Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Amit Shah: ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্র স্মরণে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ! বৈঠক বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গেও

    Amit Shah: ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্র স্মরণে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ! বৈঠক বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি কলকাতায় পা রাখবেন ৯ মে। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। গত মাসেই বীরভূমে ব্যাপক সফল হয় শাহী জনসভা। তাপপ্রবাহের জেরে তখন বীরভূমের পারদ ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল, সেই হাঁসফাঁস গরমকে উপেক্ষা করেও ভিড়ে ঠাসা ছিল তাঁর জনসভা। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, অমিত শাহের মঙ্গলবারের সফরে কোনও জনসভা কর্মসূচি নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদি-শাহ। এর আগেও একাধিকবার ভিনরাজ্যে বিভিন্ন জনসভায় এবং সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বাংলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। পূর্বভারতের মানচিত্রের গৈরিকিকরণের বৃত্ত বাংলা জয় করেই সম্পন্ন করতে চায় বিজেপি এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

    দিনভর কী কী কর্মসূচি থাকবে শাহের (Amit Shah) ?

    জানা গেছে, ৯ মে সকালেই কলকাতার মাটি ছোঁবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) বিশেষ বিমান। তারপর তিনি সোজা চলে যাবেন জোড়াসাঁকোতে কবিগুরুর জন্মভিটেতে। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন। ওইদিন বিএসএফের সঙ্গেও একটি বৈঠক করবেন কলকাতায়। ইতিমধ্যে ২০২৪ সালের ভোটে বঙ্গ বিজেপিকে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসার কথাও রয়েছে শাহের। এরপর খোলা হাওয়া নামের একটি সংস্থার পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সায়েন্স সিটির ওই রবীন্দ্র স্মরণ অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করার কথা জনপ্রিয় টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। হাজির থাকবেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও পড়ুন: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সরকারি প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকার কাজ বন্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    TMC: সরকারি প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকার কাজ বন্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক নেতাদের (TMC) আবদার মেটাতে না পারায় সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ গোঘাটে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গোঘাট-২ ব্লকের মান্দারণ পঞ্চায়েতের সরকারি মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ। অভিযোগের তীর স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে।

    কাজ বন্ধ কেন!

    এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, নির্মাণ কাজের জন্য তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করেছেন। কিন্তু টাকা না পাওয়ার জন্যই বর্তমানে কাজ বন্ধ। যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, সেই তৃণমূলের যুবনেতা তথা অঞ্চল সভাপতি আশাদুল খান (TMC) বলেন, কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে না বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছিলেন। আমরা কাজটা ঠিকভাবে করতে বলেছি। কোথায় গোলমাল তাহলে? তাঁর জবাব, ইট-বালি ভাল নয় বলেই তো শুনলাম। তাহলে ত্রুটি থাকলে কেন লিখিত অভিযোগ করছেন না? উত্তর মেলেনি। তিনি একটাই কথা বললেন, বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে অমিত পান জানান, ওই মার্কেটে আরও তিনটি ঘর বাড়ানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, মালপত্র যে নিম্নমানের, তেমন কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু কেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকার সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হল, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। কাজে এলেই আশাদুল খান ও তাঁর সঙ্গীরা বাধা দিচ্ছেন রোজ। তবে নির্মাণ কাজ বন্ধের পিছনে যে শাসকদলের একটা প্রভাব রয়েছে, তা এলাকার মানুষ মনে করছেন।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    স্থানীয় তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান সানোয়ারা বেগম বলেন, কাজে বাধার কোনও অভিযোগ পাইনি। কাজের বিস্তারিত পরিকল্পনার সঙ্গে সরঞ্জাম সরবরাহের কোনও বিশেষ গরমিল নেই। যাঁরা বাধা দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সদুত্তর মেলেনি। গোঘাট-২ ব্লকের যুব সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, বিষয়টা শুনেছি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, অন্যায়ভাবে নির্মাণ যেমন আটকানো যাবে না, তেমনই ওই কাজে দুর্নীতি থাকলে সেটাও ব্লক প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মাঝে সরকারি প্রকল্পের কাজ কবে আবার শুরু হবে, তার অপেক্ষায় সাধারণ গ্রামবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: তিহাড়েই কেষ্ট! খারিজ আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন

