Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Scam: তৃণমূলের মন্ত্রীর স্ত্রীও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! কোথায় জানেন?

    Scam: তৃণমূলের মন্ত্রীর স্ত্রীও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর না কেটেই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। বড়সড় এই দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়িয়েছে খোদ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না রানি বর্মনের। দলেরই এক নেতা এই অভিযোগ করেছিলেন। যা নিয়ে উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। তবে, এখন আর এটা শুধু অভিযোগ নেই, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হতেই তাঁকে ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর অঞ্চলের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায় পুকুর খনন নিয়ে মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শনিবারই ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগের তদন্তে জেলায় এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এদিন জেলার ইটাহার ব্লকে যান। সেখানে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন। অনেক জবকার্ডধারীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।

    মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে? Scam

    একশো দিনের প্রকল্পে জগদীশপুর পঞ্চায়েতে ২১ টি পুকুর খনন করা হয়। তারজন্য প্রায় ২২ লক্ষ টাকা সরকারি অর্থ খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে পুকুর না কেটেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই আর্থিক তছরূপের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যোৎস্না রানি বর্মন। এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের  জগদীশপুর অঞ্চলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মেহেতাব আলি। তিনি জেলা শাসক সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। প্রশাসন সেই অভিযোগের গুরুত্ব না দেওয়ায়, তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।  আদালত উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জেলা প্রশাসন খাড়ি সরিয়াবাদ গ্রামের তিনটি পুকুর খননের তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেন। আদালত সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধানকে ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

    তৃণমূলের  জগদীশপুর অঞ্চলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মেহেতাব আলি বলেন, তিনটি পুকুর নয়, আরও ১৮টি পুকুরে দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে। প্রশাসনের সব পুকুর খতিয়ে দেখে যে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে তার সঠিক বিচার করা দরকার। আর টাকা ফেরতের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে,জগদীশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোৎস্নারানির স্বামী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে, জগদীশপুর অঞ্চলটি বন্যা প্রবণ এলাকা। ২০১৮ সালে পুকুর খনন করা হয়েছিল। পুকুর মাপা হল ২০২৩। বন্যার সময় পলি জমে পুকুরের নাব্যতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘ কয়েক বছর পর পুকুরের মাপ হওয়ায় সঠিক তথ্য না পাওয়ায় আদালত এধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিযোগকারী মেহেতাবের চরিত্র এবং  দলে তার অবস্থান নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: মুর্শিদাবাদে ফের তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল কংগ্রেস, কেন জানেন?

    Congress: মুর্শিদাবাদে ফের তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল কংগ্রেস, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয় কংগ্রেস (Congress) । আর তারপর থেকে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীরা নতুন করে অক্সিজেন পেতে শুরু করেন। সাগরদিঘিতে তৃণমূলের ভরাডুবি নিয়ে শুক্রবারই কালীঘাটের বৈঠকে জেলার দুই সাংসদ আবু তাহের এবং খলিলুর রহমান রোষে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাগরদিঘি ভরাডুবি নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই বৈঠকে দলীয় কোন্দলের বিষয়টি সামনে আসে। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের বিষয়টি কমিটির সদস্যরা উল্লেখ করেন। তৃণমূল সুপ্রিমো দুই সাংসদকে প্রকাশ্যে বলেন, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তোমরা যোগাযোগ রাখছ। তাতে চড়ম বিড়ম্বনায় পড়েন দুই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের মুর্শিদাবাদে তৃণমূলে ভরাডুবি। শনিবার বহরমপুর জেলা কার্যালয়ের সামনে সাংসদ অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রায় দেড় হাজার তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে (Congress)  যোগদান করেন। কংগ্রেস সাংসদ তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই একসঙ্গে দেড় হাজার কর্মী যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস (Congress)  কর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন। সভা মঞ্চেই অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) বলেন, এই জেলায় তৃণমূল বলে আর কিছু থাকবে না। এই তো শুরু। এরপর আরও অনেকেই আমাদের দলে নাম লেখাবেন। চোরেদের দলে কেউ থাকবে না। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানগোলা, বেলডাঙা সহ একাধিক ব্লকের তৃণমূল কর্মীরা এদিন কংগ্রেসে (Congress)  যোগদান করেন। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দেওয়া এক নেতা আবদুল সালাউদ্দিন বলেন, তৃণমূল দলটা দুর্নীতিগ্রস্ত। এই দলে আর যুব সমাজ কেউ থাকতে চাইছে না। এদিন আমরা কয়েকশো কর্মীকে নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করলাম। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না।

