Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP:  ভগবানপুরে বিজেপি-র মিছিলে বোমাবাজি, চলল গুলিও, জখম ৪

    BJP: ভগবানপুরে বিজেপি-র মিছিলে বোমাবাজি, চলল গুলিও, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যজুড়়ে সন্ত্রাস ও এগরার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজেপি মিছিল শুরু হওয়ার পর পরই তাতে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় গুলিও চলে বলে অভিযোগ। এদিন বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে  ভগবানপুরের পাঁউশি বাজার এলাকায়। এই ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপির (BJP) অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এদিন বিকেলের দিকে পাঁউশি বাজারে মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ভগবানপুর বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক পাঁউশি বাজারে হাজির হয়েছিলেন। বিশাল জমায়েতের পরই বিজেপি (BJP) কর্মীরা মিছিল শুরু করেন। জানা গিয়েছে, বাজার থেকে কিছুটা দুরেই বেশ কয়েকজন জমায়েত হয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আগে থেকেই সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন। মিছিলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজার এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ মিছিল থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পরে, মিছিল কিছুটা যেতেই বিজেপির (BJP)  মিছিল লক্ষ্য করেই বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। চলে গুলিও। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, তৃণমূল সরকার নয়, রাজ্যে তালিবান সরকার চলছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর তৃণমূল বোমাবাজি করেছে। গুলি চালিয়েছে। বোমার আঘাতে ৪ জন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে। মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানি করেছে। পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল যদি মনে করে এভাবে সন্ত্রাস করে বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে তাহলে ওরা ভুল ভাবছে। কারণ, ওদের এসব কর্মকাণ্ড দেখে মানুষ ওদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সামনের পঞ্চায়েত ভোটে তারা টের পেয়ে যাবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়া বলেন, মিছিল করার নামে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছিল বিজেপি (BJP)। প্রতিবাদ জানালে ওরা আমাদের উপর হামলা চালায়। গুলিও ছোঁড়া হয়। তৃণমূল কোনও হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh in Egra: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh in Egra: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধীকে সঠিক সাজা দেওয়া হচ্ছে না। “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড” দেওয়া হচ্ছে। তাই এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এআইএ তদন্ত প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Egra)। এদিন তিনি কার্যত বিনা বাধাতেই এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এরপরই গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।

    এগরায় দিলীপ যা বললেন

    এদিন বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Egra) বলেন, “যে ধরনের ধারা দেওয়া হয়েছে, আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম, সাধারণ পাড়ায় মারপিট করলেও এর চেয়ে কঠিন ধারা দেওয়া হয়। আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করলে এর থেকে কঠিন ধারা আমাদের দেওয়া হয়। পুরো সমাজবিরোধী কাজ হয়েছে।” স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন, “স্থানীয়রা বলছে ২২ জন মারা গিয়েছেন। এর আগেও ওরা অপরাধ করেছে। এত বড় বিস্ফোরণ হল আর কোথাও বিস্ফোরণের ধারা নেই। দুমাস বাদে জামিন পেয়ে চলে আসবে। আবার বিজনেস শুরু হয়ে যাবে। আমার মনে হয় রাজ্য সরকার ও পুলিশ চাইছে এই ধরনের কাজ বন্ধ না হোক। পরোক্ষে ওরা সাপোর্ট করছে।”

    বিনা বাধায় ঘটনাস্থলে যান দিলীপ

    এদিন সংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh in Egra) সঙ্গে ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ কুমার চক্রবর্তী ও জেলা কমিটির সভাপতি সুদাম পন্ডিত। বোমা বিস্ফোরণে মৃত মাধবী বাগ ও অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। বুধবারই এগরায় গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া। শুনেছিলেন চোর চোর স্লোগান। কার্যত তাড়া খেয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তবে বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতাদের তেমন কোনও পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। তাঁরা এলাকায় গিয়ে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন।

    আরও পড়ুন: অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

    এগরায় বিস্ফোরণ স্থল ঘুরে দেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন তিনিও।  এমনকি আগামী দিনে এগরা থেকে মহা মিছিলের ডাক দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ব্লকে খাদিকূল গ্রামে একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা এই ঘটনায় হতাহত হন। বাজি তৈরির নাম ওই কারখানায় বোমা তৈরি হতো বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিনা নথিতে কিভাবে দিনের পর দিন এভাবে বাজি তৈরি হতো তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে”, বেসুরো অর্জুন সিং

    Arjun Singh: “পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে”, বেসুরো অর্জুন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও বারাকপুরে কিছুটা হলেও কোণঠাসা সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে তাঁর কোন্দল এখন একেবারে প্রকাশ্যে। দলের সাংসদ হওয়ার পরও তাঁর অনুগামীরাও কার্যত কোণঠাসা। তাতে দলের প্রতিও তিনি কিছুটা অসন্তুষ্ট। এই পরিস্থিতি এগরা নিয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    এগরা বিস্ফোরণে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে কী বললেন অর্জুন (Arjun Singh)?

