Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TMC: তৃণমূলের জেলা কমিটিতে এবার ঠিকাদারদেরই রমরমা! বেজায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা

    TMC: তৃণমূলের জেলা কমিটিতে এবার ঠিকাদারদেরই রমরমা! বেজায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিকাদার-আবৃত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা কমিটি। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কমিটি আলিপুরদুয়ারের শাসকদলের অন্দরে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরখানেক আগে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়ির সভায় ঠিকাদারদের সম্পর্কে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। অনেকেই শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় ঠিকাদারি চালাত বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে অভিযোগ গিয়েছিল। অভিষেক জেলায় এসে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ঠিকাদারি করলে দল করা যাবে না। ফলে, দলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা অনেকেই আশায় ছিলেন, ঠিকাদারমুক্ত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরকেই এবারে দলের জেলা কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হবে। আর বাস্তবে নতুন কমিটি দেখে কর্মীরা হতবাক। নিচুতলার কর্মীদের বক্তব্য, এই ঠিকাদারদের দলে নেওয়ার অর্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করা। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।

    জেলা কমিটিতে কতজন ঠিকাদার রয়েছে, জানেন?

    ১২৭ জনের জেলা কমিটিতে আলিপুরদুয়ার শহর এলাকারই প্রায় ১০ জনের মতো প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ঠাঁই পেয়েছেন। এছাড়াও নামে-বেনামে ছোটখাট আরও কুড়িজন মতো ঠিকাদার রয়েছেন গ্রামাঞ্চলে, যাঁরা শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের ব্যবসাকেই মূলত ফুলেফেঁপে তুলেছেন। তৃণমূলের (TMC) জেলা কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন ঠিকাদাররা। আর জেলা কমিটিতে ঠিকাদারদের পদ দেখে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই হতাশা শাসকদলকে আরও অনেকটাই বিপাকে ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন চিন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি পেশায় একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। চিন্ময়বাবু বলেন, নিজের পেশাকে অস্বীকার করতে পারি না। তবে, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করব।

    জেলা কমিটিতে ঠিকাদার থাকা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের (TMC) আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, বিভিন্ন পেশার মানুষ দলের জেলা কমিটিতে রয়েছেন। এনিয়ে কোথাও কোনও বিরোধ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, দলের যুবরাজ ঠিকাদারদের দলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, জেলা নেতৃত্ব সে কথা কি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিগ্গা কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূল (TMC) দলটাই তো এখন ঠিকাদারদের দ্বারা পরিচালিত। তারাই লুটেপুটে খাবে, সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না। এই নতুন কমিটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সাধারণ মানুষের জন্য এই দল আর কাজ করবে না। এটা ব্যবসাদার, ঠিকাদারদের পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Demonstration: দিকে দিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার, পিএইচই-র জলাধারের সামনে বিক্ষোভে গ্রামের মহিলারা

    Demonstration: দিকে দিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার, পিএইচই-র জলাধারের সামনে বিক্ষোভে গ্রামের মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে রাজ্যজুড়ে। অন্যদিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে দিকে দিকে। সোমবার সকালেই আরামবাগে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা, যার জেরে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এদিন সেই পানীয় জলের দাবিতেই পিএইচই-র জলাধারের সামনে গ্রামের মহিলাদের বিক্ষোভে (Demonstration) উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলে। তাঁদের এই আন্দোলনে যোগ দিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মণ্ডল।

    কী অভিযোগ ঘিরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা?

    আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কিছুটা অংশে জল পরিষেবা দিয়ে থাকে পিএইচই এবং কিছুটা অংশে আসানসোল পুরসভা। তীব্র গরমে বেশ কয়েকদিন ধরে গোবিন্দপুর গ্রামে পিএইচই’র জল পরিষেবা অত্যন্ত অনিয়মিত বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সোমবার গ্রামের বেশ কিছু মহিলা একত্রিত হয়ে পিএইচই’র জলাধারের সামনে উপস্থিত হয়ে তীব্র বিক্ষোভে (Demonstration) ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এই তীব্র গরমেও জল পাচ্ছেন না তাঁরা। মহিলাদের আসতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মন্ডল এসে উপস্থিত হন সেখানে। তিনিও অভিযোগ করেন, জল পরিষেবা মানুষকে দিতেই হবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে পিএইচই জল দিচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগকে সমর্থন করে পিএইচইর আধিকারিকদের জল সরবরাহের ক্ষেত্রে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি। পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।

    কী বলছেন এখানকার কর্মীরা?

