Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • DA: ‘কর্মীদের বঞ্চিত করা যাবে না’, বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    DA: ‘কর্মীদের বঞ্চিত করা যাবে না’, বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র (DA) পুরোটা এখনও মেটায়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। শুক্রবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে বকেয়া ডিএ-র পুরোটা না মেটানোর বিষয়টি উত্থাপন করেন কর্মীদের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এজি (AG) এসএন মুখোপাধ্যায়।

    রিভিউ পিটিশন…

    এদিন ওই মামলার শুনানি শুরু হতেই এজি বলেন, আমরা বকেয়া মেটানো নিয়ে আগের রায়ের রিভিউ চেয়ে আবেদন করেছি। সেটা ১৪ ডিসেম্বর শুনানি। এর পরেই বিচারপতি মান্থা বলেন, রিভিউ পিটিশন করলেই পুরানো টাকা মেটানোর নির্দেশ কার্যকর না করার সুযোগ জন্মায় না। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, আগের বকেয়া মেটাতেই হবে। ১৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৬ জানুয়ারি রিভিউ মামলার শুনানি করবে আদালত। তার আগে মেটাতে হবে বকেয়া পুরানো ডিএ-র টাকা।

    কর্মীরা রয়েছে বলেই..

    বিচারপতি মান্থা এদিন এজিকে বলেন, আমি আপনার বিড়ম্বনা বাড়াতে চাই না। তাই লিখিতভাবে নতুন অর্ডার দিলাম। তিনি বলেন, ডিএ (DA) কর্মীদের অধিকার। এটা দয়া নয়, এটা এখন স্পষ্ট। আর কর্মীরা রয়েছে বলেই প্রতিষ্ঠান আছে। না হলে কোথায় থাকত প্রতিষ্ঠান? তিনি বলেন, এটা চলতে পারে না। নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এই ডিএ মেটানো নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    এর পরেই সরকারি আইনজীবী জানান, ৫১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি। বিচারপতি মান্থা ফের বলেন, ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। যদি বিচারব্যবস্থায় ভরসা না থাকে, তাহলে অন্য কথা। কিন্তু কর্মীদের বঞ্চিত করা যাবে না। এটা তাদের কষ্টের দাম। কতদিন এভাবে বঞ্চিত থাকবে তারা? আগে ১৪ ডিসেম্বর রিভিউ শুনানি ছিল। সেটা পিছিয়ে দিলাম। কিন্তু এর মধ্যে আগের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (DA) দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কলকাতা হাইকোর্টের রায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষেই গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। সোমবার হবে শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Calcutta High Court: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। কার নির্দেশে আদালতে অবৈধদের জন্য শূন্যপদে চাকরির আবেদন করল কমিশন? এবার তারই তদন্ত করবে সিবিআই। কে করল এই ‘বেনামি’ আবেদন?  এবার তাই খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ থেকেই তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের  

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বেনামি আবেদন করার এই পরিকল্পনা কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তাও খুঁজে বের করবে সিবিআই। বিচারপতি আরও বলেন, এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় ঘুরছে আর অযোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।   

    প্রাথমিক পর্যবেক্ষনের পর বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “এই আবেদন কমিশনের নামে করা হলেও, আসলে কমিশন এই আবেদন করেনি। কমিশনকে সামনে রেখে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছে। এগুলি ‘বেনামি’ আবেদন। কে বেনামী আবেদনের নেপথ্যে তা খুঁজে বার করতে হবে। এই ভুয়ো আবেদনের দায় বর্তমান চেয়্যারম্যানকে দেওয়া যেতে পারে না।” বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০ টায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনকে। 

    বাতিল হওয়া চাকরি প্রার্থীদের পুর্নবহালের আবেদন

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এরপরে সেই মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। এবিষয়ে কোনও লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। এরপরই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কমিশনকে সামনে রেখে কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগ? কে করল বেনামি আবেদন?” সঠিক কোনও উত্তর না পেয়েই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেন বিচারপতি (Calcutta High Court)। 