    কংগ্রেসের যোগদান নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Congress

    এমনিতেই কালীঘাটের বৈঠকের পর সাগরদিঘির নির্বাচনের ভরাডুবি নিয়ে ব্যাকফুটে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এরমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে প্রায় দেড় হাজার কর্মী কংগ্রেসে (Congress)  যোগ দেওয়ায় শাসক দলের নেতা কর্মীরা অনেকটাই হতাশ। যদিও তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এত সংখ্যক তৃণমূল কর্মী যোগদানের বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, কংগ্রেসের (Congress)  ওটা নাটকের মঞ্চ। তৃণমূলের কোন নেতা, কোন পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছেন তা ওরা কেউ বলতে পারেনি। ফলে, দেড় হাজার কর্মী যোগ দেওয়ার কথা বলছে তা একেবারের ভিত্তিহীন। সবটাই লোক দেখানো।

    অন্যদিকে, এদিন কান্দিতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে সিপিএমের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র আসেন। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে হেরে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বিডিও, রির্টানিং অফিসার, পুলিশ আধিকারিক সবাই বদলি করে দিয়েছেন। আসলে নিচু তলার অফিসাররা আর ওদের কথা শুনছে না। ক্রমশ এই সংখ্যাটা বাড়ছে। আর ওদের দলের মধ্যেই যা অশান্তি হচ্ছে, সেটাই সবার আগে ওরা সামলালে ভালো হয়। পরে, রাজ্যে শান্তি ফেরানোর কথা ভাববে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack: ভাটপাড়ায় স্কুলে এসে পড়ুয়াদের উপর এভাবে হামলা চালাল প্রতিবেশী যুবক! কেন জানেন?

    Attack: ভাটপাড়ায় স্কুলে এসে পড়ুয়াদের উপর এভাবে হামলা চালাল প্রতিবেশী যুবক! কেন জানেন?

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ স্কুলের টিফিনের সময় ছোট ছোট পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে খেলা করছিল। তাতে একটু চিত্কার হয়েছে। এটাই অপরাধ। আর তার জেরেই প্রতিবেশী অমিত সাউয়ের কাঁচা ঘুম ভেঙে যায়। সমস্ত রাগ গিয়ে তার স্কুল পড়ুয়াদের উপর পড়ে। আর দুপুর বেলায় কাঁচা ঘুম ভাঙানোর অপরাধে নিজের বাড়ি থেকে লাঠি নিয়ে সটান হাজির হয় বাড়ি পাশে থাকা স্কুলে। আর লাঠি দিয়ে স্কুলের গেটের সামনে মহানন্দে খেলা করতে থাকা পড়ুয়াদের বেধড়ক পেটায় (Attack) বলে অভিযোগ। ভাটপাড়ার ৪ নম্বর গলির সর্বোদয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের মধ্যে এসে এভাবে পড়ুয়াদের লাঠিপেটা (Attack)  করতে দেখে সকলেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অমিত সাউ নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কেন সে এভাবে স্কুল পড়ুয়াদের মেরেছে তা পরিষ্কার নয়। তার মানসিক চিকিত্সা করা জরুরি। আদালতে বিষয়টি বলব।

    ঠিক কী ঘটেছিল? Attack

     প্রতিবেশী ওই যুবকের আচমকা হামলার (Attack)  জেরে ১৭ জন স্কুল পড়ুয়া জখম হয়। ক্লাস টু, থ্রি এবং ফোরের পড়ুয়া রয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই অভিভাবকরা পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে ভাটপাড়া থানার সামনে হাজির হন। তাঁরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। সে বন্ধুদের সঙ্গে টিফিনের সময় খেলা করছিল। সেই সময় ওই যুবক এসে আমার ছেলে সহ বন্ধুদের বেধড়ক মেরেছে (Attack) । এটা হতে পারে না। স্কুলের মধ্যে আমাদের ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা ওই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অন্য এক অভিভাবক বলেন, ওই যুবকের হামলায় (Attack)  আমার ছেলে জখম হয়েছে। ও মানসিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ও ভয়ে সিঁটিয়ে থাকছে। কারও সঙ্গে কথা বলছে না। আসলে খেলা করার সময় আচমকা হামলা (Attack)  চালিয়েছে বলে ও চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত যুবক প্রকাশ্যে যাতে আর বাইরে বের হতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এই ধরনের ঘটনা সে আরও করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Water:  পুরসভার পানীয় জলে এত দুর্গন্ধ! কোথায় জানেন?

