Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

    Arambagh: হারিয়ে গিয়েছিল কানা দ্বারকেশ্বর নদী, খুঁজে পাওয়া গেল তাকে চাঁদুর ফরেস্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আরামবাগে (Arambagh) খোঁজ মিলল কানা দ্বারকেশর নদীর। সার্ভে করে নদীর চূড়ান্ত পর্যায়ের মাপজোকের পর আরামবাগের চাঁদুর ফরেস্টে মিলল এর অস্তিত্ব। হারিয়ে যাওয়া নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে প্রবল উৎসাহিত।

    নদীর প্রবাহ কেমন ছিল?

    আরামবাগ (Arambagh) শহরের বাইশ মাইল এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদী থেকে শাখা নদীটি বেরিয়েছে, এলাকায় যা কানা দ্বারকেশ্বর নামে পরিচিত। কানা দ্বারকেশ্বরের বুক দিয়ে একসময় বইতো বিপুল জলরাশি। যার স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গিয়েছে নদীর চরা পড়া জমিতে। বর্তমানে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে এই খাল আঁকাবাঁকা পথে বইছে। শহরের ভিতর খালটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে। খালটির উৎসমুখ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঁটার মোড়ে। শহরের ভিতর একাধিক জায়গায় খালের প্রবাহপথ কিন্তু বর্তমানে হারিয়ে গিয়েছে। যার সন্ধানেই শুরু হয় সার্ভের কাজ। শহর থেকে বেরিয়ে খালটি মিলেছে মলয়পুর খালে। সেই খাল খানাকুলের অরোরা খালে এবং তারপরে রূপনারায়ণ নদে মিশেছে। প্রসঙ্গত, কানা দ্বারকেশ্বর এখন মৃতপ্রায়। এলাকায় জবরদখলের সঙ্গে নোংরা ও কচুরিপানা জমে নদীর প্রবাহ এখন বর্তমানে অবরুদ্ধ। গতিপথের সন্ধানে সার্ভের কাজে নামে মহকুমা সেচ দফতর ও পুরপ্রশাসন।

    উদ্ধারে প্রশাসনের ভূমিকা

    কয়েকমাস আগে থেকে আরামবাগে (Arambagh) সার্ভের কাজ শুরু করে মহকুমা প্রশাসন। বুধবার আরামবাগ পুর প্রশাসন, আরামবাগ মহকুমার ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক, আরামবাগ চাঁদুর ফরেস্টের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় চাঁদুর ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকা ও ফরেস্টের ভিতরের কিছু অংশে। চুড়ান্ত পর্যায়ে নদীর মাপ হয় চাঁদুর ফরেস্ট অঞ্চল এবং তেলিপাড়া মৌজায়। ১৯৩৩ সালে এই দুটি মৌজা থেকে দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে দ্বারকেশ্বর নদী। আরামবাগ পুর প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার, আরামবাগ ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস ও ফরেস্টের একজন আধিকারিক উপস্থিত থেকে চূড়ান্তভাবে কানা দ্বারকেশ্বর নদীর অস্তিত্বকে চিহ্নিতকরণ করেন।

    বিশেষজ্ঞদের মতামত

    এই বিষয়ে আরামবাগ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষিত হালদার বলেন, ফরেস্টের পাশে দ্বারকেশ্বর নদীর যে কানা খালটি আছে, তা কেউ জানতো না। এই খালটি আমাদের পুরসভার যে হেলথ সেকশন আছে, তারপর থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। খালটি ১৯৩৩ সালের ম্যাপ অনুযায়ী কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত কেউ জানতো না। আমাদের কাজ কানানদীর অস্তিত্ব চিহ্নিত করা। সেই অনুযায়ী এদিন চূড়ান্তভাবে কানানদীর গতিপথ চিহ্নিত করা হল। বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার ও সেচ দফতরের। অপরদিকে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষ বলেন, মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কাজটি শুরু করেছিলাম। একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। আরামবাগ পুর প্রশাসন রিপোর্ট দিলে সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হবে এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে। আরামবাগ (Arambagh) মাস্টার প্লানের অন্তর্ভুক্ত এই শাখা নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হলে উপকৃত হবেন আরামবাগ শহর এবং গোটা মহকুমার লক্ষাধিক মানুষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • River Bridge: বিধায়কের আশ্বাসও জলে! বাঁশের সেতুর বদলে পাকা সেতুর দাবি অধরাই

