Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: “ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে”, তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে”, তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সব থেকে বড় জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। আজ মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় দক্ষিণ হাবড়া পল্লীমঙ্গল ক্লাবের মাঠে সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবারের লোকসভা ভোটে এই জেলার সবকটি লোকসভা আসনেই বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই হাবড়ায় সিএএ নিয়ে অপপ্রচার করে গিয়েছেন। কাউকেই ১৯৭১ সালের দলিল দেখাতে হবে না।” পাশাপাশি মঞ্চ থেকে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    ঠিক কি বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ হাবড়ার সভা থেকে এদিন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “অশোকনগরের এমএলএ বেশি ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে। একটু স্লো চলুন। বারসতের গতবারের বিদায়ী সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পিএ বাপি প্রচুর টাকা তুলেছেন। তাঁর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সাংসদও। আমি একথা বলেছিলাম বলে মানহানির মামলা করেছিল আমার নামে। পাল্টা আইজীবীর চিঠিতে বাবার নাম তোলার প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই তারপর থেকে আমাকে আর খোঁচাতে আসেননি। পিএ-এর বস্তাটা যদি খুলে দিই ওঁর ঘর থেকে বেরিয়ে প্রচার করা মুশকিল হয়ে যাবে!”

    মধ্যমগ্রামেও গার্ডেনরিচের মতো ভুয়ো বিল্ডিং রয়েছে

    এদিন নাম না করে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকেও আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রেশন কেলেঙ্কারি, কেন্দ্র সরকারের টাকা চুরি এবং কাট মানিতে এই জেলায় তৃণমূলের নেতারা বিরাট ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেন। একই ভাবে গার্ডেনরিচের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “মধ্যমগ্রামে যদি হাত দেন, গার্ডেনরিচের মতো কত ভুয়ো বিল্ডিং বের হবে। একই ভাবে অশোকনগর, বারাসতে প্রচুর পুকুর ভরাট করে বৈধ বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরসভায় দুর্নীতিতে রথীন ঘোষ জড়িত। আমার কাছে তার প্রমাণ রয়েছে। প্রচারে সেগুলো বলব। কয়েকদিন আগে ইডি, সিবিআই ওঁকে বাড়িতে গিয়ে আদর করে এসেছে।”

    রাজ্যের নির্বাচন প্রসঙ্গে কী বললেন?

    রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের নির্বাচন কমিশন দুর্নীতিগ্রস্থ পুলিশ আধিকারিকদের বদল করবে। কারণ এই পুলিশ প্রশাসন ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচন করার পর মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমদের সংখ্যালঘু নেতা মহম্মদ আলিকে এই বারাসতে পিটিয়ে খুন করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। খুনিদের এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। মনোনয়ন জমা থেকে ভোট দেওয়া এবং গণনা কেন্দ্রে বিরোধীদের সকল অধিকার লুট করেছে তৃণমূল। তাই চোরেদের হারাতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বেআইনিভাবে নির্মাণের অভিযোগে বাড়ি ভাঙার নির্দেশের ওপর কোনওরকম স্থগিতাদেশ নয়। স্থগিতাদেশের কোনও আবেদনই শুনব না। যে আদালতই নির্দেশ দিক, সেটাই বহাল থাকবে।” মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত জানিয়েছে, আগে মানুষের জীবন সুরক্ষিত হোক, আদালত এই ধরনের মামলায় কোনও হস্তক্ষেপই করবে না। বাড়ি ভাঙার নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও মামলার অনুমতিও নয়। মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার আবেদন এসেছিল। একটি মামলাও গৃহীত হয়নি।

    বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন ইকবালপুরের একটি বেআইনি নির্মাণ মামলার শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার এজলাসে। বাড়িটির বাইরের অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই মামলায় পুরসভা ৩০ দিন সময় চেয়েছিল। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, একটা বাড়ির বাইরের অংশ ভাঙতে ৩০ দিন সময় লাগে? বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিনা, তা জানাতে পুরকমিশনারের হলফনামা তলব করেছে আদালত। ৯ এপ্রিল ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?”

