Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Report: আজও চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কবে?

    Weather Report: আজও চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর। সরকারি নির্দেশে স্কুল-কলেজ বন্ধ। চাঁদিফাটা গরমে খুব কাজ না থাকলে বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। প্রায় সব জেলাতেই পারদ পেরিয়েছে চল্লিশের উপর। মঙ্গলবারই বাংলার ১৭টি জেলার পারদ ৪৪ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি গরমে নাজেহাল উত্তরবঙ্গও। বুধবারও একই অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Report)। এই অবস্থায় বিশেষ সতর্কতা জেলা প্রশাসনের। জেলাশাসকের নির্দেশে রাস্তার ধারে ধারে করা হয়েছে জলছত্র। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ওআরএসের ব্যবস্থাও।

    বৃষ্টি কবে?

    অত্যাধিক দহনজ্বালার মধ্যেই এবার হাওয়া বদলের পূর্বাভাস। অবশেষে এল সেই বহু প্রতীক্ষিত সুখবর। তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ২০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের ২ জেলায় এবং ২১ এপ্রিল, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে (Weather Report)। 

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। ২২ এপ্রিল শনিবার দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া। এদিকে, কলকাতা ও লাগোয়া জেলায় তাপের সঙ্গে শুরু হয়েছে আর্দ্রতার অত্যাচার। ফলে কলকাতায় ভ্যাপসা গরমের দাপট থাকবে। ঘর্মাক্ত পরিবেশে অস্বস্তি আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত তাপপ্রবাহ চলবে (Weather Report)।

    উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Report) 

    অন্যদিকে, বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গেও। ২০ এপ্রিল থেকে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলায় বৃষ্টি না হওয়ার একটাই কারণ ছিল, জলীয় বাষ্পের অভাব। এবার বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করায় সুখবর মিলল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের আশপাশ মাওবাদী পোস্টারে ছয়লাপ! কোথায় জানেন?

    Khardah: স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের আশপাশ মাওবাদী পোস্টারে ছয়লাপ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দহ (Khardah) স্টেশনে মাওবাদী পোস্টার! তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে জঙ্গলমহলে এক সময় এই ধরনের পোস্টার মাঝে মধ্যেই দেখা যেত। দাবি আদায়ে মাওবাদীদের আন্দোলনও করতে দেখেছেন রাজ্যবাসী। এবার খড়দহ (Khardah)  স্টেশন চত্বর মাওবাদী সংগঠনের নাম দেওয়া পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে রয়েছে।  মঙ্গলবার সকালে খড়দহ (Khardah) স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দুপাশে মাওবাদী পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। 

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে?

    খড়দহ (Khardah) স্টেশনের দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টারে লেখা রয়েছে, ২২ এপ্রিল কমরেড লেনিনের নামে আমাদের শপথ, ফ্যাসিবাদকে গুঁড়িয়ে দাও। শ্রমিক কৃষক রাজ বানাও। ঘরে ঘরে বেকার, বাজারে আগুন, ইভিএম ছুঁড়ে ফেলে, এবারে জাগুন। সংখ্যালঘু জনগণ, বাঁচাতে তাদের মান ও প্রাণ দিচ্ছি দেরো অস্ত্রে শান। সরকার বদল পণ্ডশ্রম। বিপ্লবীরাই ওদের যম। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে, মার্কসবাসী লেনিনবাদী  মাওবাদী সংগঠন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কিছু পোস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে বা কারা পোস্টার দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    এই পোস্টার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের খড়দহ (Khardah)  যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, খড়দহে (Khardah) ফ্লাইওভার তৈরি হবে। তাতে কিছু বেআইনি দোকানপাট ভাঙা পড়বে। আর এই সব দোকান থেকে যারা তোলাবাজি  করে, তারা এসব করে বেড়়াচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা উন্নয়ন করেছেন তার নিরিখে মানুষ তৃণমূলকে ভালোবাসে। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে ভয় দেখিয়ে এ ধরনের পোস্টার লাগানো হচ্ছে। এসব পোস্টার দিয়ে কোনও লাভ হবে না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, মাওবাদীরা এই এলাকায় পোস্টার দিয়েছে তা ভাবা যায় না। জায়গায় জায়গায় এই ধরনের পোস্টার পড়ছে মানে মাওবাদীরা এই সব এলাকাতেও আছে। আজ খড়দহে (Khardah) পড়েছে, কাল সোদপুরে পড়বে। পরে, অন্য কোনও স্টেশনে এই পোস্টার পড়বে। রাজ্যের পরিস্থিতি যা তাতে যা খুশি তাই হচ্ছে। আর মাওবাদীরা তো চাকরি দেয় না। তারা বোমা, গুলি তুলে দেয়। প্রশাসন যদি কড়া হাতে দমন না করে, তাহলে এই সুযোগে মাওবাদীরা ডানা বিস্তার করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gold Smuggling: বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় বিএসএফের হাতে পাকড়াও, উদ্ধার ৩৬ লাখ টাকার সোনা

