Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ শাসকদলের কর্মী

    TMC: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ শাসকদলের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই ক্যানিংয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রক্ত ঝরেছিল বিজেপি প্রার্থীর। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। বাসন্তী হাইওয়েতে তৃণমূলের (TMC) দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শাসক দল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর প্রতিবাদে শুরু হয় বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ। ক্যানিংয়ের এসডিপিও-সহ কয়েক জন পুলিশ কর্মীও ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল?

    তৃণমূলের (TMC) একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার ব্লক সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়কের গোষ্ঠীর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ক্যানিং শহরে সিপিএমের একটা অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ীর অনুগামীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাঁদের ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুষ্কৃতীরা আটকে দেয়। স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাসের অনুগামীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই দু’দলের মধ্যে ইটবৃষ্টি এবং বোমাবাজি হয়। গুলিও চলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিবাদে ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড়ে অনুগামীদের নিয়ে অবরোধ শুরু করেন ব্লক সভাপতি। তাঁর হুঁশিয়ারি, পরেশরামের অনুগামীদের জমায়েত না সরালে অবরোধ চলবে। অবরোধের জেরে ওই রাস্তায় বড়ালি থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে, পুলিশ গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ওই সংঘর্ষে কারা জড়িত রয়েছে জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ ফের শুরু হয়। সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং জখম হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    ক্যানিংয়ের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী বলেন, দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়। বিধায়কের লোকজন এসব করেছে। তা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। হয়েছে রাস্তা অবরোধ। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, মনোনয়নে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। ব্লক সভাপতি যে অভিযোগ করছেন, তা সঠিক নয়।

    ফের উত্তপ্ত ভাঙড়!

    মঙ্গলবারের পর বুধবারও মনোনয় জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এদিনও সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল এলাকা। এদিন ভাঙড়-১ নম্বর ব্লকে তৃণমূল নেতা শাজাহান মোল্লার নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিল থেকে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। নারায়ণপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ। হামলায় আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মী জখম হন। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb: ফোনে ফোনে দেওয়া হচ্ছে বোমার অর্ডার! দুটি গাড়ির চালক সহ আটক ৮

    Bomb: ফোনে ফোনে দেওয়া হচ্ছে বোমার অর্ডার! দুটি গাড়ির চালক সহ আটক ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার মধ্যেই ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) সহ দুটি গাড়িকে আটক করল বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার পুলিশ। পাটরাইয়ের দিক থেকে বাঁকুড়ার ইন্দাসে যাওয়ার পথে বাঁধেরপাড় এলাকায় গাড়ি দুটিকে আটক করে তল্লাশি করতেই ব্যাগ ভর্তি বোমার হদিশ পায় পুলিশ।

    কতজনকে আটক করল পুলিশ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোনয়নে গন্ডগোল পাকাতে ইন্দাসে গাড়িতে করে বোমা (Bomb) আনা হতে পারে, এমন খবর মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এর পরই সতর্ক করা হয় ইন্দাস থানার সবকটি নাকা পয়েন্টকে। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার আশপাশে দুটি গাড়ি পাটরাইয়ের দিক থেকে ইন্দাসের দিকে যেতে দেখে সেগুলিকে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সেই সময়ই গাড়ি দুটির একটির মধ্যে থেকে এক ব্যাগ ভর্তি সুতলি বোমা উদ্ধার হয়। এর পর গাড়ি দুটিকে আটক করে ইন্দাস থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটক করা হয় দুই চালক সহ দুটি গাড়িতে থাকা আটজনকে।

    বোমা (Bomb) উদ্ধার নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বলেন, ফোনে ফোনে বরাত পেয়ে বোমাগুলি (Bomb)  ইন্দাসে আনা হচ্ছিল। কে বা কারা এবং কেন এই বোমার বরাত দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুজনের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। এই চক্রে কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    বোমা (Bomb) উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া বলেন, গাড়িগুলিতে করে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে ইন্দাসের বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় চক্রান্ত করে তৃণমূল গাড়িগুলিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গাড়িগুলিতে বোমা (Bomb) রেখে উদ্ধারের নাটক করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। ইন্দাস ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ হামিদ বলেন, যে ফেঁসে যায়, সে-ই ফাঁসানোর গল্প বলে। নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ পেয়েছে। ফলে, আমাদের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: আরাবুল-পুত্রের গাড়িতে বোমা উদ্ধার! ‘বাপ কা বেটা’ বলে খোঁচা সুকান্তর

