Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Manik Bhattacharya: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    Manik Bhattacharya: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইমারি টেট ইনস্টিটিউট নামে অফিস চালাতেন  প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মহিষবাথানের ওই অফিসটি খোলা থাকত রাত ৮টা থেকে  ৯টা পর্যন্ত। নিয়মিত সেই অফিসে যেতেন মানিক ভট্টাচার্য। সেখান থেকেই টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে তৈরি হত নিয়োগ লিস্ট। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজারহাটের কাছে মহিষবাথানে একটি চারতলা বহুতলের একতলায় চলত অফিসটি। এলাকাবাসী এই সংক্রান্ত খুব বেশি কিছু জানতেন না। তবে তাঁদের কথায়, নিয়মিত রাতে কিছু মানুষ আসতেন ওই অফিসে। মাঝে মাঝেই দেখা যেত পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককেও। তবে গত কয়েক মাস থেকে বন্ধ রয়েছে অফিসটি। 

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক ফিল্ড এজেন্ট এবং কয়েকজন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী যাঁরা পরে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁরাই জানিয়েছেন নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মহিষবাথানের এই অফিস থেকেই হত। এমনকী এই অফিস থেকেই মানিক ভট্টাচার্য লিস্ট তৈরি করা, বিভিন্ন প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সমস্ত কিছুই চালাতেন। টেট-কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই ওই অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। শীঘ্রই ওই অফিসে তল্লাশি চালাবেন গোয়েন্দারা। তাঁদের অনুমান, ওখান থেকেই মিলতে পারে দুর্নীতি সংক্রান্ত বহু নথি।

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya arrested) ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) ইডি অফিসে। রাতে তাঁর পুত্রবধূ আসেন সেখানে। হাতে একটি ব্যাগে করে কিছু নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ঘণ্টাখানেক সেখানে থেকে বেরিয়ে যান। তবে কেন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তা বলতে চাননি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের জামা-কাপর দিতেই ইডি অফিসে এসেছিলেন তাঁর আত্মীয়া। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ekbalpur Mominpur: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Ekbalpur Mominpur: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবালপুর-মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের। তাদের প্রচ্ছন্ন মদতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। তাঁর দাবি,  এই হামলার জন্য ৫০০০ হিন্দু নিজেদের ঘর বাড়ি ছেড়ে কলকাতা থেকে পালিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি কলকাতা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করছি যে, এই ঘটনায় আপনাদের তিন জন আহত হয়েছেন। তিন জন আইপিএস আছেন হাসপাতালে। তবু আপনারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন না?”

    পুলিশের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন যে, “আপনারা বিজেপি নেতাদের ওই এলাকায় ইচ্ছা করে যেতে দেননি। অনেক এলাকায় ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। পুলিশ আমাদের রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা জঘন্যরকম ভাবে হামলা চালাচ্ছে। আমরা চাই না বাঙালি হিন্দুরা আর এখান থেকে চলে যাক। আমরা এই বিষয় নিয়ে বাংলার রাজ্যপালকেও চিঠি লিখেছি। এই নিয়ে সঠিক প্রমাণ দিয়ে চিঠি লিখেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও”। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি তোলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: গোষ্ঠী হিংসা এখন রাজ্যে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা! মোমিনপুর-কাণ্ডে মমতার সরকারকে দুষলেন অমিত মালব্য

    উল্লেখ্য, শনিবার রাত থেকে দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একবালপুর-মোমিনপুর অঞ্চল। ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বোতল ছোড়াছুড়ি-ইটবৃষ্টি হয়। অভিযোগ করা হয় বোমাবাজিও। শনিবার রাতের পর, রবিবার সন্ধ্যায়  ফের উত্তেজনা ছড়ায় একবালপুর থানা এলাকায়। এরপরই, একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী (Police Force)। নামানো হয়েছে র‍্যাফ  (RAF)।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার

    সোমবার বিজেপির পর্যবেক্ষক দল ওই অঞ্চলে যেতে চাইলে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য  সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে, কলকাতার জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে, বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে যান বিজেপির বিধায়করা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    মোমিনপুরে কেন ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে সিইএসসি আধিকারিকদের কাছে জানতে চান রাজ্যের বিরোধী নেতা। এ প্রসঙ্গে তিনটি দাবি তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, অবিলম্বে ওই অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। যাঁরা এই ঘটনার শিকার হয়েছেন তাঁদের রাজ্য সরকার আর্থিকভাবে সাহায্য করুক। যত শীঘ্র সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করা হোক।

     

     

     

  • Weather Update: বিদায় নিচ্ছে বর্ষা? রাজ্যজুড়ে কমল তাপমাত্রা

    Weather Update: বিদায় নিচ্ছে বর্ষা? রাজ্যজুড়ে কমল তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। এমতাবস্থায় সকালের দিকে তাপমাত্রা সামান্য হলেও হ্রাস পেয়েছে রাজ্য জুড়ে। আপাতত রাজ্যের কোথাওই বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে ১৮ অক্টোবর উত্তর আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি এবং ২০ অক্টোবর নাগাদ নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যদিও তা কতটা সক্রিয় হবে, এবং বাংলার ওপরে তার কতটা প্রভাব পড়বে, তা এখনও নিশ্চিত করেননি আবহাওয়াবিদদের।      

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ অক্টোবর আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ঘূর্ণাবর্ত আরও তীব্র হয়ে ২০-২১ অক্টোবর নাগাদ এই ঘূর্ণাবর্ত পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। এই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আকারও নিতে পারে বলে মত আবহবিদদের। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না, তা পরবর্তীতে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হবে বলে সূত্রের খবর। নিম্নচাপের প্রভাবে কোন কোন জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে তা-ও হাওয়া অফিসের তরফে নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন : সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের  

    এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও সেরকম কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি।   

    প্রসঙ্গত, উৎসবের আমেজে মেতে রয়েছে দেশ। সদ্য পেরিয়েছে দুর্গা পুজো। সপ্তাহ শেষেই কালীপুজো এব‌ং দীপাবলির উৎসব পালিত হবে ঘরে ঘরে। দুর্গা পুজোতে বৃষ্টি বেশ খানিকটা বিঘ্ন ঘটিয়েছে। আবার কালী পুজোর সময়ে বৃষ্টি হলে দেশবাসীর আলো-উৎসব উদ্‌যাপনে ভাটা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ব্যবসা-বাণিজ্যও।     

    দুর্গাপুজোর সময় বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কারণে উৎসবের মজা মাটি হয়েছিল। এ বার কালীপুজোর মজাও মাটি হয় কিনা এখন তা সময়ই বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Ekbalpur Mominpur: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    Ekbalpur Mominpur: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ড নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। একবালপুর-মোমিনপুর সংঘর্ষের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা নিয়ে আগেই আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজ্য সরকারের অস্বস্তি যেন আরও বেড়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাইকোর্টের দরজা নাড়লেন আরও এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কলকাতা শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) মোতায়েনের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

    একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডে রাজ্যের পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আগেই উঠেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার ঘটনা ঠেকাতে ও নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police)। লক্ষ্মী পুজোর আগের রাত থেকে এই হিংসা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের দিকে বারবার ব্যর্থতার আঙুল তুলেছে বিজেপি। এই ঘটনায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ায় বিজেপি ট্যুইটে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে ও এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছে।

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    অন্যদিকে গতকাল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ওই অঞ্চলে যেতে চাইলে তাঁকেও আটকে দেয় পুলিশ। আটক করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে, কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-নেতারা। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে, বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে যান বিজেপির বিধায়করা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে এমনটা অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠান শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও তিনি এই ঘটনার পর থেকেই একবালপুর-মোমিনপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে দাবি করেছিলেন। আর তারই মধ্যে এক আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে।  

     

  • Anubarata Mandal: অনুব্রত কন্যা সুকন্যার কোম্পানিকে নোটিস! সংস্থার যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখবে সিবিআই

    Anubarata Mandal: অনুব্রত কন্যা সুকন্যার কোম্পানিকে নোটিস! সংস্থার যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কাটতে না কাটতেই গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) তদন্তে আরও গতি আনল সিবিআই (CBI)। আয়-ব্যয়ের হিসেব চেয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নোটিস পাঠাল ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়ে সুকন্যার নামে থাকা সংস্থাকে। সূত্রের খবর, ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার উপর নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। তাই ওই সংস্থার আধিকারিকদের যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে জমা দিতে বলা হয়েছে। আসলে ওই কোম্পানির ডিরেক্টর অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং বিদ্যুৎবরণ গায়েন। গরুপাচার মামলায় দু’জনেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার র‌্যাডারে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অনুব্রত! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই, কী রায় দেবে আদালত?