    Anubrata Mondal: তিহাড়েই কেষ্ট! খারিজ আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পরে কেষ্ট মণ্ডলকে রাখা হয় আসানসোলের সংশোধনাগারে। ইডি হেফাজতে দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে নানা কৌশল অবলম্বনও করতে দেখা যায় একদা বীরভূ্মের ত্রাসকে। যে পুলিশ তাঁর কথায় ওঠবস করতো তারাই মামলা ঠুকতে থাকে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীকে মারধর। দুবরাজপুর আদালতে হাজির করিয়ে মেলে বেশ কয়েকদিনের পুলিশ হেফাজত কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি, দিল্লি যেতেই হয়। প্রথমে দুসপ্তাহের ইডি হেফাজতে পরে তাঁর ঠাঁই হয় তিহাড়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, প্রভাবশালী অনুব্রত (Anubrata Mondal) আসানসোল জেলে বসেই পরিচালনা করতেন বীরভূমের সংগঠন, তিহাড়ে বসে তিনি তা করতে পারছেন না, তাই আসানসোল ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন তিনি। কোর্টের ভিতরে ও বাইরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলতেন কেষ্ট। জেল হেফাজতে থাকাকালীন শক্তিগড়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ল্যাংচা খেতেও দেখা গেছে তাঁকে। কিন্তু এখন তিহাড়ে দু’বার স্নান করার পর্যাপ্ত জলও মিলছে বলে অনুযোগ করেন কেষ্ট।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    কী বললেন বিচারক?

    তিনি তিহাড়ে থাকবেন নাকি আসানসোলে ফিরবেন এবিষয়ে অনুব্রতের আবেদনের ভিত্তিতে ১ মে দীর্ঘ শুনানি হয়েছিল দিল্লির আদালতে। তবে সেই দিন কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। এদিনই বিচারক নির্দেশ দেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) তিহাড়েই থাকবেন। প্রসঙ্গত, ইডির আইনজীবী দিল্লির আদালতে আগে একাধিকবার বলেন, একজন অভিযুক্ত কীভাবে স্থির করতে পারেন তিনি কোন জেলে থাকবেন? দিল্লির আদালতে ইডির আইনজীবী অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) এও বলেন, তিহাড়কেই ঘর ভেবে ফেলুন। আগামী ৩-৪ বছর এখানেই থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    Post Poll Violence: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের সপ্তম পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে ভোট দিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর স্থানীয় শাসকদলের মদতপুষ্ট মস্তানদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন (Post Poll Violence)। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং অবহেলায় বাঁচানো যায়নি ধর্ম মণ্ডলকে। নদিয়ার চাপড়া, হৃদয়পুর সীমান্তের বাসিন্দা। মূলত চাষাবাদ করতেন। বিজেপির সক্রিয় সদস্য এবং কর্মী ছিলেন। ছয় বছর ধরে পার্টি করতেন বলে জানা যায়। বিজেপি করার জন্য সরকারি সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল এই পরিবার। দোষ একটাই, কেন বিজেপি করবে?

    হত্যার প্রেক্ষাপট

    পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করার জন্য তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা বাবদ আদায় করে নিয়ে যায় ফলাফল বের হওয়ার আগেই। ধর্ম মণ্ডলকে অনেকদিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, বিজেপি ছেড়ে যেন তৃণমূলে যোগদান করে। ঝগড়া হলেই তৃণমূলের দুই মাতব্বর হুমকি দিত, ভোট মিটলেই দেখে নেব (Post Poll Violence)। সারাদিন মাঠে কাজকর্ম করার পর সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে গেলে তৃণমূলের গুন্ডারা রীতিমতো হুমকি দিত। 

    পুলিশ ছিল কাছেই, তবুও খুন!

