Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sandeshkhali Incident: শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক! সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তম-শিবুকে জেরা করতে চায় ইডি

    Sandeshkhali Incident: শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক! সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তম-শিবুকে জেরা করতে চায় ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি-কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাকে জেরা করতে চায় ইডি। এলাকায় শাহজাহানের ‘ডান হাত’ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন উত্তম ও শিবু। তাঁদের বিরুদ্ধেও জমি হাতিয়ে নেওয়া থেকে নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অভিযোগে সরব হয়েছিলেন  সন্দেশখালির বাসিন্দারা। উত্তম ও শিবুর কোটি টাকার সম্পত্তির আভাসও পেয়েছে ইডি। 

    ইডির সন্দেহ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধৃত উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে দিল্লির ইডি সদর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের অফিসাররা। লিগ্যাল সেলের সঙ্গেও আলোচনা করছেন ইডি আধিকারিকরা। আলোচনা করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের সঙ্গেও । ইডির দাবি, উত্তম সর্দার এবং শিবুর হাজরার সম্পত্তির খতিয়ানের তথ্য যাচাই করার পর রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পেতে তাদের সুবিধা হবে। উত্তম ও শিবু দুজনেই শেখ শাহজাহানের কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সেই তথ‌্যও সংগ্রহ করতে চায় তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: “দারুন বলেছেন”, মুইজ্জুর উদ্দেশে করা জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রশংসায় বিগ বি

    শাহজাহান যোগ

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরাসরি মামলা দায়ের করেছে ইডি। সেই সূত্র ধরে, শাহজাহানের টাকার লেনদেনের খোঁজে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে ইডি তল্লাশিও চালিয়েছে ৷ একইসঙ্গে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানায় হওয়া মোট চারটি মামলা বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে আছে। ইডির সন্দেহ, শাহজাহান বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এমনকী, ভুয়ো সংস্থার মাধ‌্যমেও একাধিক দুর্নীতির টাকা পাচার করেছেন। ইডির বিশ্বাস,  শাহজাহানের নামে ও বেনামে বিভিন্ন ব‌্যবসা এবং টাকা লেনদেনের তথ‌্যও জানে তাঁর দুই সঙ্গী উত্তম ও শিবু।  ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। ভবানী ভবনে তদন্তকারীরা ধৃত তৃণমূল নেতাকে দফায় দফায় জেরা করছে। আর সেই জেরার মুখে প্রাথমিকভাবে ঔদ্ধত্য দেখালেও ধীরে ধীরে ভোলবদলাতে শুরু করেছেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’! তদন্তে সহযোগিতা করছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “সচেতন মানুষদের রাজনীতিতে আসা উচিত” বার্তায় নির্বাচনী প্রচার শুরু নির্মল সাহার

    Murshidabad: “সচেতন মানুষদের রাজনীতিতে আসা উচিত” বার্তায় নির্বাচনী প্রচার শুরু নির্মল সাহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন ডাক্তার নির্মল সাহা। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং পেশায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ডাক্তার বলে পরিচিত। গত ২ মার্চ শনিবার দিল্লির সদর দফতর থেকে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আসন্ন লোকসভার ১৯৫ জনের পদ প্রার্থী নামের তালিকা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে বাংলায় মোট ২০ জনের নাম ঘোষণা হয়েছে। একই ভাবে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী গৌরিশঙ্কর ঘোষ।

    বহরমপুর কেন্দ্রে আগের বারের জয়ী প্রার্থী ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। তিনি এখানে ৫ বারের কংগ্রেস সাংসদ। এদিন সাংগঠনিক বৈঠক করে বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা জয় বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।

    কী বললেন নির্মল সাহা (Murshidabad)

