Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Birbhum: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    Birbhum: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন! পুলিশকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছে জনতা। রাজ্যের গেরুয়া শিবির গোটা ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্ত দাবি করেছে। ঠিক এই আবহে ফের  টাকা দিয়ে মুখ বোজানোর রাজনীতি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারপিছু একটি করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারকে মোট ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

    মূল ঘটনা (Birbhum)

    প্রসঙ্গত, সোমবার সকালেই বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার অন্তর্গত ভাদুলিয়া গ্রামে বিস্ফোরণটি ঘটে। ভাদুলিয়ার গঙ্গারামচক মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেড কোলিয়ারিতে (জিএমপিএল) বিস্ফোরণে নিহত হন জয়দেব মুর্মু, সোমলাল হেমব্রম, মঙ্গল মারান্ডি, জুডু মারান্ডি, পলাশ হেমব্রম, রুবিলাল মুর্মু। মৃতদের সকলেরই বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে৷ বিস্ফোরণের অভিঘাতে তাঁদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে দেহাংশ। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালান জিএমপিএল-এর আধিকারিক এবং উপরতলার কর্মীরা। এরপর পুলিশ পৌঁছলে তাদেরকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য একটি ট্রাকেই বিস্ফোরক আনা হয়েছিল। যে পরিমাণ বিস্ফোরক দু’টি ট্রাকে আনা হয়, সোমবার তা একটি ট্রাকে করেই নিয়ে আসা হয়েছিল। তাই ওভারলোডিংয়ের জেরেই এই বিস্ফোরণ কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে।

    এনআইএ দাবি বিজেপির 

    ইতিমধ্যেই এনআইএ (NIA) তদন্ত চেয়েছেন দুবরাজপুরের (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। ঘটনাস্থলে গিয়ে মানুষজনের সঙ্গে সোমবার কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে। পরে সংবাদমাধ্যমকে অনুপ সাহা বলেন, ‘‘যা ঘটেছে, তা খুবই মর্মান্তিক৷ বিস্ফোরণে এতগুলো প্রাণ গেল। প্রশাসনের মদতে এই কয়লা খনি চলে। জঙ্গল কেটে খনি করা হয়, অনুমোদন ছা়ড়াই গভীর খনন করা হয়৷ আর বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি খোলা রাস্তা দিয়ে আসছে? আজ যদি এই বিস্ফোরণ জনবহুল এলাকায় ঘটত কী হত? প্রশাসন এ ভাবে দায়িত্ব এড়াতে পারে না৷ আমরা চাই এনআইএ তদন্ত হোক। তা হলেই সত্য সামনে আসবে।’’

    কীভাবে এত ডিনামাইট সেখানে মজুত হল? প্রশ্ন বিজেপি নেতার

    বীরভূমের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ নিয়ে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতিও জগন্নাথবাবু নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘পুলিশের উপর মানুষের কোনও আস্থা নেই। বীরভূমের ভাদুলিয়ায় খনিতে বিস্ফোরণের পর ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কীভাবে এত ডিনামাইট সেখানে মজুত হল? কোনও বিশেষজ্ঞ ছিলেন নাকি যে আদিবাসীদের প্রাণ গেল তাঁরাই ডিনামাইট ফাটিয়ে কয়লা তুলতো। এই অসাধু চক্রের মূলে আঘাত করতে হবে। না হলে মাননীয়ার পুলিশকে এভাবেই জনগণ তাড়িয়ে দেবে। সেই সঙ্গে এই সরকারটাকেও।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Park Street: মহিলা সিভিকের শ্লীলতাহানি! পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার

    Park Street: মহিলা সিভিকের শ্লীলতাহানি! পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানায় কর্মরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক সাব ইন্সপেক্টর। ধৃতের নাম অভিষেক রায়। তিনিও পার্ক স্ট্রিট থানায় কর্মরত রয়েছেন। রবিবার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই ওই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ় করে দেয় লালবাজার। শুরু হয় তদন্ত। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে? (Park Street)

