Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকে ইডি হানা (ED Raids) চলছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায়। এদিন পার্থ ঘনিষ্ঠ এক পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এদিন ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান রাজারহাটের কাশীনাথপুরের চন্দন চট্টোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। সেখানে শুরু হয়েছে তল্লাশি (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ জায়গায় তল্লাশি চলছে)। প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই এবং ইডি।

    রাজারহাটে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    জানা গিয়েছে, রাজারহাটে যাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি (ED Raids), সেই চন্দন চট্টোপাধ্যায় জমি বাড়ির দালালি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে এদিন মহিলা জওয়ানদেরও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে চন্দন চট্টোপাধ্যায় কোনও যোগাযোগ থাকতে পারে জেনেই এই তল্লাশি চলছে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    নাগেরবাজারে চলছে তল্লাশি

    এর পাশাপাশি, তল্লাশি অভিযান চলছে নাগেরবাজারের ডায়মন্ড সিটি নর্থের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে কমল আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, যাঁর বাড়িতে তল্লাশি (ED Raids) চালানো হচ্ছে, তিনি অনেক দিন আগেই কমপ্লেক্স ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

    পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতে হানা ইডির 

    নিউটাউনের পাথরঘাটা এলাকায় আবদুল আমিন নামের এক পার্শ্বশিক্ষকের বাড়িতেও এদিন সকালে হানা দিয়েছেন ইডির পাঁচ আধিকারিক। সূত্রের খবর, এই শিক্ষক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডির (ED Raids) পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে, রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • DA Hike: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    DA Hike: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ফের সুখবর শোনাল মোদি সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগেই ৪ শতাংশ বাড়ল মহার্ঘ ভাতা (DA Hike)। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা মূল বেতনের ওপর ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন। এর আগে যা ছিল ৪৬ শতাংশ। শেষবারের মতো মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। চার মাসের মাথায় ফের তা বাড়ল ৪ শতাংশ। এর পাশাপাশি, এই দিনের ঘোষণার পরে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক হল ৪০ শতাংশ। জানা গিয়েছে, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবেন ৪৯ লাখ ১৮ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার পেনশন ভোগী। সপ্তম শ্রেণির পে কমিশনের সুপারিশের জেরে বৃদ্ধি পেল এই ভাতা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার (DA Hike) পাশাপাশি তাঁদের যাতায়াতের ভাতা, ক্যান্টিনে খাওয়া-দাওয়ার ভাতা, ডেপুটেশন ভাতাও ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    বৃহস্পতিবার, মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরে ন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, এই বর্ধিত হারের ডিএ দেওয়ার জন্য রাজকোষ থেকে ১২,৮৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ডিএ এবং ডিআর বছরে দুবার বাড়ানো হয়। একবার জানুয়ারিতে, আরেকবার জুলাই মাসে।

    বাড়ল উজ্জ্বলা যোজনার ভর্তুকির সময়সীমা

    এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের (DA Hike) এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারে যে ৩০০ টাকা করে ভর্তুকি দেয় সরকার, তার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই কারণে সরকারের ব্যয় হবে ১২,০০০ কোটি টাকা। এদিন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসে উত্তর-পূর্ব ভারতে শিল্পায়নের কথাও। জানা গিয়েছে, এজন্য  ১০,২৩৭ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কেঁদে ফেললেন শাহজাহান

    Sheikh Shahjahan: ‘বাঘের’ চোখে জল! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে কেঁদে ফেললেন শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই-এর খাঁচায় কান্না শেখ শাহজাহানের! ইনিই কি সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা! যার ত্রাসে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকত সন্দেশখালিবাসী! যাকে তার অনুগামীরা বলত ‘বাঘ’! এখন সিবিআইয়ের খাঁচাবন্দি হয়ে সব তেজ প্রায় উবে গিয়েছে শেখ শাহজাহানের। কদিন আগেও, পুলিশের সামনে আদালতে যে ভাবে তাঁকে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। আজ কোথায় সেই প্রতাপ? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণে ভয়ে কাঁটা হয়ে গিয়েছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে কটাক্ষও করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শাহজাহানের চোখে জল

    সিবিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা গতকাল শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) হেফাজতে পেতেই তাঁর চোখে জল চলে আসে। দু’দিনের টালবাহানা শেষে বুধবার শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই (CBI)। গতকাল প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ভবানী ভবনে অপেক্ষা করার পর সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে হাতে পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, হস্তান্তরের আগে অবধি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নেতা বুঝতে পারেননি তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিবিআই তাঁকে নিয়ে যাবে এটা বুঝতে পারার পর কার্যত ভেঙে পড়েন তিনি। 

    খাবার নিয়ে বায়না শাহজাহানের

    সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে গরম ভাত আর ঘি খেতে চেয়েছিলেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। অবশ্য শাহজাহানকে ভাত বা ঘি কোনওটাই দেওয়া হয়নি। শাহজাহানের শারীরিক পরীক্ষায় ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত মিলেছে। তাই তাঁকে রুটি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল তরকারি। ভাত, ঘি, আলু সেদ্ধর বদলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে সেই খাবার খান শাহজাহান। এর আগে গতরাতে নাকি শাহজাহানকে ভাত, ডাল, সব্জি দেওয়া হয়েছিল।

    সিবিআই-এর জেরায় কান্না!

    সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল প্রায় ২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ফের জেরা পর্ব শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে কী কী প্রশ্ন করা হবে তার জন্য ২৫০ প্রশ্নের একটি প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছে। ইডির তল্লাশির সময় শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় ছিলেন? কেন তল্লাশি চালানো যায়নি? তাঁর বাড়ির বাইরে এত লোক কীভাবে জড়ো হল? তাঁর ফোন কেন ব্যস্ত ছিল? তিনি কাকে ফোন করেছিলেন? গোলমাল থামানোর কোনও চেষ্টা কেন করেননি? তল্লাশি চালাতে না পেরে ইডি চলে যাওয়ার পর তিনি কোথায় যান? এতদিন অবধি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? এমনই একাধিক প্রশ্ন করা হবে বলে খবর। একইসঙ্গে মাছের ভেড়ি এবং ব্যবসা নিয়েও শাহজাহানকে একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর কী কী ব্যবসা আছে? কোথায় কোথায় মাছের ভেড়ি আছে? কতদিন ধরে রাজনীতি করছেন? বর্তমান দলের সঙ্গে কতদিন ধরে যুক্ত? কার হাত ধরে যুক্ত হয়েছেন? এরকম শয়ে শয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর তদন্তকারী সংস্থার এই সব প্রশ্নবাণেই নাকি সন্দেশখালির শেখের নয়ন ছলছল করে ওঠে! 

    আরও পড়ুন: নারী দিবসে মহিলাদের অনন্য সম্মান, লিঙ্গভেদ দূর করতে সক্রিয় বিআরও

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    ইডির ওপর হামলার ৫৫ দিনের মাথায় মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)। তবে গ্রেফতারির পরেও তাঁর শরীরী ভাষায় ফুটে উঠছিল ‘ঔদ্ধত্য’। বিশেষত বসিরহাট আদালতে শাহজাহানের গটগট করে হাঁটা এবং তর্জনী নাড়ার দৃশ্য নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। তবে সিবিআই (CBI) হেফাজতে আসতেই বদলে গেল সেই চিত্র! এ নিয়ে সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ‘নেংটি ইঁদুর’ বলে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন এই বিজেপি (BJP) নেতা। সেখানে ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালত চত্বরে শাহজাহানের ‘মেজাজ’ এবং বুধবার সিবিআই হেফাজতে তাঁর মাথা নীচু করে হাঁটার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে আসতেই যেন উধাও হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’র ঔদ্ধত্য!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • International Women’s Day: আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, এই দিনটির বিশেষত্ব জানেন?

    International Women’s Day: আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, এই দিনটির বিশেষত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতিবছর এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day) হিসেবে পালিত হয়। এই দিনের মূল উদ্দেশ্য হল, সমাজে পুরুষ এবং নারীর বিভেদকে দূর করা। পুরুষের তুলায় নারীকে করুণার দৃষ্টিতে বা অবহেলিত না দেখে সামাজিক সাম্যের কথাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় এই দিনে। প্রত্যেক নারীর অধিকারকে সুরক্ষিত করাই এই নারী দিবসের প্রধান ভাবনা।

    কীভাবে শুরু নারী দিবসের ভাবনা (International Women’s Day)?

