Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Saigal Hossain: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    Saigal Hossain: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চার ঘণ্টা জেরার পর গরুপাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। এদিন সায়গলকে জেরা করতে আসানসোলের বিশেষ আদালতে যায় ইডি আধিকারিকদের এক দল। জেরা শেষে সংশোধনাগারেই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। জানা গিয়েছে, আজই সায়গলকে আদালতে পেশ করতে পারে ইডি। উল্লেখ্য আজই সিবিআই গরুপাচার মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে। এবার সায়গলের গ্রেফতারে জোড়া চাপে কেষ্ট মণ্ডল (Anubrata Mondal)। 

    শুক্রবার গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁরা। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছিল সায়গলের জন্য। টানা চার ঘণ্টা চলে জেরা। তারপর সায়গলকে হেফাজতে নেন ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ সিবিআই-এর

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পান রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল। এই আয়ে তিনি কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা সায়গলের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সায়গলের নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি উদ্ধার বাকি রয়েছে। এছাড়া গরুপাচারের টাকা কার কার কাছে পৌঁছত তাও সায়গলের থেকে জানতে চান তাঁরা। কিন্তু সঠিক উত্তর না পাওয়াতেই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত। 

    গ্রেফতার হওয়ার ৫৭ দিন পর আজ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। চার্জশিটে অনুব্রতকেই গরুপাচার (Cattle Smuggling) দুর্নীতির মূল কাণ্ডারি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তে বীরভূমে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নথি, জমি ও চালকলের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সেগুলি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে দেহরক্ষী সায়গলের (Saigal Hossain) মাধ্যমেই চলত গরুপাচারের কোটি কোটি টাকা লেনদেন। দুর্নীতি দমন আইনে পেশ করা এই চার্জশিটে অনুব্রতর ৫৩টি সম্পত্তির দলিল, ১৮ কোটির ফিক্সড ডিপোজিট-সহ একাধিক তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এদিন আদালতে অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তাঁদের কথায়, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী, ফলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া তদন্তের জন্য সমস্যার হতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: বাংলার দ্বিতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    Lok Sabha Elections 2024: বাংলার দ্বিতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার দ্বিতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। রবিবার রাতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর থেকেই ঘোষণা করা হয় এ রাজ্যের ১৯টি লোকসভা কেন্দ্রের (Lok Sabha Elections 2024) প্রার্থীদের নাম। এখনও বাকি রয়ে গেল চারটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা।

    প্রার্থিতালিকায় হেভিওয়েট

    এদিনের তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাপস রায়কেও প্রার্থী করা হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে ভায়া বিজেপি হয়ে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে ফিরেছেন অর্জুন সিংহ। এই প্রার্থিতালিকায় নাম রয়েছে তাঁরও। এ রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪২। তার মধ্যে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল ২০জন প্রার্থীর নাম। পরে প্রত্যাহার করা হয় একজন প্রার্থীর নাম। তাই বিজেপিকে ঘোষণা করতে হত ২৩ জন প্রার্থীর নাম। পদ্ম শিবিরের তরফে রবি-রাতে যে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে ১৯ জনের (Lok Sabha Elections 2024)। যার অর্থ, বাংলার জন্য আরও একটি তালিকা প্রকাশ করতে হবে বিজেপিকে।

    প্রার্থিতালিকা থেকে জানা গিয়েছে, কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তাপস রায়। ব্যারাকপুরে যথারীতি অর্জুনকে। অভিজিৎ প্রার্থী হচ্ছে তমলুক কেন্দ্র থেকে। মেদিনীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হচ্ছে অগ্নিমিত্রা পালকে। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রথম এফআইআর দায়ের করেছিলেন জনৈক রেখা পাত্র। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে পদ্ম প্রার্থী তিনিই। সন্দেশখালি এলাকাটি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে।

    প্রার্থিতালিকা 

    একনজরে বিজেপির প্রার্থিতালিকা –

    উত্তর কলকাতা – তাপস রায়

    দক্ষিণ কলকাতা – দেবশ্রী চৌধুরী

    দমদম – শীলভদ্র দত্ত

    ব্যারাকপুর – অর্জুন সিংহ

    বর্ধমান দুর্গাপুর – দিলীপ ঘোষ

    বর্ধমান পূর্ব – অসীম সরকার

    মেদিনীপুর – অগ্নিমিত্রা পাল

    শ্রীরামপুর – কবীর শঙ্কর বোস

    আরামবাগ – অরূপকান্তি দিগার

    তমলুক – অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    বসিরহাট – রেখা পাত্র