    বিক্ষোভ (Demonstration) প্রসঙ্গে এখানকারই এক অপারেটর বললেন, গরমের সময় এধরনের সমস্যা একটু হয়ে থাকে। সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যে কোনও কারণে হতে পারে। পুরসভা এবং পিএইচই মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে এখানে কর্মীরা থাকেন না বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, এতবড় প্রজেক্টে লোক না থাকলে কি চলে?  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: ২১ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে জীবনকৃষ্ণ, জেরায় উঠে আসবে আর কী কী তথ্য?

    Jiban Krishna Saha: ২১ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে জীবনকৃষ্ণ, জেরায় উঠে আসবে আর কী কী তথ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুরের বিশেষ আদালত। সোমবার সকালে তাঁকে মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর তাঁকে পেশ করা হয় আদালতে। সেখানেই শাসক দলের বিধায়ককে আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক।

    পরতে পরতে নাটক

    জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে সিবিআই হানা ও তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়া—এই দুইয়ের মধ্যে ফারাক ছিল প্রায় ৬৭ ঘণ্টার, যার পরতে পরতে লুকিয়ে ছিল একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত। সেই শুক্রবার সকালে শুরু হয় তদন্তকারীদের অভিযান। সিবিআই দেখেই বাড়ির পাশের পুকুরে নিজের জোড়া মোবাইল ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। সেই শুরু। এক সময় বিধায়ককে দেখা যায়, পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টাও করছেন। তাঁকে পাকড়াও করা হয়। তারপর পুকুরের জল ছেঁচে ৩৮-ঘণ্টা পর একটা মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ৬৫-ঘণ্টা পর পুকুরের ধারের ঝোপ থেকে দ্বিতীয় ফোনও উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘক্ষণ জেরা পর্বের পর অবশেষে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের

    এদিন আদালতে পেশ করা হলে, বিধায়কের জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন৷ টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য প্রার্থীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। তল্লাশির সময় ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। সিবিআইয়ের আইনজীবীর আরও দাবি, জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর মূল্যবান নথি পাওয়া গিয়েছে৷

    পাল্টা জীবনকৃষ্ণর (Jiban Krishna Saha) আইনজীবী বলেন, ‘জীবনকৃষ্ণকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি নির্দোষ। তাঁর বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও ছোট সন্তান রয়েছে। তাই তাঁকে যেন জামিন দেওয়া হয়।’ সওয়াল শুনে ধৃত তৃণমূল বিধায়ককে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    কী জানার চেষ্টায় সিবিআই?

    নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে রাজ্যের আরও কয়েকজন বিধায়ক। সিবিআই-এর দাবি, ইতিমধ্যেই ৮-১০ জন বিধায়কের নাম উঠে এসেছে। বিভিন্ন জেলার এই বিধায়করা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। কেউ নিজের লেটার প্যাডে চাকরির সুপারিশ করেছেন। কেউ আবার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছেন। এই চাকরি-বিক্রি চক্রে আরও কোনও বিধায়ক আছেন কি না, তা জানতে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) জেরা করতে চায় সিবিআই। প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যক্তির ও সন্দেহভাজনদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে। 

  • MLA: ‘‘আমার কাছেও ঘুষ চেয়েছিল জীবন’’! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক বাবা

    MLA: ‘‘আমার কাছেও ঘুষ চেয়েছিল জীবন’’! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে। সেই খবর সাঁইথিয়ার বাড়িতে বসে টের পেয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কের (MLA) বাবা বিশ্বনাথ সাহা। ছেলের কী হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে সেদিকে নজর রাখছিলেন বৃদ্ধ বাবা। বাবা হিসেবে ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করাই স্বাভাবিক ঘটনা। ৬৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পর সোমবার ভোরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সাত সকালে উঠে সেই খবরও পান বিশ্বনাথবাবু। ছেলে গ্রেফতার হওয়ার খবর জানতে পেরে অনেকটাই স্বস্তি পান তিনি। এতদিন ধরে মনে মনে ভগবানের কাছে এটাই হয়তো প্রার্থনা করছিলেন। আর সেটাই সত্যি হওয়ায় বুকে বল ফিরে পান তিনি। ছেলে নিজের খাসতালুক ছেড়ে নিজাম প্যালেসে যেতেই ছেলের বিরুদ্ধে জমে থাকা একরাশ ক্ষোভ তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে উগরে দেন।

    বিধায়ক (MLA) ছেলের বিরুদ্ধে বাবার ঠিক কী অভিযোগ?

