবব্রত পাল বলেন, বুড়ো এক সময় বিজেপি করত। এখন আমাদের দলে আসলেও কোনও পদ নেই। নিজেকে সে নেতা দাবি করে আমার ওয়ার্ডে টোটো রুট চালু করেছে। কাউন্সিলার হিসেবে আমি জানি না। ফলে, আমি প্রতিবাদ করেছি। ও চড়াও হয়েছে। ও একজন সমাজবিরোধী। দলে এই ধরনের লোকের কোনও জায়গা নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নতুন কোনও টোটো রুট চালু করব না। ও নিজের মতো করে এসব করেছে। আর দলের কোনও কর্মী কাউন্সিলারের গায়ে হাত তুলতে পারে না। ও দলের কেউ নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা, রাজনৈতিক আক্রোশই কি কারণ?

    Malda: মালদায় বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা, রাজনৈতিক আক্রোশই কি কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত থেকেই নিখোঁজ। তার পর আজ বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে এক বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল। ওই বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মী মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Malda)?

    ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বৈষ্ণবনগর (Malda) থানার সব্দলপুর এলাকায়। জানা গেছে, ওই বিজেপি কর্মীর নাম অজিত মণ্ডল। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর কাকা অনিল মণ্ডল, বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী। রাজনৈতিক আক্রোশের কারণেই এই ঘটনা হতে পারে, অনুমান পরিবারের। তবে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পরিবারের সদস্যদের কাছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি অজিত মণ্ডল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে দূরে শ্মশান কালী মন্দিরের পাশের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।‌

    পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি (Malda) কর্মী অজিত মণ্ডলের মেয়ে সীমা মণ্ডল বলেন, বাবা বিজেপি করতেন। সকাল বেলা আমার ঠাকুমা মাঠে গেলে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা পড়ে রয়েছে। গতকাল রাতে ভোটের কাজে বেরিয়েছিলেন, তারপর বাবা বাড়িতে আর আসেননি। এরপর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিছুই জানতে পারিনি। বাবাকে দুষ্কৃতীরা পেটের মধ্যে চাকু দিয়ে আঘত করেছে এবং অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীমা। বাবা নিজে নির্বাচনের প্রার্থী না হলেও ভোটের প্রচারের কাজে যেতেন। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। অজিত মণ্ডলের স্ত্রী বলেন, উনার শরীরের অবস্থা ভালো নয়। আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Road Accident: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে লরি পিষে দিল মারুতিকে, প্রাণ গেল স্বামী, স্ত্রী, চালকের

    Road Accident: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে লরি পিষে দিল মারুতিকে, প্রাণ গেল স্বামী, স্ত্রী, চালকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে মেয়ের কাছে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে সস্ত্রীক বাড়ি ফিরছিলেন রণজিৎ মণ্ডল নামে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। দমদম এয়ারপোর্ট থেকে প্রাইভেট গাড়ি করে ফেরার পথেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Road Accident)। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। দুর্ঘটনায় রণজিৎ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রণজিৎ মণ্ডল (৬৪) ও তাঁর স্ত্রী বিজলী মণ্ডল (৫৯)। তাঁদের বাড়ি বর্ধমান শহরের আনন্দপল্লি এলাকায়। আর গাড়ি চালকের নাম বেচু ঘোষ (৩৪)। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুরের ঘোষপাড়ায়।

    ঠিক কী করে ঘটল দুর্ঘটনা (Road Accident)?

