Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজেশ মাহাত সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজেশ পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি। তিনি খড়্গপুরের একটি হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁকে শুধু গ্রেফতার নয়, খড়্গপুরের স্কুল থেকে কোচবিহারের সিতাইয়ে বদলি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার শালবনির শালডহরা এলাকায় কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

    দলীয় নেতা গ্রেফতারি নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমন মাহাত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন একজন রাজেশকে গ্রেফতার করে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙে দেবেন, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। আমাদের আন্দোলন থামবে না। বরং, এই ঘটনার পর আমাদের এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    শালবনির সভা থেকে কুড়মিদের নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরে জাতি দাঙ্গার মতো এখানে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাহাড় আলাদা করে দাও। এই জাতি দাঙ্গা করেছিল বিজেপি। আমি কোনওরকমে সামলেছি।  রাজবংশী আর কামতাপুরীদের আলাদা করে দাও। আমি সামলেছি।   এখন আদিবাসী আর কুড়মিদের লরিয়ে দিচ্ছে। টাকা দিচ্ছে বিজেপি। জাতি দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। এরপরই কুড়মিদের হুঁশিয়ারি, আমাকে চমকানোর চেষ্টা করবেন না। হিংসা করলে আমাকে পাশে পাবেন না। আমরা চারবার কেন্দ্রের কাছে কুড়মিদের জন্য চিঠি দিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ কুড়মি নেতারা, কেন?

    শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তাঁদের থানায় দিনভর আটকে রাখা হলেও  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমনবাবু বলেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় হামলার সঙ্গে কুড়মিরা কেউ জড়িত নই। আর কারা এই কাজ করেছে তা মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, তারা চিহ্নিত করুক। আর সাত দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু, থানায় আমাদের আটকে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আর কুড়মিদের নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলছেন তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একজন দাঙ্গাবাজ নেত্রী। তাই, সবকিছুতেই তিনি দাঙ্গাকে দেখতে পান। মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জন্যই জঙ্গলমহলে কুড়মিরা আন্দোলন করছে। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে তৃণমূল শুধু ভোট নিয়ে গিয়েছে, তাদের উন্নয়নে কিছু করেনি। তাই, কুড়মিরা এভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের করণ বিলে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মাটি কাটার মেশিন। বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। জখমদের কালদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গ্রামে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিক দ্বীপাঞ্জন ভট্টাচার্য  ও বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    করণ বিলে বংশীহারী এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের জল বর্ষাকালে জমা হয়। এই বিল থেকেই টাঙ্গন নদী হয়ে জল বেরিয়ে যায়। যেভাবে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, সমগ্র বিলকে ঘিরে তাতে আগামী বর্ষায় আর জল বের হবে না। নষ্ট হবে ফসলের জমি। এই বাঁধ তৈরির বিরোধিতা করে গত ১৫ই মে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। তারপর বিডিও বিএলআরও, আইসি গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিটিং এ বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা হায়দার আলি, রমজান আলি, জাফর আলি, আফসার আলি দিনেরাতে মাটি কাটার মেশিন লাগিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিলেন। সরকারি কোনও নির্দেশ নামা তাদের কাছে নেই। শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিলকে অধিকার করার অভিযোগ তৃণমূলের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ২৬ মে রাতে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই যথেচ্ছ বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, যে অবস্থায় বিল ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি ও রায়তি অধিকারী থাকা করণ বিল কার তা নিয়ে বিতর্ক  দীর্ঘদিনের। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই বিলে মাছ চাষ করেন এবং তাদের জীবিকা অর্জনের অন্যতম পথ এই বিল। তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা এই বিলের উপর বাঁধ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এতে তাদের রুটি রুজিতে টান পড়বে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে কোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। ১৪৪ ধারা এবং স্টে অর্ডার জারি হওয়ার পরেও কী করে রাতে এবং দিনে কাজ চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই বিষয়ে রায়তি মালিক পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুকুরের রায়তি অংশটুকু মাটি দিয়ে বাঁধানো হচ্ছিলো।  এই বিষয়ে মামলা হওয়ায় আপাতত  পুকুরের পার বাঁধানোর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে সমাজবিরোধীরা এসে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বোমাবাজি করে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  এলাকার একটি পুকুর কাটাকে নিয়ে গোলমালের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, সেখানে বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুকুর মালিকদের গোলমাল বাধে। এই ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। গ্রামের ব্যাক্তিগত গোলমাল থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিলের পার বাঁধালে ওই এলাকার মানুষদের চাষের জমি বা জল নেওয়ার যে সমস্যা হবে এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল (TMC) নেতারা সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে গ্রামের মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। আর এই পুরো ঘটনাটা ঘটানোর জন্য তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চোখ দিয়ে জল পড়বে।  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে একথা বললেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অন্তত এক ঘণ্টার জন্য এই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত এখানকার করুণ পরিস্থিতি দেখার পর তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়বে। জল না বেরলে  আমি আমার নাম বদলে দেব। এখানে কর্মীর অভাব রয়েছে। পরিকাঠামোর অনেক খামতি রয়েছে।  চারদিক নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন এখানকার রোগীরা। প্রসঙ্গত, খুশি বর্মন নামে নকশালবাড়ির এক শিশুকে দেখতে সাংসদ রাজু বিস্তা ও নকশালবাড়ি – মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। খুশি বর্মনের দু’টি কিডনি খারাপ। হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  রাজু বিস্তা বলেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপন বা উন্নত কোনও চিকিৎসার  প্রয়োজন হলে আমি তার দায়িত্ব নিচ্ছি”।

    উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল, তোপ সাংসদের

    বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছ থেকে বিনামূল্যে উন্নত অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল সরকার। উত্তরবঙ্গের জন্য এইমস অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে সেই এইমস সরিয়ে কল্যাণীতে নিয়ে গিয়েছেন। এখানে এইমস হাসপাতাল হলে আজ উত্তরবঙ্গের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতটা নাজেহাল হতে হত না,  কাউকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হত না। রাজ্য সরকার যদি আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেয় তাহলে এই হাসপাতালের ভোল বদলে দেব”।

     কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন,  “রাজু বিস্তার মুখে এধরনের শিশুসুলভ কথা মানায় না। বিজেপি (BJP) সাংসদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলার  কোনও অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি না জেনে এসব বলছেন। এসব ভাবনা ছেড়ে আমি বলব, সুপার স্পেশালিটি ব্লক দ্রুত চালু করার জন্য তিনি বরং দিল্লিতে দরবার করুন”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তারাপীঠে শুরু হল রাজ্য বিজেপির বিস্তারক প্রশিক্ষণ শিবির! চলবে রবিবার পর্যন্ত 

    BJP: তারাপীঠে শুরু হল রাজ্য বিজেপির বিস্তারক প্রশিক্ষণ শিবির! চলবে রবিবার পর্যন্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদ দখলের লড়াইয়ে বিরোধীদেরকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সারাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও আগেভাগে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে দিয়েছে তারা। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় হোলটাইমার নিয়োগ করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। যাদের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে বিস্তারক। শনিবার এই নতুন বিস্তারকদের প্রশিক্ষণ পর্ব সারল গেরুয়া শিবির। তারাপীঠের এক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রশিক্ষণ পর্ব। নব নিযুক্ত বিস্তারকদের কাজ কী হবে? উত্তর পাওয়া গেল বিজেপির (BJP) বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার কাছে। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘‘গত ৯ বছর ধরে মোদিজীর নেতৃত্বে নতুন ভারত তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দরবারে কদর বেড়েছে দেশের। একাধিক জনমুখী কর্মসূচির বাস্তবায়িত হয়েছে, যার সুবিধা পাচ্ছেন দেশের সমস্ত ধরনের মানুষ। নতুন বিস্তারকরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য তুলে ধরবে মানুষের কাছে। এছাড়াও সাংগঠনিক ভাবে তাঁরা বুথ স্তরের কাজও দেখাশোনা করবেন। ’’

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমানু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    কারা হাজির ছিলেন প্রশিক্ষণ পর্বে 

    প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে গতকালই রাজ্যে পা রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। তাঁর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি বিজেপির ধ্রুব সাহা সমেত অন্যান্যরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের সামনে আগামীদিনের কর্মসূচি তুলে ধরেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    প্রশিক্ষণ শিবিরের খুঁটিনাটি