    সচিব সব দায় নিতে চাইলে, বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “অন্যের দায় আপনি কেন নেবেন ? আমি সেটা হতে দেব না। আপনি কি চাঁদমারি নাকি, যে আপনাকে লক্ষ্য করে সব গুলি ছোঁড়া হবে? এই আবেদনে যা লেখা রয়েছে সেই একই সুর শিক্ষামন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে।” বিচারপতির আরও মন্তব্য, অতিরিক্ত পদ তৈরি করার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। প্রয়োজনে সচিবকেও জেলে যেতে হতে পারে। 

    নির্দেশ (Calcutta High Court) পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এসএসসির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টে ইনস্ট্রাকশন কীভাবে পৌঁছোয়? এসএসসির হয়ে কোন কোন আইনজীবী ইনস্ট্রাকশন নেন? এখন তাই জানতে চাইছে সিবিআই। একাধিক মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ই-মেইলে নজর রাখছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

             

  • Anubrata Mondal: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে আবার দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডি সূত্রে খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই দিল্লি হাই কোর্টে উঠবে অনুব্রতের মামলা। গরু পাচার মামলা ও অর্থ তছরুপের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করে ইডি। তবে তা ঠেকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। সেই মামলার শুনানিও ১ ডিসেম্বর।

    আবারও দিল্লি যাত্রা সুকন্যার

    চলতি মাসের শুরুতেই সুকন্যাকে পর পর তিন দিন দফায় দফায় দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। গত ৪ নভেম্বর শেষ বার ইডির দফতরে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা করা হয় অনুব্রত কন্যাকে। দফতর থেকে বাইরে বেরিয়ে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও তদন্তকারীদের কাছে তিনি ঠিক কী বলেছেন, তা সবিস্তারে জানাননি তিনি। আবারও রাজধানীতে তাঁকে কেন তলব করা হল ইডি সূত্রে তা এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে  তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের আগে সুকন্যার বছরে আয় ছিল ৩ লাখ টাকার মতো। ২০১৫ সাল থেকে লাগাতার আয় বেড়েছে তাঁর। গত দু’বছরে সুকন্যার বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, বোলপুরে ‘ভোলে ব্যোম’ নামে একটি চালকলের যৌথ মালিকানা রয়েছে সুকন্যার। দু’টি সংস্থারই ডিরেক্টর তিনি। ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    লটারি দুর্নীতি

    সুকন্যা শেষ বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে অনুব্রতের বিরুদ্ধে লটারি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে তদন্ত চলছে জোরকদমে।   তদন্ততে উঠে এসেছে, গত চার বছরে অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে সুকন্যা, তাঁদের আত্মীয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। বীরভূমের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতে  ইতিমধ্যেই তিন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে তলব করেছে সিবিআই। বুধবারও বোলপুরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক শাখার আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যা শেষ বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে অনুব্রতের বিরুদ্ধে লটারি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী শুনানিতে যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। মানিক ভট্টাচার্য মামলায় (Manik Bhattacharya Case) এই বলে সিবিআইকে সতর্ক করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল মানিক ভট্টাচার্যের মামলার। ওই দিন শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। এরই প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির সময় যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  

    পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক…

    দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা। সেই মামলার শুনানি ছিল ১৮ নভেম্বর। ওই দিন শুনানিতে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে ২৬ পাতার রিপোর্ট। তদন্ত চলছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের দিকে। বামেদের হটিয়ে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসে ২০১১ সালে। তার পরের বছরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব পান মানিক। ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পদে ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় সরিয়ে দেওয়া হয় মানিককে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সরানো হয় তাঁকে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    কেবল সিবিআই নয়, মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-ও। ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা নগদ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Smuggling Case: কয়লাপাচার কান্ডে ইডি তলব করল কলকাতা পুলিশের এসিপিকে

    Coal Smuggling Case: কয়লাপাচার কান্ডে ইডি তলব করল কলকাতা পুলিশের এসিপিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির (Enforcement Directorate) নজরে কলকাতা পুলিশের এক এসিপি। কয়লা পাচারের অভিযোগে কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা কলকাতা পুলিশ বিভাগে কর্মরত এক অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন।

