Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Train Accident: বোনের বিয়েতে আর আসা হল না মালদার কৃষ্ণের, বাড়ি পৌঁছাল নিথর দেহ

    Train Accident: বোনের বিয়েতে আর আসা হল না মালদার কৃষ্ণের, বাড়ি পৌঁছাল নিথর দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোনের বিয়েতে যোগ দিতে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপুলতলা গ্রামের কৃষ্ণ রবিদাস। বয়স ২৩ বছর। প্রায় পাঁচ মাস পর তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। বিয়েতে কত আনন্দ করবেন, তা নিয়ে ফোনে বোনের সঙ্গে অনেক পরিকল্পনাও করেছিলেন। যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ফেরার কথা পরিবারের লোকজনকে ফোন করে তিনি জানিয়েছিলেন। ট্রেনে ওঠার পর শেষ ফোন করেছিলেন মাকে। তারপরই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Train Accident)। সেই সময় থেকেই নিখোঁজ তিনি। সোমবারই পরিবারের লোকজন ভুবনেশ্বর মর্গে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ শনাক্ত করেন।

    কীভাবে শনাক্ত করা হল তাঁকে?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ রবিদাসরা চার ভাই, দুই বোন। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা হেমন্ত রবিদাস ও মা যশোদা রবিদাস। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন মা যশোদাদেবী। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন পরিজনরা। যশোদাদেবী বলেন, “ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর তিন দিন ধরে ছেলের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। সরকারি হেল্পলাইনে ফোন করেও কোনও খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে সোমবার সরকারি সূত্রে খবর পেয়ে আমার বড় ছেলে অশোক ওড়িশার ভুবনেশ্বর হাসপাতালের মর্গে ছেলের মুণ্ডহীন দেহ শনাক্ত করে। জামা, প্যান্ট, বেল্ট এবং পকেটে থাকা আধার কার্ড দেখে ভাইকে চিনতে পারে সে।”

    কী বললেন মৃত যুবকের বাবা?

    মৃত যুবকের বাবা হেমন্ত রবিদাস বলেন, “আগামী ১২ জুন আমার ছোট মেয়ের বিয়ে রয়েছে। বোনের বিয়েতে অংশগ্রহণ করতেই ছেলে বাড়ি ফিরছিল। এই ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) আমার ছেলের প্রাণ কেড়ে নিল। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে ছেলের দেহ গ্রামের বাড়িতে আসে।” গ্রামের ছেলের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। খবর পেয়ে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসেন কৃষ্ণের বাড়িতে গিয়ে সব রকম সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: “আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!” আক্ষেপ মৃত বাদলের মায়ের

    Train Accident: “আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!” আক্ষেপ মৃত বাদলের মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট কাটার টাকা ছিল না বলে ক’টা দিন পরে যেতে বলেছিলেন বাবা-মা। কিন্তু যাওয়ার জেদ চেপে বসেছিল ছেলের। নিজের মোবাইল বিক্রি করে যেতে চাইলে, শেষমেশ বাধ্য হয়ে আড়াই হাজার টাকা ধার করে বাদলের (২০) হাতে দিয়েছিলেন বাবা বরুণ বিশ্বাস। নিজে টোটো চালিয়ে হাই রোড পর্যন্ত এগিয়েও দিয়েছিলেন ছেলেকে। বাদল আর তাঁর প্রতিবেশী বন্ধু অমিত রায়ের (২১) নিথর দেহ ওড়িশা (Train Accident) থেকে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে রবিবার মাঝরাতে এসে পৌছায় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির কাঁঠালহাট গ্রামে। সঙ্গে ছিলেন দুই পরিবারের লোকজন।

    কেন যেতে হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Train Accident)?