    Panchayat Election: আরাবুল-পুত্রের গাড়িতে বোমা উদ্ধার! ‘বাপ কা বেটা’ বলে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন ঘিরে মঙ্গলবারই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ছুড়তে থাকে শাসকদলের গুন্ডা বাহিনী, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। এদিনই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামের গাড়ির ড্যাশ বোর্ড থেকে বোমা উদ্ধার হয়। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    কী বললেন সুকান্ত?

    আরাবুলের ছেলের নাম না করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘‘বাপ কা বেটা সিপাহি কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া!’’ সুকান্ত মজুমদার এদিন আরও বলেন, ‘‘কলেজের অধ্যাপিকাকে যখন জগ ছুড়ে মেরেছিল, তখনই তো পুলিশ আরাবুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের সেই সাহস নেই। যতদিন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন লাফালাফি করবে। তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হলে ইঁদুরের গর্তে ঢুকে পড়বে।’’ এদিন ভাঙড়ের অশান্তি প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘শওকত মোল্লা গোটা ভাঙড় নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা আগেই বলেছিলাম পুলিশকে দিয়ে ভোট হবে না। তার কারণ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গুলি চালাতে পারে না। সেজন্য তাদের কেউ ভয় পায় না। বোমা মারছে তাদের লক্ষ্য করে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বন্দুকের নলে মাকড়সার জাল বিছিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে কারও ক্ষমতা ছিল না বোমাবাজি করার।’’

    ক্যানিং-এর অশান্তি নিয়ে কী বললেন বালুরঘাটের সাংসদ?

    ক্যানিংয়ের অশান্তি নিয়েও এদিন সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘ক্যানিংয়ে এদিন দলীয় নেতৃত্ব প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়ন কর্মসূচিতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী আচমকা হামলা চালায়। সজল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সহ অনেকেই হামলায় জখম হয়েছেন। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ক্যানিং-এ। বিজেপির মহিলা প্রার্থী সহ বেশ কয়েকজন জখম হন তৃণমূলের হামলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    Panchayat Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম কোনও পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। পঞ্চায়েত মামলায় হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট

    রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) করানোর পক্ষে মঙ্গলবারই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ‘‘আপাতত স্পর্শকাতর জেলায় মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি যে জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত রাজ্য পুলিশ থাকবে না, সেই জেলাগুলিতেও মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব বুথে লাগাতে হবে সিসিটিভি, না হলে ডিভিয়োগ্রাফি করতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    নির্দেশ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? 

    মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপার বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি সন্ত্রাস চালানোর নিদান দিয়েছেন জেলার সব আইসি-দের।‘‘ এদিনের রায় পুলিশের প্রতি হাইকোর্টের অনাস্থা’’ এমনটাই বলেন শুভেন্দু। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাতে একশো শতাংশ বা আমাদের সবগুলি পয়েন্ট হয়তো বিবেচনা করতে পারেনি। কিন্তু কম-বেশি হিংসামুক্ত নির্বাচনের জন্য় তাদের মানসিকতা অর্ডারে প্রকাশ পেয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। তারা তো আইনকে লঙ্খন করতে পারে না।’’

    চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে লাগানো নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমরা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের (Panchayat Election) কাজে যাতে না লাগানো হয়, সেই দাবি জানিয়েছিলাম। কারণ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী। গত ১২ বছর ধরে রাজ্যে কোনও নিয়োগ হয়নি।’’

    আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Toy Train: রেকর্ড আয় করল পাহাড়ের টয় ট্রেন, কত জানেন?

    Toy Train: রেকর্ড আয় করল পাহাড়ের টয় ট্রেন, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমতল জুড়ে টানা তীব্র দাবদাহে হেরিটেজ টয় ট্রেনের (Toy Train) লক্ষ্ণী লাভ। এক মাসে রেকর্ড আয় করেছে টয় ট্রেন। গত মে মাসে টয় ট্রেনের ইতিহাসে সর্বাধিক আয়ের নজির তৈরি হয়েছে।চলতি আর্থিক বছরের মে মাসে দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্য এই টয় ট্রেনে যত সংখ্যক যাত্রী চড়েছেন এবং এই ট্রেন থেকে রেল যা আয় করেছে, তা আগে কখনও হয়নি।

    টয় ট্রেনে (Toy Train) রেকর্ড আয়ের পরিমাণ কত?

