Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: চাকরি কি পার্থর পৈতৃক সম্পত্তি! মন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ বিচারপতি বসুর

    Recruitment Scam: চাকরি কি পার্থর পৈতৃক সম্পত্তি! মন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার সম্পত্তি নাকি! বেছে বেছে কীভাবে চাকরির সুপারিশ হয়? নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ‘নিয়ম বহির্ভূত ভাবে’ এক শিক্ষিকার চাকরি হওয়ায় সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    ঠিক কী ঘটেছে (Recruitment Scam)?

    সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে প্রিয়ঙ্কা দত্ত সমাদ্দার নামে এক মহিলা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Recruitment Scam) মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে উপরের দিকে নাম ছিল তাঁর, তালিকায় ৩৩ নম্বরে। কিন্তু তারপরও চাকরি পাননি তিনি। বরং তাঁর পরিবর্তে একই তালিকার ৫৩ নম্বরে থাকা সরমা ঘোষ নামে একজনকে চাকরি দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সরমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছিল এসএসসি। ওই বছর ২০ মার্চ তাঁকে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রিয়ঙ্কা আরও অভিযোগ করেছেন, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং অবস্থান-বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন সরমা। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ আন্দোলনকারীদের কয়েক জনকে ডেকে কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন সরমাও। তার পরই তিনি চাকরির সুপারিশপত্র পান। পরে হাইকোর্টে এই মামলা (Recruitment Scam) উঠলে আদালতের সামনে সমস্ত সত্যিটা স্বীকার করে নেন সেই সরমা। তিনি জানান, পার্থবাবুর সুপারিশেই চাকরি হয়েছিল তাঁর।

    বিচারপতি বসু কী বললেন (Recruitment Scam)?

    এই কথা শুনেই ক্ষোভপ্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “এসএসসি চাকরি কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে’র পৈতৃক সম্পত্তি! আন্দোলন করলেই কি চাকরি পাওয়া যায়! কীভাবে বেছে বেছে চাকরির সুপারিশ হয়!” এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আরও জানান, কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই শিক্ষিকার চাকরির সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, এমন ঘটনা আরও রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি। আগামী ১৫ মার্চ এই মামলার (Recruitment Scam) পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে তাপস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে তাপস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সমস্যা আরও বাড়ল মানিক ভট্টাচার্য-ঘনিষ্ট তাপস মণ্ডলের। তাঁর ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে ফ্রিজ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ব্যাঙ্কগুলিকে চিঠি দিয়ে লেনদেন বন্ধ করতে বলা হয়েছে। 

    যেই অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট-সহ তাঁর সংস্থা ও কলেজের অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টগুলির প্রতিটিতেই রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা (SSC Scam)। কোনওটায় দু’কোটি তো কোনোটায় তিন কোটি। 

    ইডির তরফে জানা গিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকেই মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যকে টাকা দিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল (SSC Scam)। এদিনই মানিক ভট্টাচার্যের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত  করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এক মাসের মধ্যেই দেশ-বিদেশের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। মানিকের যেদিন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ এল, সেদিনই ফ্রিজ হল তাপসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

    আরও পড়ুন: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি মান্থার

    কেন ফ্রিজ করা হল তাপসের অ্যাকাউন্ট (SSC Scam)?

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, তাপসের নামের প্রতিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই কোটি কোটি টাকা ছিল। সেই টাকা কোথা থেকে এল? তাপসের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। এত টাকা আয়ের উৎস সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি তাপস (SSC Scam)। আর তাতেই গোয়েন্দারা তাঁর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাপস মণ্ডলের একটি এনজিও রয়েছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের টাকা এনজিও-তে যেত বলে তদন্তকারীদের অনুমান। তাপস মামলা লড়ছেন। এবার প্রশ্ন উঠছে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গেলে, মামলা লড়ার টাকা কোথা থেকে আসবে? 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যের নাম জড়ানোর পরই তাপস মণ্ডলের নাম প্রকাশ্যে আসে। তাপসের সঙ্গে মানিকের পুত্রেরও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পর বহু বার সিবিআই এবং ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাপসকে। তিনি যদিও প্রথমে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে অর্থ নেওয়ার বিষয়ে তদন্তকারীদের বহু তথ্য দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে (SSC Scam)।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Principal Secretary: রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিনটি নাম পাঠাল নবান্ন! জানেন তাঁরা কে?

