Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kalighater Kaku: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকুর ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ, দাবি করল ইডি

    Kalighater Kaku: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকুর ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ, দাবি করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামে-বেনামে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku), ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ৪০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানাল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এইসব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ঘেঁটে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক খুলে যেতে পারে। শোনা যাচ্ছে, এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সাহায্যেই কালো টাকা সাদা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সোমবার ইডি সূত্রে জানা গেছে, আরও নতুন তিনটি কোম্পানির নাম পাওয়া গেছে, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এর আগেই কালীঘাটের কাকুর নামে তিনটি সংস্থার হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। সংস্থার আধিকারিকদের মতে, এই তিনটি সংস্থাতেই নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হত। 

    ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)

    প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে কালীঘাটের কাকুকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তে বিভ্রান্ত করতে থাকেন তিনি। একাধিক বয়ানে মেলে অসঙ্গতি। সেদিন রাত ১১ টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে।

    আরও পড়ুন: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত? 

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগ

    একাধিক ভুল তথ্য সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডির কাছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যেমন তিনি বলেছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে নাকি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত চিনতেন না! কিন্তু ইডি ২০১৮ সালেই মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথোপকথনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে যোগ মিলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। জানা যাচ্ছে, ধৃত ২ তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন ছিল। শুধু তাই নয্‌ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে বিভিন্ন সময় বড় অঙ্কের টাকা ধারও দিতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই টাকার উৎস কী? তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরও ৭-৮ টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে কালীঘাটের কাকুর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের

    BJP: সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে সরব হলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা। মঙ্গলবার দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার সময় তো আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রেলমন্ত্রী ছিলেন। আপনি তো সেই সময় দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআইকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাহলে সিবিআই নিয়ে আপনার কীসের এত ভয়? সিবিআই তদন্ত থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন কেন?

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বিমান বন্দরে আটকানো নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্র ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং। তিনি বলেন, “উনি রাজনীতি করেন। আর তদন্তকারী সংস্থার কাজ তদন্ত করা। সেটাই ইডি করছে। কোনও সমস্যা থাকলে ইডি-কে বলুন বা আইনগত ব্যবস্থা নিন। যা খুশি মন্তব্য করলে তো চলবে না।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে বলেন, “অন্য রাজ্যের বিরোধীদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ না করে নিজের রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে কেন, সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন সিদ্ধার্থনাথ সিং?

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে সৌগত রায়ের গরমকালের তত্ত্ব প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) নেতা বলেন “সৌগত রায়ের বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজন আছে। সরকারে আছেন যখন, তখন দায়িত্বশীল হয়ে কারা দোষী সেটা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তৃণমূল সরকার একদম দ্বায়িত্বশীল সরকার নয়।” বোমা বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজের মতো বোমার সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সরকার চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারে। কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে সরকার। তাই এসবের জন্য দায়ী একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, মার খেয়ে হাসপাতালে অঞ্চল সভাপতি

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, মার খেয়ে হাসপাতালে অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসক দলের (TMC) কঙ্কালসার চেহারাটা যেন ততই প্রকাশ্যে চলে আসছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যাচ্ছে যে, দলেরই এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর নেতার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছে না। এমনই ঘটনা ঘটল এবার উত্তর দিনাজপুরে। সেখানে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলে এল প্রকাশ্যে। বুথ কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দলেরই অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূপালপুর এলাকায়। আহত অঞ্চল সভাপতি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে তৃণমূলেরই গোষ্ঠী কোন্দল বলে মেনে নিলেও এতে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেছেন উপপ্রধান।

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা (TMC)?

    উল্লেখ্য, সোমবার রাতে বীরঘই অঞ্চলের ভূপালপুর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নতুন বুথ কমিটি ঘোষণা করতে গিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি কৈলাশ চন্দ্র বর্মন সহ কয়েকজন নেতৃত্ব। ফেরার পথে ভূপালপুর এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য গোষ্ঠী লাঠিসোটা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সোমবার মধ্য রাতে আহত অঞ্চল সভাপতিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। ঘটনায় আহত কৈলাশ চন্দ্র বর্মন অবশ্য ক্যামেরার সামনে উপ প্রধানের নাম না তুললেও উপ প্রধানের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই তাঁকে মারধরের অভিযোগ তোলেন।

    কী বললেন অভিযুক্ত উপপ্রধান (TMC)?