    দীর্ঘ পাঁচ বছর ভিন রাজ্যে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে অমিতের। দরিদ্র বাবার একমাত্র ছেলে অমিত, দিদির বিয়ের জন্য বৈশাখ মাসে বাড়ি এসেছিলেন। বিয়েতে খরচও করেছেন তিনি। ফের রোজগারের আশায় চেন্নাইয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গেই ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যাওয়ার জেদ ধরেছিলেন বাদলও। আর তাই বাদল বাবা-মায়ের বারণ উপেক্ষা করেই অমিতের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর পথে যেতেই ওড়িশায় (Train Accident) ঘটল ট্রেন দুর্ঘটনা।

    অমিতের পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার রাতে যখন বাড়িতে খবর আসে, সেই থেকে অমিতের মা কল্পনা রায় খানিকক্ষণ পরপর অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। খাওয়াদাওয়া বন্ধ, বলছেন না কোনও কথাও। অমিতের মৃতদেহের সামনে বসে দিদি নমিতা বলতে থাকেন, একটাই ভাই ছিল! আমার বিয়ের জন্য ভাই এসেছিল। ওর বিয়ে দেব, বাড়িঘর সাজাব, কত স্বপ্ন ছিল! সব শেষ হয়ে গেল। শনিবার অমিতের বাবা নকুল রায়, বাদলের মামা এবং জামাইবাবুরা বালেশ্বরে (Train Accident) যান। শনিবার সারাদিন বিভিন্ন মর্গে ঘুরে অবশেষে রবিবার দিন রাতে দেহ খুঁজে পান তাঁরা।

    বাদলের বাবা-মায়ের বক্তব্য

    অমিতের সঙ্গে যাওয়াটা যে শেষ যাওয়া হবে, বুঝিনি! ভাঙাচোরা মাটির বাড়ির দরজায় বসে এই কথাই বারবার বলছিলেন ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) মৃত বাদলের বাবা বরুণ রায়। কাঁঠালহাটের বাসিন্দা বাদলের বাড়িতে বাবা, মা ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছোট ভাই রয়েছে। বাবা টোটো চালক। বাদলের মা পলিদেবী ফুঁপিয়ে কেঁদে বললেন, কত বার বললাম, কিছু দিন পরে যা। কিন্তু শুনল না। আমার কথা শুনলে ছেলেটা বেঁচে যেত, সবই নিয়তি!

    প্রশাসনের বক্তব্য এবং আরও ১ মৃতদেহ আশার অপেক্ষায়

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, কুশমণ্ডির দুজনের দেহ রাতে এসেছে। আমরা নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসন তাঁদের পাশে রয়েছে। এদিকে, গঙ্গারামপুরের লালচন্দনপুরের নিখোঁজ সুমন রায়ের দেহ সোমবার শনাক্ত (Train Accident) করেছেন তাঁর বাবা রমাকান্ত রায়। বাবা বলেন, প্রশাসন থেকে মৃতদের ছবি পাঠিয়েছিল। ছবি দেখে চিনতে পেরেছি আমার ছেলেকে। সুমনের দেহ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Governor: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে তিন ভাইয়ের, পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল

    Governor: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে তিন ভাইয়ের, পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। রাজ্যে কাজের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ছড়ানেখালির তিন ভাই হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন অন্ধ্রপ্রদেশে যাচ্ছিলেন ধান রোয়ার কাজ করতে। ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করে টাকা পাঠাবেন পরিবারে। হাসি ফুটবে ছোট ছোট সন্তানদের মুখে। এমনটাই ভাবনা ছিল তাঁদের। কিন্তু, বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল তিন ভাইয়ের। এখনও শোকে বিহ্বল গোটা গায়েন পরিবার। মঙ্গলবার এই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে আসেন রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি ট্রেন দুর্ঘটনায় এই গ্রামেরই সঞ্জয় হালদার এবং বিকাশ হালদার নামে দুজনের মৃত্যু হয়। এই দুই পরিবারের সঙ্গেও রাজ্যপাল কথা বলেন। এদিন রাজ্যপাল অসহায় এই পরিবারগুলির সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, ফল তুলে দেন।

    রাজ্যপালকে (Governor) কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এদিন রাজ্যপাল (Governor) গ্রামে আসতেই তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। মৃতের পরিবারের এক সদস্য রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তাঁর হাত জড়িয়ে ধরে বলেন, গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হয়। এলাকায় কোনও উন্নয়ন নেই। হাতে কাজ নেই। তাই, বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ ভিন রাজ্যে কাজে যান। আর সেই কাজে যেতে গিয়ে এই দুর্ঘটনায় কবলে পড়়ে মৃত্যু হয়েছে সকলের। এলাকায় কিছু করার জন্য রাজ্যপালকে এলাকাবাসী অনুরোধ জানান।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor)?

