Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • School: ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষকরা সামিল হওয়ার অপরাধে স্কুলে একী করল তৃণমূল?

    School: ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে শিক্ষকরা সামিল হওয়ার অপরাধে স্কুলে একী করল তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে অন্যান্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন গঙ্গারামপুরের পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (School) শিক্ষক শিক্ষিকারা। এটাই ছিল এই স্কুলের শিক্ষকদের অপরাধ। শুধুমাত্র সেই কারণে শনিবার তাঁরা স্কুলে (School)  গিয়ে দেখেন আগে থেকেই স্কুলে তালা ঝুলছে। খোঁজ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানতে পারেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা এই তালা ঝুলিয়েছে। শাসক দলের নেতারা তালা লাগিয়েছে, সেই তালা ভাঙা সাহসও কারও নেই। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা একজন সিভিককে পাঠিয়ে নিজেদের দায় এড়িয়েছেন। এই বিষয়টি শুধু পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয়, পাশের রাঘবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। তালা মারার ঘটনা অন্যদের জানাতে চাইলে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

     কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা? School

     বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ও যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। গঙ্গারামপুর পর্ত্তিপাড়া, রাঘবপুর সহ একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন। শনিবার স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেখেন তালা ঝুলছে।এদিকে ঠাঁই রোদে স্কুলের সামনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি পড়ুয়ারাও দাঁড়িয়ে ছিলেন। দুপুর একটার পর তৃণমূল নেতৃত্ব তালা খুলে দেন। দুপুর একটার পর স্কুল খোলার কারণে আজ স্কুলে মিড ডে মিলও হয়নি। এবিষয়ে পর্ত্তিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (School)  প্রধান শিক্ষিকা নূপুর সাহা বলেন, ধর্মঘটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। পুরো বিষয়টি জানানোর পরে আমরা ধর্মঘটে সামিল যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের এই অপরাধে স্কুলে তালা মেরে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা স্কুলে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় আমাদের গালিগালাজ করে।ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি।

    এবিষয়ে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শংকর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। ধর্মঘট, আন্দলোন করা এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। এই বিষয়ে সরকারকেও উদ্যোগ নেওয়া উচিত। আমরা যারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলাম আমাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতেই পারে। এটি সম্পূর্ণ আইনি ব্যাপার। এভাবে স্কুল বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হেনস্থা করার অধিকার কারও নেই। এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে বলুন না, উনি তো বলেছিলেন শিক্ষকরা ধর্মঘট করলে তাদের বেতন কাটা যাবে। যারা স্কুলে তালা মারল তাদেরও মাইনে কাটা উচিত। তাদের কাছ থেকে একদিনের টাকা নেওয়া উচিত। একদিনের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ল, বাচ্চাদের ক্ষতি হল তার দায় কে নেবে। তৃণমূল তো এটাই চায়। হীরক রাজাও স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল। এই নতুন হীরক রানি ও তাঁর দলবল স্কুল বন্ধ করে দিতে চায়। এরা যত বেশি জানে তত বেশি মানে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road: খানাখন্দে ভরা রাস্তা সারাতে কী করলেন এলাকাবাসী?

    Road: খানাখন্দে ভরা রাস্তা সারাতে কী করলেন এলাকাবাসী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বহু বছর আগে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দোল্লা থেকে শালগ্রাম সীমান্ত পর্যন্ত  প্রায় দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার পিচের রাস্তা (Road) তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই রাস্তায় নিয়মিত নজরদারির অভাবে পিচের অস্তিত্ব এখন নেই বললেই চলে। দিনের পর দিন খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা(Road) দিতে যেতে কালঘাম ছোটে এলাকাবাসীর। এই রাস্তার (Road) উপর আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু, বাস্তবে পিচের উপর প্রলেপ দেওয়ার কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি এলাকাবাসীর। তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে গণস্বাক্ষর করে প্রশাসনের কাছে রাস্তা সংস্কার করার জন্য দরবার করেছেন।  ক্ষুব্ধ এই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দারা।

