Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kaliachak: ফের বিপুল টাকা উদ্ধার মালদহের কালিয়াচকে

    Kaliachak: ফের বিপুল টাকা উদ্ধার মালদহের কালিয়াচকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকমাস আগেই মালদহের এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিস লক্ষ লক্ষ কালো টাকা।  আবারও মালদহ থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমানে টাকা। মোট ৩৩ লক্ষ টাকা এদিন উদ্ধার হয় মালদহের কালিয়াচক (Kaliachak) থেকে। গত বছরের জুলাই মাস থেকেই রাজ্য জুড়ে উদ্ধার হচ্ছে হিসাব বহির্ভূত বিপুল পরিমানে কালো টাকা। রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে তখন পাওয়া গেছিল কোটি কোটি টাকা। ব্যস সেই শুরু! বিরোধীরা ইতিমধ্যে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি রাজ্য সরকারকে। তারা বলছে, কালো টাকা উদ্ধারে এগিয়ে বাংলা। 

    আরও পড়ুন: ‘১০ লাখ চাকরির কথা বলা হয়েছিল, এবার কী হবে?’, আদানিকাণ্ডে রাজ্যকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    পুলিশ কী বলছে

     মালদহের কালিয়াচক (Kaliachak) থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মোজামপুর এলাকা থেকে এই কালো টাকা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। কালিয়াচক (Kaliachak) থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে তারা। অভিযুক্তদের নাম— জসিমউদ্দিন আহমেদ ওরফে আলম এবং রাবিউল ইসলাম ওরফে রাব্বি। ধৃতেরা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলেই জানিয়েছে পুলিশের। এই টাকা মাদক কারবারেরই অংশ বলে মনে করছে পুলিশ।  এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের জেরা করে আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি আমরা। এই টাকা মাদক লেনদেনের। আরও কারা এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত, তার খোঁজ চলছে।’’

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    ধৃতরা কী বলছে

    পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জেরায় ধৃতেরা বলেছে, উদ্ধার হওয়া টাকা তাদের নয়। ওই টাকার আসল মালিক ধৃত জসিমউদ্দিনের শ্যালক ইব্রাহিম ওরফে রাজু, রাজুর বাড়ি শ্রীরামপুর বলেই জানিয়েছে ধৃতরা। পুলিশের দাবি, রাজু ব্রাউন সুগারের ব্যবসা করে। তিন জনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তদন্তও ভালো এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাজেট ঘোষণার রাতেই ‘সরকার পড়ে যাচ্ছিল’—মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন,‘‘স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের মন্তব্য করা একেবারেই উচিত হয়নি। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য। আমরা যাঁরা জাতীয়তাবাদী, তাঁরা এই মন্তব্যকে গ্রহণ করি না। সরকার পড়ে যাচ্ছিল— এই মন্তব্যের ভিত্তি কী? ওঁর (মুখ্যমন্ত্রী মমতা) কথা কেউ বিশ্বাস করে না।’’

    সত্য প্রকাশ করুন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কাল তো সরকার প্রায় পড়েই যাচ্ছিল! কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে ধস নেমে।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘৬-৮ জনকে ফোন করে বলেছে টাকা দাও, মানে যাঁদের শেয়ার পড়ে যাচ্ছিল, তাঁদের দাও। কাউকে বলছে ২০ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে বলেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে ১০ হাজার কোটি টাকা দাও, এই সব বলে সরকার আগলেছে… এই দিয়ে সরকার চলে?”  মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করে বিরোধী দলনেতার দাবি, অনেক অবিজেপি দল শাসিত রাজ্য সরকারও এই বাজেটকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের প্রেস বিবৃতির কথাও তুলে ধরেন শুভেন্দু।  তিনি বলেন, ”কেবলমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যারা বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের মতো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া বাকি সকলেই এই বাজেটকে প্রশংসা করতে বাধ্য হবে।”

    আরও পড়ুুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    আধারশূন্য মন্তব্য

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে আধারশূন্য হিসেবেও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘‘কাকে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনা হোক। এটা যদি উনি খুব সিরিয়াসলি বলে থাকেন একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, তা হলে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন না। কাকে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছিল, উনি জানান সেটা।’’ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • RSS: নেতাজী স্মরণে শহীদ মিনারে কী বললেন সঙ্ঘপ্রধান 