    টয় ট্রেনের (Toy Train) এই ব্যাপক জনপ্রিয়তায় প্রমাণ হচ্ছে, দার্জিলিংয়ে পর্যটকের ঢল নামছে মূলত টয় ট্রেনের আকর্ষণে। এক সময় টাইগার হিল, টি এবং টয় ট্রেনের উপর ভিত্তি করে দার্জিলিংয়ের পর্যটন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু, আশির দশক থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পানীয় জলের সমস্যা ও অনুন্নত পরিকাঠামোর কারণে দার্জিলিংয়ের পর্যটনে ভাটা পড়েছিল। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে টয় ট্রেনের প্রতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দুর্নিবার আকর্ষণে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দার্জিলিংয়ের পর্যটন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মে মাসে ৩০ হাজার ৩০৩ জন যাত্রী টয় ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন। এর থেকে মোট ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ যাত্রী ও আয় হয়েছিল গত বছরের মে মাসে। তবে, তা এবারের তুলনায় কম। গতবার মোট ২৬,৯০৯ যাত্রী টয় ট্রেনে চড়েছিলেন। আয় হয়েছিল ৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা।

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম এস কে চৌধুরী এবং মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেনকে (Toy Train) জনপ্রিয় করতে আমরা সমস্তরকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত দু’বছর ধরে  শীতকালে ঘুম উৎসব করা হচ্ছে। যেখানে টয় ট্রেনের নানা আকর্ষণীয় দিক ও স্থানীয় শিল্প-সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি সব দিক দিয়ে সারা বছর টয় ট্রেন নিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের মাঝে প্রচার চলছে। পর্যটকদের মনোরম ভ্রমণের জন্য টয় ট্রেনে নতুন কোচ ও নতুন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধা। দার্জিলিং স্টেশনকে হেরিটেজ টাইপ উইন্ডো এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট সহ নানা ধরনের ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টয় ট্রেনকে আপগ্রেড করা হয়েছে। ঘুম স্টেশনের আপগ্রেডেশন চলছে।

     বাড়ানো হয়েছে জয় রাইডের সংখ্যা

    এক প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী দে বলেন, টয় ট্রেনের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টয় ট্রেনের জয় রাইডের সংখ্যাও বাড়িয়েছি। নিউ জলপাইগুড়ি-দার্জিলিং দৈনিক পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু জয় রাইড নিয়েই পর্যটকদের বেশি উৎসাহ। তাই কোনও পর্যটক যাতে হতাশ না হন, তার জন্য দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে জয় রাইড পরিষেবা বাড়ানো হয়েছে। স্টিম ইঞ্জিনে জঙ্গল টি সাফারির সঙ্গে চলছে রেড পান্ডা, হিম কন্যা ইত্যাদির মতো জয় রাইড ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা। পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দিনহাটা বিধানসভার সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারে। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কারা পর পর চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হের স্ত্রী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। আর স্ত্রী সদস্যা হওয়ায় বকলমে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এদিন বাজারে কুর্শাহাট বাজারে তিনি আসলে তাঁকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরেন। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে নজরুলের অনুগামীরাও সেখানে জমায়েত হন। এরমধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলে। পরে, চার রাউণ্ড গুলি ছোঁড়া হয়। আর এতেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (TMC) নেতাকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নজরুল আমাদের কাছে থেকে সরকারি প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা করে তুলতে শুরু করেন। শাসক দলের নেতা বলে বিশ্বাস করে এলাকার বহু মানুষ তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন। আমরাও দিয়েছিলাম। কিন্তু, কেউ ঘর পাইনি। ওই নেতা কাউকে টাকাও ফেরত দেননি। কিন্তু, শাসক দলের নেতা বলে কেউ কিছু বলার সাহস ছিল না। তবে, এবার পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় ওই নেতা বা তাঁর স্ত্রীর ঠাঁই হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই নেতাকে ঘিরে টাকা ফেরত চেয়েছি।

