Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৭): তেরো বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৭): তেরো বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি জটের কারণেই আটকে রয়েছে রাজ্যের ৪৪টি প্রকল্প। রাজ্য সরকার জমি দিতে পারছেনা তাই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ রেলের (Indian Railways)। এনিয়ে চলছে দুপক্ষের টানাপোড়েন। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বলছে, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। অবশ্য বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র এক চিত্র। বাজেট প্রস্তুত। পরিকল্পনা তো অনেক আগেই হয়ে গেছে। শুধুমাত্র জমি জটের কারণে আটকে রয়েছে রেলের (Indian Railways) প্রকল্পগুলি। স্বাভাবিকভাবেই রেলের (Indian Railways) উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই অঞ্চলের মানুষজন। দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিরুদ্ধে এমন অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক অরুণ অরোরা।

    আটকে রয়েছে বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্প

    ২০১০ সালে রেলমন্ত্রক (Indian Railways) বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিমি রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রকল্পের মোট বাজেট ধরা হয় ৪৭১ কোটি টাকা। যার মধ্যে বরাদ্দ করা হয় ১৪৪ কোটি টাকা। বালুরঘাট থেকে ডাঙি, কামারপাড়া হয়ে হিলি পর্যন্ত মোট ৪১০ একর জমিও চিহ্নিত করা হয়। আত্রেয়ী নদী ও বেশ কয়েকটি ছোট জলাশয়ের মাঝে রেলব্রিজের পিলারও নজরে পড়ে। কিন্তু অভিযোগ একযুগের বেশি অতিক্রান্ত হলেও শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের জমি নীতির কারণেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। অবশেষে চলতি বছরে পুনরায় ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই প্রকল্পে।
     
    রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় প্রকল্পের টাকা ফেরত চলে যায় বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। এবিষয়ে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তৎপরতায় এবারের বাজেটে এই বরাদ্দ ,সম্ভব হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জমি অধিগ্রহণ না করায় বালুরঘাট – হিলি রেল প্রকল্পের টাকা ফেরত চলে যায়। আমি ও বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী উদ্যোগ নিয়ে সে টাকা ফেরত এনেছি।

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Indian Railway: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    Indian Railway: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রেলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের, বাজেট বরাদ্দ করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র জমি জটের কারণেই নাকি প্রকল্পগুলি আটকে থাকছে। কয়েকদিন আগেও রেল (Indian Railway) রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। এমন প্রকল্পও রয়েছে রাজ্যে যেগুলো গত ৫০ বছর ধরে আটকে রয়েছে। কোনও সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে কতগুলি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। সেগুলিও আপাতত বিশ বাঁও জলে। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, রাজ্যের ঘোষিত নীতিই হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে নাকি ছাড়ও রয়েছে বলছেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। সেই বিশেষ ক্ষেত্র রেল কেন নয়? এমন প্রশ্নও উঠছে কোনও কোনও মহল থেকে।

    দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেল প্রকল্প

    ২০১০-২০১১ সালে অনুমোদন পেয়েছিল হাসনাবাদ থেকে হিঙ্গলগঞ্জ পর্যন্ত রেল প্রকল্প। এলাকার বাসিন্দারাও যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন নতুন এই রেল প্রকল্পের কথা ভেবে। কিন্তু এক যুগ অতিক্রান্ত হলেও এখনও শুরু করা যায়নি হিঙ্গলগঞ্জ থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রেলপথ। রেলের Indian Railway)  বাজেট প্রস্তুত, রেলের পরিকল্পনা প্রস্তুত কিন্তু সমস্যা জমি অধিগ্রহন।