    RSS: নেতাজী স্মরণে শহীদ মিনারে কী বললেন সঙ্ঘপ্রধান 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে বক্তব্য রাখলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। বেশ কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে রয়েছেন সঙ্ঘ প্রধান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় সঙ্ঘের (RSS) নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। এদিন শহীদ মিনারে নেতাজী জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মোহন ভাগবত তাঁর ভাষণে বলেন, ” আমরা প্রত্যেকেই কারও না কারও হাত ধরে সঙ্ঘে এসেছি। সমাজ গঠনের একটা ব্রত পালন করতেই আমাদের সঙ্ঘে আসা। এই জীবন ব্রত পালন করার সময় সমাজের জন্য, দেশের জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের স্মরণ করা এবং সেই আদর্শকে জীবনে পালন করা আমাদের কর্তব্য”। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নেতাজীর ভ্রাতুষ্পুত্র অর্ধেন্দু বসু। তিনি মুম্বই নিবাসী। জানা গেছে সকাল ৯ টা নাগাদ এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। সঙ্ঘের (RSS) প্রাত্যহিক শাখার মতোই সকল অনুষ্ঠান হয় এদিন শহীদ মিনারে। প্রত্যেক স্বয়ংসেবকই তাঁদের নিজেদের সংগঠনের পোশাকেই হাজির ছিলেন এদিন। সাদা জামা, খাকি প্যান্টে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। 
    সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এদিন আরও বলেন, “দেশগৌরব নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে স্মরণ করার কাজ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) প্রথম করছেনা। প্রতি বছরই কলকাতাতে সঙ্ঘ নেতাজীকে স্মরণ করতে নানা ছোটবড় অনুষ্ঠান করে থাকে। কোনওবছর শাখাতে ছোট করে হয় তো কোনওবছর সড়কে পদযাত্রা। কিন্তু নেতাজী স্মরণ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) অন্যতম একটি প্রধান কর্মসূচী। এর আগেও নেতাজী জয়ন্তীতে কলকাতায় আমি হাজির থেকেছি”।
    সঙ্ঘ প্রধানের মতে, সঙ্ঘ (RSS) আজ সারা দেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে, তাই সংগঠনের নানা কর্মসূচী আজ সমস্ত স্তরের মানুষ জানতে পারছে। কিন্তু যখন সঙ্ঘ ছোট আকারে ছিল তখনও এমন অনুষ্ঠান করা হত। যাঁদের ত্যাগ তপস্যার ওপর দেশ সমাজ দাঁড়িয়ে আছে, সঙ্ঘ (RSS) তাঁদের প্রণাম জানায়।

    সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তাও দিলেন সঙ্ঘপ্রধান

    এদিন শহীদ মিনারে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তাও দিলেন মোহন ভাগবত। তিনি এক্ষেত্রে উদাহরণ দিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে। সঙ্ঘ প্রধান বলেন, ” নেতাজী বলতেন নতুন ভারতের ভিত নির্মাণ করতে পারবে আদর্শবান ব্যক্তিরাই। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের আদর্শবান ব্যক্তিরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে তবেই গড়ে উঠবে নতুন ভারত। নেতাজীর এই কথাই তো সঙ্ঘ বলে আসছে এতদিন যাবৎ। সঙ্ঘের যে কোনও কর্মীকে জিজ্ঞাসা করুন, সঙ্ঘের কাজ সম্পর্কে , উত্তর পাবেন ব্যক্তি নির্মাণের মধ্য দিয়ে দিয়ে রাষ্ট্র নির্মাণ। অনেকে বলেন সঙ্ঘের শাখায় কী হয়? শাখা করে কী হবে? এভাবেই তো মানুষ তৈরি হবে। যেমনটা নেতাজী চেয়েছিলেন। শাখাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়, শারীরিক অনুশীলন করানো হয়। শাখার রীতিই হল একসঙ্গে চলা, একসঙ্গে বলা একসঙ্গে হাত ওপর নিচে করা। এতেই তো তৈরি হয় একতা। এটাই তো সামুহিকতা”। সঙ্ঘপ্রধান আরও বলেন, নেতাজী বলতেন এদেশে একা একা সাধনা অনেক হয়েছে, এবার দরকার ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশমাতৃকার সাধনা। মাতৃভূমির সাধনা ছাড়া সবকিছুই বৃথা। সঙ্ঘপ্রধানের মতে, শুধুমাত্র নিজেদের সংগঠন মজবুত করতেই সঙ্ঘ কাজ করেনা। সঙ্ঘের কাজ হল পুরো সমাজকেই সংগঠিত করা। ঐক্যবদ্ধ করা। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অভ্যাস তাই আমাদের শিখতে হবে।

