Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে উত্তাল দিঘা-মন্দারমণি, ভোর-রাত থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র (Cyclone Dana) প্রভাবে সকাল থেকেই কলকাতার আকাশজুড়ে কালো মেঘ। চলছে মুষলধারে বৃষ্টি (Rainfall in Kolkata)। মাঝেমাঝেই ঝোড়ো হাওয়া বইছে। রাতভর ঝড়-বৃষ্টির প্রকোপ বেশি না হলেও শুক্রের সকাল থেকেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শহরে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র পিছনের দিকের অংশ এখন স্থলভাগে প্রবেশ করছে। ভূভাগে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে শক্তি হারাতে শুরু করেছে ‘দানা’ (Cyclone Dana)। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বদিকের বাইরের যে ‘ব্যান্ড’ রয়েছে, তার প্রভাবে সকাল থেকেই কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে (Heavy Rainfall Alert)। 

    ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি

    শুক্রবার ভোররাত থেকেই কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই লাগাতার ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall Alert) হচ্ছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই বৃষ্টি দিনভর চলবে। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের একটি বা দুটি অংশে প্রবল ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় জারি অতিভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা (Heavy Rainfall Alert)। পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় জারি ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে (Cyclone Dana)। পূর্ব মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, সাগরদ্বীপ এবং সুন্দরবনে সর্বোচ্চ ১০০ কিমি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাকি অংশে সর্বোচ্চ ৯০ কিমি এবং উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও বাঁকুড়ায় ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    আরও পড়ুন: ওড়িশায় ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালাচ্ছে দানা, রাস্তাঘাট জনমানবশূন্য

    দীঘা-মন্দারমণিতে ‘দানা’-র দাপট (Cyclone Dana)

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ‘দানা’-র। স্থলভাগে প্রবেশ করার সময় এর গতিবেগ ছিল ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Dana)  কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। বহু জায়গায় গাছপালা ভেঙে গিয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে মন্দারমণির নিচু জমিতে ঢুকে পড়েছে নোনা জল। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সমুদ্রের রুদ্র রূপ দেখা যায়। তবে, আজ ভোর থেকে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু এখনও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। রাতে ২টো নাগাদ বেড়ে গিয়েছিল সমুদ্রের জলস্তর। যার জেরে গার্ডওয়াল টপকে চলে আসে ঢেউ। বেশকিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। তার মোকাবিলায় নেমে পড়েছে এনডিআরএফের টিম। বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ঝড়ের (Cyclone Dana) দাপট রয়েছে বকখালিতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওড়িশার মতো প্রস্তুতি নিতে পারেনি বাংলা’’, তোপ শুভেন্দুর, নিজেই খুললেন ত্রাণ শিবির

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওড়িশার মতো প্রস্তুতি নিতে পারেনি বাংলা’’, তোপ শুভেন্দুর, নিজেই খুললেন ত্রাণ শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানার। এনিয়ে ওড়িশার পাশাপাশি বাংলাতেও জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ‘‘ওড়িশা সরকার যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে সেইরকমভাবে প্রস্তুতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার নিতে পারেনি।’’ প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে আসেন সেখানকার বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে দলীয় জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে (Cyclone Dana) হাজির ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল সাহু এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পাল।

    নিজের উদ্যোগে আশ্রয় শিবির শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)  

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের অর্থ নেই। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেভাবে অর্থ বরাদ্দ করেনি রাজ্য। পর্যাপ্ত খাবার, রেসকিউ সেন্টারগুলির প্রস্তুতি, গবাদি পশুদের সংরক্ষণ এসব অ্যারেঞ্জমেন্ট এর মধ্যে নেই।’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-সহ উপকূল (Cyclone Dana) জুড়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে রেসকিউ সেন্টার চালু করেছেন। সেখানে পর্যাপ্ত খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাছ কাটার মেশিন, ব্যাটারি চালিত টর্চ, ত্রিপল, ৫০০ জনের রেস্কিউ টিম রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন, ‘‘এনডিআরএফ চাইলে তাদের নির্দেশ মতো কর্মীরা সহযোগিতা করবে।’’ শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে রাজনীতির উর্ধে উঠে সকলকে বলব, দানার মোকাবিলায় এগিয়ে আসুন।’’