    Gold Smuggling: বাংলাদেশ থেকে পাচারের সময় বিএসএফের হাতে পাকড়াও, উদ্ধার ৩৬ লাখ টাকার সোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের (Gold Smuggling) সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে গেল এক চোরাকারবারি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃতের নাম দেবাশিষ দেবনাথ। সে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৮১ গ্রাম সোনা, যার মূল্য ৩৬ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তিকে পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে। এই ব্যক্তির সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখাই তদন্তকারী সংস্থার মূল লক্ষ্য।

    কীভাবে ধরা পড়ল ওই যুবক?

    সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, বিএসএফের জওয়ানরা গোপন সূত্রে নির্দিষ্ট খবর পেয়ে নেমেছিলেন স্পেশাল অপারেশনে। আমুদিয়ার দিক থেকে মোটর সাইকেলে আসছিল এক ব্যক্তি। সন্দেহ হওয়ায় তার পথ আটকান জওয়ানরা। বিপদ বুঝে ওই ব্যক্তি তখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে পাকড়াও করে নিয়ে আসা হয় বর্ডার পোস্ট-এ। সেখানেই তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি সোনার বিস্কুট, যেগুলি থাইয়ে টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, এগুলি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার (Gold Smuggling) করা হচ্ছিল।

    জিজ্ঞাসাবাদে আরও কী জানা গেল?

    ধৃত ওই ব্যক্তি বিএসএফের জেরায় জানিয়েছে, সে বাংলাদেশের নাগরিক গোগান মন্ডলের কাছ থেকে হোয়াটস অ্যাপে একটি কল পেয়েছিল ১৫ দিন আগে। তাতে বলা হয়েছিল, তাকে পাঁচটি সোনার বিস্কুট দেওয়া হবে, যেগুলি শায়েস্তানগরের নয়ন নামে একজনের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এই কাজের (Gold Smuggling) জন্য তার পারিশ্রমিক বরাদ্দ হয়েছিল ২০০০ টাকা। টাকার লোভেই সে এই কাজে সম্মতি জানিয়েছিল। এই ঘটনা ফের পরিস্কার করে দিল, সীমান্তে চোরাকারবারিরা এখনও কতটা সক্রিয়। তাই বিএসএফ নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: প্রথম কোনও বিচারপতির নামে হোর্ডিং কলকাতায়! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    Justice Abhijit Ganguly: প্রথম কোনও বিচারপতির নামে হোর্ডিং কলকাতায়! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বেহালায় নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে বেহালা নাগরিকবৃন্দের তরফ থেকে হোর্ডিং পড়ল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে। তাতে লেখা, ‘বাংলার গর্ব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।’ ওই হোর্ডিং-এ স্বামী বিবেকানন্দের বাণীও নজরে পড়ছে, লেখা রয়েছে, সত্যের জন্য সবকিছুকে ত্যাগ করা যায় কিন্তু কোনও কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা যায়না। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম কোনও বিচারপতির নামে পড়ল এমন হোর্ডিং। নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে তাঁর একের পর এক পর্যবেক্ষণ ও রায় তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছে।

    সাম্প্রতিক ঘটনাবলী  

    বড় দিনের পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বোলপুরে গিয়েছিলেন। তিনি আসছেন শুনে স্টেশন চত্বরে তখন থিকথিকে ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যে থেকেই এক যুবক ঝাঁপিয়ে তাঁর পায়ে পড়ে বলেছিলেন, ‘স্যার, আপনি মানুষ নন, ভগবান।’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বইমেলায় গিয়েছিলেন। দেখা গিয়েছিল, তিনি হাঁটছেন আর কয়েকশ মানুষের ঝাঁক হাঁটছে তাঁর পিছনে। উঠছে জয়ধ্বনি।

