Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে (Calcutta High Court) ফের ভর্ৎসিত পুলিশ। তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের তোপের মুখে পড়লেন এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক।

    শাহজাহানের নাম বাদ কেন? (Calcutta High Court)

    বিচারপতির প্রশ্ন, “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?” ১ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, “মামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, সাক্ষীরা তাঁর নামই জানিয়েছেন। তাও কেন চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দিল পুলিশ?” সাক্ষীরা বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এর পরেই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “আপনিই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন যে, সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য নয়!”

    সন্দেশখালিতে বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল

    এদিকে, শুক্রবার (Calcutta High Court) ফের সন্দেশখালিতে গেল বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দল। এদিন তাঁরা গিয়েছেন জেলিয়াখালিতে। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালিতে গিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও। ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে খুন হন বিজেপির তিন কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। ওই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। শুরু হয় তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    সাক্ষীদের গোপন জবানবন্দি নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার পর দেখা যায়, সেখানে প্রধান অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের বয়ানে সবার ওপরে থাকা শেখ শাহজাহানের নাম বাদ গিয়েছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য অনেক দিন সময় নিয়েছে। আর সময় দেওয়া যায় না। প্রত্যক্ষদর্শী শাহজাহানের নাম নিয়েছে। তার পরেও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর।”

    এদিন রাজ্যের তরফে এক আইনজীবী বলেন, “চার্জশিট জমা পড়েছে। তবে চার্জ ফ্রেম হয়নি এখনও। কেস ডায়েরি হাজির করতে রাজ্যকে আরও কয়েকদিন সময় দেওয়া হোক।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ এপ্রিল (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন কবে, তা জানতে চেয়েই দেওয়া হয়েছে নোটিশ। ৩ এপ্রিলের মধ্যেই জবাব তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।

    কী বললেন বিচারপতি? (Recruitment Scam) 

    বিচারপতি বলেন, “উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা আইনের ও জনগণের বিশ্বাসের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে।” আর্থিক দুর্নীতির গুরুত্ব কেবলমাত্র শাস্তির মেয়াদ থেকে বোঝা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “মানুষের আস্থা ও সমাজের ওপর প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।” তিনি বলেন, “সৎ (Recruitment Scam) সরকারি আধিকারিকদের তদন্তের নামে হয়রানি করা থেকে রক্ষা করার জন্যই অনুমতি গ্রহণের এই নিয়ম বা আইন রয়েছে। কিন্তু যেখানে আদালতের নির্দেশে বা নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে সেই তদন্ত হয়রানির জন্য করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে তা বলা যাবে না। অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। এতে দেরি হওয়াটা দুঃখের বিষয়।”

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে। এঁদের মধ্যে অনেকেই জামিন পেয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের। আদালতে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, সরকারি আধিকারিকদের ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেটা যেহেতু পাওয়া সম্ভব হয়নি, তাই এগোচ্ছে না তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি বাগচি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে যখন তদন্ত চলছিল, তখন এত অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল না। এতদিনে তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।” আদালতের বক্তব্য, আসামিকে গ্রেফতার করে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দিষ্ট দিন আছে। ট্রায়াল চলাকালীন আসামিকে জেলে থাকতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি খুনের আসামি নন যে, তাঁকে হেফাজতে রেখে পুরো তদন্ত শেষ করতে হবে। বিচারপতি বাগচির পর্যবেক্ষণ, “তদন্তকারী সংস্থা এক (Recruitment Scam) বছরেরও বেশি সময় পেয়েছে। যদিও তদন্তে গতি আনতে ব্যর্থ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Garden Reach: প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জমি হাতিয়ে নেয় গার্ডেনরিচকাণ্ডের অভিযুক্ত প্রোমোটার!

    Garden Reach: প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জমি হাতিয়ে নেয় গার্ডেনরিচকাণ্ডের অভিযুক্ত প্রোমোটার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচকাণ্ডে (Garden Reach) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। বৃহস্পতিবারই গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়ে আরও এক মৃতদেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচের বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এলাকার প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম এবং জমির এক মালিক মহম্মদ সরফরাজকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তারা জানিয়েছে, প্রোমোটার ওয়াসিম ওরফে ‘ওয়াসি’ ভয় দেখিয়ে জমির মালিকের কাছ থেকে জমি হাতিয়ে বেআইনি নির্মাণ শুরু করে। প্রসঙ্গত জমির উপরে বেআইনি বহুতল নির্মাণের (Garden Reach) কথা ইতিমধ্যে স্বীকারও করেছে ওয়াসিম। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, জমির মালিকদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল প্রোমোটার ওয়াসিম।