    বীরভূমের সাঁইথিয়ার তালতলায় নন্দকিশোরী রাইস মিল নামে একটি চালকল রয়েছে বিধায়কের (MLA) বাবা বিশ্বনাথ সাহার। তিনি বলেন, রেশন ডিলার হিসেবে মিড ডে মিলের টেন্ডারে আমি আবেদন করেছিলাম। তালিকায় এক নম্বরে নাম ছিল। নিয়ম অনুযায়ী আমারই সেই টেন্ডার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেলে ওই টেন্ডার পাওয়ার জন্য আমার কাছেও ঘুষ চেয়েছিল। ঘুষ দিইনি বলে ও আমাকে টেন্ডারটি দেয়নি। অন্যজনের কাছে থেকে ঘুষ খেয়ে তাকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিল। চাকরি করে দেওয়ার জন্য কার কাছে কত টাকা নিয়েছে, আমার জানা নেই। অনেকেই ওর কাছে আসত দেখতাম। কিন্তু, ওর ভয়ে আমি কিছু বলতে পারতাম না। আর যে সামান্য কাজের জন্য বাবার কাছে ঘুষ চায়, সে অন্যের কাছে কাজের জন্য ঘুষ খাবে না, এটা হতে পারে না। আমার গোডাউনে ও অফিস তৈরি করেছিল। আমাকে গোডাউনও ব্যবহার করতে দিত না। আমার ব্যবসার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিছু বললেই শাসকদলের বিধায়ক (MLA) বলে আমাকে হুমকি দিত। আমাকে মারধর করতে আসত। সিবিআই হানা দেওয়ার এক সপ্তাহ আগেই আমাকে ও হাজতে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তৃণমূলের বিধায়ক (MLA) বলে আমি সবসময় ভয়ে থাকতাম। আমি আর ওকে ছেলে বলেই মনে করি না। আমার সঙ্গে আর ওর কোনও সম্পর্ক নেই। নিজের বাবার সঙ্গে যে এই ব্যবহার করতে পারে, সে সকলের সঙ্গে দুর্নীতি করবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই, সিবিআই ওকে গ্রেফতার করায় আমার কিছু মনে হয়নি। কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ অটো বন্ধের ফতোয়া! ধুন্ধুমার তারাপীঠে, বিক্ষোভ বিজেপির

    Tarapith: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ অটো বন্ধের ফতোয়া! ধুন্ধুমার তারাপীঠে, বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বেশ কয়েকজন অটোচালককে অটো চালাতে দিচ্ছে না তৃণমূল। এই অভিযোগ ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল তারাপীঠ (Tarapith)। বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন আটলা মোড়ে রাস্তার ওপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিজেপি-তৃণমূল বচসায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপক্ষের হাতাহাতিও হয়। পুলিস গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাধারণ যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।

    বিজেপির মূল অভিযোগ কী?

    বিজেপি নেতা তারক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল ইউনিয়নের নেতা বলেছে, তারাপীঠে (Tarapith) রামনবমীর পতাকা সব খুলে ফেলতে হবে। আমরা সব দেখে নেবো। অমিত শাহর সভায় যাওয়ার জন্য নাকি দুজন অটোচালককে অটো লাগাতে দেবে না। গরিব, খেটেখাওয়া মানুষের পেটে লাথি মারার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস? পশ্চিমবঙ্গবাসী দেখুন, কোন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যটাকে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ওরা আমাদের ওপর হামলাও চালিয়েছে। এ নিয়ে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি তিনি দিয়েছেন।

    অভিযোগের উত্তরে কী বললেন তৃণমূল ইউনিয়নের নেতা?

    তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের সেক্রেটারি নাশির শেখের বক্তব্য, এটা ভুল ধারণা। পাটির কোনও ব্যাপারে গাড়ি বন্ধ করা হয়নি। তারাপীঠে (Tarapith) ইউনিয়নের একটা সিস্টেম আছে। সেই অনুযায়ীই গাড়ি বন্ধ করা হয়েছিল সাতদিন। ইউনিয়নের নিয়মভঙ্গ করার জন্য ওদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। অনেকেই আছে, বেলাইনে ভাড়া খাটে। ওদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। সেটা নিয়ে বিজেপি এরকম করবে, আমরা ভাবতে পারিনি। এই সমস্যার সমাধান আমরা কালই করে দিয়েছিলাম এবং ওদের লাইনে গাড়ি লাগাতে বলেছিলাম। তা না করে ওরা আজ অত্যাচার শুরু করে দিল। ওরা আমাকেও মারধর  করেছে। দোষীকে গ্রেফতার করা না হলে তাঁরাও অটো চলাচল বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেন।

    কী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

    অবরোধ, ধর্মঘট এসব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতির বিরুদ্ধে। তাই যারা ধর্মঘট করবে বলেছিল, আমি তাদের তা না করার জন্য অনুরোধ করেছি। ওরা সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। একইসঙ্গে আমি পুলিশকেও অনুরোধ করেছি, যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বিজেপির অমিত শাহের সভায় যাওয়ার জন্যই তারাপীঠে (Tarapith) অটো চালাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক না, কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Case: ডিএ ইস্যুতে দশদিনের মধ্যে বসতে হবে রাজ্য এবং কর্মচারী সংগঠনগুলিকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    DA Case: ডিএ ইস্যুতে দশদিনের মধ্যে বসতে হবে রাজ্য এবং কর্মচারী সংগঠনগুলিকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা (DA Case) ইস্যুতে আগেই নবান্নের সঙ্গে কর্মচারী সংগঠনগুলিকে বৈঠকে বসার কথা বলেছিল হাইকোর্ট। সোমবার সেই মামলার পর্যবেক্ষণে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল উচ্চ আদালত। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘভাতার (DA Case) দাবিতে চলতি মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি পালন করে এসেছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রায় ৩০০ অধিক সদস্য। রাজধানীতে তাঁদের ওই ধর্না কর্মসূচিকে ভাল চোখে দেখেনি রাজ্য সরকার। আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবি আদায়ে ধর্নার পাশাপাশি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন। এই আবহে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে আদৌ বরফ গলবে কিনা তানিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। সবচেয়ে বড় কথা হল, মধ্যবর্তী কোনও রেট বা হার স্থির করতে হলে তার ভিত্তি কী হবে সেও একটা প্রশ্ন।
    তবে কলকাতা হাইকোর্ট যখন নির্দেশ দিয়েছে তখন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শিগগির ডাকতে হবে। 

    কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    হাইকোর্টের নির্দেশ, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হোক। সেই কমিটি দশ দিনের মধ্যে কর্মচারী সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসুক। আদালতের নির্দেশে এই বৈঠকে রাজ্য কর্মচারী সংগঠনগুলি থেকে পাঁচজন প্রতিনিধি থাকতে পারবেন। তবে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন যাতে সাধারণ মানুষের পরিষেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি না করে সেদিকেও কর্মীদের দায়িত্ববান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মহামান্য আদালত।
    ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এদিন বলেন, আন্দোলন যাতে সরকারি কাজে বাধা না তৈরি করে তা কর্মচারী সংগঠনগুলিকে দেখতে হবে। তাঁরা যাতে সহমত হন সেই পরামর্শও দিয়েছে আদালত।

    এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে ছ’বার পিছিয়েছে শুনানি। আগামী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এখন দেখার তার আগে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটির সঙ্গে কর্মচারী প্রতিনিধিদের বৈঠক কবে হয়। তাতে বরফ গলে কিনা।
    বিশেষজ্ঞদের মতে, নবান্ন ও কর্মচারী সংগঠনের মধ্যে আলোচনায় কোনও মধ্যপথ বেরোবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ (DA Case) বাড়ানোর পর আর এগোনো সম্ভব নয়। সরকারের কাছে সেই আর্থিক পরিসর নেই। আবার কর্মচারী সংগঠনগুলি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাইছে। তারা কোনও মধ্যবর্তী শর্তে রাজি হবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karma Tirtha:  মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘কর্মতীর্থ’ পড়ে রয়েছে কর্মহীন হয়েই, দোকানঘর হস্তান্তর কবে?