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বাড়ি থেকে দোকানের কাছে পাকা রাস্তায় যেতেন না ধর্ম মণ্ডল। কারণ, একটা আতঙ্ক কাজ করত, উনি বিজেপি করতেন বলে। ঈদের দিন ছিল ১৪ মে। চাষের জমিতে ধর্মবাবু গরুর জন্য ঘাস তুলতে যান। ঠিক দুপুর সাড়ে ১২ টায় বাড়ির লিচুবাগানে তৃণমূল সমর্থক প্রায় ২০ জন মিলে ধর্ম মণ্ডলের ভাই সঞ্জিতকে আক্রমণ করে। ধর্ম মণ্ডলের ভাইকে মস্তানরা বাঁশ দিয়ে মেরে হাত ভেঙে দেয়। পরিস্থিতি বুঝে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান স্থানীয় এক ব্যক্তি। ঠিক সেই সময় ধর্ম মণ্ডল বাঁচাতে যান ভাইকে। আর তখনই ধর্ম মণ্ডলকেও রড দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। আটকাতে গেলে ধর্মবাবুর স্ত্রীকে লাথি মেরে দূরে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। ধর্ম মণ্ডলের স্ত্রী পা ধরে মাফ চান। কিন্তু নির্মম কসাইদের মনে কোনও দয়ার ছাপ ছিল না। উজ্জ্বল নামে একজন একটা বড় দা দিয়ে ধর্ম মণ্ডলকে কোপ দেয় (Post Poll Violence)। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত কালু মস্তান বলে, একেবারে শেষ করে দে! উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলের সামান্য দূরেই পুলিশ এসে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। পরে আহত ধর্মবাবুকে গাড়িতে করে প্রথমে বাঙ্গালঝী, তারপর শক্তিনগর এবং পরবর্তীতে কলকাতায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু রক্তক্ষরণ এতই হয়েছিল যে শেষরক্ষা হয়নি।

    তদন্তে সিবিআই, ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় পরিবার

    আতঙ্কিত পরিবার ঘটনার প্রায় দু দিন পর চাপড়া থানায় অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। ধর্ম মণ্ডলের স্ত্রী-ছেলের কোনও অভিযোগ জমা নেয়নি পুলিশ। ঘটনার সমস্ত ভিডিও মোবাইল থেকে পুলিশ জোর করে নিয়ে নেয়। সমস্ত ঘটনাটি পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটে বলে পরিবারের দাবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয় এবং তদন্ত সিবিআই করবে, আদেশ দেয় হাইকোর্ট। খুনে প্রধান অভিযুক্ত হল লাল্টু ঘোষ (তৃণমূলের যুব সভাপতি) কালু শেখ, কিংকর মণ্ডল, বিজয় শেখ, পিন্টু ঘোষ, আবুল শেখ, আলমগীর শেখ, ভগীরথ দাস, গণেশ মণ্ডল এবং আরও অনেকে। অভিযুক্তদের মোট ১৮ জন ধরা পড়ে এবং চারজন পলাতক ছিল। সিবিআই প্রথমদিন তদন্ত করতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা, গাড়িতেও ভাঙচুর (Post Poll Violence) করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ছেলে-বৌমাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ন্যায় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। 

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Buddha Purnima 2023: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

    Buddha Purnima 2023: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখী পূর্ণিমার পবিত্র তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন ভগবান বুদ্ধ। হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে, এই দিনটির মাহাত্ম্য অনেক বেশি। বিশ্বাস মতে, এদিন সমুদ্র মন্থনে উঠে এসেছিলেন দেবী লক্ষ্মী। স্কন্দপুরাণ অনুসারে, গৌতম বুদ্ধ হলেন ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার। চলতি বছরে ঘটনাক্রমে বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha purnima 2023) এবং চন্দ্রগ্রহণ একই দিনে পড়েছে। ঋষিকেশ পঞ্চাঙ্গ অনুসারে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ আজ অর্থাৎ ৫ মে, বৈশাখী পূর্ণিমার দিন। শাস্ত্রকারদের মতে, এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না, তাই এখানে এর তেমন অশুভ প্রভাবও পড়বে না।