    Water: পুরসভার পানীয় জলে এত দুর্গন্ধ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Water) সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলের কর না নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, দুর্গাপুর নগর নিগম সেই নির্দেশ না মেনেই প্রতিমাসে মিটার দেখে জলের (Water)  কর নেয়। প্রতিমাসে জল করও দেন শহরবাসী। কিন্তু, বিনিময়ে পুরসভার দেওয়া পাইপ লাইন থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধময় জল। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার মামরা বাজারের সিদ্ধেশ্বরী মার্কেট এলাকার ঘটনা। জলে এতটাই দুর্গন্ধ বের হচ্ছে যে টেকা দায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ,  নগর নিগমকে নিয়মিত জলের (Water)  ট্যাক্স দেওয়া হয়। বিনিময়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিবর্তে মিলছে দূষিত ড্রেনের জল। বাড়ছে পেটের রোগ আর চামড়ার রোগ। এলাকায় জলের কল খুললেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। সেই জল খাওয়া তো দূরের কথা, দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, মামরা বাজারের একটি ড্রেনের পাশেই রয়েছে জলের পাইপ লাইন। সেই পাইপ হয়তো কোনও কারণে ফুটো হয়ে গিয়েছে, আর সেখান দিয়েই ড্রেনের নোংরা জল (Water)  ঢুকে পড়ে এই বিপত্তি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, আমরা দিনে দুবার মাত্র দু ঘণ্টা জল পাই। আর সেই জল এখন বিষের সমতুল্য হয়ে উঠেছে। জলের (Water)  সমস্যায় থাকা পরিবারগুলিকে অনেক দূরে থাকা একটি কুয়ো থেকে অথবা অন্যের বাড়ি থেকে জল (Water)  নিয়ে এসে  নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পুরসভার কর্মীরা এসে পাইপ লাইন খোঁড়াখুঁড়ি করছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

    কী পদক্ষেপ নিলেন দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য? Water

    পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Water)  সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পাইপ লাইনের আশপাশে অনেক ড্রেন রয়েছে। সেই ড্রেনের নোংরা জল (Water)  পানীয় জলের পাইপে কী করে ঢুকল তা নিয়ে পুরসভার কর্মীরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।  দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা প্রাক্তন জল দপ্তরের মেয়র পারিষদ সদস্য দীপঙ্কর লাহা বলেন, আমাদের কর্মীরা বিগত চার পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করে পাইপ লাইনের মধ্যে কোন সমস্যা আছে কিনা তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো  সমস্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি জলের (Water)  লাইন দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য এলাকার ট্যাপ থেকে জল (Water)  সংগ্রহ করা হয়েছে।   জলে দুর্গন্ধ রয়েছে এ কথা সত্যি। তবে, কাজ চলছে, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।   বিজেপির দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, দল নোংরা, তাই জলও নোংরা। দলেরই কোন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই তাহলে স্বচ্ছ জল (Water)  মিলবে কীভাবে? আর কয়েক মাস পরেই পুরসভা নির্বাচন হবে। তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তারপরেই স্বচ্ছতা কাকে বলে বিজেপি দেখাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে কোন্দল, কেন জানেন?

    Conflict: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলে কোন্দল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। আর তার প্রস্তুতির জন্য জেলা থেকে ব্লক পর্যন্ত ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলার পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকে গঠন করা হয়েছে প়ঞ্চায়েত নির্বাচনের কোর কমিটি। আর এই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শাসক দলের কোন্দল (Conflict)  একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেতাদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নতুন কমিটি গঠন নিয়ে অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়েছেন।  জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলেন, নতুন কমিটি দলকে শক্তিশালী করবে না। বরং, এতে দলের ক্ষতি হবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে বুক চিতিয়ে দল করছেন, তাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করা ঠিক কাজ হয়নি। আলোচনা না করেই এই নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর নতুন কমিটিতে এমন নাম রয়েছে, যাদের নাম অনেকেই আগে শোনেননি। ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকলে মিলে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। এটা হওয়া উচিত। কিন্তু, নতুন কমিটি দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব (Conflict) তৈরি করছে। অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে দলের সংগঠনকে আরও দুর্বল করে দবে।

