Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: বিজনেস পার্টনার পার্থর স্ত্রী-জামাই! কে এই রাজীব দে, যার বাড়িতে হানা ইডি-র?

    Recruitment Scam: বিজনেস পার্টনার পার্থর স্ত্রী-জামাই! কে এই রাজীব দে, যার বাড়িতে হানা ইডি-র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালে থেকে কলকাতার ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে (Recruitment Scam) ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই এই তল্লাশি। যাঁর বাড়ি ও অফিসে ইডির তল্লাশি চলছে তাঁর নাম রাজীব দে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই রাজীব পেশায় প্রোমোটার। জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজীবের সম্পর্ক এলাকার অনেকেই জানেন। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে রাজীবের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি। যে বাড়ি থেকে পার্থ গ্রেফতার হয়েছিলেন দেড় বছর আগে, তার খুব কাছেই অবস্থিত রাজীবের বাড়ি। আর সেই বাড়ির কাছেই ফের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি গোলপার্কের একটি গয়নার দোকানের অফিসে এবং বাঁশদ্রোণীতে রাজীবের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে রাজীবের সংস্থার দফতরেও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    কে এই রাজীব?

    তদন্তে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই সংস্থায় এক সময় ডিরেক্টর ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার রাজীব দে। সংস্থার (Recruitment Scam) ডিরেক্টর হিসেবে নাম ছিল পার্থর স্ত্রী বাবলিদেবীরও। ২০২০ সালে বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে পার্থর জামাই কল্যাণময় এবং তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ডিরেক্টর হন।

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা প্রোমোটিং ব্যবসায় লগ্নি?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (Recruitment Scam) সংস্থা সূত্রে খবর, পার্থ ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর পার্থ সরকার এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জেরা করে রাজীব সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছে ইডি। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, রাজীব কি পার্থর স্ত্রী এবং জামাইকে সামনে রেখে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা প্রোমোটিংয়ের ব্যবসায় লগ্নি করেছেন? এই উত্তরের সন্ধান পেতেই শুক্রবার সকাল-সকাল সক্রিয় হয়ে উঠেছেন গোয়েন্দারা। নাকতলায় রাজীবের পাঁচতলা বাড়িতে চলছে ইডি হানা। ইডি আধিকারিকরা যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ধনখড়ের করা নিয়োগ বহাল থাকল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে

    Calcutta High Court: ধনখড়ের করা নিয়োগ বহাল থাকল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনখড়ের একটি নিয়োগ খারিজ করেছিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশকে খারিজ করে ধনখড়ের নিয়োগকে পুনরায় সিলমোহর দিল। বহাল থাকল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতির করা নিয়োগ।

    ইজেডসিসি-তে ধনখড় নিয়োগ করেন আশিস গিরিকে

    ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারের (ইজেডসিসি) ডিরেক্টর পদে আশিস গিরি নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়। নির্ধারিত নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনেই ওই পদের জন্য তিন জনকে বাছাই করেছিল রাজভবন। সেই তিন জনের নাম কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে পাঠান জগদীপ ধনখড়। সেখান থেকে আশিস গিরি নিয়োগ পান। তৎকালীন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জল গড়ায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা হয় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। একক বেঞ্চ সেই নিয়োগ খারিজ করে দিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: আজ শুরু উচ্চমাধ্যমিক, জেনে নিন কী কী নিয়ম আছে?

    চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চারটি আবেদন জমা পড়েছিল

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চারটি আবেদন জমা পড়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও আবেদন করা হয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ভিএম ভেলুমানির ডিভিশন বেঞ্চ, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩(২) ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। সেই নিয়োগ খারিজও করা যায় না। প্রসঙ্গত, ইজেডসিসি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও এই সংস্থার কাজ রয়েছে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম, ওড়িশা এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদাধিকার বলে এই সংস্থার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

     

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

    Lok Sabha Election 2024: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি ছাড়তে চান! লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে বললেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পাঁচ বছর ধরে সাংসদ পদে রয়েছেন মিমি। যাদবপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। এবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার কাছে ক্ষোভের কথা জানিয়ে চিঠি দিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ। প্রথমে দেব, এবার মিমি! কেন তৃণমূলের একের পর এক তারকা-সাংসদ পদত্যাগ করছেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