    প্রাণে মারার হুমকি 

    জানা গিয়েছে, জমির এক মালিক সরফরাজ প্রথমে ওয়াসিমকে জমি দিতে অস্বীকার করে। তখন নথিপত্র ছাড়াই ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তাকে দেয় প্রোমোটার। সে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে বেঁকে বসে জমির অপর এক মালিক। ঘটনাক্রমে সে সরফরাজের ভাই। এরপরই জমি না পেলে দুই ভাইকেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওয়াসিম। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জোর করে জমি (Garden Reach) হাতানোর কথা বলা হলেও কোনও রকমের অভিযোগ থানায় হয়নি। এর ফলে প্রোমোটার ওয়াসিমের মতো সমান অপরাধী হিসেবে দেখা হচ্ছে জমির মালিককেও। আপাতত নিখোঁজ রয়েছে সরফরাজের অন্য এক ভাই। জানা গিয়েছে, তাকেও জেরা করা হবে এবং প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    নিম্নমানের সামগ্রী

    আরও অভিযোগ এসেছে, জলাশয়ের উপর যে বহুতল নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী (Garden Reach) ব্যবহার করা হয়েছে। গৃহনির্মাণের সামগ্রী অত্যন্ত কম টাকায় প্রোমোটার ওয়াসিমকে বিক্রি করে এক সরবরাহকারী। এর পাশাপাশি প্রতি বস্তা সিমেন্টের দাম নেওয়া হয়েছে ২০০ টাকা। মনে করা হচ্ছে সে কারণেই শক্তপোক্ত হয়নি কংক্রিটের ঢালাই। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেন্সিকের পদার্থবিদ্যার বিশেষজ্ঞরা সেই ধারণাতেই সিলমোহর দিয়েছেন যে অত্যন্ত নিম্নমানের মশলা ব্যবহার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার মৃতদেহ

    বৃহস্পতিবার রাত ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ আবদুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু নামের একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, বছর ৪৫-এর শেরু ধ্বংসস্তূপের (Garden Reach) নিচে চাপা পড়ে যান। পরবর্তীকালে তিনি মোবাইলে ফোনও ধরেন। শেরু বলেন, ”আমি বেঁচে আছি।” এর পরেই নাকি তাঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপরেই পরিবারের সদস্যরা বুঝে যান শেরু আর বেঁচে নেই। শেরুর দাদা সফি আখতার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত ভাবা হয়েছিল ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাবে। বেঁচে ফিরবে সে। কিন্তু সেই আশা আর নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ED Raid: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

    ED Raid: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালে বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ইডির হানা (ED Raid)। সাত সকালেই ইডির তিনটি গাড়ি ঢোকে মন্ত্রীর নিচুপট্টির বাড়িতে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চন্দ্রনাথের বাড়ি ঘিরে রয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এই হানা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন মত উঠে আসছে। তবে এটা নিশ্চিত যে নিয়োগ দুর্নীতি বা গরু পাচারের তদন্তেই এই ইডি হানা। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই জেলার রাজনীতিতে পরিচিত চন্দ্রনাথ সিনহা। অনুব্রত মণ্ডলের পাড়াতেই তাঁর বাড়ি।

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চন্দ্রনাথ 

    চন্দ্রনাথ সিনহা রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প মন্ত্রী রয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই দেখা গিয়েছিল, বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ঠিক পাশের তৃণমূলের কার্যালয়ে হানা দেয় ইডি (ED Raid)। একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল যে কালীপুজো করতেন, সেই প্রতিমার বিপুল গয়নার উৎস জানতে স্থানীয় ব্যাঙ্কেও যায় ইডির দল। এবার রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছল ইডির দল। যদিও স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে নিজের বাড়িতে নেই চন্দ্রনাথ। তিনি রয়েছেন তাঁর গ্রামের বাড়ি মুরারইতে। বোলপুরের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে।

    একাধিক জায়গায় ইডি হানা 

    উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে শুধু বোলপুর নয়, রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযানে নেমেছে ইডি। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন ইডি (ED Raid) আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, চেতলা, লেকটাউন-সহ মোট তিন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে। সূত্রের খবর, চেতলায় পিয়ারীমোহন রায় রোডের বিশ্বরূপ বসু নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এদিন হানা দেয় ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পরিবহণ সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

    আরও পড়ুুন: “বাংলায়ও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Electoral Bonds: নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ‘ডিয়ার লটারি’ থেকে ৫৪২ কোটি টাকা পেয়েছে তৃণমূল!