    চন্দ্রগ্রহণ…

    বছরের প্রথম এই চন্দ্রগ্রহণকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ বা উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ। অর্থাৎ, যখন পৃথিবীর সরাসরি ছায়া চাঁদের উপর পড়ে না, তখন এটি একটি পেনমব্রাল চন্দ্রগ্রহণ বলে বিবেচিত হয়। বিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের কক্ষপথ একই তলে নেই, তাই পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। জ্যোতিষীর মতে, ভারতে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। সাধারণত সূতক সময় শুরু হয় চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘণ্টা আগে। কিন্তু ভারতে এই গ্রহণের কোনও প্রভাব না থাকায় এর সূতক সময়ও কার্যকর হবে না। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দেখা যাবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় বিশেষ কিছু বিধি নিয়ম মেনে চলতে হয়, একেই বলে সূতক সময়।

    বুদ্ধ পূর্ণিমা (Buddha purnima 2023) কখন শুরু হচ্ছে..

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে ৪ মে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৪ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে শুক্রবার, ৫ মে রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে। উদয় তিথি অনুযায়ী ৫ মে শুক্রবার বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে।

    বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha purnima 2023) তাৎপর্য….

    হিন্দু এবং বৌদ্ধ দুই ধর্মমতেই সাদরে পালিত হয় এই দিনটি

    ১) ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha purnima 2023) দিন ভোরবেলা স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

    ২) এই দিনটিতে অনেকেই দান-ধ্যান করেন, যারা দরিদ্র তাদের খাওয়ান। 

    ৩) প্রতিবছর এই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় বুদ্ধগয়া-য়।

    আচার-অনুষ্ঠান 

    ১) ভগবান বুদ্ধের ভক্তরা এদিন ভোরে উঠে পবিত্র স্নান সেরে তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন শুরু করেন। 

    ২) এদিন ঘর পরিষ্কার করা হয় এবং চারিদিকে গঙ্গা নদীর পবিত্র জল ছেটানো হয়। ফুল এবং পাতা দিয়ে বাড়ি সাজানো হয়। 

    ৩) বাড়ির প্রবেশপথে হলুদ, কুমকুম এবং গঙ্গাজল দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র চিহ্ন হিসেবে বিবেচিত। 

    ৪) বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয় এবং বৌদ্ধধর্ম অনুসরণকারীরা এই দিনে বুদ্ধগয়া-তে যান। 

    ৫) বোধি গাছের উপাসনা করা হয়। 

    ৬) রঙিন পুষ্পমালা গাছে বাঁধা হয় এবং ভক্তরা গাছের গোড়ায় দুধ ও জল ঢালেন।

    ৭) এই শুভ তিথিতে দরিদ্রদের খাবার ও পোশাক দান করা হয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে সর্বদা বিশেষজ্ঞের মতামত নিন এবং সেই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ষষ্ঠ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ‘খেলা হবে, কঠিন খেলা হবে’-এই স্লোগান দিয়ে বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড (Post Poll Violence) চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সন্তান হারানো মায়ের আর্তনাদ, স্বামী হারানো স্ত্রীর কান্না, পিতা হারানো সন্তানের বেদনা আপামর বঙ্গবাসীর কাছে ছিল জাতীয় বিভীষিকা, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। না হলে শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন বলে এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়!

    কে এই অরূপ রুইদাস?

    অরূপ রুইদাস ছিলেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের তফশিলি সমাজের মানুষ। বাবা গণেশ রুইদাস এবং মা কাঞ্চন রুইদাস দুজনই বৃদ্ধ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ পাশ করেন অরূপ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় কলকাতায় একটি বইয়ের দোকানে কাজ করতেন। পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন অরূপ। প্রধানমন্ত্রীর মিটিং-এ গিয়ে বিজেপির পতাকা লাগিয়েছিলেন। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হিসাবেও বসেছিলেন অরূপ। আর তারই খেসারত দিতে হল তাঁকে। শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হওয়ার জন্যই তাঁকে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।

    কীভাবে হল নির্মম হত্যা!