    এদিন সকাল ন’টায় দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের শুরু হয়। তার আগে অবশ্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে নিয়ে তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দিতে যান বিজেপির রাজ্য নেতারা। রবিবার দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন পর্যন্ত বিধানসভার বিস্তারকদের এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে। আজ সন্ধ্যায় দিল্লি রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বিএল সন্তোষের। অন্যদিকে রবিবার তারাপীঠে পা রাখবেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে, তাঁরা দুজনেই রাজ্য বিজেপির (BJP) দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। বিজেপি সূত্রে খবর, বুথ স্তরের সংগঠনের কাজে সুনীল বনসলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় দল, দীর্ঘদিন তিনি উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) দায়িত্বে থেকেছেন। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বীরভূমের সিউড়িতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। এবার সেই লক্ষ্যেই এগোতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমাণু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমাণু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় বোমা পাওয়া যাচ্ছে। শনিবারও লাভপুরে বোমা পাওয়া গিয়েছে। বগটুইয়ে বোমা উদ্ধার হয়েছে। সদাইপুরে কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বার বার বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বোমার কেন্দ্র ভূমি এটা। এখানে বড়  বড় বিজ্ঞানী ছিলেন। এখন তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। তাঁর নাম অনুব্রত মণ্ডল। তিনি পরমাণু বিজ্ঞানী। তাঁর জায়গায় বোমা পাওয়া যাবে না কি ফুল পাওয়া যাবে? প্রশাসন একেবারে ভেঙে পড়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে কোর্ট, বললেন  সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যটা কোর্ট চালাচ্ছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে কি থাকবে না এটা কোর্টই ঠিক করবে বলে আমার মনে হয়”। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে দলের একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে তারাপীঠে। সেই শিবিরে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বর থানার কল্লেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি। শনিবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

    অভিষেকের কনভয় হানা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরা কোনও রকম হিংসাকে সমর্থন করি না। সেটা যার উপরে হোক না কেন। এর একটা সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত সহৃদয় হয়ে কুড়মিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। আর পিসি ভাইপো এখন ভয় পেলেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। ওদের এখন বিজেপি ফোবিয়া হয়ে গিয়েছে। আর হামলাটা কে করেছে সেটা দেখা দরকার।” অভিষেকের কনভয়ের আক্রমণ বিজেপির কাজ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “ওকে বিজেপি মারতে যাবে কেন? ও তো মরাই। আজ নয় কাল সিবিআই টেনে নিয়ে যাবে”।

    বেসুরো অর্জুন সিংকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বারাকপুরে শ্যুট আউট কাণ্ডে সাংসদ অর্জুন সিংহের বেসুরো মন্তব্য নিয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, “সময় আছে। অপেক্ষা করুন। আরও সুর বেসুরো হয়ে যাবে। যারা এখন সুরে গাইছেন, যত দিন যাবে বেসুরো হবে। কারণ পুরো জিনিসটাই তো ডামাডোল চলছে এখন। শেষ মুহূর্তে তৃণমূল মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেসুরো হচ্ছে। এরপর মুষল দিয়ে হবে। যে দলের সাংসদরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সেটা সরকারের ব্যর্থতা”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলকে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে হবে না। ওরা আগে মদন, অর্জুন, ফিরহাদদের সঙ্গে লড়াই করুক। তারপর বিজেপির সঙ্গে করবে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী সংশয় প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিস্ফোরণের উপর বসে আছে রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়বে। বহু মানুষের মৃত্যু হবে। আর এই পুলিশ দিয়ে কোনওভাবেই শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে না। কারণ পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে এই সরকার। শাসক দলের ছোট বড় মাঝারি সব নেতা পুলিশকে বাড়ির চাকরবাকর মনে করেন। ফলে এই পুলিশ দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে সোনার দোকানের আগে আর কোথায় ডাকাতির ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা?

    Barrackpore: বারাকপুরে সোনার দোকানের আগে আর কোথায় ডাকাতির ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি করার আগে হাওড়ার একটি সোনার দোকানে রেইকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। তবে, নিরাপত্তা জোরদার থাকায় সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। পরে, তারা বারাকপুরে (Barrackpore) আনন্দপুরী এলাকায় ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে নীলাদ্রি সিংহকে তারা গুলি করে খুন করে। পুলিশি জেরায় ধৃতরা সে কথা স্বীকার করেছে।

    পুলিশি জেরায় ধৃতরা কী জানাল?