    বৃহস্পতিবার বারাকপুর মহকুমার রিলায়েন্স জুটমিলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে আরও মানবিক হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী বারবার পুলিশকে মানবিক হওয়ার পরামর্শ দেন। পুলিশ সেই নির্দেশ মানলে কখনও এগরার ঘটনা ঘটত না। আর এরাজ্য বলে নয়, দেশের সব রাজ্যের পুলিশকে সাধারণ মানুষ তাদের শত্রু ভাবে। তাই, কোথাও কোনও গণ্ডগোল হলে পুলিশ সময়ে গেলে বা পরে গেলে তাদের দেখে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাফিলতির জন্যই এগরার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এটা শুধু আমি বলছি না, মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন।

    এগরায় মানস ভুঁইয়াকে বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে কী বললেন বারাকপুরের সাংসদ(Arjun Singh)?

    মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াদের এগরায় বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, এমনিতেই এগরায় এতবড় ঘটনা ঘটেছে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর যার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সে আমাদের দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল। ফলে, এলাকাবাসীর একটা ক্ষোভ ছিল। এতবড় ঘটনার তিন-চারদিন পর দলের নেতারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবে সবকিছু মিটে যাওয়ার পর দলের নেতাদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আমাদের গালাগালি দিচ্ছেন। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। নাহলে বারে বারে এরকম ঘটনা ঘটবে। আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।

    এছাড়াও এদিন জুটমিল মালিকদের অর্জুন সিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনওরকম শ্রমিক স্বার্থে আঘাত লাগলে আন্দোলন এবং ধর্মঘট চলবে। কখনও হালকা আন্দোলন, আবার কখনও শ্রমিকদের ধর্মঘট করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blast: ফের বিস্ফোরণ! এবার মুর্শিদাবাদে নাম জড়ালো তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের, জখম ২

    Blast: ফের বিস্ফোরণ! এবার মুর্শিদাবাদে নাম জড়ালো তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তারই মাঝে ফের বিস্ফোরণ (Blast)। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার কাশিয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকা। এখানেও নাম জড়িয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই তৃণমূল সদস্যের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির ছাদে বোমা রাখা ছিল এবং রোদে শুকানোর সময় তাতে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মজুত বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণ। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে এবং নাতি এতে গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। যদিও বাড়ির লোক জখম হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। জখম দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনার পর পরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। বোমা বিস্ফোরণ (Blast) যে ঘটেছে, তা অনেকেই জানলেও ক্যামেরার সামনে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। কারণ, যার বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে সেই লেলি বিবি স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও নেই। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা বোমা মজুত করছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করছে। এদিনের এই ঘটনায় সেই অভিযোগ আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা উত্তরের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, যে বিধানসভা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি রাজ্যের মন্ত্রীর এলাকা। এবার পঞ্চায়েত ভোট সুস্থভাবে হলে তৃণমূল কোথাও জিততে পারবে না। তাই শাসক দলের নেতারা এভাবে বাড়ির মধ্যে বোমা মজুত করে রেখেছে। এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতেই এসব করা হচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, তৃণমূলের জেলা নেতা অশোক দাস বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফিরতে না দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষের মনে রয়েছে তৃণমূল। ভোটের ফলে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আর এই ধরনের ঘটনার পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।            

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Bomb Blasts: বারুদের স্তূপে বাংলা! সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে কবে কোথায় বিস্ফোরণ?

    Bengal Bomb Blasts: বারুদের স্তূপে বাংলা! সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে কবে কোথায় বিস্ফোরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ড (Bengal Bomb Blasts) নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট শিয়রে। তার আগে তৃণমূল পরিচালিত সরকার দুর্নীতির বোঝা সামাল দিতেই হিমসিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এগরা বিস্ফোরণের ঘটনা বিরোধী শিবিরের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে।

    বিরোধীদের দাবিই সত্যি!

    দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান বিরোধী দল বিজেপি দাবি করে আসছে, তৃণমূল সরকারের বদান্যতায় বোমা তৈরিই এখন এই রাজ্যের প্রধান শিল্পে পরিণত হয়েছে। তাদের দাবি যে অমূলক নয়, তা দেখিয়ে দিয়েছে এগরাকাণ্ড। প্রশাসন যতই একে বাজি কারখানার বিস্ফোরণ (Bengal Bomb Blasts) বলে চালানোর চেষ্টা করুক না কেন, সেখানে যে বোমা তৈরিই হত, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে নিহতদের পরিবারও। পুলিশ উঠেপড়ে লেগেছিল বিষয়টাকে খাটো করে দেখানোর জন্য। যে কারণে মামলা রুজুর সময় বাদ দেওয়া হয়েছিল বিস্ফোরক আইনের ধারা। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। এই মামলায় বিস্ফোরক ধারা জুড়তে বৃহস্পতিবারই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    রক্তে বারবার ভিজেছে বাংলার মাটি

    এগরায় এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ জনের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। তবে, এগরা প্রথম নয়। এর আগেও গত এক বছরে বার বার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে বাংলা। রাজ্যবাসীর রক্তে ভিজেছে বাংলার মাটি। বারুদের গন্ধে ভরে উঠেছে বাংলার বাতাস। এর আগেও বিস্ফোরণে খালি হয়েছে অনেক মায়ের কোল। মুছেছে অনেক সিঁথির সিঁদুর। কেউ কেউ যেমন মাতৃহারা-পিতৃহারা-ভ্রাতৃহারা হয়েছেন, কেউ আবার সন্তান হারানোর শোক বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন। বাদ যায়নি শিশুরাও। বল ভেবে খেলতে খেলতে বোমা ফেটে শিশু মৃত্যু ও ঘায়েল হওয়ার ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। তবে, এত কিছুর পরও থামেনি বিস্ফোরণের (Bengal Bomb Blasts) আওয়াজ। রাজ্যের একের পর প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে বোমা ফাটার আওয়াজ। সর্বশেষ ঘটনা এগরা। হয়তো এটাই শেষ নয়।

    আরও পড়ুন: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    রাজ্যের বিস্ফোরণ-পঞ্জী

    এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক রাজ্যে ঘটে যাওয়া বিগত কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের (Bengal Bomb Blasts) খতিয়ান—

    ১০ এপ্রিল ২০২৩—ইসলামপুর থানা এলাকার বানিয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সফিজুল হক নামের একজনের বাড়িতে বোমা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে খবর। আর তাতে সফিজুলের দু’টি হাতই উড়ে যায়।

    ১ এপ্রিল ২০২৩—খোদ বিকাশ ভবনের সরকারি ২ জন কর্মচারী ধরা পড়ে এনআইএ-র হাতে। একজন আবার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। অভিযোগ, বিস্ফোরক পাচার করতেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গেছেন এই ২ জন। পুলিশের সাহায্যেও এই কাজ চলত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এনআইএ গ্রেফতারি এড়াতে বিকাশ ভাবনে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান। ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার (NIC) বা জাতীয় তথ্যকেন্দ্রের প্রজেক্টে কাজ করছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক আর ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সাপ্লাই করেছিলেন এই দুজন। এত পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের পরও কেন এঁরা ধরা পড়েননি, উত্তর খুঁজছে এনআইএ। 

    ২০ মার্চ ২০২৩—মহেশতলায় পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী-পুত্র, প্রতিবেশী কিশোরীর মৃত্যু হয়। নোদাখালি, পাঁশকুড়ার পরে ফের এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। 

    ১০ মার্চ ২০২৩— মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার মধুপুর মাঠপাড়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ হয়ে প্রাণ হারান একজন। গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। বোমা বাঁধার সময় তা ফেটে যেতেই বিকট শব্দ হয়। তখনই সবাই ছিটকে পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য

    ৪ মার্চ ২০২৩— পাড়ুইয়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার আওয়াজ বহু দূর থেকে শোনা যায়।

    ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩— বোমার আঘাতে জখম হন মাড়গ্রাম ১ তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ ও তাঁর বন্ধু নিউটন শেখ।