    অন্যদিকে, বীরঘই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল আলম এই ঘটনাকে তৃণমূলেরই (TMC) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না, আর বিষয়টি তিনিও উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। একটা বিষয় পরিষ্কার, ঘটনা ঘটলেও এর দায় কোনও পক্ষই নিতে রাজি নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha train Accident: মর্গে স্তূপাকার মৃতদেহ, তার মধ্যেই অচৈতন্য ছেলেকে খুঁজে পেলেন বাবা!

    Odisha train Accident: মর্গে স্তূপাকার মৃতদেহ, তার মধ্যেই অচৈতন্য ছেলেকে খুঁজে পেলেন বাবা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃতদেহের স্তূপের মধ্যে পড়ে ছিলেন তিনি। কোনওক্রমে শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে বলে ফোনে জানিয়েছিলেন বাবাকে। তারপর বাবা বালেশ্বরে গিয়ে অস্থায়ী মর্গের ভিতর থেকে ছেলেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনলেন কলকাতায়। রক্তাক্ত মরদেহের স্তূপের মধ্যে থেকে অচৈতন্য ছেলেকে শনাক্ত করে খুঁজে বের করাটা খুব কঠিন কাজ ছিল, বললেন বাবা।

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) খবর পেয়েই ছুটে যান বাবা

    বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) পশ্চিমবঙ্গের শতাধিক মানুষ মারা গেছেন বলে জানা গেছে। অস্থায়ী মর্গের মধ্যে শতাধিক মৃতদেহের মধ্যে থেকে হাওড়ার বাসিন্দা হেলারাম মালিক তাঁর ২৪ বছরের ছেলে বিশ্বজিৎ মালিককে জীবন্ত অবস্থায় খুঁজে বের করেন। বাবা গত শুক্রবার শালিমার স্টেশনে গিয়ে ছেলেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছেড়ে দিয়ে আসেন। কিন্তু কিছু সময় পরই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চিন্তায় পড়েন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বুঝতে পারছিলেন না, কী করবেন! কয়েকবার ফোন করেন ছেলেকে। কিন্তু ফোন লাগছিল না। কিন্তু পরে ছেলেই বাবাকে দুর্বল স্বরে জানান, তিনি আহত হয়েছেন। হাত-পায়ে চেতনা নেই বললেই চলে। এরপর হেলারাম এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন।

    কীভাবে মর্গের ভিতরে খুঁজে পেলেন?

    ঘটনাস্থলে পৌঁছেই প্রথমে বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) হাসপাতালে হন্যে হয়ে খোঁজ করেন ছেলের। কিন্তু কোনও সন্ধান পাননি। মনে মনে ভাবছিলেন, আর মনে হয় ছেলেকে পাবো না! এতক্ষণে আহত ছেলে বেঁচে আছে না মারাই গেছে, কে জানে? অবশেষে মনে সাহস নিয়ে বাহানাগা স্কুলের অস্থায়ী মর্গের ভিতরে ঢোকেন। সেখানে সাদা কাপড়ে ঢাকা সারি সারি মৃতদেহ। চারদিকে রক্তাক্ত আর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। হঠাৎ মৃতদেহের স্তূপের একটি জায়গা থেকে নড়ে উঠল হাত। সেখানে চোখ পড়ল হেলারামের। কাছে যেতেই দেখলেন বিশ্বজিৎ। বুঝলেন, ছেলের এখনও শুধু প্রাণটুকুই শরীরে রয়েছে। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সে করে বালেশ্বর থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান ছেলেকে। হেলারামবাবু বলেন, ভাবতে পারিনি ছেলেকে মর্গ থেকে এই অবস্থায় জীবন্ত ফিরে পাব। ভগবানের আশীর্বাদ ছিল বলে ওকে ফিরে পেলাম। এরকম দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেই কামনাই করি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ ফিরল গ্রামে, গান স্যালুটে শেষ বিদায়

    Train Accident: নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ ফিরল গ্রামে, গান স্যালুটে শেষ বিদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে একের পর এক মন খারাপ করা খবর। একের পর এক পরিবারে শোকের ছায়া। এবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছাল বাঁকুড়ার ইন্দাসের বাড়িতে। দুর্ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামের ওই সিআরপিএফ জওয়ান নিখিল ধাড়া। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর দেহ মিলছিল না। অবশেষে গতকাল সিআরপিএফ-এর তৎপরতায় তাঁর মৃতদেহের খোঁজ মেলে। মরদেহ চিহ্ণিত করার পর আজ মৃত নিখিল ধাড়ার কফিনবন্দি দেহ সিআরপিএফ জওয়ানদের কাঁধে ফেরে ইন্দাসের কুশমুড়ি গ্রামে। চোখের জলে নিহত জওয়ানকে শেষ বিদায় জানান এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

    কীভাবে ঘটেছিল দুর্ঘটনা (Train Accident)?