    Electoral Bonds: নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ‘ডিয়ার লটারি’ থেকে ৫৪২ কোটি টাকা পেয়েছে তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bonds) মাধ্যমে একটি সংস্থার থেকে সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, কোয়েম্বাটোরের ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের এই সংস্থা ঘাসফুল শিবিরকে দিয়েছে ৫৪২ কোটি টাকা চাঁদা। এর পাশাপাশি ওই সংস্থা তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে শিবিরকে দিয়েছে ৫০৩ কোটি টাকা চাঁদা। দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই চাঁদা দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড’- এই সংস্থার মালিক স্যান্টিয়াগো মার্টিন। তিনি দেশের লটারি ব্যবসার ‘মুকুটহীন সম্রাট’ নামেও পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গ সমেত বেশ কয়েকটি রাজ্যে লটারির ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন তিনি। ‘ডিয়ার লটারি’র মালিক হলেন এই মার্টিন।

    লটারি কিং-এর ৪০ শতাংশ দান পেয়েছে তৃণমূল

    হিসাব বলছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে মোট যা চাঁদা দিয়েছেন লটারি কিং মার্টিন, তার ৪০ শতাংশই পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ৩০৩টি সাংসদ নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী বন্ডে (Electoral Bonds) প্রথম স্থানে রয়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মাত্র ২২ আসন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। স্টেট ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য বলছে, ডিয়ার লটারির মালিকের কাছ থেকে সব থেকে কম চাঁদা পেয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। তারা পেয়েছে ১০০ কোটি।

    আর কার কাছে চাঁদা পেয়েছে তৃণমূল

    স্টেট ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য বলছে, মার্টিনের সংস্থার পরেই তৃণমূলকে সবথেকে বেশি চাঁদা দিয়েছে হলদিয়া এনার্জি-নামের সংস্থা। এই সংস্থা তৃণমূলকে ২৮১ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে যে তথ্য মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বেদান্ত গ্রুপ নামের একটি সংস্থার কাছ থেকেও তৃণমূল অনুদান (Electoral Bonds) পেয়েছে। এর পাশাপাশি বায়োকন গ্রুপের প্রধান কিরণ মজুমদার শ’-এর থেকেও অনুদান পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। এছাড়া তৃণমূলকে অনুদান দিয়েছে ন্যাটকো ফার্মা, রুংটা প্রাইভেট লিমিটেডের মতো সংস্থাগুলিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ফের দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে, কেন জানেন?

    Lok Sabha Election 2024: ফের দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্ঘণ্ট। নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতি মধ্যেই তিন দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তবে বাকি রয়ে গিয়েছে বাংলার ২৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা। এই ২৩টি আসনের মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়িও। যে আসনে নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায়।

    দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে (Lok Sabha Election 2024)

    এমতাবস্থায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফের দিল্লিতে তলব করলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বাংলার বকেয়া প্রার্থিতালিকা নিয়ে শনিবার আবারও বৈঠকে বসতে পারেন পদ্ম নেতৃত্ব। বাংলার প্রার্থিতালিকা নিয়ে গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকান্ত ও শুভেন্দুকে। সেখানেই আলোচনার পর গেরুয়া নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, এবার প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলা হবে।

    তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা

    বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা (Lok Sabha Election 2024) প্রকাশ করেছে বিজেপি। তবে তাতে বাংলার কোনও আসনের নামগন্ধও নেই। এদিন যে ৯টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলির সবই তামিলনাড়ুর। জানা গিয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক এখনও হয়নি। শুক্র বা শনিবার সেই বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই তলব করা হল বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষ নেতৃত্বকে।

    কেন এই অবস্থা? জানা গিয়েছে, লোকসভার কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে পদ্ম নেতৃত্বকে। কারণ খোদ প্রধানমন্ত্রী বাংলা সফরে এসে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার ৪২টি আসনেই এবার পদ্ম ফোটাতে হবে। সেই কারণেই বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন মেদিনীপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর, জলপাইগুড়ি, বারাসত, দক্ষিণ কলকাতা, ডায়মন্ড হারবারের (এখানে তৃণমূলের প্রার্থী দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) মতো আসনে হেভিওয়েট কোনও প্রার্থী দিতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যাতে করে এই আসনগুলিতে বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়।

    আরও পড়ুুন: “বাংলায়ও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রেও এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। অথচ জলপাইগুড়ির মতো এই আসন দুটির রশিও রয়েছে বিজেপির হাতে। তাই প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিতে গিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন (Lok Sabha Election 2024) গেরুয়া নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সেই কারণেই বাংলায় বিলম্ব হচ্ছে প্রার্থী ঘোষণা করতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress News: বহরমপুরে অধীর, কংগ্রেসের তৃতীয় প্রার্থী তালিকায় রাজ্যের ৮ আসন