    নতুন কমিটি গঠন নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? Conflict

    দক্ষিণ দিনাজপুর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ১১ মার্চ জেলা পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে সার্বিক আলোচনা করা হয়। পরে, জেলার ৮টি ব্লকেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটিতে অনেক নতুন মুখ আনা হয়েছে। তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, জেলা কমিটির বৈঠকে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দল যাকে যোগ্য মনে করেছে, তাকে সেখানে দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে, নতুন কমিটির মাধ্যমেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ শুরু করা হবে। এতে কোনও কোন্দল (Conflict) হওয়ার কিছু নেই। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, এটা তৃণমূলের সাংগঠনিক বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী  নিয়ে এরকম হাতাহাতি! কোথায় জানেন?

    Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে এরকম হাতাহাতি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রস্তুতি হিসেবে মালদহ জেলায় শাসক দলের নেতারা বুথে বুথে যোগ্য প্রার্থীর (Candidate) খোঁজে বৈঠক শুরু করেছেন। আর এই সব বৈঠকেই তৃণমূলের কোন্দল একেবারেই সামনে চলে আসছে। কয়েকদিন আগেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানাপাড়া বুথ কমিটির তৃণমূলের বৈঠকে প্রার্থী (Candidate)  ঠিক করা নিয়ে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বুধবার রাতে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় শিব মন্দির বুথে দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রার্থী (Candidate)  বাছাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। নিজেদের মধ্যেই বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। কর্মীরা  উপস্থিত নেতৃত্বের দিকে রীতিমতো তেড়ে যান। দলীয় নেতৃত্বকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।

     প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে ঠিক কী হয়েছিল? Candidate

     বুধবার রাতে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ছিল। উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের সভাপতি মোশারফ হোসেন, ব্লকের সহ- সভাপতি সাগর দাস, হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানেও এবার পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী (Candidate)  হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।এই বুথে প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নন্দ রজক, উত্তম ভাস্কর এবং নব মণ্ডলের নাম। এই তিন জনের মধ্যে মূলত নন্দ রজক এবং উত্তম ভাস্করকে প্রার্থী (Candidate)  করার জন্য জোরালো দাবি উঠতে থাকে। দুইজনের অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। বচসা থেকে হাতাহাতি। উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা তেড়ে যায় উপস্থিত নেতৃত্বের দিকে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নন্দ রজকের অনুগামী মিলন কর্মকার বলেন, দলীয় প্রার্থী (Candidate) হিসেবে নন্দ রজক যোগ্য। তাই, তাঁকে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করতে হবে। আমরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে সেই দাবি জানিয়েছি। উত্তম ভাস্করের অনুগামী বাসন্তী দাস বলেন, বহু বছর ধরে আমি দল করছি। কেউ কিছু দেয়নি। শেষবারের মতো আমি উত্তমকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। কারণ, উত্তম ভোটে জিতলে এলাকায় উন্নয়ন হবে। ও সব সময় গ্রামবাসীদের পাশে থাকে। তাই, এবার আমরা ওকে প্রার্থী (Candidate)  হিসেবে চাইছি।

    যদিও এই ঘটনার মধ্যে শুভ সংকেত দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, আসলে দল বড় হয়েছে, তাই এক বুথে একাধিক দাবিদার। এটা মানুষের মমতা ব্যানার্জির প্রতি ভালোবাসার উত্তেজনা। দলীয় কোনও কোন্দলের বিষয় নয়। আর কোনও কর্মী তেড়ে আসেনি। তাঁরা আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, তৃণমূল দলে অনুশাসন বলে কিছু নেই। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আগামী পাঁচ বছর ধরে কে লুটেপুটে খাবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি চলছে। ওদের দলে এসব ঘটনা যত হবে, তত ওরা মানুষের থেকে দূরে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Attack:  নৈহাটি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যানের ছেলে গ্রেপ্তার, কেন জানেন?

