Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sandeshkhali: হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়েই আজ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু

    Sandeshkhali: হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়েই আজ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের থেকে অনুমতি নিয়ে আজ, মঙ্গলবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিশাল লামা, অগ্নিমিত্রা পাল, সুমিতা সিনহা রায় ও তাপসী মণ্ডল। সন্দেশখালিতে এতদিন যে ১৪৪ ধারা জারি ছিল, সোমবারই তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে এখন সন্দেশখালি যেতে আর কোনও বাধা থাকার কথা নয় বিরোধীদের।

    আদালতের নির্দেশকে মান্যতা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালির নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার, আদালত জানায়, শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করবে রাজ্য পুলিশ। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে। আদালতের এই নির্দেশের পর মঙ্গলবারই সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু। এদিন আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি মাহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট এবং বিচারপতি মহোদয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই যে তিনি আমাকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করব সন্দেশখালির গ্রাম পঞ্চায়েতে আমার চিহ্নিত করে দেওয়া ছয়, সাত, আটটি মৌজা বা পাড়াতে মানুষজনের সঙ্গে দেখা করতে।’’

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    সন্দেশখালিতে শুভেন্দু 

    এর আগে দু’বার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। দু’বারই বাধার মুখে পড়তে হয়। একবার বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় শুভেন্দুকে। আরেকবার সন্দেশখালির রামপুরে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে সোমবারই তাঁর সন্দেশখালি সফরের অনুমোদন মেলে। সন্দেশখালির যে ১৫টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, সেখানেও আদালতের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে। ফলে শুভেন্দু বা বিজেপি বিধায়কদের সেই জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন তিন মহিলা বিজেপি বিধায়ক। সন্দেশখালিতে যেহেতু মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে মহিলা বিধায়করা নির্দেযাতিতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

    সাংবাদিক নিগ্রহের প্রতিবাদ

    সন্দেশখালিতে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি সন্তু পানকে গ্রেফতারের ঘটনায় গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাতেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি সরিয়ে সেখানে কালো করে দেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajbhawan: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    Rajbhawan: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) সন্ত্রাসের শিকার মানুষের জন্য রাজভবনে (Rajbhawan) খোলা হয়েছে ‘পিস হোম’। সন্দেশখালিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের জন্য বেনজির পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। শুধু অভিযোগ শুনতে নয়, একেবারে নির্যাতিতাদের থাকার জন্যই রাজভবনের ঘরের দরজা খুলে দিলেন তিনি। রাজভবনের ৩টি ঘরকে পিস হোমের রূপ দেওয়া হয়েছে। 

    মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোই লক্ষ্য

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) মহিলাদের ওপর গণধর্ষণ-সহ নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তোলার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেখানকার মহিলারা। পুলিশে অনাস্থা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সন্দেশখালির কোনও বাসিন্দা বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে রাজভবনের (Rajbhawan) পিস হোমে থাকতে পারেন। প্রধানত রাজ ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের আবাসন হিসাবে ব্যবহার করা হয় যে ঘরগুলি, সেখানেই তিনটি ঘরকে পিস হোম বানানো হয়েছে। সেখানেই সন্দেশখালির বিপন্ন বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, “আমি কোনও রাজনৈতিক লোক নই। রাজনৈতিক মন্তব্য করা আমার কাজ নয়। আমার কাজ সংবিধানের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো ও মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানো। আমি সেই কাজ করছি। আমি চাই সন্দেশখালিতে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরুক।”

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    সন্দেশখালিতে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন

    গত সপ্তাহেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়ে  মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা দেন সিভি আনন্দ বোস। সোমবার সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সন্দেশখালি থানায় নির্যাতিতাদের নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করান তিনি। থানায় মোট ১৮টি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর সেখান থেকে যান রাজভবনে। সন্দেশখালির সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখা রাষ্ট্রপতি শাসনের সওয়াল করেন তিনি। রেখা শর্মা বলেন, “এখানে ভীষণ খারাপ অবস্থা। এখানে এত খারাপ অবস্থা মহিলারা আমাকে ছাড়তে চাইছেন না। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া এখানে আর কিছু হতে পারে না বলেই আমার মনে হয়। আমি জানি না শাসন কোথায়, প্রশাসন কোথায়, মুখ্য়মন্ত্রী কোথায়। আমার মনে হয় ওঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে তাঁর খাসতালুক বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেন। অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরদিনই কেষ্ট গড়ে হানা দিল ইডি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূল কার্যালয়ের আগে ভূমি দফতরে ইডি (ED)

    তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির (ED) তিন আধিকারিক বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, অফিসে বসে কেষ্ট মণ্ডলের তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তাঁরা। বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ঝাঁ চকচকে দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি বছর ওই কার্যালয়ে জাঁকজমকভাবে কালী পুজো করতেন কেষ্ট। ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও চর্চা ছিল জেলা জুড়ে। এত গয়নার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন ইডি আধিকারিকরা সেই কার্যালয়ে হানা দিতেই নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির (ED) একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়, সব বিষয় নিয়ে ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর, কী বললেন সাংসদ?