    প্রকল্পের জন্য সে সময় ২৬০ কোটি টাকা বাজেটও বরাদ্দ করে রেল। মনে করা হয় যে হিঙ্গলগঞ্জের সঙ্গে হাসনাবাদকে জুড়ে দিলে সুন্দরবনের সঙ্গে কলকাতা বা শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে, এবং সেখানকার কৃষক থেকে আরম্ভ করে মাছ ব্যবসায়ীরা খুব সহজেই মাছ এবং সবজির ব্যবসা করতে পারবেন। এলাকার আর্থিক মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু এই প্রকল্প এখন বিশ বাঁও জলে।

    কী বলছেন এলাকার মানুষ

    হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা সুব্রত মাইতি বলেন, অনেকদিন ধরেই শুনছি এই প্রকল্প হবে কিন্তু জমি-জটের কারণেই তা আটকে রয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত রেলপথ (Indian Railway)  চালু হলে এখানকার স্থানীয় কৃষক এবং মাছ ব্যবসায়ীরা খুবই উপকৃত হবেন এবং সুন্দরবনের মানুষের কলকাতায় যাতায়ত আরও সুগম হবে।

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প      

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প      

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি জটের কারণেই আটকে রয়েছে রাজ্যের ৪৪টি প্রকল্প। রাজ্য সরকার জমি দিতে পারছেনা তাই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ রেলের (Indian Railways)। এনিয়ে চলছে দুপক্ষের টানাপোড়েন। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বলছে, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। অবশ্য বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র এক চিত্র। বাজেট প্রস্তুত। পরিকল্পনা তো অনেক আগেই হয়ে গেছে। শুধুমাত্র জমি জটের কারণে আটকে রয়েছে রেলের প্রকল্পগুলি। এরমধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। তারপর থেকে এক দশকের বেশি অতিক্রান্ত হয়েছে, কাজ এগোয়নি।

     থমকে রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ৩ রেল (Indian Railways) প্রকল্প

    ১৯৮৭ সালে প্রস্তাবিত হয়েছিল লক্ষীকান্তপুর-নামখানা (৪৭ কিমি) প্রকল্প। এই প্রকল্পটি বর্তমানে বাস্তবায়িত হয়েছে। পাশাপাশি মোট ৩৬ কিমি রেলপথ নির্মাণের আরও ৩টি প্রকল্প অনুমোদন পায় ২০০৯-২০১০ এবং ২০১১-২০১২ অর্থবর্ষে। এরমধ্যে রয়েছে নামখানা-চন্দ্রনগর (১৩.৫ কিমি), কাকদ্বীপ-বুধাখালি (৫কিমি), চন্দ্রনগর-বকখালি (১৭ কিমি)। কিন্তু জমিজটের কারণে এই তিন প্রকল্পই আপাতত বিশ বাঁও জলে। সুন্দরবনের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলগুলিকে রেলপথ দিয়ে জোড়ার পরিকল্পনার জন্যই এই প্রকল্পগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।

    কী বলছেন এলাকার মানুষজন

    বকখালি অঞ্চলের বাসিন্দা তুহিন ভুঁইয়া বলেন, আমাদের কলকাতা যেতে প্রথমে আসতে হয় নামখানা। সেখান থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেন ধরতে হয় আমাদের। নামখানা থেকে বকখালির দুরত্ব প্রায় ৩০ কিমি। বকখালি থেকে চন্দ্রনগর এবং সেখান থেকে নামখানা অবধি রেলপথের কথা অনেকদিন ধরেই শুনছি। কিন্তু হচ্ছে কই! রেল সব বাজেট বরাদ্দ করেছে, শুনছি জমি জটের কারণেই নাকি আটকে রয়েছে প্রকল্পগুলি। বকখালি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। এরসঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলগুলি জুড়লে পর্যটকদের আসতে সুবিধা হবে, আর্থিকভাবে উন্নতি হবে এই অঞ্চলের।

     

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

          