    হোর্ডিং-এ কী লেখা রয়েছে

    ওই হোর্ডিংয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) উদ্দেশে লেখা হয়েছে, ‘স্যার আপনাকে স্যালুট জানাই! আপনি শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে মনিটরিং করে সত্যের জন্য লড়াই করছেন আইনের মাধ্যমে, তাতে আমরা আপনাকে নিয়ে গর্বিত।’
    নাগরিকবৃন্দের তরফে একজন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘নেতাজি যেভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) লড়াইকেও আমরা সেভাবেই দেখছি। আজকে হয়তো ব্রিটিশ নেই। কিন্তু এই শাসকের মুখোশ খোলাটাও কম বড় লড়াই নয়।’

    জনমানসে তাঁর এমন ইমেজ নিয়ে কী বলছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)

    জনমানসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এই মনোভাব গত কয়েক মাস ধরেই রয়েছে। অনেকে বলেন, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জনগণের বিচারপতি।’ কয়েক মাস আগে খিদিরপুরের একটি গ্রন্থাগারের অনুষ্ঠানে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘এসব আমি ভাবি না। আমার কাজ মানুষ যাতে দ্রুততার সঙ্গে বিচার পান, সেটা দেখা। নইলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা উঠে যাবে। তখন তাঁরা যাবেন স্থানীয় পার্টি অফিস বা লোকাল কমিটির অফিসে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, পুরসভায় দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ

    BJP: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, পুরসভায় দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকদিন আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, নতুন করে এই ঘটনায় আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। দণ্ডিকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতারির ঘটনায় খুশি নয় বিজেপি (BJP)। এর আগেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতাদের দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাটসহ সব থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি (BJP)। এমনকী, জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি করেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই একই দাবিতে ১৭ এপ্রিল বনধ ডেকে ছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। দুই দিনাজপুরে বনধে ভালো সাড়া পড়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতে মঙ্গলবার ফের আন্দোলনে নামল বিজেপি (BJP) ।

    পুরসভায় অবস্থান করে কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দণ্ডিকাণ্ড ইস্যুতে মঙ্গলবার বালুরঘাট পুরসভায় অভিযান চালায় বিজেপি (BJP)। বালুরঘাট টাউন বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন দুপুরে বালুরঘাট পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে বালুরঘাটে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির-র বালুরঘাট টাউনের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত, বিজেপির (BJP) প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মিছিল শেষে পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। বিজেপি-র টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে আমরা আরও বড় আন্দোলনে নামব। এর পাশাপাশি ৮ দফা দাবিও ছিল। অবস্থান বিক্ষোভের পর পুর কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছি। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমাদের আন্দোলন থামবে না।

    বিজেপি-র (BJP) আন্দোলন নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    দণ্ডিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ্তা চক্রবর্তী পুরসভায় আসছেন না। এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, পুরসভার কাজকর্মে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আর দাবিদাওয়া যে কেউ করতেই পারে। আইন আইনের পথে চলবে। এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানি, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে গিয়ে চূড়ান্ত হয়রানি, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য জনসাধারণকে হয়রানিতে ফেলার অভিযোগ উঠল বামনগোলা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখালেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, গত ১৬ তারিখ থেকে স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthya Sathi) কাজ শুরু হয়। কয়েকটি কাজ করার পর বামনগোলা ব্লকের আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করা হবে। সেই অনুযায়ী বামনগোলা ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা সকাল দশটা থেকে পাকুয়াহাট কলেজ অডিটোরিয়ামে এসে উপস্থিত হন। সকাল থেকে পাকুয়াহাট কলেজ অডিটোরিয়ামে এসে বহু অপেক্ষা করেও দেখা মেলেনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কর্মীদের। অফিসের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা জানিয়ে দেন, আজ কোনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করা হবে না। আজ তাঁদের ডাকা হয়নি।

    কী বলছেন ক্ষুব্ধ মহিলারা?

