Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Junior Doctors Protest: “আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি”, এবার ‘চিৎকার সমাবেশ’-এর ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    Junior Doctors Protest: “আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি”, এবার ‘চিৎকার সমাবেশ’-এর ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ধর্মতলায় ‘চিৎকার সমাবেশ’(Shout Rally)-এর ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest)। আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে যোগদানের জন্য অনশনমঞ্চের সামনে আহ্বান জানালেন আন্দোলনকারীরা। এদিন বিকেল ৪টে থেকে সমাবেশ হওয়ার কথা। একই ভাবে মুখ্যসচিবের করা ইমেলের জবাব কী দেবেন ডাক্তাররা, সেই দিকেও নজর রেখেছেন সাধারণ মানুষ।

    অনশনমঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব (Junior Doctors Protest)

    শনিবার ধর্মতলার অনশনমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং আরও অনেক সরকারি আধিকারিক। তাঁদের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মুখ্যসচিব সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠকে বসার কথা বলেন। কিন্তু তার আগে অনশন তুলে নেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মোট ১০ জন সদস্যকে ৪৫ মিনিটের জন্য বৈঠকে ডাকা হবে। ইতিমধ্যে সোমবারের আগে রবিবার ধর্মতলায় অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।

    বিকেল ৪ টেয় ধর্মতলায় সমাবেশ

    পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের (Junior Doctors Protest) তরফে সামজিক মাধ্যমে চিৎকার সমাবেশের ডাক দিয়ে বলা হয়, “আমাদের দাবির কথা ছড়িয়ে পড়ুক চিৎকারের মাধ্যমে। দেখা হবে বিকেল ৪ টেয় ধর্মতলার অনশনমঞ্চে।” যদিও গত শুক্রবার আগেই অনশনমঞ্চ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ কর্মসূচির (Shout Rally) কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় নাম দেওয়া হয়নি। ওইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, রুমেলিকা কুমার প্রমুখ। তাঁরা বলেছিলেন, “রবিবার আপনারা এখানে আসুন। আমাদের পাশে একটু দাঁড়ান। আমাদের আশীর্বাদ করুন। আমরা না খেয়ে আছি। আমাদের কণ্ঠ দুর্বল হয়ে পড়েছে। আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি।”

    আরও পড়ুনঃ ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    সোমবার নবান্নে বৈঠক?

    একইভাবে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest) ঘোষণা করেছিলেন, ১০ দফা দাবি পূরণ না করলে মঙ্গলবার সারা রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট ডাকা হবে। জুনিয়র, সিনিয়র সকল ডাক্তার এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবেন। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালেও এর প্রভাব পড়বে। কোনও রোগীর কিছু হলে দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেই। এরপর শনিবার মুখ্যসচিব উপস্থিত হন ধর্মতলায়। তারপর সোমবার নবান্নে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। বিকেল চারটের মধ্যে নবান্নে পৌঁছানোর কথা বলেন। কোন কোন আন্দোলনকারীরা (Shout Rally) যাবেন, তাঁদের নাম আগেই জানাতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    BJP: ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণায় শাসক দল তৃণমূলকে টেক্কা দিল বিজেপি (BJP)। শনিবার রাতেই রাজ্যের ছয় আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির (BJP)। অনেকের মতে, রাজ্যে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চরমে, আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বাংলা-এই আবহে সব চেয়ে আগে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এই ৬ আসনে ১৩ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। সর্বত্রই গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।

    বিজেপির (BJP) প্রার্থী তালিকা

    কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দীপককুমার রায়। মাদারিহাট কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী রাহুল লোহার। নৈহাটিতে প্রার্থী করা হয়েছে রূপক মিত্রকে। হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিমল দাস। মেদিনীপুরে বিজেপির (BJP) টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শুভজিৎ রায়। তালড্যাংরা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অনন্যা রায় চক্রবর্তীকে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্ব যে নাম পাঠায়, তাতেই অনুমোদন দেয় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। স্থানীয় ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যাদেরই প্রার্থী করা (West Bengal) হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    ৬ কেন্দ্রের বিধায়করা সাংসদ হন