    কয়েকদিন আগেই একটি অভিযোগপত্রে মহিলা সিভিক (Civic Volunteer) লেখেন, “আমি ২০১৭ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি। এখন পার্ক স্ট্রিট থানার (Park Street) অধীনে রয়েছি। চার তারিখ রাত ৯টা থেকে আমি ডিউটি করছিলাম। সে সময়ে ওই অফিসার আমাকে তাঁর গার্ডকে দিয়ে তাঁর রেস্টরুমে ডেকে পাঠান। পার্ক স্ট্রিট থানার তিনতলায় অবস্থিত ওই ঘর। রাত প্রায় ১টা ১০ নাগাদ আমি সেখানে যাই, যা ক্যালেন্ডারের হিসেবে ৫ অক্টোবর তারিখ।” চিঠিতে তিনি বলেন, “ওই এসআই অফিসার আমায় পুজোর উপহার হিসেবে একটি নতুন সালোয়ার কামিজ দেন। আমি সেটি নেওয়ার সময়ে তিনি আমার শরীরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করেন। আমি বাধা দিলে তিনি বলেন এটা কোনও ব্যাপার নয়। তিনি আমায় মৌখিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পরে আমি আমার ছোট ভাইকে ফোন করি এবং সে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসে। একটি ডায়েরি করতে চাই। কিন্তু ডিউটি অফিসার রণবীর দাস আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। আমায় বলা হয় থানাতেই কথা বলে মিটিয়েনিতে। ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে।” চিঠিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার, জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও পার্ক স্ট্রিট থানার ওসি- কে পাঠানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, এর আগেও এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত ওই অফিসার। তিনি লিখেছেন, “এর আগেও ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে দুপুর দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় তিনি পার্ক স্ট্রিট থানার কম্পিউটার রুমে আমার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।” ওই মহিলা আরও লিখেছেন, যে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি কোনও ডিউটি পালন করবেন না। নিচুতলার কর্মীর সঙ্গে ওই অফিসার যে আচরণ করেছেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো তাঁর নৈতিক দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই চিঠিকে এফআইআর হিসেবে দায়ের করে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় লালবাজার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় (Park Street) তদন্ত শুরু হয়। তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তখনই আভাস দেওয়া হয়েছিল, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সোমবার সকালে ওই এসআই-কে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিভিক সঞ্জয়ই খুন-ধর্ষণ করেছে, ৫৫ দিনের মাথায় কোর্টে চার্জশিট দিল সিবিআই

    CBI: সিভিক সঞ্জয়ই খুন-ধর্ষণ করেছে, ৫৫ দিনের মাথায় কোর্টে চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট দিল সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে সঞ্জয় রায়ের। পুজোর মুখে কোর্টে সিবিআইয়ের চার্জশিট দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    সন্দীপ-টালা থানার প্রাক্তন ওসি প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত! (CBI)

    সূত্রের খবর, চার্জশিটের মূল অংশটি প্রায় ২১৩ পাতার। ২০০ জন সাক্ষীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে। সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, সেই মূলত খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত। তথ্য প্রমাণ লোপাটে যড়যন্ত্র করার অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই দু’জনকেও পরবর্তীতে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর সঙ্গে এই দুই অভিযুক্তের কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাতে লেখা হয় এই দুই ব্যক্তিও এ ঘটনাকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন, তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খুন-ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চেস্ট মেডিসিনের এক চিকিৎসক ছাত্রীর। যা নিয়ে এখনও আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা। শুরুতেই এ মামলার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায় নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যদিও শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এবার তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় শিয়ালদা কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    কবে দায়িত্ব নিয়েছিল সিবিআই?