     

      
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mid Day Meal: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়ের নতুন নজির! পথ দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ রাজ্য দিল মিড ডে মিলের ফান্ড থেকে

    Mid Day Meal: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়ের নতুন নজির! পথ দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ রাজ্য দিল মিড ডে মিলের ফান্ড থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা এরাজ্যে যে নয়ছয় হচ্ছে এমন অভিযোগ বিরোধীরা বারবার করে আসছে। বিরোধীদের এই দাবি যে ভুল নয় তার সাম্প্রতিক নজির দেখা গেল বীরভূমের মল্লারপুরে। পথ দুর্ঘটনায় নিহতদের ক্ষতিপূরণের টাকা রাজ্য সরকার দিল ‘মিড ডে মিলের’ (Mid Day Meal)  ফান্ড থেকে।  প্রসঙ্গত গত বছরে মল্লারপুর-রামপুরহাট সড়কে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৯ জন আদিবাসীর। সকলেই ছিলেন রামপুরহাট মহকুমার পারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে এই দুর্ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার নিহতদের পরিবার পিছু আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে। বলা হয় প্রতিটি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

    এর ঠিক পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীও ঘোষণা করেন, প্রতিটি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। সাধারণভাবে এমন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নিয়ম রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের, কিন্তু পরিবারগুলির ব্যাঙ্ক লেনদেনে দেখা যাচ্ছে ওই প্রস্তাবিত ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে  “COOKED MID DAY MEAL” নামের ব্যাঙ্ক আকাউন্ট থেকে। গত বছরের অগাস্ট মাস নাগাদ ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। 

    প্রশ্ন উঠছে………

    স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের এক খাতের প্রকল্পের টাকা এভাবে অন্যখাতে ব্যবহার করা যায় কী ? বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, রাজ্য সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানি অবস্থা! দান, খয়রাতি, দুর্নীতিতে সব তহবিল ফাঁকা। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের মিড ডে মিলের টাকা থেকে পথ দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অস্তিত্ব কী নেই এরাজ্যে?
    প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দলের আনাগোনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) দুর্নীতির তদন্তে এবার রাজ্যে পা দেবে অপর কেন্দ্রীয় দল। তার আগে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে এমন দুর্নীতির অভিযোগ বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Justice Rajasekhar Mantha: সব থানায় সিসিটিভি সচল রাখতে ডিজিকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা

    Justice Rajasekhar Mantha: সব থানায় সিসিটিভি সচল রাখতে ডিজিকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে থানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। বিরোধীরা বারবার দাবি করেছে যে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ তাদের কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ কোনওভাবেই আটক ব্যক্তিকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন থানার মধ্যে করতে পারেনা। এই সুপ্রিম নির্দেশকে পুলিশ অগ্রাহ্য করে। তার কারণ থানায় নির্যাতনের কোন প্রমাণ সাধারণভাবে থাকে না। 

    ঠিক কী জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)

    থানায় কী হয় আর কী হয় না সে ব্যাপারে নজরদারি চালাতেই সব থানায় সিসিটিভি বসানোর কথা এর আগে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার রাজ্যের সব থানায় সিসিটিভি ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা সেব্যাপারে জানতে চাইলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। বারবার অভিযোগ উঠেছে অনেক থানায় সিসিটিভি কাজ করেনা। গত ২০ ডিসেম্বর বিচারপতি মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) ডিজি মনোজ মালব্যকে নির্দেশ দেন রাজ্যে সব থানায় সিসিটিভি ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। চলতি মাসের ১৩ তারিখে ডিজি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে এবং সেই রিপোর্টে রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন যে কিছু থানায় যদি সিসিটিভি খারাপ থাকে তবে তা বদলানোর কথা বলা হয়েছে।।