    সহযোগিতা করছে না প্রশাসন, তোপ বিজেপি নেতার

    অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সম্পাদক মেঘনাদ পাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বলে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত রকম ব্যবস্থা করতে। কিন্তু প্রশাসন আর্থিক সাহায্য করছে না। তাই বিজেপির তরফে দলীয়ভাবে আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। বিধায়কের আর্থিক সহযোগিতায় ওই শিবিরে এলাকাবাসীকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনাচূড়া শহিদ মিনার, কালীচরণপুরে একটি স্কুলে এবং ভেকুটিয়ার কমিউনিটি হলে আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে বাংলার উপকূলে ১৪ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে সমুদ্রের ঢেউ

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে বাংলার উপকূলে ১৪ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে সমুদ্রের ঢেউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থলভাগের সঙ্গে দূরত্ব কমছে দানার। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, ‘দানা’ ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব, ধামারা থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তার সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে (Coast Of Bengal) জলোচ্ছ্বাস প্রবল হতে পারে, সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ ফুটেরও বেশি! (Cyclone Dana)

    সমুদ্রে ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উপকূলের (Cyclone Dana) দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’। অভিমুখ মূলত উত্তর-পশ্চিম। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা হবে সবচেয়ে বেশি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে ঢেউ উঠতে পারে ৯.৮৪ ফুট থেকে ১৪.৪৩ ফুট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে উপকূল খালি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নৌকা, ছোট ছোট জলযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেছে হাওয়া অফিস।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়

    ইতিমধ্যে ‘দানা’র (Cyclone Dana) মোকাবিলায় তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে দিঘা, মন্দারমণির মতো উপকূলঘেঁষা এলাকায়। পর্যটকদের আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উপকূল সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। যাঁদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাঁরা ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ‘ল্যান্ডফল’ না হলেও ‘দানা’য় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঝড়ের গতি হতে পারে ১০০ কিলোমিটারের বেশি। সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। এ ছাড়া, সুন্দরবন-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশ ‘দানা’র তাণ্ডবের সাক্ষী থাকবে। ঝড়ের গতি হতে পারে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। কলকাতায় ঝড় বইতে পারে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে হলদিয়া এবং কলকাতা বন্দরেও।

    তাজপুরে ভাঙন!

    ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে কাঁপছে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল ভাগ। তাজপুরের জলধা এলাকায় আতঙ্ক বাড়াল ভাঙন। বৃহস্পতিবার ভোরে সমুদ্র ফুঁসে উঠতেই ভাঙন শুরু হয় তাজপুরের জলধা এলাকায়। চোখের পলকে সমুদ্র লাগোয়া জমি তলিয়ে যাচ্ছে। সকালবেলা ভাঙনের এই ছবি দেখেই ঘুম ছুটেছে এলাকার বাসিন্দাদের। ‘দানা’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রামেও। তবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতেও শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

    পুলিশের লাঠিচার্জ

    বৃহস্পতিবার সক্কাল সক্কাল দিঘা-তাজপুর-মন্দারমণিতে জড়ো হয়েছেন বহু পর্যটক। প্রশাসন মাইকে বারবার ঘোষণা করলেও সমুদ্রের ধারে সেলফিতে ডুবে প্রত্যেকেই। তাঁদের সরাতে রীতিমতো লাঠিচার্জের খবরও সামনে এসেছে। সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও হুঁশ নেই পর্যটকদের। এই ভাঙন কবলিত এলাকায় বাস প্রায় আটশো মানুষের। তাঁরা সকলেই মৎস্যজীবী। আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) পূর্বাভাস দেওয়ার পরেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া এই এলাকার মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে এনেছে প্রশাসন। কিন্তু ঘরে ফিরেও স্বস্তিতে নেই তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    Cyclone Dana: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana)। শেষ পাওয়া আপডেট বলছে পারাদ্বীপ থেকে ১৮০ কিমি দূরে দানা। ধামরা থেকে ২০০ কিমি দূরে রয়েছে। সাগর দ্বীপ ২৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। আবহওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার ধামরা ও ভিতরকণিকার মধ্যে কোনও একটি জায়গায় ল্যান্ডফল করার কথা ঘূর্ণিঝড়ের। তবে, ঝড় সরাসরি এরাজ্যের ওপর দিয়ে না গেলেও, পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘দানা’-র দাপটে দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। দানার দাপটে ইতিমধ্যে সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। চরম দুর্যোগের (Weather Update) আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে বহু মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এমতাবস্থায় জেনে নেওয়া যাক, ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়ের সয়ম এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরে, কী কী করা উচিত এবং কী কী উচিত নয়।