    সালটা ১৯০৯। সেই সময় থেকেই সারা বিশ্বে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা বিশেষ জায়গা তৈরি করতে শুরু করে। আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টির ঘোষণার পর রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day) সম্পর্কে ঘোষণা হয়। এরপর থেকেই সমাজে নারীদের সমান অধিকার, ভোটের অধিকার এবং বৈষম্যকে দূরীকরণের বিষয়ে নানা স্তরে দাবি-দাওয়া উঠতে শুরু করে। পরে ১৯১১ সালের ৮ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইৎজারল্যান্ডে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়। এরপর একই দিন থেকে পালিত হয় সারা বিশ্বে। 

    নারী দিবসের গুরুত্ব

    এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের (International Women’s Day) বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। সমাজে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্বকে তুলে ধরা হয়ে থাকে। সমাজে নারীরা নিজেদের প্রতিবন্ধকতাকে কীভাবে অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছে সেই বিষয়ে আলোকপাত করার একটা প্রয়াস থাকে এই দিনে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং আর্থিক ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণের কথাও এই দিনে বলা হয়। সর্বত্র ৮ মার্চকে মাথায় রেখে নারীদের নিয়ে নানা রকম সম্মেলন এবং কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে, নারী নির্যাতনের বিষয়কে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং সচেতন করার প্রচেষ্টা করা হয়ে থাকে।

    এই বছরের থিম

    আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day) প্রতি বছর একটি বিশেষ থিম নিয়ে পালিত হয়। এ বছর এই থিম হল ‘বিনিয়োগে নারী এবং দ্রুত অগ্রগতি।’ অর্থাৎ বিনিয়োগ ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিকে তুলে ধরা হয়েছে। থিমে মূলত অর্থনৈতিক দিকে নারী সমাজের স্বনির্ভরতার বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের নারী দিবসের প্রচারাভিযানে লিঙ্গ সমতা অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য তখনই স্বার্থক, যখন এটি নারীদের সামনে থাকা সকল বাধাকে ভেঙে দিতে সক্ষম হবে। সমস্ত চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবে যেখানে সমস্ত নারীকে মর্যাদা ও সম্মান করার ভাবধারাকে সুরক্ষিত রাখবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly Joins BJP: বিজেপিতে যোগ অভিজিতের, কী বললেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি?

    Abhijit Ganguly Joins BJP: বিজেপিতে যোগ অভিজিতের, কী বললেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীবারে বিজেপিতে যোগ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly Joins BJP)। এদিন বিজেপির সল্টলেকের অফিসে পৌঁছান তিনি। শঙ্খধ্বনি ও পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় প্রাক্তন বিচারপতিকে। জয় শ্রীরাম ধ্বনিও দেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    অভিজিতের বাড়িতে বিজেপির প্রতিনিধি দল (Abhijit Ganguly Joins BJP)

    এদিন বেলা ১১টা নাগাদ অভিজিতের সল্টেলেকের বাড়িতে পৌঁছান বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষও। ১২টার কিছু পরে বাড়ি থেকে বের হন অভিজিৎ। বলেন, “আমি আজ বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছি। খুব ভালো লাগছে। সর্বভারতীয় দলে যোগ দিতে যাচ্ছি। আমায় যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা-ই করব।”

    কী বললেন অভিজিৎ?
    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ। পদ্ম ঝান্ডা হাতে নিয়ে অভিজিৎ (Abhijit Ganguly Joins BJP) বলেন, “আমি সর্ব ভারতীয় দলে যোগ দিলাম। এমন একটি দল যার মাথায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। আমি দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দলকে বিদায় দেওয়া। যাতে ২০২৬ সালে তারা ক্ষমতায় আসতে না পারে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর লড়াই যাতে শুরু করা যায়, তার জন্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।”

    বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, “তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ যোগ দিলেন অভিজিৎ। আবারও শক্তি বৃদ্ধি হল বিজেপির। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে প্রাক্তন বিচারপতিকে স্বাগত জানাচ্ছি।” সুকান্ত বলেন, “আগামিদিনে বিজেপি তাঁকে (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে) নির্বাচনে ও অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করবে।” শুভেন্দু বলেন, “আমি এটুকুই বলব যে, রাজ্যের রাজনীতিতে এ রকম একজনের প্রয়োজন ছিল। তিনি তাঁর যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছিলেন, তখন তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁর কাজ করার ক্ষমতা কেড়েও নেওয়া হয়েছিল। যোগদানের আগে তিনি অমিত শাহের আশীর্বাদ গ্রহণ করেছেন। রাজ্য থেকে এবার পরিবারবাদী ও তোষণকারী সরকারকে ফেলতে পারব (Abhijit Ganguly Joins BJP)।”

    আরও পড়ুুন: ‘মোদির সভায় যাবেন না’, বিদেশ থেকে হুমকি-ফোন কাশ্মীরবাসীকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Nadia: অনুব্রতর হাল দেখেও শিক্ষা হয়নি! নিমপাতা দিয়ে ভোট করানোর হুমকি দিলেন মহুয়া

    Nadia: অনুব্রতর হাল দেখেও শিক্ষা হয়নি! নিমপাতা দিয়ে ভোট করানোর হুমকি দিলেন মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছে। কিন্তু, তাঁর বুলি এখনও আওড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এক সময় ভোটের আগে বীরভূমে ‘নকুলদানা’, ‘গুড়-বাতাসা’ আর ‘চড়াম চড়াম’-এর দাওয়াই দিয়েছিলেন কেষ্ট। সেই বুলি এবার শোনা গেল নদিয়ার (Nadia) প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মুখে।

    নিমপাতা-র দাওয়াই দিলেন মহুয়া (Nadia)

    সংসদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়ার ওপরে আস্থা রেখে তাঁকে ফের প্রার্থী করা হবে নদিয়ায় (Nadia) এসে ঘোষণা করে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও মহুয়াই ফের কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা তৃণমূল। মহুয়া বিভিন্ন এলাকায় কর্মিসভাও করছেন। প্রকাশ্যে আসা ওই অডিও ক্লিপে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যে করেই হোক বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটটা এ বার করতে হবে। এ বার কিন্তু যেখানে মধু দিয়ে, যেখানে নিমপাতা দিয়ে ভোটটা করতে হবে। সিম্পল কথা। প্রশাসনিক ব্যাকআপ আপনারা হান্ড্রেট পারসেন্ট পাবেন। এই কথা আমি দিয়ে যাচ্ছি।’ আর, জেলা প্রশাসনের ‘ব্যাকআপ’ প্রসঙ্গে নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েও ওঁর শিক্ষা হয়নি। নিমপাতা বলতে উনি কী বোঝাতে চাইছেন সেটা সকলেই পরিষ্কার বুঝতে পারছে। আসলে জনমত বিপক্ষে রয়েছে বুঝতে পেরে এভাবে হুমকি দিচ্ছেন। উনি তো আসলে লেডি অনুব্রত!” তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের দাবি, এমন কোনও অডিও ক্লিপের কথা আমাদের জানা নেই। যদি তেমন কিছু আমার কাছে আসে তা হলে বিষয়টি নিয়ে মহুয়ার সঙ্গে কথা বলব।”  সিপিএম নেতা সুমিত বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের সক্রিয় হল সিবিআই। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার সিবিআই দফতরে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয় পিট (Malay Pith)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগেও একাধিক বার বোলপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয়কে ডাকা হলেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। 

    কেন জিজ্ঞাসাবাদ মলয়কে

    সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১১টার নাগাদ নিজাম প্যালেসে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় মিডলম্যানের কাজ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুধবার মলয়কে তলব করা হয়েছিল। মলয় একাধিক বিএড কলেজের সঙ্গে যুক্ত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেই সব তথ্য সামনে রেখেই বুধবার মলয়কে জেরা করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা তাঁকে নিজাম প্যালেসের ১৩ তলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 

    আরও পড়ুন: জনসভায় মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাহুলকে ফের সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সঙ্গে যোগ