    শান্তনু সিনহা এসিপি (Shantanu Sinha, Assistant Commissioner of Police, IPS)

    ওই এসিপির নাম শান্তনু সিনহা (Shantanu Sinha)। তিনি একসময়ে কালীঘাট থানার দায়িত্বে ছিলেন। সূত্রের খবর আজ বুধবার সকাল ১১টা ৪০ নাগাদ দিল্লি ইডি অফিসে পৌঁছন ওই অফিসার। সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি অফিসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে ওঁকে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল।

    কালীঘাট থানা (Kalighat Police Station)

    প্রসঙ্গত, কালীঘাট থানায় ওসি থাকাকালীন মমতা ব্যানার্জিকে একবার মা বলে সম্বোধন করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই অফিসার। বর্তমানে শান্তনু সিনহা কলকাতা পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন।

    কয়লা পাচার (Coal Smuggling)

    ইডি সূত্রে খবর তদন্তের সূত্র ধরেই শান্তনুর নামটি তদন্তে উঠে এসেছিল।তাই তথ্য যাচাই করতে তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও রাজ্যের একাধিক আইপিএস অফিসারকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি।

    কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাত (Centre State Conflict)

    রাজ্য কেন্দ্রের উভয়ের সংঘাতের মাঝে রাজ্যের এই শীর্ষ কর্মকর্তাদের দিল্লি তলব নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকেও নানা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। এর আগেও রাজ্যের এই অফিসারদের তলব করা নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রে বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যদিও বিজেপি জানিয়েছে, ইডি একটি স্বতন্ত্র সংস্থা তারা রাজনৈতিক দলের উর্ধ্বে। তারা দোষীদের  খুঁজে বার করছে যদিও তৃনমূল পার্টির নেতারা একাধিক কেলেঙ্কারিতে এখন জেলে। তাই তৃনমূল ভয় পেয়ে এমন অভিযোগ করছে।

    এর আগে দিল্লিতে যে আট আইপিএস অফিসারকে তলব করা হয়েছিল ইডি-র তরফে তাঁদের প্রত্যেকেই কখনও না কখনও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন।সেই তালিকায় ছিলেন জ্ঞানবন্ত সিং, সিলভা মুরুগান, কে কোটেশ্বর রাওয়ের মতো পুলিশ অফিসাররা। তাঁদের কেউ দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন, আবার কেউ দেননি। যেসব জায়গাগুলি থেকেই মূলত কয়লা পাচারের অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু শান্তনু ছিলেন কলকাতা পুলিশেই। ফলে তাঁকে তলব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Cyclone Sitrang: সিত্রাং এর প্রবাহে দীপাবলির আলো ম্লান হবার মুখে

    Cyclone Sitrang: সিত্রাং এর প্রবাহে দীপাবলির আলো ম্লান হবার মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও নতুন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে চলেছে আমাদের রাজ্যে, সিত্রাং নামক ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি বাড়িয়ে আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ থেকে। পোর্টব্লেয়ার থেকে ১১০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করেছে এই  নিম্নচাপ এবং সাগরদ্বীপ থেকে ১৪৬০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করেছে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে আগামীকাল সোমবার দীপান্বিতা কালীপূজার দিন  পশ্চিমবঙ্গে এবং পরবর্তী দিন মঙ্গলবার বাংলাদেশের উপকূলের তিনকোনা দ্বীপের উপর আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়।

    পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর সহ হাওড়া, হুগলি, নদীয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি আর মঙ্গলবার ৯০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
    তবে দুই পরগণা আর দুই মেদিনীপুরে ১১০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা। 
     সরকারের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকার সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং সুন্দরবন এলাকায় ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। 

    [tw]


    [/tw]

    সুন্দরবন কোস্টাল থানার তরফ থেকে মাইকে করে বিশেষ সতর্কতা মূলক প্রচার চালানো হয়েছে, মৎস্যজীবিদের মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সমুদ্র তীরবর্তী বাসিন্দাদের কয়েকটি দিন বিশেষ সতর্কতায় কাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তেমন বুঝলে ফ্ল্যাড সেন্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। 
    এই ঝড় পাশ্ববর্তী রাজ্য উড়িষ্যা হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে ভারতে যাবে। এই ঘুর্ণিঝড়ের কারণে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু রাজ্যে সারাদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, মাঝে মাঝে ঝড় বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। 
    কালীপূজার দিন সকাল থেকে নবান্নে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের।

