Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই আবহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর থানার পানিপিয়া এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম এনামুল মণ্ডল। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুলসাহেব ও তাঁর ছেলেরা পঞ্চায়েত ভোটে জোট প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই সময় থেকে চলত হুমকি। তারপর ছেলেরা কেরলে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে এনামুল তাঁর বাড়ির সামনের একটি মুদিখানা দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরেই বাঁশ, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় এনামুলকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছেন এনামুলকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা মারধর করে। পরে, এলাকা ছেড়ে ওরা পালায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, এটা গ্রাম্য বিবাদ। আর সেটাকেই রাজনীতির রং চড়ানো হচ্ছে। তাই, গ্রামের সাধারণ বিবাদের সঙ্গে যদি রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সে সব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া খুব মুশকিল। মৃত্যুর ঘটনা সমর্থন করা যায় না। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আইন আইনের কাজ করবে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev at ED Office: গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির তৃণমূল সাংসদ দেব

    Dev at ED Office: গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির তৃণমূল সাংসদ দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ ফেব্রুয়ারি গরুপাচার মামলায় অভিনেতা-সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে (Dev at Ed Office) তলব করেছিল ইডি। সেই মতো দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজির হলেন তৃণমূল সাংসদ। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডির সদর দফতরে হাজির হন দেব। দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব জানান, যত বার ইডি (Dev at ED Office) তাঁকে ডাকবে, ততবারই তিনি হাজির হবেন।

    ২০২২ সালে দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই 

    এটাই তবে প্রথম নয়, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজাম প্যালেসে দেবকে তলব করে সিবিআই। সেদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অভিনেতা-সাংসদকে। সিবিআই-এর তরফে তখন জানানো হয়েছিল, গরু পাচারকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীকে জেরা করার সময় দেবের নাম উঠে এসেছিল। সেই কারণে তাঁকে ডাকা (Dev at ED Office) হয়েছিল।

    দেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ

    দেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে এরপরেই। ২০২৩ সালে দেবের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Dev at ED Office) জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি নেতার অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হকের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ। দেব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    সম্প্রতি দেব রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন

    সম্প্রতি দেব রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। লোকসভার বাজেট অধিবেশনের ছবি পোস্ট করে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টও করেছিলেন অভিনেতা। তাতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, দেব (Dev at ED Office) আসন্ন লোকসভায় আর তৃণমূল প্রার্থী হতে চাইছেন না।  কিন্তু এরপরেই দেব একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে রাজনীতিতে থাকার কথা জানান। বৈঠক করেন অভিষেক-মমতার সঙ্গে। এরই মাঝে ইডির তলব এসে পৌঁছয় দেবের দুয়ারে। তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি অভিনেতা-সাংসদ। এদিন গেলেন হাজিরা দিতে।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    ED Raid: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণা (Cyber Scam) মামলায় অভিযানে নামল ইডি (ED Raid)। বুধবার সকাল থেকে বেনিয়াপুকুর, বাগুইআটি সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, হাজার কোটি টাকার সাইবার প্রতারণা মামলায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইডি জানতে পেরেছে, ইকো স্পেসের ভিতরে ‘MET’ নামের কল সেন্টার চলছিল। এই কোম্পানির কর্ণধার ছিলেন কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের কিংপিন কুণাল গুপ্ত। এদিন, কুণালের একাধিক পরিচিতের ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান করেছেন আধিকারিকরা। 

    কোথায় কোথায় তল্লাশি

    ইডির (ED Raid) সূত্রে খবর, সাতসকালে  ১১ নম্বর বেনিয়াপুকুরের তাঁতিবাগান লেনে হানা দেন ইডির অফিসাররা। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা করার অভিযোগে কুণাল গুপ্তকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এই কুণালই নানা জায়গায় ভুয়ো কল সেন্টার খুলে সাইবার প্রতারণা করত। হাজার হাজার কোটি টাকা লুঠ করেছে সে। তাকে জেরা করেই এদিন বেনিয়াপুকুর, বাগুইআটি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বেনিয়াপুকুরে কুণাল গুপ্তর ঘনিষ্ঠ শোয়েব আলমের বাড়িতে আজ হানা দেয় ইডি। তদন্তকারী আধিকারিকদের এক দল পৌঁছৈ যায় বাগুইহাটি দেশবন্ধু নগরে গৌতম গুপ্তের বাড়ি। ইডি সূত্রে খবর, এই গৌতম গুপ্ত আবার কুণাল গুপ্তের আত্মীয়। 