    Attack: নৈহাটি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যানের ছেলে গ্রেপ্তার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিজেপি নেতা সৌমেন সরকারের উপর হামল (Attack) চালানোর ঘটনায় নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করল। অভিজিতবাবু তৃণমূলের দাপুটে যুব নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ। শাসক দলের খোদ চেয়ারম্যানের ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তবে, কে বা কারা তাঁর সঙ্গে এই ষড়যন্ত্র করেছে  সেই বিষয়ে তিনি আর খোলসা করে কিছু বলেননি। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে দলের জেরবার অবস্থা। এরমধ্যেই চেয়ারম্যানের ছেলের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী হয়েছিল? Attack

    বুধবার সন্ধ্যায় নৈহাটি নদীয়া জুট মিলের গেস্ট হাউসের সামনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষকে (Attack)  কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সামান্য মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আর হামলার জেরে  বিজেপি নেতা সৌমেন সরকার ওরফে নাচু এবং তৃণমূলের যুব নেতা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জখম হন। সৌমেনবাবুর মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুপক্ষই নৈহাটি থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এই সৌমেনবাবুর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৩ শে মে তৃণমূল পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় দলবল নিয়ে এসে হামলা (Attack)  চালিয়েছে। আসলে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই ওরা এসব করছে। সৌমেনবাবুর মাথায় এগারোটি সেলাই হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। অন্যদিকে, এই বিষয়ে নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার ছেলে একটা নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাচ্ছিল।  সেই সময় এই সৌমেন সরকার তাঁকে উদ্দেশ্য করে নানা ধরনের মন্তব্য করে। অভিজিত্ আপত্তি জানালে  তাঁকে লক্ষ্য করে সে বাঁশ  দিয়ে হামলা (Attack)  চালায়। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। কয়েকজন জখম হয়েছে। ২০১৯ সালে এই নাচুই নৈহাটিতে পরিবেশ অশান্ত করেছিল। এদিন সে ফের অশান্তি করার চেষ্টা করছিল। তৃণমূলের ছেলেটা তা রুখে দিয়েছে। বুধবার ঘটনার পর পরই অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আমি বাইকে করে যাচ্ছিলাম। আমাকে দেখেই ও গালিগালাজ করতে থাকে। আমি বাইক থামিয়ে আপত্তি জানাই। এরপর ও আমার উপর হামলা করে। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগে অভিজিত্ চট্টোপাধ্যায়সহ দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River:  নদীর জমি চুরি করে এভাবে চলছে চাষাবাদ! জানেন কোথায়?

    River: নদীর জমি চুরি করে এভাবে চলছে চাষাবাদ! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অবাস্তব মনে হলেও সত্যি। আস্ত একটি নদী (River) বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বলা ভাল, নদীর জমি চুরি করে নিজেদের নামে করে নিয়েছে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। আর সেই নদী(River)  এখন পরিণত হয়েছে চাষের জমিতে। রমরমিয়ে সেখানে চলছে চাষবাস। এমনকি চাষ করার জন্য বৈধ কাগজ পেয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। একসময়ে জল টল টল করা শ্রীমতি নদীর(River)  এমনই বেহাল ছবি ধরা পড়েছে। ধীরে ধীরে নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এই নদী এখন পুরোপুরি চরে পরিণত হয়েছে। জলা জমি ডাঙা জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, নদী দখল করে চলছে চাষাবাদ। বেশ কিছু এলাকায় রীতিমতো কংক্রিটের  নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নদীর (River)  জমি দখল করা চাষিদের বক্তব্য, চাষের জমির নিজস্ব দলিল আমাদের কাছে রয়েছে।  তবে, কে তাঁদের আস্ত এই নদী বিক্রি (River)  করল, সে বিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