    Sukanta Majumder: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর, কী বললেন সাংসদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দাগেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    সুকান্তর অভিযোগ

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পেলেও, টাকিতে অচেতন হয়ে পড়ার পর সুরক্ষা ছাড়াই নিজেদের গাড়িতে করে বসিরহাট নিয়ে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। এতে আমার সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “কে ধাক্কা দিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। যতক্ষণ রাজনৈতিক সংঘাত চলছিল, তার জন্য আমি পুলিশকে দায়ী করছি না। সুকান্ত মজুমদারের ওপর লাঠিচার্জ করুন, পা ভাঙুন, কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর পুলিশ কী করেছে? প্রথমত, আমার গাড়িতে আমাকে হাসপাতালে যেতে দেয়নি। আমার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। দম থাকলে পুলিশ বলুক, আমি মিথ্যে কথা বলছি। আমার গাড়িতে পুলিশ উঠে যেতে পারত। বা আমার গাড়িকে সামনে পিছনে পুলিশ দিয়ে ঘিরে দিতে পারত। যাতে আমি অচৈতন্য অবস্থায় অন্য কোথাও চলে না যাই।”

    ‘জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাই’

    রাজ্যের পাঁচ প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমি জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাই। নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে নিশ্চয়ই। সরকার তো আর খেলা করার জন্য দেয়নি। আমাকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় দু জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের কাছে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আমার আপ্তসহায়ককে গাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বাংলা জানেন না। আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তাঁদের বোঝাবে কে?”

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    সুকান্ত বলেন, “কপিল সিব্বল আজ আদালতে সওয়াল করে সাময়িক স্থগিতাদেশ এনেছেন। এরপর আমাদের উকিলরা আমাদের বক্তব্য বলবেন। চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করবেন। কপিল সিব্বল না কি বলেছেন আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছি। মিথ্যে কথা বলেছেন।” তিনি (Sukanta Majumder) বলেন, “টাকিতে কোথাও ১৪৪ ধারা ছিল না।”

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ, এই অভিযোগে জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জাতীয় মহিলা কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করেছেন, রাজ্য পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে সন্দেশখালির নির্যাতিতার পরিচয় গোপন না-রেখে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন সুকান্ত।

    জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি

    সন্দেশখালিতে এক নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ শাহজাহান অনুগামী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা যুক্ত করেছে। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG) রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, ওই মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন, তার ভিত্তিতেই ওই ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করেছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেআইনি। রাজ্য পুলিশের এই কাজের তীব্র নিন্দা করে সোমবার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকে চিঠি দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, মহিলা কমিশন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের দাবি 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা এক মহিলার নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, মহিলার একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ার আপলোড করা হয়েছে ৷ জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়েছিল ওই নির্যাতিতা। তার আগে পুলিশ তার একটি ছোট্ট ভিডিও বানায়। গোপন জবানবন্দির জন্য পুলিশ তাকে নিয়ে গিয়েছে। এই কথা পুলিশ তাকে বলতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, এরপর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে। এই কাজ সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে গুরুতর অপরাধ করেছে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ কখনও করা যায় না। কিন্তু সেই কাজ করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রশাসন, অন্যদিকে দল। ‘জোড়া অস্ত্রে’ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘ক্ষত’ মেরামতিতে নেমেছে শাসকদল। গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বাড়ি বাড়ি ঘুরে সন্দেশখালির সাধারণ বাসিন্দাদের ক্ষোভ-অভিযোগের কথা শুনছিল। রবিবার থেকে সেখানে শিবিরও বসিয়েছে প্রশাসন। তৃণমূল টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। সমর্থন করবেন তো? সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাকি এ কথাই বলা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ উঠল শাসকদলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাধ্যম ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Sandeshkhali)

