Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাতিল করা হল মনোনয়ন!

    BJP: বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাতিল করা হল মনোনয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে বিজেপির (BJP) দুই মহিলা প্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন বাতিল করিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার চাকদা চৌমাথা মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। যতক্ষণ না অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবে, ততক্ষণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মনোনয়ন বাতিল করার কাজ। গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, এখানেও শাসকদলের সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। নদিয়ার চাকদহ থানার ছাতিমতলা ২০২ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে ওই বুথের মহিলা প্রার্থীকে জোরপূর্বক মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এরপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে চাকদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় অবশেষে চাকদা চৌমাথা মোড়ের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি প্রার্থীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা নদীয়া দক্ষিণ বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় এবং চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির (BJP) বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, মনোনয়নন জমা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। নদিয়ার একাধিক জায়গায় এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। রবিবার রাতে তাণ্ডব চালিয়ে দুই বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করিয়েছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। মূলত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের এই বিক্ষোভ। শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ বলেন, পর পর দু রাত ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি মহিলা প্রার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিরোধীদের তৈরি করা গল্প। রাজ্যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সামনে রেখে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছে। আমরাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানাচ্ছি। সংগঠনের দুর্বলতা ঢাকতে ওরা নাটক করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল নেতার গোয়াল ঘরে মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল টালির চাল

    Murshidabad: তৃণমূল নেতার গোয়াল ঘরে মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল টালির চাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের উত্তর ইমামনগর বিডিও মোড় সংলগ্ন একটি আমবাগানে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত বেশ কয়েকজন শিশু। অপরদিকে রানীনগরে এক তৃণমূল নেতার বাড়ির গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বোমার আতঙ্কে গ্রাম বাংলা কতটা সুরক্ষিত? এই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    ফরাক্কায় কীভাবে আহত হল শিশু?

    সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। গুরুতর ভাবে যে শিশুরা আহত হয়, তারা হল, আরিয়ান শেখ (৮), দাউদ শেখ (১০), আসাদুল সেখ (৭), সুভান শেখ (১১), ইমরান শেখ (৯)। এরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। এলাকার আমবাগানে বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে এই শিশুরা আহত হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে শিশুদের উদ্ধার করে এবং এরপর ফরাক্কা (Murshidabad) বেনিয়াগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এইভাবে আমবাগানের মধ্যে বোমা পড়ে থাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ভাবে কারা বোমাগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছিল, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে।

    রানীনগরে বোমা বিস্ফোরণ

    এবার বিস্ফোরণ হল রানীনগর (Murshidabad) থানার নবীরমোড় এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মফিজুল মোল্লার বাড়ির সামনে গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, সোমবার দুপুরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। গোয়াল ঘরে প্রচুর বোমা মজুত করা ছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, গোয়াল ঘরের টালির চাল পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    রাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়নের সময় থেকেই ভাঙড়, ক্যানিং, মথুরাপুর, চোপড়া, খানকুল, পিংলা, নানুর, সাহেবগঞ্জ, বকচা ইত্যাদি এলাকায় প্রচুর বোমাবাজি হয়েছে। ড্রামে ড্রামে ভর্তি করা বোমা পাটক্ষেত বা আমবাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে। ফলে নির্বাচনের দিন এই অবৈধ বোমার ব্যবহার করা হবে কিনা, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। রাজনৈতিক মহল বিশেষ করে বিরোধীরা এই বোমাবাজি, বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই সরব হচ্ছেন। এখন এই বোমার বোঝায় নির্বাচন কেমন কাটে, সেটাই দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: হেঁশেল ছেড়ে ভোটের ময়দানে! মুখোমুখি লড়াইয়ে একই পরিবারের দুই বৌমা