    প্রখর রোদে ছাতা মাথায় দিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন বহু মহিলা। তাঁদেরই একজন বললেন, ১৬ তারিখে একবার এসেছিলাম। কিন্তু ফিরে যেতে হয়েছে। এরপর মঙ্গল ও বুধবার সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও লোকই আসেনি। জিজ্ঞাসা করলে বলছে, আমরা কাউকে ডাকিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে ওই মহিলা বলেন, আমাদেরকে ডেকে দিনের পর দিন এভাবে হয়রানিতে ফেলার কী মানে?

    কী আশ্বাস দিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা?

    অবশেষে কার্ড করতে আসা লোকজন ক্ষোভ উগরে দিয়ে মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কের পাকুয়াহাট এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে। অবশেষ খবর পেয়ে বামনগোলা থানার পুলিশ ও বামনগোলা ব্লকের জয়েন্ট ভিডিও ঘটনাস্থলে আসেন। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, আগামী দিনগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড করা হবে নিজ নিজ এলাকায়। কবে কোন জায়গায় হবে, তা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরেই তাঁরা পথ অবরোধ তুলে নেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat Heat wave: ৪১ ডিগ্রিতে জ্বলছে শহর, একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে তাপমাত্রার পারদ

    Balurghat Heat wave: ৪১ ডিগ্রিতে জ্বলছে শহর, একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে তাপমাত্রার পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকে দুপুর। বালুরঘাটের রাস্তাঘাট ফাঁকা। শহরে বিগত প্রায় দেড় মাস বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র তাপপ্রবাহে (Balurghat Heat wave) কার্যত ধুঁকছেন জেলাবাসী। বৃষ্টির অভাবে একদিকে যেমন চাষবাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। সমস্যায় শহরবাসী। সকাল থেকেই সূর্যের চোখরাঙানি। তাপমাত্রার পারদ দুপুরে গিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে চল্লিশের কাছাকাছি। 

    এমন আবহাওয়া কবে দেখেছেন, মনে করতে পারছেন না কেউ

    বালুরঘাটে সাধারণ মানুষের কাছে এইরকম আবহাওয়া স্মরণাতীত। ছোট থেকে যাঁরা বালুরঘাটে বড় হয়েছেন, তাঁরাও মনে করতে পারছেন না, এত দীর্ঘ সময় বৃষ্টিবিহীন বালুরঘাট কবে ছিল। এত গরম (Balurghat Heat wave) এর আগে কখনও হয়েছে বলে তাঁদের জানা নেই। সকাল থেকেই রাস্তাঘাট ফাঁকা। অফিসপাড়াতেও সেভাবে ব্যস্ততা চোখে পড়ছে না। জেলাবাসী তাকিয়ে রয়েছেন আকাশের দিকে এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য।

    কংক্রিটের বহুতলই কি এর কারণ?

    গত বছর এই মরশুমে বালুরঘাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫° সেলসিয়াস, এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১°। যা গরমের মরশুমের রেকর্ড তাপমাত্রা (Balurghat Heat wave)। বালুরঘাট শহরের এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ গাছ কেটে, জলাশয় ভরাট করে কংক্রিটের বহুতল গড়ে তোলা বলে জানান পরিবেশপ্রেমী তুহিনশুভ্র মন্ডল। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পুরসভা, প্রশাসন সহ শহরের মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।

    তিনি বলেন, আসলে বালুরঘাটের মতো আপাত দূষণহীন একটা শহরে, বালুরঘাটের মতো সবুজ একটা শহরে কেন হঠাৎ এত গরম বাড়ছে? আমরা একটা সমীক্ষা করে দেখেছি, প্রতি বছর শহরে গাছের সংখ্যা কমছে। প্রতি বছর ক্রমশ হাইরাইজের সংখ্যা বাড়ছে, জলাভূমিকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা অনেকবার পৌরসভা এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সচেতনতার বার্তা নিয়ে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছেছি। বিপদ আমাদের ঘরের দুয়ারে চলে এসেছে। পরিবেশকে বাঁচাতে না পারলে আমরা কেউ বাঁচবো না। এটা বোঝার সময় হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chicken: সানস্ট্রোকে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    Chicken: সানস্ট্রোকে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে পোলট্রি ফার্মে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মুরগির (Chicken)৷ আর এই কারণে আগুন দাম হতে পারে মুরগির মাংসের, এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি ২৪০ টাকার আশপাশে দাম চলছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এরকম চলতে থাকলে তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেটাই এখন চরম দুশ্চিন্তার বিষয়। বোলপুরের বেশ কয়েকটি ফার্মে কয়েকদিন ধরেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে মুরগি৷ স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের৷