    মিমির চিঠি মমতাকে

    সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান মিমি। সূত্রের খবর, চিঠিতে মিমি জানিয়েছেন রীতিমতো মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। কখনও মঞ্চে, কখনও ফোনে, কখনও অন্যভাবে তাঁকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মিমি। শুধু অপমান নয়, উপেক্ষাও নাকি সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। সেই যন্ত্রণার কথা বলে শেষ করতে পারবেন না, এমনটাও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। তবে, কার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিমির? কে তাঁকে অপমান করেছেন? চিঠিতে সে কথা উল্লেখ করেননি মিমি। এরপরই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ডাকা হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকে। 

    কী বললেন মিমি

    বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মিমি জানিয়েছেন, এখনও মমতা তাঁর ইস্তফার বিষয়ে সম্মতি জানাননি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলে তিনি লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দেবেন। মিমি বলেন—‘‘আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়। কারণ, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। আমি জেনেশুনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সব সময় আমি কর্মী হিসাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি।’’ 

    আরও পড়ুন: আজ শুরু উচ্চমাধ্যমিক, জেনে নিন কী কী নিয়ম আছে?

    রাজ্য রাজনীতিতে নানা প্রশ্ন

    সম্প্রতি অভিনেতা দেব রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন আর এবার মিমির গলায় একই সুর। দেবকে কোনও মতে মানাতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, রাজ্যের শাসক দলের তারকা-সাংসদরা কেন এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন? নেপথ্যে দলের এক শ্রেণির নেতাদের ‘অত্যাচার’? স্থানীয়দের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার জের? নাকি, দলের ভাবমূর্তি এখন তলানিতে ঠেকে যাওয়ায়, নিজেদের ভাবমূর্তি বা ব্র্যান্ড-ইমেজ বাঁচাতে ব্যস্ত এই তারকা-সাংসদরা? তৃণমূলের অন্দরে যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছে, এটা কি তারই ইঙ্গিত? রাজ্য-রাজনীতিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এমনই নানা প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • ED Raid in Kolkata: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    ED Raid in Kolkata: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের ‘অ্যাকশনে’ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার গোয়েন্দারা হানা দিয়েছেন এই মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারের বাড়িতে। এছাড়া, তল্লাশি চলছে বাঁশদ্রোনি, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি মিলিয়ে মোট ৬ জায়গায় চলছে তল্লাশি (ED Raid in Kolkata)। শুক্রবার সাত-সকালে কলকাতার একধিক জায়গায় একযোগে অভিযানে দিয়েছে ইডি-র টিম। 

    কী জানা যাচ্ছে?

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, নিয়োগকাণ্ডের (Recruitment Scam) তদন্তে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক জায়গায় এই অভিযান সংগঠিত হচ্ছে। শুক্রবার ভোরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয় ইডি অফিসারদের গাড়ি। বিভিন্ন ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে একাধিক জায়গায় চলে যায় এক-একটি টিম। মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি চালানো (ED Raid in Kolkata) হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একটি টিম এসেছে নাকতলায়। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি রাজীব দে-র। সেখানে তল্লাশি অভিযান ইডি-র। এর পাশাপাশি, বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে রাজীব দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও তল্লাশিতে নামেন ইডি আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে বাঁশদ্রোণীর একটি বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, ওই বাড়িটিও রাজীবের মালিকানাধীন।

    কেন হানা এই প্রোমোটারের বাড়িতে?

    জানা যাচ্ছে, রাজীব বরাবরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডি সূত্রে দাবি, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার। তাঁর নামে একাধিক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ইডি সূত্রে। এর আগেও ৩-৪ বার রাজীব দে-কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জেরা  (Recruitment Scam) করে ইডি। তখনই রাজীব দে-র নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সূত্রেই, এই সকল জায়গায় অভিযানে (ED Raid in Kolkata) যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। 

    রেশনকাণ্ডেও অ্যাকশনে ইডি

    এর আগে, মঙ্গলবার সকালে রেশন দুর্নীতির তদন্তে শহরের ৬ জায়গায় হানা দেয় ইডি। বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকরা পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি ও সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছিলেন। রাতভর জেরা করার পর সল্টলেকের আইবি ব্লকের বাড়ি থেকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীকে। তিনি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং রেশন মামলাতেই ধৃত শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর ঘনিষ্ঠ বলে খবর ইডি সূত্রে। ওই মামলায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর ওপর হামলা, হস্তক্ষেপ লোকসভার, তলব ৫ প্রশাসনিক কর্তাকে

