Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: তৃণমূলের চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ! পুলিশের দ্বারস্থ দলেরই দুই নেতা

    TMC: তৃণমূলের চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ! পুলিশের দ্বারস্থ দলেরই দুই নেতা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    টাকা ছাড়া মেলে না চাকরি! টাকা দিলে তবেই বদলি! ঘুষ ছাড়া চলবে না কিছুই! গোটা রাজ্যের সমস্ত বিভাগই যেন এই ধরনের অভিযোগে ছেয়ে গিয়েছে। তা থেকে বাদ যায়নি স্বাস্থ্য দফতরও। এবার খোদ তৃণমূলের সাংসদ ও তৃণমূলের বিধায়ক, আরেক তৃণমূল নেতার (Trinamool Doctor) বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করলেন। লিখিত অভিযোগ জমা পড়ল স্বয়ং রাজ্যের ডিজি-র কাছে!

    কী ওই মারাত্মক অভিযোগ? 

    ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের রাজ্য শাখার প্যাডে তৃণমূলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেন এবং তৃণমূলের বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাজি লিখিত অভিযোগ করেন, তৃণমূলের আরেক চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস (TMC) অনৈতিকভাবে টাকা আদায় করছেন। ওই লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, টাকা দিলে তবেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে বদলি করা হবে। একজন চিকিৎসক তাঁর পছন্দমতো জায়গায় কাজের সুযোগ পেতে পারেন, যদি বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে টাকা দেওয়া হয়। কখনও পাঁচ, আবার কখনও দশ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর সেটাই রাজ্য পুলিশকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেছেন তৃণমূলের এই দুই চিকিৎসক নেতা!

    কী বলছেন শান্তনু সেন ও নির্মল মাজি? 

    রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে অভিযোগ জানানো প্রসঙ্গে তৃণমূলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, “দুর্নীতি (TMC) নিয়ে কোনও আপস করা হবে না। সে দলের যত বড় নেতাই হোক না কেন! কোনও ভাবেই কোনও অনৈতিক কাজ সমর্থন করা হবে না। তাই বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে যখন এক চিকিৎসক অভিযোগ করেন, তখন সেটা আমরাই পুলিশকে জানাই। পুলিশ তদন্ত করে সবটা দেখবে!” সততাই একমাত্র পথ, বলছেন তৃণমূলের আরেক বিধায়ক ও চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি। তিনি বিরূপাক্ষ প্রসঙ্গে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সৎ মানুষ। তাঁর দলের কেউ যদি অসৎ হয়, তাকে বা দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে তা একেবারেই সমর্থন করা হবে না। তাই বিরুপাক্ষের বিরুদ্ধে যখন এমন আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ জানতে পারলাম, আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হলাম।”

    কে বিরুপাক্ষ বিশ্বাস? কী বলছেন তিনি?

    চিকিৎসক বিরুপাক্ষ বিশ্বাস রাজ্যের শাসকদলের চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (পিডিএ)-এর নেতা। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের (TMC) বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানা সময় দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর সহকর্মীদের একাংশ। এমনকী কয়েক মাস আগে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ অভিযোগ করেছিল, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত হয়েও, অধিকাংশ সময় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে থাকেন। বিভিন্ন জুনিয়র চিকিৎসককে হেনস্থা করেন। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসক-পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেছিল।তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস (TMC) অবশ্য এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ” 

    কী বলছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছে, চিকিৎসক বদলি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে এই অভিযোগ বহু দিনের। এখন তা আরও পরিষ্কার হল। চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের নেতা সজল বিশ্বাস বলেন, বহু চিকিৎসক বছরের পর বছর কলকাতার একটি নির্দিষ্ট সরকারি হাসপাতালে কাজ করার সুযোগ পান। আর অসংখ্য চিকিৎসক যাঁরা প্রত্যন্ত এলাকায় চাকরি করছেন, বছরের পর বছর কেটে গেলেও তাঁরা বদলির সুযোগ পান না। স্বাস্থ্য ভবনে এ নিয়ে একাধিকবার জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ করে না। আসলে এ রাজ্যে শাসকদলকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে কিছুই হয় না। তাঁর কথায়, “বদলি নিয়ে সরকারি নীতি নয়, শাসক দলের নেতারাই (TMC) চক্র চালাচ্ছেন। একথা আরেকবার স্পষ্ট হয়ে গেল।” সজল বিশ্বাসের সঙ্গে একমত আরেক চিকিৎসক নেতা মানস গুমটা। তিনি বলেন, “টাকা নিয়ে বদলির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একাধিক চিকিৎসক আগেও অভিযোগ করেছেন, বদলির আবেদন করলেই তাঁদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়। আসলে এ তো দুর্নীতির মৌচাক। যেখানেই ঢিল পড়বে, সেখান থেকেই এই দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া যাবে। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: সংস্কারের সময় তমলুকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্রিজ, মৃত এক শ্রমিক