    বিজেপি প্রাথী নির্মল সাহা (Murshidabad) বলেন, “দল আমাকে প্রার্থী করেছে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। সমাজের নানা বর্গের মানুষ, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী, বিজ্ঞানী সকল সচেতন মানুষদের রাজনীতিতে আসা উচিত। মানব সম্পদের উন্নয়ন হোক, সুস্থ সমাজ চাই। মানুষের জন্য মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। নিজের ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়াকে উপেক্ষা করে সমাজের মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে হবে। মানব সম্পদকে ৫০০ টাকা দিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা যাবে না। মানুষকে প্রলোভনের নামে শোষণ করা যাবে না। ভুলকে সব সময় ভুল বলতে হবে। নিজেদের প্রয়োজনে সঠিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে।”

    লড়াই মোদি বনাম ইন্ডি

    উল্লেখ্য এই বহরমপুরের (Murshidabad) বিধানসভা থেকে জনসংঘ দলের হয়ে হরিপদ ভারতী জয়ী হয়েছিলেন। এই কথা প্রসঙ্গ স্মরণ করে নির্মল সাহা আরও বলেন, “এই লোকসভার লড়াই হল মোদি বনাম ইন্ডির। রাজনীতিতে সামাজিক ভাবে সচেতন মানুষদের আসতে হবে। দায়িত্বশীল মানুষেরা রাজনীতিতে আসলে ব্যবস্থার পরিবর্তন অবশ্যই হবে। পরের প্রজন্মের জন্য আমরা এক সুন্দর সমাজ উপহার দিতে পারব। যেভাবে এই সমাজ চলছে সমাজ অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অবক্ষয় থামানো দরকার। সকল মানুষের কাছে পৌঁছানোই আমাদের একমাত্র কর্তব্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “একটাও বোমাবাজির কথা যেন শুনতে না হয়”, সাফ কথা কমিশনের

    Lok Sabha Elections 2024: “একটাও বোমাবাজির কথা যেন শুনতে না হয়”, সাফ কথা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। সোমবার রাজ্যে এসেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এদিন রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ধমক খেলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁর কাছে কমিশনের প্রশ্ন ছিল, সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রিন পুলিশ কী? বিনীত বলেন, “একই টাইপের।” এর পরেই বিরক্ত কমিশন সিপিকে বলেন, “জেনে কথা বলুন, পার্থক্য বুঝুন। তারপরে বলুন।”

    সিভিকে না কমিশনের

    এদিনের বৈঠকে কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনওভাবেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না নির্বাচনের কাজে। একটাও বোমাবাজির ঘটনার কথা যেন শুনতে না হয়। প্রথম দফার আগেই (Lok Sabha Elections 2024) কার্যকর করতে হবে জামিন অযোগ্য ধারা। তার আগে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিশনের কাছে। কমিশন এও জানিয়ে দিয়েছে, “সমস্যা থাকলে বলুন। এখনের রিপোর্ট আর পরবর্তী রিপোর্ট যেন একই থাকে, আলাদা হলেই মুশকিল।”

    কী বললেন রাজীব কুমার?

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “যাঁরা সঠিকভাবে কর্তব্য পালন করতে পারছেন না, তাঁরা দায়িত্ব ছেড়ে দিন। কীভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হয়, কমিশন তা জানে। বোমাবাজি নিয়ে কোনও অভিযোগ এলে আমরা কিন্তু কাউকে ছাড়ব না।” কলকাতা পুলিশের সিপির উদ্দেশে তিনি বলেন, “যারা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে, অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে।” ভোটার তালিকা থেকে কেন মৃত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন করে কমিশন।

    আরও পড়ুুন: লালুর কটাক্ষকে মুখের মতো জবাব বিজেপির, স্বয়ং মোদি কী বললেন জানেন?

    জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে কমিশনের রোষের মুখে পড়েছে দুই চব্বিশ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও উত্তর দিনাজপুরের জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কেন আইন মেনে কাজ হচ্ছে না, সে প্রশ্নও করে বেঞ্চ। কমিশনের নির্দেশ, প্রত্যেক সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের। লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকেই জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের ফি সপ্তাহে বৈঠক বাধ্যতামূলক করেছে কমিশন। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার নাম ঘোষণা হতেই কোন্দল স্পষ্ট। চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বীরভূমে (Birbhum) কেষ্টমণ্ডলের গড়ে রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করা যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেষ্ট এবং কাজল শেখের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কথা অনেক দিন ধরেই আলোচনার শীর্ষে ছিল। কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। অপরে কাজল শেখের গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অনুষ্ঠানিক ভাবে দলের জেলা সভাপতিত্বের পদ থেকে সরানোনি। ফলে বীরভূমের শাসক দলের অন্দরে ফাটল স্পষ্ট।

    “জনগর্জন সভা”য় গোষ্ঠী কোন্দল (Birbhum)

    রাজ্যের মন্ত্রীর সামনে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। সোমবার ছিল তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের সভা। আজ সোমবার, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের “জনগর্জন সভা”র একটি প্রস্তুতি সভা ছিল বীরভূমের (Birbhum) মুরারই পশুহাটে। এখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বস্ত্র, ক্ষুদ্র, কোটির শিল্প দফতরের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সাহা। এই সভায় মুরারই-১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসাবে কাজী আশরাফুল ইসলাম ওরফে নবাবের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলে সংখালঘু সেলের নেতা রাজ্য সম্পাদক আলি রেজা খান। নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় একংশের মধ্যে বিক্ষোভ। এমনকী তৃণমূল জেলা কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তবুও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সভা ছেড়ে চলে যান।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    বোলপুর (Birbhum) বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অবশ্য দলের কর্মীদের সভায় বিক্ষোভ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। সেই কারণে কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল। সকলে অপেক্ষা করে আছেন কবে ভোট। আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব। দল একটি সমষ্টি গত রূপ। এক কর্মী ভুল করলে অন্য কর্মী তাঁকে ঠিক করে দেবেন। কোনও কোন্দল নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: দু’ফোঁটার বদলে গোটা শিশি! শিশুকে পোলিও খাওয়ানো ঘিরে তোলপাড়

    Jalpaiguri: দু’ফোঁটার বদলে গোটা শিশি! শিশুকে পোলিও খাওয়ানো ঘিরে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ফোঁটার বদলে গোটা শিশি! শিশুকে পোলিও খাওয়ানো ঘিরে তোলপাড়। গতকাল রবিবার দুই ফোঁটার বদলে পুরো শিশি পোলিও শিশুকে খাইয়ে দিল এক স্বাস্থ্য কর্মী। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শিশুকে। ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মাল মহকুমার ক্রান্তি ব্লক এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। চার বছরের এক শিশুকে তার মা পোলিও খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। মূল অভিযোগ হল, কর্তব্যরত এক স্বাস্থ্য কর্মী এক শিশি পোলিও খাইয়ে দেয়। এরপর মা, তাঁর স্বামীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ইতিমধ্যে শিশুর জ্বর চলে আসে। বাবা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বাস্থ্য কর্মীদের জিজ্ঞেস করলে উত্তর পান শিশুর কিছুই হবে না। কিন্তু তত সময়ে মারাত্মক হয়ে ওঠে শিশুর অবস্থা। এরপর মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণে পোলিও খাওয়ানোর জন্য এই অসুস্থাতা বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

    পরিবারের বক্তব্য (Jalpaiguri)

    পরিবার সূত্রে শিশুর বাবা তপন রায় বলেন,“এক শিশি সমস্ত পোলিও খাওয়ানোর ফলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বর চলে আসে আমার সন্তানের। স্বাস্থ্য কর্মীদের জিজ্ঞেস করলে ওরা বলে কিছুই হবে না। কিন্তু আমার সন্তান দারুণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বেগতিক বুঝে মালবাজার (Jalpaiguri) হাসপাতালে নিয়ে যাই। দোষী ওই স্বাস্থ্য কর্মীদের কঠোর শাস্তি চাই।”

    থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের

    ঘটনায় ইতিমধ্যে ক্রান্তি থানার (Jalpaiguri) ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুর বাবা তপন রায়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের ফোন ধরেননি। জেলা শাসক শামা পারভিন বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    Loksabha Vote: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করে কমিশন, সোমবার এমনই দাবি জানাল রাজ্য বিজেপি। কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে এই দাবি জানান বিজেপির প্রতিনিধিরা (Loksabha Vote)। আগেই ঠিক ছিল ৪ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে। সেইমতো এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির তরফ থেকে বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ভোট পরবর্তী হিংসা এবং ভোটের দিন সন্ত্রাস- এই সমস্ত কিছুকেই তুলে ধরা হয়েছে কমিশনের সামনে।

    কী বললেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    বিজেপির প্রতিনিধি জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট (Loksabha Vote) দিতে পারে, আমরা তাই বলেছি।” জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে ফুল বেঞ্চের সামনে। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “২০২১, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা দেখেছে সাধারণ মানুষ। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের ঘটনা প্রমাণ করেছে পুলিশ ক্রিমিনালদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করাতে এসে যেন পর্যবেক্ষকরা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে।রাজ্য পুলিশের কথায় যেন তারা বিশ্বাস না করেন। তারা যেন বিরোধী দলের ইনপুট, নিজেদের ইনপুট -এর উপর ভরসা করে।”

    পুলিশের ওপর ভরসা না করতে আবেদন কমিশনকে 

    সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে একের পর এক বৈঠক সারতে থাকে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। নির্বাচন কমিশনের সামনে এক দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট (Loksabha Vote) করানোর প্রস্তাব রাখে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেখানে সারা রাজ্যে এক দফায় ভোট করানোর দাবি একেবারেই অযৌক্তিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরিয়া ডমিনেশনের কাজে যেন লোকাল আইসিদের কথায় ভরসা না করে কমিশন, এমন আবেদনও করেছে বিজেপি। পাশাপাশি অবজারভারদের সঙ্গে আধা সেনার সমন্বয়ের কথাও বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে ভুয়ো ভোটারদের কথাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। ছাড়লেন বিধায়ক পদও। সোমবার বিধানসভায় পৌঁছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন ইস্তফাপত্র। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাপস। বলেন, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন। অন্য কারও বাড়িতে গেলে বলেন ইডি কৌটো নাড়াল। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।” তাপস বলেন, “বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন, অথচ আমার বাড়িতে ইডির হানার কথা উল্লেখই করলেন না। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।”

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাপসের

    পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ (Tapas Roy) বলেন, “কেউ আমাকে বা আমার পরিবারকে ফোন করেনি। এর পেছনে আমার দলের কেউ কেউ রয়েছে। আজ কুণাল ঘোষ আমায় বোঝাতে এসেছিল। ও আমার সামনে শোকজ হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যাঁদের শোকজ বা সাসেপেন্ড হওয়ার কথা, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে।” তাপস বলেন, “বাহান্ন দিন আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী, কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম, ক্রিয়েটেড ইডি রেইডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    ব্যর্থ চেষ্টা, হাতছাড়া তাপস

    তাপসকে দলে ধরে রাখতে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। এদিন সাতসকালে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বরানগর পুরসভার কাউন্সিলররা। তাঁদের সঙ্গে দলের তরফে ছিলেন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। ঘণ্টাখানেক ধরে বোঝানো হলেও, তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও সরেননি ঘাসফুল শিবিরের এই প্রাক্তন সেনানী। এক সময় কংগ্রেস করতেন তাপস (Tapas Roy)। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে যখন তণমূল কংগ্রেস তৈরি করলেন, তখন যাঁরা মমতার সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাপসও। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইদানিং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাপসের। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির পদ থেকে তাপসকে সরিয়ে দিতেই হতাশ হন তাঁর অনুগামীরা। বাড়িতে ইডি কর্তারা হানা দিলে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, “আমার বাড়িতে ইডি আসার পিছনে হাত রয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” এরপর অবশ্য চুপচাপই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ এদিন ছাড়লেন তৃণমূল-সঙ্গ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব”, বিজেপি প্রার্থী হয়ে বললেন লকেট