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর ওপর হামলা, হস্তক্ষেপ লোকসভার, তলব ৫ প্রশাসনিক কর্তাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ওপর হামলারঘচনা ঘটে বুধবার। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। বৃহস্পতিবারও এর বিরুদ্ধে পথে নামেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সাংসদের ওপর এমন হামলার ঘটনায় এবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার-সহ ৫ জন প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করা হল লোকসভায়। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (প্রিভিলেজ কমিটি)-র মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে তাঁদের। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে লোকসভার সচিবালয় থেকে। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার এবং অতিরিক্ত সুপার যাতে স্বাধিকার রক্ষা কমিটির মুখোমুখি হন, তা নিশ্চিত করতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।

    কোন কোন আমলাকে তলব করা হল?

    রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিক, ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের এসপি হুসেন মেহেদি রহমান এবং উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি (Sukanta Majumdar)। বিষয়টি যে হালকা ভাবে নিচ্ছে না সংসদীয় কমিটি, তা এই তলবেই পরিষ্কার। এখন দেখার এই আধিকারিকরা হাজিরা দিতে যান কিনা। জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ অফিসারদের আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের ২ নম্বর কমিটি রুমে হাজির থাকতে হবে। উক্ত পুলিশকর্তারা যাতে সঠিক সময় সঠিক স্থানে পৌঁছে যান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।

    বুধবার অসুস্থ হন সুকান্ত

    বুধবারই সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি ধস্তাধস্তিতে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar) অসুস্থ হয়ে পড়েন। উপস্থিত বিজেপি নেতা-কর্মীরা প্রথমে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ওই আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে খবর। বিজেপির অভিযোগ, সুকান্তকে হেনস্থা করা হয়েছে। তাতে সাংসদের প্রাণ সংশয়ও হতে পারত বলে দাবি বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: এবার মুকুল রায়কে দিল্লিতে তলব করল ইডি, জানেন কোন মামলায়?

    Mukul Roy: এবার মুকুল রায়কে দিল্লিতে তলব করল ইডি, জানেন কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মুকুল রায়কে (Mukul Roy) তলব করল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, অ্যালকেমিস্ট মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছে মুকুলকে। জানা গিয়েছে, এই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবারই দিল্লিতে ইডির দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে তা আগামিকাল না কি পরের সপ্তাহের শুক্রবার, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    কী বলছেন মুকুল-পুত্র?

    ইডির এই তলব নিয়ে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের বিবৃতি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তিনি কিছুই মনে রাখতে পারেন না। একারণে দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে ইডি আধিকারিকরা যদি বাড়ি এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান, তা হলে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    ইডি সূত্রে খবর, তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কেডি সিংয়ের সংস্থা ছিল ‘অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়ালটি’। এই সংস্থার বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৬ সালেই এই মামলার তদন্ত শুরু করে ইডি। অভিযোগ, সেবি-র অনুমতি ছাড়াই ওই সংস্থাটি বাজার থেকে ১,৯১৬ কোটি টাকা তুলেছে। তদন্তে নেমে ইডি ২০১৯ সালে কেডি-র কুফরির রিসর্ট, চণ্ডীগড়ের শো-রুম, হরিয়ানার পঞ্চকুলার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ ২৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।

    ২০২১ সালে গ্রেফতার হন কেডি সিংহ

    ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই মামলায় কেডি সিংকে গ্রেফতারও করে ইডি। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। মুকুলকে এ বার অ্যালকেমিস্ট মামলায় ডেকে পাঠাল ইডি। তবে তাঁর শরীরের যা অবস্থা, তাতে তাঁর পক্ষে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই পরিবার সূত্রে খবর। ২০২১ সালের জুন মাসে, অর্থাৎ রাজ্য বিধানসভার ফল বের হওয়ার একমাস পরেই ফের নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। এই সময় থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে শুরু করে। গত বছরের এপ্রিল মাস নাগাদ আচমকাই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন মুকুল (Mukul Roy)। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সেই সময় শুভ্রাংশু রায় দাবি করেছিলেন, তাঁর বাবা (Mukul Roy) মানসিক ভাবে সুস্থ নন। সেসময় মুকুলও দিল্লিতে বসে দাবি করেছিলেন, বাড়ির লোক তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: এবার ইডির তলব অভিনেতা-সাংসদ দেবকে, ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ

    ED: এবার ইডির তলব অভিনেতা-সাংসদ দেবকে, ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেবকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জানা গিয়েছে, ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ বা আর্থিক তছরুপের মামলাতেই অভিনেতাকে এই সমন পাঠানো হয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে দেবকে।

    ই-মেল মারফত সমন পাঠানো হয়েছে দেবকে

    বুধবার রাতেই ই-মেল মারফত একটি চিঠিতে (ED) তাঁকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁকে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেই গরু পাচারকাণ্ডে সাক্ষী হিসেবে দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এবার দেবকে ডেকে পাঠালো ইডি (ED)। নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে দেব জানিয়েছেন, ইডি দফতরে (ED) হাজিরা দেবেন তিনি। 

    কিছু দিন ধরেই চর্চা চলছে দেবকে নিয়ে

    কিছুদিন ধরেই বঙ্গ রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে অভিনেতা তথা সাংসদ দেবকে নিয়েই। প্রসঙ্গত, দেবের বিরুদ্ধেও কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। একটি অডিও ক্লিপ (এই অডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’) ভাইরাল হয়। যেখানে দেবের বিরুদ্ধে ‘কমিশন’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কণ্ঠস্বর ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের বলে মনে করা হচ্ছিল। যদিও শঙ্কর দলুই এই অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর কণ্ঠস্বর ওই ক্লিপে ঢোকানো হয়েছে। এরপরেই লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে দেব ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। আভাস দিয়েছিলেন ভোটে না দাঁড়ানোর। লোকসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ হতেই তিনটি সরকারি কমিটি থেকে ইস্তফাও দিয়েছিলেন দেব। আর তা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। দেব সংসদে গিয়ে ভাষণে বলেছিলেন যে এটাই হয়তো সাংসদ হিসেবে তাঁর শেষ বক্তব্য। তারপর থেকে অভিষেক ও মমতার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন তিনি। পরে আবার রাজনীতিতে থেকে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। এসবের মাঝেই তাঁকে সমন পাঠাল ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ শিবু হজরা এবং উত্তম সর্দারের নারী নির্যাতন, যৌনশোষণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রামের নারীসমাজ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আগেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। কীভবে বাড়ির সুন্দরী, কমবয়সী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে ‘ভোগ’ করা হত, সে কথা জানিয়ে স্পষ্টভাবে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে একই বিষয়ে অভিযোগ করেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু এর মধ্যেই গ্রামবাসীদের পরিচয়, মহিলাদের দৈহিক গঠন এবং গায়ের বর্ণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (Sandeshkhal)?

    তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী নারীদের সম্পর্কে বলেন, “একজন তফশিলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে গঠন এবং দেহের রং দিয়ে বোঝা যায়। মনে রাখবেন, একজন মানুষ কোন সম্প্রদায়ের, তা শরীরের গঠন এবং রং তথাকথিত আমরা যা বলি ফর্সা, শ্যামবর্ণ এই দেখেই কিন্তু বোঝা যায়। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যে সব মহিলা এসেছেন, তাঁরা সকলেই ধবধবে ফর্সা। তাহলে কি তাঁরা তফশিলি জনজাতি বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর? যে মহিলারা সামনে এসেছেন, সকলে সিপিএমের মহিলা সংগঠনের সদস্য। যে বাচ্চাদের সামনে আনা হচ্ছে, সকলকে স্ক্রিপ্ট পড়িয়ে আনা হয়েছে। চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সবটা। রাজ্যপালের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলতে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে। আবার সুকান্তের ধর্নামঞ্চে বোরখা পরা মহিলাকেও দেখা গিয়েছে। ওঁরা কি আদৌ সন্দেশখালির?”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জাতীয় তফসিলি জাতি এবং উপজাতি কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। ওঁকে গ্রেফতার করা উচিত। সন্দেশখালির অপকর্ম ধরা পড়ে গিয়েছে। রুচিহীন মন্তব্য করেছেন তিনি। জনজাতি পরিবারে জন্ম হলেই গায়ের রং কালো হতে হবে?” আবার সিপিএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আদিবাসীদের পোশাক দিয়ে চেনে তৃণমূল।” পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার তফশিলি জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়রাম্যান অরুণ হালদার সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট রাজ্যপাল বোসের, পরামর্শ রাজ্যকেও