    দুর্ঘটনায় মৃতদের শ্রাদ্ধশান্তির কাজ রাজভবনের তরফে করা হবে বলে জানান রাজ্যপাল (Governor)। প্রত্যেক নিহতের পরিবারের জনধন অ্যাকাউন্টে দশ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত বেদনার। পাশে থাকার বার্তআ দিতে এখানে এসেছি। আগামী দিনও এই পরিবারের পাশে আমরা থাকব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর-২ নম্বর ব্লকের পলশ্যা গ্রামের গোকুলপুর বাজারে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে জনসম্পর্ক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আপনার লজ্জা লাগে না? আপনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আপনারই রাজত্বে স্বামী বিজেপি করে বলে একজন মহিলাকে শুনতে হয়, তোমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করব! এরকম মুখ্যমন্ত্রী হলে তাঁর লজ্জা লাগা উচিত, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত। অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী।” উল্লেখ্য, দলীয় কর্মীর স্ত্রীকে এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানার পরই বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে একের পর এক তোপ দাগেন।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সবেরাতি আলি এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে বলে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “সবেরাতি আলি ব্লক প্রেসিডেন্ট তৃণমূলের। তাকে পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, ভাই সময় আছে, শুধরে যাও। না হলে পরে যোগীর ট্রিটমেন্ট করব। এমন অবস্থা করব, পশ্চিমবঙ্গে লুকনোর জায়গা খুঁজে পাবে না। অন্য রাজ্যে গিয়ে কবরে স্থান পাবে।”

    পুলিশকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “আরে, চামচাগিরি করার ইচ্ছে হয়েছে তো পুলিশের ড্রেস খুলে রাখুন। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা নিয়ে পঞ্চায়েতে দাঁড়ান। আমরা বুঝিয়ে দেব, কত ধানে কত চাল। পুলিশের ড্রেস পরে চামচাগিরি করতে আসবেন না। আপনার টুপিতে অশোকস্তম্ভ থাকে। যদি চামচাগিরি করতে হয়, অশোকস্তম্ভটা খুলে ফেলে দিন। হাওয়াই চটি লাগিয়ে চামচাগিরি করুন। লোকে তাও কিছুটা হলেও মানবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Report: নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা! তাপপ্রবাহ চলবে ১০ জুন পর্যন্ত, কবে আসবে বর্ষা?

    Weather Report: নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা! তাপপ্রবাহ চলবে ১০ জুন পর্যন্ত, কবে আসবে বর্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়েই চলছে তাপপ্রবাহ। হাওয়া অফিস (Weather Report) জানিয়েছে, এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া চলবে ১০ জুন অবধি। আগামী চার দিনে তাপপ্রবাহের কারণে রাজ্যের ১৪ টি জেলায় ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই বর্ষা ঢোকার কথা কেরলে। কিন্তু ৬দিন পেরিয়ে গেলেও বর্ষা আসেনি দক্ষিণের উপকূলে। মৌসম ভবন বলছে, বর্ষার অনুকূল অবস্থা তৈরির জন্য এখনও এক-দুদিন লেগে যেতে পারে।

    বাংলাতেও দেরিতে বর্ষা? 

    বাংলায় বর্ষা ঢোকে ৭ জুন। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার যাত্রা শুরু হয় ১০ জুন থেকে, কলকাতায় ১২ জুন। এসবই হাওয়া অফিসের হিসাব। কিন্তু কেরলে দেরি হলে বাংলাতেও বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে কেরলে বর্ষা পৌঁছায় ৮ জুন। সেবার কলকাতায় বর্ষা ঢোকে ১৬ জুন, গোটা বাংলাতে বর্ষা ঢুকতে সময় লেগেছিল ২২ জুন। অর্থাৎ কেরলে বর্ষা পিছলে স্বাভাবিক নিয়মে বাংলাতেও তা পিছিয়ে যাবে। কারণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু হিমালয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরে যখন পশ্চিমবঙ্গে আসে, তখনই বাংলায় বর্ষা শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    রাজস্থানকে টেক্কা দিল কলকাতা