    বারাকপুরে (Barrackpore) সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই শফি খান ওরফে সানি এবং জামশেদ আনসারিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর আগে সানি ঝাড়খণ্ডের একটি গ্যাংকে নিয়ে এসে কামারহাটি এলাকায় নাসির খান নামে একজনের বাড়িতে ডাকাতি করেছিল। পরিমাণ ছিল ২২ লক্ষ টাকা সোনা এবং নগদ দেড় লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় সানির জেলও হয়েছিলস। জেল থেকে বেরিয়ে সে ফের ডাকাতির ছক কষে। এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের গ্যাংয়ের সে সাহায্য নেয়। তবে, আগের যে গ্যাংয়ের সঙ্গে সানি কাজ করেছিল, বারাকপুরে সেই গ্যাং ছিল, নতুন গ্যাং নিয়ে এসেছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে,  বাইক করে দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন সোনার দোকানে রেইকি করেছিল। প্রথমে তারা হাওড়ায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির করার ছক কষে। কিন্তু, কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। এরপর সোদপুরের সোনার দোকানে টার্গট  করে। পরে, বারাকপুরে (Barrackpore)  আসে তারা।  বারাকপুরে স্টেশনের কাছে নামী একটি সোনার দোকানে তারা ডাকাতির পরিকল্পনা করে। তবে, নিরাপত্তা জোরদার থাকায় তারা আর ঝুঁকি নেয়নি। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। পরে, তারা ওল্ড ক্যালকাটা রোডের এই সোনার দোকানে তারা ঢুকে ডাকাতির ছক কষেছিল। বাধা পেয়ে তারা এলোপাথারি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তাতেই নীলাদ্রির মৃত্যু হয়।

    খুনের প্রতিবাদে বনধ, প্রতিবাদ মিছিল, সভা করলেন ব্যবসায়ীরা

    অন্যদিকে, এদিন সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে খুনের প্রতিবাদে পলতা, বারাকপুর (Barrackpore) জুড়ে সোনার দোকান বনধ করেছেন স্বর্ণ শিল্পীরা। এদিন আনন্দপুরীর হামলা হওয়া সেই সোনার দোকান থেকে স্বর্ণ শিল্পীরা পুলিশ কমিশনারের অফিস পর্যন্ত মিছিল করেন। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর চন্দ্র পোদ্দার বলেন, অবিলম্বে এই ঘটনায় সব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। শুধু জেলা নয় রাজ্যজুড়ে আমরা আন্দোলন করব। অন্যদিকে, স্বর্ণশিল্পীদের পাশাপাশি আনন্দপুরী এলাকায় ব্যবসায়ীরা বনধ ডাকেন। হরহল এলাকায় এদিন বিকালে সমস্ত ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। ব্যবসায়ী রূপম সেন বলেন, প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে খুনের ঘটনা সকলের কাছে আতঙ্কে। আমরা এর প্রতিবাদে সকলেই সামিল হয়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ, কাটমানির অভিযোগ

    Purba Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ, কাটমানির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭৬ কোটি টাকার নির্মীয়মান মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যায় উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটি। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) মহিষাদল রাজ কলেজের একটা অংশে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের কাজ। নির্মাণের পুরো টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসের পর কী হল!

    ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার জন্য মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিষাদলের বামুনিয়া মৌজায় জায়গা চিহ্নিত করে কাজও শুরু করে দেয় পূর্ত দপ্তর। কিন্তু প্রাচীর দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হলেও অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নির্মাণ কাজ চলার মধ্যেই অবশ্য মহিষাদল রাজ কলেজের একাংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু হয়। এমনকি এক উপাচার্য নিয়োগ হয়ে তাঁর মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে, নিয়োগ হয়েছেন আরও এক উপাচার্য। কিন্তু এখনো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মহিষাদল রাজ কলেজ ও মহাত্মাগান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়, উভয় কর্তৃপক্ষকেই। বর্তমানে ক্লাস রুমের সঙ্কটে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ সময়েই কলেজের রুম অধিগ্রহণ করেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের কাজ। এর মধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ খতিয়ে দেখতে আসে মহিষাদলে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ সময়ে সম্পূর্ণ কেন হচ্ছে না, এই প্রশ্ন নিয়েই কটাক্ষ বিজেপির।