    সামনে পঞ্চায়েত ভোট। বেহাল রাস্তা নিয়ে কী বলছেন এলাকাবাসী? Road

    এই  রাস্তাটি (Road) অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দোল্লা এলাকার জাতীয় সড়ক থেকে  শালগাম সীমান্ত হয়ে শহরের দিকে গিয়েছে।  এই রাস্তার ধারে দোল্লা, ডুমুইর,শনিহারা -বিরহীনি, ঝিনাই পোতা, হাসইল, অযোধ্যা গ্রাম রয়েছে।  এছাড়াও বালুরঘাট শহরের ১৫ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর ভরসা এই রাস্তা।  শহরের দিকে রাস্তাটি (Road) ঠিক থাকলেও, গ্রামীণ এলাকার মানুষেরই দুর্ভোগ বেশি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েক হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দাদের শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কঙ্কালসার রাস্তাটিতে হামেশাই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন।  অভিযোগ (Road), দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারে পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদ এমনকী পূর্ত দফতরের কোনও হেলদোল নেই। অথচ এই রাস্তার (Road) ধারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র।। প্রতিদিন তাই এই রাস্তার উপরই নির্ভর করেন হাজার হাজার বাসিন্দা।  স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত কর্মকার বলেন, রাস্তাটি(Road) আমাদের কাছে  বিভীষিকা হয়ে উঠেছে। রাস্তায় অসংখ্য গর্ত। ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। কেউই দেখার নেই। আমরা বাসিন্দারা গনস্বাক্ষর করে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। মিনতি লোহার নামে এক বাসিন্দা বলেন, রাস্তা থেকে পিচ উঠে যাওয়ায়  টোটো বা অন্যান্য কোনও গাড়ি  যেতে খুব সমস্যা হয়। রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্স করে নিয়ে যেতে চরম নাকাল হতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সকলের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। রাস্তা সংস্কারের জন্য সকলের কাছে আমরা দরবার করব। আর রাস্তা ঠিক না হলে প্রয়োজনে আন্দোলন করব।

    যদিও এই বিষয়ে বিজেপি পরিচালিত অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনুপ সরকার বলেন, পিচের রাস্তা (Road) ব্লক ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সংস্কার করা হয়। পঞ্চায়েত তা করতে পারে না। আমরা সংস্কার করতে পারলে বহু আগেই তা সংস্কার করে দিতাম। কয়েকবার রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য চিঠি দিয়েছি। আবার তাদের জানাব। কিন্তু, রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের  প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড! কোথায় দেখে নিন

    Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন আগে দলীয় সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়া কঠিন। কারণ, সামনের পাঁচ বছর কার হাতে এলাকার ক্ষমতার রাশ থাকবে নিয়ে লড়াই চলবে। মন্ত্রীর এই কথা যে কতটা সত্যি তা মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানাপাড়া বুথ কমিটির তৃণমূল কর্মীরা অক্ষরে অক্ষরে টের পাচ্ছেন। কারণ, এখনও পঞ্চায়েতের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Candidate) ঠিক করা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কিছুতেই যেন থামতে চাইছে না শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল।পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী (Candidate)  বাছাই নিয়ে প্রকাশ্যে সংঘাত।বুথ কমিটির বৈঠকে তুলকালাম। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ থেকে ধাক্কাধাক্কি। উপস্থিত দলীয় নেতৃত্বের সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। সমগ্র ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল।

    বৈঠকে কী নিয়ে গন্ডগোল? Candidate

     হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানা পাড়া বুথে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ছিল।উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।সেখানেই পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাব্য প্রার্থী (Candidate)  তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়।প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে দুইজনের নাম।একজন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যা বাসন্তী দাস এবং অপরজন ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সাগর দাস। কিন্তু, এই দুটি নাম উঠে আসতেই বিবাদ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষ দাবি করে, প্রার্থী (Candidate)  হিসেবে বাসন্তী দাস ছাড়া অন্য নাম যাবে না। এই নিয়ে তাঁরা নেতৃত্বকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে নেতৃত্বের সামনে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষই। উপস্থিত নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