     এ বিষয়ে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) জানান যে প্রতি সপ্তাহে পুলিশ সুপারদের কাছ থেকে ডিজিকেই রিপোর্ট নিতে হবে সিসিটিভি ঠিকঠাক কাজ করছে কি না এটা দেখার জন্য। এদিন বিচারপতি ডিজিকে আরও বলেন কোথায় সিসিটিভি কাজ করছে না তা যাচাই করুন, এজন্য রাজ্য সিআইডি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। বিচারপতি মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) আরও জানিয়েছেন কোনও থানার সিসিটিভি যদি কাজ না করে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) আরও সংযোজন আগামীদিনে স্বরাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকেও সজাগ থাকতে হবে যে সিসিটিভি কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য।  (Justice Rajasekhar Mantha)

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gangasagar: রাতভর নদীর চড়ায় আটকে গঙ্গাসাগর ফেরত ভেসেল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

    Gangasagar: রাতভর নদীর চড়ায় আটকে গঙ্গাসাগর ফেরত ভেসেল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর মাঝনদীতে কাটাতে হলো গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের। ঘন কুয়াশার কারণে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) থেকে ফেরার পথে বিপাকে পড়লেন পুণ্যার্থীরা। দিকভ্রষ্ট হয়ে ভেসেল আটকে গেল একেবারে চড়ায়, যার জেড়ে প্রবল শীতে, গাদাগাদি ভিড়ে, কষ্টকর পরিস্থিতিতে আটকে থাকলেন কয়েকশো পুণ্যার্থী। প্রসঙ্গত শনিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছিল গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) পুণ্যস্নান। ভক্তদের বিশ্বাস মকর সংক্রান্তির পবিত্র তিথিতেই গঙ্গানদী কপিল মুনির আশ্রম হয়ে সাগরে মিশেছিল। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পবিত্র ডুব দেন পুণ্যার্থীরা। রাত থেকেই গঙ্গাসাগর (Gangasagar) ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে। বন্ধ হয়ে যায় লঞ্চ ও ভেসেল পরিষেবা। সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ পরিষেবা। স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়েছেন গঙ্গাসাগর ফেরত অসংখ্য পুণ্যার্থী। পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের ওপর কখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি বিজেপি সরকার, বললেন রাজনাথ সিং

    প্রশাসন কী বলছে

    প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে গতকাল রাতে কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) ফেরত যাত্রীদের নিয়ে কাকদ্বীপের ৮ নম্বর লটে আসছিল তিনটি ভেসেল। রাত দশটা নাগাদ যাত্রা শুরু করে ভেসেলগুলি। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে সেগুলি মুড়িগঙ্গা নদীতে পথ হারিয়ে ফেলে এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে একটি চড়ায় আটকে পড়ে এগুলি। গভীর রাতে ভেসেলের সন্ধান পায় প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: মানত করে পুত্রলাভ! পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েই আর ফেরা হল না উত্তরপ্রদেশের সোনুর

    একটি ভেসেল ৮ নম্বর লটে ফিরতে পারলেও বাকি দুটি নাকি আটকে গেছে। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, ভাটা থাকায় ভেসেলগুলি আর জলে ভাসতেও পারেনি। জোয়ার না আসা পর্যন্ত ভেসেল গুলিকে এভাবেই থাকতে হবে। জানা যাচ্ছে দুটি ভেসেলে ৫০০ এর উপর যাত্রী রয়েছে এবং সারারাত মাঝ নদীতেই তারা আটকে ছিল।

    আরও পড়ুন: অ্যামাজন ভারতে ১০০০ কর্মী ছাঁটাই! অফিসেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কর্মীরা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Swami Vivekananda: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে ট্যুইটে শুভেচ্ছাবার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শুভেন্দুর

    Swami Vivekananda: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে ট্যুইটে শুভেচ্ছাবার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) ১৬০তম জন্মবার্ষিকী দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক সংগঠন আজকের দিনটি নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পালন করছে।