    বহুতল বিপর্যয়ে ভয়ঙ্কর ছবি

    গার্ডেনরিচে (Calcutta High Court) বহুতল বিপর্যয়ের পর উঠে আসছে ভয়ঙ্কর সব ছবি। একটি বহুতলের ওপর হেলে পড়েছে আর একটি বহুতল। দুই বহুতলের মাঝে ফাঁক মাত্র এক আঙুলের। ৯টি প্রাণের বিনিময়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভাও। থানাগুলিকেও নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের হেড কোয়ার্টার লালবাজার। এহেন আবহেই এমন পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার। বিচারপতি বলেন, “বাইরের অংশের কলাম আর বিম ভাঙার নির্দেশ দেওয়া ছিল। বাইরের দেওয়াল ভাঙতেও এত সময়! কেন? প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। তার পরেই তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে, আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?

    আরও পড়ুুন: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ নয়, তিন সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Purulia: কাজের মজুরি নিয়ে প্রশ্ন করায় বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল নেতার

    Purulia: কাজের মজুরি নিয়ে প্রশ্ন করায় বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মজুরি নিয়ে প্রশ্ন করায় এক বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে পুরুলিয়ার (Purulia) হুড়া থানার মৌরাংডি গ্রাম এলাকায়। মারের আঘাতে জখম হয়েছেন সত্যবান মাহাতো নামক এক বিজেপি কর্মী। তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয় মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ নিয়ম লাগু হয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মীদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগে সরব হয়েছিল বিজেপি। রাজ্যের আবার নির্বাচন আসন্ন, তাই শাসক দলের দৌরাত্ম্য এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার কতটা অবাধ হবে, তা নিয়ে রাজনীতির একাংশের মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন।  

    পরিবারের অভিযোগ

    ঘটনায় আহত সত্যবানের স্ত্রী ঝর্না স্থানীয় (Purulia) থানায় অভিযোগ করে বলেন, “স্বামী একশো দিনের কাজ করে নিজের মজুরি টাকা পাননি। কিন্তু এমন অনেকে আছে, যারা কাজ করেনি অথচ টাকা পেয়েছে। এরপর তৃণমূলের দুই নেতা অসিত মাহাতো এবং দীপক মাহাতো এসে প্রথমে বচসা করে এবং এরপর অসিত ছুটে গিয়ে রড নিয়ে এসে স্বামীর মাথার উপর আঘাত করে। এরপর চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন।” ইতিমধ্যে ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    পুরুলিয়ার (Purulia) জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম আনসারি বলেন, “যে দুই তৃণমূলের নেতা মারধর করেছে, তাদের মধ্যে একজন গ্রামের পুকুর সংস্কারের কাজ করেছে। ফলে মজুরির কথা ওদের গায়ে লেগেছে।” একই ভাবে লোকসভার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “নির্বাচন ঘোষণা হতেই এলাকায় এলাকায় তৃণমূলের গুন্ডারা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবো।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “ব্যক্তিগত ঝামেলা হয় ওখানে। বিজেপি ইচ্ছে করে রাজনৈতিক রঙ দিয়েছে। নির্বাচনের আগে ঝামেলা করার চেষ্টা করা হয়েছে।” আবার হুড়া ব্লকের সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো বলেন, “ঝামেলার খবর শুনেছি। কী ঘটেছে খোঁজ নেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: একদিনেই বদল, বিবেকের জায়গায় রাজ্যের নতুন ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

    Lok Sabha Election 2024: একদিনেই বদল, বিবেকের জায়গায় রাজ্যের নতুন ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে (Lok Sabha Election 2024) রাজ্যের ডিজি পদে আসতে চলেছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্য়ায় (DGP West Bengal)। রাজীব কুমারের জায়গায় রাজ্য পুলিশের ডিজির পদে নিয়োগের জন্য ৩ জন আধিকারিকের নাম রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার জানা গিয়েছিল, সেই তালিকায় রাজেশ কুমার, বিবেক সহায় এবং সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের নাম ছিল। প্রথমে বিবেক সহায়কে রাজ্য পুলিশের ডিজি করা হলেও মঙ্গলবার রাজ্যের প্রস্তাবের তিন নামের মধ্যে থেকে ডিজিপি হিসেবে সঞ্জয়ের নামেই  চূড়ান্ত সিলমোহর দিল কমিশন।