    আর এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তৃণমূল একটা জায়গাতেও জিততে পারবে না। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর বিজেপির ঘাঁটি। প্রার্থী নিয়ে ওদের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন,কোনও মারামারি বা ধাক্কাধাক্কি হয়নি।  একটা বুথেই আমাদের হাজারের বেশি কর্মী এসেছে বৈঠকে।দল বড় হয়েছে তাই প্রার্থী( Candidate)  হিসেবে একাধিক জনের নাম উঠে আসতেই পারে। এখানে বিরোধীরা প্রার্থী (Candidate)  দিতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    Madan Mitra: রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) । তিনি বেলঘরিয়ায় দলীয় সভায় প্রকাশ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশকে বলছি, আপনারা ভুলে যান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে রথতলায় ৫০টি মাইক বেঁধে সিপিএম সভা করল। আপনার চুপচাপ বসে বসে মজা দেখছিলেন। তবে, সব পুলিশ এক নয়। পুলিশের মধ্যে কিছু চড় রয়েছে। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় তৃণমূলের কাছে সেই মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে।বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। মুখ্যমন্ত্রী একধারে পুলিশমন্ত্রীও। শাসক দলের দাপুটে এই নেতার পুলিশ নিয়ে এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কী বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে না। কী কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কামারহাটির কালারফুল বয় (Madan Mitra) করলেন তা তিনি খোলসা করেননি। তবে, দলের অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নে। আসলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

    কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে একী বলেন তৃণমূল বিধায়ক? Madan Mitra

    সাগরদিঘিতে বিরোধীদের অশুভ আঁতাত হয়েছে বলে মদন মিত্র (Madan Mitra) বারবার সোচ্চার হয়েছেন। এবার বিরোধীদের অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে কামারহাটিতে ধিক্কার মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক( Madan Mitra) বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম মনে রাখবেন এই তিনজনকে বান্ডিলে প্যাক করে প্রয়োজনে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় কি করে তর্পন করতে হয়, ন্যাড়া করতে হয় তা আমরা জানি। এরপর কৌস্তভ বাগচির নাম না করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ন্যাড়া হয়ে   আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Buddha Stupa: বুদবুদের এই গ্রামে এখন জোর কদমে চলছে খননের কাজ, জানেন কেন?

    Buddha Stupa: বুদবুদের এই গ্রামে এখন জোর কদমে চলছে খননের কাজ, জানেন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর মহকুমার বুদবুদের ভরতপুর গ্রাম। ইতিহাস সমৃদ্ধ এই গ্রামের কথা অনেকের অজানা। এই গ্রামেই কয়েকশো বছর আগে বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) ছিল। সেই বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে এই বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) । কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সেখানে এখন জোর কদমে খনন কার্য চলছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রাচীন ঐতিহ্য বহনকারী স্থানগুলিকে আরও উন্নত করে সেখানে যাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। ভরতপুরে যে বৌদ্ধ স্তূপ (Buddha Stupa) রয়েছে সেটি প্রাচীন ইতিহাস বহন করে। রাজেন্দ্র যাদব নামে এক আধিকারিকের নেতৃত্বে এই এলাকায় খনন কাজ শুরু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৌদ্ধ ধর্মের নানান স্থান খনন করে অনেক প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরেছেন। এই এলাকায় সেই কাজ করার তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সাংসদ এসএস আলুয়ালিয়া খনন কার্যের কাজ খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে প্রাচীন স্থাপত্যগুলিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে প্রাচীন ঐতিহ্য বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে খনন কার্য চালিয়ে তা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা হবে। খনন কার্য কেমন হচ্ছে তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আমি এসেছিলাম।

    কী করে হদিশ মিলল এই বৌদ্ধস্তূপের (Buddha Stupa)?

    পঞ্চাশ বছর আগেও এই গ্রামের পাশেই বৌদ্ধস্তূপ রয়েছে তা এলাকার মানুষ জানতেন না। গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা নিত্যানন্দবাবু বলেন, আমরা তখন ক্লাস এইটে পড়ি। গ্রামের রাস্তা তৈরির জন্য গ্রামের পাশে উঁচু ঢিবির মাটি কেটে আনা হয়। তখনই আমরা বেশ কয়েকটি ইটের হদিশ পাই। রাতের বেলায় গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে খননকার্য শুরু করেন। একটি মন্দিরের বেশ কিছু ইটের হদিশ পাই। আমরা বিষয়টি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাই। তাদের উদ্যোগে সরকারি সাহায্যে শুরু হয় খননকার্য। সালটা ১৯৭১। বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে খননকার্য হয়। নোটিসও দেওয়া হয়। তারপর আচমকাই খননকার্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, আবার বৌদ্ধস্তূপ (Buddha Stupa) সেই আগের জায়গায় চলে গিয়েছিল। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এতদিন ধরে অবহেলায় পড়েছিল এই বৌদ্ধস্তূপ। নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ফের খনন কার্য শুরু হওয়ায় খুব ভাল লাগছে। আগামীদিনে এই গ্রামই বৌদ্ধস্তূপের (Buddha Stupa)  কারণে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। প্রচুর পর্যটক আসবে এই গ্রামে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বৌদ্ধস্তূপকে (Buddha Stupa)  ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dadagiri: গোঘাট বিএলআরও অফিসে ঢুকে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, আতঙ্কিত আধিকারিকরা

