Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Metro Railway: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিশেষ ট্রেন চালাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ

    Metro Railway: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিশেষ ট্রেন চালাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক , উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ট্রেন পরিষেবা দেবে মেট্রো রেল (Metro Railway)। মঙ্গলবারই এই ঘোষণা করে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। অন্যদিকে ১৪ মার্চ শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। মেট্রো রেল সূত্রে জানানো হয়েছে পরীক্ষার সময় শনিবার করে ৮টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। এর মধ্যে ৪টি আপ এবং ৪টি ডাউন ট্রেন। মেট্রো রেল সূত্রে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ এবং ১৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষার আগে এবং পরে ৫-৬ মিনিট অন্তর ট্রেন চালাবে মেট্রো। পরীক্ষার্থী, অভিভাবক এবং পরীক্ষকরা যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যথা সময়ে পৌঁছতে পারেন এবং পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয়, সেই কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ (Metro Railway)।

    মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সময়পর্বে সপ্তাহের দিনগুলিতে সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত ৫-৬ মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন চালাবে মেট্রো। এই সময়পর্বে শনিবারগুলিতে (২৫ ফেব্রুয়ারি, ৪ মার্চ, ১৮ মার্চ এবং ২৫ মার্চ) ৪টি আপ ও ৪টি ডাউন ট্রেনের বিশেষ পরিষেবা পাবে পরীক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি ২৩৪টি ট্রেনের স্বাভাবিক পরিষেবা যেমন জারি থাকে, তা সেই মতোই পাওয়া যাবে। জানা গেছে, ৮টি স্পেশ্যাল ট্রেনের পরিষেবার মধ্যে ৪টি (২টি আর ও ২টি ডাউন) সকাল ১০টা থেকে রাত দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত ৪টি (২টি আর ও ২টি ডাউন) ট্রেন চলবে।

    মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছাও জানায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ (Metro Railway)

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে চলা সকল পরীক্ষার্থীদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছে মেট্রো রেল (Metro Railway)। 

    উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে যাতে সমস্যায় না পড়ে, সে কথা মাথাই রেখে পূর্ব রেলও ছাত্রছাত্রীদের জন্য বেশ কিছু লোকাল ট্রেনের বাড়তি স্টপেজের ব্যবস্থা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  •  Visva Bharati: দু’বছর পর ফের বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান, আসছেন রাজনাথ সিং

     Visva Bharati: দু’বছর পর ফের বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান, আসছেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার কারণে বন্ধ ছিল বিশ্বভারতীর সমাবর্তন (Visva Bharati)। দু’বছর পর ফের তা শুরু হচ্ছে। শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি। সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই বিষয়ে জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শান্তিনিকেতনে অনুষ্ঠানে থাকবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ওই দিন সকাল ৯টায় প্রথা মেনে আম্রকুঞ্জের জহর বেদিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সূচনা হবে বলে জানা গেছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি বীরভূমের রাঙামাটিতে পা রাখবেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে তাঁর সামনে পরিবেশিত হবে ভানুসিংহের পদাবলী।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপেক্ষা করুন, কাকুর ভাইপো, তাঁর পিসির নামও চলে আসবে’’! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    সমাবর্তনের দিন কী হয় বিশ্বভারতীতে 

