Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    Nadia: ইসকনের জগন্নাথ মন্দিরে পালিত হল স্নানযাত্রা, আনন্দিত ভক্তবৃন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হলো নদিয়ার (Nadia) মায়াপুর ইসকনে শ্রীজগন্নাথের স্নানযাত্রার উৎসব। মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে রাজাপুর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে স্নানযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের ভীড়। এলাকায় স্নানযাত্রা উপলক্ষে মহামহোৎসবের আবির্ভাব।

    মায়াপুরে (Nadia) কীভাবে শ্রী জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হল?

    দাবদাহকে উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইন দিয়ে শ্রীজগন্নাথকে স্নান করানোর জন্য দেশ-বিদেশের ভক্তরা সকালেই পৌছে গেছেন মন্দিরে। কথিত আছে আজকের স্নানযাত্রার পরেই শ্রীজগন্নাথের শরীরে আসবে ধুম জ্বর। জ্বরে কাবু হয়ে রথের দিন পর্যন্ত তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন। রথের দিন রাজকীয় বেশে, রথে করে পুনরায় ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ ও পূজিত হবেন শ্রীজগন্নাথের ঠাকুর। এইদিন স্নানযাত্রা উপলক্ষে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ইসকনের পক্ষ থেকে। একইসাথে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রাজাপুর (Nadia) শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেল স্নানযাত্রার মাধ্যমে রথের প্রস্তুতি। এলাকায় উৎসবের আবহ।

    ইসকনের পক্ষ থেকে বক্তব্য

    স্নানযাত্রা উপলক্ষে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, অন্যান্য উৎসবের মতো ইসকনের রথযাত্রা এবং শ্রীজগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা একটি ধর্মীয় মুখ্য অনুষ্ঠান। জগতের নাথ অর্থাৎ জগন্নাথদেব এই স্নানযাত্রার পরে গৃহবন্দী অবস্থায় থাকবেন। রথের দিন পুনরায় তিনি ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ হবেন। প্রতিবছরের মত এবারও রাজাপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে মহাসামরহে চলছে স্নানযাত্রার উৎসব। স্নানযাত্রার পর ২০ শে জুন থেকে রথযাত্রা শুরু হবে। এই রথ নিয়ে যাওয়া হবে মায়াপুর (Nadia) ধামে। আবার মায়াপুর থেকে ২৮শে জুন পুনরায় রাজাপুরে নিয়ে আসা হবে। প্রভু শ্রীজগন্নাথ রথের দিনে আপামর জগতবাসীকে আশীর্বাদ করবেন। তিনি আরও বলেন ইসকনের মহাপ্রভু শ্রীপ্রভুপাদ বিদেশের মাটিতে ১৯৬৭ সালে রথযাত্রা পালন করেন। মঙ্গলময় ঈশ্বর জগত সকলের মঙ্গল কামনা কবেন এই আশাই প্রকাশ করেছেন গৌরাঙ্গ দাস।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়ি ফিরলেন পাহাড় জয়ী কন্যা পিয়ালি বসাক

    Hooghly: মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়ি ফিরলেন পাহাড় জয়ী কন্যা পিয়ালি বসাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপায়ের চার আঙুলে ফ্রস্ট বাইটের চুমু। গিয়েছিলেন মাকালু পর্বত জয় করতে। জয় করেও ছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে মাকালু থেকে নামার সময়। পথে প্রচন্ড তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে যান পিয়ালি। কঠিন পরিস্থিকে জয় করে অবশেষে বাড়িতে (Hooghly) ফিরলেন পিয়ালি বসাক ।

    বাড়িতে (Hooghly) কীভাবে ফিরলেন?

    এবারে গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা এবং মাকালু শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে চন্দননগরের (Hooghly) বাড়ি থেকে রওনা হন পিয়ালি। ১৭ এপ্রিল বিশ্বের দশম উচ্চতম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা জয় করেছিলেন। তাঁর কথায় প্রায় মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রি ঠান্ডা ওইখানে। তারমধ্যে প্রচন্ড তুষার ঝড়ে, তাঁর চোখে বরফ কুচির ঝাপটা লাগায় স্নো ব্লাইন্ড নেস হয়ে যায়। কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। আটকে পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গী সাথীরা নেমে গেলেও খাড়াই বরফ পাহাড়ে দুটি পা খাঁজে আটকে, প্রায় ২২ ঘন্টা না ঘুমিয়ে টানা দাঁড়িয়ে থাকেন পিয়ালি। অবশেষে এক রাশিয়ান পর্বতারোহিনী মাকালু থেকে নামার পথে, তাঁকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্যাটেলাইট ফোনে নেপালে পাইওনিয়ার সংস্থায় খবর দেন। পরদিন সকালে শেরপারা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে চপারে করে পিয়ালি নামিয়ে কাটমান্ডু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ততক্ষণে তাঁর দুপায়ের আঙুলেই ফ্রস্ট বাইট ধরে নিয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়ে অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় পিয়ালি চন্দননগরের (Hooghly) বাড়িতে পৌঁছন।