    কোনও ব্যবস্থাই কাজে আসছে না

    কয়েকদিন ধরেই বীরভূমের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে৷ কখনও কখনও ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল সাধারণ জনজীবন৷ অতিষ্ঠ পশু-পাখিরাও৷ শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতরের তরফে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বইছে লু৷ এই তাপপ্রবাহের কা্রণেই মৃত্যু হচ্ছে পোলট্রি মুরগির (Chicken)। বোলপুরের সিয়ান এলাকায় প্রচুর পোলট্রি মুরগির ফার্ম রয়েছে। এমনিতেই গরমে মাংসের বিক্রি কমে গিয়েছে। কমেছে ডিমের চাহিদাও। গরম থেকে মুরগিদের বাঁচাতে ফার্মের জলছাদ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ফ্যান। তা সত্ত্বেও প্রতিদিন শয়ে শয়ে মুরগি মারা যাচ্ছে৷ দাবদাহ এতটাই বেশি যে কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না৷ 

    কী বলছেন ফার্ম মালিকরা?

    এক পোলট্রি ফার্ম মালিক মনির শেখ বলেন, “রোজ এসে দেখছি ৫০ থেকে ৬০ টি করে মুরগি মরে পড়ে আছে৷ এত গরম পড়েছে, সানস্ট্রোক হয়ে মারা যাচ্ছে মুরগি (Chicken)৷ ছাদে জল দিচ্ছি। ফ্যান লাগিয়ে দিচ্ছি। তাতেও কাজ হচ্ছে না৷ শুধু আমার ফার্মে নয়, আশপাশের ফার্মেও একই অবস্থা।”

    মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    উল্লেখ্য, পোলট্রির মুরগি এমনিতেই দুর্বল প্রাণী৷ অতিরিক্ত গরম ও ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না৷ এবছর তাপমাত্রার পারদ চড়তেই থাকছে৷ এখনই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে তীব্র গরমে প্রতিটি ফার্মে রোজ শয়ে শয়ে মৃত মুরগি (Chicken) মিলছে৷ যাতে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের৷ প্রসঙ্গত, এই তীব্র দাবদাহ থেকে বল্লভপুর অভয়ারণ্যের হরিণদের রক্ষা করতে জলের সঙ্গে ওআরএস দেওয়া হচ্ছে৷ শরীর ঠান্ডা রাখতে ভূট্টো পাতা, সবুজ পাতা খাওয়ানো হচ্ছে। নিয়মিত নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা কিন্তু মুরগি নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: ‘বন্দে ভারত’-এর জন্য হাওড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণে উদ্যোগী রেল, ফাইল আটকে নবান্নে!

    Vande Bharat Express: ‘বন্দে ভারত’-এর জন্য হাওড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণে উদ্যোগী রেল, ফাইল আটকে নবান্নে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সৌজন্যে রাজ্যে চলাচল করছে হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। হাওড়া স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াতকারী এই সুপারফাস্ট ট্রেনটিকে ঘিরে যাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপন তুঙ্গে। রেলমন্ত্রক এখন চাইছে, হাওড়া স্টেশনে এই ট্রেনের ঢোকা ও বেরনোর পথ আরও সুগম, আরও মসৃণ করতে। বন্দে ভারতের মতো ভিভিআইপি ট্রেনের যাত্রীরা যাতে প্ল্যাটফর্মে নানারকম অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন, তার জন্যও সচেষ্ট হয়েছে রেল। কিন্তু হলে কী হবে, অভিযোগ উঠেছে, সেই চিরাচরিত রাজ্যের অসহযোগিতায় ওই প্রকল্পটি দিনের আলো দেখতে পাচ্ছে না। রাজ্যের এই মনোভাবে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ রেল তথা কেন্দ্রীয় সরকার।

    হাওড়া স্টেশনে কী প্রকল্প হাতে নিয়েছে রেল?