    নির্মাণে বাজেট ও বিজেপির অভিযোগ

    মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় (Purba Medinipur) তৈরিতে বাজেট ঠিক হয় প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই প্রাচীর নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি টাকা। বাকি টাকা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার, এমনটাই সূত্রে জানা যায়। বিজেপির অভিযোগ কলেজের ক্লাস রুম অধিগ্রহণ করে পড়াশোনার কাজ চলছে, এতে মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় দুই প্রতিষ্ঠানেরই পঠনপাঠনে ক্ষতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে যদি ১১ কোটি টাকা পেমেন্ট হয়, তাহলে বাকি টাকা কোথায় গেলো? বিধায়ক টাকা নয়ছয় করেছেন কী না? তৃণমূলের নেতারা কাটমানি নিয়েছেন কী না? ইত্যাদি প্রশ্নকে তুলছেন বিরোধী দলগুলি।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ নিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক (Purba Medinipur) তিলক চক্রবর্তীর বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কাজ শেষ করেছি। আরও কিছু টাকা পেলে আমরা বাকি কাজ করতে পারব। আর এই কাজের সবটাই স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে স্পষ্ট করে জানিয়েছি আমরা। তিনি আরও বলেন, বিজেপিকে কেন্দ্র সরকারের কাছে বলতে বলুন রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা, আর সেই টাকা আগে কেন্দ্র দিক, তারপর বলুন আঙ্গুল তুলতে। কাজ হচ্ছে কী না, সেই খতিয়ান আমরা দিয়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাসের পর এখন কবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে, তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিন ভাই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Durgapur: ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিন ভাই বোনের রহস্যজনক মৃত্যু, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ তাঁর দুই বোনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর (Durgapur) লাউদোহার লস্করবাঁধের আদিবাসীপাড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তিন ভাই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করে  দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মঙ্গল সোরেন, সুমি সোরেন ও সুকুমনি সোরেন। এর মধ্যে মঙ্গল সোরেন লাউদোহা থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতেন। তাঁর বোন সুমি সোরেন কলকাতায় নার্সের কাজ করতেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে তিনি বাড়িতে আসেন। মঙ্গলের অপর বোন বাড়িতেই থাকত।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

     মঙ্গলের বাবা হপনা সোরেন প্রাক্তন ইসিএল কর্মী। তাঁর মা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। অন্যদিনের মতো শুক্রবার রাতে তিন ভাই বোন ঘরের মধ্যে শুয়েছিলেন। আর মঙ্গলের বাবা হপনা সোরেন বাইরের বারান্দায় শুয়েছিলেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ভোরে বাথরুম থেকে আসার পর দেখি ঘরের ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমি দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই দেখি, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঘরের ভিতরে থাকা আমার তিন ছেলেমেয়ে পুড়ে মারা গিয়েছে। তবে, কী করে আগুন লাগল তা বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন প্রতিবেশীরা?

     কীভাবে আগুন লাগল সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় প্রতিবেশীরা। শনিবার ভোরে খবর পেয়ে পাড়ার লোক গিয়ে দেখেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিন ভাই বোন ঘরে পড়ে রয়েছে। ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রও পুড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশী সাধন টুডু বলেন, পরিবারটি অত্যন্ত ভাল। ঘরে কোনও অশান্তি ছিল না। স্বভাবতই এই রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্য এক প্রতিবেশী টিলু সোরেন বলেন, মঙ্গল আমাদের বন্ধু। প্রতিদিন আমরা মাঠে খেলতে যেতাম। তবে, পাঁচদিন ধরে ও মাঠে আসছে না। কোনও সমস্যা ছিল কি না তা জানি না। কী করে আগুন লাগল তা বুঝতে পারছি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাণ্ডব, তৃণমূল নেতা সহ গ্রেফতার ৭