    কতটা কঠিন ছিল যাত্রা!

    নেপালের সংস্থা পাইওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার সূত্রে জানা যায়, এই মাকালু শৃঙ্গ জয় মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। এই পর্বতের চার পাশে ধারালো জায়গা উলম্বভাবে প্রায় ২৭৭৬৫ ফুট শিখরের দিকে আরোহণ করে, যা অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ছাড়া আরোহণ করা অসম্ভব।পিয়ালির বাড়িতে (Hooghly) ফেরা খুব কঠিন ছিল এই যাত্রায়।

    পিয়ালীর সাফল্য

    স্বাভাবিক ভাবেই ভীষণ ক্লান্ত বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। যদিও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেও এখন তিনি চাঙ্গা। পিয়ালি (Hooghly) জানিয়েছেন, পা সারলে আবার যাবেন সামিটে। এভারেস্ট জয়ী পিয়ালি গত ১৭ মে তারিখে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম পর্বত শৃঙ্গ মাকালু জয় করেন। মাকালুকে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্বত আরোহণ বলে মনে করা হয়। এই নিয়ে ৬ টি আটহাজারী শৃঙ্গ জয় করেছেন পিয়ালি। কয়েক বছরের মধ্যে এভারেস্ট, লোৎসে, মানাসুলু, ধৌলাগিরি এবং অন্নপূর্ণা জয় করেছেন তিনি। এর আগেও একবার মাকালু অভিযানে যেতে গিয়ে অসুস্থ বাবার জন্য মাকালু অভিযান স্থগিত রেখে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন পিয়ালি। এদিনপিয়ালির বাড়িতে গেলে দেখা যায় আত্মীয়স্বজনরা তাঁকে পেয়ে খুব খুশি। বাড়ির মেয়ে ফিরে এসেছেন দীর্ঘদিন বাদে। আপাতত ৬ মাস বিশ্রামের নিদান দিয়েছেন চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই মা স্বপ্না বসাক মেয়ের শুশ্রূষাতে তৎপর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদে মৃত ১, নিখোঁজ ২ এবং আহত ২

    Train Accident: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদে মৃত ১, নিখোঁজ ২ এবং আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) সাগরদিঘির ১ বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে জেলায় আরও ২ শ্রমিক নিখোঁজ এবং আহত আরও ২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্যে কাজ নেই, তাই বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার। এলাকায় শোকের ছায়া।

    দুর্ঘটনায় (Train Accident) সাগরদিঘি থেকে এক ব্যক্তির মৃত্যু   

    পরিযায়ী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে ওড়িশা যাচ্ছিল মুর্শিদাবাদ থেকে। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী থানার অন্তর্গত মাদারডাঙ্গার নিমগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মুনসি টুডু। ওড়িশা যাবার পথেই বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। পরিবারের পক্ষে মুনসি টুডুর দাদা রাজেশ হেম্ব্রম জানান, আমাদের পরিবার অভাবের সংসার, অন্য রাজ্যে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে, আর্থিক অবস্থা তেমন নেই। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যদি ভাইয়ের মৃতদেহকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে, তাহলে খুব উপকার হয়। মৃত্যুকে ঘিরে রীতিমতো নেমে এসেছে শোকের ছায়া গোটা পরিবার জুড়ে। 