    পরিবারের সদস্যদের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, ২ মে ফলাফল ঘোষণার পরদিন, অর্থাৎ ৩ মে সকাল ১১ টা নাগাদ বাড়িতে এসে ৫-৬ জন প্রথমে দেখে নেবো বলে হুমকি দিয়ে যায়। তারপর ৪ মে ঠিক দুপরবেলা ‘খেলা হবে খেলা হবে/ ঠিক ঠিক খেলা হবে’ ডিজে গান আর অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু হয়। দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি তখনও, এমন সময় প্রায় ১০০ জন তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর করে। তারপরই অরূপের গায়ের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং গলায় একটা লাল গামছা বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যায় খামারের দিকে। এরপর আর অরূপকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ৫ মে সকালে বর্ধমানের বল্লভপুর এবং দিগল গ্রামের মাঝের এক বটগাছে ঝুলন্ত দেহ (Post Poll Violence) খুঁজে পাওয়া যায়। পুলিশ এসে দেহ শনাক্ত করে। বৃদ্ধ নিরুপায় বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

    একইসঙ্গে চলেছিল লুটপাট 

    সেই হামলা ছিল ভয়াবহ। পরিবারের বিবরণ অনুযায়ী, মাটির ঘরের সিমেন্টের সব চাল ভেঙে ফেলা হয়। বাড়িতে পায়খানা, রান্নাঘরের গেট ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। লোহার করাত দিয়ে বাঁশ-বেত কেটে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির চাল, ডাল, শাক-সবজি, গচ্ছিত টাকা, গয়না সব লুট করে নিয়ে চলে যায় তারা। হত্যার (Post Poll Violence) পর অরূপের কাকা প্রায় ৬ মাস ঘরছাড়া ছিলেন।

    পুলিশ উল্টে বাড়ির লোকের বিরুদ্ধেই মামলা করল

    পরিবারের অভিযোগ, খুনের (Post Poll Violence) বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে কোনও অভিযোগ জমা নেয়নি। উল্টে পুলিশ বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করে বলে অভিযোগ মায়ের। পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭, ৫০৬ ধারায় মামলা করেছিল। পুলিশের প্রতি পরিবারের কোনও আস্থাই নেই বলে পরিবারের লোকজন সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন।

    সিবিআই তদন্ত চলছে

    নির্যাতনের সময় এবং পরে পরিবারের সঙ্গে পুলিশ অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করে বলে অভিযোগ। পরিবার বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করে। চাপে পড়ে পুলিশ বাড়িতে একজন রক্ষী নিযুক্ত করে। মায়ের দাবি, প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল শেখ সইফুদ্দিন, শেখ হামিদ, শেখ নাসের, শেখ কালু, ফকির আহম্মদ শেখ, শেখ বাবু। এই খুনের পিছনে প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশ শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তীতে সিবিআই খুনের (Post Poll Violence) তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, হত্যাকারীদের ফাঁসিকাঠে ঝোলাতে হবে।

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩ : ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে! 

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ১১ দিন ধরে টানা কর্মবিরতিতে বারাকপুর কোর্টের আইনজীবীরা, কেন জানেন?

    Barrackpore: ১১ দিন ধরে টানা কর্মবিরতিতে বারাকপুর কোর্টের আইনজীবীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমা আদালতের কর্মবিরতি ১১ দিনে পড়ল। আদালতের আইনজীবীদের কর্মবিরতির ফলে বিচার প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারের লোকদের যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গেট বন্ধ রেখে আইনজীবীরা আন্দোলন করছেন। এর আগে একাধিকবার মিছিলও করেছেন তাঁরা। যে দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে আইনজীবীরা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন তার কোনও সদুত্তর কর্তৃপক্ষের থেকে এখনও না পাওয়ায় কর্মবিরতি জারি রেখেছে।

    কেন আন্দোলনে আইনজীবীরা?

    সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন কোর্ট বারাসত আদালত থেকে বারাকপুর (Barrackpore) কোর্টে স্থানান্তর করতে হবে। এছাড়া পকসো আদালতে স্পেশাল বিচারক, এনডিপিএস-এর জন্য পৃথক কোর্ট, ক্যান্টিন, বিচার প্রার্থীর বাড়ির লোকদের জন্য শৌচালয়, পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ, আদালত চত্বরে সিসি ক্যামেরা লাগানো সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে আইনজীবীরা এর আগেও একাধিকবার সরব হয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। আইনজীবীদের সঙ্গে টাইপিস্ট, ল ক্লার্করাও আন্দোলনের সামিল হয়েছেন।

    হাইকোর্টের বিচারপতির সঙ্গে আইনজীবীদের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হল?

    বারাকপুর (Barrackpore) আদালতের অবস্থা দেখতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা জোনাল জাজ অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় যান। তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আইনজীবীদের দাবি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জোনাল জাজ জানিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে বার অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সভা ডেকে সকলকে অবহিত করেন।

    কী বললেন বারাকপুর (Barrackpore) বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি?

    বারাকপুর (Barrackpore) বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত রায় বলেন, আমরা যে দাবির ভিত্তিতে কর্মবিরতি শুরু করেছি তা লিখিত আকারে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে জানিয়েছি। এদিনের বৈঠকে আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, এখনও কোনও আশ্বাস পাইনি। তাই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আমরা এখনই পিছু হটছি না। আমরা শনিবার পর্যন্ত কর্মবিরতি চালাব। ওইদিন আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    Post Poll Violence: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পঞ্চম পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্র, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারের চূড়ান্ত কালা অধ্যায় ছিল ভোট-পরবর্তী মাসগুলি। এমনটাই মনে করেন বিরোধীরা। তা না হলে কৃষ্ণনগরের অত্যন্ত সাধারণ এবং সামান্য দিনমজুর পলাশ মণ্ডলকে কেবলমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করা এবং নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়!

    কে এই পলাশ মণ্ডল? কীভাবে খুন করা হয়েছিল তাঁকে?

    পলাশ মণ্ডলের জন্ম ১৯৭৬ সালের ২ জুন এবং মৃত্যু হয় ২০২১ সালের ১৪ জুন। বাড়ি কৃষ্ণনগরের মনীন্দ্রপল্লি, বারইহুদায়। বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন। ঘটনার একদিন আগে রাত এগারোটা নাগাদ আচমকা হামলা করে খুনের হুমকি দিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডারা, এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় গুন্ডারা বাড়িতে ঢুকে দরজায় প্রথমে আঘাত করে। তারপর খুলতে না পেরে উপরের টিন কেটে রড, দা, কাঁচি, চাকু, তলোয়ার ইত্যাদি নিয়ে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। দলে তারা ছিল প্রায় ২০০ জন। বাড়িতে টিভি, বাসনপত্র, শাড়ি, গয়না আসবাবপত্র লুট করে গুন্ডারা। সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির দেওয়ালে কোপ দেয়। ভয়ে পলাশ নিজের জীবন বাঁচাতে ঘরের খাটের নীচে আশ্রয় নেন। কিন্তু হিংস্র গুন্ডারা ঘরে ঢুকে রড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারতে মারতে খাটের নিচ থেকে বের করে তাকে। এরপর ঘর থেকে বের করে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে এবং পরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে কানের কাছে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তার। উল্লেখ্য, সবটাই পলাশবাবুর দুই মেয়ে এবং স্ত্রীর সামনে ঘটে। স্ত্রী শেফালি মণ্ডল কৃষ্ণনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
    এত নির্মমভাবে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয় যে আশপাশের মানুষ বাঁচানোর সাহস করেনি। পরিবারের অভিযোগ ছিল, পলাশবাবুর দোষ একটাই ছিল, উনি বিজেপির পতাকা-পোস্টার লাগাতেন এবং বিজেপির মিটিং-মিছিলে যেতেন। বাড়ির দেওয়ালে তারপরেও ছিল রক্তের দাগ। দরজায় ছিল দা দিয়ে বড় বড় কোপের দাগ। পলাশবাবু গেঞ্জির রিপ কাটার কাজ করতেন। ঘটনার দিন খুন করে আততায়ীরা রিপকাটার মেশিনটিও তুলে নিয়ে চলে যায়।