    প্রসঙ্গত, মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা সাংসদ হওয়ায় সেই আসনে ভোটগ্রহণ হবে। অন্যদিকে, কোচবিহারের সিতাই আসন ছেড়ে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছেন জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া, সেখানেও ভোট হচ্ছে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বর্তমানে বারাকপুরের সাংসদ হয়েছেন। মেদিনীপুর এবং তালড্যাংড়া আসন এখনও শূন্য রয়েছে (West Bengal) যথাক্রমে জুন মালিয়া এবং অরূপ চক্রবর্তী সাংসদ হওয়ায়। এই ছয় আসনের বিধায়করা গত লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ হয়েছেন। এর মধ্যে বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে। হাড়োয়া আসনের বিধায়ক পদ ছেড়ে তিনি সাংসদ হন। হাড়োয়াতেও তাই উপনির্বাচন হচ্ছে। তবে বসিরহাট লোকসভা আসনে এখনই (BJP) ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: ‘‘আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর’’, প্রতিক্রিয়া অনশনকারী ডাক্তারদের

    Junior Doctor: ‘‘আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর’’, প্রতিক্রিয়া অনশনকারী ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায়ও গলছে না বরফ? ‘মুখ্যমন্ত্রীর ফোন-বার্তা অনভিপ্রেত মনে হয়েছে’, প্রতিক্রিয়া জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor)। বললেন, ‘উনি কোথাও না কোথাও ধৈর্য হারাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই, মনে হচ্ছে’। ফলে, অনশন চালিয়ে যাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর (Junior Doctor)

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) বিচার সহ ১০ দফা দাবিতে ১৫ দিন ধরে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। এখানে ৭ জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে একজন অনশন করছেন। শুক্রবার সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে এবং সব দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি না মানলে মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরই শনিবার অনশন মঞ্চে যান স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিব। সেখানেই ফোনে অনশন তুলে নেওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা কাজে ফিরতে চাই, আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের দাবি পূরণ না হলে অনশন চলবে। জটিলতার দ্রুত সমাধান আমরা চাই। আমাদের দাবি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই মুখ্যমন্ত্রীর। আমরা এখনও ন্যায়বিচার পাইনি। মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী কোথাও কোথাও ধৈর্য হারাচ্ছেন। সোমবার আমরা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করব”।

    আরও পড়ুন: রানিমার সঙ্গে কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

    অনশনকে খাটো করে দেখা হচ্ছে

    অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) এও বলেন, “আমরা মনোক্ষুণ্ণ হলেও মুখ্যমন্ত্রীকে অভিভাবক হিসেবেই দেখি। আমাদের ১০ দফা দাবির কথা উনি স্পষ্টভাবে জানেন না। এতদিন পর কেন শুনতে হল, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবির কথা জানেন না? তাহলে কি আমাদের দাবির কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছয়নি? আমদের বলা হচ্ছে, কাজে ফিরছি না কেন? রাজ্য জুড়ে সব জায়গায় পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনশনকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।”

    মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী ফোনে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctor) বলেন, “৩-৪ মাস সময় দিন, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন করব। মেডিক্যাল পরীক্ষা যাতে সঠিক ভাবে হয়, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যতটুকু করা সম্ভব, কথা দিচ্ছি নিশ্চয় করব। সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা না দিলে মানুষ কোথায় যাবে? দিদি হিসেবে বলছি, আপনাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন”।

    মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীরা (Junior Doctor) বলেন, “এতদিনের আমাদের অনুরোধ, আমাদের কাতর আর্তি, এত মানুষের ভুখা পেটের কষ্ট, কোনওটাই কি তাঁর কানে পৌঁছচ্ছে না? আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি যখন বলা হয়, তোমরা কাজে ফিরছ না বলে, স্বাস্থ্য পরিষেবায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা এখানে (ধর্মতলায়) জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছে ৭ জন। উত্তরবঙ্গে আছে ১ জন। আমরা ঘোষিতভাবে কর্মবিরতি কিন্তু তুলে নিয়েছি। সবকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান, সব জায়গায় চিকিৎসা হচ্ছে। জরুরি পরিষেবা চলছে, অপারেশন হচ্ছে।  আমাদের কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছে, এভাবে যে বারবার বলা হচ্ছে, কাজে ফিরতে ওরা হয় জানে না সরকারি হাসপাতালগুলি চলছে, অথবা আমাদের অনশনের কোনও মূল্যই নেই”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: দাবি আদায়ে ন্যায় বিচার যাত্রা, শামিল নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Protest: দাবি আদায়ে ন্যায় বিচার যাত্রা, শামিল নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Protest) ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গণস্বাক্ষর সংগ্রহ সহ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এই আবহে এবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে ন্যায় বিচার যাত্রার সূচনা করলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। আর প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