    সাগরদিঘিতে আহত ২ ও নিখোঁজ ১

    মৃত মুনসি টুডুর গ্রামের আরেক পরিযায়ী শ্রমিক শম্ভুলাল কিসকু গুরুতর আহত অবস্থায় ওড়িশায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উল্লেখ্য সাগরদিঘী এলাকার নিমগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিলবানিস টুড নামে আরেক ব্যাক্তির কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান পায়ননি পরিবার। আবার সাগরদিঘির পাটেল ডাঙ্গা অঞ্চলের গৌরীপুরের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিক আহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। তাঁর নাম আতাউর রহমান, বয়স ৪১। ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) কামরা উল্টে গেলে সিটের রডে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হয়েছেন আতাউর রহমান। সাগরদিঘীতে খবর পৌঁছতেই এলাকায় দুশ্চিন্তার ছায়া।

    সালার থেকে নিখোঁজ ১ পরিযায়ী শ্রমিক

    সংসারের অভাবেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে মুর্শিদাবাদের সালারের তালিপুরের ৫ শ্রমিকের একটি দল চেন্নাইয়ে যাওয়ার মাঝ পথেই রেল দুর্ঘটনা (Train Accident) শিকার হয়ে বাড়ি ফিরছে চারজন শ্রমিক, তবে ঘটনায় একজন শ্রমিকের এখনো পর্যন্ত কোনও খোঁজ না মেলায় গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পরিবার। কান্দি মহকুমার সালার থানার তালিবপুর সুন্দরপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন রেজাইল দফাদার। তিনি এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। তিনি মূলত নির্মাণ কাজে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সালার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। পরিবারের পক্ষে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামী যেন ঠিকাঠাক ভাবে বাড়িতে ফেরেন এই আশাই রাখছি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় স্মৃতি ফিরল গাইসালের

    Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় স্মৃতি ফিরল গাইসালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) ট্রেন দুর্ঘটনা ফের ভয়াবহতার স্মৃতি উস্কে দিল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরবাসীর মনে। প্রায় ২৪ বছর আগে গাইসালে অবধ আসাম এক্সপ্রেস এবং ব্রহ্মপুত্র মেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। আর এই ট্রেন দুর্ঘটনার কথা বর্তমান সময়ে এলাকার মানুষের মনকে শোকগ্রস্থ করে তুলেছে বলে জানা গেছে।

    কীভাবে হয়েছিল রেল দুর্ঘটনা

    উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১লা আগষ্ট ইসলামপুর শহরের কাছে গাইসাল এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছিল। উত্তর দিনাজপুর জেলার গাইসাল একটি ছোট রেলস্টেশন। এই স্টেশন আর প্রত্যন্ত জায়গার নাম গোটা রাজ্য তথা দেশ জেনে গিয়েছিল, একমাত্র দুর্ঘটনার কারণেই। গভীর রাত্রি, আনুমানিক ১টা বেজে ৪৫ মিনিট সময়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছিল অবধ আসম এক্সপ্রেস আর ব্রহ্মপুত্র মেলের। প্রাণ গিয়েছিল কমপক্ষে ৩০০ যাত্রীর। প্রায় দু’দশক পেরিয়ে এসেও সেই বীভৎসতার কথা ভুলতে পারেননি গাইসাল তথা ইসলামপুরবাসী। শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) খবর পেয়ে গাইসালের ভয়াবহতার স্মৃতি মনে পড়ছে ইসলামপুরবাসীর।

    পৌরপিতার স্মৃতিতে দুর্ঘটনা (Coromandel Express Accident)

    ইসলামপুর পৌরসভার তৎকালীন পৌরপিতা কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, গতকালের বালেশ্বর দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) কথা জানতে পেরে গাইসালের দুর্ঘটনার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রায় একই রকমই ঘটনা। দুটো ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে যে ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার বিবরণ দিতে গেলে এখনো গা শিউরে ওঠে।  প্রায় ছয় দিন ধরে আমরা দুর্ঘটনাস্থলেই পড়েছিলাম এবং উদ্ধার কাজে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, চারিদিকে শুধু মৃতদেহ পড়েছিল, সেই স্মৃতি বড়ই কষ্টদায়ক।

    গাইসালের স্থানীরা কী বললেন?