    Congress News: বহরমপুরে অধীর, কংগ্রেসের তৃতীয় প্রার্থী তালিকায় রাজ্যের ৮ আসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হল। লোকসভা ভোটে তৃতীয় পর্যায়ে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা সামনে এল। এই প্রথম তালিকায় জায়গা পেল বাংলা। রাজ্যের ৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল শতাব্দী-প্রাচীন দল। মঙ্গলবারই এনিয়ে কংগ্রেসের (Congress News) শীর্ষ নেতৃত্বদের বৈঠক হয়, তার পরেই বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হল। মালদা দক্ষিণের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু টিকিট পাননি। পরিবারতন্ত্র বজায় রেখে তাঁর প্রার্থী করা হয়েছে তাঁর ছেলে ইশা খান চৌধুরীকে। 

    কোথায় কারা প্রার্থী 

    কংগ্রেসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী— মালদা উত্তর থেকে হাত চিহ্নে ভোটে লড়ছেন মুস্তাক আলম। মালদা দক্ষিণ থেকে লড়ছেন ঈশা খান চৌধুরী। জঙ্গিপুর থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী মহম্মদ মুর্তাজা হোসেন। বহরমপুরে প্রার্থী হচ্ছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি। বীরভূম থেকে প্রার্থী মিল্টন রশিদ। পুরুলিয়া থেকে কংগ্রেসের (Congress News) টিকিটে ভোটে লড়ছেন নেপাল মাহাতো। রায়গঞ্জ থেকে লড়ছেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে আসা প্রার্থী আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টর। উত্তর কলকাতায় প্রার্থী হয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। 

    রাজ্যে বেশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। রাজ্যস্তরে সিপিএমের সঙ্গে জোট হয়েছে বটে তবে তাতে সে অর্থে কোনও লাভ হয়নি। এমতাবস্থায় বহরমপুর আসন ছাড়া কোথাও লড়াই দেওয়ার জায়গাতেও নেই কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    মঙ্গলবারই বৈঠকে বসে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব

    চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই কংগ্রেসের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রার্থী নিয়ে। উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, মল্লিকার্জুন খাড়্গে-সহ কংগ্রেসের (Congress News) একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। তারপরেই কংগ্রসের নেতারা জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার তৃতীয় পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে চলেছেন তাঁরা। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ পেল প্রার্থী তালিকা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। সেই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “সেই সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের নাম দুর্নীতিতে বার বার জড়িয়েছে, তাঁদের বলব, দুর্নীতি থেকে সরে থাকুন। তাঁরাও পদে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হতে পারেন।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “পশ্চিমবঙ্গেও আমরা এই ছবি দেখতে পারি।”

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দুর্নীতির নজির নেই বলেও দাবি করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বলেন, “আমি বলব, তৃণমূলের ভাগ্য ভাল যে এত দিন পরেও মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপো জেলের বাইরে রয়েছেন… ভালো জ্যোতিষী দেখান মনে হচ্ছে। না হলে এত দিনে জেলে থাকার কথা ছিল।” এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে উঠে এসেছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের প্রসঙ্গও। সুকান্ত বলেন, “হেমন্ত সোরেন হোন বা মণীশ সিসোদিয়া (দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী) দু’জনেই তো জামিন পাওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করছেন। পাচ্ছেন না কেন? কারণ ইডি বার বার আদালতকে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ইডি এনেছে, তার সত্যতার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সত্যতার প্রমাণ রয়েছে বলেই তো আদালত জামিন দিচ্ছে না।”

    “দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন”

    সুকান্ত বলেন, “বোঝাই যাচ্ছিল যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিকে যাচ্ছিল ইডি। এই ঘটনা চোখ খুলে দিল যে কর্মরত অবস্থায়ও মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করা যায়।” এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমি সেই সব মুখ্যমন্ত্রীদের বলব যে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন। আর সাবধানে থাকুন। যাঁদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে তাঁরাও গ্রেফতার হতে পারেন।” প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি মামলায় ৯ বার সমন পাঠানো হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। কোনওবারই সাড়া দেননি তিনি।