     এদিন ছাত্রছাত্রীরা আচার্যের কাছ থেকে ছাতিম পাতা ও শংসাপত্র এবং দীক্ষান্ত ভাষণের মধ্যে দিয়ে বিশ্বভারতী থেকে শিক্ষালাভের অধ্যায় সমাপ্ত করেন। বিশ্বভারতীর আচার্য দেশের প্রধানমন্ত্রী। আচার্যের কাছ থেকে ছাতিম পাতা গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, এই রীতিই চলে আসছে। কিন্তু ভিভিআইপি নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে এই রীতিতে ছেদ পড়েছে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির সময় থেকে। ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল মাধ্যমে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আচার্য নরেন্দ্র মোদি। শেষবার শান্তিনিকেতনে আচার্য হিসেব মোদি এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৫ মে ।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ১১ ডিসেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পড়ুয়াদের একাংশের ধারাবাহিক আন্দোলনের কারণে গত ডিসেম্বরে বিশ্বভারতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। গত ১১ ডিসেম্বরের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্যের রাজ্যপাল বোস এবং কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের। তবে এবার সমাবর্তন উৎসবের প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে। সংগীত ভবনের ছাত্রছাত্রীর মহড়া দিচ্ছেন, জহরবেদী প্রাঙ্গণে চলছে মঙ্গল আলপনা আঁকার কাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মোট ৪৪টি প্রকল্প আটকে রয়েছে রেলের (Indian Railways)। অভিযোগ রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা এবং জমি জটিলতার কারণে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন করতে পারছে না রেল। এরমধ্যে ১৩টি প্রকল্প রয়েছে যেগুলিতে নতুন লাইন পাতার কথা। রেল সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পগুলির মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৯,২২৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, মোট ১০৪৯ কিমির এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত রেল কিন্তু জমি জটের কারণেই নাকি এই প্রকল্পগুলি এগোচ্ছেনা। রেলের দাবি, কয়েকটি প্রকল্পের জন্য জমি কিনতে রাজ্য সরকারকে টাকাও দেওয়া হয়েছিল! কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। রেল আবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয় ওই টাকা ফেরতের জন্য। রেল (Indian Railways) বলছে, রাজ্য সরকারের এমন অসহযোগিতার কারণে তারা প্রকল্প আপাতত বন্ধ রেখেছে।

    ১৮ বছর ধরে আটকে রয়েছে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    ২০০৫-২০০৬ নাগাদ রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব, সেসময় বীরভূম জেলাকেন্দ্রিক ১২২ কিলোমিটার নতুন লাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রকল্পের মোট বাজেট ধরা হয় ১৪০২ কোটি টাকা। ঠিক হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে জোড়া হবে চিনপাই-সাঁইথিয়া (৩১ কিমি), চৌরিগাছা-সাঁইথিয়া ভায়া কান্দি (৫৬ কিমি) এবং প্রান্তিক-সিউড়ি (৩৪ কিমি)।  গত ১৮ বছর ধরে একমাত্র সম্পন্ন হয়েছে চিনপাই-সাঁইথিয়া প্রকল্পটি। বাকি প্রকল্পগুলি আপাতত বিশ বাঁও জলে! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শহর বোলপুর, এখানকার বিশ্বভারতীর আন্তর্জাতিক খ্যাতি রয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে ছাত্র ছাত্রী গবেষকদের ভিড় সারাবছর ধরেই থাকে বোলপুরে। অন্যদিকে সিউড়ি হল জেলার সদর শহর। জেলার এই দুই গুরুত্বপূর্ণ শহরকে রেল মানচিত্রে জোড়ার জন্যই এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের জমিনীতির কারনে তা আজ ঠাণ্ডা ঘরে।

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা

    সিউড়ি শহরের বাসিন্দা সুব্রত সরকার বলেন, রাজ্য সরকার জমি দিতে পারছেনা বলেই আটকে রয়েছে সিউড়ি থেকে প্রান্তিক অবধি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি হোক বা বোলপুর, প্রশাসনিক বৈঠক সহ যেকোনও সরকারি অনুষ্ঠানে এই দুই শহরে হাজির থাকেন জেলার দুই সাংসদ , অথচ দুই শহরকে রেল মানচিত্রে জোড়ার কথা কখনও তাঁরা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেননি। একমাত্র ব্যতিক্রমি হলেন, সিউড়ি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সিউড়ি থেকে শিয়ালদহ অবধি নতুন ট্রেন চালু তিনিই করেছেন, রেলমন্ত্রীকে বলে। তিনি এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে সিউড়ি-প্রান্তিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় কিন্তু আসল জট তো জমিতে, অধিগ্রহণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১০): আপাতত ঠাণ্ডা ঘরে আরামবাগ-বোয়াইচণ্ডী রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৯): ১৩ বছর ধরে আটকে দিঘা-জলেশ্বর প্রকল্পের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৮): থমকে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৭): তেরো বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • International Mother Language Day: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জানেন ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস?

    International Mother Language Day: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জানেন ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
    তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!