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রেলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের, বাজেট বরাদ্দ করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র জমি জটের কারণেই নাকি প্রকল্পগুলি আটকে থাকছে। কয়েকদিন আগেও রেল (Indian Railways) রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। এমন প্রকল্পও রয়েছে রাজ্যে যেগুলো গত ৫০ বছর ধরে আটকে রয়েছে। কোনও সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে কতগুলি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। সেগুলিও আপাতত বিশ বাঁও জলে। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, রাজ্যের ঘোষিত নীতিই হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে নাকি ছাড়ও রয়েছে বলছেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। সেই বিশেষ ক্ষেত্র রেল কেন নয়? এমন প্রশ্নও উঠছে কোনও কোনও মহল থেকে।

     
    জমি জটের কারণেই আটকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    রেল (Indian Railways) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪-৮৫ সাল নাগাদ প্রস্তাবিত হয়েছিল এই প্রকল্পগুলি। পরবর্তী কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়। তারপর আর এগোয়নি! হতাশ এলাকার মানুষজন। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অন্তর্গত তমলুক -দীঘা রেলপথ (Indian Railways) চালু হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ৮৮.৯০ কিমি। প্রকল্প অনুযায়ী মোট ১৬৮.৬৮ কিমি নতুন রেলপথ নির্মানের কথা ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে কিন্তু কাজ হয়েছে ওই তমলুক-দীঘা। এখনও বাকি রয়েছে, দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম (১৮.৫ কিমি), কাঁথি-এগরা (২৬ কিমি), নন্দকুমার-বোলাইপান্ডা (২৮ কিমি), নন্দীগ্রাম-কান্ধিমারি (৭ কিমি)। জানা যাচ্ছে মূলত জমি জটের কারণে হচ্ছেনা এই প্রকল্পগুলি। জানা গিয়েছে, পূর্বমেদিনীপুর জেলার এই সমস্ত প্রকল্পগুলির বাজেট ধরা হয়েছিল ১৪২৮ কোটি টাকা। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি রাজ্য, তাই কাজ শুরু হয়নি। অন্তত রেল (Indian Railways) তাই বলছে।

    কী বলছেন পূর্বমেদিনীপুরের বাসিন্দারা

    প্রকল্পের বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ ওই এলাকার মানুষজন। কাঁথির বাসিন্দা অসীম মিশ্র বলেন, রেলপথ নির্মান হলে শুধুমাত্র যে কতগুলো জায়গাকে জোড়া যাবে তাই নয়, বরং এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চেহারাটাও উন্নত হবে। চাষী এবং মৎস্যজীবীরা খরচ সাশ্রয়ীভাবে এবং কম সময়ে একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়ত করতে পারবেন। রেল প্রস্তুত কিন্তু জমি জটের কারণেই আটকে রয়েছে প্রকল্পগুলি।

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

      
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian RailWays: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প 

    Indian RailWays: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আটকে রয়েছে রেলের (Indian RailWays) ৪৪টি প্রকল্প। জমি জটের কারণেই তা এগোচ্ছেনা বলে অভিযোগ করছেন রেলের আধিকারিকরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্পগুলির উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যবাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাসও করেছিলেন ২০০৯-২০১০ নাগাদ যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই! কাজ এগোয়নি। রেলের দাবি রাজ্য জমি দিতে পারছেনা বলেই সম্পূর্ণ হচ্ছেনা প্রকল্পগুলি।