    বারাসত – স্বপন মজুমদার

    কৃষ্ণনগর – অমৃতা রায়

    রায়গঞ্জ – কার্তিক পাল

    জলপাইগুড়ি – জয়ন্ত রায়

    দার্জিলিং – রাজু বিস্ত

    জঙ্গিপুর – ধনঞ্জয় ঘোষ

    উলুবেড়িয়া – উদয় অরুণ পাল চৌধুরী

    মথুরাপুর – অশোক পুরকায়েত

    ডায়মন্ড হারবার, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম ও আসানসোলের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি বিজেপির তরফে (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: সেলিম লড়বেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে, তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ  বামেদের

    Lok Sabha Election 2024: সেলিম লড়বেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে, তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বামেদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) আরেক দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল সিপিএম। মুর্শিদাবাদ থেকে লড়বেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। উল্লেখ্য প্রথম দফায় ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলে বামেরা। এরপর শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। আর ঠিক তারপর আজ শনিবার আরও চারটি আসনে লোকসভা প্রার্থী ঘোষণা করে বামেরা। আজ এই নাম ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। অবশ্য আগে থেকেই সেলিমের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আজ সিলমোহর পড়ল। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটই যে সিপিএমের পাখির চোখ, সেলিমের নাম ঘোষণাই তার প্রমাণ বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

    কোন কোন আসেন প্রার্থীরা (Lok Sabha Election 2024)?

    আজ শনিবার বাম ফ্রন্টের বৈঠকের শেষে চেয়ারম্যান বিমান বসু লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) চারটি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এই প্রার্থীদের মধ্যে হলেন— মুর্শিদবাদ কেন্দ্র থেকে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রাণাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে সুকৃতি ঘোষাল এবং বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন প্রাক্তন বিধায়িকা শ্যামলী প্রধান। এখনও পর্যন্ত মোট এই রাজ্যে ২১টি আসনের নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরা। এই দফায় শুধু সিপিএম প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এখনে অন্য শরীক দলের কোনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

    জোটে ভবিষ্যৎ?

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফ, কংগ্রেস এবং বামেরা সংযুক্ত মোর্চার নামে নির্বাচনে জোট করে লড়াই করেছিল। ফল স্বরূপ ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বামেরা একটিও আসন পায়নি। পাল্টা কংগ্রেসের ঝুলিতেও দাঁড়িয়েছিল শূন্য। শুধু আইএসএফ একটি বিধানসভায় জয়ী হয়েছিল। এইবারেও লোকসভায় বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে সামঝোতা করেই প্রার্থী ঘোষণা হচ্ছে। বিমানবাবু জানিয়েছেন, অনেক আলোচনা করে তালিকা ঘোষণা করতে হচ্ছে। তবে এই রাজ্যে বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠকে মমতা-অভিষেক এবং সীতারাম ইয়েচুরিকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। ফলে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে নির্বাচনে কতটা সরব হবেন বামেরা তা নিয়ে বিজেপি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে অলিখিত জোট হয়েছে। গতকাল বলাগড়ের সভায় শুভেন্দু,অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, “সিপিএম, তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতে ভোট (Lok Sabha Election 2024) কাটার জন্য প্রার্থী দিচ্ছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ‘গনি খান চৌধুরী ঈশ্বর নন’, তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল

    Malda: ‘গনি খান চৌধুরী ঈশ্বর নন’, তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রাইহান এবার গনি খান চৌধুরি সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, “গনি খান ঈশ্বর নন, মনে আছেন ঠিক আছে, তাঁকে দেবত্বের আসনে না বসালে অপমান হবে এমন কোনও ব্যাপার নেই।” মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতা গনি খানের নামে আগের বারের তৃণমূল প্রার্থী মৌসন নুর জয়ী হয়েছিলেন। এই বিদায়ী সাংসদের পরিবারের নেতার নামে এই মন্তব্য, তৃণমূলের অন্দরে ফাটল নয় তো? রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। যদিও মৌসুম নুর এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেননি। গনি খান আবগে ধাক্কা দিলেন না তো তৃণমূল প্রার্থী?