    River Bridge: বিধায়কের আশ্বাসও জলে! বাঁশের সেতুর বদলে পাকা সেতুর দাবি অধরাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট শহর সংলগ্ন রঘুনাথপুর থেকে ওপারের কালিকাপুর সংযোগকারী আত্রেয়ী নদীতে বাঁশের সেতুর বদলে পাকা সেতুর (River Bridge) দাবি স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা এই দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু দিনের পর দিন তাঁরা প্রতিশ্রুতিই শুনে এসেছেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনকী বিধায়কের আশ্বাসও বিফলে গেছে।

    জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের এপারে আনতে হয়

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাটের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত আত্রেয়ী নদী। বালুরঘাট শহর সংলগ্ন রঘুনাথপুর ও কালিকাপুরের মাঝখানে থাকা আত্রেয়ী নদীর উপরেই রয়েছে অস্থায়ী বাঁশের সেতু। রঘুনাথপুর বা শহরের মানুষজনকে কাজের প্রয়োজনে ওপারে যেতে হয়। কিন্তু ওপারে থাকা কালিকাপুর, বেলাইন, ধাওল, ডাকরা, চন্দ্রদৌলা, পার্বতীপুর, মাহাতোপাড়া, কাশীপুর সহ আরও বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে রোজ সেতু পেরিয়ে সদর বালুরঘাট সহ অন্য যে কোনও প্রান্তে যেতে হয়। বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে রয়েছে জেলা হাসপাতাল। ফলে ওপারের মানুষকে এপারে আসতে হয় এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের এপারে আনতে হয়। বর্ষার কয়েকমাস নৌকায় পারাপার চললেও সারা বছর মানুষ যাতায়াত করে বাঁশের সেতু বানিয়ে। ২০১৭ সালে এলাকার একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী তথা ওই এলাকার সেই সময়কার বিধায়ক বাচ্চু হাঁসদা বাঁশের সেতুর বদলে পাকা সেতু (River Bridge) করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেতু তৈরির ব্যাপারে কাউকে একধাপও এগতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।

    বাসিন্দারা কী বলছেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা রিন্টু সূত্রধর, মন্টু পাল অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়ি নদীর ওপারে। সারাদিনের কাজকর্ম করতে আমাদের বালুরঘাটে যেতে হয়। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে বালুরঘাটে আসতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এদিকে সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে একেকজনকে নদী পারাপারের জন্য ১০ টাকা করে ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আমরা এর আগে ব্রিজের দাবি করেছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আমরা চাই রঘুনাথপুর থেকে কালিকাপুর পর্যন্ত ব্রিজ (River Bridge) হোক। তবেই আমাদের যাতায়াতের সমস্যা মিটবে।

    ফের আশ্বাস পঞ্চায়েতের

    এই বিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু বলেন, আমরা বালুরঘাট ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ওখানকার বাসিন্দাদের যে দাবি রয়েছে, তা নিয়ে ওপরমহলে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পাকা সেতু (River Bridge) হলে দুই পারের মানুষেরই সুবিধা হবে। আমরা চেষ্টা করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: ডুপ্লে কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, আহত দুই ছাত্রী

    TMCP: ডুপ্লে কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, আহত দুই ছাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দুপুরে চন্দননগর ডুপ্লে কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। দুপক্ষের মধ্যে মারপিট, লাঠি, ঘুষি, কিল, চড় কিছুই বাদ যায়নি। দুপুরে এরকম ঘটনার সাক্ষী রইল কলেজ সংলগ্ন ঐতিহ্যশালী স্ট্র্যান্ড রোড। আটক করা হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সম্বুদ্ধ দত্ত এবং তাঁর অনুগামী অলীক সামন্ত এবং অর্ণব ঘোষ নামে দুই ছাত্রনেতাকে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাঙ্গন আরও একবার বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।

    কেন হাতাহাতি?