    ৬ ডিসেম্বর ২০২২— বসিরহাটে বিস্ফোরণে জখম এক নাবালক সহ ২। বসিরহাটের রামনগরে রান্নাঘরে বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর আহত হয় নাবালক। আহত হন এক গৃহবধূও। 

    ১৭ নভেম্বর ২০২২— উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। মৃত এক ৯ বছরের নাবালিকা। মৃতের নাম সোহানা খাতুন ওরফে ঝুমা। সে সম্পর্কে তৃণমূল নেতার ভাগ্নি। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার চাঁপালি পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ায় তৃণমূল নেতা আবুল হোসেন গাইনের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়।

    ১১ অক্টোবর ২০২২— পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার সাধুয়াপোতা গ্রামে বাজি বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ যায় দুজনের। মৃতদের মধ্যে এক স্কুল ছাত্রও ছিল।  গ্রামের শ্রীকান্ত ভক্ত নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল।  বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে বাড়ির একাংশ। অভিযোগ, সেখানে বোমা জাতীয় বাজিও তৈরি করা হত৷

    ২৯ জুন ২০২২— ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের ভীমগড় ব্রিজের কাছে। এলাকার পুরনো শ্মশানঘাটের কাছে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি বাড়িও। পাণ্ডবেশ্বরের পুরনো শ্মশানঘাটের কাছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। সেই শব্দে চারদিক কেঁপে ওঠে। ব্রিজ লাগোয়া একটি জায়গায় পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।

    আরও বিস্ফোরণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায়

    এছাড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে একটি বালতি থেকে শ’খানেক বোমা মেলে। বীরভূমের মাড়গ্রাম, লাভপুর, দুবরাজপুর, মল্লারপুর থেকে চারদিনে পাওয়া গিয়েছে ৪০০-র বেশি তাজা বোমা, ৩০ কেজির বেশি বোমার মশলা। মুর্শিদাবাদে গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও বর্ধমানের খাগড়াগড় মোড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে একটি বাড়িতে জোরালো বিস্ফোরণ (Bengal Bomb Blasts) হয়। তাতে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বারুইপুর, ক্যানিং থেকেও তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধীরা বলছে, বাংলা রয়েছে বারুদের স্তূপের উপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলের কাজ থেকে অব্যাহতি চান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

    TMC: দলের কাজ থেকে অব্যাহতি চান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! গোষ্ঠী কোন্দলের জের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তুমুল গোষ্ঠী কোন্দল হিলিতে। দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে চিঠি অঞ্চল সভাপতির। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল দক্ষিণ দিনাজপুরে। দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার না করলেও দলের কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে ব্লক সভাপতিকে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হিলির ধলপাড়া অঞ্চল তৃণমূল (TMC) সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল। যদিও বিষয়টি দলীয় কাজিয়া নয়, পারিবারিক সমস্যা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি, দাবি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির সরকারের।

    দণ্ডিকাটা কাণ্ডেরই জের?

    রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না হলেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলি ব্লকে যেন ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে নির্বাচনী দামামা। আর যাকে ঘিরেই হিলিতে কার্যত প্রকট হয়ে উঠেছে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কাজিয়া। সাংগঠনিক দক্ষতা বিচার করে ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উজ্জ্বল মণ্ডলকে বেশ কিছুদিন আগে ওই অঞ্চলের সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। যিনি প্রাক্তন মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিতি লাভ করেন এলাকায়। দলের বহুদিনের পুরনো কর্মীর পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতাও তাঁর অনেক বেশি থাকায় এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পাল্লাই বেশি ভারী ছিল। কিন্তু দণ্ডিকাটা কাণ্ডের জেরে মহিলা নেত্রীর ক্ষমতা ক্রমশ তলানিতে চলে যেতেই দলের ভিতরে কার্যত চাপে পড়ে যান অঞ্চল সভাপতি, এমনটাই দলীয় সূত্রের খবর। যার সুযোগ নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অপর গোষ্ঠী। যাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা একপ্রকার শূন্য থাকলেও বর্তমানে দলের লবিবাজিতে তারাই প্রধান্য পেতে থাকে।

    বিগত বেশ কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অপর গোষ্ঠীর লোকেরা প্রাধান্য পেতেই দলের প্রতি আস্থা হারান প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্ৰধান তথা অঞ্চল সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলে দলীয় সূত্রের খবর। আর এরপরেই দলের যাবতীয় কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যা লিখিতভাবেও জানিয়েছেন ব্লক সভাপতিকে বলে দলীয় সূত্রের খবর। যাকে ঘিরেই হিলিতে একপ্রকার প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীবাজি। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে যা আরও বড় মাত্রা পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বলল বিবদমান দুপক্ষ (TMC)?