    Hooghly: “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব”, বিজেপি প্রার্থী হয়ে বললেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার টিকিট পেয়েই সক্রিয় বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভার পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। হুগলি (Hooghly) লোকসভার ১৮ লক্ষ মানুষের আওয়াজ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো লোকসভায় যেতে বদ্ধপরিকর লকেট। তাঁর নাম গত শনিবার প্রেস কনফারেন্সে প্রকাশিত হতেই দলীয় পার্টি অফিসে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপি প্রথম দফায় সারা দেশে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে এই রাজ্যের রয়েছেন ২০ জন প্রার্থী। এই ২০ জনের মধ্যে দেখা যায় হুগলি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় পুনরায় টিকিট পেয়েছেন।

    কী বললেন লকেট (Hooghly)?

    হুগলিতে (Hooghly) প্রেসমিট করে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব। তৃণমূল রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করেছে। আমরা সেই ধাক্কা সামলে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছি। আমাদের কর্মীরা এলাকায় ভীষণ ভাবে সক্রিয় রয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং দলের নেতৃত্বকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমরা এবার ৩৫টি আসন বাংলা থেকে উপহার দেবো। আমি আমার রাজ্যের কথা সংসদে বলতে সক্ষম হয়েছি। লোকসভার আগে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে, সরকার ভেঙে যেতে পারে। এলাকায় তৃণমূলের মদতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে কিন্তু আমাদের সংগঠন অনেক মজবুত রয়েছে। এই বারে সংসদে ৪০০ আসন পাবে বিজেপি।”

    শুরু দেওয়াল লেখন

    রবিবার দুপুর থেকেই হুগলীতে (Hooghly) লকেটের সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। লকেটের সমর্থনে এলাকায় বিজপি কর্মীরা নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এদিন চুঁচুড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পিপুলপাতি এলাকায় দেওয়াল লেখার সূচনা করেন খোদ প্রার্থী। পাশাপাশি কর্মীসভা, চায়ে পে চর্চার মাধ্যমে সারাদিনই ব্যস্ত থাকেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। জনসংযোগের মাধ্যমে অন্য দলগুলির তুলনায় প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে থাকাই যে তাঁর লক্ষ্য তা তিনি এদিন বুঝিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    BJP: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার আগেই তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি (BJP)। সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জিতল বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এড়াশাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে শুভেন্দুর গড়ে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল।

    সমবায়ের ৬টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি (BJP)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এড়াশাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটকে ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনা ছিল। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। ওই সমিতিতে মোট ৯টি আসন। সব আসনেই প্রার্থী দেয় দুইপক্ষ। সমবায় সমিতি নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও সকাল থেকে লড়াই ও উত্তেজনা ছিল চরমে। ৯টি আসনের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (BJP) ৬টি আসন পায়। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়লাভ করে। জয়ের পর আবির খেলায় মেতে উঠেন জয়ী সমবায় সমিতির সদস্যরা থেকে বিজেপি কর্মীরা। আবির ও বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করেন তাঁরা। এই জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতি তরজা

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এখানে কোনও প্রতীক থাকে না। বিজেপি অহেতুক উল্লাস করছে। প্রতীক থাকে না, তাই ব্যক্তি কেন্দ্রিক ভোট হয়। তাই, লোকসভায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির (BJP) সহ- সভাপতি পুলক কুমার গুড়িয়া বলেন, “সব থেকে পুরনো সমবায় সমিতি। ১০৪ বছরের বেশি পুরনো। সেখানেই তৃণমূল ও সিপিএম যেভাবে দুর্নীতি করে গিয়েছে তা বাঁচানোর জন্য এলাকার নেতৃত্ব থেকে ও স্থানীয় বাসিন্দারা গর্জে উঠেছেন। মানুষ তৃণমূলকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই, লোকসভা ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের কাছে এই ফল বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতেই সূচনা, গভীরতম মেট্রো স্টেশন এবার হাওড়ায় 