    সিবিআইয়ের ওপর আস্থা রয়েছে (RG Kar Protest) 

    শুক্রবারই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায় বিচার যাত্রা ‘রিলে পদ্ধতি’তে এগোবে। এভাবেই ধর্মতলার অনশন মঞ্চে (RG Kar Protest) এসে পৌঁছবে এই যাত্রা। শনিবার পানিহাটির এইচবি টাউন মোড়ে এই যাত্রার সূচনা করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। মিছিলে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি প্রচুর সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। কর্মসূচির সূচনা করে নির্যাতিতার বাবা-মা  বলেন,”বিচারের আশায় আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। সিবিআই ও শীর্ষ আদালত সকলেই বলছে ধৈর্য ধরতে হবে এবং সিবিআইয়ের ওপরেও আমাদের আস্থা রাখতে হচ্ছে। কারণ, সিবিআই কাজ করছে। এই ঘটনায় অন্য যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সিবিআই।”

    আরও পড়ুন: রানিমার সঙ্গে কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

    আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হোক

    নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আমরণ অনশনে (RG Kar Protest) শামিল হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। এই বিষয়টি নিয়ে যে তাঁরা উদ্বিগ্ন বুঝিয়ে দিলেন তাও। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “অনশন শেষ অস্ত্র। অনশন মানে মৃত্যু। আমরা কখনওই চাইনি এটা। আমরা জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা যেন হাসপাতালে ভর্তি হয়।” নির্যাতিতার মা বলেন “মুখ্যমন্ত্রী যেন আলোচনা করে এই অচলাবস্থা কাটিয়ে নেওয়ার একটা ব্যবস্থা করেন। আমার খুব খারাপ লাগছে। আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান হলে একটু নিশ্চিন্ত হব।” একইসঙ্গে তাঁরা এও বলেন, “আমাদের মেয়ের বিচার এখনও অধরা। আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল সেটা এখনও আমরা জানি না। তাই আন্দোলন তো করতেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রানিমার সঙ্গে কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

    Suvendu Adhikari: রানিমার সঙ্গে কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে মণ্ডপের সামনে তরুণীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কৃষ্ণনগরের রানিমাকে সঙ্গে করে মৃতার পরিবারের সঙ্গে শনিবার দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রতিশ্রুতি দিলেন আইনি সাহায্যেরও। একইসঙ্গে নির্যাতিতার ময়না তদন্ত এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।

    তরুণীকে নির্যাতন করে খুন (Suvendu Adhikari)

    নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ময়না তদন্তে আত্মহত্যা বলে লেখা থাকবে। কারণ, তৃণমূলের চিকিৎসকরা এই ময়না তদন্ত করেছে।  পুলিশ ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমি এবং এখানকার সাধারণ মানুষ ও পরিবার এক যোগে বলতে চাই, নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক অভিযুক্ত এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পরিবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্ত দাবি করেছে। আমরা সিনিয়র আইনজীবী দেওয়ার ব্যবস্থা করব। পরিবার কথা বললে তাঁরা যে আইনি সাহায্য চাইবে আমরা তাঁদের পাশে থাকব। ’’

     

    রানিমাকে সঙ্গে নিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু

    লক্ষ্মীপুজোর দিন, বুধবার সকালে নদিয়া জেলা স্টেডিয়ামের পাঁচিলের ধারে দুর্গাপুজোর ফাঁকা মণ্ডপে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, খুন করা হয়েছে মেয়েকে। এদিন রানিমাকে সঙ্গে করে নির্যাতিতার বাড়িতে যান শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘খুনই করা হয়েছে তরুণীকে। ধামাচাপা দিতেই আত্মহত্যার তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। যেখান থেকে এই দেহ উদ্ধার হয়েছে তার কিছু দূরেই পুলিশ সুপারের অফিস! তাই স্বাভাবিকভাবে আরও বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মধ্যে।

     

    গঠিত হয়েছে সিট

    স্থানীয় সূত্রে খবর ছিল, রাস্তার ধারে পড়ে ছিল তরুণীর অর্ধনগ্ন এবং অর্ধদগ্ধ দেহ। এলাকাবাসী মনে করছে, ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে তাঁকে। আর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় মুখ এবং শরীরের একাংশ। সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি জানিয়েছিলেন, ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি স্পেশ্যাল ইনভেসটিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিআইডিও ঘটনার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই একের পর এক খবর উঠে আসছে গোটা ঘটনা নিয়ে। এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসে পুলিশকে তুলোধনা করলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Local Train: শিয়ালদা ডিভিশনে সত্যিই কি ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াবে না ট্রেন? সত্য প্রকাশ পূর্ব রেলের

