Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের কার্যালয়ে হামলা, জখম ৭, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বিধায়ক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৯ মে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলামকে কার্যত এক হাত নিয়েছিলেন। বিধায়কের বিস্ফোরক এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিধায়কে কার্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। বিধায়কের সামনেই তাঁর অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারী সকলেই তৃণমূল কর্মী। পরে, তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তাতে সাতজন জখম হন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬:২৫মিনিট নাগাদ ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে তৃণমূল সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। অভিযোগ, তখনই ভরতপুর-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাইপো তাজ মহম্মদের নেতৃত্বে ব্লক সভাপতির কিছু অনুগামী গিয়ে অতর্কিতে লাঠি- বাঁশ নিয়ে হামলা চালান। বিধায়ক কার্যালয়ের পাশাপাশি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক পেটানো হয়। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভরতপুর এলাকা। ঘটনার পর ভরতপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তারজন্য এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, এখানে কোনও দলীয় কোন্দল নেই। আসলে এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। আমার নিরাপত্তারক্ষী আজকে ছুটিতে রয়েছে, সেই খবর আগে থেকেই ব্লক সভাপতি জানতো। তাই,  ব্লক সভাপতির অনুগামীরা আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়েছে। আমার অনুগামীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার কার্যালয়ে চড়াও হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে সোমবার থেকে ভরতপুরে কে রাজ করে তা দেখিয়ে দেব।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি?

    হামলার ঘটনা নিয়ে পাল্টা বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের উপর দায় চাপিয়েছেন ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার ভাইপো এবং আমার কিছু অনুগামী হাঁটতে হাঁটতে ব্লকের দিকে যাচ্ছিল তখনই আমার ভাইপো সহ আমার অনুগামীদের উপর চড়াও হয় বিধায়কের অনুগামীরা। আমরা কোনও হামলা চালাইনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    Nadia: প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইক চালানো নিয়ে বচসা। সামান্য এই ঘটনা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) কালিগঞ্জ থানার পালিতবেগিয়া এলাকার। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আশরাদুল শেখ। গুলিবিদ্ধ যুবক তৃণমূল কর্মী। হামলাকারীরাও তৃণমূল করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia)  পালিতবেগিয়া এলাকায় শনিবার বিকালে কয়েকজন যুবক পাড়ার ভিতর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। জানা যায়, ওই যুবকদের বাড়ি পাশের গ্রামে। প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় বচসা। পরে, হাতাহাতি শুরু হলে এলাকাবাসী তা  মিটিয়ে দেন। বাইক আরোহীরা গ্রামে ফিরে গিয়ে দল বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফের চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ফের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এরপরই আচমকা আশরাদুল শেখ নামে এক যুবককে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে।। আশরাদুলের বুকে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আশরাদুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হলেও আরেকটি গুলি শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে। বর্তমানে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তিনি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, আদতে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন গুলিবিদ্ধ যুবকের দাদা?

    গুলিবিদ্ধ আশরাদুলের দাদা ওসমান গনি শেখ বলেন, মূলত প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করাতেই হামলা চালিয়েছে ওরা। তবে, সামান্য বিষয় নিয়ে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    DA Protest: মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে আন্দোলন নয়! পেন ডাউন রুখতে মরিয়া নবান্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ বৃদ্ধির (DA Protest) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁরা যন্তর মন্তরে ধর্নাও দিয়েছেন। হাইকোর্টে নির্দেশে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে কর্মচারিদের একাংশের। কিন্তু তাতেও মেলেনি রফাসূত্র। এই আবহেই, ২২ মে সোমবার ফের এক দফা পেন ডাউন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। এবারেও কড়া অবস্থান নিল নবান্ন। আগের বারের মতো এবারেও নবান্নের বক্তব্য যে পেন ডাউন কর্মসূচির ফলে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ। এবং তা সরকারি অফিসের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটাবে। নবান্নের আরও হুঁশিয়ারি, নিজের অফিসে থেকে দায়িত্ব পালন করতে যদি কোন কর্মচারীকে না দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিজ্ঞপ্তিতে কী জানাল নবান্ন?

    শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কোনভাবেই এই কর্মসূচি বরদাস্ত করবেনা সরকার। নির্দেশিকায় নবান্নের বক্তব্য, জনস্বার্থে পদক্ষেপ করবে সরকার। হাসপাতালে ভর্তি, নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা আগে থেকে নেওয়া অন্যান্য বিশেষ কারণের ছুটিগুলি ছাড়া সেই দিনগুলিতে অর্ধ বা পূর্ণদিবসের ছুটি নেওয়া যাবে না। অন্যথায় কারণ দর্শাতে হবে। এমনকি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতেও কোন সরকারি কর্মীকে যদি কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, উপযুক্ত কারণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস থেকে বের হতে পারবেন না কোন সরকারি কর্মী। বেলা দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় অন্য কোন কর্মসূচি পালন করা চলবে না, অন্যথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মুখেও পড়তে হতে পারে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। শুধু তাই নয়, যদি মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির সময় কেউ কর্মসূচি পালন করে তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে তিনি সেদিন গরহাজির ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে সেইরকম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এই আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গত সোমবারেই জানিয়েছেন, সরকারি চাকুরিজীবীরা বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান কাজ করার জন্য। তাঁদের আন্দোলনের ফলে বিঘ্নিত হয় সাধারণ মানুষের পরিষেবা।

    কী বলছে কর্মচারী সংগঠনগুলি?

    কর্মচারী সংগঠনের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ন্যায্য দাবিতে কর্মীরা আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার দাবি মিটিয়ে দিলে এই সব আন্দোলনের দরকার পড়ে না। টিফিনের সময় হল কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সময়। সেই অধিকারেও হস্তক্ষেপ করেছে সরকার। ওই নির্দেশনামা বাতিলের দাবিতে সোমবার টিফিনের সময় দফতরে দফতরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।’’ অপর এক আন্দোলনকারীর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার এভাবে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। যত দমন পীড়ন চলবে, প্রতিরোধ ততই বাড়বে।’’ আরেকটি কর্মচারী সংগঠনের মত হল, ‘‘কর্মবিরতি পালনে বেতন কাটা যেতে পারে কিন্তু অন্য কোন শাস্তি এভাবে দিতে পারে না সরকার। এটা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক এবং ডিএ সহ নানা দাবীতে আন্দোলন বাছাই করতে পদক্ষেপ।’’ এখন দেখার সোমবারে রাজ্য জুড়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madrasa: হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় প্রথম পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে, পরিবারে উচ্চ শিক্ষায় দুশ্চিন্তা

    Madrasa: হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় প্রথম পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে, পরিবারে উচ্চ শিক্ষায় দুশ্চিন্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের বাবা দিনমজুর অন্যজনের বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা ব্লকের ভাবতার বাসিন্দা আসিফ ইকবাল ও রানীনগরের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন মোল্লা, এরাই এবার পশ্চিমবঙ্গ হাই মাদ্রাসা (Madrasa)পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয়। আসিফের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০, নাসির উদ্দিনের প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। দুজনেই বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চান। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে সন্তানদের ভালো ফলে দুশ্চিন্তায় পরিবার, উচ্চশিক্ষায় পাশে দাঁড়াক সরকার, আবেদন উভয় পরিবারের।

    প্রথম হওয়ায় মাদ্রসার (Madrasa) প্রতিক্রিয়া

    ভাবতা আজিজা হাই মাদ্রাসা স্কুলের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক শিক্ষক মিরাজ শেখ বলেন, এই স্কুলে বিগত কয়েক দশক ধরে প্রথম স্থানে অধিকারী হিসাবে আমরা কাউকে পাইনি। যদিও বিভিন্ন সময় আমাদের স্কুলের ছাত্ররা কখনও চতুর্থ কখনও পঞ্চম স্থানাধিকারীদের মধ্যে ছিল। এই বছর আমাদের খুব আশা ছিল, এই বছর স্কুলে কিছু একটা ফল হবে। আসিফ সবসময় ক্লাসে প্রথম হত। আসিফের ফলাফল আমাদের কাছে ভীষণ প্রত্যাশিত। স্কুলের বিশেষ ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করত আসিফ। ছাত্র সুলভ আচরণে খুব অনুগত ছিল সে। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকেও আসিফকে বিশেষ অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