    Tamluk: সংস্কারের সময় তমলুকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্রিজ, মৃত এক শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্রিজ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে। ব্রিজ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সেখ শাহ আলম। বাড়ি তমলুক (Tamluk) পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ঘটনায় আরও এক শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে কয়েকশো মানুষ এলাকায় ভিড় করেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    তমলুক (Tamluk) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গার ঘাট এলাকায় বহু পুরনো ব্রিজ রয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে তা বেহাল হয়ে পড়েছিল। পথশ্রী প্রকল্পে সেই ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেয় তমলুক (Tamluk) পুরসভা। এক সপ্তাহ আগে পুরানো ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। আজ চলছিল পুরনো ব্রিজ ভাঙার কাজ। এদিন সকাল থেকে ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলছিল। সে সময়েই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পুরো ব্রিজ। ব্রিজের তলায় চাপা পড়ে যান দুই শ্রমিক। দুর্ঘটনা ঘটার পরই এক শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু ব্রিজের ভাঙা অংশের তলায় আটকে যান আর এক শ্রমিক। একদিকে শরীরে উপর ভাঙা ব্রিজ, সঙ্গে তলায় নোংরা জল।  দমকল, পুলিশ, তমলুক পুরসভা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় মানুষের আপ্রাণ চেষ্টায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ব্রিজের নীচে থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় আটকে পড়া ওই শ্রমিককে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলেন, “দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকের পাশে আমরা রয়েছি। সরকারি ও পুরসভাগতভাবে ওই পরিবারকে যা যা সাহায্য করার দরকার তা করা হবে। আর যে এজেন্সি এই ব্রিজ সংস্কারের কাজ করছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    কী বললেন জেলাশাসক?

    ঘটনার পর জেলাশাসক হাসপাতালে যান। মৃত শ্রমিকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “৪০ বছরের পুরানো ব্রিজ। পুরসভার পক্ষ থেকে সংস্কারের জন্য  একটি এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপরই এই দুর্ঘটনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক (Tamluk) মণ্ডলের সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ” আমরাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা করা সম্ভব হল না। এই সরকারের আমলে তৃণমূলের সব নেতারাই ঠিকাদার। অভিজ্ঞ শ্রমিক, ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ারকে কাজে না লাগিয়ে অনভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার ও শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটলো। অকালে একটা প্রাণ চলে গেল। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই।” বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “এই সরকারের সবটাই হতশ্রী অবস্থা।  প্রকল্পের নামে সব শ্রী লাগিয়ে দিয়েছে। সবই রাজনৈতিকভাবে লুটপাট করে খাওয়ার রাস্তা।  সব জায়গায় দাদাগিরি করছে আর মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে। সমাজের পক্ষে চরম ক্ষতিকর এই সরকার।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়’, শুভেন্দুর কনভয়কাণ্ডে হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: ‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়’, শুভেন্দুর কনভয়কাণ্ডে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। ওই মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, রাজ্য তদন্ত চালাতে পারবে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, মামলা বিচারাধীন, রাজ্য পুলিশ নোটিশ পাঠালেও তাতে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ জুন।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)…

    পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের কাছে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারির (Suvendu Adhikari) কনভয়ের এক গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় শেখ ইস্রাফিল নামের বছর তেত্রিশের এক ব্যক্তির। পরে মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মিছিল করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দুর অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘পদ্ম-বার্তা’ পৌঁছে দিতে পথে বিজেপি, যুব পঞ্চায়েত পদযাত্রা গেরুয়া শিবিরের

    সেদিন রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, মাঝে মধ্যেই পাইলট কারকে অতিক্রম করে চলে যায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থার আয়োজন করা হয় তা বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। কীভাবে রুট লাইনিং করা হয়, কী বন্দোবস্ত থাকে, সে ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ নয় বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতি মান্থা।

    আরও পড়ুুন: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নির্মাণ সংস্থার কর্তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি, কাঠগড়ায় কেএলও

    Malda: নির্মাণ সংস্থার কর্তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি, কাঠগড়ায় কেএলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার কাজের নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজারকে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেএলও-র বিরুদ্ধে। এমনকী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই নির্মাণকারী সংস্থা টাকা দিতে না পারলে তাদের রাস্তা তৈরির সমস্ত সামগ্রী এবং ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    কী ঘটেছে?