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতেই সূচনা, গভীরতম মেট্রো স্টেশন এবার হাওড়ায় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া থেকে ধর্মতলা মাত্র ৮ মিনিটে। হাওড়া থেকে শিয়ালদা মাত্র ১১ মিনিটে। সৌজন্যে কলকাতা মেট্রো রেল (Metro Rail)। দীর্ঘ অপেক্ষার পর উদ্বোধন হতে চলেছে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুট। সব ঠিক থাকলে আগামী ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে চালু হবে সংশ্লিষ্ট রুট। মেট্রো সূত্রের খবর, আগামী বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তবে এখনই গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো সফর করবেন না তিনি।

    মেট্রো সফর এখন নয়

    সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সূত্রের দাবি, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) মেট্রো সফর না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, শুধু উদ্বোধন নয়, গঙ্গার ২৮ মিটার নীচ দিয়ে ঐতিহাসিক মেট্রো সফরেরও সাক্ষী থাকতে চান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শুধু পতাকা নেড়েই তাঁকে ফিরে যেতে হবে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) কর্তারা এসপ্ল্যানেড স্টেশন পরিদর্শনে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন লালবাজার, পূর্ত, কলকাতা পুরসভা, দমকল সহ একাধিক রাজ্য সরকারি দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরাই নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রীকে এখনই গঙ্গার নীচে মেট্রো সফর করতে বারণ করেছেন।

    মোদির হাতেই সূচনা

    আগামী বুধবার, এসপ্ল্যানেড স্টেশনে নেমে মেট্রো উদ্বোধন সারবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। সেখান থেকেই গড়িয়া-এয়ারপোর্ট রুটের অন্তর্গত কবি সুভাষ-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবির মোড়) এবং জোকা-বিবাদী বাগ রুটের অন্তর্গত তারাতলা থেকে মাঝেরহাট মেট্রোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। রাস্তা থেকে লিফ্ট কিংবা এসক্যালেটর চড়ে চারটি প্ল্যাটফর্ম বিশিষ্ট এসপ্ল্যানেড স্টেশনে মেট্রোয় ওঠার জায়গায় পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রীকে প্রায় ২০০ মিটার হাঁটতে হবে। মেট্রোর উদ্বোধনের পরই মোদি রেসকোর্স থেকে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে বারাসতে একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাবেন। সেক্ষেত্রে মেট্রো চড়ে হাওড়া ময়দানে পৌঁছে তাঁকে সময়ে ফিরিয়ে আনা যথেষ্ট কঠিন। তাই শুধুমাত্র উদ্বোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতেও সভা করবেন মোদি! কবে, কখন কী বললেন সুকান্ত? 

    গভীরতম মেট্রো স্টেশন

     ধীরে ধীরে সেজে উঠছে দেশের সবচেয়ে গভীরে তৈরি হওয়া মেট্রো স্টেশন (Metro Rail)। হুগলি নদীর পাশে, অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশনের সঙ্গে জুড়ে তৈরি হওয়া হাওড়া মেট্রো স্টেশনের শেষ অধ্যায়ের কাজ হয়েছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। ৩০ মিটার নদীর গভীর দিয়ে দৌড়বে এই মেট্রো। নদীর তলায় দু’টি টানেল ৫২০ মিটারের। যার এক প্রান্তে হাওড়া, অন্যদিকে মহাকরণ। হাওড়া মেট্রো স্টেশনের গঠন কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। জমি থেকে ১০৫ ফুট নীচে এই স্টেশন। নীচে নামতে চারটি লেবেল ও পাঁচটি স্ল্যাব পেরতে হবে। সিঁড়ি ভাঙতে যাঁদের অসুবিধা তাঁরা চলমান সিঁড়ি ব্যবহার করবেন। থাকছে লিফটের ব্যবস্থাও। এর জন্য মেট্রো রেল সব ব্যবস্থাই রেখেছে আধুনিকভাবে। এই মেট্রো স্টেশনে থাকছে ২৬টি এসক্যালেটর। থাকছে ৭টি লিফট। চার তলা এই স্টেশনের দুই ও তিন তলায় আছে কন্ট্রোল ও মেকানিক্যাল রুম। মোট ৪টি প্ল্যাটফর্ম থাকছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share