    উত্তর দিনাজপুর জেলায় ১৯৮৩-৮৪ সালের প্রকল্প আজও শেষ হয়নি

    প্রায় ৪০ বছর ছুঁইছুঁই অথচ শেষ করা গেলনা, উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩টি রেল প্রকল্প। জানা গেছে, ১৯৮৩-৮৪ সাল নাগাদ প্রস্তাবিত হয়েছিল বালুরঘাট-একলাখিপুর রেল প্রকল্প। আনুমানিক বাজেট ধরা হয়েছিল ৬১৪ কোটি টাকা। মোট ১৬৩ কিমি রেলপথের এই প্রকল্পে কাজ হয়েছে মাত্র ৮৭ কিমি অর্থাৎ বাকি থেকে গেছে, এখনও ৭৬ কিমি। এই প্রকল্পের অন্তর্গত গাজোল-ইটাহার (২৭ কিমি), রায়গঞ্জ-ইটাহার (২২ কিমি),ইটাহার-বুনিয়াদপুর (২৭কিমি) রেলপথ নির্মানের কাজ থমকে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের ব্যস্ততম এই স্থানগুলিকে জোড়া যাচ্ছেনা রেলপথের মাধ্যমে। অথচ এই প্রকল্পগুলির শিলান্যাসও হয়ে গেছে ২০০৭-০৮ এবং ২০১১-১২ নাগাদ।

    কী বলছেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা

    দীর্ঘদিন দিন ধরে এই প্রকল্পগুলি আটকে রয়েছে, জট কাটানোর জন্য ইতিমধ্যে তা সংসদে তুলেছেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বর্তমান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ এতেও কোনও সুরাহা হয়নি। বাসিন্দারা বলছেন, রেলের (Indian RailWays)  তরফে তো বাজেট প্রস্তুত, কিন্তু রাজ্যের জমি জটের কারণেই তার বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছেনা। রায়গঞ্জের বাসিন্দা বিমল দাস বলেন, অনেকদিন ধরেই এই প্রকল্প থমকে রয়েছে। এতে শিলিগুড়ি যেতে হলে ট্রেনগুলিকে (Indian RailWays)  বিহার হয়ে ঘুরে যেতে হয়, যারফলে সময় অনেকটাই বেশি লাগে। শিলিগুড়ি হল উত্তরপূর্ব ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী স্থান। বিমলবাবুর আরও সংযোজন, এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবেন এলাকার মানুষজন।

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মোট ৪৪টি প্রকল্প আটকে রয়েছে রেলের (Indian Railways)। অভিযোগ রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা এবং জমি জটিলতার কারণে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন করতে পারছে না রেল। এরমধ্যে ১৩টি প্রকল্প রয়েছে যেগুলিতে নতুন লাইন পাতার কথা। রেল সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পগুলির মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৯,২২৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, মোট ১০৪৯ কিমির এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত রেল কিন্তু জমি জটের কারণেই নাকি এই প্রকল্পগুলি এগোচ্ছেনা।

    গনিখান চৌধুরি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রস্তাবিত হয়েছিল এই প্রকল্পটি, বর্তমানে তা বিশ বাঁও জলে!

    গণিখান চৌধুরি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭৪-৭৫ সাল নাগাদ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল মোট ১১০ কিমি দৈর্ঘ্যের রেলপথের মাধ্যমে জোড়া হবে হাওড়া-আমতা (৪২ কিমি), বড়গাছিয়া-চাঁপাডাঙ্গা-তারকেশ্বর (৪০ কিমি), আমতা-বাগনান (১৬ কিমি) এবং জাঙ্গিপাড়া-ফুরফুরা শরিফকে (১৬ কিমি)। এরমধ্যে একমাত্র হাওড়া-আমতা ৪২ কিমির রেলপথ শুরু হয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও হয় ২০০৯-২০১০ নাগাদ, তখন কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যস ওইটুকুই! আর এগোয়নি কাজ। রেলের দাবি, কয়েকটি প্রকল্পের জন্য জমি কিনতে রাজ্য সরকারকে ২৩ কোটি টাকাও দেওয়া হয়েছিল! কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। রেল আবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয় ওই টাকা ফেরতের জন্য। রেল (Indian Railways) বলছে, রাজ্য সরকারের এমন অসহযোগিতার কারণে তারা প্রকল্প আপাতত বন্ধ রেখেছে।

    কী বলছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা

    এই প্রকল্পের অন্যতম অংশ হল হুগলির চাঁপাডাঙ্গা, সেখানকার প্রবীণ বাসিন্দা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ছোট থেকে শুনছি এই প্রকল্পের কথা। ৪০ বছর আগেও দেখেছি মাপজোক করতেন রেলের আধিকারিকরা। তারপর ২০০৯-২০১০ সালে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কতগুলি জায়গায় শিলান্যাসও করে গেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কাজ এগোয়নি! 