    Local Train: শিয়ালদা ডিভিশনে সত্যিই কি ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াবে না ট্রেন? সত্য প্রকাশ পূর্ব রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শিয়ালদা ডিভিশনে বহু নিত্যযাত্রী যাতায়াত করেন। ব্যস্ত সময়ে ভিড়ও হয় অনেক বেশি। এই ডিভিশনে প্রচুর লোকাল ট্রেন (Local Train) চলে, চলে দূরপাল্লার ট্রেনও। ডিভিশন নিয়ে একটি খবর শুক্রবার ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে, পূর্ব রেলের তরফে এই খবর সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। 

    ৩০ সেকেন্ডের বেশি ট্রেন দাঁড়াবে না! (Local Train)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া খবরে বলা হয়, শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division) কোনও স্টেশনে ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াবে না লোকাল ট্রেন। চালক, গার্ড থেকে স্টেশন মাস্টারদের চিঠি দিলেন ডিভিশনাল অপারেশনস ম্যানেজার। শিয়ালদা ডিভিশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সময় মেনে ট্রেন (Local Train) চলাচলের কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ। এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। কারণ, মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় বেঁধে দেওয়া হলে সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। খবরটি দেখে তাই অনেক নিত্যযাত্রীই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বিশেষত বয়স্ক যাত্রীদের পক্ষে ভিড় ঠেলে অত দ্রুত নামা-ওঠা করা বেশ কঠিন। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল যে, ট্রেন যাতে লেট না হয়, সেই কারণেই এই পন্থা নিয়েছে পূর্ব রেল। সেই সিদ্ধান্তকে শোরগোল শুরু হওয়ার পর শুক্রবার রাতে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    সম্পূর্ণ মিথ্যা- বিভ্রান্তিকর, দাবি রেলের

    পূর্ব রেলের এক্স মাধ্যমে একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, শিয়ালদা ডিভিশনে লোকাল ট্রেনে (Local Train) ওঠানামার সময় কমিয়ে ৩০ সেকেন্ড করার যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। আরও বলা হয়েছে যে লোকাল ট্রেনে ওঠানামা করার জন্য যাত্রীরা এতদিন যে সময় পেতেন, ভবিষ্যতেও সেই একই সময় পাবেন। পূর্ব রেলের এই বিবৃতিতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে কেন এই ভুয়ো খবর ছড়াল, তা স্পষ্ট নয়।

    কী বললেন নিত্যযাত্রীরা?

    ট্রেনকে (Local Train) বলা হয় শহরতলির লাইফলাইন। জেলার সঙ্গে শহরের যোগাযোগের অন্যতম পথ এই ট্রেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শিয়ালদায় আসেন। মূলত দুটো শাখা হয়েছে রয়েছে পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে। উত্তর এবং দক্ষিণ শাখা। উত্তর শাখায় আবার মেন লাইন এবং বনগাঁ লাইন। দক্ষিণ শাখা ভাগ হয়েছে ডায়মন্ডহারবার, ক্যানিং, বজবজের দিকে। নিত্যযাত্রীরা বলেন, প্রথম নির্দেশিকা সামনে আসতেই আমরা চিন্তায় ছিলাম। পরে,  রেলের পক্ষ থেকে ৩০ সেকেন্ড করে ট্রেন দাঁড়ানোর খবর ভিত্তিহীন বলতেই স্বস্তি ফিরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • High Court: কী কারণে গ্রেফতার? পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তপোব্রত, প্রতীকী অনশনে পুর-চিকিৎসকরা

    High Court: কী কারণে গ্রেফতার? পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তপোব্রত, প্রতীকী অনশনে পুর-চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে পুজো কার্নিভালের দিন কলকাতা পুলিশ (Kolkata police) গ্রেফতার করছিল পুরসভার মেডিক্যাল টিমের প্রতিনিধি তপোব্রত রায়কে। তাঁর অপরাধ ছিল, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বুকে ব্যাজ পরে ডিউটি করছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই ডাক্তার। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (High court) দ্বারস্থ হলেন প্রতিবাদী ওই ডাক্তার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (High court)