    পরিবার সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজগীরে প্রশিক্ষণ নিতে যান ছত্তিশগড়ে সিআরপিএফে কর্মরত বাঁকুড়ার নিখিল ধাড়া। প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজগীর থেকে খড়্গপুরে এসে গত ২ জুন নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে বসেন নিখিল। তারপরই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Train Accident)। দুর্ঘটনার পর থেকে আর নিখিলের কোনও খোঁজ মিলছিল না। বহু চেষ্টা করেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি পরিবার। গতকাল গ্রামের একদল বাসিন্দা নিখিলের খোঁজে বালেশ্বরে যান। সেখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিখিলের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও তার ভিতরে থাকা পরিচয়পত্র মিললেও নিখিলের খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে সিআরপিএফ-এর তরফেও শুরু হয় সন্ধান। শেষে ওড়িশার একটি হাসপাতালে নিখিলের মৃতদেহের খোঁজ মেলে। এরপরই তাঁর  দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় সিআরপিএফ।

    গান স্যালুটে শেষ বিদায়

    আজ দুপুরে সিআরপিএফ-এর গাড়িতে করে জওয়ানরা কুশমুড়ি গ্রামে নিহত (Train Accident) জওয়ানের দেহ নিয়ে পৌঁছান। সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। কুশমুড়ি গ্রামের অদূরেই গান স্যালুট দিয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: মহা-জনসম্পর্ক অভিযানের অংশ, রাজ্যে এক হাজার জনসভা করবে বিজেপি!

    Bengal BJP: মহা-জনসম্পর্ক অভিযানের অংশ, রাজ্যে এক হাজার জনসভা করবে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে চলা মহা-জনসম্পর্ক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজ্যের এক হাজার স্থানে সভা করবে বিজেপি (Bengal BJP)। বর্তমানে এরাজ্যে দলের ৭০ জন বিধায়ক এবং ১৬ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। মূলত তাঁরাই এই সভায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরাও থাকবেন। মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই কর্মসূচি পঞ্চায়েত ভোটের আগে এরাজ্যে বিজেপিকে ভালো মাইলেজ দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাজ্য বিজেপির (Bengal BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘এক হাজার জনসভাই হবে। আমাদের দলের ৭০ জন বিধায়ক রয়েছেন। ১৬ জন সাংসদ। তাছাড়া রাজ্য পদাধিকারীরাও জনপ্রিয়। কোনও সমস্যা হবে না।’’

    এমনিতেই ব্যাকফুটে শাসক দল

    বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এমনিতেই একাধিক দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যথেষ্ট ব্যাকফুটে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির এই মহা জনসম্পর্ক অভিযান সফল হবে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি শহরকে ঘিরে তাদের সাংগঠনিক নগর মণ্ডল তৈরি হয়। শহর আয়তনে বড় হলে তার মধ্যে দুটি নগর মণ্ডলও থাকে। এছাড়াও প্রতিটি জেলা পরিষদ আসনকে ধরে বিজেপির গ্রামীণ মণ্ডলের সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। কমবেশি সব মণ্ডলেই এই সভা হবে বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: ‘যেখানে ভূতের ভয়’! রুজিরা-ইস্যুতে মমতা-অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    দেশজুড়ে মহা-জনসম্পর্ক অভিযানে বিজেপি (Bengal BJP)