    কী বলছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর

    রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতিই হল, কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় রয়েছে কিন্তু সেখানেও রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিতেই হবে। অনেক মহলের তাই প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের কাছে নতুন রেলপথের প্রকল্প বিশেষ নয় কেন? কারণ কী শুধুই রাজনৈতিক?

     

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: ২০১০ সালে ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছরের ১০ জানুয়ারি শিলান্যাস করেন আমতা-বাগনান রেল প্রকল্পের (Indian Railway)। এরমধ্যে কেটে গিয়েছে ১৩টা বছর। প্রকল্পের কাজে নির্মিত আটটি স্তম্ভ দাঁড়িয়ে রয়েছে। শিলান্যাসের পরেই রেল অবশ্য কিছুটা কাজ করতে পেরেছিল পুরনো অধিগৃহীত জমিতে। ব্যস ওইটুকুই। পরে আর জমি মেলেনি, তাই থমকে রয়েছে কাজ। 

    রেল (Indian Railway) কী বলছে?

    রেল (Indian Railway) দফতর বলছে, আটের দশক নাগাদ এই প্রকল্পের প্রথম পরিকল্পনা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী গনি খান চৌধুরী।  তার অনেক পরে ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে প্রকল্পটিতে অনুমোদন দেয় রেল। প্রকল্প অনুযায়ী, আমতা থেকে বাগনান পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা। ঠিক হয় এরমাঝে ফতেপুর এবং হারোপে হবে দুটি স্টেশন। প্রকল্পের মোট বাজেট ধরা হয় ১৯৫ কোটি টাকা। 

    রেল (Indian Railway) আরও বলছে, প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য মোট ১৬৮ একর জমির প্রয়োজন পড়ে কিন্তু শিলান্যাসের দিন অবধি অবধি রেল কোনও জমি পায়নি। কাজ শুরু হয়, রেলের (Indian Railway) হাতে থাকা সামান্য জমির ওপর। ওই জমিতে মোরাম ফেলা হয়। প্রকল্পের অংশ হিসাবে দামোদরের ওপর সেতু তৈরি করার জন্য সেচ দফতরের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। তখনই নির্মাণ করা হয় আটটি স্তম্ভ। শিলান্যাসের পর থেকে ছয় মাস অবধি এইটুকু কাজই করতে সক্ষম হয় রেল। প্রকল্পের মোট বাজেটের ৩ শতাংশ ব্যয় হয় তখনই, টাকার অঙ্কে প্রায় ৬ কোটি। তারপর থেকেই বন্ধ কাজ।

    জমি জটের কারণ কী?

    জানা গিয়েছে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬৮ একর জমির পুরোটা ৮২৯টি ছোট ছোট প্লটে বিভক্ত। জমির মালিকানা নিয়েও রয়েছে ব্যাপক জটিলতা। সমস্যার সমাধানের জন্য ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর এবং ২৩ নভেম্বর এই দুটি তারিখে জমি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তুলে দেওয়া হয় রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের হাতে। রেলের (Indian Railway) আক্ষেপ, জমি সমস্যার সমাধানে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। রেল (Indian Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প এখনও বাতিল হয়নি, পুরো জমি হাতে পেলে আবারও শুরু হবে কাজ।

    রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর কী বলছে 

    রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বলছে, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি হল, জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এর ছাড় রয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন অবধি জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Asha Workers: আশাকর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল স্বাস্থ্যভবন চত্বর 