    এদিন ভোরে গুড়াপ থানার মাজিনান ব্রিজের কাছে তাঁদের চার চাকা গাড়ি দুটি লরির মাঝে পড়ে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন আরোহী। কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল ওই মারুতি গাড়িটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই মারুতি গাড়ির গতি ভালোই ছিল। সামনেই একটি ট্রাক যাচ্ছিল। ট্রাকটি গতি কমাতেই মারুতি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। আর ওই মারুতি গাড়ির ঠিক পিছনে আরও একটি ট্রাক ছিল। সেই ট্রাকটি মারুতি গাড়িটিকে পিষে দিয়ে চলে যায়। তার পিছনে থাকা আরও একটি লরি দুর্ঘটনার (Road Accident) কবলে পড়ে। পুলিশ দুটি লরি আটক করেছে। চালকরা পলাতক। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোর রাতে বিকট শব্দে আশপাশের এলাকা থেকে আমরা ছুটে আসি। কিন্তু, তালগোল পাকানো গাড়ি দেখে আমরা হতভম্ভ হয়ে যাই। গাড়ির ভিতর থেকে কাউকে বের করা যাচ্ছিল না। খবর যায় গুড়াপ থানায়। সেখান থেকে পুলিশ এসে গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির পাত কেটে তিনটি দেহ উদ্ধার করে। ততক্ষণে ওই তিনজনই মারা গিয়েছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য দেহগুলি পাঠানো হয়।

    কী বললেন মৃতের ভাই?

    দুর্ঘটনায় নিহত রণজিৎবাবুর ভাই কাজল মণ্ডল বলেন, ১৯ জুন বেঙ্গালুরুতে মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। চিকিৎসা করিয়ে দাদারা বেঙ্গালুরু থেকে ফিরছিলেন। মেয়ের বাড়ি থেকে সুস্থ হয়ে বর্ধমানে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। রাতে দমদম বিমানবন্দরে থেকে গাড়িতে উঠেছিলেন। ভোর চারটে নাগাদ গুড়াপ থানা থেকে আমাদের ফোন করে দুর্ঘটনার (Road Accident) খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রণজিৎবাবু বর্ধমান হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এই ঘটনার জেরে আনন্দপল্লি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দোকান বন্ধের ফতোয়া, তৃণমূলের হয়ে ভোটের ময়দানে সিভিক ভলান্টিয়ার!

    Murshidabad: দোকান বন্ধের ফতোয়া, তৃণমূলের হয়ে ভোটের ময়দানে সিভিক ভলান্টিয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানিনগর (Murshidabad) ১ নম্বর ব্লকের টেকা হাড়িভাঙ্গা এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ারের অত্যাচারের ঘটনায় সরব সাধারণ এক দোকানদার। সন্ধ্যা হলেই দোকান বন্ধের ফতোয়া দিচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ার। এলাকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ওই দোকানে চা খেতে আসেন বলেই নাকি দোকান বন্ধের নির্দেশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    এলাকায় (Murshidabad) চায়ের দোকান চালিয়ে নিজেদের সংসার চলে। এমনটাই জানালেন দোকানের মালিক এবং তাঁর স্ত্রী। স্ত্রী বলেন, একজন পুলিশ এবং সঙ্গে সাত-আট জন সিভিক দোকানে এসে গতকাল সন্ধ্যার পর হুমকি দেয়। হুমকি দিয়ে বলে, এখানে এত রাত পর্যন্ত কেন দোকান খোলা? অথচ আমরা দোকানের বাইরে বসে ছিলাম! দোকানদারের স্ত্রী আরও বলেন, আমাদের রাতের আশ্রয় এই দোকানেই। অথচ সিভিকরা হুমকি দেয়, দোকান ভাঙচুর করে দেবে! আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করে। ‘এখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এসে চা খান। সেই কারণেই দোকান খোলা যাবে না’-ঠিক এই ভাবেই দোকানদারের স্ত্রী দোকানে সিভিকের দৌরাত্ম্যের কারণ ব্যাখ্যা করেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি দুলাল মণ্ডল বলেন, সিভিকরা কোন আইনের বলে নির্বাচনের সময় এমন অভব্যতা করল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন সিভিকদের ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন? এছাড়াও তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কমিশনের কাছে যাবেন এবং প্রয়োজন পড়লে হাইকোর্টে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান।