    সাইক্লোন আসার আগে কী কী করবেন? (Cyclone Dana)

    সাইক্লোন (Cyclone Dana) আসার আগে ঘরের ছাদ দেখে নিন। কোনও টালি আলগা থাকলে মেরামত করুন। দরজা জানালার কবজাও মেরামত করে নিন। বাড়ির কাছাকাছি থাকা মরা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলুন। গাছের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যাতে বাড়ির উপর এসে না পড়ে। টিনের পাতলা শিট, লোহার কৌটো যত্রতত্র পড়ে থাকলে একজায়গায় জড়ো করুন। নয়তো ঝড়ের সময় এর থেকে বিপদ হতে পারে। কাঠের তক্তা কাছে রাখুন, যাতে কাচের জানলায় সাপোর্ট দেওয়া যায়। ঝড়ের তাণ্ডব চলাকালীন বিদ‍্যুৎ সংযোগ না-ও থাকতে পারে।  ফলে ঝড় শুরুর আগেই ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য জরুরি বৈদ্যুতিন যন্ত্রে চার্জ দিয়ে রাখুন। হালকা শুকনো খাবার মজুত রাখুন বড়সড় বিপদের জন্য। পর্যাপ্ত জল মজুত রাখুন। যে ঘরটি সবচেয়ে নিরাপদ, সেখানে আশ্রয় নিন। বাড়ির পোষ্য ও গবাদি পশুদেরও নিরাপদ স্থানে এনে রাখুন।

    আরও পড়ুন: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    কী করবেন না?

    বাড়ির ছাদে বা আশপাশে এমন কোনও জিনিস রাখবেন না, যা উড়ে গিয়ে কারও আঘাত লাগতে পারে। এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলি মাথায় না রাখলে দুর্যোগের সময় বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। বজ্রপাতের সময় মোবাইলে কথা বলা থেকে, এমনকি বজ্রপাতের (Cyclone Dana) ছবি তোলা থেকেও বিরত থাকুন। দরজা-জানলা খুলে রাখবেন না। প্রকৃতির মতিগতি আগে থেকে বোঝা দুষ্কর। যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। তাই দরজা-জানলা আঁটসাঁট করে বন্ধ রাখুন। মিক্সি, মাইক্রোওয়েভ অভেন কিংবা অন‍্যান‍্য বৈদ‍্যুতিন যন্ত্রপাতি ব‍্যবহার বন্ধ রাখুন। বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। একান্ত দরকার না পড়লে বাইরে বেরোবেন না। আর যদি কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোতেই হয়, গাছ আছে এমন স্থানে যাবেন না।

    সাইক্লোন শুরু হলে কী কী করবেন?

    বিদ্যুৎ ব্যবস্থা (Cyclone Dana) ঠিক থাকলে টিভিতে খবরে নজর রাখুন। নয়তো রেডিও চালিয়ে রাখতে পারেন। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে নিয়মিত আবহাওয়া খবর পাবেন। সঠিক খবর শুনে অন্যদের প্রয়োজনে জানান। ভুয়ো খবর শোনা ও শোনানো থেকে বিরত থাকুন। আগাম ২৪ ঘন্টার সতর্কতা শুনে সেই মতো ব্যবস্থা নিন।

    আপনার এলাকায় সাইক্লোন সতর্কতা জারি হলে কী করবেন?