    Asha Workers: আশাকর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল স্বাস্থ্যভবন চত্বর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশা কর্মীদের (Asha Workers) বিক্ষোভে উত্তাল সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবন চত্বর। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আশা কর্মী (Asha Workers)  ইউনিয়ন মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু কয় আশাকর্মীদের। রাস্তায় শুয়ে পড়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ, বিক্ষোভের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাধবী দাস নামে নদীয়ার একজন আশা কর্মী। জানা গিয়েছে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। 

    আশা কর্মীদের (Asha Workers)  অভিযোগ

    আশা কর্মীরা (Asha Workers)  এদিন অভিযোগ করেন, তাঁরা বঞ্চনার শিকার। অবিলম্বে তাঁদের পেনশন এবং পিএফ চালু করতে হবে। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার নাম করে দুর্নীতি করছে শাসক দল অথচ সেই ঘরের তালিকার ভেরিফিকেশন করতে পাঠানো হচ্ছে আশা কর্মীদের। রাজ্য জুড়ে হামলার শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। শাসক দলের দুর্নীতির খেসারত তাঁরা কেন দেবেন? এই প্রশ্নও তোলে এদিন আশা কর্মীরা। তাঁদের আরও দাবি, আশা কর্মীদের সরকারি কর্মীর মর্যাদা দিতে হবে এবং কোনওভাবেই বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করানো যাবেনা।

    বিক্ষোভে যোগ দেওয়া আশা কর্মীরা (Asha Workers) কী বললেন

    এক আশা কর্মী (Asha Workers)  বিক্ষোভ চলাকালীন বলেন, ‘আমাদের কাজ হল মা ও শিশুদের যত্ন নেওয়া। কিন্তু এখন মাধ্যমিক পরীক্ষার নিরাপত্তার দায়িত্বও আমাদের দেওয়া হচ্ছে। এরসঙ্গে বিভিন্ন সরকারি কাজের সমীক্ষাও করতে হচ্ছে আমাদের। অথচ পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না।’ 

    অন্য একজন আশা কর্মী (Asha Workers)  বলেন, এই বাজারে ওই সামান্য ক’টা টাকায় কোনওভাবে সংসার চলছেনা।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও স্বাস্থ্য ভবনের কাছেই অবস্থানে বসেছিলেন আশাকর্মীরা (Asha Workers) । সেই আন্দোলনে মাঝরাতে পুলিশ তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তুলে ধর্মতলা, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

  • Indian Railway: আটকে থাকা হিলি রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য অর্থ বরাদ্দ কেন্দ্রের

    Indian Railway: আটকে থাকা হিলি রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য অর্থ বরাদ্দ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের বাজেটে হিলি রেল প্রকল্পের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্রের মোদি সরকার। জানা গিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্তের এই প্রকল্পের জন্য ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাব পাশ করেছে। শুক্রবার রাতে রেলের (Indian Railway) তরফে এই বাজেটের ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মানুষজন। ১৩ বছর পরে আবার চালু হতে চলেছে প্রকল্পের কাজ।

    মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায় কাজ

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগ হয় তখন তৎকালীন হিলি রেল পূর্ব পাকিস্তানে চলে যায়। ১৯৫০ সালে একলাখি থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। ২০০৪ সালে বালুরঘাট পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু, বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ আটকে যায়। দীর্ঘ আন্দোলনের পরে ২০১০ তৎকালীন রেলমন্ত্রী বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ (Indian Railway) সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। ২০১৪ সালের মধ্যে ওই প্রকল্পের ৪০ শতাংশ কাজ বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু প্রকল্পে অর্থাভাব এবং কেন্দ্র রাজ্যের টানাপোড়েন এবং জমিজটে প্রকল্প থমকে যায়।

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের বাজেটে হিলি রেল প্রকল্পের জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে তৎকালীন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তারপরে জমি অধিগ্রহণের কাজ পুনরায় শুরু হয়। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যের টানাপোড়েন শুরু হলে প্রকল্পের কাজ আবারও থমকে যায়৷ ওই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ ফেরত চলে যায় রেলের কাছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই ওই প্রকল্পের বাস্তবায়নের দাবিতে আবারও আন্দোলন শুরু করেন হিলির বাসিন্দারা। ২০২২ সালের বাজেটে ওই প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি ১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। 