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ  দীপিকা পোদ্দারকে দেখা যাচ্ছে। তিনি সন্দেশখালির এক মহিলার বাড়ি গিয়ে বলছেন, “আপনাকে তো টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো?” এমনিতেই সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ, তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরা (শিবু)দের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। তার পর থেকেই স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমনে নেমেছে শাসকদল। উত্তম-শিবুরা যাঁদের জমির লিজ়ের টাকা দেননি বলে অভিযোগ, তাঁদের পাওনা টাকা মেটাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, তাঁরাই ভোটে সমর্থনের বিনিময়ে এইভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। যাঁদের টাকা ফেরত পাওয়ার কথা, তাঁদের টাকা ফেরত দেবে দল। সেই মতো স্থানীয়ভাবে একটি কমিটিও গঠন করেছিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, সেই দলে রয়েছেন সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার। সেই দলে দীপিকা কী করে এলেন, তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরে ধন্দ তৈরি হয়েছে। ভিডিও প্রসঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দায়িত্বপ্রাপ্ত আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ওই মহিলা সদস্যকে এ রকম কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ যে কোনও ব্যক্তি। সন্দেশখালির যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি নেই, সেই জায়গায় যেতে পারবেন তাঁরা। তাঁদের বাধা দিতে পারবে না পুলিশ-প্রশাসন (Calcutta High Court)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁদের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতেই পারে। তবে সেই বিধিনিষেধের বৈধতা যাচাই করবে আদালত। পাশাপাশি, বিএসএফকেও জানাতে হবে প্রয়োজনে বাড়তি নিরাপত্তা তারা দিতে পারবে কি না। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শুভেন্দুকে বাধা

    সন্দেশখালি যেতে গিয়ে আগে দু’ বার ব্যর্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের যুক্তি ছিল, ১৪৪ ধারা জারি করা এলাকায় তিনি গেলে বিঘ্নিত হতে পারে শান্তি। ১৪৪ ধারা রদ করতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে সিপিএম। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে সন্দেশখালির কিছু জায়গা চিহ্নিত করে ফের ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

    আদালতে শুভেন্দু 

    পর পর দুদিন সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধা পান শুভেন্দু। ১৫ ফেব্রুয়ারি আবারও সন্দেশখালির পথে রওনা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Calcutta High Court)। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সঙ্গে নেন মাত্র তিন বিধায়ককে। সেদিনও অশান্তির আশঙ্কায় আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দুর গাড়ি। সরবেরিয়ায় তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের যুক্তি ছিল, শুভেন্দু এলাকায় গেলে প্রচুর মানুষ বেরিয়ে আসবেন। সেক্ষেত্রে নতুন করে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা। এর পরেই সেখান থেকে ফিরে এসে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু উত্তরাখণ্ড পুলিশের

    সোমবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। শুভেন্দুর আইনজীবীর সওয়াল, ভারতীয় সংবিধান যে কোনও নাগরিককে ভারত ভূখণ্ডের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার দেয়। কিন্তু শুভেন্দুকে সন্দেশখালিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা সওয়ালে রাজ্যের যুক্তি, শুভেন্দু সন্দেশখালির বাসিন্দা নন। তাই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে মামলা করার অধিকার তাঁর নেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টও বলছে, শুভেন্দু সন্দেশখালি গেলে গোলমাল হতে পারে। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যেতে দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Narendra Modi: শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, গঙ্গার নীচে চড়বেন মেট্রো, উদ্বোধন ৩ প্রকল্পের 

    Narendra Modi: শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, গঙ্গার নীচে চড়বেন মেট্রো, উদ্বোধন ৩ প্রকল্পের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রোর তিনটি নয়া রুটের উদ্বোধন করতে শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৬ মার্চ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা তিনটি মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন মোদি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৬ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে দলীয় অনুষ্ঠানের পর তিনি একটি সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। 

    দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো

    দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো চলবে কলকাতায়। গঙ্গার নীচ দিয়ে চলবে পাতাল রেল। এই ঐতিহাসিক সফরে সঙ্গী হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এসপ্ল্যানেড মেট্রো (Kolkata Metro) স্টেশন থেকে মেট্রোতে চড়ে গঙ্গার ২৮ মিটার নীচ দিয়ে হাওড়া মদয়ানে যাবেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এবিষয়ে রেলকে প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এই রুটে মেট্রো চালু করার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। এছাড়াও কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত যে মেট্রো রুটটি রয়েছে তাও এক বছর ধরে তৈরি হয়ে রয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই রুটটিতে মেট্রো যাতায়াতের জন্য দেওয়া হয় অনুমতি। পাশাপাশি তারাতলা থেকে মাঝেরহাট যে স্টেশন সম্প্রসারিত হয়েছিল তা চালু করার জন্য এর আগেই পাওয়া গিয়েছিল সবুজ সংকেত। এই তিনটি রুটের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    আরও পড়ুন: দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু উত্তরাখণ্ড পুলিশের

    মোদির সভার গুরুত্ব

    ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) বাংলা সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জনগণকে কাছে টানতে এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই স্টেশনগুলি ভালো করে পরিদর্শন করে দেখা হচ্ছে। কোনও বিষয়ে সামান্যতম খামতিও না থাকে, সেই দিকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর। একই দিনে বারাসতে সভা করে উত্তর ২৪ পরগণার মানুষকে পাশে পেতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। বারাসত থেকে বসিরহাটের সন্দেশখালির দূরত্ব খুব বেশি নয়। যখন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident)  নিয়ে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য, সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর বারাসতে জনসভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বসন্তেই রাজ্যে ‘হাওয়া’ বদল, কবে কোথায় বৃষ্টি জানেন?