    আরও পড়ুন: ‘বিরুষ্কা’র কোলে দ্বিতীয় সন্তান, ছেলেন নাম ‘অকায়’, জানালেন কোহলি

    সাইবার প্রতারণায় কারা লাভাবান

    উল্লেখ্য, প্রথমে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম (Cyber Scam) থানা ভুয়ো কলসেন্টার চক্রের পর্দাফাঁস করে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের বেঙ্গল ইন্টেলিজেন্স পার্কের ১৩ তলায় বিনীত টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক কল সেন্টারের হদিশ মেলে। সেখানেই হানা দিয়ে বিরাট মাপের প্রতারণা চক্রের হদিশ পান তদন্তকারীরা। ইডি (ED Raid) অফিসাররা বলছেন, এই শোয়েব হল কুণালের ডান হাত। এর সঙ্গে মিলেই সাইবার প্রতারণার ব্যবসা খুলে বসেছিল কুণাল। বহু লোকজনকে ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল। বিধাননগর সাইবার থানায় প্রথম এমন সাইবার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত শুরু হয়। পরে সেই তদন্তভার এসে পৌঁছয় ইডির কাছে। কুণালকে দফায় দফায় জেরা করে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, এই মামলায় কোনওরকম হাওয়ালা যোগ রয়েছি কি না, বা সাইবার প্রতারণায় কারা কারা লাভাবান হয়েছেন, সেই সমস্ত দিকগুলিও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন তিনিই। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। প্রসন্ন ও তাঁর পরিচিতদের ৯০টি সংস্থা রয়েছে বলেও দাবি ইডির।

    গ্রেফতার প্রসন্ন

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে। এর আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। মুক্তি পেয়েছিলেন জামিনে। এদিন রাতে ফের হলেন গ্রেফতার। এবার অবশ্য ইডির হাতে। মঙ্গলবার তাঁকে তোলা হয় নগর দায়রা আদালতে। সেখানেই ইডির দাবি, প্রসন্ন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের (SSC Recruitment Case) কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। ওএমআর শিটে কারচুপিও করতেন বলে দাবি ইডির।

    ওএমআর শিটে কারচুপি

    আদালতে ইডি জানিয়েছে, কেলেঙ্কারি থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন প্রসন্ন। মোট ২ হাজার ৮১জনকে অবৈধভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ১৩৫জনকে। আর একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ৯৪৬জনকে। অনেক চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। ইডি আরও জেনেছে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১৮৩জনকে। ইডির দাবি, এই অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন প্রসন্ন। তাঁর অফিস থেকে ৩৯০টি দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৬-২০২১ সালের মধ্যে প্রচুর টাকার সম্পত্তি কিনেছেন প্রসন্নর পরিবার। তাঁর সংস্থার নামেও কেনা হয়েছে সম্পত্তি। কারচুপি করা হয়েছে সম্পত্তির দামেও। ইডি জানিয়েছে, প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ২০০টি। সেগুলিতেও জমা করা হয়েছে প্রচুর নগদ টাকা।

    আরও পড়ুুন: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    প্রসন্নর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ। তিনি একজন মিডলম্যান। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে প্রসন্নকে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: রবিবার উদ্বোধন কল্যাণী এইমসের, রোগী ভর্তি কবে থেকে জানেন?

    PM Modi: রবিবার উদ্বোধন কল্যাণী এইমসের, রোগী ভর্তি কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান হচ্ছে রবিবার। বাংলার প্রথম এইমস হাসপাতালের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উনিশ সালে চালু হয়েছিল এই হাসপাতালের কয়েকটি বিভাগ। এবার পুরোদমে চালু হতে চলেছে হাসপাতালটি। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন তিনি। এদিনই তিনি উদ্বোধন করবেন রাজকোট, মঙ্গলাগিরি, ভাটিন্ডা, রায়বরেলি ও জম্মু এইমেসরও।

    কল্যাণী এইমস

    বর্তমানে কল্যাণীতে যে এইমস তৈরি হয়েছে, তা হওয়ার কথা ছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। পরে সেই হাসপাতাল তৈরি হয় কল্যাণীতে। মোদি সরকার (PM Modi) অনুমোদন দেওয়ায় কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে গড়ে ওঠে এইমস। এতদিন কয়েকটি বিভাগে আউটডোরে চিকিৎসা হচ্ছিল। এবার সেটাই চালু হবে পুরোদমে।

    কী কী রয়েছে এই এইমসে?