    গরু পাচার মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আপাতত তিনি জেলে। তবে গোয়েন্দাদের ধারণা, এই বৃহত্তর দুর্নীতির সঙ্গে শুধু অনুব্রত নন, তাঁর ঘনিষ্ঠরা ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের বেনামি অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় খাটানো হয়েছে বলে ধারণা সিবিআইয়ের। সেই কারণেই ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের আধিকারিকদের ১৬০ ধারায় নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মূলত সাক্ষী হিসেবে তাঁদের তলব করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    উল্লেখ্য, এই সংস্থার নামে অতীতে একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মূলত ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে বাজার মূল্যের থেকে অনেক কম দামে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সম্পত্তি কেনার জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থের সোর্স জানতে চায় সিবিআই। এই সংস্থার দু’জন ডিরেক্টর। একজন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। অন্যজন বিদ্যুৎবরণ। যিনি তৃণমূল নেতার খুবই ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নথি হাতে পাওয়ার পর সুকন্যা ও বিদ্যুৎবরণকে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআই অফিসাররা। উল্লেখ্য, এর আগেও সুকন্যাকে জেরা করতে সিবিআইয়ের দল হাজির হয়েছিল বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। নানা বাহানায় সুকন্যা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাই এখন দেখার, নোটিস পাওয়ার পর তিনি কী করেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন শতাব্দী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্যে চার্জশিটে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy as Witness) নাম উল্লেখ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। গত শুক্রবারই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আসানসোল আদালতে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে  সিবিআই৷ জানা গিয়েছে, সাক্ষী হিসেবে ওই চার্জশিটে মোট ৯৫ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে ৪৬ নম্বরে নাম রয়েছে তারকা সাংসদের। চার্জশিট জমা করার একেবারে শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর বক্তব্য নথিভূক্ত করা হয়। ১৬০ নং ধারায় শতাব্দীকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ১৬১ নং ধারায় তৃণমূল সাংসদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার পরই চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে শতাব্দীর নাম রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সাংসদ। 

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কের তিক্ততা কারও অজানা নয়। যদিও, অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করার পর, অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে কথা বলেছিলেন শতাব্দী ৷ শতাব্দী রায় ছাড়াও চার্জশিটে মলয় পিঠের নামও উল্লেখ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷ এছাড়া ব্যাংক ম্যানেজার ও ব্যাংক কর্মীদের নামও সাক্ষী তালিকায় রয়েছে ৷

    আরও পড়ুন: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার  

    এবার প্রশ্ন উঠছে, যে শতাব্দী অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর হয়ে সওয়াল করেছিলেন, সেই শতাব্দীই নেতার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন? এই বিষয়ে অনুব্রতর আইনজীবীরা বলছেন, “চার্জশিটে যে কাউকেই সাক্ষী করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু বিচারকের সামনে ওই সাক্ষী কী বলছেন, সেটাই বড় কথা।” শতাব্দী এজলাসে দাঁড়িয়ে কী বলেন, এবার সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। 

    গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে বহু টাকা লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। চার্জশিটে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ফিক্সড ডিপোজিট অনুব্রতের পরিবারের বলে দাবি করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ব্যাংকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যে সিজার লিস্টে যে সকল ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মী সই করেছিলেন, তাঁদের নাম সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mominpur-Ekbalpur Clash: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    Mominpur-Ekbalpur Clash: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরের (Mominpur Violence) কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। এরপরই ভাঙচুর চালানো হয় ইকবালপুর থানা এলাকায়। রাতে এই নিয়ে ট্যুইট করে প্রতিবাদ জানান একাধিক বিজেপি নেতারা (BJP Leaders)। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), তরুণজ্যোতি তিওয়ারিরা ধিক্কার জানিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার খিদিরপুর এলাকায় যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যত শীঘ্র সম্ভব কলকাতার মোমিনপুর, ইকবালপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন রাত থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। একটি বিশেষ ধর্মের পতাকা লাগানো হয় ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে। কিন্তু ওই বাড়ির আবাসিকরা সেই পতাকা খুলে দেন। তাঁদের কথায়, ওই পতাকা তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। । কিন্তু এর জেরে শুরু হয় হিংসা। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মোমিনপুরের ইকবালপুর থানা এলাকায়। এরপর রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী একের পর এক মোটরবাইক এবং দোকান ও রাস্তার পাশে থাকা গুমটিতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায়। ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘মোমিনপুর-খিদিরপুরের পরিস্থিতি জানতে পেরে খুবই চিন্তিত। সেখানকার পরিবারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার কখন পদক্ষেপ করবেন এই নিয়ে?’এই ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam: মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ‘আরকে’, ‘ডিডি’,  রহস্যের আড়ালে কারা?

    TET Scam: মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ‘আরকে’, ‘ডিডি’,  রহস্যের আড়ালে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে রহস্যজনক দুই নাম। দুটি নামই সংক্ষেপে। একটি আরকে (RK), অন্যটি ডিডি (DD)। এই দুই রহস্যজনক ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার চ্যাট হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। প্রশ্ন হল, কে এই আরকে? ডিডি-ই বা কে?

    টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, টেটে সাদা খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। নিয়ম মেনে প্রকাশ করা হয়নি মেধাতালিকাও। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকা সত্ত্বেও সকলের নম্বর বাড়ানো হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মানিককে। স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে।

    টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) মানিককে গ্রেফতার করার পর তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মোবাইল ঘাঁটতেই বেরিয়ে এসেছে রহস্যজনক দুই নাম। আরকে এবং ডিডি। এই দুজনের সঙ্গেই চ্যাট করেছেন মানিক। একটি চ্যাটে এও বলা হয়েছে, ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে ডিডিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ইডি দেখেও নিয়েছে। এখানেই ঘনিয়েছে রহস্য। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এই যে আরকে কিংবা ডিডি নতুবা ইডি এঁরা কে? এঁরা কি পার্টির কেউ নাকি শিক্ষা দফতরের কর্তা? যদি দলের কেউ হন, তাহলে তিনি কে? শিক্ষা দফতরের হলেও, প্রশ্ন এঁরা কে?

    আরও পড়ুন : মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    মানিক যে টাকা নিয়েছিলেন, সে অভিযোগ সংক্রান্ত মেসেজ আগেই পেয়েছে ইডি। চার্জশিটে তারা উল্লেখ করেছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল ঘেঁটে একটি মেসেজ পেয়েছে তারা। ওই মেসেজে পার্থকে কেউ বলছেন, মানিক ইজ টেকিং মানি, যা তা ভাবে। অন্য একটি মেসেজে লেখা হয়েছিল, আবারও টাকা নিয়ে করবে, আবার কেস হবে, আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ, এটা দেখুন, লাভ। সেই মেসেজ মানিককেই ফরওয়ার্ড করেছিলেন পার্থ। যদিও মানিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি পার্থ। অথচ ওই সময় পার্থ ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী আর মানিক ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। কোনও এক ব্যক্তির সতর্কতা সত্ত্বেও পার্থ কেন মানিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি, সে প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ekbalpur_Mominpur: মহিলাদের হাত ধরে টানার অভিযোগ! যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন মোমিনপুরের বাসিন্দারা

    Ekbalpur_Mominpur: মহিলাদের হাত ধরে টানার অভিযোগ! যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন মোমিনপুরের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  থমথমে একবালপুর-মোমিনপুর অঞ্চল (Mominpore)। আতঙ্কে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহু মানুষ। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই মধ্যে নিজেদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। ভয়ে এখনও কথা জড়িয়ে যাচ্ছে তাঁদের। কেউ বা লন্ডভন্ড দোকানে বসে যেটুকু রক্ষা পেয়েছে তা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কেউ ভাবছেন ভাঙা বাইক, পানের দোকানটা কীভাবে মেরামত করবেন। আতঙ্কে বাড়ির এক কোণে পরিবারের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা। বাড়িতে ঢুকে ঢুকে মহিলাদের হাত ধরে টানার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে বোমা ছোড়া হয়েছে, পুড়ে গিয়েছে সমস্ত জিনিস। দমকল থেকে পুলিশ কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি। ঘটনার ৪ ঘণ্টা পরে ইকবালপুর থানার পুলিশ ঘটলাস্থলে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন আক্রান্তেরা।