    পরিবার ঘরছাড়া, দিন কেটেছে অসহায় অবস্থায়

    পরিবারে উপার্জনের একটা বড় দায়িত্ব ছিল পলাশের উপর। পলাশবাবুর মেয়ে পম্পা মণ্ডল তখন দশম ক্লাসের ছাত্রী। শক্তিনগর গার্লস স্কুলে পড়াশুনা করত। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী কলকাতায় গিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাতেন। পলাশবাবুর মায়ের কথা সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁরা পূর্ববঙ্গের ফরিদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। দেশ ছেড়ে এসে ছেলেকে এইভাবে মরতে হবে, কেউ ভাবতে পারেননি। শুধু খুন (Post Poll Violence) করেই আততায়ীরা ক্ষান্ত হয়নি। এলাকায় বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে অপরাধীদের আত্মীয়রা প্রভাতী দেবনাথ, মাম্পী দেবনাথ, মান্তু দেবনাথ রোজ হুমকি দিয়ে যেত বলে অভিযোগ। গালিগালাজ এবং লোক লাগিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করবে বলেও হুমকি চলেছিল প্রতিনিয়ত।

    সিবিআই তদন্ত চলছে, বিচার সময়ের অপেক্ষা

    বর্তমানে ওই হত্যার (Post Poll Violence) তদন্ত সিবিআই করছে। প্রধান অভিযুক্ত হল আজাহার শেখ, কুষাই দাস, পাপ্পু মুখার্জি, বলরাম দাস, অপু দেব, বাবু সোনা মুখার্জি, আনন্দ সরকার, হারান চাকি, হুদা চাকি, অখিল ভৌমিক, সুরেষ পারসি, তাপস দেবনাথ। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তৎকালীন তৃণমূলের কাউন্সিলর নিত্য প্রামাণিকের পরোক্ষ ইন্ধন আছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তদন্ত এখনও চলছে। হত্যার বিচার এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩–৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Police Superintendent: তিনমাসের মধ্যে ফের পুলিশ সুপার বদল বীরভূমে! কাকে আনা হল ওই পদে?

    Police Superintendent: তিনমাসের মধ্যে ফের পুলিশ সুপার বদল বীরভূমে! কাকে আনা হল ওই পদে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনমাসে দুবার। বীরভূমে পুলিশ সুপার (Police Superintendent) বদল যেন জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে শীঘ্রই বীরভূমে পা রাখবেন ‘যুবরাজ’ তথা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের বেতাজ বাদশা বলে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল এখন স-কন্যা দিন কাটাচ্ছেন তিহার জেলে। এরকম একটা অবস্থায় ফের বদল করা হল জেলার পুলিশ সুপারকে। এতদিন এই পদে ছিলেন ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। এবার সেই পদে আসছেন রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। ভাস্করবাবুকে পাঠানো হল বারাসত পুলিশ জেলার সুপারের দায়িত্ব দিয়ে। সেখানকারই পুলিশ সুপারের দায়িত্বে ছিলেন রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়।