    Dadagiri: গোঘাট বিএলআরও অফিসে ঢুকে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, আতঙ্কিত আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গোঘাট -২ ব্লকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে তখন সাধারণ মানুষের ভিড়ে গম গম করছে। রেভেনিউ অফিসার সোম শেখর সরকারের চেম্বারে চলছে জমির মিউটেশন নিয়ে শুনানি। তাই, ঘরে এলাকার মানুষের ভিড়ও ছিল। আচমকাই সেখানে গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সাহাবউদ্দিন খান ঢোকেন। মিউটেশন সংক্রান্ত কোনও একটি বিষয় নিয়ে প্রথমে কথা হয়। আধিকারিকের কথা তাঁর পছন্দ হয়নি। তাই, তিনি স্বমূর্তি ধারণ করেন। প্রথমেই রেভেনিউ অফিসারের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁকে শারীরীকভাবে হেনস্থা করা হয়। টেবিলে থাকা ফাইলপত্র সব ফেলে দেওয়া হয়। সামনে থাকা চেয়ার উল্টে দেওয়া হয়। এককথায় ওই আধিকারিকের ঘরে ঢুকে তৃণমূল নেতা তান্ডব (Dadagiri) চালায় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে। বিএলআরও ইতিমধ্যেই গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কেন বিএলআরও অফিসে ঢুকে দাদাগিরি দেখালেন ওই তৃণমূল নেতা? Dadagiri

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরের পর। গোঘাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা এলাকার তৃণমূল নেতা সাহাবউদ্দিনসাহেব জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে যান। ২ মার্চ  তাঁর মিউটেশনের দিন ধার্য হয়।কিন্তু, সেদিন ওই নেতা অফিসে কোনওকারণে যেতে পারেননি। সেই বকেয়া কাজ করতেই এদিন দুপুরে অফিসারের কাছে হাজির হয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অফিসার নিয়ম মেনে কয়েকদিন পর আসার কথা বলেন। কিন্তু, এদিন সেই কাজ করে দেওয়ার জন্য ওই তৃণমূল নেতা চাপ দিতে থাকেন। এরপরই দুজনের মধ্যে বচসা হয়। পরে, শাসক দলের ওই নেতা অফিসের মধ্যে দাদাগিরি (Dadagiri) দেখান বলে অভিযোগ।

    এই বিষয়ে রেভেনিউ অফিসার সোম শেখর সরকার বলেন, আমি হেয়ারিং করছিলাম। তিনি প্রথম থেকেই আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে থাকেন। নিয়ম মেনে কয়েকদিন পর তাঁকে আসতে বলি। তিনি সে সব কথা না শুনে আমার উপর চড়াও হন। আমাকে হেনস্থা করেন। টেবিলের নথি ফেলে দেন। এই ঘটনায় আমি খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিএলআরও আনন্দ বিশ্বাস বলেন, ওই নেতা এসে রেভেনিউ অফিসারের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। অফিসের মধ্যে তান্ডব চালান। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েছি। যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা সাহাবউদ্দিন খান বলেন,কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তা মিটিয়ে নেওয়াও হয়েছে। কোনও তান্ডব চালানো হয়নি। দাদাগিরি দেখানো হয়নি। আমরা একসঙ্গে বসে চা খেয়েছি। এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে। তবে, তৃণমূলের গোঘাট ২ নম্বর ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া তাঁর পাশে দাঁড়াননি। তিনি বলেন,এই ঘটনা নিন্দনীয়। দল কোন ভাবেই সমর্থন করে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra:  অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    Madan Mitra: অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। কালারফুল বয়। ইদানিং তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। দলের অন্দরেই অনেক নেতা প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেছেন। কিছুদিন আগে তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাতে ডোন্ট কেয়ার। নিজের মতো করে খোশমেজাজে থাকেন শাসক দলের দাপুটে এই কালারফুল নেতা (Madan Mitra)। অনুব্রতহীন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল কেমন হবে তা নিয়ে দলের অন্দরেই জোর চর্চা চলছে। দুদিন আগেই বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বেলঘরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, অনুব্রতের নেতৃত্বে সাংগঠনিক ক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁচ্ছে ছিল যে ও নেই মানে অনেকেই ধরে নিয়েছে বীরভূমে আমরা হেরে যাব। এটা বলতে পারি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার বীরভূম সব থেকে ভাল রেজাল্ট দেবে। আমি তো নির্বাচনের সময় ওই জেলায় যেতে পারব না। তবে, দল অনুমতি দিলে আমি বীরভূমের সীমান্ত পর্যন্ত যাব। দল আমাকে ঢোল দিলে আমি বীরভূম সীমান্তে দাঁড়িয়ে চড়াম চড়াম করে ঢোল বাজাব। অনুব্রতের মতো করে এসব কথা বলে ভোটের  কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীদের কী দেওয়ার কথা বললেন মদন মিত্র?