    অস্বস্তিকর আবহাওয়া এখনই যাচ্ছে না। তা ১০ জুন পর্যন্ত চলবে এবং প্রতিদিনই এক থেকে দুই ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গরমের নিরিখে রাজস্থানের মরু শহরকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে কলকাতা।

    কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাসও (Weather Report) মিলেছে

    মঙ্গলবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৭ জুন বুধবার সকালের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে চলবে তাপপ্রবাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: অধীরের সভার প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: অধীরের সভার প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আনুমানিক রাত নটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরে রাস্তার উপর তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী এক মহিলাকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে এমন ভাবে মারধর করা হয়, তাঁর ডান হাতের আঙুল থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মহিলাকে মারধর করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলছে, রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা কোথায়?

    রানিনগরে (Murshidabad) কী হয়েছিল?

    আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রানিনগরে (Murshidabad) কংগ্রেসের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি থাকবেন বলে ওই মহিলা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারও করেন। আর তার পরেই তৃণমূলের নাজমুল সহ আরও অনেক নেতা তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। 

    আক্রান্ত মহিলার বক্তব্য

    আহত মহিলার দাবি, কিছুতেই তিনি এই রাস্তা থেকে সরবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন (Murshidabad) তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আটক করছে। সেই সঙ্গে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রশাসন নেই। সভার প্রচারকে কেন্দ্র করে শহরে মিছিল করা হবে বলে আমি কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানাই। আর তার পরেই তাঁর উপর এই আক্রমণ হয় বলে তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যারা আমার উপর আক্রমণ করেছে, তাদের মধ্যে আমি নাজমুলকে চিনি, সে তৃণমূল করে। আর যারা সাথে ছিল তাদেরকেও চিনি আমি। কিন্তু নাম জানি না।

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    রানিনগরের (Murshidabad) শেখপাড়ায় ওই ঘটনা এলাকার ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। রাতে রাস্তায় লোকজন বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, পুলিশ কী সহযোগিতা করবে! আমাদেরকেই পুলিশকে সহযোগিতা করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন মহিলারা মার খাচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে। কিন্তু মহিলাদের উপর আক্রমণ চলছে, অথচ প্রশাসনের কোনওরকম ভ্রুক্ষেপ নেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, এরপরও কী করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও আইন আছে! উনি কোন চশমা ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের আইন ব্যবস্থাকে জাগ্রত রেখেছেন, সেটাই প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও মিটল না ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার এই কোন্দল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিস পর্যন্ত গড়াল। ভাটপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এদিন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। মাসখানেক আগেই সত্যেনবাবুর স্ত্রী পুলিশ কমিশনারের কাছে স্বামীর উপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা করে চিঠি দিয়েছিলেন। সত্যেনবাবুর উপর হামলা হওয়ার পর তিনিও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এসে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিযোগ জানিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলররা?

    কয়েকদিন আগে ভাটপাড়া পুরসভার ভিতরেই অর্জুন ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবুকে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। সেই ঘটনার জের জেলা তৃণমূলের কার্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সুবিচার চেয়ে সত্যেনবাবু জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী নিজে কাউন্সিলর থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দেন। সাংসদ অর্জুন সিং কাউন্সিলর হামলার ঘটনায় সত্যেনবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনকী দল কোনও ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ার মতো ঘটনা ঘটবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেছিলেন, খুব শীঘ্রই ভাটপাড়ায় গিয়ে সমস্যার সমাধান করব। তার আগেই ফের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। এদিন ভাটপাড়া পুরসভার ২৪ জন কাউন্সিলর দল বেঁধে পুলিশ কমিশনারের কাছে পুলিশি হয়রানি এবং সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাঁদের বক্তব্য, সত্যেনবাবু আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। পুরসভাকে নানা ভাবে বদনাম করছেন। পুরসভার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন। তাই, আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করলাম।

    কী বললেন সাংসদ অর্জুন সিং?

    এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবু বলেন, আমিও আগে অভিযোগ করেছি। পুলিশ দুপক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। ২৪ জন কাউন্সিলরের পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানো প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, আমাদের দলের জেলা সভাপতি তাপস রায়। পুলিস কমিশনার তো জেলা সভাপতি নয়। তাহলে তাঁর কাছে কেন এসব অভিযোগ জানাতে গেলেন, আমি বলতে পারব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Accident: দুর্ঘটনার পর ৪ দিন পার, এখনও খোঁজ নেই রাজ্যের ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের

    Coromandel Accident: দুর্ঘটনার পর ৪ দিন পার, এখনও খোঁজ নেই রাজ্যের ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভাতারের খোকনের পরিবারের লোকজন শনিবার সকালে খবর পান, ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। আর তাই তড়িঘড়ি তাঁরা খোকনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বারবার যোগাযোগ করেও ফোন সুইচড অফ আসে। কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। অপর দিকে, দুর্ঘটনার চারদিন পরেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বীরভূমের কনকপুর গ্রামের তিন যুবকের। উদ্বিগ্ন এঁদের সবার পরিবারের সদস্যরা।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Accident) নিখোঁজ পূর্ব বর্ধমানের ১ রাজমিস্ত্রি

    এক চিলতে বাড়ির মধ্যেই স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে বসবাস। সংসারের অভাব মেটাতে ও বাড়ি তৈরি করার জন্য কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ভাঁটাকুল গ্রামের বাসিন্দা শেখ খোকন। দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। শালিমার স্টেশনে ট্রেনে চেপে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা। ট্রেনেই বাড়ির তৈরি খাবার খাচ্ছেন তিনি, এ কথা জানিয়েছিলেন খোকন। সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পথেই ঘটল বিপত্তি।

    পরিবারের দুশ্চিন্তা

    স্বামীর সন্ধান না পেয়ে শনিবার রাতেই ওড়িশার বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন খোকনের স্ত্রী বুলটি বিবি সহ আত্মীয়-স্বজনরা। প্রায় চারদিন অতিক্রান্ত। দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) পর এখনও খোঁজ নেই খোকনের। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। বাবার ছবি হাতে নিয়ে কান্নাকাটি করছে দুই নাবালক সন্তান। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে প্রতিবেশীরা রান্না করা খাবার বাড়িতে দিয়ে যাচ্ছেন। আদৌ কি খোকন বাড়ি ফিরবেন! নাকি তাঁর কোনও দুঃসংবাদ আসবে! এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার। পরিবারের দাবি, গ্রামে কোনও কাজকর্ম নেই, বাড়িতে আর্থিক অনটন। পেটের তাগিদেই কেরলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন খোকন। স্ত্রীর কানের দুল স্বর্ণকারের কাছে বন্ধক রেখে সেই টাকা নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন খোকন। এখন তাঁর অপেক্ষায় দিন গুনছেন পরিবারের সদস্যরা।

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Accident) বীরভূম থেকে নিখোঁজ আরও ৩  

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) চারদিন পরেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না পাইকর থানার কনকপুর গ্রামের তিন যুবকের। দুর্ঘটনার দিন শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠে চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছিলেন সানাউল সেখ, রফিকুল সেখ ও শান্ত সেখ। ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী তাঁদের সঙ্গে থাকা মোবাইলেও যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। তবে তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যেই বালেশ্বর পৌঁছেছেন আত্মীয়রা কিন্তু সেখানে গিয়েও খোঁজ মেলেনি। এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানান মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: পরিবারের একমাত্র রোজগেরের প্রাণ গেল ট্রেন দুর্ঘটনায়, দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় স্ত্রী

    Train Accident: পরিবারের একমাত্র রোজগেরের প্রাণ গেল ট্রেন দুর্ঘটনায়, দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে কোনও কাজ নেই। দিনের পর দিন হাতে কাজ না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের বেগুয়াখালির স্বপন প্রামাণিক। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতেই ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরে তিনি কেরল যাচ্ছিলেন। বালেশ্বরের কাছে ঘটে সেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)। তারপর থেকে স্বপনবাবুর কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের লোকজন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু, কেউ তাঁর হদিশ দিতে পারেনি। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। তাঁর মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছাতেই পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। সোমবার মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।

    কী বললেন স্বপনবাবুর ছেলে?