    আসিফের পরিবারের প্রতিক্রিয়া

    আসিফের বাবা ইয়ামিন শেখের আশঙ্কা “ছেলে ভালো ফল করে কি হবে, আমি যদি পড়াতে না পারি!” রাজ্যে প্রথম হয়ে বিতর্কে পটু বাগ্মী আসিফের ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া “লড়াইটা সবে শুরু, এখন অনেক পথ বাকি। আশা করি সবাই পাশে থাকবে।” আসিফের বাবা আরও জানান, এতদিন দেনা করে পড়াশুনার খরচ যুগিয়েছি। কলকাতায় সাইকেলে করে ভাঙ্গারির ব্যবাসা করি। অর্থের একটা সঙ্কট রয়েছেই। তবে স্কুলের শিক্ষকেরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শিক্ষকদের (Madrasa) জন্যই আজ ওর এই সাফল্য এসেছে। আগামী দিনে ওর পড়াশুনার জন্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করব। 

    নাসিরের মাদ্রাসার (Madrasa) শিক্ষকের আবেদন

    কোমনগর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এতটা অভাবের মধ্যে থেকেও পড়াশোনা করার অদম্য জেদ কিভাবে সাফল্য এনে দেয়, সেটা নাসিরের মধ্যে চাক্ষুষ করলাম। আমরা তো আছি, সরকারও ওর উচ্চ শিক্ষায় পাশে দাঁড়াক, এটুকুই আবেদন। আগামী দিনে সরকারী সহায়তা কতটা আসে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: দু’সপ্তাহের মধ্যে উচ্চপ্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    SSC Scam: দু’সপ্তাহের মধ্যে উচ্চপ্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের (SSC Scam) মেধা তালিকা প্রকাশ করতে এসএসসি-কে নির্দেশ হাইকোর্টের। এদিন দু সপ্তাহ সময়সীমাও বেঁধে দেয় কোর্ট। জানা গেছে, কোর্টের নির্দেশে এমনভাবে তালিকা প্রকাশ করতে হবে যাতে প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সেই তালিকা দেখতে পারেন। পাশাপাশি যে সমস্ত পরীক্ষার্থী এই নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের অনলাইন আবেদন যাতে একে অপরে দেখতে পারেন, তার ব্যবস্থাও কমিশনকে করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহ গরমের ছুটির পরে, জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিন কোর্ট আরও জানিয়েছে, ইন্টারভিউ তালিকা এবং অনলাইন আবেদন পত্র পরীক্ষা করার পরে যদি কারও কোন কিছু বলার থাকে তাহলে সে বিষয়েও কোর্টে সবকিছু শোনা হবে।

    আট বছর আগে হয়েছিল উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা

    প্রসঙ্গত, আট বছর আগে ২০১৫ সালে পরীক্ষা হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের (SSC Scam)। শিক্ষক নিয়োগে তখন থেকেই জটিলতা চলছে। মেধা তালিকা বাতিল করে নতুন ভাবে তালিকা তৈরি করার নির্দেশও এর আগে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সাম্প্রতিক কালে, শুরু হয় উত্তরপত্র নিয়ে বিতর্ক। সেই বিতর্কের জেরেই নতুনভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে উত্তরপত্র। জানা গেছে মোট ১৪,০৫২ উত্তরপত্রের মধ্যে বাতিল হয়েছে ১,৪৬৩ উত্তরপত্র। বাতিল হওয়া উত্তরপত্রগুলিকে বাদ দিয়ে মেধা তালিকা তৈরি হয়েছে ১২,৫৮৯ জনের।

    আরও পড়ুন: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    কী বলছেন মামলাকারীদের আইনজীবী

    এ প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, ‘‘এসএসসি ইন্টারভিউ এর পরে ফের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে। সেক্ষেত্রে ফের অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। কারণ এসএসসির (SSC Scam) অন্যান্য নিয়োগে ইতিমধ্যে উত্তরপত্র বিকৃত করে নম্বর কমানো বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।’’ পাশাপাশি, গত সাত বছর ধরে নিয়োগ আটকে থাকার ফলে যে শূন্যপদ বেড়েছে সেই শূন্য পদের সংখ্যা আপডেট করা উচিত বলেও জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL: দোকানের আড়ালে চলছে আইপিএলের বেটিং চক্র! কারা জড়িত জানেন?