    Karma Tirtha: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘কর্মতীর্থ’ পড়ে রয়েছে কর্মহীন হয়েই, দোকানঘর হস্তান্তর কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন কোটি টাকা ব‍্যয়ে কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) তৈরি হলেও তা চালু করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে। যার জেরে আটকে রয়েছে দোকানঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও। আর এমনই অভিযোগ ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাসদর বারাসতে। যদিও উদাসীনতা কিংবা গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ যে শেষ হয়নি, সেটাকেই বড় করে দেখিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। একই দাবি করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষও। তবে এই নিয়ে কিন্তু চর্চা চলছেই। কবে এই প্রকল্প চালু হবে? কবেই বা কর্মতীর্থের দোকানঘর হস্তান্তর হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী অথবা দরিদ্র ব‍্যবসায়ীদের মধ্যে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে‌।

    নিচেরতলার অধিকাংশ দোকানঘর হয়ে গেলেও ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ

    সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে ব্লক এবং পৌরসভা ভিত্তিক একটি করে ‘কর্মতীর্থ’ (Karma Tirtha) তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও দরিদ্র ব‍্যবসায়ীরা তাঁদের নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এখানে। সেই উদ্দেশ্যেই বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে তৈরি হয়েছে কর্মতীর্থ প্রকল্পের দোকানঘর। তৃণমূল আমলে বিগত পৌরবোর্ডের শেষদিকে সরকারি সহায়তায় শুরু হয় কর্মতীর্থ প্রকল্পের কাজ। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। পৌরসভার নিজস্ব জমিতেই গড়ে উঠেছে তিনতলা বিশিষ্ট এই ‘কর্মতীর্থ’। প্রকল্পের নিচের তলার কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। দোতলা এবং তৃতীয়তলার কাজও সম্পন্ন হওয়ার মুখে। কর্মতীর্থের নিচের তলায় রয়েছে প্রায় ৪৫টি দোকানঘর। দোতলায় রয়েছে অন্তত ৪৬টি দোকান। এছাড়া তিনতলায় হবে আরও বেশ কয়েকটি দোকানঘর। প্রথমে কর্মতীর্থের কাজ জোরকদমে হলেও পরে তা ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ। যার ফলে দোতলা এবং তিনতলার কাজ শেষ হয়নি এখনও। তবে, নিচের তলার অধিকাংশ দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও তা ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দোকানঘর হস্তান্তর কিংবা তা চালু করার প্রয়োজন মনে করেনি জেলা প্রশাসন।ফলে, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে উপভোক্তাদের। এদিকে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মতীর্থ প্রকল্পে কাজ চললেও এখনও তা সম্পন্ন না হওয়ায় স্বভাবতই এই নিয়ে ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছে প্রকল্পের আওতাধীন উপভোক্তাদের মধ্যে। তবে, এই বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও প্রশ্নের মুখে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা।

    দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী কী বললেন?
     

    এই বিষয়ে প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী অজিত সাহা বলেন,”অনেকেই এসে জিজ্ঞাসা করে, কবে থেকে চালু হচ্ছে কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) প্রকল্প। যেহেতু বিষয়টি আমাদের জানা নেই, সেই কারণে সঠিকভাবে বলতেও পারি না অনেক সময়। কিছুদিন আগে ইঞ্জিনিয়াররা এখানে এসে সবকিছু খতিয়ে দেখেছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছে, তা বলতে পারব না। যতদূর জানি, পুরো বিল্ডিংয়ের কাজ এখনও শেষ করা যায়নি। সেই কারণেই চালু করা যাচ্ছে না”।

    একই সুর চেয়ারম্যানের গলাতেও

    একই সুর শোনা গিয়েছে বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা অশনি মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তাঁর কথায়, “প্রকল্পের বরাদ্দকৃত কিছু অর্থ এসে ফিরে যাওয়ায় কাজ শেষ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে ঠিকই তবে আশা করছি, চার-পাঁচ মাসের মধ্যে প্রকল্পের দোকানঘর হস্তান্তর করতে পারব আমরা। ইতিমধ্যে সেই তালিকাও আমাদের তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রকল্পের (Karma Tirtha) কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গেলেই তা চালু করা হবে”।