    হবিবপুর (Malda) থানার ধুমপুর এলাকায় শনিবার রাতে টাকা চেয়ে কেএলও-র হুমকির ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। সেই কাজের বরাত পেয়েছে এক নির্মাণকারী ঠিকাসংস্থা। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ১৩ মে মুখ ঢাকা অবস্থায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ম্যানেজারের কাছে আসে এবং ওই দুষ্কৃতীরা ম্যানেজারকে কেএলও সংগঠনের পরিচয় দেয়। দাবি করতে থাকে, প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার কাজ হচ্ছে। ম্যানেজারকে কাজ করতে হলে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনকী নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজারকে তারা একটি নম্বর দিয়ে যায়। টাকা কবে দেবে, কীভাবে দেবে, কথা বলার জন্য বলা হয়। আর যদি সেই টাকা না পায়, তাহলে নির্মাণ সংস্থার যে সমস্ত গাড়ি চলছে সেগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। প্রয়োজনে নির্মাণ সংস্থার কর্মীদের প্রাণনাশ হতে পারে বলেও হুমকি দিয়ে যায় কেএলও সংগঠন।

    পুলিশের কাছে অভিযোগ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে মালদা (Malda) জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার ঘটনা প্রসঙ্গে হবিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কেএলও সংগঠনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত নেমে পুলিশ দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসলেই ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা অথবা কেউ ওই সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এই অপরাধমূলক কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সরকারি কাজে যদি তোলাবাজি ও খুনের হুমকি আসে, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করাটা কতটা সুরক্ষিত, সেটাই এখন এলাকাবাসীর কাছে বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা চলাকালীন তৃণমূলের দুই ছাত্র ইউনিয়নের (TMCP) সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শান্তিপুর কলেজ। অবাধে চলল ভাঙচুর! পরীক্ষা দিতে পারল না একাধিক ছাত্র। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর কলেজে।

    শান্তিপুর কলেজে কী হয়েছিল?

    প্রথম সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষা ছিল কলেজে। কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ থেকে ১০৮০ জন ছাত্র পরীক্ষা দিতে এসেছিল শান্তিপুর কলেজে। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য বাইরে থেকে বেশ কিছু লোক নিয়ে জোর করে শান্তিপুর কলেজের মধ্যে প্রবেশ করতে যায়। আর তাতে কলেজে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দেয়। এরপরেই রক্ষীদের ধাক্কা মেরে জোর করে তারা কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রবল হাতাহাতি। সময় গড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা কলেজ চত্বর। এরপর চলে কলেজের মধ্যে ভাঙচুর। আতঙ্কে অনেকে পরীক্ষা না দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

    পরীক্ষা না দিতে পারা ছাত্রদের বক্তব্য

    কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের এক পরীক্ষার্থী সায়ন চক্রবর্তী বলেন, হঠাৎ করে শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল সমর্থকরা অধ্যাপকের সামনেই লোহার রড দিয়ে ছাত্রদের মারধর করতে আসে। অধ্যাপকরা ভয়ে চুপ করে ছিলেন। সেই কারণে আমরা ভয়ে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারিনি।

    নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য

    ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী সুধীর্ময় ঘোষ বলেন, হঠাৎ করে প্রথমেই কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা কলেজের ভিতর জোর করে ঢুকতে চায়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের সঙ্গে দাদাগিরি শুরু করে এবং ধাক্কা দিয়ে কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।

    শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল সমর্থকদের বক্তব্য

    শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মী তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রাক্তন সভাপতি রূপম কর বলেন, যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন আমাদের ইউনিয়নের কেউ এখানে উপস্থিত ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, পুরোটাই ভিত্তিহীন। তার কারণ, সাধারণ ভাবেই পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী ছাড়া কলেজের ভিতর কারও প্রবেশ করার অনুমতি থাকে না। কলেজে যারা ভাঙচুর করেছে, তারা কারা! সেগুলো তদন্ত করে দেখতে হবে।