    আরও পড়ুুন: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    গ্রেফতারি এড়াতে বৃহস্পতিবার কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পরেই তাঁর দিল্লির বাসভবনে হানা দেয় ইডি। তল্লাশির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় কেজরিওয়ালকে। ততক্ষণে কেজরির তরফে দ্রুত শুনানির আর্জি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মধ্যরাতে শুনানি সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। তার পরেই গ্রেফতার করা (Sukanta Majumdar) হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অর্থাৎ এদিন সরাসরি প্রশাসনকেই এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুলল হাইকোর্ট, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে- এবিষয়ে রিপোর্টও চেয়েছে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং

    গার্ডেনরিচ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। মামলাকারী রাকেশের বক্তব্য, গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে যাওয়ার ফলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় এমন আরও প্রায় ৫০টি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে বলে দাবি করেন রাকেশ। এ বিষয়ে আদালতের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মামলাকারী। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘শুনলাম বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর উদ্ধারকার্য বন্ধ করে দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আর কেউ আটকে থাকলে কী হবে? প্রতিটি পঞ্চায়েত, পুরসভার একটি করে নজরদারি কমিটি থাকা দরকার। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ওই পাঁচ তলা বহুতল গড়ে উঠেছে বলে মনে হয় না।’’

    গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ!

    প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ আটকাতে আইন থাকলেই হবে না, তা বলবৎ করার মতো পরিকাঠামোও থাকতে হবে। গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ?’’ প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, তারা যখন স্কুটার বা জিপে করে কোনও এলাকা পরিদর্শনে যায়, তাদের মারধর করা হয়। পরিকাঠামো না থাকলে তারা কী করবে? মনে করুন, আপনি প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে অর্ধেক লরি ভর্তি বালি, এক লরি ভর্তি ইট নিয়ে এসে নির্মাণস্থলের সামনে রাখলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে কাউন্সিলরের গুপ্তচর চলে আসবেন। আর অনুমতি না থাকলে অনেক সময় কেউ আসেও না।’’

    যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট

    সরকারের উদ্দেশে আদালত (Calcutta High Court) এদিন আরও পরামর্শ দিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি আপাতত কয়েক দিন খাবার সরবরাহ, রেশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি, যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মতে, প্রতিটি পঞ্চায়েত সহ সব জায়গায় মনিটরিং সেল থাকা দরকার। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে যেখানে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল, সেখানে জলাভূমি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: কেউ আইএএস নন! বাংলার ৪ জেলাশাসককে সরিয়ে দিল কমিশন

    Lok Sabha Elections 2024: কেউ আইএএস নন! বাংলার ৪ জেলাশাসককে সরিয়ে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার আগে পশ্চিমবঙ্গের চার জেলাশাসককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। এই জেলাগুলি হল, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। অবিলম্বে নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গুজরাটের ছোটা উদয়পুর ও আমেদাবাদ গ্রামীণের এসপিকেও বদলি করা হয়েছে।

    বদল হয়েছে ডিজিপি-ও (Lok Sabha Elections 2024)

    ১৮ মার্চ বাংলায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডিজিপি রাজীব কুমারকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন বিবেক সহায়। পরের দিনই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকেও। তাঁর জায়গায় বসানো হয় (Lok Sabha Elections 2024) আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পদে ছিলেন তনভির আফজল। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক ছিলেন সুনীল আগরওয়াল। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিধান রায়। আর বীরভূমের ডিএম ছিলেন পূর্ণেন্দ মাজি। এই চারজনকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাই তাঁদের জেলাশাসক পদ থেকে সরানো হল।

    তিন রাজ্যের ডিএম-এসপি বদল

    পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গুজরাট, পাঞ্জাব ও ওড়িশার বিভিন্ন ডিএম ও এসপিদের বদলির নির্দেশও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বদলি করা হয়েছে পঞ্জাবের পাঠানকোট, জলন্ধর গ্রামীণ ও মালেরকোটলা জেলার এসপিদের। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওড়িশার ঢেঙ্কানলের জেলাশাসক, দেওঘর ও কটক গ্রামীণের এসপিদেরও। বদলি করা হয়েছে পঞ্জাবের ভাটিন্ডার এসএসপি, অসমের শোনিতপুরের এসপিকেও বদলি করা হয়েছে সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য (Lok Sabha Elections 2024)। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকের শেষেই জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে রয়েছেন তিনজন। জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু।

    আরও পড়ুুন: “আগামী ২৫ বছরের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করে রেখেছি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    গত সপ্তাহেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। দেশজুড়ে নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। এদিন ভোট হবে দেশের ১০২টি আসনে। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণ বিধি। তখন আর সরকার নয়, ক্ষমতার ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় নির্বাচন কমিশন। সেই কমিশনের নির্দেশেই সরিয়ে দেওয়া হল বাংলার চার ডিএমকে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

       

LinkedIn
Share