    এই ক্ষেত্রে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসনের তৈরি বিভিন্ন সাইক্লোন (Cyclone Dana) সেন্টারে গিয়ে থাকাই শ্রেয়। এতে অনেকটা নিরাপদে থাকা যাবে। বেশি করে শুকনো খাবার নিয়ে নিতে পারেন।  অবশ্যই পানীয় জল সঙ্গে রাখুন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদা আলাদা খাবার নিয়ে নিন। সমস্ত ইলেক্ট্রিক জিনিসের সুইচ অফ করে দিন। প্লাগও খুলে দিতে হবে। সাইক্লোন থামলেই বাইরে বেরোবেন না সাইক্লোন থামলেই বাইরে বেরোনো একেবারে উচিত নয়। অপেক্ষা করুন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের।  কারণ, সাইক্লোন চক্রাকারে ঘোরে। সাইক্লোনের কেন্দ্রে কোনও ঝড় হয় না। ওই অংশ শান্ত। হতে পারে সেই সময় ওই অংশটি আপনার এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, সাইক্লোনের প্রথম হাওয়া ডানদিক থেকে বাঁদিকে বইলে পরের হাওয়া অর্থাৎ সাইক্লোনের কেন্দ্র বা চোখ পেরিয়ে যাওয়ার পরের হাওয়া বাঁদিক থেকে ডানদিকে বইবে। তাই ওই সময় বাইরে থাকলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবিবার রাজ্যে অমিত শাহ, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী বিজেপি

    Amit Shah: রবিবার রাজ্যে অমিত শাহ, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে আগামী রবিবার সকালে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। ওই দিন দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও তাঁর মন্ত্রকের দু’টি অনুষ্ঠানও রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ব্যস্ত সফরসূচির মধ্যেই তাঁর সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের দেখা করাতে উদ্যোগী বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে ইমেল পাঠিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। মানসিক যন্ত্রণা ও অসহায়তার কথা জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। তার পরেই শাহের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ করাতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, অমিত শাহ নিজেও মৃতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী।

    নির্যাতিতা পরিবারের শাহি সাক্ষাতে উদ্যোগী বিজেপি (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, শাহ (Amit Shah) রাজ্য বিজেপির কয়েক জন শীর্ষনেতার সঙ্গে কথা বলে নির্যাতিতার পরিবারের (RG Kar) সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করতে বলেছিলেন। তার পর থেকেই রাজ্য বিজেপির নেতারা ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার বন্দোবস্ত করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে তাঁরা শাহকে ইমেল পাঠিয়ে সাক্ষাতের সময় চাওয়ায় সেই পথ আরও সুগম হয়েছে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আর আরজি কর-কাণ্ডের পর যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সর্ব স্তরের মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিহত চিকিৎসকের মা বাবার সাক্ষাৎ অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    কোথায় সাক্ষাৎ?

    শাহের সফরসূচির মধ্যেই কলকাতার কোনও এক নিরাপদ জায়গায় শাহের (Amit Shah) সঙ্গে নিহত চিকিৎসকের অভিভাবকদের সাক্ষাৎ করাতে চান। প্রথমে শাহকে মৃতার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এখনও শাহের সফরসূচির চূড়ান্ত রূপরেখা হাতে পাননি রাজ্য বিজেপি নেতারা। তাই আপাতত কলকাতাতেই অমিত শাহের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করানোর পক্ষপাতী তাঁরা। আগামী শনিবার, আরজি কর মেডিক্যালে মহাসমাবেশের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে নির্যাতিতার পরিবাবের সঙ্গে শাহের সাক্ষাৎ করার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    সাক্ষাৎ নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) এক রাজ্য নেতা বলেন, “আরজি করকাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূলের অবস্থান কারও অজানা নয়। আর পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষী এবং স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি হওয়া ঘুঘুর বাসা ভাঙার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় অমিত শাহের (Amit Shah) মতো কোনও সর্বভারতীয় নেতা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের বিচারের দাবিকে সমর্থন জানালে আমাদের আন্দোলন আরও দৃঢ় হবে। তাই কলকাতায় তাঁদের সাক্ষাতের চেষ্টা চলছে।”

    কী কী কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?