    Principal Secretary: রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিনটি নাম পাঠাল নবান্ন! জানেন তাঁরা কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোসের সচিব (Principal Secretary) পদের জন্য তিনটি নাম রাজভবনে (Raj Bhawan) পাঠাল নবান্ন (Nabanna)। এই তিনজন হলেন, সুন্দরবন উন্নয়নের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্য, শ্রম দফতরের সচিব বরুণকুমার রায় এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন। নিয়ম অনুযায়ী, এই তিন জনের মধ্যে থেকেই একজনকে রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) হিসাবে বেছে নেওয়ার কথা রাজভবনের।

    রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) পদে কে?

    সম্প্রতি রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজভবন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর তারপর থেকেই জল্পনা ছিল, রাজ্যপালের পরবর্তী প্রধান সচিব (Principal Secretary) কে হবেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কাকে নিজের প্রধান সচিব হিসাবে বেছে নেন সেটাই দেখার। রাজভবন এবং বিজেপি সূত্রের খবর, নবান্নের পাঠানো এই তিন নামের বাইরে থাকা আইএএস সুব্রত গুপ্তকে সচিব হিসেবে চাইছেন রাজ্যপাল। যদিও এই বিষয়ে নবান্ন কিংবা রাজভবনের তরফ থেকে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শনিবার এই সুব্রত গুপ্তকেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্নে ডেকেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকও করেছিলেন। তবে সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা সামনে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) প্রসঙ্গেই আলোচনা হলেও হতে পারে। এখন দেখার রাজ্যপাল কী করেন? তাঁর প্রধান সচিব হিসেবে (Principal Secretary) অন্য নাম পাঠাবেন না এঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে নিজের সচিব হিসেবে বেছে নেবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    রাজ্যের একাধিক দফতরের সচিব পদ সামলানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নন্দিনী চক্রবর্তী ছিলেন রাজ্যপালের প্রধান সচিব (Principal Secretary)। লা গণেশন যখন কিছু সময়ের জন্য বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে এসেছিলেন, তখন থেকেই নন্দিনী চক্রবর্তী এই পদে ছিলেন। এরআগে এই পদের দায়িত্ব সামলেছেন সুনীলকুমার গুপ্তা। এবার কে এই পদে বসে তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: পার্থর ‘গুরুভাই’ ইনি, তাঁর ডাক এড়াতেন না কেষ্টও! কে এই বিভাস অধিকারী?

    Recruitment Scam: পার্থর ‘গুরুভাই’ ইনি, তাঁর ডাক এড়াতেন না কেষ্টও! কে এই বিভাস অধিকারী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) উঠে এল আরও এক নতুন নাম! চাকরি চুরিতে সিবিআই এবং ইডি সমানভাবে তদন্ত চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে উঠে আসছে একের পর এক এজেন্টের নাম। চন্দন মণ্ডল, তাপস মণ্ডল, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাহিদ ইমামের মত নাম উঠে আসার পাশাপাশি এবারে সামনে এল বীরভূমের নলহাটির এক ব্যক্তি বিভাস অধিকারীর নামও। সূত্রের খবর, নলহাটি-২ ব্লকের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর গ্রামে বাড়ি বিভাসের। জানা গিয়েছে, তিনি বর্তমানে তৃণমূল লোহাপুর ব্লক সভাপতি। যদিও বিভাসের দাবি, এই মুহূর্তে তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু সূত্রের দাবি, পার্থ, মানিকের পাশাপাশি  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মাথা হলেন বিভাস অধিকারী।

    কীভাবে বিভাসের নাম উঠে এল?

    কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে সবার প্রথমে গোপাল দলপতির নাম উল্লেখ করেন কুন্তল। এরপর গোপাল দলপতির মুখে শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। ‘কালীঘাটের কাকু’র আসল নাম যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, তা সামনে আনেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল। তারপর ‘রহস্যময়ী নারী’ অর্থাৎ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম সামনে আনেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। আর এবার কুন্তল ও গোপাল— দুজনের মুখেই উঠে এল বিভাস অধিকারীর নাম। কুন্তল দাবি করেছেন, তাপসের মত বিভাসও এক জন ‘এজেন্ট’। বিভাসকে কেন তলব করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এই প্রশ্ন করেছিলেন দুর্নীতিতে নাম জড়ানো গোপাল দলপতিও।

    কে এই বিভাস?