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী (Malda)?

    মালদা (Malda) দক্ষিণ লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রাইহান বলেন, “আমার কাছে গনি খান চৌধুরী ঈশ্বর নন। মালদায় আসলেই মাথা ঠেকাতে হবে। তিনি আমার মনে রয়েছেন। কিন্তু তাঁকে দেবত্ব বানিয়ে কেন তুমি মাজারে গেলে না, অপমান করলে, এই রকম যুক্তি মানি না।”

    তৃণমূলে কী ফাটল?

    বিগত নির্বাচনগুলিতে কংগ্রেস নেতা গনি খানের মৃত্যুর পর তাঁর নামেই পরিবারের সদস্যরা নির্বাচনে লড়াই করেছেন। গতবারের বিদায়ী লোকসভার (Malda) প্রার্থী ছিলেন এই পরিবারের সদস্যা মৌসম নূর বেনজির। যদিও তিনি মূলত কংগ্রেসের নেত্রী হলেও পরে দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করে নির্বাচনে লড়াই করে ছিলেন। এই বারে তাঁকে দলের তরফ থেকে টিকিট না দেওয়ায় এখনও নির্বাচনী প্রচারে দেখা মেলেনি। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কথা বললেও দলের বিরুদ্ধে যে অভিমান করেছেন সে কথা রাজনীতির অনেক বিশ্লেষক মনে করেছেন। কিন্তু এই আবহে তৃণমূল প্রার্থীর মুখে গনি খান সম্পর্কে মন্তব্যে দলের অন্দরের ফাটল আরও চওড়া হল না তো? প্রশ্ন এখানেই।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    মালদা (Malda) দক্ষিণ লোকসভার কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী বলেছেন, “তৃণমূল প্রার্থী মালদা সম্বন্ধে বেশি কিছু জানেন না। গনি খান একজন মানুষ। ভগবান নয়। কিন্তু সবাই ওঁকে শ্রদ্ধা করেন, ভালবাসেন। উনি মালদা জেলার জন্য অনেক কিছু করেছেন। চাকরি দিয়েছেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার বিজেপির নেতারা বলেছেন, “গনি খান মালদার (Malda) জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমরা বিজেপি কর্মীরাও একই কথা বলব। তবে তাঁর উত্তরসুরীরা কোনও কাজ করেননি। রূপকার গনি খানকে মিথ করেছে কংগ্রেস। কাজের কাজ কিছু করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Sarathi Deb: প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থসারথী দেব

    Partha Sarathi Deb: প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থসারথী দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানলেন টলিউড অভিনেতা পার্থসারথি দেব (Partha Sarathi Deb)। শুক্রবার রাতে প্রয়াত হন তিনি। ৪০ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন অভিনেতা। বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তাঁর মৃত্যুতে টলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। একের পর এক দাপুটে অভিনয় দিয়ে তিনি  বারবার দর্শকের মন কেড়েছেন।

    অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই

    শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন অভিনেতা (Veteran Bengali Actor)। সিওপিডির সমস্যা ছিল তাঁর। এমআর বাঙুর হাসপাতালে ইন্ডাস্ট্রির তাঁর এক অনুজ সহকর্মী ভর্তি করিয়েছিলেন। তারপর কখনও আইসিইউ, কখনও ভেন্টিলেশন, কখনওবা সিসিইউ। বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। তবে সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে শেষ পর্যন্ত। ‘পশ্চিমবঙ্গ মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম’-এর সহ-সভাপতি ছিলেন পার্থসারথি। ঘনিষ্ঠমহলে পরিচিত ছিলেন ‘পার্থদা’ (Partha Sarathi Deb) হিসাবেই। ফোরামের তরফে রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অভিনেতার মৃত্যুসংবাদ জানানো রয়েছে। তাতে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তথা অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর রয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রখ্যাত অভিনেতা এবং আমাদের ফোরামের অন্যতম সহ-সভাপতি পার্থসারথি দেব ২২ মার্চ রাত ১১টা ৫০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর অকালপ্রয়াণে ফোরাম গভীর শোক জ্ঞাপন করছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    পার্থসারথী দেবের কাজ

    ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’, ‘লাঠি’, ‘প্রেম আমার’-সহ একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্থসারথি (Partha Sarathi Deb)। ছোট পর্দার জন্য ‘সত্যজিতের গপ্পো’ সিরিজেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। গত বছর ‘বগলা মামা যুগ যুগ জিও’ এবং ‘রক্তবীজ’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। টেলিভিশন থেকে চলচ্চিত্র জগৎ, বাঙালির ড্রয়িংরুমে তিনি ছিলেন সকলের প্রিয়। তাঁর বাচনভঙ্গি, অভিনয় ক্ষমতা মানুষকে মুগ্ধ করেছে বারবার। পার্থসারথী দেব একের পর এক সিরিয়ালে সকলের মন জয় করেছেন। তাঁর জনপ্রিয় বেশকিছু ধারাবাহিকে আজও মানুষের মনে গভীরভাবে রয়ে গিয়েছে। কমেডি-ড্রামা ‘চুনি পান্না’, ‘জয়ী’তে তাঁর অভিনয় আজও মানুষের মুখে মুখে ঘোরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Swarup Biswas: ৭১ ঘণ্টার তল্লাশি শেষে শনিবার স্বরূপের বাড়ি ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা

    Swarup Biswas: ৭১ ঘণ্টার তল্লাশি শেষে শনিবার স্বরূপের বাড়ি ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাইয়ের (Swarup Biswas) বাড়িতে টানা প্রায় ৭১ ঘণ্টা ধরে চলে আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান। শনিবার ভোররাতে স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়ি ছাড়েন আয়কর আধিকারিকরা। এত দীর্ঘক্ষণের আয়কর হানা দেখে কারও কারও মনে পড়ে যাচ্ছে অজয় দেবগণ অভিনীত ‘রেড’ সিনেমার কথাও। প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই এবং কলকাতা পুরসভার ৮১ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের স্বামী ছাড়াও অন্য পরিচিতি রয়েছে স্বরূপ বিশ্বাসের (Swarup Biswas)। তিনি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক এবং ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়াকার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি পদেও ছিলেন।

    বুধবার সাত সকালেই স্বরূপের বাড়িতে ঢোকেন আয়কর আধিকারিকরা

    গত বুধবার ঠিক সকাল ৭টায় স্বরূপের নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির ফ্ল্যাটে ঢোকেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তার পর থেকে টানা চলতে থাকে তল্লাশি। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই তল্লাশির সময় পেরিয়ে যায় ৬০ ঘণ্টা। অবশেষে শনিবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ আয়কর দফতরের টিম স্বরূপের (Swarup Biswas) ফ্ল্যাট ছাড়ে। সূত্রের খবর, টানা ৭১ ঘণ্টার তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন আয়কর দফতরের অফিসাররা বাজেয়াপ্ত করেছেন বলে খবর মিলেছে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্যও তাঁরা জানতে পেরেছেন।

    আরও ২ সংস্থার অফিসে তল্লাশি

    জানা গিয়েছে, স্বরূপ বিশ্বাসের (Swarup Biswas) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন আয়কর দফতরের কর্তারা। সূত্রের খবর, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই টানা এই তল্লাশি চালানো হয়। এর পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয়, ইডেন রিয়েল এস্টেট এবং মাল্টিকন রিয়েল এস্টেট নামের দুই সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বাড়িতেও। প্রসঙ্গত, গত বছরেই বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় সিবিআই। অনেকের মতে, জীবনকৃষ্ণের রেকর্ডও ভেঙে দিলেন স্বরূপ বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: বিজেডির সঙ্গে জোট নয়, লোকসভা নির্বাচনে ওড়িশায় একাই লড়বে বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: দেবের সামনেই ভোটের প্রচারে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোন্ডগোল

    Dev: দেবের সামনেই ভোটের প্রচারে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোন্ডগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোটের প্রচারে ব্যাপক গোলমাল লক্ষ্য করা গেল। তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীর (Dev) প্রচারকে ঘিরে কেশপুরে তুমুল গোন্ডগোল বাধল। দেবের সমানেই একপক্ষ অপর পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি করতে দেখা গেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতাদের নামতে হল ময়দানে। প্রার্থীর সঙ্গে গাড়িতে কে থাকবেন এই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। এদিকে গতকাল উত্তরবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের পার্টি অফিসে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণ ও হামলার ঘটনায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। 