    শনিবার রাতে, কিংবা রবিবার সকালে কলকাতায় আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রাথমিক সফরসূচি অনেকটা এরকম। জানা গিয়েছে, রবিবার, ২৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় ইজেডসিসি- তে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে। ১৩ অক্টোবর রাজ্যে ৬টি বিধানসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ফলে, এই সব বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে মূলত রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে শাহের (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। দলীয় বৈঠকের পর কল্যাণী, আরামবাগে যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সূত্র মারফৎ খবর, রবিবার কল্যাণীতে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় যাবেন অমিত শাহ। তারপরেই আরামবাগের সমবায় মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে যাবেন অমিত শাহ। এর আগেও একাধিকবার এ শহরে এসেছেন অমিত শাহ। কখনও ভোটের প্রচার, কখনও সন্দেশখালি ইস্যুতে, কখনও দলীয় বৈঠকের জন্য। তবে এই বাংলায় আরজি কর কাণ্ডের পর, শাহের এ শহরে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ মমতার সরকার। দেশের শীর্ষে আদালতের শুনানিতে উঠে এসেছে সেই সকল অভিযোগের প্রসঙ্গ। হয়েছে সওয়াল-জবাব পর্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপট, সকাল থেকে কলকাতায় শুরু বৃষ্টি, সতর্কতা জারি দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপট, সকাল থেকে কলকাতায় শুরু বৃষ্টি, সতর্কতা জারি দক্ষিণের একাধিক জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) ‘দানা’। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুন্দরবন উপকূলে শুরু দমকা হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ওই দুই জেলায় মাঝে মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াও বইছে।

    অতি ভারী বৃষ্টি কোথায়? (Cyclone Dana)

    বুধবার মধ্যরাতেই এটি ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ (Cyclone Dana) পরিণত হয়েছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি কখনও কখনও ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে। ইতিমধ্যেই দানার প্রভাবে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চলার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। দু’দিনই অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। দিনভর ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশেও। তবে, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রাবল্য কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওই দিন কেবল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার ভিতর কণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    সুন্দরবনে নজরদারি

    সুন্দরবনের বিছিন্ন দ্বীপগুলির ওপর বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর সর্বদা নজর রাখার জন্য উপকূলে ৩৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিপর্যয় (Cyclone Dana) মোকাবিলা বাহিনীর ৩টি দল, এসডিআরএফের ২টি দল জেলায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের। ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভাঙলে ৪৭০টি টিম প্রস্তুত আছে স্বয়ংক্রিয় করাত নিয়ে। সুন্দরবনের আসন্ন প্রসবা মহিলাদের তুলে আনা হয়েছে ব্লক হাসপাতাল গুলিতে। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে সন্ধ্যার পর পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। সেই সময় উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়াতেও হাওয়ার ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ৮০ কিলোমিটার।

    জারি লাল সতর্কতা

    এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে ভারী (Cyclone Dana) থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। জারি করা হয়েছে লাল সতকর্তা। এদিন বেলা বাড়ার পর দুর্যোগ আরও বাড়বে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। আজ ও আগামিকাল জেলার সব ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত জেলার ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে আনা হয়েছে। বিশেষ করে সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা ও কাকদ্বীপ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও সেচ দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন কাকদ্বীপে উপস্থিত রয়েছেন। জেলা, মহকুমা ও ব্লকস্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এদিন সন্ধে সাতটার পর নামখানা শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র ও সুন্দরবন ভ্রমণ আগামী দুদিন বন্ধ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medical Scam: অভীক-বিরূপাক্ষ দুর্নীতি করেছে, রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির, কী আছে তাতে?

    Medical Scam: অভীক-বিরূপাক্ষ দুর্নীতি করেছে, রিপোর্ট পেশ স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটির, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দুর্নীতির (Medical Scam) অন্যতম মাথা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-র বিরুদ্ধে জমা পড়ল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট। থ্রেট সিন্ডিকেটের অন্যতম মুখ হিসেবে এই দুই চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম উঠে আসে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য ভবন (Health Bhavan)। সেই রিপোর্টই এবার এল প্রকাশ্যে। রিপোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে।

    বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে কী উঠে এল তদন্তে? (Medical Scam)

    বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Medical Scam) হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। কেন তিনি ৯ অগাস্ট আরজি করে গিয়েছিলেন, কী করছিলেন ঘটনাস্থলে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর বর্ধমান থেকে সরিয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে পাঠিয়ে দেয় স্বাস্থ্যভবন। বদলির নোটিশ জারি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও বিক্ষোভ দেখান। এরপরই স্বাস্থ্যভবন সিনিয়র রেসিডেন্ট পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিরূপাক্ষকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টে একাধিক অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির নামে মর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী দীন মহম্মদের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সাগর দত্ত, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের খাতায় বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।

    রাতভর পার্টি না করলে মেয়েদের ফেল করে দেওয়ার হুমকি!