    সূত্রের দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘গুরুভাই’ এই বিভাস অধিকারী (Recruitment Scam)। শিক্ষা ‘দুর্নীতি’র সূচনাপর্বে বিভাসই নাকি পার্থর ‘গুরু’ ছিলেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় সূত্রের খবর, বিভাস এমনই এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ছিলেন, যাঁর ডাক এড়াতেন না স্বয়ং কেষ্টও। সূত্রের দাবি, বিভাসের ডাকে সাড়া দিয়ে কখনও গ্রামে এসেছেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল, কখনও মুকুল রায়, কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এককথায় তাঁর কথা শাসকদলের কোনও নেতাই এড়িয়ে যেতেন না। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কতটা দাপুটে এই বিভাস অধিকারী।

    আরও পড়ুন: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির! কী বললেন বিচারপতি মান্থা

    সূত্রের খবর, বিভাস অধিকারী এলাকায় রাজনীতিক ছাড়াও ধর্মীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিভাস অধিকারীর চারটি বি.এড, ডি.এলএড কলেজ রয়েছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে তাঁর। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তবে সেই সকল সম্পত্তি ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বিভাস অধিকারী ১৯৯১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক দেন এবং ইংরেজিতে ব্যাক পান। পরে বহরমপুর থেকে স্পোকেন ইংলিশ শেখেন। মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রামে একটি বাংলা ইংরেজি টাইপ স্কুল চালান। ভাগীরথী করেসপন্ডেন্স কলেজ নামে এর একটি শাখাও গড়ে তোলেন তাঁর মামার সহযোগিতায়। এর পাশাপাশি ২০০০ সাল নাগাদ বহরমপুর থেকে একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তিনি। সেই সময় থেকে একটি বেসিক ট্রেনিং স্কুল গড়ে তোলার চেষ্টা চালাতে দেখা যায় তাকে। যদিও ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারের থেকে অনুমোদন না পেলেও এনসিইআরটি অনুমোদন থাকায় তাঁর ব্যবসা রমরমিয়ে চলে। কলকাতায় ফ্ল্যাট রয়েছে এখন। সিউড়ির কাছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে (Recruitment Scam)।

    তবে সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য, প্রাথমিক টেটে একেবারে প্রথমপর্বে ২ হাজার ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে (Recruitment Scam) এই বিভাসের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। আর সেই সূত্র ধরেই খোঁজ চালাচ্ছে ইডি। যদিও এ নিয়ে বিভাস অধিকারী বলেন, “আমি চাই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসুক। কোনও অবৈধ কিছু নেই। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার যাব। আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না। আগামিদিনে ইডি বা সিবিআই ডাকলে অলওয়েজ ওয়েলকাম। প্রথম থেকে বলে আসছি। ইডি তদন্ত করেছে। আমার যাবতীয় কাগজপত্র যা চেয়েছিল, সবই জমা দিয়েছি। ওরা আজ পর্যন্ত কিছুই পায়নি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির! কী বললেন বিচারপতি মান্থা?

    Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির! কী বললেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যা মামলায় উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ (Recruitment Scam)। গত বছর মুর্শিদাবাদের লালগোলায় এক চাকরিপ্রার্থী আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তাঁর নাম আব্দুর রহমান। পরিবারের অভিযোগ ছিল, টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন ওই তরুণ। সেই মামলায় সোমবার কড়া মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন বিচারপতি জানান, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে আব্দুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনার যোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি।

    কী ঘটেছে?

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আব্দুর রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। সেই ন’পাতার সুইসাইড নোটে দিবাকর কনুই- এর নাম উল্লেখ থাকলে তাঁকে দোষী হিসেবে ধরা হয়। জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী ছাত্র লিখে গিয়েছেন, এই দিবাকরই তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন। দিবাকরকে ইতিমধ্যেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি মান্থা কী বললেন?