    নয়া ডিজি সঞ্জয়

    মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election 2024) জানায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে সঞ্জয়কে বসাচ্ছে কমিশন। বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্যকে জানিয়ে দিতে হবে যে, সঞ্জয়কে ডিজির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্য়ায় বর্তমানে দমকলের ডিজি-র দায়িত্বে আছেন। ভোটের সময় তাঁকেই দায়িত্ব দিল কমিশন। 

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কৃতজ্ঞতা বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টের, “বন্ধুরা এর জন্যই”, বললেন জয়শঙ্কর

    কেন সরতে হল বিবেককে

    সোমবারই রাজ্যের মুখ্য সচিব গোপালিককে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে জানায়, রাজ্য পুলিশের ডিজির (DGP West Bengal) পদ থেকে অবিলম্বে রাজীবকে সরাতে হবে। নির্বাচনের কোনও কাজে তাঁকে রাখা যাবে না। নতুন রাজ্য পুলিশের ডিজি নিয়োগের আগে পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন রাজীবের ঠিক নীচের পদে যে অফিসার রয়েছেন, তিনি। তারপরই রাজ্যের তরফে তিনজনের নাম পাঠানো হয়। সেখান থেকেই বিবেক সহায়কে বেছে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, ‘সিনিয়ারিটি’র ভিত্তিতে বিবেক সহায়কে রাজ্য পুলিশের ডিজি করেছিল নির্বাচন কমিশন। এদিকে ৩১ মে বিবেক সহায়ের অবসর নেওয়ার কথা। দেশে সাত দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) শেষ দফা ভোট রয়েছে ১ জুন। সেক্ষেত্রে ডিজি পদে থাকলে ভোট শেষ হওয়ার আগেই বিবেক সহায় অবসর নিয়ে নিতেন। ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কমিশন একজনকেই ডিজিপি-র দায়িত্বে রাখতে চায়, তাই ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কমিশনের তরফে ডিজি বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য ডিজি হিসেবে দায়িত্ব সামলালেন বিবেক সহায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর, কেন?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে কলকাতার মেয়র রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দুঃখ প্রকাশ করা নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। সম্প্রতি, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের মাতৃ বিয়োগ হয়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

     মুখ্যমন্ত্রীকে কেন নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর? (Sukanta Majumdar)

    তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁর ট্যুইটে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে লোকসভা নির্বাচন করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশেই আধিকারিক নিয়োগ করছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির ক্যাম্প অফিস হয়ে উঠেছে। এনিয়ে এদিন প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “ডেরেক ও’ব্রায়নের এত ঝামেলা করার কোনও দরকার নেই। আমি তাঁকে বলবো বাজার থেকে একটা মোটা গোব্দা খাতা কিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে। সেই খাতায় মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে সংবিধান লিখুন। ডেরেক ও’ব্রায়েন সেটা সংশোধন করে ইংরেজিতে তর্জমা করবেন। তাহলে তাদের সব ঝামেলা মিটে যাবে।” নাগরিকত্ব সংশোধন আইন লাগু করার ক্ষেত্রেও তৃণমূল বিরোধিতায় নেমেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই  সংবিধান না জেনে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের বিরোধিতা করছে। সে জন্যই তৃণমূলকে তাদের পছন্দ মতো সংবিধান রচনার পরামর্শ  দিয়েছেন বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     গার্ডেনরিচ কাণ্ড নিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ সুকান্তর

    গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙ্গে পড়ার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার দিকটি প্রমাণিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, ওই বহুতল এই নির্মাণ অবৈধভাবে হচ্ছিল। তাতে সমালোচনার ঝড়ের মুখে কলকাতার মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মেয়রের সাফাই,  যাদের ওপর ভরসা করেছিলেন তারা তাঁর কথা শোনেনি। এ প্রসঙ্গে এদিন প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুঃখ প্রকাশ করে লাভ নেই। এটাই তৃণমূল সরকারের কালচার। দুঃখ প্রকাশ করে এককালীন কিছু টাকা দিয়ে তৃণমূল মানুষের জীবনের মূল্যায়ন করে। ব্যর্থতা,অনিয়ম আড়াল করার জন্য  এই দুঃখ প্রকাশের কোনও মূল্য নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip kumar-Raj Kapoor: মিউজিয়াম হচ্ছে পেশোয়ারে দিলীপ কুমার-রাজ কাপুরের পৈতৃক ভিটে-বাড়ি