    কেমন ছিল শ্রীমতি নদী? River

    একসময় বাংলাদেশ থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা এই নদী (River)  ইটাহার ব্লকের মারনাই এলাকায় মহানন্দা নদীতে মিশেছে। জল থৈ থৈ করত এই নদী (River) । দুপারের বাসিন্দারা এই নদীর জল ব্যবহার করতেন। দুপারে যে সব জমি ছিল, নদীর জলের চাষাবাদ হত। কিন্তু, গরম কালে নদীতে (River)  জল কম থাকার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষের হাত ধরে ধীরে ধীরে নদী দখল হতে শুরু করে। ভূমি দপ্তরকে হাত করেই নদীর জমি নিজের নামে করে নেয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। এমনকী তাঁরা নদীর জায়গা বলে মানতে নারাজ। তাঁরা  রায়ত জমি হিসাবে প্রয়োজনীয়  কাগজপত্রও দেখিয়ে দেন। নদী বাঁচাও কমিটির সদস্য প্রসূণ কুমার দাস বলেন, আমরা সংগঠন তৈরি করে নদী (River)  বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা দরবার করেছিলাম। কয়েক বছর আগে জেলাশাসকের নির্দেশে বিডিওর উদ্যোগে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে নদী সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কাজ করতে গিয়ে জানা যায়, নদী বলে কিছু নেই। নদী (River)  বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সব ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এই ঘটনার আমরা তদন্ত দাবি করছি।

    কালিয়াগঞ্জ শহরের  বিজেপি নেতা গৌরাঙ্গ দাস বলেন, প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আমলে শ্রীমতি নদীর সংস্কারের কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাম সরকারের উদাসীনতায় তা সম্ভবপর হয়নি। পরবর্তীকালে সরকারের পক্ষ থেকেও নদীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রাম নিবাস সাহা বলেন,  মহকুমা শাসক ও বিএলআরওকে বিষয়টি জানিয়েছি। সেখানে ভোগ দখলকারী অনেকের কাছে বৈধ কাগজও রয়েছে বলে শুনেছি। নতুন করে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, এভাবে নদী (River)  দখল করে চাষবাস চলতে থাকলে একদিন নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলবে। নদী (River)  গতিপথ পরিবর্তন করবে। এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হবে। এই বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ভূমি রাজস্ব দপ্তরকে জানাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: শৌচালয় তৈরির টাকা নিয়েও দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: শৌচালয় তৈরির টাকা নিয়েও দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য তোলপাড় চলছে। এবার শৌচালয় দুর্নীতি সামনে এল। গরিব মানুষের বাড়িতে শৌচালয় তৈরির করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।  ঘটা করে পুরসভার পক্ষ থেকে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচালয় তৈরির আশ্বাসও দিয়েছিল। উপভোক্তাদের কাছে থেকে ৮০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে প্রতিশ্রুতিই সার। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ক্ষুব্ধ দুর্গাপুর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিরসা মুন্ডা কলোনির বাসিন্দারা। অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে পয়সা খরচ করে শৌচালয় তৈরি করেছেন, সেখানেও পুরসভার পক্ষ থেকে নির্মল বাংলা প্রকল্পের স্ট্যাম্প লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর শৌচালয়ের জন্য আসা লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি (Scam) করা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলারকে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। প্রাতঃকৃত্যের জন্য নর্দমায় একমাত্র ভরসা এলাকাবাসীর। তাঁদের দাবি, দ্রুত শৌচালয় নির্মাণ করে দিতে হবে।