    দোকানদারের বক্তব্য

    দোকানদার (Murshidabad) নান্টু শেখ বলেন, গত দু’দিন ধরে সিভিকরা রাত ৮ টার সময় এসে দোকান বন্ধ করার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। গতকাল রাতে আমরা রাতের খাবার খেয়ে দোকানের বাইরে বসেছিলাম। বাইরে তেমন লাইট ছিল না। সে জন্য ঠিক কারা কারা এসেছিল, তাদের চিনতে পারিনি। তবে ওরা যে সিভিক ছিল, সেটা বুঝতে পেরেছি। একটাই কথা বলছিল তারা, ‘দেখবি সব ভাঙচুর করব? চিনিস আমাদের! জানিস আমরা কারা?’ এই ঘটনায় নান্টু শেখ এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই অত্যন্ত আতঙ্কিত। নান্টু শেখ বলেন, হয়তো ভোটের সময় বলে এমন আচরণ করছে সিভিক। কিন্তু আমি তো কোনও রাজনীতি করি না। সিপিএম, তৃণমূল কোনওটাই করি না। তাহলে আমার সঙ্গে এমন করল কেন! তিনি আরও বলেন, পাশেই তৃণমূল করে এমন ব্যক্তির চায়ের দোকান রয়েছে। তাঁকে তো কোনও সিভিক গিয়ে দোকান বন্ধের ফরমান দিচ্ছে না। তাহলে আমার দোকানেই কেন? এরপর বলেন, আমার দোকানে যাঁরা চা খেতে আসেন, তাঁদের মধ্যে হয়তো অনেকে বিরোধী রাজনীতি করেন। আর তাই আমার দোকানকে টার্গেট করেছে সিভিক।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বারাসতে জব কার্ডের টাকা আত্মসাৎ, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    North 24 Parganas: বারাসতে জব কার্ডের টাকা আত্মসাৎ, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত (North 24 Parganas) ১ নম্বর ব্লকের কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়ানই গ্রাম। এখানকারই কবরস্থানের ভূমি উন্নয়ন ও গাছ লাগানোর জন্য বরাদ্দ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এবার প্রকাশ্যে এসেছে। মূল অভিযোগ তৃণমূলের নেতা এবং সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।

    কী ঘটেছে (North 24 Parganas)?

    মূল অভিযোগ হল, কালিয়ানই (North 24 Parganas) গ্রামের কবরস্থান সংস্কারের জন্য মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষে ভূমি উন্নয়ন ও গাছ লাগানোর জন্য ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ২০৮ টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, কবরস্থানের কোনও কাজই হয়নি। বরং সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে এলাকার তৃণমূল নেতা এবং কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা। রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের নেতানেত্রীদের মুখে বারবার কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের জব কার্ডের টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগের কথা শোনা যায়। অথচ মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের বোর্ড যে কাজের স্থানে বসানোর কথা ছিল, সেখানে না হয়ে, কবরস্থান থেকে প্রায় ৮০০ মিটার দূরে এক ব্যক্তির বাড়িতে পাওয়া গেল। ফলে স্থানীয় মানুষ দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন। স্থানীয় মানুষের আরও অভিযোগ, ওই ব্যক্তির বাড়িতে বোর্ড বসানোর জন্য প্রকল্পের সুপারভাইজার আবেদন করেন। সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময় বাড়ির সদস্যদের বোর্ডের সামনে বসিয়ে ছবি তুলে নিয়ে গেছেন পঞ্চায়েত প্রধান এবং সরকারি আধিকারিকরা। কাজ না করে কাজ দেখানোর অভিযোগ প্রশাসন এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোটরা (North 24 Parganas) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কামরুন নাহার। তৃণমূলের এই প্রধান বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ভাবে কালিমালিপ্ত করতেই এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য

    কোটরা (North 24 Parganas) গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিক শান্তনু বসাক বলেন, সবটাই মিথ্যে অভিযোগ। যে বোর্ডের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অর্থ ব্যয়ের কোনও পরিমাণ লেখা নেই। ফলে সেখানে কাজও হয়নি। যদিও গোটা ঘটনায় শাসক দলকে আক্রমণ করেছে বিরোধী শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share