    স্ত্রী, দুই সন্তান মিলে চারজনের ভরা সংসার ছিল। এক চিলতে মাটির বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। দুই ছেলের নাম শুভদীপ প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক। শুভদীপের বয়স ১৭ বছর। সে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। আর সুমনের বয়স ১৩ বছর। সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়়ে। এতদিন লোকের জমিতে চাষ করেই সংসার চালাতেন স্বপনবাবু। স্বপনবাবুর বড় ছেলে শুভদীপের বক্তব্য, বাবার এক পরিচিত কেরলে কাজ করেন। তিনি বাবাকে কেরলে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বাবা প্রথমে যেতে রাজি হয়নি। কিন্তু, সংসারের হাল দেখে বাবা মত বদলায়। বাইরে গিয়ে ভালো রোজগার করে এনে আর যাবে না বলেছিল। কিন্তু, ট্রেনে চাপার কয়েক ঘণ্টা পরই আমরা দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পাই। তারপর থেকে বাবার কোনও খোঁজ পাইনি। এদিন বাবার মৃত্যুর খবর পাই।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, স্বপনবাবু পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। অন্যের জমিতে কাজ করে তাঁর সংসার চলত। কিন্তু, এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর কী করে সংসার চলবে তা নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারণ, আর ওর পরিবারে রোজগার করার মতো এখন কেউ নেই। ছেলেরা ছোট। এই বিষয়ে প্রশাসন উদ্যোগী না হলে ওই সংসারটি একেবারে ভেসে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata High Court: ধাক্কা খেল রাজ্য! বামেদের জোড়া কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Kolkata High Court: ধাক্কা খেল রাজ্য! বামেদের জোড়া কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বামেদের জোড়া কর্মসূচির অনুমতি দিল হাইকোর্ট। একটি বারাসতের কাছারি মাঠে, অন্যটি হাওড়ার কাজিপাড়ায়। কাছারি মাঠে মঙ্গলবার সভার সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল সিপিএম। কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়। এ নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য, এডিএম ভুল করে ওই অনুমতি দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি নেওয়ার পরে সভায় আপত্তি সঠিক নয় বলে মনে করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং সোমবার তিনি ওই সভার অনুমতি দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়েও জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। নন্দীগ্রামের সভা, চন্দ্রকোণা, পটাশপুর থেকে বাঁকুড়ার সিমলাপাল-বিভিন্ন ক্ষেত্রে সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তখন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) দ্বারস্থ হয়ে সেই কর্মসূচির অনুমতি নিয়ে আসে বিজেপি। এবার সেই একই পথে হেঁটে অনুমতি নিয়ে এল বামেরাও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-পরীক্ষায় বাইরের সংস্থাকে দিয়ে মূল্যায়ন? বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বারাসতের কাছারি মাঠের সভা

    রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, এডিএম ভুল করে অনুমতি দিয়ে ফেলেছিলেন। যে মাঠে সভার জন্য আবেদন করা হয়েছে, তার পাশেই বারাসত আদালত। জেলা শাসকের চত্বরও বটে। ২০১৭ সাল থেকে এই মাঠে কোনও সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও জানান রাজ্য সরকারের আইনজীবী। কিন্তু একবার যে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেই সভার আবেদন বাতিল করা উচিত নয় বলেই মনে করেন রাজাশেখর মান্থা।

    হাওড়ার কাজিপাড়ার মিছিল

    অন্যদিকে কাজিপাড়ায় বামফ্রন্টের একটি মিছিল হওয়ার কথা মঙ্গলবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিছিলের অনুমতি ১৮ মে-ই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে প্রশাসন অনুমতি দিলেও পরে জানিয়ে দেওয়া হয়, মাঠ সংস্কারের কাজ চলছে। তাই সভা বাতিল করতে হবে। এ নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। হাওড়া সিপিএমের ওই সভার অনুমতি দিয়ে বিচারপতি মান্থা এদিন জানান, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল, মিটিং করার অধিকার আছে। তাই সিপিএম হাওড়ায় মিছিল করতে পারবে। শর্তসাপেক্ষে তিনি এদিনের মিছিলের অনুমতি দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share