    পরীক্ষকের বক্তব্য

    কলেজে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, যখন ঝামেলা হয়, তখন আমি ঘরের মধ্যেই ছিলাম। সুতরাং বাইরে কী নিয়ে দুপক্ষের (TMCP) ঝামেলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। বাইরে এসে দেখলাম বেশ কিছু কলেজের গাছের টব এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত, কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই সঠিক কিছু বলা যাবে না। তবে প্রতিদিন পুলিশ-প্রশাসন পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে উপস্থিত থাকে। আজ কেন ছিল না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ করবে বলেই জানান তিনি। তবে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলাকালীন কেন প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ভরদুপুরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পোশাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক যুবক। এনিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির কার্যকর্তারা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যাচ্ছেন না অভিযোগ জানাতে তাঁর কাছেই আসছেন। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে পাল্টা বিবৃতি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি বলেন, ‘‘ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ এবং তিনি রায়নার জোতশ্রীরাম গ্রামের তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য।’’ 

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    মঙ্গলবার বিধাননগরের EZCC-তে কেন্দ্রীয় সরকার একটি চাকরি মেলার আয়োজন করেছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে এদিন টেনে আনেন রায়নার প্রসঙ্গ। এবং বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় ওই ব্যক্তিকে সঙ্ঘের পোশাক পরিয়ে পাঠানো হয়েছিল। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কারণ টুপিটাও ঠিক করে পড়তে পারেনি সে। এটা প্রশান্ত কিশোরের দুর্বল চিত্রনাট্য। এভাবে কেউ দিনদুপুরে গণবেশ পরে ঘুরে বেড়ায়না। রামগোপাল ভার্মাও এর থেকে ভালো চিত্রনাট্য লেখেন।’’ সঙ্ঘের আধিকারিকদের মতে, নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম ছাড়া গণবেশ পরার রীতি নেই। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করতেও পরতে হয়না গণবেশ। সঙ্ঘের পোশাকের আলাদা গরিমা রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন সংগঠনের আধিকারিকরা।

    সেদিনকার ঘটনা

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমানের রায়না-জামালপুর সড়কের ধারে জোতশ্রীরাম গ্রামের কাছে অভিষেকের কনভয় পৌঁছাতেই তা দাঁড় করান উজ্জল খাঁ নামের এক যুবক। যুবকের পরনে ছিল সংঘের পোশাক সাদা জামা মাথায় কালো টুপি। গাড়ি দাঁড় করিয়ে তিনি অভিষেককে জানাতে থাকেন এলাকার সমস্যা। ওই যুবক বলেন, ‘‘গ্রামের সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তবু এর কোন সুরাহা হয়নি।’’ এই ঘটনার পর এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেন যে বিজেপি কর্মীদের তাদের কাছে আসতে হচ্ছে। ঘটনায় রীতিমতো ট্যুইটও করা হয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৯, জখম ২

    Egra: এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ৯, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা-১ (Egra) ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল এলাকায়।স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। এই ঘটনায় ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে উদ্ধার কাজ চলছে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এদিন বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়েছিল। এলাকায় আগুন ধরে যায় একটি বাড়িতে। তৈরি হয় চরম আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর আগেও পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ওই ঘটনায় ৩ জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের খাদিকুল গ্রামে একটি বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বেশ কয়েকজন ঘরের ভিতরে ছিলেন। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বাড়িটির ভিতর থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বাড়িটি শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়। বাড়ির ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন গুরুতর জখম হন। বাকিদের মৃত্যু হয়। তবে, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করে এলাকাবাসী বলতে পারেননি। পরে ৯টি দেহ উদ্ধার হয়। অনেক দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। আশপাশের গ্রামের মানুষও ছুটে আসেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী।

    কী অভিযোগ এলাকাবাসীর?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশকে টাকা দিয়ে গ্রামের মধ্যে রমরমিয়ে এই বাজি কারখানা চলত। পুলিশ জেনেবুঝেও কিছু বলত না। আর পুলিশের উদাসীনতার জন্যই আজ এতবড় ঘটনা ঘটেছে। তবে তাঁরা বলেন, কী করে বিস্ফোরণ হল, তা আমরা জানি না। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ওই বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হত। একাধিকবার পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিন বাজি তৈরি হওয়ার সময় সেখানেই কোনওভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে। ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বাড়ির পাশে পুকুরে তল্লাশি চালানো হবে।

    ট্যুইট করলেন শুভেন্দু অধিকারী

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে। মমতার পুলিশ মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

    Chinsurah: জলন্ধরে অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম চুঁচুড়ার মৃত্তিকা, এবার পাড়ি ইতালিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবায় প্রশিক্ষণ শুরু সাত বছর বয়সে। বর্তমানে বয়স পনেরো। মাত্র আট বছরের প্রশিক্ষণে আটবারের বেশি জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে চুঁচুড়ার (Chinsurah) কাপাসডাঙার বাসিন্দা মৃত্তিকা মল্লিক। আগামী নভেম্বরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে সে। কিন্তু সরকারি কোনও অনুদান নেই বলে অভিযোগ করলেন বাবা।

    কে মৃত্তিকা মল্লিক?