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সম্বুদ্ধ দত্তকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তারপর থেকেই কলেজ ক্যাম্পাসের রাজত্ব কার কাছে থাকবে, এই নিয়ে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের (TMCP) অন্দরে দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছিল। ক্যাম্পাসের আধিপত্য বজায় রাখতেই এদিন এই সংঘর্ষ হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। অভিযোগ, সংঘর্ষ হয় সম্বুদ্ধ দত্ত ঘনিষ্ঠ সমাজবিরোধীদের অভব্য আচরণের জেরে। কলেজ ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেয়েদেরকে বহুদিন ধরেই সমাজবিরোধীরা হেনস্থা করছিল বলে বিশেষ অভিযোগ উঠছিল। কলেজের পর্যবেক্ষক সুইটি কোলে অভিযোগ করেন, পাপ্পু চৌধুরী সহ কয়েকজন সমাজবিরোধী কলেজের বাইরে তাঁদের বেশ কয়েকদিন ধরে উত্যক্ত করছিল। দিন দিন এটা সহ্যের সীমাকে অতিক্রম করে গিয়েছিল। প্রতিকার হচ্ছে না বলে কিছু একটা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছিলেন তাঁরা। তাই প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে মিছিল করতে করতে চন্দননগর থানায় ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কলেজে ফেরার সময় সম্বুদ্ধ দত্ত মদতপুষ্ট বহিরাগত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। দেখতে দেখতে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আমিশা নামে এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, তাঁদের ওপর সম্বুদ্ধ ও তাঁর দলবল চড়াও হয়ে তাঁর গায়ে হাত তোলে। তাঁর সোনার হার ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা যায়। অন্যদিকে পাপ্পু চৌধুরীকেও বেধড়ক মারধর করার ফলে তাকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং বিরোধীদের বক্তব্য

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) বর্তমান জেলা সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, বহিরাগতদের সঙ্গে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের একটা গণ্ডগোল হয়েছে। জানা গেছে, সম্বুদ্ধ দত্ত সেই সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে দলের কোনও ব্যাপার নেই। আমরা বিশ্বাস করি পুলিশ আইন অনুযায়ী বিশেষ ব্যবস্থা নেবে। বিরোধী ছাত্র সংগঠন মনে করছে, তৃণমূলের শাসনে বহুদিন ছাত্র নির্বাচন বন্ধ। ভর্তির জন্য কাটমানি কে নেবে, নবীনবরণ উৎসবের নামে টাকা কে তুলবে-এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীসংঘর্ষের ফলাফলস্বরূপ এমন ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় যদি দলের কোনও বিষয় না থাকে, তবে দলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে কেন এই ঘটনার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন? উত্তর মেলেনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

    পুলিশের ভূমিকা

    স্থানীয় চন্দননগর থানায় দুপক্ষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) অভিযুক্ত দুপক্ষের নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল থানায়। পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অনেককেই গ্রেফতার করে। রাত অবধি আটকে রাখা হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযুক্তদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Raniganj: রানিগঞ্জের খনি অঞ্চলে জমিতে ধস, আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে বন্ধ কাজ

    Raniganj: রানিগঞ্জের খনি অঞ্চলে জমিতে ধস, আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে বন্ধ কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই খনি অঞ্চলে খননের ফলে ধস নামছে। আশপাশের মাটি নিচের ফাঁকা স্থানে ঢুকে যাচ্ছে। চাষের জমিতে জল দাঁড়াচ্ছে না। জলের স্তর নেমে দেখা দিয়েছে তীব্র জলসঙ্কট। রানিগঞ্জের (Raniganj) ইসিএল সাতগ্রাম অঞ্চলের নিমচা খনির আশপাশে এমনই ঘটনা ঘটছে বলে আদিবাসী বাসিন্দাদের দাবি। আদিবাসী সমাজ তাই সমস্যার প্রতিকার না পেয়ে রাস্তায় নেমেছে।

    এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ কেন?

    রানিগঞ্জের (Raniganj) কয়লাখনিকে ঘিরে আদিবাসী স্থানীয় মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত। গত বছর বিশেষ অভিযোগ জেলাশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আদিবাসী বিক্ষোভের জেরে খনি অঞ্চলের উৎপাদন বন্ধ সকাল থেকেই। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষের দাবি, আদিবাসী সমাজকে উচ্ছেদ করে খনি অঞ্চল বা শিল্প গড়া যাবে না। খননের জন্য জলের স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। স্থানীয় এক আদিবাসী মহিলা রানী মুর্মু অভিযোগ করেন, এলাকায় পুকুরের জলস্তর স্বাভাবিক নেই, কলে জল নেই। দৈনন্দিন জীবনে জলাভাব একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরগুলিতে ফাটল বড় আকার ধারণ করছে। যে কোনও সময় ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। ইসিএল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালেও কোনও জবাব পায়নি বলে দাবি করেছে এলাকার মানুষ। আর তাই আন্দোলন। আদিবাসী সামজের মানুষ প্রকৃতিপ্রেমী। তাই খনি আর শিল্পের নামে মানুষকে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। কেন তাঁদের উচ্ছেদ করা হবে? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে সামিল তারা।