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। গত ৯ অগাস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চেস্ট মেডিসিন বিভাগে উদ্ধার হয় স্নাতকোত্তর পড়ুয়া ৩১ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসকের দেহ। এর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়। ১৩ অগাস্ট ঘটনার ৫ দিন পর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তদন্তভার হাতে নিয়ে সিভিক সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। এবার চার্জশিট পেশ করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medical Colleges: মঙ্গলে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন, ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    Medical Colleges: মঙ্গলে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন, ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনের ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Medical Colleges)। সোমবারই একথা ঘোষণা করল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট (Junior Doctors)। জানা গিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার এই অনশন কর্মসূচি হবে ১২ ঘণ্টার। সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও যোগ দেবেন এই কর্মসূচিতে। একইসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ শুরু হবে কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মহামিছিল। অনশন মঞ্চ পর্যন্ত মিছিল যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষকে এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের (Medical Colleges) সংগঠন। প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় প্রশাসন ১৬৩ ধারা (পূর্বের সিআরপিসি-র ১৪৪ ধারা) জারি করেছে। এ সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

    কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)?

    সোমবার ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা অবধি প্রতীকী অনশন হবে। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের (Medical Colleges) জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা এই অনশনে যোগ দেবেন।’’ প্রসঙ্গত, সোমবার ধর্মতলার অনশন কর্মসূচি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। রাস্তা আটকে অনশন না করে অন্যত্র সরে যাওয়ার আবেদন করা হয়। তবে এবিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এপ্রসঙ্গে জানান, এই মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না।

    সোমবার সকালে ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশনে যোগ দিয়েছেন কয়েক জন সিনিয়র ডাক্তারও 

    প্রসঙ্গত, শনিবার রাত থেকে আরজি কর কাণ্ডের বিচার এবং হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন সাত জন জুনিয়র চিকিৎসক (Medical Colleges)। প্রথমে ছ’জন আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন। রবিবার এই কর্মসূচিতে যোগ দেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার তথা আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো। অনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধর্মতলা চত্বরে সাধারণ মানুষও জমায়েত করছেন। সোমবার সকালে ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশনে যোগ দিয়েছেন কয়েক জন সিনিয়র ডাক্তারও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভয়ার নাম প্রকাশ, বিনীত গোয়েলের শাস্তি নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অভয়ার নাম প্রকাশ, বিনীত গোয়েলের শাস্তি নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের (Vineet Goel) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জিতে জনস্বার্থ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। অভিযোগ, আরজিকর মেডিক্যালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের নাম প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন তিনি। সোমবার সেই মামলায় কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রককে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে মামলাটি রয়েছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে। যেহেতু আইপিএস বিনীত গোয়েল কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক, সেই কারণে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ বিভাগকে মামলায় যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এই বিভাগটি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতেই রয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মিবর্গ মন্ত্রকে আদালতে হলফনামা দিয়ে বলতে হবে, এই ক্ষেত্রে একজন আইপিএস-এর বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ করার সুযোগ রয়েছে। অভিযোগ, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের নাম সংবাদমাধ্যমের সামনে উচ্চারণ করেন কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Goel)। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অমৃতা পাণ্ডে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    পুজোর ছুটি পর শুনানি

    এই মামলাটি নিয়ে যখন প্রথমে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল, তখন হাইকোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছিল, আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে এই মামলায় কী হয়, তা দেখা হবে। সেই কারণে তৎক্ষণাৎ ওই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। এর পরে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, শীর্ষ আদালত ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। মামলাটির দ্রুত শুনানিরই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে বিনীত গোয়েলের (Vineet Goel) ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। পুজোর ছুটির পর হাইকোর্টের কার্যক্রম চালু হলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    Jaynagar: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) কুলতলি এলাকা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।  তার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছেন। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা এলাকা। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশ ফাঁড়িতে। আরজি করের মতো এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যবাসী। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে গোটা গ্রাম। আরজি করের প্রতিবাদী চিকিৎসকরা থেকে শুরু করে আইনজীবীরা পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। সিবিআই তদন্ত চাইল জয়নগরের নিহত বালিকার পরিবারও।

    সিবিআই তদন্ত চাইছে নিহত বালিকার পরিবার (Jaynagar)