    সময় লাগবে আরও দু থেকে তিনমাস, জানালেন মহকুমাশাসক

    অন‍্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বারাসতের মহকুমাশাসক সোমা সাউ বলেন, “এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট। পৌরসভা এবং প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগেই এই প্রজেক্টের কাজ চলছে। দোকানঘর সম্পন্ন হয়ে গেলেও সেখানে দরজা, জানালা এবং বিদ্যুতের কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হতে আরও দু থেকে তিনমাস সময় লাগবে আমাদের। তারপরেই চালু করতে পারব এই কর্মতীর্থ (Karma Tirtha) প্রকল্প”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Raid: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    CBI Raid: উদ্ধার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল, কীসের খোঁজে ফের তল্লাশি পুকুরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে সোমবার ভোরেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার খোঁজ মিলল দ্বিতীয় মোবাইলেরও। ১৪ এপ্রিল সিবিআইয়ের নজর এড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক দুটি মোবাইল বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাত থেকে ওই পুকুরের জল বের করার কাজ শুরু হয়। মোবাইল উদ্ধার করা কী সম্ভব, তা নিয়ে তিনদিন ধরে চর্চা হয়েছে। সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরাও তিনটে পাম্প নামিয়ে পুকুর থেকে জল তোলার উদ্যোগ নেন। আর এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় শ্রমিক এবং মত্স্যজীবীরা। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পুকুরের ভিতর থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে, বাকী আরও একটি মোবাইলের খোঁজে নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়। সেই মতো সিবিআই (CBI Raid) ফের পুকুর থেকে মোবাইল খোঁজার উদ্যোগ নেয়। অবশেষে আরও একটি মোবাইলও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখন পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্কের খোঁজে পুকুরে জোরদার তল্লাশি চলছে। বিস্তারিত আসছে।

    কার খোঁজে পুকুরে ফের তল্লাশি?

    শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ সিবিআই (CBI Raid)  বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেয়। দিনভর চলে তল্লাশি। তৃণমূল বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শুক্রবার বিকেলের দিকে সিবিআই আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাঁর দুটি মোবাইল এবং পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন। এরপরই সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা মোবাইলের খোঁজে পুকুরে জল বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নামানো হয় তিনটি পাম্প। শনিবার সকালের মধ্যে জল অনেকটাই কমে যায়। প্রথমদিকে ৪ জন শ্রমিক এবং একজন মত্স্যজীবী মোবাইল খোঁজার কাজ শুরু করেন। কিন্তু, তা পর্যাপ্ত নয় বলে শ্রমিকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। পুকুরে নামানো হয় জেসিবি। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রথম ফোনটি উদ্ধার হয়। তবে, এই ফোনটি সম্ভবত বিধায়কের নিজের নয়। সেটি বিধায়কের স্ত্রীর ফোন। আর মোবাইলের সঙ্গে রবিবার পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুটি বোয়াল, ২২টি কই মাছ, ৩০টি শিঙি, দুটি শোল মাছ। পরে, দ্বিতীয় মোবাইলের খোঁজে পুকুরে ২২ জন শ্রমিককে নামানো হয়। তারমধ্যে সঞ্জীব বাগদি নামে এক শ্রমিকের হাতেই দ্বিতীয় মোবাইলটি ওঠে। পুকুরের মধ্যে মোবাইলের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক পেনড্রাইভ, হার্ডডিস্ক ফেলেছিলেন। তার খোঁজে পুকুরে নতুন করে ফের তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বিধায়ককে তোপ উপপ্রধানের

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বিধায়ককে তোপ উপপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) পূর্ব বর্ধমানের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ততই অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৫ মিনিটের ওপর লাইভ করে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলি এলাকার বিধায়ককে প্রকাশ্যে নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। পঙ্কজ গাঙ্গুলি জানান, এরপর হয়তো তাঁকে গাঁজার কেস দিয়ে জেলে ঢোকাতেও পারেন বিধায়ক। পাশাপাশি তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন। স্বাভাবিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এইভাবে বিধায়কের বিরুদ্ধে উপপ্রধানের নানারকম বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলকে।

    কেন এই বিতর্ক?

    গত কয়েকদিন ধরে পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায়শই বিতর্ক দানা বাঁধছে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলির। পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ বিনা টেন্ডারে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় কালনা মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তারপর থেকেই এই বিতর্কের সৃষ্টি।

    কী বলেছেন তৃণমূলের উপপ্রধান?

    শুক্র এবং শনি, পরপর দুদিন ফেসবুক লাইভে আসার পর পঙ্কজ গাঙ্গুলি আজও ফেসবুক লাইভে এসে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক (TMC) তপন চট্টোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করেন। পাশাপাশি পঙ্কজ গাঙ্গুলি জানালেন, দুমাস আগে তাঁর সিকিউরিটি ছিল। সেগুলি পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে তুলে নেন। ফলে যে কোনও সময় তাঁর ওপর আক্রমণ হতে পারে। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের জেলা সভাপতির?