    স্বামীজির (Swami Vivekananda) বাড়ি

    স্বামীজীর (Swami Vivekananda) বসত বাড়ি সিমলাতেও  নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বামীজির (Swami Vivekananda) প্রতিকৃতিতে এদিন মাল্যদান করতে দেখা যায় বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে। অনেক স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও আসে স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে। বেশ কিছু শোভাযাত্রা স্বামীজির বাড়িতে এসে শেষ হয়।
     
    বেলুড় মঠ

    জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে বেলুড় মঠে প্রতি বছরের মতো এবারেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল, ক্লাব এবং মঠের সদস্যরা স্বামীজীর (Swami Vivekananda) প্রতিকৃতি নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে গান করতে করতে বেলুড় মঠে আসেন। সকাল সাড়ে ন’টা থেকে এদিন বেলুড় মঠে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। গান, আধ্যাত্মিক আলোচনা, স্বামীজির জীবনী ও বাণী বিষয়ে বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে পালিত হতে থাকে বীর সন্ন্যাসীর (Swami Vivekananda) জন্মদিন।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট

    স্বামীজীর (Swami Vivekananda) জন্মদিন উপলক্ষে এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়। ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, “আজকে আমি কর্নাটকের হুবালিতে থাকবো, সেখানে ২৬তম জাতীয় যুব উৎসব পালিত হবে, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ দেশ গঠনে আমাদের যুবসমাজকে পরিচালিত করুক”।

    শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট

    অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এদিন স্বামীজির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেন। জাতীয় যুব দিবসে তিনি ট্যুইটে লেখেন স্বামীজীর শিক্ষা, জাতীয়তাবাদ এবং আধ্যাত্মিকতা ভারতবর্ষের তরুণ সমাজকে সর্বদাই উদ্দীপ্ত করবে।

  • IT Raid: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    IT Raid: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি এবং কারখানা থেকে মিলল ১১ কোটি টাকা।  বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাকিরের বিড়ি কারখানা এবং তাঁর দফতরে চলছিল আয়কর তল্লাশি। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, সেই তল্লাশিতে মিলেছে ১১ কোটি টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে কেবলমাত্র একটি জায়গা থেকেই মিলেছে ৯ কোটি টাকা।

    এক জায়গায় মেলে ৯ কোটি টাকা

    আয়কর দফতর সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার এগারোটা জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। জাকির হোসেনের চালকল তেলকল সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। একটি অফিস থেকে ৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও জাকির হোসেনের দাবি, তেল মিল ও চাল মিলে নগদ টাকায় শস্য কিনতে হয়। বিড়ি শ্রমিকদের সপ্তাহান্তে মজুরি প্রদান করতে হয়। সেই টাকাই রাখা ছিল বিভিন্ন জায়গায়। মুর্শিদাবাদের সুতির একাধিক বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জানান, মুর্শিদাবাদে জাকির হোসেনের একটি অফিস থেকে নগদ ন’কোটি টাকা মিলেছে। একটি কার্টনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওই টাকা। কেন এত বিপুল পরিমাণ টাকা লুকিয়ে রাখা হল তা ভাবাচ্ছে আয়কর কর্তাদের। কোথা থেকে এই টাকা এল বা কেন তা লুকিয়ে রাখা হল তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা! বিস্ফোরক মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

    মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে বুধবার আচমকাই হানা দেয় কেন্দ্রীয় আয়কর দফতর। সামসেরগঞ্জের গোবিন্দপুরে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের (Zakhir Hossain) বিড়ির কারখানা। বেলা ১১টা নাগাদ ওই কারখানার সামনে এসে পৌঁছয় আয়কর দফতরের তিনটি গাড়ি। বেশ কয়েকজন আধিকারিক কাউকে কিছু না বলেই ভিতরে ঢুকে যান। দীর্ঘক্ষণ সেখানে থাকার পর বেরিয়ে অন্যত্র চলে যান তাঁরা। পরে তল্লাশি চালানো হয় জাকির হোসেনের চালকল-তেলকল ও বাড়িতেও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rajasekhar Mantha: তিনদিন পরেও অধরা পোস্টার কাণ্ডের দুষ্কৃতীরা, নগরপাল-স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব রাজভবনের