    Dilip kumar-Raj Kapoor: মিউজিয়াম হচ্ছে পেশোয়ারে দিলীপ কুমার-রাজ কাপুরের পৈতৃক ভিটে-বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেশোয়ারে দিলীপ কুমারের (Dilip kumar-Raj Kapoor) পৈতৃক বাড়ি হচ্ছে মিউজিয়াম। একইভাবে, রাজ কাপুরের বাস্তুভিটেও পরিণত হবে যাদুঘরে। দেশ ভাগের আগে এই দুই তারকা থাকতেন বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারে। পরবর্তী সময়ে ভারতে চলে আসেন তাঁরা। এবার এই দুই তারকার বাড়িকে পুনরুদ্ধারের কাজ করা হচ্ছে। দিলীপের স্ত্রী সায়রা বানু ২০২১ সালের একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “দিলীপ নিজের পৈতৃক বাড়ি নিয়ে খুব আবেগপ্রবণ ছিলেন। বাল্য এবং শৈশবের একটা সময় কাটিয়েছেন ওই বাড়িতে। আমি চাই সরকার বাড়িকে সংরক্ষিত করুক।”

    তহবিল গঠনের পর শুরু হবে কাজ (Dilip kumar-Raj Kapoor)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ কুমারের (Dilip kumar-Raj Kapoor) বাড়ি ছিল এই শহরের কিসসা খাওয়ানি বাজারে। এই বাড়িটি বর্তমানে খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের মালিকাধীনে রয়েছে। এখন বাড়িটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়িটিতে বর্তমানে সেখানকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কাজ করছে। তবে বাড়িটিকে যাদুঘরে পরিণত করতে গেলে কিছুটা সময় লাগবে। তবে এই কাজের জন্য আর্থিক তহবিল গঠন করার কাজ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনে একটি নতুন সরকার গঠনের পর এই তহবিল গঠনের কাজ সম্পূর্ণ হবে। অপর দিকে, রাজ কাপুরের পৈতৃক ভিটেও সরকারের মালিকানায় রয়েছে। এটিও যাদুঘরে পরিণত হবে।

    খাইবার পাখতুখাওয়া পুরাতত্ত্ব বিভাগের বক্তব্য

    খাইবার পাখতুখাওয়া পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডাক্তার আব্দুস সমদ খান এই বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, “দেশ ভাগের আগে থেকেই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের দুই তারকা রাজ কাপুর (Dilip kumar-Raj Kapoor) এবং দিলীপ কুমার এই বাড়িগুলিতে থাকতেন। জীবনের একটা বিশেষ সময় তাঁরা কাটিয়েছেন তাঁদের বাড়িতে। রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ির নাম ছিল কাপুর হেভেলি। তাঁর বাবা দিওয়ান বিশ্বেম্বরনাথ কাপুর এই বাড়িটি তৈরি করে ছিলেন। আনুমানিক ১৯১৮ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। এখানেই তাঁর কাকা তিলক কাপুরের জন্ম হয়েছিল।”

    দিলীপের বাড়ি সম্পর্কে পুরাতত্ত্ব বিভাগের বক্তব্য

    পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডাক্তার আব্দুস সমদ খান দিলীপের বাড়ি সম্পর্কে বলেন, “দিলীপ কুমারের (Dilip kumar-Raj Kapoor) বাড়িটি পাকিস্তানের জাতীয় হেরিটেজ। এখানে ১৯২২ সালে জন্ম হয় দিলীপ কুমারের। ১৯৩২ সালে এই বাড়ি ত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন দিলীপ। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই তাঁর এই বাড়িকে পাকিস্তান সরকার জাতীয় হেরিটেজ ঘোষণা করে ছিলেন। দেশভাগের পর দিলীপ কুমার একবার এই বাড়িতে এসেছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কড়া কমিশন, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটে জড়িতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ

    Lok Sabha Election 2024: কড়া কমিশন, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটে জড়িতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) ঘোষণা হতেই এবার আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কমিশন যে খুবই চিন্তিত, তা প্রথমেই স্পষ্ট হয়ে য়ায়। সারা দেশে একমাত্র রাজ্য যেখানে ভোট করাতে কমিশন ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চায়। ভোট ঘোষণার পরেই আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কয়েক দফা নির্দেশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতর।

    জেলা শাসকদের নির্দেশ- 

    ১) অতীতে হওয়া লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) যাদের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ এসেছে, থানায় তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে।

    ২) যাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ এসেছে, তাদেরও তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ৩) যে সমস্ত ওয়ারেন্ট পড়ে আছে, তা কার্যকর করতে হবে।

    ৪) এসপি, সিপি-দের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ঘন ঘন পর্যালোচনা করতে হবে।

    ৫) বিগত নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন যাদের বিরুদ্ধে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ ও কী কী ব্যবস্থা, তা তাদের নাম সহ বিস্তারিত ১৫ দিনের মধ্যে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দফতরে পাঠাতে হবে।

    ৬) বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।

    ৭) কমিশনের তরফে ডিএম’দের বলা হয়েছে, যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে অভিযোগ এলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটাকে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ কোনওভাবে ফেলে রাখা যাবে না।

    কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারেন সাধারণ ভোটাররাও

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য ইতিমধ্যে টোল-ফ্রি নম্বর (১৯৫০) চালু করেছে কমিশন। তাতে ফোন করে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন বলেই জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন চালু করেছে বেশ কিছু অ্যাপও। এমনকী ভোটার লিস্টে নাম আছে কি না, সেটাও জেনে যাবেন ভোটাররা। প্রসঙ্গত, কলকাতায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠকের সময় এসপি, ডিএম দের কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। কোনও রকম হিংসা হলে কাউকে ছাড়া হবে না- এমন নির্দেশ দেয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘গোটা কলকাতায় অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা দিয়ে রেখেছে’’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘গোটা কলকাতায় অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা দিয়ে রেখেছে’’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাতেই গার্ডেনরিচে ঝুপড়ির ওপর ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার সকালেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত। কলকাতা বিমানবন্দরে এসে তিনি বলেন, ‘‘গোটা কলকাতায় অবৈধ নির্মাণের টেন্ডার তৃণমূল নেতারা দিয়ে রেখেছে।’’

    তৃণমূল নেতারা প্রতি স্কোয়ার ফিটে পয়সা নেয়

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) আরও দাবি, ‘‘তৃণমূল নেতারা প্রতি স্কোয়ার ফিটে পয়সা নেয়। প্রতি স্কোয়ার ফুটে যদি পয়সা নেন তাহলে আপনার মেরুদন্ডে প্রতিবাদ করার জোর থাকবে? আজকে একটা ভেঙেছে, ৩০ বছর পর আরও বাড়ি ভাঙবে। আপনি উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, চেতলা কোথায় যাবেন, সব জায়গায় কাউন্সিলররা স্কোয়ার ফুটে টাকা নেয়। এরা হচ্ছে স্কোয়ার ফুট কাউন্সিলর।’’ সুকান্তর দাবি, ‘‘এক এক জন কাউন্সিলরের এর সম্পত্তি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। এক কাউন্সিলর পিডব্লুডির জায়গা দখল করে বাইপাস ধাবা বানিয়ে বসে আছে। জায়গাটাই অবৈধ সরকারি জায়গা। এইতো তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর।’’

    শুভেন্দুর তোপ ফিরহাদকে

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই ইস্যুতে শাসক দলকে কটাক্ষ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, ‘‘গার্ডেনরিচের (Kolkata News) ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকা মেয়র ও পুরমন্ত্রীর তথাকথিত দুর্গ বলে পরিচিত। হতাহতর সংখ্যা নিয়ে একের পর এক ফোন আসছে। দুর্গতদের উদ্ধারে অবিলম্বে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠান।’’ রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতার সিপি-কে ট্যাগ করে এই পোস্ট করেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বহুতলের একাংশ। দুর্ঘটনার পরে অভিঘাত এসে পড়ে পাশের বাড়িগুলির উপরেও। পাশাপাশি বাড়িগুলোরও ছাদের একাংশ ভেঙে যায়। দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে। এর ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) ঘোষণার পরই  বড় পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরানোর নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্যের মুখ্য সচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে অবিলম্বে রাজীব কুমারকে (DG Rajeev Kumar) সরাতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বে তিনি থাকতে পারবেন না।