    TMC: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাণ্ডব, তৃণমূল নেতা সহ গ্রেফতার ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এমনকী হাসপাতালে চিকিত্সক ও নার্সদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৃণমূল (TMC) নেতা সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিপ্লব কুণ্ডু, সুবীর মণ্ডল, সাজিদুল ইসলাম,মনিরুল ইসলাম সহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার জয়দুল হক নামে এক যুবককে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রোগীর সঙ্গে মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (TMC) সম্পাদক বিপ্লব কুণ্ডুর নেতৃত্বে রোগীর পরিবারের লোকেরা ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকে পড়েন। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর তারা চড়া হয়। তারা মদ্যপ অবস্থায় মেডিসিন ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকে চিকিৎসকও নার্সদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। চিকিত্সকদের গায়ে হাত তোলা হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে পুলিশ সাত জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে, হাসপাতালের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বহরমপুর আদালতে পাঠানো হলে ছয় দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    জেনারেল সার্জারি বিভাগের জুনিয়র রেসিডেন্ট আকাশদীপ ঘোষ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করা যাবে না। ওই সময়ে আমি ওখানে গিয়ে দেখি, অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় রোগীর সঙ্গে আসা সাতজন যুবক আমাদের জুনিয়র ডাক্তারদের গায়ে হাত তুলেছেন। আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। ওই রোগীর শ্বাসকষ্ট ছিল। আমরা  চিকিৎসা শুরু করি। এরকম সময় রোগীর পরিবারের লোকজন আমাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেন। মনে হচ্ছে তারা পরিকল্পিতভাবে ঝামেলা করতে এসেছিল”।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতা অশোক দাস বলেন, হাসপাতালের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    Abhishek Banerjee: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ভাঙচুর মন্ত্রীর গাড়িও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিশৃঙ্খলা। কোথাও ব্যালট ছিনতাই, কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। বর্ধমানের ভাতারে রোড শো চলাকালীন দলেরই কর্মীরা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। মালদাতেও তাঁর কনভয় আটকে গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কথা বলেছিলেন। এবার ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী কনভয়ে থাকা বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো কুড়মিরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    শুক্রবার বিকেলে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চক থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বেলপাহাড়ি, জামবনি, দহিজুড়ির পর ঝাড়গ্রামে যান তিনি। ঝাড়গ্রামেও রোড শো করেন তিনি। ঝাড়গ্রাম শহরে রোড শো শেষ করে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে লোধাশুলি হয়ে গজাশিমুলের ক্যাম্পে আসার সময় শালবনি এলাকার গড়শালবনিতে অভিষেক এর কনভয় দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন কুড়মিরা। অভিযোগ, অভিষেকের গাড়ি পার হওয়ার পর তাঁর কনভয়ের সঙ্গে থাকা গাড়িতে পাথর ছুঁড়তে শুরু করা হয়। লাঠি দিয়ে গাড়িতে ও বাইকে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোঁড়ার কারণে ভেঙে যায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। ঘটনায় জখম হন মন্ত্রীর গাড়ির চালক। ভাঙচুর চালানো হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ঘটনায় বেশকয়েকজন তৃণমূল কর্মী এবং পথ চলতি সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন।

    কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    গজাশিমুলের মঞ্চ থেকে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন , “কুড়মিদের আন্দোলনের নাম করে বিরবাহা হাঁসদা আদিবাসী মেয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর কনভয়ে হামলা করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি ভেঙেছে। আন্দোলনের নামে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের গলায় গামছা দিয়ে টেনে ফেলা হয়েছে। আপনারা আন্দোলন করুন শান্তিপূর্ণভাবে। গাড়ির উপরে পাথর মেরে হামলা করেছে। এদের প্ররোচনায় পা দেবেন না কোনও বুথ সভাপতি। আপনারা কথা বলতে চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে পারেন। এই ঝাড়গ্রামের মানুষ আজকে শপথ নিন, এর পিছনে কারা রয়েছেন তা আমরা সব জানি। আমি দেড় কিমি পথ হাঁটলাম, তখন দেখলাম কেউ নেয়। আদিবাসী কুড়মি সমাজ জয় গরাম তো বলবে, তাহলে তারা জয় শ্রীরাম কেন বললেন? আদিবাসী কুড়মি সমাজ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আপনাদেরকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, আপনাদের পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপি লোকেরা কুড়মিদের নামে আন্দোলন করছে। এ কোন আন্দোলন?”

    কী বললেন কুড়মি নেতা?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলায় তাদের হাত নেই বলে দাবি করলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত। তিনি বলেন, “এখানে লোকজন জড়ো হয়েছিল। স্থানী লোকজন ছিল। অন্ধকারের মধ্যে কনভয় যাওয়ার সময় কে কোথায় ঢিল ছুঁড়েছে সেটা তো আমাদের দায়িত্ব নয়। আমাদের কোন উদ্দেশ্য নেই। এই ঘটনার সঙ্গে কুড়মিদের কোনও যোগ নেই”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share