    নরেন্দ্র মোদি সরকারের ন’ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে মহা-জনসম্পর্ক অভিযান শুরু করেছে বিজেপি। এই কর্মসূচির আহ্বায়ক তরুণ চুঘ জানিয়েছেন, দলের ১৪০০ র ওপর বিধায়ক এবং তিনশোর বেশি সাংসদ এই কর্মসূচিতে থাকবেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৯ বছরে মোদি সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তা দেশের প্রতিটি বুথেই পৌঁছে দেবেন বিজেপির কার্যকর্তারা। জানা গেছে, নাগরিক সেমিনারও যেমন হবে, তেমনি সমাজের বিশিষ্টদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বিজেপি নেতারা। পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে পিছিয়ে পড়া বর্গের মানুষদের দিকেও। যাঁরা নরেন্দ্র মোদি সরকারের নয় বছরের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবেন বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, সারা দেশ জুড়ে জনসভা করবেন বিজেপি নেতারা। বেশ কয়েকটি বড় জনসভাও হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো প্রথম সারি নেতারা। এ রাজ্যে এমন তিনটি জনসভা হবে বলে শোনা যাচ্ছে বিজেপি সূত্রে। উপস্থিত থাকবেন মোদি-শাহ-নাড্ডা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: রাজ্য জুড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মন্ত্রী শোভনদেব!

    TMC: রাজ্য জুড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মন্ত্রী শোভনদেব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার বাজি বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়। এর পরই পুলিশি অভিযানে রাজ্য জুড়ে বস্তা বস্তা বোমা উদ্ধার হয়। এখনও চলছে বোমা উদ্ধারের কাজ। এর মধ্যে সোমবার সকালেই বনগাঁয় শৌচালয়ের মধ্যে থাকা বোমা বিস্ফোরণে ১২ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন খড়দার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী?

    খড়দহে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী (TMC) বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোথাও হচ্ছে বোমা বিস্ফোরণ, কোথাও আবার প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে তাজা বোমা। বোমা বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ছোটদের মৃত্যু হচ্ছে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। পুলিশ-প্রশাসনকে আরও বেশি করে সক্রিয় হতে হবে। এই মৃত্যুগুলো আমাদের কাঙ্খিত নয়। পুলিশ আরও বেশি সতর্ক হোক, আরও বেশি করে এগিয়ে চলুক। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স আরও ভালো করে কাজ করুক। পুলিশের আইবি ও এসবি দফতর ভালো করে কাজ করে দেখুক, কোথায় বোমা রাখা আছে। যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করুক। বিভিন্ন জেলায় থানা বাড়ছে, কিন্তু পুলিশে নিয়োগ হচ্ছে না।”

    বোমা নিয়ে অর্জুনের কী বক্তব্য?

    কয়েকদিন আগে বারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। দলীয় কাউন্সিলার আক্রান্ত হওয়ার পর ক্ষোভ জানিয়েছিলেন তিনি। দলের একাংশের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন বার বার। এবার বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে আজব তত্ত্ব খাড়া করলেন অর্জুন। তিনি বলেন, “বোমা সস্তার অস্ত্র। প্রচণ্ড গরমে বিস্ফোরণ হচ্ছে।” এর আগেও রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে তৃণমূল (TMC) সাংসদ সৌগত রায় গরমকে দায়ী করেছিলেন। যা নিয়ে রাজনীতিতে জলঘোলা হয়েছিল। এবার অর্জুনের তত্ত্ব নিয়ে রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Coal Smuggling scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতাকে তলব ইডির

    Coal Smuggling scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতাকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling scam) শাসক দলের মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ আরেক তৃণমূল নেতাকে তলব করল ইডি। শাসক দলের রাঘব বোয়ালদের ধরতেই কি এবার রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তীকে তলব? এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পরিচয়ের যাবতীয় নথি নিয়ে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। শঙ্কর চক্রবর্তীকে আগামী সপ্তাহে কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling scam) তলব করেছে ইডি। শঙ্করবাবুকে ইডি দফতরে তাঁর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, আই টি রিটার্ন, পাসপোর্ট এবং ফটো নিয়ে আসতে হবে বলে জানা গেছে। সোমবার ইডি দফতর থেকে নোটিশ বাড়িতে পৌঁছালে তা গ্রহণ করেন স্ত্রী দীপা চক্রবর্ত্তী।

    শঙ্কর চক্রবর্তীর স্ত্রীর বক্তব্য

    স্ত্রী দীপা চক্রবর্তী বলেন, ইডির নোটিশ (Coal Smuggling scam) আমরা পেয়েছি। বর্তমানে আমার স্বামী খুব অসুস্থ। কিন্তু তবুও ইডি দফতরে দেখা করতে যাবেন উনি। আর যা যা ডকুমেন্ট নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।