    Weather Update: বসন্তেই রাজ্যে ‘হাওয়া’ বদল, কবে কোথায় বৃষ্টি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্তেই রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update)। বুধবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গেও। অন্তত এমনই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ

    হাওয়া অফিসের খবর, বুধবার বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলা। এই জেলাগুলিতে হতে পারে হালকা বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়ই। বৃষ্টি হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি। শুক্রবারও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দুই চব্বিশ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরের কয়েকটি এলাকা।

    ভিজতে পারে উত্তরও

    হাওয়া অফিসের তরফে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। আজ, সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং জেলায়। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায়। হালকা বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর ও মালদা জেলায়। বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের সব জেলায়। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে (Weather Update) বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার। তবে বৃষ্টি হলেও, আর ঠান্ডা পড়বে না। হাওয়া অফিসের খবর, আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে রাজ্যে তাপমাত্রার পারদ চড়তে পারে তিন থেকে চার ডিগ্রি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অবশ্য বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই। আকাশ থাকবে পরিষ্কার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘নির্ভয়ে কথা বলুক নির্যাতিতারা’’, সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন

    চড়ছে কলকাতার পারদ

    তাপমাত্রা যে বাড়তে চলেছে, তার আঁচ মিলেছে সোমবারই। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সেই তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার এটা হতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হতে পারে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চৌকাঠ। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও দু ডিগ্রি বেড়ে গিয়ে হতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (Weather Update)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: ‘‘নির্ভয়ে কথা বলুক নির্যাতিতারা’’, সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন

    Sandeshkhali Incident: ‘‘নির্ভয়ে কথা বলুক নির্যাতিতারা’’, সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা চাই ওঁদের পুরো বিচার মিলুক।” সোমবার কথাগুলি বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রেখা। তিনি বলেন, “সন্দেশখালিতে গিয়েও পুলিশের বাধায় নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। তাই আমাকে সন্দেশখালি যেতে হচ্ছে।”

    ‘অশান্তির খবর আসছে’

    এদিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় নেমে সন্দেশখালির উদ্দেশে যাত্রা করেন রেখা। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি থেকে অশান্তির খবর আসছে। আমাদের একজন সদস্য অনুসন্ধান করে এসেছেন। পুলিশের কারণে তিনি অনেক নির্যাতিতার কাছে পৌঁছতে পারেননি। এবার আমি যাচ্ছি। আমার কথা হয়ে গিয়েছে। আমি চাই ওঁরা পুরো বিচার পান। যিনিই নির্যাতিতা হোন না কেন, তিনি সামনে এসে আমার সঙ্গে কথা বলুন। কেউ যেন ভয় না পান। কারণ নির্যাতিতাদের কথা শোনার জন্য আমরা তিনজন মহিলা রয়েছি। আমরা ওঁদের পাশে রয়েছি।” জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান রেখা। পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন। সন্দেশখালির পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও অবহিত করবেন বলে জানান রেখা।

    ‘পুলিশ সব কিছু চাপা দিয়ে রাখে’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা বলেন, “অভিযোগ এলেও, পুলিশ সব কিছু চাপা দিয়ে রাখে। প্রশাসন কানে নেয় না। আজ জানতে পারলাম ডিএম বাইরে রয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গেলে কোনওদিনই ডিএম-এসপিদের দেখা পাই না। প্রত্যেকবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে দেন না তাঁদের প্রশাসনিক স্তরের অফিসারদের। সত্য যাতে বেরিয়ে না আসে, এই এমন ব্যবস্থা। কিন্তু প্রকৃত সত্য সব সময় বাইরে বেরিয়ে আসবেই।”

    আরও পড়ুুন: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    জানা গিয়েছে, এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার সময় রেখার সঙ্গে রয়েছেন গত সপ্তাহে জাতীয় মহিলা কমিশনের যেসব প্রতিনিধি গিয়েছিলেন, তাঁরাও। সন্দেশখালি পৌঁছে রেখা সটান ঢুকে পড়েন এক নির্যাতিতার বাড়িতে। কথা বলেন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তার আগে রেখা বলেন, “সকলের মধ্যে থেকে ভয় দূর করতে হবে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হলে বাকিদেরও ভয় কাটবে। আরও অনেক মহিলা সামনে আসবেন (Sandeshkhali Incident)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share