    Rajasekhar Mantha: তিনদিন পরেও অধরা পোস্টার কাণ্ডের দুষ্কৃতীরা, নগরপাল-স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব রাজভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির (Justice Rajasekhar Mantha) বাড়ির রাস্তায় পোস্টার মারা কাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতিরা। লেক থানার পর হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের হাতে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজও। তাও কেন গ্রেফতার করা হল না দোষীদের? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দোষীদের খোঁজ চলছে।

    এরই মাঝে নগরপাল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল (Justice Rajasekhar Mantha) সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জরুরি তলবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে বেনজির বিক্ষোভের জেরেই তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। 

    গত সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটানো ঘিরে উত্তপ্ত হয় আদালত চত্বর। সোমবার সকালে, দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির চারদিকে এই সমস্ত পোস্টার দেখা যায়। কারা পোস্টার দিয়েছে, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে, সে দিনই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। 

    এদিকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বাড়ির আশপাশে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় আগেই এফআইআর দায়ের করেছে লেক থানা। মামলা করতে চেয়ে আলিপুর আদালতের অনুমতিও চাওয়া হয় থানার তরফে। অনুমতি পাওয়ার পর এফআইআর দায়ের করা হয়।

    গত মঙ্গলবার আদলত অবমাননার রুল জারি করেছেন বিচারপতি মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, এজলাসের বাইরের সিসিটিভি দেখে সেই সব ব্যক্তি এবং আইনজীবীদের শনাক্ত করতে হবে। এরপর বুধবার এজলাসের সামনে থেকে সেই অবস্থান তুলে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালত অবমাননার রুলে কী বলা হয়েছে?

    ১. বিচারপতির (Justice Rajasekhar Mantha) সম্মানহানি হয় এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে তাঁর বাসস্থান নিয়ে ভুল এবং মিথ্যা তথ্য পোস্টারে লেখা হয়েছে।

    ২. এজলাসে দরজা বাইরে থেকে আটকে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করতে না দিয়ে কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা পরিষ্কারভাবে এই সাংবিধানিক আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে।

    ৩. কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা চোখ রাঙিয়ে, হুমকি দিয়ে, আদালতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেন।

    ৪. পোস্টারে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আদালতের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে চেয়েছেন। একজন বিচারপতির বাড়ি এবং হাইকোর্ট চত্বরে এই ধরনের মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন এবং বেপরোয়া পোস্টার কলঙ্কজনক। এর মাধ্যমে আদালত এবং বিচারপতিকে কলঙ্কিত করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।

    ৫. জনমানসে এবং মানুষের চোখে আদালত এবং বিচারপতির ক্ষমতাকে ছোট করে দেখানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে।

    ৬. বাইরে থেকে এজলাস বন্ধ করে এবং পোস্টার মেরে কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

        

     

  • SSC Scam: ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা! বিস্ফোরক মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

    SSC Scam: ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা! বিস্ফোরক মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূল নেতার ঘুষ নেওয়ার কথা বললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। বহু ছাত্রছাত্রীর থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা তুলেছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনই দাবি করলেন তাপস। বুধবার নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান তিনি। রাতে সেখান থেকে বেরোনোর সময় তাপস দাবি করেন, তৃণমূল নেতা যে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তুলেছিলেন, তার কিছু তথ্যপ্রমাণ তিনি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

    তাপস-কুন্তল মুখোমুখি জেরা

    সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার তাপস এবং ওই তৃণমূল নেতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাইরে বেরিয়ে তাপস এই মন্তব্য করেন। তিনি জানান, শাসকদলের ওই যুব নেতার কথা আগেই সিবিআইকে বলেছিলেন তিনি। ওই নেতাকে যাতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তার আর্জিও জানিয়েছিলেন। অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ হুগলির একটি কলেজের কর্ণধার। চাকরি দেওয়ার নামে ১০০ কোটি তোলার অভিযোগ করেন তাপস মণ্ডল। তার মধ্যে হুগলির যুব নেতা ৩২৫ জনের কাছ থেকে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাপসের।

    আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত তাপস মণ্ডল। জেলবন্দি আরেক অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ তাপস। তিনিই এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের জেরায় কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। তাতে যুবনেতার কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। এও জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের কাছে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কুন্তল। তবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুন্তল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share