    আদিবাসী সমাজের দাবি

    এলাকার (Raniganj) আন্দোলনকারী গোবিন্দ সরেন বলেন, খনির কারণে এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে এই খনি-শিল্পকে বন্ধ করতে হবে। আরও দাবি, তাঁদেরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ধসজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক বাড়ির নাম নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে অবস্থান সরাবো না। পাশের এলাকা ছোপড়া থেকে এসে আন্দোলন করছি আমারা। এরপর আরও নানা বড় সামাজিক সংগঠনকে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করব। ক্রমশ বৃহৎ আন্দোলন করব। এদিন প্রতিবাদে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় খনি অঞ্চলের ডাম্পারগুলোকে।

    কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের ভূমিকা

    ইসিএল খনি অঞ্চলের (Raniganj) দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, যে যে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের বিস্তৃত বিবরণ দিয়ে আমদের কাছে আবেদন করলে আমরা আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আদিবাসী সমাজের পাশে আমরা সবসময় আছি। ঘটনাস্থলে ইসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রবাহিনী ও নিমচা ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এখন আদিবাসী সমাজের দাবি পূরণে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, তাই দেখার।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anganwadi Centre: টাকার অভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের খাবার বন্ধের মুখে! কোথায় জানেন?

    Anganwadi Centre: টাকার অভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের খাবার বন্ধের মুখে! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গর্ভবতী মা ও শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া বন্ধের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে (Anganwadi Centre) সবজি ও ডিমের বিল বন্ধ রয়েছে। ফলে সমস্যায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। আপাতত পাড়ার দোকান থেকে সবজি ও ডিম বাকিতে নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার দিচ্ছেন কর্মীরা। কিন্তু বিল না এলে তাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানালেন বালুরঘাটে জেলাশাসকের দফতরে ডেপুটেশন দিতে আসা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। পাশাপাশি দুই মাস ধরে নিজেদের বেতন পাননি বলে দাবি করেন তাঁরা। দুই মাস ধরে মাসিক বেতন না পাওয়ায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। এদিন বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসকের দফতরের সামনে বকেয়া বেতন, ভাতা বৃদ্ধি, সবজি ও ডিমের বিলের টাকাসহ মোট ১২ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখান সারা বাংলা অঙ্গনওয়াড়ি ও সহায়িকা কর্মীরা। বিক্ষোভ অবস্থানের পাশাপাশি এদিন সারা বাংলা অঙ্গ‌ন‌ওয়াড়ি ও সহায়িকা কর্মীদের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয় জেলাশাসকের দফতরে।

    কী কী অভিযোগ জানালেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা? 

    সংগঠনের এক নেত্রী বলেন, সারা বাংলা অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi Centre) কর্মী ও সহায়িকা সমিতির পক্ষ থেকে আজ আমরা ডেপুটেশন দিতে এসেছি। আমাদের দুই মাস ধরে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র এবং রাজ্যে যারা সরকারে আছে, তারা কী অ্যালটমেন্ট করেছে, তা আমরা জানি না। কিন্তু আমাদের বারবার বলা হচ্ছে অ্যালটমেন্ট ঢোকেনি। সেই কারণেই আমরা ডিএম, এসডিও সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানানোর জন্য এসেছি। বেতন কেন বন্ধ হল, সবজি বিল কেন বন্ধ হল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। সবথেকে বড় কথা হল, আমাদের ওখানে ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুরা আসে। তাছাড়া গর্ভবতী মা এবং প্রসূতিরাও আমাদের পরিষেবা নেয়। কিন্তু আজ আড়াই মাস হতে চলল, এখনও পর্যন্ত সবজি বিল আসেনি। সরকার কি চাইছে, বাচ্চারা, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েরা অপুষ্টিতে ভুগুক? আজ শুধু আমাদের কথা ভেবেই আমরা এখানে আসিনি। এসেছি গরীব মানুষের কথা ভেবেও। মেয়েরা নিজেদের উদ্যোগে এতদিন চালিয়ে এসেছে। কিন্তু তাদের বেতনও তো আটকে গেছে। ফলে তারাও আর পরিষেবা দিতে চাইছে না। আমাদের দাবি, যাবতীয় বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। না হলে সমস্ত কেন্দ্র আমরা বন্ধ করে দেবো।
    তিনি আরও বলেন, এর আগে আমরা ৩ তারিখে এসেছিলাম। তখন এডিএম সাহেব বলেছিলেন, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। তাই আমরা ফের এসেছি আমাদের সমস্যার কথা জানাতে। যারা ধারে জিনিস দিয়েছে, তারা ভবিষ্যতে ফের দেবে কি না, জানি না। কারণ, আমাদের সম্পর্কে তাদের একটা অবিশ্বাসের জন্ম হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur University: উপাচার্য নেই  দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, অনিশ্চিত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ

    Dakshin Dinajpur University: উপাচার্য নেই দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, অনিশ্চিত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্যত বিশ্ববিদ্যালয় (Dakshin Dinajpur University) তুলে দেবার মতো প্রক্রিয়া যেন শুরু হতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। রাজ্য সরকার অবৈধভাবে নিয়োগ করেছে, এই অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারি রায় মুখ্যোপাধ্যায়। উপাচার্য নেই, তাই অচল এই বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের শিক্ষাবিদরা মনে করছে প্রশাসনের ব্যার্থতাই এই পরিস্থিতির জন্য একমাত্র দায়ী।

    পরিকাঠামোর সমস্যা

    দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dakshin Dinajpur University)পঠনপাঠন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন তো নেই, নেই ভবন নির্মাণের আর্থিক বরাদ্দ। নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্ট্যাটুট। এমনকী প্রাথমিকেভাবে যে কাউন্সিল গঠন করতে হয়, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নেই স্থায়ী কর্মী, অধ্যাপক। উপাচার্য পদচ্যুত হয়েছেন, তাই দেড়শো পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। কারণ পড়ুয়াদের হচ্ছে না ক্লাস, না মিলছে পরীক্ষার রেজাল্ট, না মিলছে শংসাপত্র। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত অস্থায়ী কর্মী ও অতিথি অধ্যাপকদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার নতুন বছরের কোনও পড়ুয়া ভর্তি হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে।

    প্রশাসনিক জটিলতা

    গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মোতাবেক বালুরঘাটের মাহিনগরে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dakshin Dinajpur University) প্রস্তাবিত জমি চিহ্নিত হয়  এবং তা চুড়ান্ত করা হয়। জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১১.০৭ একর জমিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করে রাজ্য সরকার। যদিও পূর্ত দফতরের মাধ্যমে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে অর্ধসমাপ্ত হয়ে রয়েছে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ। এখনও কোনও নিজস্ব ভবন পুরোপুরি নির্মিত হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

    ক্লাসের সমস্যা

    বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dakshin Dinajpur University) ক্লাসঘরের জটিলতা থাকায় বালুরঘাট শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে কাজ শুরু হয়েছিল। অংক, ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান-এই তিনটি বিষয়ে প্রায় ১৫০ ছাত্রছাত্রী নিয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়। বাইরের বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপক ও অবসরপ্রাপ্ত বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকরা অস্থায়ীভাবে ক্লাস নিতে শুরু করেছেন। স্থায়ী ক্লাসরুম না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন বেহাল দুর্দশায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়ছে। অনেক ছাত্রই এই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্যত্র যেতে শুরু করেছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা

    বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dakshin Dinajpur University) এই অচল অবস্থার কথা গত মাসেই জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে পুরো বিষয়টি জানানো হলেও, এখনও পর্যন্ত উপাচার্য নিয়োগ হয়নি বলে জানালেন বালুরঘাট কলেজের অধ্যক্ষ তথা দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার পঙ্কজ কুণ্ডু। পঙ্কজবাবু আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্স, ভর্তি, ফলপ্রকাশ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় উপাচার্যের সই ছাড়া সম্ভব নয়। আগামী মাস থেকে যে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তাও কীভাবে হবে, বুঝতে পারছি না। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে উপাচার্য নেই৷ যার ফলে অর্থ ও নানা বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে সমস্যা শুনেছি। উচ্চশিক্ষা দফতরে কথা বলেছি। এনিয়ে লিখিতভাবেও সমস্যা জানানো হবে।

    শিক্ষক-ছাত্র সমাজের প্রতিক্রিয়া

    বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা বিশিষ্ট শিক্ষক কৃষ্ণপদ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি, এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের কাজ হল ন। আবার দেখছি উপাচার্যও নেই। উনি আরও বলেন, আমরা আবার এই নিয়ে আন্দোলনে নামব। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ছাত্র বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না থাকায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যাগুলি থেকে রেহাই পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে (Dakshin Dinajpur University) কবে স্থায়ী উপাচার্য নিযুক্ত হন, তাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিট কাণ্ডে এনআইএ! নির্দেশ হাইকোর্টের, ‘‘মান্থা ভগবান’’, প্রতিক্রিয়া নিহতের মায়ের