    ধলপাড়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, পদত্যাগ নয়, দলের (TMC) কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছি ব্লক সভাপতিকে। পারিবারিক বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। হিলি ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির সরকার বলেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা নয়। পারিবারিক একটি দুর্ঘটনার কারণেই কিছুটা সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আপাতত ১১ জনের একটি কমিটি করে দল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই অঞ্চলে। যে কমিটিতে তাঁকেও রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা, তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা, তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ভাষাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাঁকুড়া সিমলাপাল রাজবাড়ি প্রাঙ্গণের জনসভায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশকে ঠুকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,  “সভাটা হলো তো”! এদিন সভায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল।

    অভিষেককে ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

     নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ” কয়লা ভাইপো বৃহস্পতিবার জেলায় আসছেন, যেখানেই যাচ্ছেন তাঁর অত্যাচারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যান চলাচল বিপর্যস্ত হচ্ছে। ভাইপোর বিশালাকার গাড়িকে সুরক্ষা দিতে তোলা হচ্ছে বিদ্যুতের তার। কয়লা ভাইপোর এই নবজোয়ার যাত্রা তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”। শুভেন্দুর অভিযোগ,” জেলায় জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্পের প্রত্যেকের মানুষের প্রতিদিন মাথাপিছু ৭০ লিটার বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার কথা। কিন্তু সারেঙ্গা থেকে সিমলাপাল আসার সময় দেখে এলাম একটা করে নলকূপে জল নিতে মা, বোনেরা দীর্ঘ লাইন দিচ্ছে। অথচ ভাইপোর জন্য বিদেশ থেকে জল আসছে, মিনারেল ওয়াটারে স্নান হচ্ছে। এখানে বালির ভাগের টাকা রয়েছে। তাই, ভাইপোকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সহযোগী ছিলেন বিনয় মিশ্র। ২০১৮ সালে এখানে নমিনেশন জমা দিতে দেয়নি এখানকার বিধায়ক কয়লা চক্রবর্তী সাঙ্গোপাঙ্গোরা। চাকরির দুর্নীতিতে কালেক্টর নিয়োগ করা হয়েছিল। শ্যাম মুখোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর বলেছিলেন, ৫২৮ জনের কাছ থেকে চাকরির জন্য প্রচুর টাকা নেওয়া হয়েছিল। বিনয় মিশ্রকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই পরিবারগুলি আমাকে হারিয়ে দিল। একে একে চোরেরা জেলে যাচ্ছে। কোনও চিন্তা নেই এখানকার চোরেরাও একই পথের পথিক হবে” ।

     কুর্মি আন্দোলন নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন,” আদিবাসী মাকে সারা ভারতবর্ষের মা করেছেন মোদিজি। সেই আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়েছে তৃণমূল। কুর্মি মণ্ডল কমিশনের মর্যাদা পায়নি। সাম্প্রতিক রাজ্যে যে কুর্মি আন্দোলন হচ্ছে তা বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে। এখানে আসার পথে আমাকে হরিণটুলিতে কুর্মি ভাইয়েরা আমাকে থামিয়েছিলেন, আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি যে রাজ্য সরকার যদি এটার বিল নিয়ে আসে তাহলে আমার ভূমিকা আছে”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আগামী দিনে যখন রাষ্ট্রবাদী সরকার গঠিত হবে তখনই রাজ্যে যেটা হবে সেটা হলো সবকা সাথ, সবকা  বিকাশ”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: জন্মের সময়ের ফারাক পরীক্ষার ফলাফলেও! অবাক করে দিল যমজ দুই ভাই

    Visva Bharati: জন্মের সময়ের ফারাক পরীক্ষার ফলাফলেও! অবাক করে দিল যমজ দুই ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মের সময়ের ফারাক মাত্র এক মিনিট। আর পরীক্ষার ফলাফলেও ফারাক সেই এক নম্বরের। সবাইকে অবাক করে দিয়ে যমজ দুই ভাই বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। বোলপুরের জামবুনি এলাকার বাসিন্দা বাবা ইকবাল আহমেদ ও মা অন্তরা চ্যাটার্জির দুই যমজ ছেলে রোদ্দুর ও দিগন্ত এ বছর বিশ্বভারতীর মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় শীর্ষে। ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭০ পেয়ে প্রথম হয়েছে রোদ্দুর। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৬.৬৭%। অন্যদিকে, ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৬৯ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে দিগন্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৬.৫৬%। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেও ওরা সমান সফল। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি।

    কতজন এবার পরীক্ষা দিয়েছিল?

    উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর স্কুল সার্টিফিকেট ২০২৩, মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় সোমবার। ঐতিহ্য মেনেই বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠন হয় “পাঠভবন” এবং “শিক্ষাসত্র” এই দুটি বিদ্যালয়ে। এ বছর বিশ্বভারতীর স্কুল সার্টিফিকেট (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮৬ জন। এর মধ্যে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪১ জন, দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ২২ জন, তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ জন এবং ১৫ জন পরীক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছে।

    বাড়িতে খুশির হাওয়া

    একই বাড়িতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী (Visva Bharati) থাকায় আনন্দের আবহ দ্বিগুণ হয়েছে। খুশি বাবা-মা দুজনই। মা বললেন, খুব খুশি আমি। এই খুশি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রথম যখন শুনলাম, বিশ্বাস করতে পারিনি। তারপরে অনলাইনে দেখলাম। ওদের বাবা তখন বাড়িতে ছিল না। ওকে খবরটা দিতে গিয়ে আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল। সিজারিয়ান হওয়ায় দুই ছেলের জন্মের সময়ের ব্যবধান এক মিনিটের। যে এক নম্বর কম পেয়েছে, সে এক মিনিটের বড়। দুই ছেলেও নিজেদের ভাগ্যবান বলেই মনে করছে। তবে তাদের মতে, আমরা এক নম্বরের তফাৎটাকে বড় করে দেখি না। এটাকে আমরা মিলিত সাফল্য হিসাবেই দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambag: ৭ কোটি টাকার ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে দুর্নীতি? কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

    Arambag: ৭ কোটি টাকার ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে দুর্নীতি? কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার গ্রিন সিটি প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক প্রকাশ্যে জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ কিছুই হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। কাজ না হওয়ায় সরকারি বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে সোলার প্যানেল খোলার আবেদন জানানো হল পুরসভাকে। পুরসভার (Arambag) বর্তমান তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিগত তৃণমূল বোর্ডের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

    বিদ্যালয়গুলি সোলার প্যানেল খুলে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে

    আরামবাগ (Arambag) পুরসভার উদ্যোগে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সহায়তায় গ্রিন সিটি প্রকল্পে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সোলার প্যানেল বসানো হয়। ৭ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার প্রকল্পে পুরসভার বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয় সহ রাস্তাঘাটে সৌর আলো লাগানো হয়। আরামবাগ পুরসভা থেকে ই টেন্ডার করে ঠিকাদারের মাধ্যমে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়। সেইমতো আরামবাগ শহরে অবস্থিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর কাজও হয়। কিন্তু উদ্বোধনের ফলক থাকলেও জ্বলেনি আলো, চলেনি পাখা। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়গুলি সোলার প্যানেল খুলে নেওয়ার লিখিত আবেদন জানিয়েছে আরামবাগ পুরসভায়। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প কার্যকর না হওয়ায় বিরোধী দলগুলিও পুরবোর্ডের দিকে আঙুল তুলেছে।
    উল্লেখ্য, আরামবাগ পুরসভা এলাকার ৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, ১১ টি আপার প্রাইমারি ও হায়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ের ছাদে সোলার প্যানেল বসে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬৪.৪৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। যা এই সমস্ত বিদ্যালয় ছাড়াও আরামবাগ পুরসভার স্টিট লাইটে ব্যবহার করা হবে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে আরামবাগ পুরসভা থেকে গ্রিন সিটি প্রকল্পে সোলার বিদ্যুৎ প্যানেলের জন্য ই টেন্ডার হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কাজও শুরু হয়। অডিট রিপোর্টে দেখা যায়, ২৭.০৪.২০১৯ তারিখে গ্রিন সিটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই তারিখেই ফাইনাল পেমেন্ট হয়ে গেছে।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    গ্রিন সিটি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন সময় আরটিআই-এর মাধ্যমে পুরসভায় (Arambag) জানতে চেয়েছে, কত টাকা মঞ্জুর হয়েছে, কাজটি কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু পুরসভা থেকে কোনও RTI এর সদুত্তর দিতে পারেনি। এমতাবস্থায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে সরজমিনে তদন্ত শুরু করতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিদ্যালয়ের ছাদে কোথাও সোলার প্যানেল লাগানো আছে। কিন্তু মেশিন ও ব্যাটারি নেই। কোথাও বা সোলার প্যানেল লাগানোই হয়নি। কোনও কোনও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। তবে আরামবাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় মুখ খুলেছেন। কয়েক মাস আগেই গ্রিন সিটির প্রকল্পের সৌর বিদ্যুতের সোলার প্যানেল খোলার দাবিতে প্রায় ৩০ টি বিদ্যালয় পুরসভাকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। বিদ্যালয় থেকে কেউ কেউ তো সরাসরি অভিযোগ করেছেন, সোলার বিদ্যুৎ পাননি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ছাদে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসানোয় ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    নয়ছয়ের অভিযোগে কী বললেন চেয়ারম্যান (Arambag)?