    আরজি কর হাসপাতালে (Medical Scam) তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে বারবার উঠে এসেছে চিকিৎসক অভীক দে-র নাম। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের পিজিটি। অভিযোগ ওঠে, তিনিই মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অন্যতম মাথা। তাঁকে সাসপেন্ডও করে স্বাস্থ্যভবন। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটিই চলতি মাসে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যালের ছাত্রীরা রাতভর পার্টি না-করলেই পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের নাম করে মেডিক্যালের নবাগত ছাত্রদের থেকে তোলাবাজি চলত। আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনে সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র দোষী হিসেবে তুলে ধরতে ছাত্রদের ব্রেনওয়াশ করা হয়। এসএসকেএম-এর পিজিটি ছাত্র অভীক দে-র বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক সব অভিযোগ এনে স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট পেশ করল তদন্ত কমিটি।

    পাশাপাশি, অভীক দে যে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। গত ৯ অগাস্ট নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের দিন আরজি করের ক্রাইম সিনে থাকার কথা অস্বীকার করেননি অভীক দে। ক্রাইম সিনে ‘লাল জামা’ পরিহিত অভীকের উপস্থিতি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সে কথা উল্লেখ করা আছে। অভীক স্বীকার করে বলেছেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের দলের সঙ্গে আরজি কর গিয়েছিলাম।’ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের দুনম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, অভীক দে যে সার্জারি বিভাগে এমএস করছিলেন, তা একদমই নিয়ম বহির্ভূত। কারণ তিনি থিসিস পেপার জমাই করেননি। এমনকী নিজের আইকার্ডও গ্রহণ করেননি। ৮ অগাস্ট থেকে এসএসকেএম হাসপাতালেও তাঁকে দেখা যায়নি। তদন্ত কমিটিতেই এই সব তথ্য উঠে এসেছে।

    কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ

    কলেজের দার্জিলিং ক্যাম্পাসে (Medical Scam) অভীক দে-র বেআইনি উপস্থিতির কথা উঠে এসেছে কমিটির রিপোর্টে। সেই ক্যাম্পাসে মাঝেমধ্যেই নবাগত পড়ুয়াদের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তোলারও অভিযোগ রয়েছে অভীকের বিরুদ্ধে। এমনকী, মেডিক্যাল কলেজের সরকারি জিনিস ব্যবহার ও সরকারি হলে কারও অনুমতি না-নিয়ে নিজের জন্মদিনও পালন করতেন তিনি। এই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংগৃহীত প্রমাণ এবং সে বিষয়ে অভীক দে-র বয়ানও রিপোর্টের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। অভীকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যভবনের কাছে সুপারিশ করেছে কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল রেল। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল (Train Cancelled) জানিয়েছে, শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বাতিল করা হয়েছে ১৯০টি লোকাল ট্রেন। বুধবার শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা না হলেও একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    কখন ছাড়বে শেষ ট্রেন

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার (Cyclone Dana) আশঙ্কা রয়েছে। ডিআরএম দীপক বলেন, ‘‘দুর্যোগের কারণে শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখার সমস্ত গন্তব্যের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই শাখায় বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন চলাচল।’’ তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত দক্ষিণ শাখার কোনও স্টেশন থেকেই শিয়ালদার উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। শিয়ালদার ডিআরএম জানিয়েছেন, একই সঙ্গে হাসনাবাদ শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হাসনাবাদের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদা থেকে। 

    শিয়ালদার কোন শাখায় কত ট্রেন বাতিল 

    ১) শিয়ালদা-ক্যানিং শাখা: ২৪টি ট্রেন বাতিল

    ২) সোনারপুর-ক্যানিং শাখা: ৭টি ট্রেন বাতিল

    ৩) শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখা: ২৫টি ট্রেন বাতিল

    ৪) শিয়ালদা-বজবজ শাখা: ২৯টি ট্রেন বাতিল

    ৫) শিয়ালদা-সোনারপুর শাখা: ১১টি ট্রেন বাতিল

    ৬) সোনারপুর-বারুইপুর শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৭) শিয়ালদা-বারুইপুর শাখা: ১৬টি ট্রেন বাতিল

    ৮) শিয়ালদা-নৈহাটি শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৯) লক্ষ্মীকান্তপুর-বারুইপুর শাখা: ৩টি ট্রেন বাতিল

    ১০) শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার শাখা: ৩০টি ট্রেন বাতিল