    NIA: দাড়িভিট কাণ্ডে এনআইএ! নির্দেশ হাইকোর্টের, ‘‘মান্থা ভগবান’’, প্রতিক্রিয়া নিহতের মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচবছর আগে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে, পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট হাইস্কুলে, বাংলার বদলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল ছাত্র-ছাত্রীরা, অভিযোগ সেসময় আচমকাই পুলিশের ছোড়া গুলিতে প্রাণ যায় দুই বিক্ষোভকারী ছাত্রনেতা রাজেশ সরকার (২০) এবং তাপস বর্মনের (২০)। সেসময় এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় নিহত ছাত্রদের পরিবার। জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। কেন্দ্রীয় তদন্ত যদি কখনও হয় পাওয়া যাবে বিচার! এই আশায় ছাত্রদের দেহ দাহ করেনি পরিবার। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মালঞ্চ নদীর তীরে আজও শোয়ানো রয়েছে তাঁদের দেহ। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ আসতেই বিচারের আশায় আরও একবার বুক বাঁধলেন নিহতদের পরিবার। সেদিন পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া রাজেশ সরকারের মা, ঝর্ণা সরকার এই প্রতিবেদককে ফোনে বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরে কাঁদছি, বিচারের আশায়। আসল সত্য উদঘাটিত হোক এটাই চাই। পুলিশি তদন্তে আমাদের ভরসা কখনও ছিলনা। রাজাশেখর মান্থার আমাদের কাছে ভগবানতুল্য।’’ প্রসঙ্গত পুলিশের গুলিতে কয়েকদিন আগেই উত্তরদিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নিহত হন মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামের এক যুবক। সেই আবহে আজকে দাড়িভিট কান্ডে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ এতে আরও জোরালো হবে কালিয়াগঞ্জ গুলি কান্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেন।

    সেদিনের ঘটনাক্রম

    উত্তর দিনাজপুরে জেলার চিকেন নেকে বাস প্রায় ৭২ শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষদের। সেখানের দাড়িভিট হাইস্কুলে বাংলার বদলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় উর্দুর। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, উর্দুভাষী পড়ুয়া না থাকা সত্ত্বেও ওই ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ করা হয় জোরপূর্বক। অথচ বাংলা ভাষার শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও সেই চাহিদা মেটানো হয়নি। এই দাবিতেই বিক্ষোভে নামে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। সেইমতো ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তরদিনাজপুর জেলার ডিএম স্কুলে এসে প্রতিশ্রুতি দেন, উর্দু শিক্ষক নিয়োগ করা হবেনা স্কুলে। পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্র-শিক্ষক প্রীতি ফুটবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়। এক আন্দেলনকারীর দাবি, হঠাৎই ২০ সেপ্টেম্বর দুগাড়ি পুলিশ, স্কুলে এসে উর্দু শিক্ষককে নামিয়ে দিয়ে যায়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুরুষ পুলিশরা এইসময় নানা অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকে ছাত্রীদের উদ্দেশে। সেইসময় স্থানীয়রা প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন। তখনই পুলিশ গুলি ছোড়ে। মৃত্যু হয় রাজেশ তাপসের। পায়ে গুলি লেগে আহত হন বিপ্লব নামে অপর এক আন্দোলনকারী। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, গুলিবিদ্ধ রাজেশ তাপসকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে মাঝপথে হামলাও শুরু হয় ভ্যানে। কোনওক্রমে হাসপাতালে পৌঁছালে, রাজেশকে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর মারা যান তাপস বর্মন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: জেলখানার জমিতেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল!

    Victoria Memorial: জেলখানার জমিতেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় যাঁরা থাকেন বা কলকাতায় যাঁরা ঘুরতে যান, তাঁদের মধ্যে কেউ ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial) ঘুরতে যাননি, এমনটা হতেই পারে না। কলকাতায় ভ্রমণ পিপাসুদের মূল কেন্দ্রবিন্দুই হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। শহরজোড়া কংক্রিটের ভিড়ের মাঝখানে যেন স্নিগ্ধতায় মোড়া পরিবেশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এক সৌধ। একবার এসে পৌঁছালে চোখ সরানো যায় না। শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। রানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বানানো এই মেমোরিয়াল গড়ে ওঠার পিছনে আছে অনেক ইতিহাস ও অজানা তথ্য।

    কেন ও কীভাবে গড়ে উঠল এই ইমারত?

    ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা। গোটা ভারতের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল আজকের মহানগরী। আর সেই সময় ভারতের সম্রাজ্ঞী ছিলেন রানী ভিক্টোরিয়া। ১৮৫৭ থেকে ১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি মৃত্যুদিন পর্যন্ত তাঁর শাসনকাল চলেছিল। তাঁর মৃত্যুর পরেই ভারতীয় উপনিবেশে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি সৌধ নির্মাণ করা হবে বলে তখনকার ব্রিটিশরাজের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  আর এমনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সেই স্মৃতিসৌধটি হবে আগ্রার তাজমহলের আদলে। রানীর মৃত্যুর পরেই তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন এক বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানেই তিনি এই তাক লাগানো সৌধের (Victoria Memorial) নির্মাণের কথা তুলে ধরেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তাজমহলের আদলে এটি তৈরি হবে এবং প্রচুর ফুলের গাছ ও জলাধার থাকবে এই সৌধকে ঘিরে, যা দেখতে কলকাতায় ভিড় জমাবে মানুষ এবং যা তাজমহলকেও টেক্কা দেবে। এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের প্রস্তাবটি তৈরি করা হয় ১৯০১ সালে। এর পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ১৯০৬ সালে এর সম্পূর্ণ নকশা তৈরি করা হয় এবং নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এর  ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। ভিক্টোরিয়া পঞ্চম জর্জের বোন ছিলেন। ভিক্টোরিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড যেহেতু বেঁচে ছিলেন, তাই তিনি ততদিন রাজা হতে পারেননি। পঞ্চম জর্জ ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের বিদ্বেষমূলক মনোভাব মেনে নিতে পারেননি। তাঁরই রাজত্বকালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়।

    ভিক্টোরিয়া গড়ে উঠতে কত বছর সময় লেগেছিল? কে এর নকশা তৈরি করেছিল?

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার পর ১৯১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর (Victoria Memorial) নির্মাণকার্য শুরু হয় এবং তা শেষ হতে প্রায় এগারো বছর সময় লাগে। এরপরেও সম্পূর্ণরূপে এই নির্মাণকার্যটি শেষ হয় ১৯২১ সালে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে কুড়ি বছর সময় লেগেছিল এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গড়ে উঠতে। তৎকালীন ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট স্যার উইলিয়ম এমার্সন এর নকশা তৈরি করেন। ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন বাগানটির নকশা তৈরি করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। এই সমস্ত নির্মাণকার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মার্টিন অ্যান্ড কোং কে। এই কোম্পানির কর্ণধার ছিলেন দুজন যথা স্যার থমাস অ্যাকুইনাস এবং স্যার রাজেন মুখার্জি। রাজেন মুখার্জিকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে সেই সময় নাইট উপাধি দেওয়া হয় এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য। 

    জায়গাটি কার বা কাদের ছিল? তৈরিতে মোট কত খরচ হয়েছিল?

    শুনলে হয়তো একটু অবাক লাগতে পারে, বর্তমানে আমরা যে স্থানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে (Victoria Memorial) দেখতে পাই, সেটি মূলত ছিল প্রেসিডেন্সি জেলের জমি। সেই সময়কার প্রধানত রাজনৈতিক বন্দিদের এই জেলে রাখা হত।  ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জেলটিকে এই স্থান থেকে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে আলিপুরে সেই জেলটি অবস্থিত।ব্রিটিশদের সিদ্ধান্তে এই স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠতে দেশের টাকাই খরচ করা হয়েছিল, ব্রিটিশদের খরচ ছিল তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। তৈরি করার জন্য তৎকালীন জমিদার, রাজা, ধনী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, অভিজাত ব্যক্তিদের কাছে থেকে লর্ড কার্জন অর্থ প্রদানের আবেদন জানান। এই আদেশ খণ্ডন করার সাহস কারও ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে সবার উদ্যোগে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা, বোলেরো গাড়ি, ল্যাপটপ লুট করল দুষ্কৃতীরা, চলল শূন্যে গুলি