    IPL: দোকানের আড়ালে চলছে আইপিএলের বেটিং চক্র! কারা জড়িত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে ফের আইপিএল (IPL) বেটিং চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবক। মুদিখানার, সোনার দোকানের পর এবার ধরা পড়লো  মাংসের দোকানের মালিক। এই দোকানের আড়ালে  অনলাইনে আইপিএল বেটিং চলত বলে অভিযোগ। পরপর এভাবে দোকানের আড়ালে বেটিং চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    জাল ছড়িয়েছে গোটা শহরে

    গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ১৮ মে রাতে পুলিশ শিলিগুড়ি শহরের  বাগড়াকোট এলাকায় একটি মাংসের দোকানে অভিযান চালায়। সেখানে হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে,  ধৃতদের নাম মহম্মদ সরফরাজ ও মহম্মদ নাফিস আলম। দু’জনেরই বাড়ি বাগরাকোটে।  ধৃতদের  দুটি মোবাইল ফোন এবং নগদ কয়েক হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১২ মে রাতে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় সিটি সেন্টারে শপিংমলে একটি সোনার দোকানে হানা দিয়ে আইপিএল (IPL) বেটিং চালানোর অভিযোগে হাতেনাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছিল। তারও দুদিন আগে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দারপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আইপিএল বেটিং চালানোর অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সেই ব্যক্তি নিজের মুদিখানার দোকানের আড়ালে আইপিএল (IPL) বেটিং চক্র চালাচ্ছিল। তার কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৯০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন পেয়েছিল পুলিশ।

    বেটিং চক্র নিয়ে কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    আইপিএল (IPL) শুরু থেকেই  শিলিগুড়িতে বেটিং চক্রের সন্ধান মিলেছে। বিগত বছরগুলিতেও শিলিগুড়িতে রমরমিয়ে আইপিএল বেটিং চলেছে। পুলিশের জালে  অনেকে ধরাও পড়েছে। পুলিশের নজরকে ফাঁকি দিতে এবার  বেটিং চক্র নতুন পন্থা নিয়েছে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের এক পদস্থ অফিসার  বলেন, শিলিগুড়ি শহরে  মুদিখানা দোকান, মাংসের দোকান, সোনার দোকানের পাশাপাশি ছোট ছোট রেস্তোরাঁ, ক্যাফেতেও গোপনে বেটিং চক্র চলছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। আমরা সে মতো ধারাবাহিক নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত যারা ধরা পড়েছে তারা  এই বেটিং চক্রের এজেন্ট। এদের পিছনে আরও অনেক বড় মাথা রয়েছে। শুধু  শিলিগুড়ি বা উত্তরবঙ্গ নয়, এর বাইরেও এই বেটিং চক্রের জাল বিস্তৃত। ধৃত ব্যক্তিরা  মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে বিভিন্ন আইডি তৈরি করে আইপিএল বেটিং চালাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে এই দিকটি উঠে এসেছে। শিলিগুড়িতে এরকম আরও অনেক এজেন্ট থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। তা জানতে ধৃতদের লাগাতার জেরা চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: ‘‘সে নো টু পিজি’’! রেগেমেগে এসএসকেএম বয়কটের ডাক মদনের, হঠাৎ কী হল?

    Madan Mitra: ‘‘সে নো টু পিজি’’! রেগেমেগে এসএসকেএম বয়কটের ডাক মদনের, হঠাৎ কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিজি হাসপাতাল বয়কটের ডাক দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এই হাসপাতালেই একদা একচ্ছত্র রাজত্ব চলত তাঁর। মদনের এক ফোনেই মিলত বেড। এবার সেখানেই রোগী ভর্তি করানো যায়নি বলে তিনি হাসপাতাল বয়কটের ডাক দিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা না করে রোগীকে ফিরিয়ে দিয়েছে।’’ খোদ শাসকদলের নেতা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হওয়ায়, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুধু তাই নয়, মদনের আরও অভিযোগ, এখানে দালালরাজ চলছে। ট্রমা কেয়ারে রোগী ভর্তি করতে দশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিন পিজি সুপার এবং ডিরেক্টরের পদত্যাগও দাবি করেছেন মদন মিত্র (Madan Mitra)।

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে অভিষেক! চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, কী কী প্রশ্ন করতে পারে সিবিআই?

    ঘটনাটি ঠিক কী?