    মেয়ের ধর্ষণ ও মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইল জয়নগরের (Jaynagar) নিহত বালিকার পরিবার। এইন প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে পারে পরিবার। মেয়ের নির্মম পরিণতির সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডের তুলনা টেনে এনে বালিকার পরিবার জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাঁদের কোনও আস্থা নেই। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে। এই কারণে, সিবিআই চাই। রবিবার, নাবালিকার ময়না তদন্তও কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থায় করতে চেয়ে হাইকোর্টে তারা আবেদন জানায়। আদালত কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে সেই প্রক্রিয়া চলছে। এবার পরিবারের তরফে ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করা হতে পারে বলেও উঠে আসছে। রবিবারের শুনানিতেও তারা সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। সেই মতো প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন পরিবারের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    নির্যাতিতার বাড়িতে চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল

    জয়নগরে (Jaynagar) নির্যাতিতার বাড়িতে যায় জুনিয়র চিকিৎসদের প্রতিনিধিদল। সেই দলে ছিলেন আরজি কাণ্ডে আন্দোলন করা জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁচ জন ডাক্তারের মধ্যে ছিলেন কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার প্রমুখ। আরজি কর ইস্যুতেই তাঁরা রাস্তায় নেমে ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন মৃত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পাশে থাকার বার্তাও দেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তাররাও নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। রবিবার দুপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আরজি কর হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল। পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর কিছুক্ষণের জন্য কৃপাখালী এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভেও শামিল হন তাঁরা। আর সেখান থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।

     নির্যাতিতার বাড়িতে আইনজীবীর প্রতিনিধিদল

    নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা। রবিবার দুপুরে নির্যাতিতার পরিবারের (Jaynagar) সঙ্গে দেখা করতে যান কলকাতার হাইকোর্ট এবং বারুইপুর আদালতের আইনজীবীরা। পরিবারের সদস্যদের সব রকম আইনি সাহায্যের আশ্বাস দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে, আরও বেশ কিছু বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা কথা বলেন তাঁরা। এই নারকীয় ঘটনার প্রধান অভিযুক্তের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়, সেই প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন আইনজীবীরা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যের আইনজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য গৌতম চট্টোপাধ্যায়  বলেন, “এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও কথা বলার ভাষা নেই আমাদের। দশ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তর যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় আইনিভাবে আমরা সব রকম ব্যবস্থা করব। পরিবারের সঙ্গে আমরা দেখা করে কথা বলেছি। আইনি সমস্ত রকম সাহায্য আমরা করব। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে এই ঘটনায়। পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর তারা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলে এই দিনটি দেখতে হত না পরিবারের সদস্যদের। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। জয়নগর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার যাতে সুবিচার পায় আমরা আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করব।” উল্লেখ্য, শনিবার বারুইপুর আদালতে জয়নগরের প্রধান অভিযুক্তকে পেশ করা হলে, আদালতের কোনও আইনজীবী তার পক্ষে সওয়াল করেননি।

    থমথমে এলাকা

    এদিকে সোমবারও থমথমে রয়েছে কুলতলি (Jaynagar) থানার কৃপাখালীর হালদারপাড়া গ্রাম। রয়েছে চাপা উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামলাতে রয়েছে প্রচুর পুলিশ। এলাকার মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। যদিও মহিষমারি হাট এলাকা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলেছেন, লোকজন আসছে। এই মহীশমারি হাটের পাশেই মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। সেখানেও মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশের ভূমিকা ভালো নয়। সমস্ত ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সাদা অ্যাপ্রনে ‘রক্ত মাখা’ দশ আঙুলের ছাপ, চতুর্থীতে অভিনব প্রতিবাদ জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Case: সাদা অ্যাপ্রনে ‘রক্ত মাখা’ দশ আঙুলের ছাপ, চতুর্থীতে অভিনব প্রতিবাদ জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতলে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে বিরাম নেই জুনিয়র ডাক্তারদের। শহর পুজোর ব্যস্ততায় ক্রমশ আচ্ছন্ন হলেও, নির্যাতিতার জন্য সুবিচারের দাবিকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরলেন আন্দোলনকারীরা। অপর দিকে ধর্মতলায় দশ দফা দাবি নিয়ে অনশনে নেমেছেন এসএসকেএম, আরজিকর, কেপিসি এবং এনআরএস হাসপাতালের পিজিটি চিকিৎসকরা। এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জন ডাক্তার অনশনে বসেছেন। পাশাপাশি সোমবার, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ঠিক দুদিন আগে চতুর্থীর দিনেই জরুরি পরিষেবা দিতে নেমেছেন নতুন অ্যাপ্রন নিয়ে। সাদা অ্যাপ্রনের মধ্যে ‘রক্ত মাখা’ দশ আঙুলের ছাপ। অভিনব প্রতিবাদে শোরগোল পড়েছে।

    জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য (RG Kar Case)

    আন্দলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Case) বক্তব্য, “সব মেডিক্যাল কলেজেই সোমবার এই অ্যাপ্রন পরে রোগী পরিষেবা দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আমরা এটা পরেই কাজ করছি। কারণ আমাদের অ্যাপ্রন এখন রক্তাক্ত। আমরা কাজে ফিরেছি, কিন্তু অপরাধ কমেনি এখনও। এই রাজ্যে ধর্ষকদের বিন্দুমাত্র ভয় নেই, কারণ উপযুক্ত শাস্তি হয়নি। তাই, দিনের পর দিন একই অপরাধ করতে পারছে তারা। সকল ডাক্তারকে, আমাদের সঙ্গে এই অ্যাপ্রন পরে কাজ করার অনুরোধ করব।”

    আরও পড়ুনঃ শুধু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? খুশি নয় পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার, দ্বারস্থ হাইকোর্টের

    নির্যাতিতার যন্ত্রণার কথা তুলে ধরতে এই অভিনব প্রতিবাদ

    এই রক্ত মাখা হাতের ছাপ নিয়ে মেডিক্যাল (RG Kar Case) কলেজগুলিতে রোগী পরিষেবা সেবা দেওয়ার কাজ করছেন ডাক্তাররা। হাসপাতলের রোগী এবং রোগীর পরিজনদের কাছে নির্যাতিতার যন্ত্রণার কথা তুলে ধরতে এই অভিনব প্রতিবাদ বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলনে সামিল হওয়া জুনিয়র ডাক্তাররা, সিনিয়র ডাক্তারদের এই অভিনব প্রতিবাদে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। গত ৯ অগাস্ট আরজি করে কর্তব্যরত মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন এবং মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে রাজ্যবাসী। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সামজিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়ে রাত দখল কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। তাতে সমাজের মহিলারা, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেন। উৎসবের (Durga Puja) মধ্যে যাতে আন্দোলনের স্বর থেমে না যায়, তাই এই প্রতীকী প্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার থেকে কিউআর কোডযুক্ত টিকিট, দুর্গাপুজোয় বিশেষ ব্যবস্থা মেট্রো রেলের

    Kolkata Metro: ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার থেকে কিউআর কোডযুক্ত টিকিট, দুর্গাপুজোয় বিশেষ ব্যবস্থা মেট্রো রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজোতে (Durga Puja) ভিড় সামলাতে এবার কলকাতা মেট্রোতে (Kolkata Metro) ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যাত্রীদের টিকিটের সুবিধা দিতে কিউআর কোড নির্ভর কাগজের টিকিটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চতুর্থী থেকেই মেট্রোর সূচি পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তন ত্রয়োদশী পর্যন্ত চলবে। দুর্গাপুজোর এই কয়েকদিন গভীর রাতেও মিলবে পরিষেবা।

    ভ্রাম্যমাণ টিকিট কাউন্টার (Kolkata Metro)

    দুর্গাপুজোতে (Durga Puja) মেট্রোর (Kolkata Metro) টিকিট কাউন্টারগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে কিউ আর কোড নির্ভর কাগজের টিকিট দেওয়া হবে। তবে এইগুলি দেওয়া হবে ভ্রাম্যমাণ টিকিট কাউন্টার থেকে। একই ভাবে বেশি ভিড় যুক্ত স্টেশন গুলিতে বিশেষ টিকিট বুকিং টার্মিনাল হাতে টিকিট বিক্রির কাজ করবেন মেট্রো রেলের কর্মীরা। দক্ষিণেশ্বর, দমদম, বেলগাছিয়া, শোভাবাজার-সুতানুটি, এসপ্ল্যানেড, রবীন্দ্র সদন, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট স্টেশনে বিশেষ টার্মিনাল ব্যবহার করে টিকিট কাটার সুবিধা দেওয়া হবে। একই ভাবে হাওড়া স্টেশন এবং হাওড়া ময়দানে এই সুবিধা দেওয়া হবে। কলকাতায় মোট ২৩টি এরকম  টার্মিনাল আনা হয়েছে।