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই অনুমোদন মেলে কল্যাণী এইমসের। পরের বছর ১ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ১৭৯ একর জমি দেয় রাজ্য সরকার। হাসপাতালটিতে শয্যা রয়েছে ৯৬০টি। ১২৫টি আসনের মেডিক্যাল কলেজ, ৬০ আসনের নার্সিং কলেজ, ৩০ শয্যার আয়ুষ ব্লক, অধ্যাপক ও কর্মীদের জন্য আবাসন, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস, নৈশকালীন আশ্রয়স্থল, অতিথিনিবাস ও প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক আইসিইউ, ২৩টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার, একটি ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং উন্নতমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

    এতদিন সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের ওপিডি খোলা থাকত। সোম, বুধ ও শুক্র খোলা থাকত সিটিভিএস। সোম ও বুধবার থাকত কার্ডিওলজি, সোম ও শুক্র খোলা থাকত অপথেমোলজি, বৃহস্পতিবার থাকত ইএনটি এবং শুক্রবার থাকত সাইক্রিয়াট্রিক বিভাগ।

    আরও পড়ুুন: “আপনাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হবে অচিরেই”, ভূস্বর্গে বললেন মোদি

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা ছড়িয়ে দিতে চান গোটা দেশে। তাই দেশে ২২টি নতুন এইমস তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি অনুমোদন পেয়েছে এনডিএ সরকারের আমলে। এই তালিকায় রয়েছে, গোরখপুর, নাগপুর, কল্যাণী, মঙ্গলগিরি, বিবিনগর, ভাতিন্ডা, দেওঘর, বিলাসপুর, রাজকোট, গুয়াহাটি, বিজয়পুর, মাদুরাই, অবন্তিপোরা, রেওয়াড়ি এবং দ্বারভাঙা (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: বৃদ্ধার জমি দখল করেই তৈরি হয়েছে খেলার মাঠ! অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

    Hooghly: বৃদ্ধার জমি দখল করেই তৈরি হয়েছে খেলার মাঠ! অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধার জমি দখল করে খেলার মাঠ তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই। পালটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওঁই কাউন্সিলর। বৃদ্ধা স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র আশ্রয় হল এই জমি। এবার এই জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এমন ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) ডানকুনিতে। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    হুগলির কোথায় ঘটেছে ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি (Hooghly) পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পাড়া এলাকায় বৃদ্ধার চার কাঠা জমি রয়েছে। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। বৃদ্ধা মঞ্জুদেবীর স্বামী কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুই ছেলে বাড়ির বাইরে থাকেন। বাড়িতে একমাত্র থাকেন তিনিই। ফলে চাপ দিয়ে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    বৃদ্ধার বক্তব্য

    মঞ্জুদেবী অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, “আমার নিজের জমি জোর করে দখল করে রেখেছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (Hooghly) শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীরা। জায়গা দখল করার জন্য একাধিকবার আমাকে হেনস্থা করা হয়। নিজের জায়গাকে সুরক্ষিত রাখতে পুরসভার অনুমতি নিয়ে পাঁচিল দিয়েছিলাম। কিন্তু এই পাঁচিল ভেঙে দিয়েছিল ওঁই কাউন্সিলরের অনুগামীরা। একই ভাবে তা ভাঙার পর বসিয়েছে গাছ আর এরপর ফুটবল খেলার গোল পোস্ট পুঁতে দিয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি এবং পুরসভা সহ স্থানীয় বিধায়কদের কাছেও অভিযোগ জানিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন সাহায্য পাইনি।”

    অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) কাউন্সিলর জানিয়েছেন, “জায়গাটা আসলে খেলার মাঠ, পাড়ার সমস্যা কিন্তু আমার নাম কেন যুক্ত করা হল আমি বুঝতে পারলাম না। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে। মঞ্জুদেবী আমাকে তো কিছু জানান নি।” আবার পুরসভার পুরপ্রধান হাসিনা শবনম বলেন, “মঞ্জুরানী পুরসভার অনুমতি নিয়ে নিজের জমিতে পাঁচিল দিয়েছেন। নিজের সীমানায় নিজের কাজ করার অধিকার রয়েছে। যাঁরা দখল করার চেষ্টা করছেন এবং বৃদ্ধাকে হেনস্থা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: শান্তি ফেরানোর আর্জি রাজ্যপালের, সন্দেশখালির মেয়েদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ 