    চুঁচুড়ার (Chinsurah) ঘুটিয়াবাজার বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মৃত্তিকা। এবছর জলন্ধরে আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৭ দাবা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। এই মাসের ১ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষ করে বৃহস্পতিবার ঘরে ফিরেছে সে। এই সাফল্যের উপর ভর করে আগামী নভেম্বরে ইতালিতে আয়োজিত বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ করে নিয়েছে মৃত্তিকা। বাবা অরিন্দম পেশায় কেবল ব্যবসায়ী ও মা মীনাক্ষী গৃহবধূ। দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মৃত্তিকা।

    খেলার প্রতি আকর্ষণ কীভাবে?

    ছোট থেকেই মৃত্তিকা নিজের পাড়ার (Chinsurah) কাকুদের তাস খেলা দেখতে ভালোবাসত। বুদ্ধিদীপ্ত খেলার প্রতি আকর্ষণ বুঝতে পেরেই ছোট মেয়েকে দাবার প্রশিক্ষণ শিবিরে ভর্তি করেন মৃত্তিকার বাবা-মা। শুরুতে মাত্র দু’বছরের প্রশিক্ষণ নিয়েই প্রথমবারের জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে ইতালিতে বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় সুযোগ পায় মৃত্তিকা।

    খেলায় সাফল্য

    দেশীয় স্তরে তিনবার প্রথম হয়েছে মৃত্তিকা (Chinsurah)। ইতিমধ্যে তিনবার আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছে সে। তার মধ্যে এশিয়া যুব দাবা প্রতিযোগিতায় একবার করে রূপো ও ব্রোঞ্জ এবং অনূর্ধ্ব ১৪ বিশ্ব যুব দাবা প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করে। এরপর রয়েছে নভেম্বরে আরও কড়া চ্যালেঞ্জ। জলন্ধর থেকে ফিরেই তাই দাবার বোর্ডে মন দিয়েছে মৃত্তিকা। সামনের বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই দু’দিক সামলাতে চাপটাও অনেক বেশি। তবে আপাতত পড়াশোনা ঘণ্টা দু’য়েকই করতে পারছে সে। কারণ দিনের প্রায় ১৪ ঘণ্টা নতুন নতুন চাল খুঁজে বেড়ায় সে। যে করেই হোক ইতালিতে দেশের হয়ে বাজিমাত করাই এখন তার জীবনের লক্ষ্য।

    অবিভাবকের আশা

    বাবা অরিন্দমবাবু বলেন, মেয়ে আপাতত সপ্তাহে দু’দিন গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়ার কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে লড়াইয়ের জন্য আরও প্রশিক্ষণের দরকার। আর দাবাতে এই প্রশিক্ষণই ব্যাপক ব্যয়বহুল। তাঁর অভিযোগ, অন্য রাজ্যে দাবায় সরকারি অনুদান এলেও এ রাজ্যে (Chinsurah) তা আসে না বললেই চলে। তাই বহু বাঙালির প্রতিভা মাঝপথে নষ্ট হয়ে যায়। এখন এই আর্থিক অভাব কাটাতে মল্লিকার পাশে সরকার কতটা দাঁড়ায়, সেটাই দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Molestation: ভণ্ড তান্ত্রিককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গ্রেফতার করল পুলিশ, কেন জানেন?