    অন্যদিকে গাইসাল স্টেশনের কাছে এক চা বিক্রেতা নরেশ দাস বলেন, গতকালকের (Coromandel Express Accident) অ্যাক্সিডেন্ট টিভিতে দেখে গাইসালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। গাইসালেও এমনই হয়েছিল! রাতের বেলা বিকট আওয়াজ শুনে, এসে দেখি ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। প্রচুর লোক মারা গিয়েছিল। গ্যাস কাটার দিয়ে কামরা কেটে মৃতদেহ বের করা হয়েছিল। খুব ভয়ানক অভিজ্ঞতা ছিল। গাইসালের অপর এক বাসিন্দা মহঃ বাধালু বলেন, গতকালকের ঘটনা টিভিতে দেখে গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেইসময় একটার উপর একটা ট্রেনের কামরা উঠে গিয়েছিল। অন্ধকারে ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছিল না। উদ্ধার কাজে আমরাও হাত লাগিয়েছিলাম।

    ইসালামপুরের বাসিন্দা কী বলছেন?

    ইসলামপুরের বাসিন্দা কাজল কুমার মন্ডল বলেন, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) খবর দেখে গাইসালের কথা মনে পড়ছে। তখনও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিই। শিক্ষকের সঙ্গে গাড়িতে করে গাইসালে যাই দুর্ঘটনা দেখতে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে, ঘটনার ভয়াবহতা দেখে আর দেখতে পারিনা যে কোন রকমের দুর্ঘটনার দৃশ্য। দৃশ্য দেখে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।

    তবে গাইসাল ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী বহনকারী সকলের আশা যে, গাইসাল হোক কিংবা বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনা, আর যাতে না ঘটে, তা নিয়ে  রেল কর্তৃপক্ষ যেন সজাগ ও সতর্ক থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: কবে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি? জানাল হাওয়া অফিস

    Weather Update: কবে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি? জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্বস্তির গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। কবে নামবে বারিধারা? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলি যেমন বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এই সকল জেলায় আগামী দু’দিনের মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার পাশাপাশি তাপপ্রবাহের সর্তকতাও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের দিকে দার্জিলিং, কালিম্পং অঞ্চলেও দুই দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এবং তিন দিনের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই এবং তাপপ্রবাহের সতর্কতাও দেয়নি আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ এর গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে।

    বুধবার অবধি তাপপ্রবাহের সতর্কতা

    রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলাতে তাপপ্রবাহ সতর্কবার্তা। তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি ও চরম অস্বস্তি থাকবে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। রবি ও সোমবার এই পরিস্থিতি চরমে উঠবে।  জলীয় বাষ্প পরিপূর্ণএই তাপপ্রবাহে অস্বস্তি বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফে এও জানান হয়েছে, পারদ চড়তে চড়তে অবস্থা চরমে উঠবে ৬ ও ৭ জুন।

    পশ্চিমবঙ্গে কবে ঢুকছে বর্ষা?

    আবহবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় হচ্ছে ১০ জুন। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানাচ্ছে, কেরলে বর্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই যে পশ্চিমবঙ্গে বিলম্ব হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। প্রসঙ্গত, কেরলে বর্ষা ঢোকে ৪ জুন। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনে বর্ষা ঢোকার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে হাওয়া অফিস ১০ জুন এবং কলকাতায় বর্ষার ঢুকবে ১১ জুন। যদিও এর পুরোটা নির্ভর করছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার উপর।

     

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠন মজবুত করার বার্তা দিতেই তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেই বৈঠকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। জেলা সভাপতির সামনেই জগদ্দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তাঁর বিক্ষোভের জেরে নড়েচড়ে বসে জেলা নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি তাপস রায় জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। সেই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। সত্যেনবাবুর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন জেলা সভাপতি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচি সফল করে তুলতে টিটাগরের জেলা তৃণমূল (TMC) দফতরে মিটিং করলেন দমদম বারাকপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। নব জোয়ারের মিটিং এর শেষে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল জেলা অফিসেই। পরে, তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এইভাবে কথা বললে সমস্যা অনেক মিটে যায়। আমি কয়েক দিনের মধ্যে ভাটপাড়া পুরসভায় গিয়ে একটি মনিটরিং মিটিং করব। আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) কাউন্সিলর?