    Purba Medinipur: হেঁশেল ছেড়ে ভোটের ময়দানে! মুখোমুখি লড়াইয়ে একই পরিবারের দুই বৌমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী ময়নার একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। ময়না (Purba Medinipur) ব্লকের গোজিনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২১৫ নম্বর বুথে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এঁরা। একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির হয়ে, অন্যজন তৃণমূলের হয়ে। হেঁশেলের সুসম্পর্ক রাজনীতির উঠোনে এসে কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে।

    কারা এই প্রার্থী

    গোজিনা (Purba Medinipur) গ্রামের ২১৫ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী মন্দিরা পাল এবং তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা পাল। তাঁরা দুজনে দুই ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাৎ দুজনে সম্পর্কে জা। দুজনই গৃহবধূ। এই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে নামলেন। প্রসঙ্গত, পরিবারের কর্তা ঈশ্বর মুরারীমোহন পালের ছয় ছেলে। তাঁর পরিবারেই মোট ভোট রয়েছে ১৫টি। যদিও প্রত্যেকে পৃথক বাড়ি করে আলাদা রয়েছেন। তবে এই পরিবারের সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো। পরিবারের দুই বৌমা হলেন নির্বাচনে দুই বিরোধী প্রার্থী।

    প্রার্থীদের বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা পালের স্বামীর নাম সুশান্ত পাল এবং বিজেপি প্রার্থী মন্দিরা পালের স্বামীর নাম প্রশান্ত পাল। দুই জা বলেন, পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রেখে আমরা রাজনীতির ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। রাজনৈতিক লড়াই যাই হোক না কেন, দুই জায়ের সম্পর্ক ভালোই থাকবে বলে জানান তাঁরা।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Purba Medinipur) বড় ভাই কৃষ্ণপ্রসাদ পাল জানিয়েছেন, আমাদের চোখে দুই ভাই কিংবা দুই বৌমা সমান। আমরা সবার সাফল্য কামনা করি। পরিবারের ভোট আমরা ভাগ করে দুজনকেই দেওয়ার চেষ্টা করব।

    গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ময়না (Purba Medinipur) খবরের শিরোনামে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে দূরে সরিয়ে রেখে, সাংসারিক সম্পর্ককে অক্ষুন্ন রেখে কীভাবে এই লড়াই লড়বেন এই দুই জা, এটা দেখায় বিষয়। রাজনীতির ময়দানে কোন জা জয়লাভ করে সাধারণ জনগণের আশীর্বাদ লাভ করেন, সেটাও দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JEE Advanced: আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম! সাগ্নিকের স্বপ্ন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া

    JEE Advanced: আইআইটি জয়েন্টে রাজ্যে প্রথম! সাগ্নিকের স্বপ্ন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জয়েন্টে অষ্টম স্থান পেয়ে খানিকটা মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল বাঁকুড়ার জুনবেদিয়ার সাগ্নিক নন্দীর। তবে, এবার জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষা অর্থাৎ আইআইটি জয়েন্টে সর্ব ভারতীয় স্তরে ৩৯ এবং রাজ্যে প্রথম স্থান পেয়ে সেই আক্ষেপ আর নেই তাঁর। তাঁর এই সাফল্যে বেজায় খুশি বাঁকুড়ার জুনবেদিয়া এলাকার তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। পাড়ার ছেলের এই নজরকাড়া রেজাল্টের কথা এখন সবার মুখে মুখে ঘুরছে।

    কী বললেন সাগ্নিক?

    বাঁকুড়া শহরের বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র সাগ্নিক নন্দী। এই স্কুলেই তিনি ছোট থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। মাধ্যমিকে তিনি ৯৪.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৯৬.৬০ শতাংশ নম্বর এবং জেইই মেইন পরীক্ষায় তাঁর র‍্যাঙ্ক ছিল ২৮৯। আর এরপরই বড় সাফল্য মিলল জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায়। এই পরীক্ষায় তাঁর সর্ব ভারতীয় র‍্যাঙ্ক ৩৯। যার নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সাগ্নিক। এখন বাঁকুড়ার বাইরে রাজস্থানের কোটায় রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে ফোনে সাগ্নিক বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম দেশে প্রথম ১০০ এর মধ্যে আমার র‍্যাঙ্ক থাকবে। তবে তা যে ৩৯ নম্বরে উঠে আসবে, এতটা ভাবিনি। ভালো লাগছে।’ এবার মুম্বইয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়বেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।

    সাগ্নিকের এই সাফল্য নিয়ে কী বললেন তাঁর স্কুলের শিক্ষক?

    বাঁকুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণধন ঘোষ বলেন, খুবই মেধাবী এবং শান্ত প্রকৃতির ছাত্র সাগ্নিক। ঠান্ডা মাথার ছেলে। বরাবর পড়াশোনাটা ভালোভাবে করে আসছে। ছোট থেকে এই স্কুলে পড়েছে। জেইই  অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায় তার এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। আগামীতে ও আরও বড় হোক, এই কামনা করি।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    সাগ্নিকের বাবা আনন্দরঞ্জন নন্দী বলেন, ছেলের ইচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার। আমরা চাইছি সে তার নিজের ইচ্ছে মতো পড়ুক। জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced) পরীক্ষায় ছেলে ভালো ফল করবে জানতাম। তবে, এত ভালো র‍্যাঙ্ক করায় আমরা খুশি। সাগ্নিকের সফলতার খবর পেয়ে তাঁর মা মন্দিরা নন্দী বলেন, রাজ্যে ছেলে সেরা হয়েছে। এতে খুবই ভালো লাগছে। তবে ও পরিশ্রমও কম করেনি। রোজ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়ত। আর অবসর সময় পেলে একটু আধটু গল্পের বই পড়েছে। ছোট থেকেই গল্পের বই পড়ার নেশা সাগ্নিকের। ছেলের ইচ্ছে মুম্বইয়ে পড়াশোনা করার। আমরা চাই, তার স্বপ্ন পূরণ হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মোদির কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    Purba Medinipur: মোদির কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন এলেই দল বদলের চিত্র দেখা যায়। যেমনটা দেখা গেল মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের নাটশাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিপুর এলাকার ১১৪ নম্বর বুথে। শাসক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করায় জেলায় দল আরও মজবুত বলে মনে করছে নেতৃত্ব।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার রাতে এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে প্রায় ১৫০ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন মহিষাদল বিধানসভার বিজেপি কিষান মোর্চার জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ ব্যানার্জি এবং বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস। মোদিজির কাজে খুশি হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যোগদান করায় লড়াইয়ে পথ অনেকটাই শক্ত হল বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী দিনে শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে, দাবি বিজেপির। বাংলার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে স্বচ্ছ  ও সুন্দর গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি, জানান বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও এই ভাবে বিজেপিতে যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, বুথ, পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের নেতারা কেউ কেউ সামজিক সম্মান চান, সমাজের কাছে স্যার স্যার শুনতে চান! কিন্তু আমাদের দল নবজোয়ারের মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় সমীক্ষা করে যোগ্য ব্যক্তিদেরই টিকিট দিয়েছে। এখানে যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁরা হয়তো নির্দলে মনোনয়ন করেছেন। কিন্তু দল তাঁদের পাশে নেই। তাছাড়া ব্লকের অধিকাংশ আসনে প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিজেপি। সুতরাং শাসক দলের কর্মীদের তৃণমূল থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা অত্যন্ত হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ কাদের সঙ্গে আছেন, তা ১১ ই জুলাই পরিস্কার হয়ে যাবে। তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনের (Dakshin Dinajpur) দুটি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে প্রায় ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। আবার বামফ্রন্ট থেকেও কিছু পরিবার বিজপিতে যোগদান করে বলে জানা গেছে। এর ফলে এলাকায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বলে দাবি করছে বিজেপি।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর ও গুড়াইল বুথে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান অনুষ্ঠানে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়নি বলেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা৷ গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের ছেলে রাজেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনে বিজেপিতে বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে।

    যোগদানকারীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে যোগাদানকারী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকায় (Dakshin Dinajpur) কোনও সুযোগসুবিধা ও কোনও উন্নয়ন পাইনি। তাই আমরা আজ সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তপনের গুরাইল ও শ্যামপুর গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল ছেড়ে অনেক পরিবার বিজেপিতে যোগাদান করেছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারও রয়েছে। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে এসেছিল। কিন্তু শাসক দলের দুর্নীতির কারণে সবাই তৃণমূল ছেড়েছে। তিনি আরও বলেন, এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আরও ভালো হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যোগদানের বিষয়ে জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, কয়েকশো লোক নয়, মাত্র গুটিকয়েক লোক হয়তো বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের নয়, বামফ্রন্টের হতে পারে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    TMC: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিকায় নাম আসার পরেও দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থীরা। মোটা টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের। ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে টায়ার চালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর গ্রামে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা ১ নম্বর বুথের প্রার্থী মেহেতাজ বানু  এবং ২ নম্বর বুথের  প্রার্থী রেজা আলির নাম তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তালিকায় রয়েছে। প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পরই তাঁরা দলের নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু, শনিবার স্ক্রুটিনির পর তাঁরা জানতে পারেন, দল থেকে তাঁদের কোনও প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তাঁদের নাম বাদ যায়। মেহেতাজ বানু ও রেজা আলির পরিবর্তে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে নিখাদ বানু ও প্রকাশ দাসকে। এই খবর শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন তাঁরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদে কারচুপি করেছেন। মোটা টাকা নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ৩ লক্ষ টাকা দিলে তবেই মিলছে দলীয় প্রতীক। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব প্রার্থী সহ তৃণমূল কর্মীরা।

    কী বলল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাসকে ধরা হলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করে না। যারা অভিযোগ করছে তারা পদলোভী।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন দাস বলেন, টাকা ছাড়া তৃণমূলে (TMC) পদ, প্রার্থী কোনও কিছুই হয় না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিদের দূরে ঠেলে দুর্নীতিগ্রস্তদের ঠাঁই দিচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে, মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক, এটা পুরোপুরি বাস্তব। টাকা ছাড়া তৃণমূল আর কিছু চেনে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahishadal Rath Yatra: বাংলার ২৪৭ বছরের প্রাচীন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিষাদলে

    Mahishadal Rath Yatra: বাংলার ২৪৭ বছরের প্রাচীন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহিষাদলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর মতো বাংলার বিখ্যাত হল মহিষাদলের রথযাত্রা (Mahishadal Rathayatra)। বাংলা থেকে স্বয়ং শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু পুরীতে গিয়ে রথাযাত্রা উৎসবে যোগদান করেছিলেন। শ্রীচৈতন্যদেব পুরীর নীলাচলে আত্মলীন হয়েছিলেন বলে জানা যায়। বাংলায় প্রাচীন রথযাত্রাগুলির মধ্যে মহিষাদলের রথযাত্রা হল অত্যন্ত সুপ্রাচীন।

    ইতিহাসে রথযাত্রা

    রথের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে আসে পুরীর নাম। কিন্তু মাহেশের রথের (Mahishadal Rathayatra) কথা জানেন কি? পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথও ঐতিহ্যের দিক থেকে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। ইতিহাস ঘাঁটলে অন্তত তেমনই জানা যায়। এই রথের বয়স ২৪৭ বছর। এই রথ আজও একই রকম ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। মহিষাদল রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই রথের যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য এই রাজপরিবার থেকেই ১৭৩৮ সালে রাজা হন যুবরাজ আনন্দলাল উপাধ্যায়। ৩১ বছর রাজত্ব করার পরে তিনি মারা গেলে, তাঁর স্ত্রী রানী জানকী এই রথের দায়িত্ব নেন। তিনিই ১৭৭৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা শুরু করেন।

    কেমন হয় রথযাত্রা?