    নবান্নের তরফ থেকে উপকূলীয় জেলার প্রশাসনকে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।  সাইক্লোন সিত্রাং মোকাবিলায় এনডিআরএফের তরফ থেকে থাকবে পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি পরিষেবা দল রাজ্যের উপকূল সহ বিভিন্ন স্থানে । ৪টি দল থাকবে দক্ষিন ২৪ পরগণায়, ২ দল থাকবে উত্তর ২৪ পরগণা ,৩ টি দল  পূর্ব মেদিনীপুর আর ১ টি দল পশ্চিম মেদিনীপুর,হুগলি ও নদীয়ায় থাকবে। এবং কলকাতা কর্পোরেশনে থাকছে দুটো দল।
    দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে রয়েছে সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, কুলতলি, উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি এবং হাসনাবাদ। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের মধ্যে  দিঘাতে রয়েছে একটি টিম, রামনগরে দুটি টিম এবং হলদিয়াতে এনডিআরএফের টিম রয়েছে। হুগলির আরামবাগ, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, পশ্চিম মেদিনীপুরে হাসিমপুর, নদিয়া হরিণঘাটাতেও এনডিআরএফ টিম মোতায়েন রয়েছে। মূল কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে হরিণঘাটাতে সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের এনডিআরএফের কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমের নাম্বার-  ৮০১৭১৬৬৬৫৫ । ২৪ ঘণ্টা এই হরিণঘাটার মেইন কন্ট্রোল রুম থেকেই চলবে গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • TET Scam: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা মানিকের! কালীপুজো কাটবে ইডির হেফাজতেই

    TET Scam: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা মানিকের! কালীপুজো কাটবে ইডির হেফাজতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  টেট নিয়োগে (TET Scam)  দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সিবিআই (CBI) তদন্তে রক্ষাকবচ পেলেও, ইডির (ED) গ্রেফতারি নিয়ে স্বস্তি পেলেন না পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যে আর্জি করেছিলেন মানিক, বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে দেওয়া হল। ইডির গ্রেফতারি সঠিক বলেই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিককে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মানিক। বৃহস্পতিবার মানিকের সেই আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ। তাতেই তাঁরা জানিয়ে দেন, মানিককে ইডির গ্রেফতারিতে কোনও ভুল নেই। মানিকের গ্রেফতারি যথাযথ কি না, সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের জবাবে সোমবারই আদালতে ২৪ পাতার হলফনামা জমা দিয়েছিলেন ইডির আইনজীবী। ওই হলফনামায় মানিককে গ্রেফতারির নেপথ্যে থাকা পাঁচটি কারণও জানানো হয়। ইডি-র তরফে হাজির সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মানিকের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। তথ্য লুকানো থেকে শুরু করে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের তালিকার প্রসঙ্গ টেনে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগও করা হয়।

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় কেরিম খানকে জেরা সিবিআইয়ের, হানা অনুব্রতর দিদির বাড়িতেও

    মানিকের আইনজীবী মুকুল রোহতগী জানান, এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা মানিক ভট্টাচার্যের বলে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অনিয়মের অভিযোগ বাদ দিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই বলেও দাবি করেন আইনজীবী। তাঁর মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, বলেও আদালতে জানান তিনি। এর জবাবে শীর্ষ আদালতের তরফে রাজ্যের আদালতেই আবেদন জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Fatakesto Kali Puja: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন ‘ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প‌’

    Fatakesto Kali Puja: জানুন, সাতের দশকের কলকাতার ডন ‘ফাটাকেষ্ট ও তাঁর কালীপুজোর গল্প‌’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছিল ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ সিনেমা। এই ফিল্মে মিঠুন চক্রবর্তীর সংলাপ- ‘‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’’— আজও সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। 