    এবারের বাজেটে……

    গত বুধবার সংসদে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তারপরেই শুক্রবার রাতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পের বাজেট  সম্পর্কে জানা যায়। ২৯.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের (Indian Railway) জন্য গতবছর ২০ কোটি ১ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। চলতি বছর ফের ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ২১০ কোটি টাকার বাজেট। প্রকল্পের বাকি ৬০ শতাংশ কাজ ওই তহবিল থেকে সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রেলের আধিকারিকরা।

    বালুরঘাটের বিধায়ক কী বলছেন

    বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ি এবিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হল। রূপসী হিলির যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। প্রত্যেকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। এখন বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলে কবে বসব তাই ভাবছি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Babul Supriyo: বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীর চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে বিনা চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

    Babul Supriyo: বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীর চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে বিনা চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়’র (Babul Supriyo) নিরাপত্তারক্ষীদের অতিরিক্ত পরিষেবা দিতে গিয়ে বিনা চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বীরভূমের রামপুরহাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের এম এস ভি পি পলাশ দাস।
     

    ঠিক কী ঘটেছিল

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ বালি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন জামিরুল শেখ (২৬) নামে এক যুবক। তার বাড়ি মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজার এলাকায়। তিনি সন্ধ্যার দিকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। মল্লারপুর – কামড়াঘাট রাস্তা হয়ে বাড়ি ফেরার সময় খরাসিনপুর গ্রামের কাছে বেপরোয়া গতিতে চলা বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় জখম হন জামিরুল। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। নাক মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। ওই অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়’র (Babul Supriyo) পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীকে। শুক্রবার সাঁইথিয়া থানার মাসাড্ডা গ্রামের কাছে বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। গাড়িতে থাকা পাঁচ নিরাপত্তারক্ষী জখম হন। তাঁদের প্রথমে সাঁইথিয়া হাসপাতাল এবং রাতে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ বাবুলের (Babul Supriyo) নিরাপত্তারক্ষীরা ভর্তি হতেই বাকি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে বিনা চিকিৎসায় জামিরুলের মৃত্যু হয়।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে গান্ধীপার্ক ময়দানে রামপুরহাট পুরসভা আয়োজিত একটি উৎসবে বাবুল সুপ্রিয়’র (Babul Supriyo) গানের অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা থেকে রামপুরহাটে আসছিলেন তৃনমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনা।

    মৃত জামিরুলের আত্মীয়রা কী বলছে

    মৃত জামিরুলের ঘনিষ্ঠ রাজা শেখ বলেন, “নিরাপত্তারক্ষীরা হাসপাতালে ঢুকতেই দলে দলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে পৌঁছে যান। বাবুল হাসপাতালে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসা ছেড়ে বাবুলের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তখনও আমাদের রোগীর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। আমরা বার বার নার্সদের কাছে গিয়ে চিকিৎসক ডাকার অনুরোধ করেছি। কিন্তু আমাদের কথার কোন গুরুত্ব দেননি তারা। ফলে বিনা চিকিৎসায় ভোরের দিকে জামিরুলের মৃত্যু হয়”।
     
    মৃত জামিরুলের ভাই সাফিজুল শেখ বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করলে দাদার মৃত্যু হত না। বড় নেতা মন্ত্রী না হলে হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া যায় না। সেটা আমরা পদে পদে অনুভব করলাম। মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর জন্য সবাই ব্যস্ত কিন্তু গরিব মানুষের জন্য কেউ নেই। আমার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য বার বার অনুরোধ করেও চিকিৎসক মেলেনি। কিন্তু মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীর জন্য একাধিক চিকিৎসক হাজির”।

    হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সকলের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া উচিত। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
LinkedIn
Share