    অনুব্রত মণ্ডলের সৌজন্যে গত কয়েকটি নির্বাচনের সময় গুড় বাতাসা, নকুল দানা, চড়াম চড়াম সহ নতুন নতুন অনেক শব্দে রাজনীতির ময়দানে আমদানি হয়েছিল। শুধু তৃণমূল নেতা কর্মীরা নয় বিরোধী দলের নেতারাও এই সব শব্দ ব্যবহার করে অনুব্রতকে বার বার কটাক্ষ করেছেন। এদিন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, পঞ্চায়েতে দল যেখানে দায়িত্ব দেবে সেখানে যাব। গুড় বাতাসা খারাপ জিনিস নয়। গরমে গ্রামের মানুষকে এখনও গুড় বাতাসা দেওয়া হয়। তবে, পঞ্চায়েতে আমাদের যে সব কর্মীরা গরমের মধ্যে দলের হয়ে খাটবেন, তাদের জন্য গুড় বাতাসা নয়, মিনারেল ওয়াটার দেব। চিলড ওয়াটার দেব। আর অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্যান্ত বাঘের থেকে জখম বাঘ অনেক ভয়ানক। ওরা (পড়ুন বিজেপি) যদি মনে করে একজন অনুব্রতকে আটকে রাখলেই বাংলা ফাঁকা হয়ে যাবে তাহলে ওরা ভুল করছে। কারণ, রাজ্যে একটিই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তার ছায়ার সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। ফলে, বিজেপি যে স্বপ্ন দেখছে তা সফল হবে না। আর অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বীরভূমে তৃণমূল ভাল ফল করবে।

    সাগরদিঘিতে দলের ভরাডুবি নিয়ে তিনি (Madan Mitra) মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম জোট হয়েছিল। রাজ্যে একটি আসন নেই। মানুষের কাছে সহানুভূতি চেয়ে ভোট আদায় করেছে। কার ভোট কোথায় গিয়েছে তা রেজাল্টে তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ফলে, মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। এসব জোট করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    Loot: স্কুটি নিয়ে বান্টি অর বাবলির দৌরাত্ম্য! অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বলিউড সুপারহিট সিনেমা বান্টি অর বাবলির কথা মনে আছে। সেলুলয়েডের পর্দায় তাদের চুরি বা কেপমারির কৌশল দেখে হতবাক হয়েছিলেন আমজনতা। এবার বাস্তবের বান্টি অর বাবলি হদিশ পাওয়া গিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। তবে, তারা সম্পর্কে বন্ধু নয়, তারা স্বামী-স্ত্রী। ইতিমধ্যেই নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্ষু চড়কগাছ কমিশনারেটের কর্তাদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত চার-পাঁচ বছরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলার ১৫ টি থানা এলাকায় স্কুটি নিয়ে অভিনব কায়দায় কেপমারি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার অধিকাংশ থানা এলাকায় বহু মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে পগার পার হয়ে যেত তারা। যদিও কমিশনারেটের কর্তাদের পাতা ফাঁদে পড়ে আপাতত তারা এখন শ্রীঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আকবর আলি এবং রাবিয়া বিবি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, বিভিন্ন থানা এলাকা মিলে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি তারা হাতিয়েছে। আরও কত টাকা তারা হাতিয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই স্কুটি করেই তারা অপারেশন চালাত।