    জানেন, কে ছিলেন এই ফাটাকেষ্ট? এর উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে সাতের দশকে নকশাল আন্দোলনে উত্তাল কলকাতায়। প্রতিদিনই তখন হত্যালীলা চলছে, সারা রাজ্যের অলিগলি থেকে কলকাতার রাজপথে তখন রক্তের দাগ। কোথাও বৃষ্টির ফোঁটার মতো গুলিবর্ষণ হয়, তো কোথাও মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি চলে। কলেজ স্ট্রিটের দেওয়ালে তখন নকশালদের দেওয়াল লিখন – ‘ফাটাকেষ্টর মুন্ড চাই’। তৎকালীন সময় থেকেই জনশ্রুতি রয়েছে, ‘নকশালদের ছোড়া বোমা নাকি তাঁর পায়ের কাছে পড়েও ফাটেনি, ওই বোমা তিনি উল্টোদিকে শট মারেন ঠিক ফুটবলের ধাঁচে’। তিনি যে ফাটাকেষ্ট। বোমা নিয়ে ফুটবল খেলা তো তাঁরই সাজে।

    এলাকার মসীহা বলুন অথবা রবিনহুড। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘শাহেনশা’ চরিত্র তাঁর সঙ্গে অনেকাংশে মেলে, এমনটাই বিশ্বাস ছিল তাঁর ফ্যানদের। কলেজ স্ট্রিটের রাস্তা ধরে এলাকার মেয়েরা ‘নাইট শো’ দেখে নিশ্চিন্তে রাত্রিতে একাকী ফিরতে পারতেন যখন দেখতেন, তাঁদের পাহারার জন্য ‘ফাটাকেষ্ট’ বারোয়ারী মন্দিরের মেঝেতে তোয়ালে বিছিয়ে রাত্রিযাপন করছেন। কলেজ স্ট্রিটের এই ‘মসীহা’-র এমন অদ্ভূত নামকরণের কারণ তাঁর মুখমণ্ডল জুড়ে থাকা বসন্তের দাগ বলেই মনে করেন অনেকে। 

    আরও পড়ুন: নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতর কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

    আসল নাম কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত। ‘নব যুবক সংঘ’-এর কালী পুজোর উদ্যোক্তা। নকশাল আমলে কলেজ স্ট্রিটে দুই মস্তানের সঙ্গে ব্যাপক ছুরির লড়াই হয় ‘কালীভক্ত’ কৃষ্ণচন্দ্র দত্তের। লড়াই জিতলেও শরীরে ব্যাপক ছুরিকাঘাতের কারণে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাঁর। ভর্তি হন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সুস্থ হয়ে পাড়ায় ফিরলে তাঁর নাম হয় ‘ফাটাকেষ্ট’। ছোটোখাটো চেহারা, সুঠাম দেহের অধিকারী ফাটাকেষ্টর কলেজ স্ট্রিটের কালীপুজো প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে সেই ছয়ের দশক থেকেই। কালীমায়ের ভক্ত কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত ওরফে ফাটাকেষ্ট ‘তন মন ধন’ দিয়ে মায়ের আরাধনা করতেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় পুজোর উদ্বোধন করতেন। সারা এলাকা জুড়ে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা থাকত, বিভিন্ন থিম দ্বারা সাজানো হত মায়ের মণ্ডপ। বিশালকায় মায়ের মূর্তির দর্শন করতে কাতারে কাতারে মানুষজন আসতেন।

    প্রচলিত বিশ্বাস মতে, নব যুবক সংঘের কালীপুজোয় একবার এক মহিলার ভর হয় কালী মূর্তির সামনে। ওই মহিলা তখন বলতে থাকেন ‘ছোট গ্লাসের জলে আমার চেষ্টা মেটেনা, আমাকে বড় গ্লাসে জল দিতে পারিস না তোরা’? তখন দেখা গেল মাতৃ প্রতিমার নৈবেদ্যতে রাখা জলের পাত্রটি সত্যিই ছোট। এই ঘটনার পরে বড় গ্লাসে দেবী কালীকে জলদানের রীতি রয়েছে ফাটাকেষ্টর কালীপুজোতে। 