    সেই সময় এই রথে (Mahishadal Rathayatra) ১৭টি চূড়া ছিল। চাকার উচ্চতা ছিল ৬ ফুট। এই রথ তৈরিতে সে সময় খরচ হয়েছিল ৬৪ হাজার টাকা। পরে এই রথের চূড়া কমে ১৩টি করা হয়। ২০১৭ সালে এই রথকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়, তখন খরচ হয়েছিল ২৮ লক্ষ টাকা। এক মাস ধরে এই রথের মেলা চলে মহিষাদলে। রাজ পরিবার ও মহিষাদল সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই রথযাত্রা চলে। এই মেলায় হাজার মানুষের ভিড় হয়। এই মেলায় বিভিন্ন শিল্পীরা ভিড় করেন। নানা রকমের হস্তশিল্প থেকে খাওয়া দাওয়া, সব মিলে একেবারে জমে ওঠে মহিষাদলের রথযাত্রা।

    এলাকার বিধায়কের বক্তব্য

    এলাকার বিধায়ক বলেন, এই রথ (Mahishadal Rathayatra) অনেক পুরানো ঐতিহ্যবাহী। প্রশাসনের তরফ থেকে আগত সকল ভক্তবৃন্দের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সিসিটিভি, ড্রোন ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিজেপি (BJP) প্রার্থী। এটাই তাঁর অপরাধ। আর এই অপরাধে তাঁর বাড়িতে জল বন্ধ করল তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগরা গ্রামে। জল বন্ধের অভিযোগ পেয়ে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে যান দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে ফোন করে নালিশ জানান তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর বুথের আগড়া গ্রামের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন ভারতী দিগার। তাঁর বাবা স্বপন দিগার বলেন, মেয়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছে বলে পানীয় জল বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল আনতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করছে। আর রাতে তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে এসে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে আমি অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু, চারদিন হয়ে গেল আমরা পানীয় জল সংযোগ পাইনি।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিষয়টি জানার পর বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে আসে। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে বিজেপির জেলা সভাপতি ফোন করেন অভিযোগ জানান। পরে তন্ময়বাবু বলেন, এই গরমে পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। তৃণমূল যদি সন্ত্রাস করার চেষ্টা করে, তাহলে পাল্টা প্রতিরোধ হবে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। দলের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা গ্রামবাসীদের জোটবদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামের দুটি আসনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দয়াল কোনাই এবং সুনিতা লেট। হুমকির আশঙ্কা ছিলই। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁরা গ্রামের বাইরে ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দয়াল কোনাইয়ের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। দয়ালবাবু বলেন, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় মনোনয়ন তুলে না নিলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হবে। লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁচতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আকবার আলির (অঞ্চল সভাপতি) সঙ্গে দেখা করে আসতে বলবে”।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের আত্মীয়রা কী বললেন?

     বিজেপি (BJP) প্রার্থী দয়াল কোনাইয়ের দিদি ঠান্ডু কোনাই বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওরা প্রথমেই ভাইয়ের খোঁজ করছিল। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় মনোনয়ন তুলে না নিলে খুন করে দেওয়া হবে। সকালে যেন আকবরের সঙ্গে দেখা করে আসে।” আর এক বিজেপি প্রার্থী সুনিতা লেটের শ্বশুর সনত লেটে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে পিস্তল ছিল। বার বার তারা আকবরের নাম করছিল। বলে যায় সকাল ১০ টার মধ্যে আকবরের সঙ্গে দেখা করতে হবে। ভয়ে বউমা এখন গ্রামের বাইরে রয়েছে।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুমকির খবর পেয়ে বেলেবাড়ি গ্রামে যান বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রশ্মি দে, জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শ্রাবস্তি মুখোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল। শান্তনু মণ্ডল বলেন, “আমরা তৃণমূলের হুমকির নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন রেখেছি ভোট পর্যন্ত বহিরাগত কেউ রাতে গ্রামে ঢুকলে তাদের বেঁধে রাখুন। গ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। তবে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “দলের নির্দেশ কাউকে কোনওরকম হুমকি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share