    Sandeshkhali Incident: শান্তি ফেরানোর আর্জি রাজ্যপালের, সন্দেশখালির মেয়েদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ চালু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। সোমবার রাজভবনের তরফে বাংলার জনগণের কাছে রাজ্যপালের পঞ্চমতম রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্ট কার্ডে মিশন ‘সন্তোষ কালী’র বিষয়ে বলা হয়েছে। রাজ্যপালের মতে, “সন্দেশখালি অস্থিরতা, নৈরাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে শান্তি ফেরাতে হবে। সন্দেশখালির ব্যথিত মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।” তাঁর আর্জি, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার অন্ধকার থেকে জেগে উঠুক সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ৷

    মিশন সন্তোষ কালী কী

    সন্দেশখালির নারী-‘লাঞ্ছনা’র পটভূমিতে রাজ্যের তরুণীদের নিয়ে এ দিন ‘মিশন সন্তোষ কালী’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বোস। রাজ্যপাল জানান, এই কর্মসূচিতে নারী-শক্তি, নারীর মর্যাদার সচেতনতা ও প্রসার আরও বাড়াতে হবে। তাঁর বক্তব্য, “এ বিষয়ে কেন্দ্র, রাজ্যের প্রকল্প এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির উদ্যোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে মেয়েদের সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করতে হবে।” রাজভবনের বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীর উপস্থিতিতে মিশন ‘সন্তোষ কালী’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে নারীদের ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। নারীদের স্বনির্ভর করে তোলার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যাঁরা নারীদের নিয়ে কাজ করে তাঁদেরকে মিলিতভাবে কর্মসূচী নেওয়ার কথআও বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল, হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড

    রাজ্যপাল রিপোর্ট কার্ডে স্পষ্ট লিখেছেন,”নারী শক্তিকে একত্রিত করতে হবে ৷ নারীদের মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে ৷ আত্মনির্ভর ভারত ও বিকশিত ভারতের লক্ষ্য নারীদের উন্নয়ন ৷ নারী শক্তিকে একত্রিত করার প্রচেষ্টার পটভূমিতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা জেলার সন্দেশখালি থেকে পাওয়া রিপোর্ট বিরক্তিকর ৷ নারীর মর্যাদা ও সম্মানের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ হচ্ছে সেখানে । ঘটনাগুলি সমগ্র জাতির চোখ খুলে দিয়েছে । আমরা বৈদিক ধারণা নিয়ে গর্ব করি ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতা’ অর্থাৎ যেখানে নারীদের সম্মান করা হয়, সেখানে দেবতারাও আনন্দ করেন । কিন্তু সন্দেশখালিতে নারীদের শ্লীলতাহানি, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বা জমি দখল এবং এলাকার নারীদের অসহায়বোধের রিপোর্ট এসেছে । সন্দেশখালির ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ভিত্তিতে আমি মিশন সন্তোষ কালীকে ভারতের মহিলাদের মর্যাদা ও সম্মানের উপর ভবিষ্যতের আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি ঢাল হিসাবে প্রণয়ন করেছি ।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে বন্দিরা কলঙ্কিত হন’’, সব পক্ষকে বৈঠকের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সংশোধনাগারে অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant in Jail) হচ্ছেন মহিলারা! মহিলা বন্দিদের সঙ্গে এখন ১৯৬ শিশু রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সব পক্ষকে নিয়ে রাজ্যকে বৈঠকে বসতে হবে। সেখান থেকে কী উঠে এল, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-কে তা নিয়ে আগামী ৮ মার্চ আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। 

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এই ধরনের অভিযোগের কী সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে তা আমরা জানি। এটা মহিলাদের কালিমালিপ্ত করার চরম পথ। এমনিতেই তাঁরা অভিযুক্ত হয়ে জেলে। এই পরিস্থিতিতে এমন একটা অভিযোগ যদি সামনে আনা হয় সেক্ষেত্রে তা তাঁদের আরও বেশি কলঙ্কিত করতে পারে। এটা দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের আরও বেশি করে মাথায় রাখা জরুরি।’ মঙ্গলবার আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জের সওয়াল, জেলে ঢোকার পরে মহিলাদের পুরুষ বন্দিদের সেলের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা রাস্তা বা প্রবেশপথ নেই। এর ফলে অনেক সময় পুরুষ বন্দিরা হায়নার মতো আচরণ করেন। এটা আটকানো দরকার। আর মহিলা কয়েদিদের নিয়মিত ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ করানো হোক।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    গর্ভধারণের পরীক্ষা নিয়ে নিজে থেকে কোনও নির্দেশ দেবে না বলে আদালত জানায়। বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘‘এমন নির্দেশ আদালত একেবারেই দেবে না। কোনও মহিলা স্বেচ্ছায় চাইলে বা কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দিতে পারে। কিছু সমস্যা রয়েছে, তা থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রাজ্যের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার পরামর্শ দিন রাজ্যকে পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের পথ আলাদা করা যায় কিনা।’’ এদিন বিচারপতি জানান, রাজ্যকে সমস্ত পক্ষের সঙ্গে বসতে হবে। সেখানেই বাড়তি বন্দি ভিড়, মহিলা বন্দি, জেলে বন্দি মৃত্যু, জেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অসুস্থ বন্দিদের মৃত্যু সহ নানা বিষয়ে সহমতের ভিত্তিতে একটি রূপরেখা তৈরি করার পর আদালত শুনানি করবে সমস্যা ধরে ধরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে মমতা-পুলিশ রক্ষা করছে বলে এবার সন্দেহ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’