    কী ভাবে তারা অপারেশন চালাত? Loot

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকবর আর রাবিয়া বিবির বাড়়ি খড়দহ থানা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে টাকা লুঠ (Loot) করে চলেছে। কমিশনারেট এলাকার মধ্যে জেটিয়া, নৈহাটি, খড়দহ, নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকা এবং জেলা পুলিশ এলাকার মধ্যে মধ্যমগ্রাম, বারাসতসহ একাধিক থানা রয়েছে। এছাড়া হুগলি জেলায় চন্দননগর, চুঁচুড়াসহ পাঁচটি থানা এলাকায় হানা দিয়েছে। প্রথমে স্কুটি করে তারা একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হত। পাড়ার লোকজন জানতেন কাজের বের হচ্ছেন। কারণ, তাদের বাড়ি রহড়া থানায়। সেখানে তারা কোনও অপরাধ করেনি। ফলে, এলাকার মানুষ তাদের সন্দেহ পর্যন্ত করত না। তাদের পোশাক, পরিচ্ছদ ছিল দেখার মতো। কোনও থানা এলাকায় গিয়ে একটি ব্যাঙ্ককে তারা বেছে নিত। সেই ব্যাঙ্কের সামনে তারা অপেক্ষা করত। রাবিয়া বিবি স্কুটি থেকে নেমে কিছুটা দূরে থাকত। ব্যাঙ্ক থেকে বয়স্ক কোনও লোকজন বের হলেই তাকে তারা টার্গেট করত। তার পিছনে ধাওয়া করত। টোটো বা অটোতে করে সেই বয়স্ক লোকজন উঠলেই সেই গাড়িতেই যাত্রী সেজে রাবিয়া বিবি উঠে পড়ত। আর পিছনে পিছনে তার স্বামী স্কুটি নিয়ে তার গাড়ি লক্ষ্য করত। রাবিয়াবিবি সুযোগ বুঝে গাড়ির মধ্যে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে আলাপ জমাত। এরপর সুযোগ বুঝে ব্যাগে ব্লেড চালিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত ( Loot)।  বুঝে ওঠার আগেই স্বামীর স্কুটি করে সে পগার পরা হয়ে যেত। ধৃতরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Juggler: গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন জাগলার দীপকের, দিল্লি রোডে চলছে অনুশীলন

    Juggler: গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন জাগলার দীপকের, দিল্লি রোডে চলছে অনুশীলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিজের মধ্যে অদম্য জেদ আর লক্ষ্য স্থির থাকলে কোনও কাজই যে অসাধ্য নয় তা প্রমাণ করেছেন দীপক রায়। পেশায় একজন পাম্প অপারেটর। তাঁর বাড়ি হুগলির ভদ্রেশ্বর মণ্ডলপাড়ায়।  তিনি জাগলিং (Juggler) এর জাদুগর। তিন তিনটি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড তাঁর ঝুলিতে। চতুর্থ বার বিশ্ব রেকর্ড করার অপেক্ষায়। বছর বিয়াল্লিশ এর এই যুবক পেশায় চন্দননগর পুরনিগমের পাম্প অপারেটর হলেও নেশায় একজন জাগলার (Juggler)। ফুটবল মাথায় নিয়ে বিভিন্ন খেলা দেখানো তাঁর নেশা। আর এই নেশাই তাঁকে পাগল করে তুলেছে। কি অসাধারণ ব্যালেন্স তা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