    উল্লেখ্য, শনিবার রাত থেকে দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে একবালপুর-মোমিনপুর অঞ্চল। ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বোতল ছোড়াছুড়ি-ইটবৃষ্টি হয়। অভিযোগ করা হয় বোমাবাজিরও। শনিবার রাতের পর, রবিবার সন্ধ্যায় আবার উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। এরপরই, একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দু’পক্ষের ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী (Police Force)। নামানো হয়েছে র‍্যাফ  (RAF)।

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সেই ঘটনার পর একবালপুর থানা এলাকায় পাঁচ বা তার বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। সোমবার থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এলাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। কেউ এলাকার শান্তি ভঙ্গ করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সোমবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukant Majumder) ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হলে পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে সন্ধ্যায় তাঁকে লালবাজার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মোমিনপুরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছেন সুকান্ত। তাঁর কথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নয় এই অঞ্চল। এখানেই মানুষের নিরাপত্তা নেই। জনজীবন ব্যাহত। স্তব্ধ দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। তাহলে রাজ্যের অন্যত্র কী পরিস্থিতি?

  • Sukanta Majumdar: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার

    Sukanta Majumdar: মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার, নিয়ে আসা হল লালবাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP WB President Sukanta Majumdar) নিউটাউন থেকে মোমিনপুর যাওয়ার পথে চিংড়িঘাটায় গার্ড দিয়ে পথ আটকানো হয় সাংসদের। কেন এভাবে আটক করা হল তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। এরপরই সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে চিংড়িঘাটা থেকে লালবাজার, বিক্ষোভে সামিল বিজেপি কর্মীরা। 

    লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরের (Mominpur Violence) কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। এরপরই ভাঙচুর চালানো হয় ইকবালপুর থানা এলাকায়। রাতে এই নিয়ে ট্যুইট করে প্রতিবাদ জানান একাধিক বিজেপি নেতারা (BJP Leaders)।

    সোমবার সকালে মোমিনপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু তাঁকে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। সুকান্ত প্রশ্ন তোলেন মোমিনপুরে ১৪৪ ধারা নেই। তাও বাধা কেন? কিন্তু পুলিশ কোনও কথাই না শুনে তাঁকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে তোলে। সুকান্ত জানিয়েছেন, বিষয়টি আদালতে তুলবেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে মোমিনপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সাংসদ। চিংড়িঘাটায় পৌঁছতেই সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটক করে কলকাতা পুলিশ। শুরু হয়ে যায় যানজট। যানজটের সমস্যা মেটাতে পুলিশ অন্যান্য গাড়ি ছাড়লেও সুকান্তর গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ২০-২৫ মিনিট পরে গাড়ি থেকে  নেমে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁকে পুলিশ জানায়, মোমিনপুরে যেতে পারবেন না তিনি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় তিনি গেলে অশান্তি আরও বাড়বে। কোন ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাংসদকে, পুলিশের তরফ থেকে তার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। গ্রেফতার করে তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মুহূর্তে সেখানে ভিড় করছেন বিজেপি কর্মীরা। 

    লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন রাত থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। একটি বিশেষ ধর্মের পতাকা লাগানো হয় ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে। কিন্তু ওই বাড়ির আবাসিকরা সেই পতাকা খুলে দেন। তাঁদের কথায়, ওই পতাকা তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। কিন্তু এর জেরে শুরু হয় হিংসা। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মোমিনপুরের ইকবালপুর থানা এলাকায়। এরপর রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী একের পর এক মোটরবাইক এবং দোকান ও রাস্তার পাশে থাকা গুমটিতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আজ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতে সেই অঞ্চলে যাচ্ছিলেন সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share