    এদিন আদালতে শুনানি চলার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করছে সিবিআই। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, “লালগোলায় চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের আত্মহত্যা নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু আত্মহত্যা নয়, আদালত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়েও চিন্তিত। বৃহত্তর চক্রান্ত খুঁজে বের করার সুযোগ রয়েছে।” সূত্রের খবর, তিনি আরও বলেছেন, “এই মামলায় সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে চায় আদালত। এখনও পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে কোনও খামতি পাওয়া যায়নি।”

    এদিন আব্দুরের আত্মঘাতী হওয়ার মামলায় পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, মৃত তরুণের পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও অবধি লালগোলা থানার পুলিশ যথাযথভাবেই তদন্ত করেছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে, সেই কারণে ধৃত দিবাকরকে জেলে গিয়ে জেরা করা উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তিনি বলেন, “সিবিআই কেন জেলে গিয়ে দিবাকরকে জেরা করছে না? বৃহত্তর চক্রান্তের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। ফলে এখন এটাই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই (Recruitment Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Adeno Virus: দু’দিনে তিন শিশুর মৃত্যু! শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার মতোই বিপজ্জনক অ্যাডিনো, বলছেন চিকিৎসকেরা

    Adeno Virus: দু’দিনে তিন শিশুর মৃত্যু! শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার মতোই বিপজ্জনক অ্যাডিনো, বলছেন চিকিৎসকেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে (এআরআই) শহরে শনিবার এবং রবিবারের মধ্যে তিনটি শিশু মারা গেছে। তাদের মধ্যে অ্যাডেনোভাইরাসে আক্রান্ত এক শিশুকে, হাসপাতালে আইসিইউ-তে রাখাই যায়নি। সরকারি হোক, বা বেসরকারি, কলকাতার প্রায় সব হাসপাতালেই পেডিয়াট্রিক ICU ভর্তি। কোনও বেড নেই। এই বছর শিশুদের মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি। যা সময় বিশেষে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। মৃত তিন শিশুর মধ্যে দুজন বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। একজন ছিলেন মেডিক্যাল কলেজে।

    সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক

    আ্যডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকেই শহরের একাধিক স্কুলে কার্যকর হচ্ছে মাস্ক-স্যানিটাইজার-দূরত্ববিধি। অনেক স্কুলের গেটে বসানো হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। এখন পরীক্ষার মরশুম। তার মধ্যেই বহু স্কুল জানিয়েছে, নিজের বা বাড়ির কারও জ্বর-সর্দি-কাশি হলে স্কুলে যেতে হবে না। প্রয়োজনে পরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বা অন্য পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের রেজাল্ট তৈরি করা হবে। জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে স্কুলে স্কুলে বহু পড়ুয়া অনুপস্থিত। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অ্যাডিনো-য় সবচেয়ে সাবধানে রাখা দরকার ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

    করোনার থেকে কোনও অংশে কম বিপজ্জনক নয় অ্যাডিনো ভাইরাস। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অ্যাডিনো ভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে, অভিমত চিকিৎসকদের। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভাইরাস আগে থাকলেও এবার ভয়ঙ্কর হওয়ার অন্যতম কারণ ইমিউনিটি গ্যাপ। ২ বছরের নীচে যারা রয়েছে তারা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকা জরুরি। শিশুদের ক্ষেত্রে দু’তিনদিনের বেশি জ্বর বা শ্বাসকষ্ট, ভয়ানক কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। লক্ষণগুলি মাত্রাছাড়া হলে হাসপাতালে যেতে হবে। আর যারা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত, তাদের বাড়িতে থাকতে হবে। ভিড় এলাকায় শিশুদের না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সংক্রমণ কমতে আরও ৩ সপ্তাহ লাগবে বলে অনুমান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nisith Pramanik: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা! মামলা দায়েরের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    Nisith Pramanik: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা! মামলা দায়েরের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজেপিকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়। বোমা, গুলি এবং পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গেরুয়া শিবির। বিজেপির তরফে আইনজীবী সূর্যনীল দাস প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিচারপতি শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। 

    সাধারণের নিরাপত্তা কোথায়

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী থাকার পরেও, তার উপর হামলা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন মামলাকারী আইনজীবীর। আর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে বলে আবেদন করা হয়েছে। দিনহাটায় সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করার আবেদনও জানানো হয়েছে। এই নিয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

    বিজেপির অভিযোগ, নিশীথের কনভয়ে হামলা আসলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের চক্রান্ত। অন্য দিকে, পুরো ঘটনার দায় নিশীথের ঘাড়েই চাপিয়েছেন উদয়ন। শনিবার সন্ধ্যার হামলার ঘটনাকে ‘শোচনীয়’ আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। 

    দিনহাটা যাচ্ছেন সুকান্ত!