    এদিন বৈঠক চলাকালীন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ভাটপাড়া পুরসভা ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকে আমি দল করছি। অথচ যারা কয়েকদিন আগে দল ঢুকল তারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরসভায় ঢুকে আমার উপর চড়াও হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা নেতৃত্বের সামনে সমস্ত সমস্যার কথা বললাম। আশানুরূপ বিচার না পেলে আমি পদত্যাগ করব।

    কী বললেন জগদ্দল বিধায়ক?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, কাউন্সিলররা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। কোনও মারধর করা হয়নি। এখন তিনি মারধরের কথা কেন বললেন জানি না। দলীয় নেতৃত্ব সমস্ত বিষয়টি দেখছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দিনহাটায় বিজেপি নেতা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দিনহাটায় বিজেপি নেতা খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি নেতা প্রশান্ত রায়বসুনিয়াকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার নদিয়ার ধানতলার কুলগাছিতে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পরে, দলীয় কর্মী খুনের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “বিজেপি নেতা খুনে তৃণমূল জড়িত। ওই জেলার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত রয়েছে। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

     সম্প্রতি নদীয়ার ধানতলা থানা এলাকার কুলগাছিতে গরু চুরির ঘটনায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তখনই পুলিশ দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় আকাশ রায় নামে এক কিশোরের। তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শুক্রবার নিহত আকাশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা। রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভার বহিরগাছিতে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজন করা হয় শোক সভার। শোক সভা থেকে পুলিশকে নিশানা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তি আক্রমণ অভিষেকের, ভিন্ন রাজনীতি বাংলায়? এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এরা অশ্লীল কথা বলবেন, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঠিক জায়গাতেই আছি। পায়ে দুটো কাঁটা ফুলেছে তাই লাফাচ্ছে, তিরিং বিড়িং, এপাং ওপাং ঝপাং, ভাইপো হবে ড্যাং ড্যাং। এরা তো চন্ডী পাঠও ভুল করে।” অভিষেকের দাবি, নন্দীগ্রামে এই মুহূর্তে ভোট হলে ৫০ হাজার ভোটে জিতবে তৃণমূল, এ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, “আবার ভোট তো দেরি আছে, ও চাইলে তো এক্ষুনি ভোট হবে না, ওর পিসি এসেছিল, ওর পিসিকে তো শিক্ষা দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটাররা পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি, কালকে যদি ডায়মন্ড হারবারে ভোট হয় মমতা ব্যানার্জির ভাইপো তৃতীয় হবে, নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বিজেপির লড়াই হবে।”

    পুলিশ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আকাশ রায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, “পুলিশের গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হল একটি ফুটফুটে বালকের, সেখানে বলা হলো কী? দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, এরাজ্যে সবই সম্ভব। সিআরপিএফ এর গাড়ি ধাক্কা মারায় চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা, আর পুলিশের গাড়ি চাপা পড়ে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় জামিনযোগ্য ধারায় মামলা, যতদিন তৃণমূল থাকবে এই অরাজগতা চলবে।

    কুন্তলের মামলা কোথায় স্থানান্তরের কথা বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওকে জেলে খাসির মাংস খাওয়াচ্ছে, আর ভাইপো পিসি যা শিখিয়ে দিচ্ছে তাই বলছে। আমি দাবি করব, এই মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করা হোক, অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করলে কেষ্টর মতো ধোঁয়া বেরিয়ে যাবে।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Miyazaki Mango: বীরভূমেই ফলেছে পৃথিবীর সব থেকে দামি আম, জেনে নিন এর ইতিবৃত্ত

    Miyazaki Mango: বীরভূমেই ফলেছে পৃথিবীর সব থেকে দামি আম, জেনে নিন এর ইতিবৃত্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আম এমন একটি ফল, যা খেতে ভালোবাসে না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই ফল যেমন সুস্বাদু, তেমন এর গুণও অনেক। গাছে আম পাকতে না পাকতেই কাঁচা আম খাওয়ার অভ্যাসও কম মানুষের নেই। এখন বাজরে আমের দাম চলছে ২০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু যদি বলা হয়, এক প্রজাতির আমের (Miyazaki Mango) দাম প্রতি কেজি ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা! কী, অবাক হলেন তো? অবাক করার মতোই বিষয়।

    কী আম (Miyazaki Mango) এটি, কোথায় পাওয়া যায়?