    সালটা ছিল ১৯৪৮। ওই বছরেরই ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানের গণপরিষদে একটি সংশোধনী প্রস্তাব আনেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগ হয় গঠিত হয় ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র। পাকিস্তানে সেসময়ে উর্দু ভাষায় যাবতীয় কাজ চালানো হত, তার সঙ্গে অবশ্যই ইংরেজিও ছিল কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান যেখানে ১০০ শতাংশই বাঙালিদের বসবাস ছিল সেখানকার অধিবাসীদেরকেও সংসদে উর্দুর পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় বক্তব্য রাখতে হত এবং সরকারি কাজে এই দুটো ভাষাই ব্যবহার করতে হতো, স্বাভাবিকভাবে বাংলা ভাষা চেতনায় অথচ মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম উর্দু । ওই সংশোধনীতে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন যে ইংরেজি এবং উর্দুর পাশাপাশি সংসদে বাংলায় বক্তৃতা করতে দিতে হবে এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহারও শুরু করতে হবে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে সেই দাবি নস্যাৎ করে দেয় পাক প্রশাসন এবং জোর করে উর্দুকে চাপিয়ে রাখা হয় বাংলা ভাষার উপরে।

    কোন পরিস্থিতিতে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন

    জানা যায়, তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এবং মহম্মদ আলি জিন্নাহ  সেসময়কার পূর্ব পাকিস্তান মানে এখনকার বাংলাদেশ সফরে এসে নানা কটূক্তিও করতে থাকেন বাংলাভাষাকে নিয়ে। এই সমস্ত ঘটনাপ্রবাহ আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। এই পটভূমিকাই জন্ম দেয় ভাষা আন্দোলনের। ১৯৫২ সালে সেই আন্দোলনে চরম আকার নেয়। ভাষা আন্দোলনকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলে দলে দলে ছাত্রদের উন্মুক্ত যোগদান। প্রতিটি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বাংলা ভাষার জন্য রাস্তায় নামতে থাকে। সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের অধিকারের দাবিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পথে নামে। ওই বছরেরই ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। 

    উর্দুর করাল গ্রাস থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করার জন্য এই আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুপুর তিনটে নাগাদ গুলি চালায় তৎকালীন পাক-প্রশাসন, পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে মারা যান বেশ কয়েকজন। অবশেষে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। এবং ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান গণপরিষদে সে দেশের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকেও স্থান দেওয়া হয়।

    উর্দু ভাষার আগ্রাসন থেকে  বাংলা ভাষাকে বাঁচানোর জন্য এই আন্দোলন, এই লড়াইকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। সারা বিশ্বব্যাপী তাই প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Dumdum: শহরতলির যাত্রীদের জন্য সুখবর! মেট্রো মানচিত্রে জুড়ছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট 

    Dumdum: শহরতলির যাত্রীদের জন্য সুখবর! মেট্রো মানচিত্রে জুড়ছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা শহরতলির রেলযাত্রীদের জন্য আবারও সুখবর। জানা গেছে, দমদম (Dumdum) ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে জুড়তে চলেছে ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা। এরফলে খুব সহজেই শহরতলির মানুষ অনেক কম সময়ে কলকাতায় পৌঁছতে পারবেন। রবিবার মেট্রোরেলের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নতুন এই রেলপ্রকল্পের বিষয়ে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিমানবন্দর হয়ে নোয়াপাড়া-বারাসাত মেট্রো রুটটি দমদম (Dumdum)  ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের সঙ্গেও যুক্ত হবে।

    আরও পড়ুন: নবান্নের কড়া বার্তা উপেক্ষা করে অণ্ডাল ব্লক অফিসের কর্মচারীরা সামিল হলেন কর্মবিরতিতে

    কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ
     

    মেট্রো কর্তৃপক্ষ বলছে, নোয়াপাড়া বারাসত ভায়া বিমানবন্দর, নতুন এই মেট্রো লাইনের নবনির্মিত স্টেশনটি ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের পাশেই। এই লাইনে মেট্রো চলাচল শুরু হলে, বনগাঁ, বারাসত, বসিরহাট, টাকি, হাসনাবাদ এর মতো শহরতলি থেকে আসা মানুষ অনেক তাড়াতাড়ি ও কম সময়ে কলকাতা পৌঁছতে পারবেন। এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, ব্যারাকপুরের যাত্রীরা নোয়াপাড়া থেকে দমদম (Dumdum)  ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছাতে পারবেন। এবং সেখান থেকে ট্রেনও ধরতে পারবেন। 