    অতীতে গরুপাচার মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল ব্যবসায়ী মলয় পিটের। তখন সিবিআইয়ের (CBI) জেরার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় এই প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেন। বর্তমানে জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্টর সঙ্গে মলয়ের ঘনিষ্ঠতার কথা অনেকেই জানেন। শোনা যায়, অনুব্রত (Anubrata Mondal) যে গাড়িতে চেপে ঘুরতেন, সেটিও এই ব্যবসায়ীর নামেই ছিল। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার বড় ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ নামডাক আছে মলয়ের। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। রাজ্যে প্রচুর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসাতেও প্রতিপত্তি বেড়েছে মলয়ের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সিবিআই-এর খাঁচায় সন্দেশখালির ‘বাঘ’, রাতেই কি শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ?

    Sheikh Shahjahan: সিবিআই-এর খাঁচায় সন্দেশখালির ‘বাঘ’, রাতেই কি শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) হেফজতে নিল সিবিআই। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সন্ধ্যা, ৬টার পর শেখ শাহজাহানকে ভবানী ভবন থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েই ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  হেফাজতে নেওয়ার পর জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শেখ শাহজাহানকে। জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শেখ শাহজাহানকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় সিবিআই। রাতেই এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে একদা সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। 

    বাধ্য হয়ে সিবিআই-এর হাতে

    আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবন থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট মামলার কাগজপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় সিআইডি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত এখন সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, শাহজাহানকেও সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে। বুধবার সারাদিন লুকোচুরি খেলার পর এক প্রকার বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে শাহজাহানকে তুলে দেয় রাজ্য। উল্লেখ্য, বুধবারই সিবিআই সন্দেশখালিকাণ্ডে তিনটি এফআইআর করেছে। তার মধ্যে একটিতে সন্দেশখালির অশান্তিতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে শাহজাহানের।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। তারপর থেকে দীর্ঘ ৫৫ দিন নিখোঁজ ছিল শাহজাহান। তারপর আদালতের কড়া নির্দেশে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এবারও হাইকোর্টে ধাক্কা, সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তি, তাও দু’দিনের টানাপোড়েন চলল শাহজাহানকে নিয়ে। কিছুতেই শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে রাজি হচ্ছিল না রাজ্য। “অভিযুক্তকে আড়াল করতেই কি লুকোচুরি খেলছিল পুলিশ?” কার নির্দেশেই বা শাহজাহানকে সামলে রাখা হচ্ছিল। প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    আরও পড়ুন: ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! ইডির তালিকায় শাহজাহানের কোন কোন জমি?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “বাংলার অরাজক পরিস্থিতি ঘোচানোর চেষ্টা করব”, পদ্ম-পতাকা নিয়ে বললেন তাপস

    Lok Sabha Election 2024: “বাংলার অরাজক পরিস্থিতি ঘোচানোর চেষ্টা করব”, পদ্ম-পতাকা নিয়ে বললেন তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলার বুকে যে অরাজক পরিস্থিতি চলছে, তা ঘোচানোর চেষ্টা করব।” বুধ-সন্ধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন তৃণমূলের প্রাক্তনী তাপস রায়। এদিন সল্টলেক সেক্টর ফাইভের বিজেপি দফতরে গিয়ে পদ্ম-শিবিরে যোগ দেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উত্তরীয় পরিয়ে তাপসের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিজেপির ঝান্ডা। 

    কী বললেন তাপস?

    পদ্ম আঁকা পতাকা হাতে নিয়ে তাপস বলেন, “আমি আজ থেকে মোদি পরিবারের সদস্য হলাম। যতদিন রাজনীতিতে থাকব, এই পরিবারের সদস্য হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করব। বাংলার বুকে যে অরাজক পরিস্থিতি চলছে, তা ঘোচানোর চেষ্টা করব। দলের প্রতি ১০০ শতাংশ সৎ থাকব।” সদ্যই তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টেনেছেন পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ। এদিন (Lok Sabha Election 2024) যোগ দিলেন বিজেপিতে।

    ‘বাংলায় অরাজকতা চলছে’