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট রাজ্যপাল বোসের, পরামর্শ রাজ্যকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিলেন রাজ্যপাল। এর পাশাপাশি মমতা সরকারের উদ্দেশে একগুচ্ছ পরামর্শও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মূল অভিযুক্ত ও তাঁর শাগরেদদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে বলেছেন তিনি। সন্দেশখালির ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও কথাও বিবেচনা করে দেখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। সন্দেশখালিকাণ্ডে মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালের রিপোর্টে কী রয়েছে?

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফেরার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা সহ অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের ঘটনাও রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। সোমবারই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে মহিলারা তাঁর হাতে রাখি পরান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ফেরার আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘কথা দিচ্ছি, যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমার যা ক্ষমতা আছে, তা দিয়েই আমি ব্যবস্থা নেব।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই রাজধানী দিল্লিতে রাজ্যপাল সিভি বোসের কনভয়ের মাঝে ঢুকে পড়ে অন্য একটি গাড়ি। ঘটনার নেপথ্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহনের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।

    রাজ্যপাল ফের যেতে পারেন সন্দেশখালি?

    বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যপাল। অসুস্থ সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে যান হাসপাতালেও। বিজেপি নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। সুকান্তের কেবিনে থাকা দলের সতীর্থদের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির বিষয়ে রাজ্যপাল উদ্বিগ্ন। ফের তিনি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যেতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। দিল্লি যাওয়ার আগে রাজ্যপালের কথাতেই ঝরে পড়ে উদ্বেগ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘‘আমি এমন কিছু শুনলাম, যা আগে কখনও শুনিনি। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে। চোখের জল বাধ মানে না। রবীন্দ্রনাথের জায়গায় এমন হতে পারে ভাবতেও পারছি না। সংবিধানে আওতায় আমার যেটুকু ক্ষমতা নিশ্চয়ই সাহায্য করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মহিলাদের উপর তৃণমূল নেতাদের বর্বরোচিত অত্যাচারের প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালীন রাজ্য প্রশাসনের চূড়ান্ত অসহযোগিতায় অসুস্থ্ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সরস্বতী পুজোর দিনে টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে দ্রুত কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধির জন্য হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু আমাদের সেই মানসিকতা নেই।”

    হুঁশিয়ারি দিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সময় অর্থাৎ বিগত তিন বছর ধরে আমাদের সঙ্গে যা ঘটছে, চাইলেই আমরা বিধানসভায় মমতার দেখানো পথে ভাঙচুর করতে পারতাম। সেই ক্ষমতা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি অর্জন করেছে। কিন্তু সেই রকম কোনও মানসিকতা আমাদের নেই। আর বিজেপি এই ধরনের কাজকে অনুমোদনও করে না। বাস ভাঙো, গাড়ি জ্বালাও, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করো, এইসবে আমরা বিশ্বাস করি না। তাবে শাসক দল ক্ষমতায় থাকলেও করে, আবার ক্ষমতায় না থাকলেও সম্পত্তি নষ্ট করে।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু?

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মমতাকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “টাকিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হওয়ার জন্য একমাত্র পুলিশের উৎপীড়ন দায়ী। শুধু বিজেপি নয়, বহু সাধারণ মানুষ আমাদের বলেছেন বনধ ডাকুন। আমরা সাধারণ মানুষের এই দাবিকে অস্বীকার করছি না। কিন্তু বিজেপি একটি দায়িত্বশীল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমরা কথায় কথায় অবরোধ করি না। আমরাও বিক্ষোভ দেখাই, কালো ব্যাজ পরি, মিছিল করি, প্রতিবাদ করি, কোথাও কোথাও পথ অবরোধ করি। কিন্তু আমরা মানুষকে বিপর্যস্ত করার ইচ্ছে রাখি না।” রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আবহের মধ্যে বনধের পথে না হেঁটে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও তীব্র আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share