    Malda: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা, বোলেরো গাড়ি, ল্যাপটপ লুট করল দুষ্কৃতীরা, চলল শূন্যে গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই রাতে এক ব্যবসায়ী এবং আরেক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালককে মারধর করে ছিনতাই। চালকের কাছ থেকে নগদ অর্থ, বোলেরো গাড়ি এবং ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ অর্থ, ল্যাপটপ ছিনতাই করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি চালায়। লোহার রড দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। পুলিশের তল্লাশিতে আটক দুই সন্দেহভাজন। প্রশ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার ব্যবসায়ী শুভম আগরওয়াল সোমবার রাত ২ টো নাগাদ ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী কুমেদপুর ক্লাবের পাশে নাকা চেকিং পয়েন্টে তার পথ আটকায় একদল দুষ্কৃতী। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তার কাছে থাকা নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং একটি ল্যাপটপ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তারা শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে শুভম আগরওয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা। এদিকে ভোর ৫ টা নাগাদ রামশিমুল গ্রামের ব্যবসায়ী সেফিকুল আলির গাড়ির চালক তাঁর বোলারো গাড়ি নিয়ে কুমেদপুরের দিকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন। নীলকুটি ঈদগাহের পাশে পাঁচ থেকে ছয় জন দুষ্কৃতী তাঁকে আক্রমণ করে। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাই করে গাড়ি থেকে নামিয়ে বোলারো গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুটি ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    কী বললেন ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ির চালক?

    ব্যবসায়ী সেফিকুল আলি বলেন, আমার গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে কুমেদপুর যাচ্ছিল। পথ আটকে ওকে মারধর করে নগদ টাকা এবং গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আক্রান্ত গাড়ির চালক মামুন আলি বলেন, আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। আমাকে বলছিল যা আছে সবকিছু দিয়ে দিতে। ওরা সংখ্যায় বেশ কয়েকজন ছিল। তাই আটকাতে পারিনি। প্রসঙ্গত, বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসার দিক থেকে জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে অপরাধমূলক কাজ করে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার। নাকা চেকিং পয়েন্টের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এলাকা জুড়ে পুলিশের টহলদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে ঘটনা দুটি ঘটিয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্র তল্লাশি চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। সমগ্র ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির উত্তর মালদার (Malda)  সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য কিষাণ কেডিয়া বলেন, এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এরকম হলে ব্যবসায়ীরা কীভাবে কাজে যাবেন। আমরা অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story:  ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ আচমকা না দেখানোয় ক্ষুব্ধ দর্শকরা, হলের সামনে বিক্ষোভে বিজেপি, ধস্তাধস্তি

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ আচমকা না দেখানোয় ক্ষুব্ধ দর্শকরা, হলের সামনে বিক্ষোভে বিজেপি, ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) দেখতে এসে পুলিশি হেনস্থার শিকার হলেন সিনেমাপ্রেমীরা। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী-সমর্থক ছিলেন। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ার রূপমন্দির সিনেমা হলে। সিনেমাপ্রেমীরা এদিন হলে এসে সিনেমা না দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সোমবারই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) সিনেমাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে সরকারি সেই নির্দেশিকা এসে না পৌঁছানোয় হল কর্তৃপক্ষ সিনেমা দেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। বেলঘরিয়ার এই সিনেমা হলেও এদিন সকালের দিকে বিতর্কিত সিনেমাটি দেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অনেকে এই সিনেমা দেখার জন্য অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন। সকাল সকাল এই সিনেমা হলের সামনে পৌঁছান সিনেমাপ্রেমীরা। তখনও কোনওরকম সিনেমা বন্ধের নোটিশ আসেনি। কিছুক্ষণ পর বেলঘরিয়া থানার পুলিশ এসে সিনেমা হলের সামনে হাজির হয়। ততক্ষণে সিনেমা হলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা সিনেপ্রেমীরা এরপরে বিক্ষোভে সামিল হন। সিনেমা হলের গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

    কী বললেন সিনেমাপ্রেমীরা?

    এক সিনেমাপ্রেমী সংযুক্তা মিত্র বলেন, আমি কলেজ ছাত্রী। আমার বাড়ি চুঁচুড়া। সাত সকালে বন্ধুদের সঙ্গে এই সিনেমা দেখার জন্য এসেছিলাম। আমাদের সামনে নোটিশ দিয়ে জানানো হল, এই সিনেমা দেখানো হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, এই সিনেমা ব্যান না করে সকলের দেখার ব্যবস্থা করুন। নিউটাউনের বাসিন্দা অনুস্কা বণিক বলেন, বেলঘরিয়ার এই সিনেমা হলে দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) সিনেমাটি চলছে। তাই এসেছিলাম। এখন সিনেমাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এত ভালো সিনেমা বন্ধ করা  উচিত হয়নি।

    কী বললেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা?

    এদিন বিজেপি-র যুব মোর্চার নেতা অচিন্ত্য মণ্ডল বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে সিনেমা দেখতে আসেন। সিনেমা দেখা নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের প্রথমে বচসা হয়। পরে, ধস্তাধস্তি হয়। অচিন্ত্যবাবু বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share