    ইতিমধ্যেই বিরোধী দল বিজেপি ও সিপিএম গ্রিন সিটি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি তো সরাসরি কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। যদিও এই নিয়ে আরামবাগ (Arambag) পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারি বিগত পুরবোর্ডের দিকেই আঙুল তুলেছেন। আর বিগত আরামবাগ পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান তথা বর্তমান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলা্র, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপনকুমার নন্দী বলেছেন, এটা বিরোধীদের অপপ্রচার। তিনি বলেন, আগেই অডিট হয়েছে। সেই রিপোর্ট পুরসভায় আছে। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, যাদের যা স্বভাব তাই করেছে। তদন্ত হবে, অবশ্যই আইন অনুযায়ী দোষীরা শাস্তি পাবে। আইনের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। ইতিমধ্যেই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য

    Egra: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার! বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নিহতের পরিবারের সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজির আড়ালে চলত বোমা তৈরিরই কারবার। এগরা (Egra) বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারসহ একাধিক বিরোধী দলের নেতারা বার বার এই অভিযোগ করে আসছিলেন। এটা যে শুধু রাজনীতি করার জন্য অভিযোগ করা হয়েছিল তা নয়, বিরোধীদের আনা এই অভিযোগই এবার প্রমাণিত হল। কৃষ্ণপদ বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় যে বোমা বাঁধা হত, সেই দাবি করেছেন এক নিহতের পরিবারের সদস্য। এমনকী সেই কারখানায় কেউ বোমা বাঁধার কাজ করতে না গেলে তাঁদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এগরার (Egra) খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণোর পর বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কিত। মৃতের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর মধ্যেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ সিআইডির সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করেন। আর বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় সিআইডি আধিকারিকরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ঘটনাস্থল দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণে মৃত এক মহিলা সহ ৯ জনের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মহকুমা হাসপাতালে বুধবার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ৯ জনের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁর দেহ মর্গে রয়েছে। আর বাকি ৮ জনের মধ্যে ৬ জনকে খাদিকুলে এবং ২ জনকে দিঘায় সত্কার করা হয়েছে। বহুদিন ধরেই ভানু বাগের কারখানায় বোমা তৈরি করতেন মাধবী বাগ নামে এক গ্রামবাসী। দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেতেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছেন মাধবীদেবীর ছেলে আকাশ বাগ। তিনি বলেন, ওই  কারখানায় বাজির পাশাপাশি বোমা তৈরি করা হত। মা কাজে যেতে না চাইলে ভয় দেখানো হত। এমনকী বোমা দিয়ে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। পঞ্চায়েত ভোট আসছে, তাই সেখানে বোমা বাঁধার কাজ হত। মা বাড়ি এসে এসব কথা বলত।

    ঠিক কী হয়েছিল সেদিন?

    বোমা বিস্ফোরণের দিন কথা বলতে গিয়ে আকাশবাবু বলেন, মা প্রতিদিনের মতো সেদিন কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আমি দুপুর মাকে ডাকতে গিয়েছিলাম। ঘরের মধ্যে সকলেই কাজ করছিলেন। ফিরে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি সব শেষ। বাজি কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছে দেহ। মায়ের দেহ পড়ে থাকতে দেখে আমার আর কথা বলার মতো অবস্থা ছিল না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share