    ইতিমধ্যেই দিনহাটা যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার রাতেই তিনি দিনহাটার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার দিনভর দিনহাটার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরব, দেখি তৃণমূলের কত দুষ্কৃতী আছে।’’মঙ্গলবার সকালেই দিনহাটায় পৌঁছে যাওয়ার কথা সুকান্তের। নিশীথকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দিনহাটায় ঘুরবেন। শনিবারের ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, সেই সব বিজেপি কর্মীদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sagardighi Bypoll: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    Sagardighi Bypoll: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Sagardighi Bypoll)। সকাল ৭টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সাগরদিঘির ২৪৬টি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। থাকছে মহিলা পরিচালিত একটি বুথ। ভোটের নিরাপত্তায় প্রস্তুত থাকছে ২২টি ক্যুইক রেসপন্স টিম। ১০০ শতাংশ বুথেই হবে ওয়েব কাস্টিং। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। 

    শুরু ভোটগ্রহণ

    মুর্শিদাবাদ জেলার এই কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে এই উপনির্বাচন হচ্ছে। এই ভোটে নিজেদের আসন ধরে রাখতে মরিয়া শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর সম্পর্কের আত্মীয়। এখানে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বাইরন বিশ্বাস। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা। তাঁর প্রচারে এখানে দিনভর এক করেছে গেরুয়া শিবির। একুশের ভোটে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। এবারও তৃণমূল-বিজেপি লড়াইটাই মূল।

    আরও পড়ুন: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা

    উপনির্বাচন হলেও সাগরদিঘিতে ঘটনার ঘনঘটা। রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যেই নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে সাগরদিঘি থানার ওসিকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। মকপোলের মধ্যে দিয়ে উপনির্বাচন শুরু হয় সাগরদিঘিতে। সাগরদিঘি বিধানসভার হোসেনপুর ২১০ ও ২১১ নম্বর বুথে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস বুথের ভিতরে প্রবেশ করায় এলাকায় উত্তেজনা। বোখারা অঞ্চলের ৬৩ নম্বর বুথের ভিতরে আলো কমের অভিযোগ তোলে তৃণমূল কর্মীরা। সাগরদিঘি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮৭ নম্বর বুথে ইভিএম উল্টো করে রেখে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। সাগরদিঘির ৫৩ নম্বর বুথে মক পোল না করেই ভোটগ্রহণ শুরুর অভিযোগ উঠেছে।

    উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে আজ ভোট হচ্ছে। দুটি রাজ্যেই ৬০টি করে আসন। নাগাল্যান্ডে ক্ষমতায় ছিল এনডিপিপি-বিজেপি ও মেঘালয়ে ছিল এনপিপি-বিজেপি জোট সরকার। ত্রিপুরায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়ে গিয়েছে। এই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোট ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে আগামী ২ মার্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১৪): ১৬ বছর ধরে আটকে দাঁইহাট-মন্তেশ্বর-মেমারি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১৪): ১৬ বছর ধরে আটকে দাঁইহাট-মন্তেশ্বর-মেমারি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রেলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের, বাজেট বরাদ্দ করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র জমি জটের কারণেই নাকি প্রকল্পগুলি আটকে থাকছে। কয়েকদিন আগেও রেল (Indian Railways) রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। এমন প্রকল্পও রয়েছে রাজ্যে যেগুলো গত ৫০ বছর ধরে আটকে রয়েছে। কোনও সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে কতগুলি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। সেগুলিও আপাতত বিশ বাঁও জলে। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, রাজ্যের ঘোষিত নীতিই হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে নাকি ছাড়ও রয়েছে বলছেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। সেই বিশেষ ক্ষেত্র রেল কেন নয়? এমন প্রশ্নও উঠছে কোনও কোনও মহল থেকে।