    কী বলল কমিশন

    আর্দশ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Lok Sabha Election 2024) তরফে রাজীব কুমারকে (DG Rajeev Kumar) সরানোর নির্দেশ দেওয়া হল। রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি নিয়োগের আগে পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন রাজীবের ঠিক নীচের পদে যে অফিসার রয়েছেন, তিনি। এই পদে নতুন নিয়োগের জন্য সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে তিনটি নাম পাঠাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। গত ডিসেম্বরে রাজ্য পুলিশের নয়া ডিরেক্টর জেনারেল বা ডিজি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল রাজীব কুমারকে। এই আইপিএস অফিসারকেই রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগের তিন মাসের মধ্যেই তাঁকে সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। 

    বিতর্কের কেন্দ্রে রাজীব

    ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও রাজীবকে তদানীন্তন পদ থেকে সরানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) ঘোষণার পর রাজীবকে ডেপুটেশনে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে রাজীব (DG Rajeev Kumar) দীর্ঘদিন ছিলেন রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি দফতরের সচিব। কলকাতা পুলিশের কমিশনার থাকাকালীন একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল রাজীবের। ২০১৯ সালে সারদা মামলাতে রাজীবকে অভিযুক্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই। ২০১৩ সালে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে ছিলেন রাজীবই। তাঁর বিরুদ্ধে সারদা মামলার তথ্য লোপাটের অভিযোগও ওঠে। 

    আরও পড়ুন: রাহুলের ‘শক্তি’-মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ মোদির, কী বললেন?

    অন্য রাজ্যেও বদল

    রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের পাশাপাশি ছ’টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকেও লোকসভা ভোটের আগে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে— গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে অপসারণের আদেশ জারি করা হল। মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের সচিবকেও সরানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘কাউন্সিলর-এমএলএ-এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে, আর…’’ গার্ডেনরিচকাণ্ডে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘কাউন্সিলর-এমএলএ-এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে, আর…’’ গার্ডেনরিচকাণ্ডে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ায় মারা গিয়েছেন ৫ জন। আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মনে করা হচ্ছে নিচে এখনও চাপা পড়ে আছেন ৭ জন। মোট ২৩ জন ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রতিদিনকার মতো সোমবারও নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট খুব হচ্ছে। আর কাউন্সিলর, এমএলএ ,এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে।’’

    যে কিনছে তার পুরো জীবনটাও কাটাতে পারবে না, মাঝখানে ভেঙে পড়বে

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘লোকাল নেতারাও টাকা খাচ্ছে। এখানে ব্রিজ ভেঙে পড়ে, নির্মীয়মাণ ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ে এখন বিল্ডিং ভেঙে পড়ছে। এই যে দুর্নীতি হচ্ছে, যেখানে অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে লোকাল নেতা ও কাউন্সিলরদের। ফলে কোনও মতে ইট-বালি দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বাড়ি। যে কিনছে তার পুরো জীবনটাও কাটাতে পারবে না, মাঝখানে ভেঙে পড়বে।’’ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির (Dilip Ghosh) আরও মন্তব্য, ‘‘এই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এর পিছনে রয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক হতে হবে। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার আছে। নতুন নতুন ফ্ল্যাট-বিল্ডিং যেগুলো তৈরি হচ্ছে, বেশিরভাগ অবস্থা এরকম আছে।’’

    আতঙ্কিত স্থানীয়রা

    রবিবার রাত ১২টা নাগাদ নির্মীয়মান বহুতলের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৫ জন। তার মধ্যে ৬ জন ভর্তি রয়েছে আইসিইউতে। তাদের মধ্যে ২ জন নাবালকও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে। ৩ ফুট সংকীর্ণ রাস্তাতেও গড়ে উঠছে বহুতল নির্মাণ। এই ঘটনায় কলকাতার পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। দুর্ঘটনার পরে অভিঘাত এসে পড়ে পাশের বাড়িগুলির উপরেও। পাশাপাশি বাড়িগুলোরও ছাদের একাংশ ভেঙে যায়। দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে। এর ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share