    Molestation: ভণ্ড তান্ত্রিককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গ্রেফতার করল পুলিশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তন্ত্রসাধনার মাধ্যমে অসুস্থ ১৬ বছরের নাবালিকাকে সুস্থ করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এক ভণ্ড তান্ত্রিক। নাবালিকার পরিবারের লোকজন তা বিশ্বাস করেছিলেন। আর ওই নাবালিকার সঙ্গে শ্লীলতাহানি (Molestation) করার অভিযোগ উঠল ভণ্ড ওই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। ভণ্ড ‘তান্ত্রিকের’ কীর্তি জানাজানি হতেই সোমবার গ্রামবাসীরা তাকে আটকে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে বিষ্ণুপদ হাজরা (৬২) নামে ওই ‘তান্ত্রিককে’ গ্রেফতার করে। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সবং থানার তিন নম্বর দাঁদরা অঞ্চলের নীলা এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদ হাজরা নামে ৬২ বছর বয়সী এক প্রৌঢ় বাড়িতে তন্ত্র সাধনা করতেন। সোমবার ওই এলাকার ১৬ বছরের এক নাবালিকা শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয় তার পরিবার। তারপর তাকে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে আসা হয়। তখন ওই তান্ত্রিক পরিবারের সদস্যদের নাবালিকাকে তার বাড়িতে রেখে চলে যাওয়ার কথা বলেন। একা পেয়ে তন্ত্রসাধনার নাম করে বাড়ির ভিতরে নাবালিকার শ্লীলতাহানি (Molestation) করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে ওই নাবালিকা বাড়িতে ফেরার পর কান্নাকাটি করে সব কথা সে খুলে বলে। তারপর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত ভণ্ড বিষ্ণুপদ হাজরার বাড়িতে হাজির হন। তার এই কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার সাধারণ মানুষ। তাকে খুঁটিতে বেঁধে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তন্ত্রসাধনার জিনিসপত্রে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সবং থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তা?

    জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে হনুমানের মাথার খুলি ও বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে জেরা করা হবে। এর পিছনে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River: পরিকল্পনা করেই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আস্ত একটি নদী! কী বলছেন এলাকার মানুষ?

    River: পরিকল্পনা করেই বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে আস্ত একটি নদী! কী বলছেন এলাকার মানুষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঝলক দেখলে মনে হবে, জঙ্গলে ঘেরা কোনও নালা। আসলে যে এটি একটি আস্ত নদী (River) ছিল, সে কথা বলে না দিলে বোঝা দায়। অভিযোগ, যতটুকুও বা নদী রয়েছে, তার পাড় দখল করে চলছে নির্মাণ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ব্রাহ্মণী নদী এভাবেই এক বিপন্ন নদীতে পরিণত হয়েছে। অথচ হুঁশ নেই প্রশাসনের।

    মুছে যাবে নদীর নাম, আশঙ্কা অনেকেরই

    গঙ্গারামপুরের কালীতলায় পুনর্ভবা থেকে একশো মিটার দূরত্বে রয়েছে এই ব্রাহ্মণী নদী। দক্ষিণ দেবীপুরে পুনর্ভবা থেকে শাখানদী রূপে বেরিয়ে এসেছে ব্রাহ্মণী। তারপর নালাগোলার কাছে টাঙনে এসে মিশেছে। স্থানীয়দের দাবি, বছর দশেক আগেও এই নদীতে ভালো জল বইত। পাওয়া যেত মাছ। এলাকার মৎসজীবীরা এই নদী (River) থেকে মাছ তুলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন আর ব্রাহ্মণীতে জল নেই। শুধু রয়েছে আগাছা ও ঝোপঝাড়। অভিযোগ, এলাকার আবর্জনা ও বর্জ্য নিয়মিত এই নদীতে ফেলে কার্যত পরিকল্পনা মাফিক নদীকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, নদী বুজিয়ে তার পাড় দখল করে তৈরি হচ্ছে বাড়ি, দোকান। অবশিষ্ট যেটুকু নালার মতো রয়েছে, সেখানেও আবর্জনা ফেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, নদীর এমন অবস্থা থাকলে আগামী দিনে ব্রাহ্মণী নদীর নাম মুছে যাবে। পরিবেশকর্মী তুহিনশুভ্র মণ্ডল বলেন, “বিপন্নতম নদীতে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণী। নদী দখল হয়ে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। একটা গোটা নদীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” পরিবেশকর্মীদের দাবি, এতে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছেন সেচ দফতরের কর্তারা?

    সেচ দফতরের দাবি, এই নদীকে (River) সচল করতে তারা সমীক্ষা করেছে। কিন্তু সেই সমীক্ষা ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে উপরমহলে, এমনটাই খবর। সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার দেবব্রত পাল বলেন, “বছর দেড়েক আগে একটি সমীক্ষা করে আমরা পাঠিয়েছিলাম। সংস্কার করে নদীকে বাঁচানোই ছিল উদ্দেশ্য। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে এখনও কিছু নির্দেশ আমরা পাইনি।”

    কী বললেন মহকুমা শাসক?

    গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক পি প্রোমথ বলেন, “ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের দ্রুত এলাকা (River) পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলব। কেউ দখল করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share