    ১৬ বছর ধরে আটকে দাঁইহাট-মন্তেশ্বর-মেমারি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    তখন ২০০৭ সাল দেশের রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। সেসময় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশকিছু জনপদকে রেলমানচিত্রে জোড়া হবে। মোট ১৬১ কিমি রেললাইন বসানোর পরিকল্পনা নেয় রেল। মূল প্রকল্প ছিল কাটোয়া-বর্ধমান (৫১.৫২ কিমি) ব্রডগেজ রেলপথ সম্প্রসারণ। সেটা অবশ্য চালু হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গেছে মোট প্রকল্পের মধ্যে ৬৫ কিমি নতুন লাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও বাকি ৯৫.৯৪ কিমি রেলপথ নির্মানের কাজ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দাঁইহাট-মন্তেশ্বর (৩৪ কিমি) এবং মন্তেশ্বর-মেমারি (৩৫কিমি)। রেলের অভিযোগ রাজ্য সরকার জমি দিতে পারছেনা বলেই আটকে রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা

    দাঁইহাট শহরের অন্যতম ব্যবসায়ী বরুণ চন্দ্র রায় বলেন, বিভিন্ন কাজে আমাদের মেমারি যেতে হয়। ট্রেনপথে যেতে চাইলে বর্ধমান হয়ে ঘুরে যেতে হবে। অন্যথায় বাসই ভরসা। এই রেলপথ (Indian Railways) চালু হলে এলাকার মানুষের উন্নয়ন তো হবেই তার সঙ্গে যুবকদের কর্মসংস্থানও হবে। বরুণ বাবু আরও বলেন, নতুন রেলপথ সম্প্রসারণের কথা তো অনেকদিন ধরেই হবে বলে শুনছি, তবে তা জমি জটের কারণেই আটকে আছে বলে জানা যাচ্ছে। 

     

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১৩): ২৩ বছর ধরে আটকে রায়গঞ্জ-ডালখোলা রেলপ্রকল্প

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১২): ২৫ বছর ধরে আটকে বাঁকুড়া-মুকুটমণিপুর রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১০): আপাতত ঠাণ্ডা ঘরে আরামবাগ-বোয়াইচণ্ডী রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৯): ১৩ বছর ধরে আটকে দিঘা-জলেশ্বর প্রকল্পের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৮): থমকে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৭): তেরো বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি

    Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বাংলাকে সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে উল্লেখ করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর কথায় উঠে এল ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের কথাও।

    এদিন ছিল মন কি বাত অনুষ্ঠানের ৯৮ তম এপিসোড

    রবিবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানের ৯৮ তম এপিসোড। সেখানেই ত্রিবেণীর কুম্ভস্নান প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার এক প্রবাসী ভারতীয় তাঁর চিঠিতে বাংলার কুম্ভস্নানের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদি জানান, বহু পুরনো বাংলার এই কুম্ভস্নান। কিন্তু ৭০০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে ছিল এই রীতি।

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এদিন আরও বলেন, “স্বাধীনতার পরবর্তী সময় এই কুম্ভস্নান ফের শুরু হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মাত্র দু’বছর আগে স্থানীয় মানুষ ও কুম্ভস্নান পরিচালনা সমিতির উদ্যোগে এই উৎসব আবার শুরু হয়। ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানকে কেন্দ্র করে বাংলার প্রচুর রীতিনীতি, সংস্কৃতি উঠে এসেছে।” বাংলাকে সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের ডিজিটাল অগ্রগতির কথাও তোলেন প্রধানমন্ত্রী

     কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিইন লুং-এর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতেই দুই দেশের মধ্যে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম, UPI এবং PayNow-এর সংযোগ স্থাপন করা হয়। এর ফলে Google Pay, Paytm সহ অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে ভারত এবং সিঙ্গাপুরে বসবাসকারীরা নিজেদের মধ্যে টাকার লেনদেন করতে পারবেন। এদিনের মন কি বাত অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, E Sanjeevani এর মতো অ্যাপগুলি আমাদের জীবনকে আরও বেশি সহজ করে তুলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share