    এমনই এক বিরল প্রজাতির আমের ফলন হয়েছে বীরভূমের একটি মসজিদে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রতি কেজি। আমের প্রজাতিটির নাম হল ‘মিয়াজাকি’। এটি পৃথিবীর সব থেকে দামি আম। এই ধরনের আম জাপানে ফলন হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে জাপানের একটি শহর মিয়াজাকির নাম অনুসারে। শুধু মাত্র স্বাদে নয়, বিশ্বের সব থেকে দামি আমের (Miyazaki Mango) তকমা পেয়েছে এটি। অর্থাৎ এটি একটি জাপানি বংশোদ্ভূত আম। এক একটি মিয়াজাকি আমের ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে এবং এগুলি গোলাপি বা বেগুনি রঙের হয়ে থাকে, যা বাজারে ভারতীয় মুদ্রা অনুসারে ২৪০০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি কেজি হিসাবে ২ লাখ টাকারও বেশি। এই আমের চাহিদা জাপান ছাড়াও আমেরিকা এবং ইউরোপে রয়েছে। ভারতেও কিছু পরিমাণ চাষ করা হয়, কিন্তু দামের জন্য বিশেষ কোনও চাহিদা নেই ভারতীয় বাজারে। তাই বিদেশেই রফতানি করা হয় এই আম।

    কী কী গুণাগুণ রয়েছে এই আমের?

    সাধারণ আমের থেকেও এই আমের (Miyazaki Mango) পুষ্টি গুণ প্রচুর। এতে আছে নির্দিষ্ট পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন ফলিক অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিন। তাছাড়াও আছে ভিটামিন সি, ই, এ এবং কে। জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে এতে, যা শরীরের জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এটি ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই সাহায্যকারী। যাঁরা পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও এই আম উপকারী। মূল বিষয়, এই আম ক্যানসারের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম।

    কেন এত দাম এই আমের?

    মূলত এই আম (Miyazaki Mango) চাষ করতে যে পরিমাণ শ্রম ব্যয় হয়, তা অত্যধিক। খুবই যত্নে চাষ করা হয় এই আম। এর জন্য প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যালোক, উষ্ণ আবহাওয়া এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিও দরকার এই আমের ফলনের জন্য। চাষের সময় কৃষকরা এই আমগুলিকে জালি দিয়ে ঢেকে দেন, যাতে সূর্যালোক এসে আমের প্রত্যেক অংশে পড়ে এবং গায়ে যাতে কোনও রকম আঁচড় না লাগে। ততদিন এর লালন পালন করা হয়, যতদিন না এই আমের রং গোলাপি বা বেগুনি বর্ণ ধারণ করে। এই সব কারণেই এই আমের বাজারমূল্য অত্যধিক। জাপানে উপহার হিসাবে এই আমের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই আমকে উপহার হিসাবে দেওয়ার রীতিকে সেখানে সম্মানের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Transfer: একদিনেই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার! তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে স্বাস্থ্য ভবন?

    Transfer: একদিনেই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার! তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে স্বাস্থ্য ভবন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ওঠে বারবার। আর এবার কার্যত সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল খোদ স্বাস্থ্য ভবন। চব্বিশ ঘণ্টা পার হতে না হতেই বদলির (Transfer) সিদ্ধান্ত বদলে গেল। রাজ্যের চিকিৎসক মহল বলছে, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ না হলে সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব পাওয়া যায় না। এমনকী, কোন হাসপাতালে কোন কাজ চিকিৎসক করবেন, সবটাই হয় রাজ্যের শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে।

    কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক? 

    সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে এক নির্দেশিকা (Transfer) জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বদলি করা হচ্ছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে যায়।

    কে এই সন্দীপ ঘোষ? 

    চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে, তিনি তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সূত্রের খবর, সেই সম্পর্কের জেরেই তাঁকে কয়েক বছর আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের দায়িত্ব দিয়ে বদলি করে কলকাতায় আনা হয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। বছর দুয়েক আগে আরজিকর হাসপাতালের পড়ুয়াদের একাংশ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলে। এমনকী ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা নানান অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও প্রতিকার হয়নি। বরং, ওই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুই ছাত্রের যাতে মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না হয়, সে বিষয়ে তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূলের একাংশ। এরপরে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্ররা। তারপর তাঁরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। হঠাৎ, সেই সন্দীপ ঘোষকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা শুরু হয়। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের সিদ্ধান্তের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই ফের বদল করতে হয় নির্দেশিকা। জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে বদলি (Transfer) করা যাবে না। তিনি আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্বেই থাকছেন।