    পথ দুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তিকে তার পরিবারের লোকেরা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যায়। শুভদীপ পাল নামের ওই যুবককে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিতে চাইনি বলে অভিযোগ। ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁকে ফেলে রাখা হয়। আহত শুভদীপ নিজে অন্য একটি সরকারি হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজ করেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এসএসকেএম-এ তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পরিষেবা না মেলায় হাসপাতালে পৌঁছে যান মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেখানেই রেগে লাল হয়ে মদন সরব হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। 

    কী বললেন মদন মিত্র?

    মদন মিত্রের (Madan Mitra) দাবি, তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও ফোন করেছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী তাঁকেও কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। এর পর অরূপ বিশ্বাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার মেসেজ করে বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে তাঁকে ভর্তি করানোর ক্ষমতা নেই।’’ তাতে ক্ষুদ্ধ মদন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘ট্রমা কেয়ার তৈরি হয়েছে জনগণের জন্য। রোগী যদি ভর্তি নাও করা যায়, চিকিৎসা তো হবে। এখানে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার কথা! তাঁর আরও দাবি, তাঁদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে গরিব মানুষগুলোর কী হবে।’’ এর পরই, মদনের হুঙ্কার, ‘‘যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করছেন ততক্ষণ সে নো টু পিজি। এসএসকেএম হাসপাতাল বয়কট করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে শুভেন্দু অধিকারী, নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে শুভেন্দু অধিকারী, নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মণের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, আগামী ৩ দিনের মধ্যেই চাকরির নিয়োগপত্র পাবেন মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী এদিন পুত্রহারা অসীম দেবশর্মাকেও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। মৃত্যুযন্ত্রণা ও হতাশার মধ্যে আর্থিক অনটনে কিছুটা সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে এভাবেই পরিবারের পাশে থাকলেন বিরোধী দলনেতা। এছাড়া ভারত সেবাশ্রম কর্তৃপক্ষকে স্বর্গরথ কেনার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। 

    মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে

    রাধিকাপুরের চাঁদগাঁও গ্রামে গুলিতে মৃত যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের (Kaliaganj) সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, তিনদিনের মধ্যেই চাকরির নিয়োগপত্র পাবেন মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মণ।

    অসীম দেবশর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ

    কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) ডাঙ্গিপাড়ায় সদ্য পাঁচ মাস বয়সের পুত্রহারা অসীম দেবশর্মাকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিরোধী দলনেতা। টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে না পেরে ব্যাগের ভিতর ভরে পাঁচ মাসের ছেলের মৃতদেহ বাসে করে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। প্রশাসনের অমানবিক এবং নির্মম ব্যবহারে সাধারণ মানুষ নির্বাক হয়ে গিয়েছিল। সরকারের অমানবিক আচরণের ঠিক বিপরীত মেরুতে গিয়ে পরিবারের পাশে থাকলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    নাবালিকার পরিবারকে সমবেদনা

    অন্যদিকে, এদিন ভারত সেবাশ্রমের স্বামীজিদের সঙ্গেই শুভেন্দু অধিকারী যান কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা এলাকায় মৃত নাবালিকার বাড়িতে। সেখানে নাবালিকার সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করার পাশাপাশি শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান তিনি।

    ভারত সেবাশ্রমকে ১২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান

    শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) ঝটিকা সফরে গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দুপুরে তিনি প্রথমে যান কুনোর ভারত সেবাশ্রমে। আশ্রমের স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজের মন্দিরে পুজোও দেন। এরপর স্বামীজিদের সাথে কথা বলেন তিনি৷ পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জের কুনোর ভারত সেবাশ্রমকে ১২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। স্বর্গরথ কেনার জন্যই এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। মূলত মৃতদেহ বহনের জন্য বিনামূল্যে আশ্রমের তরফে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই অনুদান দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এগরা বিস্ফোরণ (Egra Blast) কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। শুক্রবার এই রিপোর্ট তলব করা হয়। জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের ওই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিশন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যে স্পষ্ট, এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তাই আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘১৭ মে ২০২৩ এর ওই ঘটনায় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। জনতা এও দাবি করে, পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করেই অভিযুক্তরা অবৈধভাবে বাজি কারখানা চালাত।’’