     শৌচালয় দুর্নীতি নিয়ে কী চাইছেন এলাকাবাসী? Scam

    বহু বছর আগে রেলের জমিতে বিরসা মুন্ডা কলোনি গড়ে উঠেছে।  এলাকার অধিকাংশ পরিবারই দুঃস্থ। মাটি ও দরমা সহ টালি, টিনের চালের বাড়িঘর রয়েছে। ভোটার সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রাতঃকৃত্যের জন্য একমাত্র ভরসা  এলাকার নর্দমা। ২০১৭ সালে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প আসায় এলাকাবাসী এক নতুন আশার আলো দেখানো হয়। তাঁরা জানতে পারেন, এলাকার প্রতিটি বাড়িতে সরকার থেকে শৌচালয় নির্মাণ করে দেওয়া হবে। সেই মত এই প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার বাড়ি বাড়ি বেশকিছু নির্মাণ সামগ্রী মজুত করে। অভিযোগ, এলাকাবাসী উৎসাহিত হয়ে ঠিকাদারের কথা মত তাঁকে ৮০০ টাকার করে জমা দেন। এর পরেই ওই নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এলাকা থেকে ওই ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। এমনিতেই এই প্রকল্পে সরকারের পক্ষ থেকে উপভোক্তাদের শৌচালয় তৈরির জন্য ১০  হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা নিয়ে ঠিকাদার কী করল? টাকা জমা দেওয়ার শৌচালয় তৈরি না হওয়ায় এখনও তাঁরা নতুন করে শৌচালয় করতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষী মণি সোরেন বলেন, আমাদের এই এলাকায় সকলেই দিনমজুর। তার মধ্যে খুব কষ্ট করে ৮০০ টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, শৌচালয় আজও হয়নি। আমি শারীরীক সমস্যার কারণে ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। নর্দমাতে প্রাতঃকৃত্য সারতে হয়, খুব সমস্যায় আছি আমরা। মনোজ সোরেন নামে অন্য এক বাসিন্দা বলেন, এলাকায় কয়েকটি শৌচালয় করেছিল। সেগুলো নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায় ভেঙে গিয়েছে। আর কিছু মানুষ শেষমেশ নিজেরা শৌচালয় তৈরি করে নেয়। তাঁদের ক্ষেত্রে শৌচালয়ে পাতলা টিনের দরজা লাগিয়ে মিশন নির্মল বাংলার স্ট্যাম্প দিয়ে ছবি তুলে নিয়ে চলে যায়। এভাবে সকলের টাকা ওরা আত্মসাৎ করে নেওয়া হয়। লক্ষ লক্ষ টাকার এই দুর্নীতির(Scam)   আমরা তদন্ত চাই।

    এলাকার তৃণমূল নেতা তথা  প্রাক্তন কাউন্সিলার শশাঙ্ক শেখর মণ্ডল বলেন, ওই এলাকায় সিপিএমের কাউন্সিলার থাকাকালীন এই দুর্নীতি (Scam) হয়েছে। এলাকাবাসী এই অভিযোগ আমাদের জানিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ২০১২ এবং ১৭ তে পুরসভার বোর্ড ছিল তৃণমূলের। নিজেদের চুরি ঢাকতে এখন পাগলের প্রলাপ বলছে ওরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Water: পুকুরের জল পান করেন এই এলাকার বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    Water: পুকুরের জল পান করেন এই এলাকার বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জল স্বপ্ন প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যের ১৫.৭২ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল (Water) পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে সকলের ঘরে ঘরে পানীয় জল (Water)  পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্নফেরি করেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু, বাস্তবে পানীয় জলের অবস্থা কেমন তা হারে হারে টের পাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারিলা গ্রামের বাসিন্দারা। বর্ষাকাল বাদে প্রায় সব সময় জলকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করে এই এলাকায়। এলাকায় টিউবওয়েল থাকলেও সরু সুতোর মতো করে জল পড়ে। এলাকাবাসীর চাহিদা মেনে পরিস্থিতি সামাল দিতে পঞ্চায়েত থেকে গ্রামে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়। কিন্তু, গোটা গ্রামের চাহিদা তাতে পূরণ হয় না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরের জল (Water)  পান করেন। দিনের পর দিন এই এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা পুকুরের জল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শিল্পী ওড়াও বলেন, গরমে জলকষ্ট এতটাই তীব্র হয় যে পুকুরের জল পান না করা ছাড়া উপায় থাকে না। ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও জলের (Water)  সমস্যার সমাধান হয়নি।

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে কী মিটবে পানীয় জলের সমস্যা? Water

    ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তপন ব্লকে জল সংকট দূর করতে পানীয় জল (Water)  প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। সাত বছর পরও এলাকাবাসী জলের সুবিধা পাননি। পঞ্চায়েত সমিতি ও পিএইচই-র মাধ্যমে তপনের ভারিলার বেশ কিছু এলাকায় মার্ক-টু-টিউবওয়েল এবং জলের ট্যাপ  দেওয়া হয়েছে। তবে, সেগুলি থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল (Water)  পাওয়া যায় না। তাই, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পুকুরের জল ব্যবহার করেন গ্রামের বাসিন্দারা। কবে, এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলেন, তপন ব্লকের কিছু এলাকায় পানীয় জলের (Water)  সমস্যা রয়েছে। তারজন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করছি, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ওই এলাকার পানীয় জলের (Water)  সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। স্থানীয় বিধায়ক বুধরাই টুডু বলেন, শাসক দলের ইতিবাচক মনোভাবের অভাবের কারণে এই এলাকার মানুষ জল সংকটে ভুগছেন। তবে, বিধায়ক হিসেবে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share