    এখানে অনেকেই বেশিদিন স্থায়ী হননি

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। গোটা রাজ্যের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে বরাবরই থাকে অনুব্রতর গড় বলে পরিচিত এই বীরভূম। এখানে সংঘর্ষ, বোমাবাজির মতো ঘটনা লেগেই থাকে। বিভিন্ন ঘটনায় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হন বিরোধীরা। প্রশাসনিক সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন পুলিশ সুপার (Police Superintendent) মিরাজ খালিদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশেই প্রশাসন ওই পদক্ষেপ করেছিল। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছিল নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। উল্লেখ্য, বগটুইকাণ্ডের মতো সাড়া জাগানো ঘটনার পরও তাঁকে সরানো হয়নি। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে সরিয়ে ওই পদে আনা হয় ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে। তারপর তিনমাসও কাটলো না। ফের বদল। 

    কেন ঘন ঘন পুলিশ সুপার বদল?

    এই জেলায় ২০১৮ সালে দায়িত্ব নেওয়া শ্যাম সিংহ দু বছরেরও বেশি সময় পুলিশ সুপার (Police Superintendent) পদে ছিলেন। কিন্তু তিনি যাঁর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন, সেই কুণাল আগরওয়াল ওই পদে ছিলেন ভাস্করবাবুর মতোই, মাত্র চার মাস। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে এই জেলায় চার বছরে সাতবার পুলিশ সুপার বদলের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে অনেকেই বলছেন, এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাস্করবাবুর ডিআইজি হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। জুলাই মাসেই তাঁর পদোন্নতি হতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তিনিই নাকি এই পদে থাকতে চাননি। যদিও অন্য সূত্র বলছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বদলি-পর্ব সেরে নিতে চাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হল, নতুন সুপারকে এখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে ওয়াকিবহাল করে তোলা, যাতে ভোটে কোনও অসুবিধা না হয়। অন্যদিকে, এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার পদের দায়িত্ব সামলেছেন ভাস্করবাবু। তাই নিজের চেনা জায়গাতেই কি তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল? সবকিছুই এখন ধোঁয়াশার মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Road: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নেই পাকা রাস্তা, ভোট বয়কটের পথে বাসিন্দারা  

    West Bengal Road: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নেই পাকা রাস্তা, ভোট বয়কটের পথে বাসিন্দারা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা (West Bengal Road) হয়নি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকোডাঙা গ্রামে। লাল মাটির রাস্তা, তাও খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশ পথ। পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও যা অযোগ্য হয়ে ওঠে। হাসপাতাল যাওয়ার ২ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। 

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা?

    এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা (West Bengal Road) সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির জেলা সফরের আগেই এবার রাস্তার দাবিতে সরব এলাকাবাসী। দ্রুত রাস্তার কাজ না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি। এই গ্রামে এক প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, ২০০১ সালে যে রাস্তা তৈরি হয়েছিল, সেটাও লাল মাটির। তারপরে আজ পর্যন্ত একটা ইটও পড়েনি। এমনকী লালমাটিও নয়। যাওয়ার মতো অবস্থাই ছিল না। ক্লাবের ছেলেরা নিজেরা পয়সা খরচ করে গর্তগুলো বুজিয়েছে। এখান থেকে চাঁচল অ্যাম্বুল্যান্সে যেতে হলে তুলসীহাট্টা হয়ে দশ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। অথচ এই রাস্তা ধরে গেলে সেটা মাত্র দু কিলোমিটার। দুপাশের জমিতে চাষবাস হয়। তাই পাট নিয়ে কেউ শহরে যাবে, তার কোনও উপায় নেই। ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজ যেতেও খুবই অসুবিধায় পড়ছে। নেতারা তো ভোট এলে বলে রাস্তা করে দেবো। কিন্তু এরকম যদি অবস্থা হয়, তাহলে আমরা গ্রামবাসীদের ভোট দিতে দেব না।  

    এখানেও রাজনৈতিক তরজা

    এদিকে তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত হওয়ায় সেখানে উন্নয়ন হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বিমানবিহারী বসাক সাফাই দিয়েছেন, এনআরজিএস প্রকল্পের টাকা বন্ধ থাকায় রাস্তার (West Bengal Road) কাজ শুরু করা যায়নি। তাই এ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share