    কালী পুজোর প্রাক মুহূর্তে একবার পরিচালক দুলাল গুহর ছবির কাজে কলকাতায় এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, সদ্য মুক্তি পেয়েছিল “নমক হালাল” সিনেমা। বাচ্চা থেকে বুড়ো অবধি তখন মোহাচ্ছন্ন নমক হালালের সংলাপে। ফাটাকেষ্টর ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরিচালক দুলাল গুহ। মূলত তাঁরই অনুরোধে সেবার নব যুবক সঙ্ঘের কালীপুজো উদ্বোধন করেন অমিতাভ বচ্চন। মঞ্চ বাঁধা হয় তাঁর জন্য। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে তখন অমিতাভ বচ্চন বলছেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নমক হালাল’ সিনেমার একের পর এক বিখ্যাত সংলাপ। শুধু তাই নয়। ফাটাকেষ্টর কালীপুজোতে তিনি মায়ের জন্য গড়িয়ে দিয়েছিলেন হীরের নাকছাবি। 

    দেশ-বিদেশ খ্যাত অসংখ্য সেলেব্রিটি যুক্ত থেকেছেন ফাটাকেষ্টর কালীপুজোর উদ্বোধনে। এই তালিকায় যে যে নামগুলো ছিল একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। সিনেমা জগতের তারকা বিনোদ খান্না, শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে সঙ্গীত জগতের হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, রাহুল দেব বর্মন, আশা ভোঁসলে, ক্রীড়া জগতের বিশ্ববিখ্যাত গোলকিপার লেভ ইয়াসিন – প্রতিবছর কালীপুজো উদ্বোধনে চাঁদের হাট বসতো নব যুবক সঙ্ঘে। প্রয়াণের আগের বছর অবধি ওই পুজোতে এসেছেন স্বয়ং উত্তম কুমার অবধি।

    ১৯৯২ সালে প্রয়াত হন কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত ওরফে ফাটাকেষ্ট। কয়েকবছর আগেও তাঁর কালীপুজোর উদ্বোধন করে গেছেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের এই কালীপুজো আজ একটা ‘মিথ’। নবযুবক সঙ্ঘের কালী পুজোর জগৎজোড়া খ্যাতির নেপথ্যে ছিল কালী মায়ের ভক্ত, ছোটখাটো চেহারার ওই দাপুটে মানুষটি। যাঁর কথায় নাকি এলাকার বাঘে গরুতে একসঙ্গে জল খেত বলেই বিশ্বাস করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    Anubrata Mondal: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই-এর ডাক এড়ালেন কেষ্ট (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা (Sukanya Mondal)। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, এমন পরিস্থিতিতে সুকন্যা মণ্ডলকে গতকাল সিবিআই ডেকেছিল। কিন্তু তিনি সিবিআই-এর দফতরে উপস্থিত না হয়ে পাঠিয়েছেন চিঠি। কী আছে চিঠিতে? সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুকন্যা রয়েছেন রাজ্যের বাইরে। তাই তিনি সিবিআই-এর কাছে সময় চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন রাজ্যের বাইরে থাকার জন্য তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাঁর সংস্থার আয়–ব্যয়ের গড়মিলের নথি নিয়েই গতকাল, সোমবার সিবিআই সুকন্যাকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল।

    তবে গতকাল শুধুমাত্র কেষ্ট কন্যা সুকন্যাকেই নয়, অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন-কেও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। আর তিনিও সুকন্যার মতই সিবিআই-এর ডাক এড়িয়ে গেলেন। তবে গতকাল সিবিআই-এর ডাক এড়ানোর কোনও কারণ জানানো হয়নি। সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডকে নোটিস ধরিয়ে সেটির আয়ব্যয়ের যাবতীয় নথি চেয়ে সোমবার সুকন্যা ও বিদ্যুৎবরণকে তলব করেছিল সিবিআই।