    আরও পড়ুন: ১৫ বছর পুরনো মামলায় গ্রেফতার সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা! এখন কেন? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    শোনা যাচ্ছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে এই লাইনে পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে এবং প্রতিদিন গড়ে ৩৬ হাজার মানুষ দমদম (Dumdum)  ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করবেন। নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৭.০৪ কিমি রুটে শীঘ্রই পরিষেবা শুরু হতে পারে বলে আশা মেট্রোর। মেট্রো সূত্রে খবর নবনির্মিত দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা রাখা হয়েছে। দমদম (Dumdum)  ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে দুটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। পর্যাপ্ত টিকিট কাউন্টার, বসার বেঞ্চ, প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ, মহিলাদের জন্য টয়লেট, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে। এই স্টেশনে ৬টি এসকেলেটর, ৩টি লিফট থাকবে। পাশাপাশি ৭টি সিঁড়িও থাকবে। ১৬টি এফসি গেটও বসানো হবে। থাকবে আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • DA Protest: নবান্নের কড়া বার্তা উপেক্ষা করে অণ্ডাল ব্লক অফিসের কর্মচারীরা সামিল হলেন কর্মবিরতিতে

    DA Protest: নবান্নের কড়া বার্তা উপেক্ষা করে অণ্ডাল ব্লক অফিসের কর্মচারীরা সামিল হলেন কর্মবিরতিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ এর (DA Protest) দাবিতে, সোম-মঙ্গল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলি। সোমবার অণ্ডাল ব্লক অফিসে বেশকয়েকজন কর্মচারি অ্যাটেনডেন্স-এ সই করেও কাজ করতে অস্বীকার করলেন, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় ব্লক অফিসের মধ্যেই। বিষয়টি পঞ্চায়েত মন্ত্রী পর্যন্ত গড়ায়। আগেই নবান্ন কড়া বার্তা দিয়েছিল। সার্কুলার জারি করে জানানো হয়েছিল, সোম ও মঙ্গলবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। কর্মবিরতিতে সামিল হলে চাকরি জীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। করা হবে শোকজ। তা সত্ত্বেও অণ্ডাল ব্লক অফিসের একাংশ কর্মচারী কর্মবিরতিতে সামিল হলেন নবান্নের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে।

    গোটা ঘটনায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিযোগ করলেন মন্ত্রীর কাছে

     জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতোই এদিন ব্লক অফিসে আসেন ওই কর্মীরা এবং অ্যাটেনডেন্স-এ সইও করেন, কিন্তু পরে কাজ করতে অস্বীকার করেন, এরফলে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আটকে যায়। রুপশ্রী প্রকল্প, কাস্ট সার্টিফিকেটের কাজে এসে ঘুরে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিডিও গোটা ঘটনায় নিশ্চুপ ছিলেন, অন্তত এমনটাই অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লক্ষ্ণী টুডুর। ব্লক অফিসের এই ঘটনায় লক্ষ্মী টুডু সঙ্গে সঙ্গে চিঠি করেন ভারপ্রাপ্ত পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে। সেখানে তিনি লেখেন,” কর্মচারীদের একাংশের কর্মবিরতির কারণে হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। সরকারি পরিষেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। গোটা ঘটনাটি বিডিওকে জানালে তিনি নিশ্চুপ থাকেন এবং পরোক্ষভাবে কর্মচারীদের এই কর্মবিরতিকে উৎসাহিত করতে থাকেন। কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া কর্মচারীদের সঙ্গে বিডিও-এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। 

    দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট রয়েছে রাজ্য সরকারের উপর। তাঁদের ডিএ বৃদ্ধির আন্দোলনের দাবি হাইকোর্টের অবধি পৌঁছেছে, কলকাতার রাজপথে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুঁষি মারা অভিযোগও তোলে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন। চলতি আর্থিক বর্ষে রাজ্য সরকারের পেশ করা বাজেটে দেখা যাচ্ছে মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ (DA Protest) বৃদ্ধি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের জন্য যা অন্যান্য রাজ্যের সাপেক্ষে অনেক কম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১০): আপাতত  ঠাণ্ডা ঘরে আরামবাগ-বোয়াইচণ্ডী রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১০): আপাতত  ঠাণ্ডা ঘরে আরামবাগ-বোয়াইচণ্ডী রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রেলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের, বাজেট বরাদ্দ করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র জমি জটের কারণেই নাকি প্রকল্পগুলি আটকে থাকছে। কয়েকদিন আগেও রেল (Indian Railways) রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। এমন প্রকল্পও রয়েছে রাজ্যে যেগুলো গত ৫০ বছর ধরে আটকে রয়েছে। কোনও সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে কতগুলি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। সেগুলিও আপাতত বিশ বাঁও জলে। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, রাজ্যের ঘোষিত নীতিই হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে নাকি ছাড়ও রয়েছে বলছেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা।

    ১৩ বছর ধরে আটকে রয়েছে আরামবাগ-বোয়াইচণ্ডী রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    ২০১০-২০১১ অর্থবর্ষে অনুমোদন পায় আরামবাগ-বোয়াইচণ্ডী রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। মোট ৩১ কিলোমিটার এই রেলপথ নির্মাণের জন্য বাজেট ধরা হয় ৬২০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দও করে রেল। প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুতগতিতে এগোতে থাকে, প্রকল্পের কাজের জন্য ২৬ শতাংশ জমিও অধিগ্রহণ করে রেল কিন্তু পরবর্তীকালে জমি হস্তান্তরের ক্ষমতা রাজ্যের হাতে গেলে আর কাজ এগোয়নি! রেলের (Indian Railways) এমনটাই অভিযোগ, আগ্রহ দেখাচ্ছেনা রাজ্য সরকার। জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছেনা। যার জেরে আটকে রয়েছে ৩১ কিলোমিটারের এই রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। আপাতত পুরো প্রকল্প তাই ঠাণ্ডা ঘরে।

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৯): ১৩ বছর ধরে আটকে দিঘা-জলেশ্বর প্রকল্পের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৮): থমকে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৭): তেরো বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • RBI: কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দফতর থেকে চুরি ১ লক্ষ টাকা, গ্রেফতার অভিযুক্ত 

    RBI: কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দফতর থেকে চুরি ১ লক্ষ টাকা, গ্রেফতার অভিযুক্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) দফতর থেকে চুরি গিয়েছিল নোটের বান্ডিল। টাকা উদ্ধার করতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তদন্তে নেমে রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরই (RBI)  এক ঠিকাকর্মীকে গ্রেফতার করল হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ।

    অভিযুক্তের পরিচয়

    জানা গিয়েছে ধৃতের নাম শঙ্কর সরোজ। তাঁর বাড়ি হুগলির চণ্ডীতলায়। কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তাদের পুরনো নোটের জায়গা থেকে পঞ্চাশ টাকার নোটের দু’টি বান্ডিল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগপত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, দু’টি বান্ডিল মিলিয়ে এক লক্ষ টাকা ছিল।
    ট্রাঙ্কে করে ওই টাকা বাতিলের জন্য পাঠানো হচ্ছিল। ট্রাঙ্ক সরানোর সময়েই হাত সাফাই হয় বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তারা। তদন্তে নামে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শঙ্করকে। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

    কী বলছে পুলিশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI)  এক লক্ষ টাকার ময়লা নোট চুরি গিয়েছে, এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । ৫০ টাকার ওই নোটগুলি নষ্ট করার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু ৭ ফেব্রুয়ারি বি বা দী বাগের অফিস থেকে ওই টাকা উধাও হয়ে যায়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। তাতে তাঁদের সন্দেহ হয় শঙ্করের উপরে। পুলিশের দাবি, এর পরেই বৃহস্পতিবার পুলিশকে জানানো হয় বিষয়টি। পুলিশ আরও বলছে, ময়লা এবং নষ্ট নোটগুলি যে লোহার ট্রাঙ্কে থাকে, সেটি সরানোর সময়ে শঙ্কর বুঝে যায়, ভিতরে কিছু রয়েছে। সে সেটি খুলে ৫০ টাকার দু’টি বান্ডিল নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে বেরিয়ে যায়।