    কেন জাগলারি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন দীপক? Juggler

    শুরুটা হয় ২০১৩ সাল থেকে।  বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেলেনিপাড়া উদয়ন ব্যায়াম সমিতি তে জিমন্যাস্টিক শেখার মধ্য দিয়ে। একদিন একজন জাগলারকে (Juggler) ফুটবল মাথায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ নাচানাচি করতে দেখেন তিনি। বিষয়টি তাঁর বেশ মনে ধরে। ভাবেন তিনিও শুরু করবেন। এরপর কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলা। দীপকের সোজা সাপ্টা বক্তব্য, ফুটবলটা গোল। আর মানুষের মাথাটাও গোল, তাহলে ফুটবল মাথায় ধরে রাখা যাবে না কেন? সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে শুরু করলেন কঠোর পরিশ্রম। সেই পরিশ্রমের ফসল পান ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। সল্টলেক স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তায় মাথায় বল নিয়ে ১৫ কিলোমিটার সাইক্লিং করেন হাতল না ধরে। ১ ঘন্টা ২৭ মিনিটে তিনি পুরোটা শেষ করেন। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে তাঁর নাম ওঠে। কারণ, তাঁর আগে কোনও প্রতিযোগী বল নিয়ে ৭ মিনিটের বেশি হাতল ছা়ড়া সাইক্লিং করতে পারেননি। তবে, তিনি সফল হয়ে থেমে থাকেননি। বরং, নতুন নতুন রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। দ্বিতীয় বার আরও অভিনব  উদ্যোগ। ২০২১ নিজের ক্লাবের মাঠে মাথায় বোতল রেখে তার ওপর ফুটবল নিয়ে ৫৮ মিনিট ঘুরে  আবারও রেকর্ড গড়েন তিনি। আগের রেকর্ড ছিল ৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ড। আর তৃতীয় বার ২০২২ এ। সাইয়ের সুইমিং পুলে মাথায় ফুটবল নিয়ে ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট সাঁতার কেটে আগের সব রেকর্ড তিনি ভেঙে দেন। দীপকবাবুকে  পাড়ায় আদর করে গোপাল বলে ডাকা হয়। ভদ্রেশ্বর শহরে একডাকে তাঁকে সবাই চেনেন। বাবা অনেক আগেই গত হয়েছেন। বাড়িতে তিনি আর তাঁর মা থাকেন। বিয়ে থা করেননি তিনি। তাঁর রোজগারে দুজনের সংসার মোটামুটি চলে যায়।  নেশা বলতে একটাই। নতুন নতুন রেকর্ড গড়া। এহেন  দীপক থেমে থাকেন কি করে? এবার নজর গিনেস বুকের দিকে। এবার নতুন ইভেন্ট মাথায় বল নিয়ে রাস্তায় স্কেটিং করা।দিল্লি রোডে জোর কদমে চলছে তাঁর অনুশীলন। ২৬ সেকেন্ডে ১০০ মিটার স্কেটিং  রেট তাঁর। কাছাকাছি ওই সময়ের মধ্যেই বিশ্বরেকর্ডও রয়েছে। পাড়ার লোকজনের বিশ্বাস, দীপকের গিনেসে বুকে নাম তোলা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান,  ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    Fire: কাঁচরাপাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বেশ কয়েকটি দোকান, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বুধবার ভোরে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভূতবাগান ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে (Fire) বেশ কয়েকটি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের(Fire)  তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশাপাশের দোকানগুলি পুড়ে যায়। আর বাজারে অধিকাংশ দোকানই কাঠের। দোকানগুলির মধ্যে প্রচুর কাঠ মজুত থাকায় আগুন (Fire) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বাজারের মধ্যে একটি গ্যারাজ ছিল। সেখানের একাধিক বাইক রাখা ছিল। সবই পুড়ে গিয়েছে। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। দোকানের পাশাপাশি সেই বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

    বাজারে  কী করে আগুন লাগল ? Fire

    ঝিলপাড় নেতাজি নগর বাজারে প্রথমে একটি কাঠের দোকানে আগুন (Fire) লাগে। দমকল আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন (Fire) লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনিতেই বাজারে রাতের দিকে কেউ থাকে না। বাজার লাগোয়া একটি বাড়ি ছিল। তাদের বিষয়টি নজরে আসে। তাঁরা ফোন করে ব্যবসায়ীদের খবর দেন। স্থানীয় লোকজনও নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।  কিন্তু, আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দ্রুত আগুন অন্য দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। পরে, আরও তিনটি দমকলের ইঞ্জিন এসে এদিন দুপুর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। কিন্তু, ততক্ষণে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নেতাজি নগর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রদীপ পালিত বলেন, সব মিলিয়ে ৯ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে একটি বাড়িও পুড়ে গিয়েছে। দমকল বাহিনী এসে আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।

    এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। তিনি বলেন, আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share