    ১১) লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখা: ১৯টি ট্রেন বাতিল

    ১২) শিয়ালদা/বারাসত-হাসনাবাদ শাখা: ২০টি ট্রেন বাতিল

    ১৩) চক্ররেল: ২টি ট্রেন বাতিল

    হাওড়ার হালচাল

    যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিয়ালদা বিভাগে লোকাল ট্রেন চলাচলের (Train Cancelled) ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, আরও ট্রেন বাতিল করা হবে কিনা, পরিস্থিতি বিচার করে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুক্রবার ছ’ঘণ্টা (ভোর ৪ টে থেকে সকাল ১০ টা) একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছ’ঘণ্টার মধ্যে যে ট্রেনগুলি ছাড়বে, সেগুলি যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনেই দাঁড়াবে। অর্থাৎ গ্যালোপিং ট্রেনও সব স্টেশনে স্টপেজ দেবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    কোন কোন ট্রেন বাতিল

    লোকাল ছাড়াও বেশ কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর, বুধবার বাতিল করা হয়েছে কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিলচর-সেকেন্দরাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস, পুরী-শিয়ালদা দুরন্ত এক্সপ্রেস, পটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, বেঙ্গালুরু-মুজফ্‌ফরপুর এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, আসানসোল-হলদিয়া এবং হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার আসানসোল-হলদিয়া, হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস এবং পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল বাতিল করা হয়েছে। ‘দানা’র কারণে দক্ষিণ-পূর্ব রেলও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাতিল করা হয়েছে ১৭২টি ট্রেন। এ ছাড়াও ১২০টি মেল-এক্সপ্রেস এবং ৫২টি লোকাল ও মেমু ট্রেন বাতিল থাকছে এই সময়ের মধ্যে।

    হেল্পলাইন নম্বর

    ইতিমধ্যেই শিয়ালদা এবং হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পূর্ব রেলের (Train Cancelled) তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৬৪১৩৬৬০, ০৩৩ ২৬৪০২২৪১, ০৩৩ ২৬৪০২২৪২, ০৩৩ ২৬৪১২৩২৩। শিয়ালদা ডিভিশন হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৩৫১৬৯৬৭।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cyclone Dana: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও 

    Cyclone Dana: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana) আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাত থেকে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port) বন্ধ রাখা হয়েছে অপারেশনের কাজ। বন্দরের বড় বড় ক্রেনগুলির অপারেশন বুধবার দুপুরের পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ক্রেনগুলির লম্বা আর্ম নামিয়ে সেগুলিকে লোহার খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানা-র মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port)। তাই আগেভাগেই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে ক্রেন। সুরক্ষিত জায়গায় রাখা হচ্ছে জাহাজ ও ভেসেলগুলিকে। সতর্ক দমদম বিমানবন্দর (Kolkata Airport) কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। 

    বন্ধ বন্দরের কাজ

    হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) গতিপথের উপর নজর রাখতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সাইক্লোনের সতর্কবার্তা দেখে আপাতত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হলদিয়া বন্দরের সমস্ত ধরনের অপারেশনের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বন্দরের লকগেটের অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের আশঙ্কায় আগামী দু’দিন বন্দরে জাহাজ চলাচল বা পণ্য ওঠানামার কাজ কার্যত বন্ধ থাকবে। 

    ডক এরিয়ায় সুরক্ষিত জাহাজ

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) জন্য বন্দরের ডক এলাকায় অপারেশনের ক্ষেত্রে একাধিক সতর্কতা জারি করেছে হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) কর্তৃপক্ষ। ডক এরিয়ার মধ্যে মোট ১৬টি ছোট বড় জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি কোস্টগার্ডের নজরদারি ভেসেল ও জাহাজ রয়েছে। এছাড়া ৫টি বার্জও ডকে রাখা রাখা হয়েছে। ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে ডক এরিয়ায় নিরাপদ জায়গায় এগুলি সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদি নদীর তীরে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জেটি থেকে ভেসেল ও জাহাজগুলিকে বুধবার বিকেলে দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে আনা হয়েছে। ওই ভেসেলগুলি এদিন দুপুর পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের ডাঙায় ফেরার বার্তা দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    সতর্ক বিমানবন্দর

    ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দমদম বিমানবন্দরও (Kolkata Airport)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। ওই সময়ে বিমানবন্দরে কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সমাজমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার আশঙ্কা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে শহরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    Kali Puja 2024: ঘন জঙ্গলে মা কালীর আরাধনা শুরু করেছিলেন এক কাপালিক! সেই পুজো ৫০০ বছরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো ঐতিহ্য ও রীতি-রেওয়াজ মেনে ৫০০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুরের কালীকাপুরের কালী বিগ্রহের। ফি বছর গ্রামের বাসিন্দারা পুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন। আর এই পুজো শুরু হওয়ার সুন্দর ইতিহাস রয়েছে।

    কাপালিক শুরু করেছিলেন কালীপুজো (Kali Puja 2024)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কালীপুজোকে (Kali Puja 2024) কেন্দ্র করেই এই গ্রামের নাম কালীকাপুর। সে প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগের কথা। বর্তমানের জনবহুল গ্রাম সে সময় ছিল জনশূন্য। ঘন জঙ্গলে ঢাকা নির্জন স্থান। কানা দামোদর নদীর পাড়। জঙ্গলে বন্য পশুর দাপট ছিল। কেউ সাহস পেত না এখানে আসার। জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, এই ঘন জঙ্গলেই বাস করতেন এক কাপালিক। তিনি জঙ্গলে একাকী থেকে মা কালীর আরাধনা করতেন। তখন বর্ধমান রাজার রাজত্বকাল। কথিত রয়েছে, রাজার আদেশ মতোই কাপালিকের অবর্তমানে মা কালীকে সেবা করার দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন বর্ধমানের ঘোষ পরিবার। জানা যায়, সে সময় বর্ধমান রাজসভার নবরত্নের একজন ছিলেন তিলকরাম ঘোষ। বর্ধমান থেকে রাজার আদেশ মতোই মা কালীর সেবার উদ্দেশ্যে সপরিবারে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে চলে এসেছিল ঘোষ পরিবার। তৎকালীন ঘোষ পরিবার ভাট উপাধি পেয়েছিল রাজার কাছে। ধীরে ধীরে বসতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। মন্দির থেকে কিছুটা দূরে ভাট পরিবারের বসবাস শুরু করেছিল সেখানেই। সেই স্থান দেবীপুর গ্রাম নামে পরিচিত।

    ‘একাহারি কালী মা’

    বর্তমানে যে স্থানে কালী মন্দির রয়েছে, তখন সেখানে ঘন জঙ্গল, পুজো (Kali Puja 2024) করার জন্য পুরোহিতের সঙ্গে লেঠেল নিয়ে আসা হত বন্য পশুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে। মন্দির সংলগ্ন ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করে বর্তমানে ঘনবসতি গড়ে উঠেছে। মন্দিরের পুরনো রীতি অনুযায়ী প্রতিদিন একবার মাতৃ পুজো অনুষ্ঠিত হয় এখানে। জানা যায়, সে সময় ঘন জঙ্গল কোনওরকমে লেঠেল সঙ্গে নিয়ে দিনে একবার মা কালীর পুজো করা সম্ভব হত। একবার পুজো হওয়ার কারণেই “একাহারি ‘কালী মা”ও বলা হয়। কথিত রয়েছে, শুরুতে মূর্তি ছাড়াই ঘট প্রতিষ্ঠা করে মা কালী রূপে পুজো হত। সেই ঘট নাকি আজও মন্দিরে রয়েছে বলেই জানান পুরোহিত এবং স্থানীয় মানুষ।

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    পরিবারের সদস্য অনির্বাণ ভাট বলেন, “এখানে ভাট পরিবারের প্রথম পুরুষ তিলকরাম ঘোষ (ভাট) রাজার আদেশমতো বর্ধমান থেকে এখানে মায়ের সেবা করতে এসেছিলেন। সে সময় থেকে কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছে। তবে প্রায় সমস্ত নিয়ম রীতি রয়েছে অক্ষত। জানা যায়, মন্দিরে কষ্ঠি পাথরের মায়ের যে মূর্তি তা প্রায় দু’শো বছর প্রাচীন। গ্রামে অন্য কোনও মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ ছিল। বৈশাখের ফলহারিণী, মকর সংক্রান্তি, নবমী এবং শ্যামাকালী পুজো-সহ মোট চারটি বিশেষ পুজো হয় প্রতি বছর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share