    মঙ্গলবারই এগরায় অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে

    চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবারই এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Egra Blast) ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে মারা যান। বিস্ফোরণে ভানু বাগ ব্যাপকভাবে জখম হয়েছিলেন। তাঁর শরীরের আশি শতাংশই পুড়ে যায়। কিন্তু তদন্তকারীদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি পড়শি রাজ্য ওড়িশাতে গা ঢাকা দেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ছেলে এবং ভাইপোর সঙ্গে সিআইডি গ্রেফতার করে তাঁকেও। ভানু বাগের শেষকৃত্যের পরেই তাঁর ছেলেকে সিআইডি হেফাজতে নেবে বলে  জানা গেছে।

    কোন কোন ধারায় হল মামলা?

    আইপিসি ৩০২ (খুন), আইপিসি ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), এই দুটির পরেও দ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট ১৮৮৪-এর ৯বি ধারা যোগ হয়। কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট ১৯০৮-এর কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। মামলা হালকা করতেই কি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত? যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর কোনও সদুত্তর মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Results: রাজ্যের সরকারি স্কুল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন শহুরে অভিভাবকরা?

    Madhyamik Results: রাজ্যের সরকারি স্কুল থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন শহুরে অভিভাবকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। সম্ভাব্য মেধা তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতে দেখা গেল, কলকাতার কোনও পড়ুয়ার নামই নেই। এই ঘটনায় বিস্মিত শিক্ষা মহল। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্য বছরের তুলনায় এমনিতেই অনেক কম ছিল। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কমছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গত বছর মেধা তালিকায় (Madhyamik Results) কলকাতার পড়ুয়া মাত্র একজন ছিল। এবছর তাও নেই। 

    কেন মেধা তালিকায় কমছে কলকাতার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা? 

    শিক্ষা মহলের একাংশ জানাচ্ছে, মেধা তালিকায় (Madhyamik Results) কলকাতার পড়ুয়া না থাকার অন্যতম কারণ, কলকাতার অধিকাংশ বাসিন্দাই আর ছেলেমেয়েদের সরকারি স্কুল বা বলা যায় রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলে ভর্তি করান না। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা গিয়েছে, লাগাতার কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাও তাই কমছে। অধিকাংশ ছেলেমেয়ে ভর্তি হয় সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের স্কুলে। 

    কেন অভিভাবকদের বড় অংশ রাজ্যের স্কুল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে? 

    শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সিলেবাসই (Madhyamik Results) এর অন্যতম কারণ। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে কোনও পরীক্ষায় পাশ করার উপযুক্ত সিলেবাস এখন পড়ানো হয় না। ইংরেজির মতো ভাষা, যা সর্বভারতীয় পরীক্ষায় অত্যন্ত জরুরি, তাতে গুরুত্ব খুব কম দেওয়া হয়। ইতিহাস, বিজ্ঞান সহ একাধিক বিষয়ের সিলেবাস অপ্রাসঙ্গিক! শিক্ষাবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ইতিহাসে সিঙ্গুর আন্দোলন পড়ানো হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বেচারাম মান্নার ভূমিকা পড়ানো হয়। ইউপিএসসি বা অন্য যে কোনও সর্বভারতীয় পরীক্ষায় এই বিষয়ের কোনও প্রশ্ন থাকে না। ফলে, এই বিষয়গুলো পড়ে পড়ুয়াদের বিশেষ সুবিধা হয় না। এমনকী বাংলা ভাষাতেও এমন অনেক অপ্রাসঙ্গিক বিষয় পড়ানো হয়, যা পরবর্তীতে তাদের বিশেষ কাজে লাগবে না। যেমন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অভিনেতা দেব ও তার ছবি চাঁদের পাহাড় নিয়ে পড়ানো হয়। এই অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাস অভিভাবকদের আরও বেশি করে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলের প্রতি অনীহা তৈরি করছে বলেই মনে করছে শিক্ষাবিদদের একাংশ।
    একদিকে অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাস ও পরিকাঠামোহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, আরেকদিকে সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের একাধিক স্কুল, যেখানে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো পাঠ্যক্রম, এই দুইয়ের কারণেই কলকাতা ও তার আশপাশের বাসিন্দারা আরও বেশি রাজ্যের স্কুলগুলো থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share