    জেলা পুলিশের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্রাঞ্চের সামনে পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইতিমধ্যেই গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে আটক করেছে। গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের (TMC) দুই  গোষ্ঠীর লড়াই এবার প্রকাশ্যে এল। সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ারের কাঁঠালতলা এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতি থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের ওই গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আলিপুরদুয়ার বিবেকানন্দ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠালতলা এলাকায় একটি দলীয় কার্যালয়ে শাসক দলের (TMC) কয়েকজন নির্বাচিত সদস্যের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় দলের বিরুদ্ধে শাসক দলের অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর দলের অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত দের নেতৃত্বে একদল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা সেখানে চলে আসেন। এরপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে, বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আলিপুরদুয়ার থানার আই সি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুই গোষ্ঠীর নেতা কর্মী সমর্থকদের দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, “দীর্ঘদিন এলাকা থেকে নির্বাচিত স্বচ্ছ ভাব মূর্তির বেশ কিছু পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিকে এবারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না বলে দল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এমন প্রার্থী করা হয়েছে, যাদের সম্পর্কে অনেক অভিযোগ রয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    দলীয়ভাবে প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা না করলেও প্রার্থী নিয়ে অঞ্চল নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে ইতিমধ্যে দল একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছে। দলের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন ৫০ শতাংশের বেশি বিদায়ী জনপ্রতিনিধিকে এবারে দল টিকিট দেবে না। পারফরম্যান্স বিচার করেই প্রার্থী চয়ন করা হয়েছে। ফলের শাসকদলের টিকিট না পেয়ে এবারে অনেকেই দলের বিরুদ্ধেই যেমন লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি শাসক শিবিরও কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে, একে অপরের বিরুদ্ধে শুধু প্রচার নয়, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক জানিয়েছেন, “দল যাদেরকে প্রার্থী করবে,তাদের হয়েই সকলে লড়বেন। কেউ দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে বা অন্য কোনও দলের হয়ে লড়তে পারেন। এ নিয়ে শাসক দল বাধা দেবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই মানুষ ভোট দেবেন, এবং আমরা দলের যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করব।” আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বড় কাঁটা শাসক দলই। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলতে পারেন বিরোধীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজারে আইএসএফ কর্মীদের রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিডিও অফিসের কাছে  পুলিশের সামনেই মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন এক আইএসএফ কর্মী। তৃণমূলীদের হামলায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী জখম হন। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটান। অন্যদিকে, এদিন ক্যানিং-১ নম্বর ব্লকেও মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলীদের তাণ্ডবে রক্ত ঝরল বিজেপি প্রার্থীদের। বিডিও অফিসের ভিতরে পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলীদের বাধায় বিজেপি প্রার্থীরা কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেত্রী?

    আক্রান্ত দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, সজল ঘোষ সহ একাধিক নেতৃত্ব। বিডিও অফিসে  জমায়েত হওয়ার পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, তৃণমূল এখানে পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালাল। কাউকে ওরা মনোনয়ন জমা দিতে দিল না। এখানে আমরা আর মনোনয়ন জমা দেব না। বিরোধীদের কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। তাই, এখানকার নির্বাচন (Panchayat Election) বাতিল করার জন্য প্রশাসনকে বলব। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ রক্তাক্ত এক বিজেপি প্রার্থীকে দেখিয়ে বলেন, দলীয় প্রার্থীর অবস্থা দেখুন। ভাইপো (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন না, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে।

    কী বললেন আইএসএফ কর্মীরা?

    আইএসএফ কর্মী নাসির আলি মোল্লা বলেন, দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election)  মনোনয়ন জমা দিতে  আমরা বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। ওই চোরগুলো কুকুরের মতো করে বিডিও অফিসের রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যেতেই ওরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি বোমাবাজি করে গুলিও চালায়। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, এদিন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সেটা বানচাল করতেই আইএসএফ দুষ্কৃতীদের জমায়েত করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন আমাদের নামে মিথ্যা অফিযোগ করছে। নির্বাচনে (Panchayat Election) মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে পুলিশ! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রার্থীর বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে পুলিশ! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন না করা বা প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে হুমকি প্রদান করতে বলেছেন খোদ ডায়মন্ডহারবারের এসপি, এমনই দাবি বিরোধী দলনেতার। ক্যামেরার সামনে কিছু করতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে সমস্ত আইসি ও ওসিদের এমন নির্দেশ দিয়েছেন জেলার এসপি, একথা জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রসঙ্গত, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জের পুলিশকে শাহজাহানের কথায় চলতে বলেছে। 