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য ১ নম্বর প্লাটফর্মটিকে আরও লম্বা এবং প্রশস্ত করা হবে। বর্তমানে এর যা দৈর্ঘ্য, নতুন প্লাটফর্ম হবে তিনগুণেরও বেশি। ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্লাটফর্ম বেড়ে হবে ৬৩০ মিটার। স্বাভাবিকভাবেই তা ছাড়িয়ে যাবে বঙ্কিম সেতু। ‘গতিশক্তি’ প্রকল্পের আওতায় এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। অর্থ আছে, আছে উদ্যোগও। কিন্তু রাজ্যের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, বলছেন রেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা।

    রাজ্যে কোথায় আটকে রয়েছে অনুমোদন?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজ করার জন্য বঙ্কিম সেতুর একাংশে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে ২৫ দিন। সে কথা জানিয়ে তারা কেএমডিএ-কে চিঠি দিয়েছে তা প্রায় ছ-মাস আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সবুজ সংকেত আসেনি। অন্যদিকে, কেএমডিএর একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই কাজ করতে হলে বঙ্কিম সেতু যেভাবে বন্ধ রাখতে হবে, তা নিয়ে তারা চিন্তিত। এই কারণে বিষয়টির (Vande Bharat Express) অনুমোদন পেতে তারা দ্বারস্থ হয়েছে নবান্নের। সেই ফাইল এখন বিবেচনার জন্য পড়ে রয়েছে।  ফলে এই প্রকল্প আদৌ দিনের আলো দেখবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুমতিদানের পরেও পুলিশি বাধা! অবশেষে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে সুকান্তর সভা হচ্ছে কেশপুরে

    BJP: অনুমতিদানের পরেও পুলিশি বাধা! অবশেষে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে সুকান্তর সভা হচ্ছে কেশপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেশপুরে সভার অনুমতি না পেয়ে বিচারপতি মান্থার এজলাসেই মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি সুকান্তকে সভা করার অনুমতি দিলেন। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে শুভেন্দুর চন্দ্রকোনার সভা নিয়েও একইরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেসময় বিরোধী দলনেতাও হাইকোর্টের দারস্থ হন। মেলে সভার অনুমতি। আজও ঘটনাক্রম একই থাকল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের চাপেই পুলিশ বারবার সভার অনুমতি বাতিল করছে। প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে একটি পথসভা রয়েছে বিজেপির। সেই সভায় বক্তব্য রাখার কথা সুকান্ত মজুমদারের। সভার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে সভাস্থল নিয়ে আপত্তি জানায় পুলিশ। বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হওয়া সুশীল ধাড়ার পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়ার কথা সুকান্তর।

    কেন আপত্তি পুলিশের

    উল্লেখ্য, আজ দুপুর কেশপুরের বিশ্বনাথপুর বাজার এলাকায় একটি পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার কথা সুকান্ত মজুমদারের। কিন্তু সভাস্থলে নিয়ে আপত্তি জানায় পুলিশ। কেশপুর থানা থেকে বিজেপির (BJP) কেশপুর দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে পুলিশ জানায়, সভার অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ওই জায়গায় সভা করা নিয়ে দুটি পৃথক আপত্তির কথা পুলিশের কাছে এসেছে। পরে আরও একটি আপত্তি পুলিশের কাছে আসে গ্রাম কমিটির তরফে। সেই কারণে আগামীকাল ওই জায়গায় সভা করতে নিষেধ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। অন্তিম মুহুর্তে বিজেপি দারস্থ হয় হাইকোর্টের, অবশেষে মিলল অনুমতি।

    কী বলল হাইকোর্ট

    এরপরই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কেন অনুমতি দেওয়া হয়নি সভার?
    বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন করেন, র‍্যালির ব্যাপারে অন্তত মাসখানেক আগে জানানো হয়েছে। এখন কেন আপত্তি করা হচ্ছে একেবারে শেষ মুহুর্তে, কেন? রাজ্যের তরফে বলা হয়, হাটচালা বাজার কমিটি আপত্তি করেছে।
    অভিযোগ, প্রথমে বাজার কমিটির প্রেসিডেন্ট মধুসুদন কারক অনুমতি দেন, কিন্তু পরে তিনিই আপত্তি জানান। কিন্তু কেন আপত্তি জানানো হল তা তদন্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share