    আপ-ডাউন লাইন মিলিয়ে ট্রেন চলবে ২৩৬টি

    চতুর্থী, পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে আপ এবং ডাউন মিলিয়ে মেট্রো (Kolkata Metro) চলবে ২৮৮টি। সপ্তমী থেকে নবমী ওই শাখায় চলবে ২৪৮টি ট্রেন। দশমীতে ১৭৪, একাদশীতে ১৩০টি পরিষেবা পাওয়া যাবে। দ্বাদশী এবং ত্রয়োদশীতে আপ এবং ডাউন লাইন মিলিয়ে ট্রেন চলবে ২৩৬টি। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দানের মধ্যে দৈনিক ট্রেনের সংখ্যা পুজোর মধ্যে বাড়ানো হয়েছে। শনিবার থেকে এই রুটে মোট ১৩০টি করে ট্রেন চলছে। তবে রবিবার ৮২টি ট্রেন চললেও সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দিনে ১৩০টি ট্রেন চলবে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পুজোর সূচি মেনে ট্রেন চালানো হবে। এই রুটে পুজোর দিনে এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত দুপর দেড়টা থেকে রাত ১টা ৪৫ পর্যন্ত চলবে।

    আরও পড়ুনঃ শুধু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? খুশি নয় পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার, দ্বারস্থ হাইকোর্টের

    মেট্রোর সময়সূচি

    পুজোর চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী (Durga Puja) পর্যন্ত ওই শাখায় প্রথম মেট্রো (Kolkata Metro) পাওয়া যাবে সকাল ৭টায়। শেষ মেট্রো মিলবে রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে দুপুর ১টা থেকে। দশমীতে দুপুর ২ টোয় প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে। আর শেষ মেট্রো রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। কবি সুভাষ থেকে রুবি শাখাতে একই সময়ে পরিষেবা পাওয়া যাবে। তবে জোকা-মাঝেরহাট লাইনে চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যাবে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং শেষ মেট্রো দুপুর সাড়ে তিনটেতে পাওয়া যাবে।

    কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) জানিয়েছে, দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ যাওয়ার শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে রাত ১১টা ৪৮ মিনিটে। আর কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো মিলবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ শাখায় চতুর্থী থেকে ষষ্ঠী প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। আবার সেক্টর ৫ থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত পাওয়া যাবে সকাল ৭টা ০৫ মিনিটে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে যথাক্রমে রাত ৯টা ৩৫ মিনিট এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আবহাওয়ার উন্নতি, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই, পুজোর পাঁচ দিন কেমন কাটবে জানুন

    Weather Update: আবহাওয়ার উন্নতি, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই, পুজোর পাঁচ দিন কেমন কাটবে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর (Durga Puja) আগে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের (Weather Update) কারণে আবহাওয়াকে ঘিরে এক সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আনন্দ মাটি হওয়ার উপক্রম হতে বসেছিল। উত্তর থেকে দক্ষিণ জুড়ে সর্বত্র জারি হয়েছিল বজ্রবৃষ্টি সহ ভারী বর্ষণের হলুদ সতর্কতা। এবার সেই অশনিসংকেত যেন কাটার উপক্রম। আবহাওয়া যেন ক্রমেই উন্নতির পথে। উৎসবের আনন্দঘন রঙ্গিন আকাশ যেন ক্রমেই ফুটে উঠছে। কেটে যাচ্ছে কালো মেঘ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর অন্ধ্র উপকূলের কাছে দানা বেঁধেছিল ঘূর্ণাবর্ত। এখন সেই ঘূর্ণাবর্ত আরও কিছুটা দক্ষিণে সরে গিয়ে তামিলনাড়ু উপকূলের উপরে রয়েছে। বাংলা থেকে দূরত্ব বৃদ্ধির কারণে বৃষ্টির আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, “সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সোম থেকে শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে। কোনও‌ কোনও জেলার কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।” বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ঘূর্ণাবর্তটি আরও দূরে সরে গিয়েছে। আবার মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপগ্রহের চিত্রে, বঙ্গোপসাগরের উপর যে কালো মেঘের স্তর (Weather Update) ছিল, তা অনেকটাই পাতলা হয়ে গিয়েছে। যা মেঘ ছিল, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সরে গিয়েছে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গ

    দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনও তেমন সম্ভাবনা নেই। আকাশ মূলত আংশিক মেঘলা থাকবে। সোমবার কেবল মাত্র সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। একই ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ (Weather Update) সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর জেলায়। মোটের উপর শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা পরিমাণে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার কোচবিহার, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ অনেক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা

    শহর কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। বেলা বাড়লে আংশিক মেঘলায় (Weather Update) পরিণত হবে। সোমবার দুপুর থেকেই ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে যাবে। তবে ১১ এবং ১২ অক্টোবর বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের দিকে তাপমাত্রা সাধারণ তাপমাত্রার থেকে কমে যাবে। অপর দিকে পুজোর (Durga Puja) মধ্যে শহরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে, তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আরও কমে যাবে। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৪ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের তাপমাত্রার পরিমাণ হবে প্রায় ৮৩ থেকে ৯৬ শতাংশ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Patashpur: শুধু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? খুশি নয় পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার, দ্বারস্থ হাইকোর্টের

    Patashpur: শুধু বিষক্রিয়ায় মৃত্যু? খুশি নয় পটাশপুরের নির্যাতিতার পরিবার, দ্বারস্থ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে জোর জলঘোলা হয়েছিল। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পটাশপুরে (Patashpur) নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরিবারের লোকজন। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। কিন্তু মৃতার পরিবার এই রিপোর্টে খুশি নয়। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ময়না তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ (Patashpur)

    রবিবার তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পটাশপুরের (Patashpur) মৃতার দেহের ময়না তদন্ত হয়। উপস্থিত ছিলেন পটাশপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক। উপস্থিত ছিলেন মহিলার ছেলে এবং অন্য পরিজনেরা। মৃতার ছেলে বলছেন, “ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বিষক্রিয়ার জেরেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন কিংবা ধর্ষণের মতো ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। এর পরেই পুলিশ মৃতদেহটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের জানায়। আমরা দেহ নিতে অস্বীকার করেছি।” মৃতার ছেলে আরও বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্টে আমরা মোটেই খুশি নই। তাই দেহ না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি। নতুন করে ময়না তদন্তের দাবি নিয়ে সোমবার আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আদালত যা রায় দেবে সেই মতোই কাজ হবে।” মৃতার পরিজনদের মতে, ওই মহিলার ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছে। তাঁর বুকে, পেটে আঘাত করা হয়েছে। যে সময় তাঁর দেহটি উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর শরীরে পোশাকের চিহ্নমাত্র ছিল না। অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে তা মিলছে না। সেখানে বিষক্রিয়ায় স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শরীরেও কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।  

    আরও পড়ুন: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    পুলিশ প্রশাসন কী সাফাই দিল?

    কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শুভেন্দ্র কুমার বলেন, “রবিবার পটাশপুর  (Patashpur) এলাকায় এক মহিলার মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পারি, গ্রামেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে এক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলার জন্যই ওই মহিলাকে গত শুক্রবার মারধর করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার মহিলার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যক্তিকে মারধর করেন। গণপিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার পরিবারের তরফে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যেখানে অভিযুক্ত-সহ আরও এক মহিলার বিরুদ্ধে মারধর করে বিষ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগে কোথাও ধর্ষণের মতো কোনও বিষয়ের উল্লেখ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share