    ১৫ অক্টোবর পুজো কার্নিভালের দিন অনশনকারী চিকিৎসকদের সমর্থনে ব্যাজ পরে কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল টিমের (High court) হয়ে এমারজেন্সি ডিউটি করছিলেন তপোব্রত রায়। এর জেরে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালীনই তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ময়দান থানায় তাঁকে নিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাইরে প্রতিবাদী চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর সাধারণ মানুষও জড়ো হয়ে যান। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে অনুমান করে গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টা বাদেই বাধ্য হয়ে তপোব্রত রায়কে ছেড়ে দেয় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, তারপর থেকে সাধারণ মানুষ বিষয়টির প্রতিবাদ করলেও কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কোনও দুঃখপ্রকাশ করা হয়নি। পদক্ষেপ নেয়নি কলকাতা পুরসভাও। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হল পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। ওই ঘটনার বিচার এখন করবে আদালতই।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    ‘প্রতীকী অনশন’ শুরু

    তপোব্রতবাবুর মামলার (High court) আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে। অন্যদিকে, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও অন্যায় ছাড়াই তপোব্রত রায়কে গ্রেফতার করার জন্য কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পুরসভার চিকিৎসকরা। তপোব্রত রায়ের সঙ্গে হওয়া ঘটনার নিন্দা কেন করা হয়নি? কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোনও পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডেডলাইন দিয়েছিলেন। শুক্রবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে যেতেই ঘটনার প্রতিবাদে ‘প্রতীকী অনশন’ শুরু হয়। আর কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তোলা হয়। এক, চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে পুলিশের আটক করার ঘটনায় কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা করতে হবে। দুই, পুলিশকে তপোব্রত রায়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। তিন, কলকাতা পুরসভার চিকিৎসককে অপমান করা হয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভাকেই আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই তিন দাবি এখনও মানা হয়নি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুরকর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কালীপুজোর মুখে ফের ঘূর্ণিঝড়! ধেয়ে আসছে ‘ডানা’, কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    Weather Update: কালীপুজোর মুখে ফের ঘূর্ণিঝড়! ধেয়ে আসছে ‘ডানা’, কবে, কোথায় ল্যান্ডফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। দেশের পূর্ব উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। আন্তজার্তিক আবহাওয়ার (Weather Update) মডেলগুলির তথ‌্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের শেষে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরির লক্ষণ স্পষ্ট। বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে। কাতার ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ‘ডানা’।

    কবে আসছে ঘূর্ণিঝড়

    আবহাওয়া দফতর (Weather Update) মনে করছে, আগামী সপ্তাহেই হাজির হতে পারে নিম্নচাপ। হানা দিতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ও (Cyclone Dana)।  ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন মডেল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বলা হচ্ছে, আগামী রবিবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরীর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হবে। আর এই নিম্নচাপের প্রভাবেই কালীপুজোর আগে জমাট বাঁধতে পারে দুর্যোগের মেঘ। পূর্বাভাস অনুসারে, এই ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হওয়ার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে কোথাও ল্যান্ডফল করতে পারে। 

    পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যক্ষ প্রভাব

    আবহবিদরা (Weather Update) মনে করছেন, ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানলে এই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) গতিবেগ অনেকটাই বেশি হবে।  বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তার গতি হবে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে ঘূর্ণঝড়ের অভিমুখ যাই হোক বা কেন, দুটি ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গের ওপর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। উপকূলের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বজায় থাকবে। উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে আগামী মঙ্গলবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হবে। ২৩ ও ২৪ অক্টোবর অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Bus: কলকাতার রাজপথ থেকে উধাও ৫৬৫টি বাস, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

    Kolkata Bus: কলকাতার রাজপথ থেকে উধাও ৫৬৫টি বাস, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা এসব রয়েছে। তার মধ্যেই দুর্ভোগ বেড়েছে শহরের নিত্যযাত্রীদের। দুর্গাপুজো মিটতেই সাড়ে পাঁচশোর বেশি বাসের হদিস মিলছে না রাজপথে। বাস মালিকরাও যেমন চাপে পড়েছেন কলকাতায় (Kolkata Bus), ঠিক তেমনভাবেই বড় সঙ্কটে পড়েছে গণপরিবহণ ব্যবস্থা। পুজোর পরই বসে গেল এই সব বাস। বাস মালিকরাও এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন। চরম নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাড়ছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভও।

    রাজপথ থেকে উধাও ৫৬৫টি বাস (Kolkata Bus)  