    কীভাবে বাধল ঝামেলা (Dev)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল শুক্রবার লোকসভার ভোটের প্রচারে অংশ গ্রহণ করেছিলেন দেব (Dev)। তাঁর প্রচার হুড খোলা গাড়িতে করে চলছিল। কেশপুর কলেজ ময়দানে শুরু হয় এবং শোভাযাত্রা শেষ হয় কেশপুর বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু আচমকা গাড়িতে ওঠা নিয়ে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে গোলামাল বাধে। কে তাঁর গাড়িতে থাকবে এই দুই পক্ষের তৃণমূলর দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি পর্যন্ত হয়। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে।

    আরও পড়ুনঃ গোঘাটে গৃহসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়ে আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর

    দেবের বক্তব্য

    দেব যখন ভোটের প্রচার শুরু করেন সেই সময় দেখলেন, সামনেই দলের সমর্থকেরা একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এরপর গাড়িতে কে থাকবেন সেই নিয়ে ঠেলতে ঠেলতে একে অপরের সঙ্গে মারামারি শুরু করে দেন। কিন্তু কেউ কাউর কথা শোনেননি। দেখতে দেখতে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। দেব (Dev) বলেন, “আমার আগের প্রচারেরে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গাড়িতে সকলেই থাকতে চান। অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমার ব্যাপার টা একটু আলাদা। এ বলছে আমি থাকব ও বলছে আমি থাকব। তবে এমনটা না ঘটলেই ভালো হতো।”   

    পাশপাশি অপর দিকে দেবের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এদিক এই লোকসভা কেন্দ্রে এই দুই হেভিওয়েট তারকা প্রার্থীর প্রচারে জমে উঠেছে লোকসভার প্রচার। উভয় পক্ষ ভোটারদের মন জয় করতে প্রচার কাজে রাস্তায় নেমে পড়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর কলকাতার আবাসনে সিবিআই হানা, সংসদ প্রশ্নকাণ্ডে চলছে তল্লাশি

    Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর কলকাতার আবাসনে সিবিআই হানা, সংসদ প্রশ্নকাণ্ডে চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। ওই মামলাতেই তৃণমূল প্রার্থীর আলিপুরের বাসস্থানে তল্লাশি চলছে শনিবার। সিবিআইয়ের (CBI Raid) একটি দল শনিবার সকালে আলিপুরে ‘রত্নাবলী’ নামে একটি আবাসনে যায়। জানা যাচ্ছে, সেখানে ন’তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মহুয়ার বাবা দীপেন্দ্রলাল মৈত্র। সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একটি দল গিয়েছে।

    কেন তল্লাশি

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে লোকপালের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই বিষয়কে সামনে রেখেই মহুয়া মৈত্রর বাবা দীপেন্দ্রলাল মিত্রের আলিপুরে ফ্ল্যাটে এলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে এমনিতেই প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছিল সিবিআই (CBI Raid)৷ সূত্রের খবর, লিখিত নির্দেশে সিবিআইকে ছ’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল৷ পাশাপাশি, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত লোকপালের কাছে রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ 

    সংসদে টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গত ১৯ মার্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। বরখাস্ত হওয়া তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘গুরুতর’ বলে বর্ণনা করা হয় লোকপালের নির্দেশিকায়। মহুয়া প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওই অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি দাবি করেন, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। পরিকল্পনামাফিক সংসদে ‘নিশানা’ করেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। অভিযোগ, সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য।

    আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: রাজ্যে ৪ জেলায় নতুন জেলাশাসক আনল কমিশন, কারা পেলেন দায়িত্ব?

    Election Commission: রাজ্যে ৪ জেলায় নতুন জেলাশাসক আনল কমিশন, কারা পেলেন দায়িত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে গত শনিবারই। তারপর থেকেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণবিধি (Election Commission)। এরফলে সরকারি অফিসার, আমলা, পুলিশ বদলির নির্দেশের বিশেষ ক্ষমতা এখন সরকারের বদলে নির্বাচন কমিশনের হাতে। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের চার জেলাশাসককে দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় কমিশন। এবার বাংলার ওই চার জেলার নতুন জেলাশাসকদের নামও ঘোষণা করে দিল কমিশন। কমিশনের তরফে পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    নতুন চার জেলা শাসক

    পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন জেলাশাসক (Election Commission) হিসেবে ২০১০ সালের ব্যাচের আইএএস জয়শী দাসগুপ্তর নামে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। বীরভূমের জেলাশাসক পদে কমিশন এনেছে শশাঙ্ক শেঠিকে। জানা গিয়েছে,  ইনিও ২০১০ সালের ব্যাচের আইএএস। পূর্ব বর্ধমানের নতুন জেলাশাসক করা হচ্ছে ২০১১ সালের ব্যাচের রাধিকা আইয়ারকে। এর পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসক করা হয়েছে ২০০৭ সালের ব্যাচে মৌমিতা গোদারা বসুকে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে তাঁদের নতুন দায়িত্বে কাজে যোগ দিতে হবে।

    অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে চেয়ে সক্রিয় কমিশন

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার একসঙ্গে এই রাজ্যের ৪ জেলাশাসককে বদলি করে কমিশন (Election Commission)। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ছিলেন তনভির আফজল। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ছিলেন সুনীল আগরওয়াল। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিধান রায় এবং বীরভূমের জেলাশাসক ছিলেন পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। শুক্রবার, নতুন ৪ জনকে নিযুক্ত করল কমিশন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কমিশন যে সদা সক্রিয় থাকবে সেই বার্তা ভোটঘোষণার দিনই অর্থাৎ গত ১৬ মার্চ দিয়ে রেখেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সেদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ‘৪ এম’-এর কথা বলেন। অর্থ (Money), পেশিশক্তি (Muscle), ভুল তথ্য (Misformation) এবং আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন (MCC Violation)। এই ‘৪ এম’-কে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্রিয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    Hooghly: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রচারের জন্য বিজয় সংকল্প সভা হয়। এই সভায় যোগদান করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার হওয়ার কথা বলে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি এবং ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে, তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন।

    সভা থেকে কী বললেন (Hooghly)?

    বলাগড়ে (Hooghly) বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “সবেমাত্র ভোর হয়েছে। অনেকে জেলে রয়েছেন। সন্ধ্যা এখনও বাকি। এসএসসি মামলায় গ্রেফতার অয়ন শীলের কাছ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা ডাউনলোড করা হয়েছে। পুর নিয়োগ, ফায়ার ব্রিগেড সার্ভিস, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কীভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে, তার তথ্য উদ্ধার হয়েছে। আমরা সারা দেশে ৫৪৩ সিটে লড়াই করছি। তৃণমূল লড়াই করছে বাংলায় ৪২, অসমে ১, মেঘালয়ে ১ এবং উত্তরপ্রদেশে ১ টি আসনে। সরকার গঠনে লাগবে ২৭২। ফলে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা, এটা আপনারা জেনে রাখুন। তোলামূল আগে জাতীয় দল ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে হারের পর আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। বাংলার মেয়েকে প্রধানমন্ত্রী চাই, এই কথা প্রথমে বললেও এখন আর বলে না। গরুর গাড়িতে হেডলাইট এবং স্যান্ডো গেঞ্জিতে যেদিন বুক পকেট লাগবে, সেই দিন পিসি প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

    আর কী বললেন?

    হুগলির (Hooghly) সভা থেকে মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “যতই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি। হাওয়াই চটির অবস্থা কী হতে পারে সকলেই দেখতে পারবেন।” আবার সিপিএমকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “এদের কোথাও অস্তিত্ব নেই। কেবলমাত্র ভোট কাটার জন্য দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলকে সুবিধা দিতে সিপিএম কাজ করছে। ২০২১ সালের লোকসভা নির্বাচনে বলাগড়, তেলেনিপাড়া, চন্দননগর, আদি সপ্তগ্রামে আমাদের ভোট কেটে তৃণমূলকে জয়ী করে সুযোগ করে দিয়েছে। চোর ভাইপোর সঙ্গে মীনাক্ষী-শতরূপের জ্যাঠামশাই সীতারাম ইয়েচুরি পাটনা, দিল্লি, বেঙ্গালুরুতে কাটলেট খেয়েছেন। তাঁরা ইটিং মিটিং সেটিং করেন মাত্র। সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। দেশটা যাতে ইউক্রেন না হয়, তাই শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী দরকার। তাই মোদি সরকার আরও একবার দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share