    কয়লা পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী

    কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling scam) তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীকে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ইডি দিল্লিতে তলব করেছিল। কয়লা-গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে। বর্তমানে তাঁর ঠিকানা তিহার জেল। এই কয়লা পাচারকাণ্ডেই তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা বিনয় মিশ্রকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পলাতক ঘোষণা করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। রাজ্যের এক পুলিশ অফিসারকেও ইডি গ্রেফতার করেছিল বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে আরও এক তৃণমূল নেতা বিকাশ মিশ্র আসানসোল স্পেশাল কোর্ট থেকে জামিনে বাইরে রয়েছেন। কয়লা পাচারে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের কপালে ইডি চিন্তার ভাঁজ ফেলছে, মনে করছে রাজনীতির একাংশ মানুষ। বিরোধী দলের বক্তব্য, যারা কয়লা পাচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি করেছে, তাদের শাস্তি অবশ্যই হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata High Court: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

    Kolkata High Court: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ-দুর্নীতির মামলা কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) নতুন ডিভিশন বেঞ্চে গেল। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই মামলা পাঠালেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। এই সপ্তাহেই পুরসভার নিয়োগ-দুর্নীতির মামলার শুনানি হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

    পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় রাজ্য। পরবর্তীকালে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফিরিয়ে দেয়। তা চলে যায় প্রধান বিচারপতির কাছে।

    আরও পড়ুন: ‘যেখানে ভূতের ভয়’! রুজিরা-ইস্যুতে মমতা-অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    পুরনিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম। তার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ওএমআর শিট মেলে। ইডির দাবি, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিল প্রমোটার অয়ন শীল (Ayan Sil)। অয়নকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে একাধিক পুরসভার নাম পাওয়া যায়। এই ডাস্টবিনেই পাওয়া যায় পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও। পুরসভার টেন্ডারেও একচেটিয়া নাম দেখা যায় অয়নের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক বার দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় টাকার বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আবার এই মামলা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) ফিরিয়ে দেয়।  এই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় চক্রান্ত থাকতে পারে, দাবি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীর

    BJP: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় চক্রান্ত থাকতে পারে, দাবি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চক্রান্তের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা কবীন্দ্রা গুপ্তা। মঙ্গলবার রাজ্যে বিজেপির বিশেষ জনসম্পর্ক অভিযানে এসে এমনই মন্তব্য করলেন তিনি। তাঁর এই মন্ত্যবকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন এই বিজেপি (BJP) নেতা?

    কেন্দ্রের মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে মহা জনসম্পর্ক অভিযানে এসে মঙ্গলবার বর্ধমান জেলা বিজেপির (BJP) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কবীন্দ্রা গুপ্তা। সেখানে তিনি জানান, বালেশ্বরে দুর্ঘটনার পর থেকে রেলমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত টানা দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের রেল মন্ত্রকের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার জন্য কোনও চক্রান্ত হয়েছে কি না, তার সন্ধান করা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে স্বয়ং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজের তদারকি করেছেন। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রেল বোর্ড তদন্তের স্বচ্ছতার জন্য সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে। কেউ দোষী থাকলে শাস্তি দ্রুত পাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

    কাশ্মীর প্রসঙ্গে মন্তব্য

    গত ৯ বছরে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার জম্মু-কাশ্মীরে কীভাবে কাজ করেছে, সরকারের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে কীভাবে পৌছেছে, সেই বিষয়েও তিনি প্রচার করেন। তিনি বলেন, গত ৭০ বছরের মধ্যে এই বছরেই ভূস্বর্গে পর্যটকদের রেকর্ড ভিড় হয়েছে। পাকিস্তানের সৈন্যরা বারে বারে সীমান্তে অশান্তি ও অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেও ভারতীয় সেনাবাহিনী তা রুখে দিয়েছে। আর এর ফলেই অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সুরক্ষার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে, জানান কবীন্দ্রা গুপ্তা। তিনি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার জাতি, ধর্মের ভেদাভেদ করছে। সারা রাজ্য জুড়ে কারা কারা টাকা খেয়েছে, তদন্ত ঠিক মতো হলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এদিনের মহা জনসম্পর্ক অভিযানে কবীন্দ্রা গুপ্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া এবং বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোডুই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share