    কোন সমীকরণ কাজ করছে এই বদলির সিদ্ধান্তে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তৃণমূলের নিজস্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাবেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ শান্তনু সেনের সুসম্পর্ক নেই। বরং তিনি তৃণমূলের আরেক নেতা সুদীপ্ত রায়ের ঘনিষ্ঠ। এতদিন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন সুদীপ্ত রায়। সম্প্রতি, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হয়েছেন শান্তনু সেন। আর তারপরেই স্বাস্থ্য ভবন থেকে বদলির (Transfer) নির্দেশ এসেছিল। যদিও সন্দীপ ঘোষ শুধু সুদীপ্ত রায় নয়, তৃণমূল দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অত্যন্ত কাছের বলেই পরিচিত ঘনিষ্ঠ মহলে। তাই রাতারাতি তাঁর বদলির নির্দেশ বদলে যায় বলেই জানা যাচ্ছে।

    কী বলছেন সন্দীপ ঘোষ? 

    সন্দীপ ঘোষ অবশ্য পুরো ঘটনা (Transfer) প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি জানান, সরকারি চাকরি করছেন। স্বাস্থ্য দফতর যে সিদ্ধান্ত নেবে, যে কাজ দেওয়া হবে, সেটাই তিনি করবেন। এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না।

    শান্তনু সেন কী বলছেন? 

    তৃণমূলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, “এসব বিষয়ে (Transfer) জানি না। বদলির সিদ্ধান্ত পুরোটাই স্বাস্থ্য ভবনের। সেটা যদি পরিবর্তন হয়, সেটাও স্বাস্থ্য ভবন থেকে হয়েছে। “

    প্রশাসনের অস্বচ্ছ বদলি নীতি ফের প্রকাশ্যে, মত চিকিৎসক মহলের! 

    রাজ্যের চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছে, সরকারের বদলি (Transfer) নীতি যে পুরোটাই শাসক দলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তা ফের প্রমাণিত হল। তারা জানাচ্ছে, একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকে। কয়েক বছর পরে বদলির সিদ্ধান্ত নিলেও রাতারাতি কেন তা পরিবর্তন করতে হয়, তার স্পষ্ট উত্তর নেই। এতেই প্রমাণ হয়, এ রাজ্যে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ প্রশাসন নেই। যা হয়, পুরোটা রাজনৈতিক সমীকরণে চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: গরমে পানিহাটির মহোৎসবতলার চিড়া উৎসবে অসুস্থ হয়ে পড়়লেন ১৫ জন ভক্ত

    Panihati: গরমে পানিহাটির মহোৎসবতলার চিড়া উৎসবে অসুস্থ হয়ে পড়়লেন ১৫ জন ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের গাফিলতি আর লাগামছাড়া ভিড়ে গত বছর পানিহাটির (Panihati) দণ্ড মহোৎসবতলায় পুজো দিতে এসে ৩ জন ভক্তের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। গতবারের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু, গতবারের আতঙ্কে এবার ভক্ত সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই ফি বছর এই উৎসবে কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। এবার সেখানে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়েছে। তবে, এবার প্রচণ্ড গরমে ১৫ জন ভক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    কী বললেন মন্দিরের মূল সেবাইত?

    এদিন রঘুনাথ দাস গোস্বামীর ৫০৭ বছরের পানিহাটি (Panihati) দণ্ড মহোৎসব শুরু হল। গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে পুরসভা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ছিল ৪০০র বেশি পুলিশ। এছাড়া প্রত্যেক ভক্তের জন্য ছিল পানীয় জলের সুব্যবস্থা। ২০০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা সহ ড্রোনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেলার মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় ভক্তদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছিল অনেকগুলি স্বাস্থ্য শিবির। কিন্তু, আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা ছিল তীব্র দাবদাহের। দাবদাহ উপেক্ষা করেই ভোর থেকে ভক্ত সমাগম শুরু হয়। জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৪ টে থেকে শুরু হয় মঙ্গল আরতি ও পূজা পাঠ। শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর শ্রী মন্দিরের মূল সেবাইত বঙ্কুবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসনের থেকে যথাযথ ব্যবস্থা ছিল। তবুও, এই উত্সবে প্রধানত বয়স্ক ভক্তের সমাগম বেশি মাত্রায় হয়। কিন্তু গরমের দাপটে এবার ভক্ত সমাগম এবার অনেক কম হয়েছে।”

    কী বললেন স্থানীয় বিধায়ক?

    পানিহাটির (Panihati) বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “আমরা এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছিলাম। এদিন প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকলকে মেডিক্যাল ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে ভক্তদের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা ছিল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share