    এই সমস্যার কথা জেলা সভাপতি (TMC) রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জানাতে তিনি বলেন , উপপ্রধানের উচিত হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম বক্তব্য রাখা। যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে দলকে জানাতে পারতেন।

    আক্রমণে বিজেপি

    অপরদিকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশে আসতেই আক্রমণ হেনেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কাটোয়া জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় জানান, এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়।। বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আগে বিজেপির কর্মীদের বহুবার গাঁজার কেস দিয়ে জেলে দিয়েছে। এবার খোদ উপপ্রধানকে এই কেস দিলে দিতেও পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Strike: দণ্ডিকাণ্ডে আদিবাসীদের ডাকা বনধে জনজীবন স্তব্ধ! বন্ধ দোকানপাট, রাস্তায় নামল না বাসও

    Strike: দণ্ডিকাণ্ডে আদিবাসীদের ডাকা বনধে জনজীবন স্তব্ধ! বন্ধ দোকানপাট, রাস্তায় নামল না বাসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে আদিবাসী সংগঠনের ডাকা বাংলা বনধে (Strike) সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর এবং উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভালোই প্রভাব পড়েছে। বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। এমনকী রাস্তায় কেউ বাইক নিয়ে বের হলে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। এক বাইক আরোহীকে চড় মারতেও দেখা গিয়েছে। সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও বনধ সমর্থনকারীরা তাতে বাধা দেন। সবমিলিয়ে এদিন বনধের (Strike) জেরে দুই দিনাজপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

    বনধে (Strike) কেমন সাড়া মিলল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়?

    ৭ ই এপ্রিল বালুরঘাটে তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানোর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন আদিবাসীরা। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তিন আদিবাসী মহিলাকে ভর সন্ধ্যায় প্রকাশ্য রাস্তায় দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিলেও খুশি নয় আদিবাসীরা। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের (Strike) ডাক দেয় আদিবাসীদের সংগঠন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। এদিন সকাল থেকেই বালুরঘাটে হিলি মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বনধ সমর্থকরা। সকাল থেকে সরকারি বাস চললেও অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত যান চলাচল। সকাল থেকেই দোকানপাট, বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে। এদিকে বনধের (Strike) কারণে এদিন সকাল থেকেই বালুরঘাট পাবলিক বাসস্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি যান চলাচল করছে না। সরকারি বাস চলাচল শুরু হলেও তা আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বনধ (Strike) সমর্থনকারীরা পিকেটিং করেন। জোর করে যাতায়াত করতে চাওয়ায় এক মোটরবাইক আরোহীকে থাপ্পড় মারে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। মূল গেট দিয়ে ঢুকতে বাধা পেয়ে দ্বিতীয় গেট দিয়ে পুলিশি ঘেরাটোপে প্রশাসনিক ভবনে ঢোকানো হয় জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণাকে। বনধ সফল করতে সবরকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। বনধের জেরে জেলার জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

    কী বললেন আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের নেতা?

    আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতা হেমন্ত মুর্মু বলেন, দণ্ডিকাণ্ডে পুলিশ প্রশাসন লোক দেখানো দুজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু, আমাদের দাবি, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। সেই দাবিতে আমাদের এই বনধ (Strike)। এদিন বনধে জেলায় ভালো প্রভাব পড়েছে। দাবিপূরণ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    বনধে (Strike) উত্তর দিনাজপুরে কতটা প্রভাব পড়ল?

    আদিবাসীদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে (Strike) মিশ্র প্রভাব পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলায়। জেলা সদর রায়গঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। রায়গঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি মোড় ও শহরের প্রবেশপথ কসবা মোড়ে দু জায়গায় পথ অবরোধ করেন আদিবাসীরা। এদিন বনধ সফল করতে সকাল থেকে পথে নামেন আদিবাসীরা। রায়গঞ্জের কসবা মোড়ে শুরু হয় বনধ সমর্থকদের জাতীয় সড়ক অবরোধ। ফলে, যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। শিলিগুড়ি মোড়েও শুরু হয় অবরোধ। মাদল, ধামসা ও তিরধনুক নিয়ে শিলিগুড়ি মোড়ে অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ আদিবাসীরা। দফায় দফায় আলোচনা চললেও কোনও লাভ হয়নি। বনধের (Strike) জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় রায়গঞ্জ শহর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share