    শাহজাহানকে নিয়ে কেন্দ্র করে এত সমস্যা!

    প্রধান বিচারপতি পলাতক শাহজাহানকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এসে আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘শেখ শাহজাহানকে আমরা এই কোর্টে আসতে বলতে পারি। ইডি, সিবিআই এবং পুলিশ সবাই থাকবে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আমরা এখানে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারি। এত দিন ধরে ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এত সমস্যা। শাহজাহান প্রকাশ্যে এসে তো বলতে পারেন, এই সব অভিযোগ সঠিক নয়। কারও জমি নেওয়া হয়নি। তা না করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদি তিনি পালিয়ে বেড়ান, তবে স্বাভাবিক ভাবে সমস্যা আরও বাড়বে। তাঁর সমর্থকেরাই সমস্যা তৈরি করতে পারে।’’

    মূল মাস্টারমাইন্ড শাহজাহান 

    এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্যে সন্দেশখালির মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে শাহজাহানের নাম। শাহজাহানকে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এক জন ব্যক্তি পুরো সমস্যার জন্য দায়ী। অথচ তিনি কিনা জনপ্রতিনিধি! মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন। যেখানে জনগণের স্বার্থে ওই ব্যক্তির কাজ করা উচিত, সেখানে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের ক্ষতিই করেছেন।’’

    পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ

    সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) এবং তিনি বলেন, ‘‘মামলা দায়ের হয়েছে, অথচ রাজ্য পুলিশ তাঁকে (শাহজাহানকে) ধরতে পারছে না। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু তাঁকে সমর্থন করা উচিত নয় রাজ্যের।’’

    মামলায় যুক্ত করা হল ইডি-সিবিআইকে

    পাশাপাশি, এ দিনই প্রধান বিচারপতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত করেন ইডি এবং সিবিআইকে। প্রসঙ্গত, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং জমি দখল করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। ওই মামলা এবার থেকে শুনবেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। আগামী সপ্তাহের সোমবারে এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন মামলার সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    সন্দেশখালি প্রেক্ষাপট

    গত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে তবে এখনও তিনি বেপাত্তা রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি সকালে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জনের উন্মত্ত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের। মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি অফিসারদের। এই ঘটনায় আবার ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। সেখানে শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এরপরেই সেখানে শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার নামের শাহজাহানের দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির মানুষজন। হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় নামেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে সন্দেশখালি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে টেনে-হিঁচড়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ, প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে টেনে-হিঁচড়ে সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ, প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দেশখালি থেকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এক সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে চর্চা চলছে। আর সন্দেশখালির মানুষের ওপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের খবর রাজ্য তথা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা সেখানে ছিলেন। আর সোমবার বিশেষ করে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। ফলে, এক ঝাঁক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি তুলে ধরছিলেন। বিকেল ৫ টা নাগাদ আচমকাই রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিনা নথিতে গ্রেফতারের বিরোধিতা করলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। টোটোয় করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তোলা হবে আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সাংবাদিককে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশ কী সাফাই দিলেন?

    বসিরহাটের এসপি হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, এলাকার এক মহিলার বাড়িতে ক্যামেরা নিয়ে ঢুকেছিলেন সন্তু পান ও তাঁর চিত্রগ্রাহক। সেই সময় মহিলার পোশাক ঠিক মতো ছিল না। ফলে তিনি অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। পুলিশের দাবি, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রতিবাদে সরব মিঠুন-শুভেন্দু

    সাংবাদিকের গ্রেফতারির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে সব মহল। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সন্তু পানের পাশে দাঁড়াতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলের প্রোফাইল ছবি ২৪ ঘণ্টার জন্য কালো করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    প্রেস ক্লাবও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে

    কলকাতা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিক সন্তু পানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু, কর্তব্যরত অবস্থায় সাংবাদিকের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাচ্ছে প্রেস ক্লাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share