    বলেন, “বাংলায় অরাজকতা চলছে। এই সরকার শেখ শাহজাহানদের সরকার, উত্তম সর্দারদের সরকার, শিবু হাজরাদের সরকার (সন্দেশখালির এই তিনজনের গায়ে লেগেছে নারী নির্যাতনের অভিযোগের কালি)। এই সরকার সংবিধান, আইনকানুনের কথা বলে। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশ মানে না। বাংলা থেকে এই অমানবিক জলদস্যুদের সরিয়ে সকলে মিলে যাতে শান্তির বাংলা গড়তে পারি, তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম।”

    বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি তিনি যে একশো শতাংশ লয়্যাল থাকবেন, এদিন তাও জানিয়ে দেন তাপস। তাঁকে প্রদেশ বা জেলায় যে দায়িত্বই দেওয়া হবে, সেই দায়িত্বই তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলেও জানান তাপস। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। তিনি বলেন, “বাংলায় বিজেপির হাত শক্ত হচ্ছে।” তাপসকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “উত্তর কলকাতায় আমাদের দলের সংগঠনে অভিজ্ঞ নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল। আশা করছি, তাপস রায়ের যোগদান সেই প্রয়োজন অনেকটাই মেটাবে (Lok Sabha Election 2024)।”

    আরও পড়ুুন: মহিলাদের ‘লাখপতি দিদি’ বানানো তাঁর লক্ষ্য, বারাসতে ঘোষণা মোদির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: ‘‘ফাইল চেপে রাখবেন আর আমরা তা দেখব?’’ রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘ফাইল চেপে রাখবেন আর আমরা তা দেখব?’’ রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য। সিবিআই-এর এই অভিযোগের পর রাজ্যকে মঙ্গলবারের মধ্যে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জ গঠনের বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু এদিনও তা জানাতে পারল না রাজ্য সরকার। 

    কী বলল রাজ্য

    রাজ্য সরকার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখে আদতে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে বলে অভিযোগ সিবিআই-এর। তাই সোমবার এ বিষয়ে  বক্তব্য জানতে চেয়ে রাজ্যকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার রাজ্যের কৌঁসুলি এজলাসে এসে জানান, জানুয়ারি মাসে মুখ্যসচিব দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই তাঁকে নথিপত্র দেখে বক্তব্য পেশের সময় দেওয়া হোক। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা আসার ফলে মুখ্যসচিব ফাইল দেখার সময় পাচ্ছেন না।

    ক্ষুব্ধ আদালত

    রাজ্যের কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বসাক  জানতে চান, আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। এখনও আপনার মুখ্যসচিব ফাইল দেখার সময় পাননি? দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিচারপতি বসাক মন্তব্য করেন, ‘‘আপনারাই আমাদের পদক্ষেপ করতে বাধ্য করছেন। কবে জানাতে পারবেন তাও বলতে পারছেন না। তা হলে ওঁকে কোর্টে ডেকে পাঠাই?’’ এদিন রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বসাকের মন্তব্য, ‘‘অজুহাত দেবেন না। আপনারা ফাইল চেপে বসে থাকবেন এবং আমরা তা বসে বসে দেখব? এত দিন ধরে কী করেছেন?’’ কোর্টের নির্দেশ, রাজ্যের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আজ, বুধবার কোর্টকে জানাতে হবে।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত, আজই সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহান?

    সিবিআই-এর অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহ, প্রাক্তন সচিব সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু নিম্ন আদালতের (Calcutta High Court) বিচারক জানিয়েছেন, চারটি মামলায় একাধিক সরকারি কর্মী ও কর্তার নাম অভিযুক্তের তালিকায় থাকলেও তাঁদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেওয়া হয়নি রাজ্য সরকারের। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য যা জরুরি। তাই ওই চার মামলার চার্জশিট গ্রহণ করা যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠছে, বিচার শুরুতে বিলম্ব করাতেই রাজ্যের এই গড়িমসি। এ বিষয়ে সিবিআইয়ের দাবি, রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে গত এক বছরে তারা বেশ কয়েক বার ই-মেল ও চিঠি পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুমতি চাইলেও, তা পাওয়া যায়নি। তা থেকেই এই আইনি জটিলতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share