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জেলায় জেলায় মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি চলছেই। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়। ক্যানিং-এ বিজেপির মহিলা কর্মীদেরও মারধর করে তৃণমূলের বাহিনী। গত চারদিন ধরে এটাই সার্বিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলার। ইতিমধ্যে রাজভবন ও আদালতের জোড়া নজরে কারণ না দেখালে কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার নয় বলে ঘোষণা করেছে কমিশন। জেলায় জেলায় মনোনয়ন ঘিরে যে ভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্য়েই এই নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। এনিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আগে মনোনয়ন জমা পড়লে তার পরে তো প্রত্যাহার নিয়ে কথা ওঠে।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ডায়মন্ডহারবারের এসপি, জেলার সমস্ত ওসি-আইসিদের মিটিং করে বলেছেন, ক্যামেরার সামনে যেন কিছু না হয়। তবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন যাতে জমা না পড়ে বা মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’’

    বসিরহাটের পুলিশ সুপার শাহজাহানকে সন্ত্রাসের ছাড়পত্র দিয়েছেন, দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন বলেন, ‘‘’ভাইপো’-র কাছে টিকে থাকতেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের এসপি।’’ পাশাপাশি বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি, জন টমাসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘তিনি সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জে শাহজাহানের কথায় পুলিশকে চলতে বলেছেন। শাহজাহানকে বলেছেন, তুমি রাতে মারো। সেই জন্যই ন্যাজাটে, গতকাল রাতে আমাদের দলীয় দফতর পোড়ানো হয়েছে।’’

    আদালতে দারস্থ হওয়ার কথা বলেছেন শুভেন্দু

    এমন পক্ষপাত আচরণ যে রেয়াত করা হবেনা তা বুঝিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘এমন শিক্ষা দেব, আপনারা দেখতে থাকুন। আমরা মহামান্য প্রধান বিচারপতির আগামীকালের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। এটা গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই…।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election:  উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    Panchayat Election: উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। তানিয়েও বিস্তর অভিযোগ বিরোধীদের। কোথাও প্রশাসনিক কর্তারা বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন কোথাও বা সন্ত্রাস করছে শাসক দল। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে। এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা নিয়ে এল বিশেষ নিয়ম। কমিশন জানিয়েছে, যদি ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হিসাবে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। সোমবার কমিশনের তরফে এমনই নির্দেশ এসেছে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে। প্রশাসনিক কর্তারা প্রথমে দেখে নেবেন, যিনি আবেদন প্রত্যাহার করতে এসেছেন তিনি আসল প্রার্থী কিনা! 

    আরও পড়ুন: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    বিরোধীদের চাপেই কি কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত?

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিরোধীদের লাগাতার চাপের ফলেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। রাজভবন থেকে আদালত প্রতিটি সংস্তাই এখন কড়া নজর রাখছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। নজর দিচ্ছে মানবাধিকার কমিশনও। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে, মত বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশের। ১৪৪ ধারা লাগু করার পরেও রোখা যায়নি রাজনৈতিক সন্ত্রাস। সোমবারই রাজ্যের একাধিক জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনোনয়ন ঘিরে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে মাথা ফাটে বিজেপি বিধায়কের। 

    হাইকোর্টে বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) শাসকদলকে একতরফা সুবিধা দিতেই সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন, এমন অভিযোগ বিজেপি গত কয়েকদিন ধরেই করে আসছে। ইতিমধ্যে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে হাইকোর্টের দারস্থও হয়েছে বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার হাইকোর্ট জিজ্ঞেস করে, ‘‘আইনে কি কোথাও বলা আছে মনোনয়নের জন্য ৭ দিনের সময়সীমার কথা?’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের উত্তর, ‘‘ না সেরকম কোনও আইন নেই।’’ তখনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে জানাল, ১৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত তারা।

    আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share