    জানা গিয়েছে, আইনজীবী মারফত সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে সুকন্যা দাবি করেছেন, তাঁর বন্ধুর চিকিৎসার জন্য তিনি এখন চেন্নাইতে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে এসে নিজেই যোগাযোগ করবেন তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে। ফলে তিনি সময় মত পৌঁছতে পারেননি। তবে পরবর্তীতে কবে তিনি হাজিরা দিতে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। আরও জানা গিয়েছে, সুকন্যা ই-মেল করে সিবিআইকে নিজের সংস্থার আয়ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৫ সালের পর থেকে হঠাৎ সুকন্যা মণ্ডলের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। ব্যাংক থেকে মিলেছে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নথি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি চাল কলের মালিকানা রয়েছে তাঁর নামেই, তাই তাঁর আয়–ব্যয়ের হিসেব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই-কে আগে যেসব নথি তিনি পাঠিয়েছিলেন তাতে অনেক তথ্য স্পষ্ট উল্লেখ নেই, তাই নোটিস পাঠিয়ে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও গত সেপ্টেম্বরে সুকন্যাকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। সেসময় নিজের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন সুকন্যা। পরে আইনজীবী মারফত নথি পাঠানো হয়েছিল। এ বারও নোটিস পেয়ে তলব এড়ালেন অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Mondal)। আবার সিবিআই তলবের পাশাপাশি আগামী ২৭ তারিখ দিল্লিতে সুকন্যাকে তলব করেছে ইডি-ও। ফলে সিবিআই-এর তলব এড়ানোর পাশাপাশি ইডির তলবও তিনি এড়িয়ে যাবেন কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • Manik Bhattacharya: শুধু চাকরি নয়, অর্থের বিনিময়ে বিএড ডিগ্রিও বিক্রি করেছেন মানিক! অভিযোগ ইডির

    Manik Bhattacharya: শুধু চাকরি নয়, অর্থের বিনিময়ে বিএড ডিগ্রিও বিক্রি করেছেন মানিক! অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে RK? DD-ই বা কে? প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার হওয়ার পর সবার মুখে এখন একটাই প্রশ্ন। কারণ, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে ইডি (ED) আধিকারিকরা এই তথ্য পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা আপাতত এই রহস্য উন্মোচনে মরিয়া। শুধু তাই নয়, এক প্রভাবশালী নেতার আপ্তসহায়কের সঙ্গেও নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট হতো ধৃত মানিকের।

    ইডি জানতে পেরেছে, ওই আপ্তসহায়ক জানতে চেয়েছিলেন লিস্টের কী হল? উত্তরে মানিক বলেছিলেন, পাঠিয়ে দিয়েছি। কাল ফের দেখা করতে চাই। তখন উল্টোদিক থেকে উত্তর আসে, দুপুর দু’টোর পর ফোন করুন। শুধু তাই নয়, ২০জন করে চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা মানিককে পাঠিয়েছিলেন কয়েকজন বিধায়ক। গ্রেফতারের পর মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি CD উদ্ধার করেছিল ইডি। তার মধ্যে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে ধারণা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    আরও পড়ুন: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    শুধু অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া নয়, অর্থের বিনিময়ে বিএড ডিগ্রিও বিক্রি করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ম করেছিল, স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিএড বাধ্যতামূলক। কিন্তু তৃণমূল জামানায় অনেকেই ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন কোনও ট্রেনিং সার্টিফিকেট ছাড়াই। পরে নিয়মের কড়াকড়ির ফলে অবৈধ বিএড ডিগ্রিও মোটা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করতে শুরু করেন মানিক। আর তাঁর এই অপকর্মে সাহায্য করেন পুত্র ও পুত্রবধূ।

    ইডি সূত্রে খবর, মানিক ও মানিকের ছেলের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ছিল বহু টিচার্স ট্রেনিং সংস্থার। সেখান থেকেই নাকি জাল বিএড সার্টিফিকেট প্রদান করা হতো অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের। ২০১৮-১৯ সালে বিভিন্ন বিএড কলেজ থেকে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল। ইডির অনুমান, ভুয়ো বিএড সার্টিফিকেট জোগাড় করে দেওয়ার সুবাদেই এত টাকা পেয়েছিলেন মানিক-পুত্র। আর এই অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য যে অন্যতম কিং পিন, সে ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share