     

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৯): ১৩ বছর ধরে আটকে দিঘা-জলেশ্বর প্রকল্পের কাজ

    আরও পড়ুন: দস্যু রত্নাকর পরে বাল্মীকি হন! ‘লেডি ম্যাকবেথ’-এর পর এসএসসি প্রসঙ্গে অভিমত হাইকোর্টের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৯): ১৩ বছর ধরে আটকে দিঘা-জলেশ্বর প্রকল্পের কাজ

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৯): ১৩ বছর ধরে আটকে দিঘা-জলেশ্বর প্রকল্পের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি জটের কারণেই আটকে রয়েছে রাজ্যের ৪৪টি প্রকল্প। রাজ্য সরকার জমি দিতে পারছেনা তাই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ রেলের (Indian Railways)। এনিয়ে চলছে দুপক্ষের টানাপোড়েন। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বলছে, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। অবশ্য বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।  স্বাভাবিকভাবেই রেলের (Indian Railways) উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই অঞ্চলের মানুষজন। দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিরুদ্ধে এমন অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক অরুণ অরোরা। 

    এই পর্বে আমরা জানব দিঘা-জলেশ্বর রেলপ্রকল্প সম্পর্কে, জমি জটে যা আটকে রয়েছে দীর্ঘ ১৩ বছর

     ২০১০-১১ সালে অনুমোদন পেয়েছিল দিঘা-জলেশ্বর ৭২ কিমি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার দুই জনবহুল স্থানকে জুড়তে দরকার পড়ে ৫০৭ একর জমির। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ১৩৭ একর এবং ওড়িশার মধ্যে ৩৭০ একর। সমগ্র প্রকল্পের জন্য বাজেট ধরা হয় ১৫৮৪ কোটি টাকা। রেলের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ঢিলেমির কারণেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে এই প্রকল্প। এনিয়ে অবশ্য টানাপোড়েন চলছে। প্রকল্প এলাকার বাসিন্দাদের মতে, দুই রাজ্যের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে এই প্রকল্পের চালু হলে। ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে, আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে মধ্যবর্তী স্টেশন এলাকাগুলিতে। বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। এতদিনেও প্রকল্প চালু না হওয়ার কারণে হতাশ তাঁরা।

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৮): থমকে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৭): তেরো বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Indian Railway: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৮): থমকে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প

    Indian Railway: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৮): থমকে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি জটের কারণেই আটকে রয়েছে রাজ্যের ৪৪টি প্রকল্প। রাজ্য সরকার জমি দিতে পারছেনা তাই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ রেলের (Indian Railways)। এনিয়ে চলছে দুপক্ষের টানাপোড়েন। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বলছে, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। অবশ্য বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র এক চিত্র। বাজেট প্রস্তুত। পরিকল্পনা তো অনেক আগেই হয়ে গেছে। শুধুমাত্র জমি জটের কারণে আটকে রয়েছে রেলের প্রকল্পগুলি। এরমধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন।

    একদশকেরও বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ থেকে বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প

    ২০১০ সালে অনুমোদন পায় কালিয়াগঞ্জ থেকে বুনিয়াদপুর অবধি ৩৩ কিমি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। জানা গেছে, রেলমন্ত্রক এই প্রকল্পের জন্য মোট বাজেট ধরে ৩৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৭৬ কোটি টাকার কাজও শুরু করে রেল। কিন্তু এখন অথৈ জলে সমগ্র প্রকল্প। রেল বলছে রাজ্য সরকারের জমি নীতির কারণেই এমনটা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,  ‘১২ বছর থেকে বুনিয়াদপুর কালিয়াগঞ্জ রেল প্রকল্পটি থমকে রয়েছে। ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে হিলি ও রধিকাপুরে দ্বিপাক্ষিক স্তরে বাণিজ্যিক লাভ হবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। রেল যোগাযোগ সুগম হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

     জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৭): তেরো বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share