    জানা গিয়েছে, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা ২০০৯ সালের একটি মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ১৫ বছরের বেশি বয়স হয়ে গেলে আর কোনও বাস কলকাতা (Kolkata Bus)  শহর তথা কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (কেএমডিএ)-র এলাকায় চালানো যাবে না। শহর কলকাতার পরিবেশ রক্ষার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বাসমালিকদের সংগঠন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টি পাঠিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ১ অগাস্ট থেকে সেই নির্দেশ কার্যকর করছে পরিবহণ দফতর। যে কারণে একের পর এক বাস শহরের রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়। কিন্তু পরিবহণ দফতরের একাংশ বলছে, এ ব্যাপারে তেমন কোনও সক্রিয়তা নজরেই আসছে না দফতরের কর্তাদের মধ্যে। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ছিল, ১৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে, সেই পরিবহণ আর রাস্তায় নামতে পারবে না। সেই নির্দেশই এবার কার্যকর হচ্ছে। পুজোর পর বেসরকারি রুটের প্রায় ৫৬৫টি যাত্রীবাহী বাস বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।  যদিও সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একই কারণে প্রায় হাজার খানেকের বেশি বাস বসে গিয়েছে। যাত্রীরা (Passengers) চরম নাকাল হচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, সন্ধ্যা নামলেই খালি হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। বাস পাওয়া দায় হয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    মন্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, করোনাভাইরাসের সময়ও কলকাতায় বেসরকারি বাস (Kolkata Bus) চলত ৪ হাজার ৮৪০টি। তারপর বহু বাস বসেও যায়। এখন চলাচল করে ৩ হাজার ৬১৫টি বাস। মিনিবাসের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৪টি। সেই সংখ্যাটা কমে ১,৪৯৮টি হয়েছে। তারপর আরও ৫৬৫টি বাস বসেছে। এই বিষয়ে সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা নিলে যাত্রীরাও উপকৃত হবেন। বহু বাস মালিক বুঝতে পারছেন না এখন কী করা উচিত। তাঁদের বাস পুলিশ রেখে দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, ১৫ বছর পরও অনেক বাসের ইঞ্জিন ভালো থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেন বসিয়ে দেওয়া হবে? এমন নিয়ম হওয়া উচিত, যাতে ১৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর কোনও পরীক্ষা করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর বাস চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • RG Kar Incident: ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সন্দীপ-অভিজিৎ, ধৃতদের ফোনে মিলেছে বহু ভিডিও, কী আছে তাতে?

    RG Kar Incident: ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সন্দীপ-অভিজিৎ, ধৃতদের ফোনে মিলেছে বহু ভিডিও, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, তার তদন্ত এখনও চলছে। তবে তাঁরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। শুক্রবার আদালতে বিচারক অভিজিৎ মণ্ডলের এজলাসে এমনই দাবি করল সিবিআই। 

    সত্য যাচাইয়ের পরীক্ষায় রাজি নন ধৃতরা

    সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল থেকে কিছু ভিডিও মিলেছে, যা ‘তদন্তসাপেক্ষ’। আরও কিছু ডিজিট্যাল তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যেই ধৃতদের আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের আবদেন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। তদন্তকারী সংস্থার তরফে ধৃত দু’জনের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট করার আবেদন করা হয়। তবে, নারকো টেস্টের জন্য রাজি হননি সন্দীপ ঘোষ। অন্যদিকে, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য রাজি হননি অভিজিৎ মণ্ডল। আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোন থেকে কিছু ‘তদন্তসাপেক্ষ’ ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, ঘটনা চাপা দিতে ধৃতদের মোবাইল থেকে বেশ কিছু ফোন কলও করা হয়েছিল। কয়েক জন সাক্ষীকে ফোন করেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়গুলিই বেশি করে খতিয়ে দেখতে চাইছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই বাংলায় উপনির্বাচন, সব বুথে হবে ওয়েব কাস্টিংও

    প্রভাবশালী তত্ত্ব সিবিআইয়ের

    জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের বক্তব্য, ধৃত দু’জনই প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। ধৃতরা মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা বা তার পূর্ব পরিকল্পনা ছিল কিনা তার তদন্ত চলছে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর প্রশ্ন,  “সিএফএসএল-এর রিপোর্ট পেয়ে যাওয়ার পর আবার কী রিপোর্ট করাবে? আমার মক্কেল যাওয়ার আগে অনেকেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।” সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, “আমার মক্কেলকে গ্রেফতারের কোনও কারণ আজও জানানো হয়নি।” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী আদালতে জানান, “সঞ্জয় রায়ের কিছু বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।” সিবিআই আদালতে জানায়,  এখন দেখা হচ্ছে যে ঘটনার সঙ্গে অর্থাৎ মূল ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share