Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CV Ananda Bose:  ‘শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে বাঁচান’, রাজ্যপালকে পায়ে হাত দিয়ে আর্জি মহিলাদের

    CV Ananda Bose: ‘শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে বাঁচান’, রাজ্যপালকে পায়ে হাত দিয়ে আর্জি মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিকে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারির জেরে সোমবারই এলাকায় বনধ ডেকেছে বামেরা। সোমবার মিনাখাঁর বাসন্তী হাইওয়েতে বামনপুকুর এলাকায় রাজ্যপালকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। মহিলাদের হাতে পোস্টার দিয়ে তৃণমূলীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পদে পদে বাধা পেয়ে অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছান রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) কী বললেন আতঙ্কিত মহিলারা?

    সন্দেশখালির মাটিতে রাজ্যপাল পা রাখতেই ফুল ছড়িয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় রাজ্যপালকে। এদিন রাজ্যপাল পৌঁছনোর আগেই দেখা যায় রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মহিলারা। কোনও প্ল্যাকার্ডে কেন্দ্রীয় পুলিশের দাবি জানানো হয়েছে। কোথাও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। রাজ্যপালের হাতে রাখিও পরিয়ে দেন অনেক মহিলা। একের পর এক মহিলা এসে তাঁর কাছে অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে থাকেন। অনেক মহিলা তাঁর পায়ে পড়লেন। রাজ্যপালের সামনে অনেকে আবার হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। শাহজাহান বাহিনী নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কথা তাঁরা বলেন। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। গ্রেফতার না করা হলে রাজ্যপাল চলে গেলে, তাঁদের উপর আরও অত্যাচার নেমে আসবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা রাজ্যপালের সামনে বলেন, ‘আমাদের মায়েদের শান্তির জন্য আপনারা কী চাইছেন জানি না। শাহজাহান বাহিনীর হাত থেকে আমাদের বাঁচান। কিন্তু, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের না ধরলে আপনারা চলে গেলে আমাদের যে অবস্থা হবে তা আরও ভয়ঙ্কর হবে। আমরা এরপর মুখ তুলে তাকাতে পারব না। ১৩ বছর ধরে যা অত্যাচার হচ্ছে, তার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে। ওরা যদি ফিরে আসে।’

    সন্দেশখালিতে গিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    সবার অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, “যাবতীয় ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রামের মহিলাদের সুরক্ষিত রাখা ও নিরাপদে রাখার জন্য যা যা করার তা করা হবে।”  সূত্রের খবর, ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কথাও বলেছেন সি ভি আনন্দ বোস। এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “কেরল সফরে ব্যস্ত থাকার সময় সন্দেশখালির ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানতে পারি। তাই সফর কাটছাঁট করেই চলে এসেছি।”

    দফায় দফায় বিক্ষোভ

    কেরল সফর থেকে কলকাতায় ফিরে সোমবারই যে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সন্দেশখালি যাবেন, সেই পরিকল্পনা আগেই ছিল। সকালে বিমানবন্দরে নামার পর নির্ধারিত রাস্তা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কনভয়। সেই পথেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হল রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে। সকাল ১১ টা নাগাদ যখন রাজ্যপালের গাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কনভয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান একদল মহিলা। বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ভিতরে একবার নয়, একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। মিনাখাঁর ওপর দিয়ে বামনগাছির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল কনভয়। প্রথমে বামনপুকুর এলাকায় আটকানো হয় গাড়ি।

    কচিকাঁচাদের হাতে প্লাকার্ড!

    বিক্ষোভকারীদের হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড। তাতে জানানো হয়েছে বকেয়া টাকার দাবি। সেখান থেকে পুলিশ কোনও ক্রমে জমায়েত সরিয়ে দেওয়ার পর কয়েকশ মিটার দূরে কালীতলা ফের দেখা যায় একই ছবি। আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালেক কনভয়। এমনকী কচিকাঁচাদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। কেন পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে তা জানে না তারা। তৃণমূলীদের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন মহিলারা। অনেকে আবার বলছেন, এলাকায় ইডি কেন আসছে। সন্দেশখালি থানাতে অশান্তি হচ্ছে কেন? এসবের জন্য তাঁরা জমায়েত হয়েছে। রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) কাছে আবাস যোজনার বাড়ি  চাইলেই পাওয়া যাবে বলে তৃণমূলের লোকজন মহিলাদের জমায়েক করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বার বার রাজ্যপালকে বিক্ষোভ দেখানো হলেও পুলিশের ভূমিকা ততটা সক্রিয় ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড ৬ বিজেপি বিধায়ক, ‘‘আমরা গর্বিত’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড ৬ বিজেপি বিধায়ক, ‘‘আমরা গর্বিত’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তার আঁচ এবার গিয়ে পড়ল বিধানসভাতেও। সন্দেশখালি নিয়ে কক্ষে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় সোমবার বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ ৬ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা গর্বিত’’।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’

    সোমবার অধিবেশনের শুরু থেকেই কার্যত উত্তপ্ত হয়ে কক্ষ। সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি, ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ লেখা টিশার্ট গায়ে দিয়ে কক্ষে ঢোকেন বিজেপি বিধায়করা। তাতে আপত্তি জানান স্পিকার। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হুইসেল বাজাতে শুরু করেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ক সাসপেন্ড

    শাসক দলের তরফে বিধানসভার (West Bengal Assembly) মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বিজেপির পুরো পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। পরে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। এর পরই, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সহ ৬ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শুভেন্দু ছাড়াও সাসপেন্ড হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, তাপসী মণ্ডল, বঙ্কিম ঘোষ ও শঙ্কর ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়। চলতি বছরের রাজ্য বাজেট অধিবেশনে আর এক দিনও অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।

    ‘‘যত সাসপেন্ড করবে তত এগোব…’’

    এর পরই বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। আজ পর্যন্ত বিজেপি বিধায়কদের স্বরাষ্ট্র দফতরের কোনও প্রশ্নের জবাব দেন না তিনি। বিধানসভায় সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নের জবাবও দেননি। সন্দেশখালির মা বোনেদের সম্মান বাঁচাতে আমরা সাসপেন্ড হয়েছি। আমাদের যত সাসপেন্ড করবে আমরা তত এগোব। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই হয়েছে। সাসপেন্ড হয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের কোনও দুঃখ নেই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির শঙ্কা! শীতের বিদায় লগ্নে ভিজবে কোন কোন জেলা?

    Weather Update: সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির শঙ্কা! শীতের বিদায় লগ্নে ভিজবে কোন কোন জেলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের বিদায়বেলাতেও ফের একবার বৃষ্টির ভ্রুকুটি। সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই শহরে মেঘলা আকাশ। তাপমাত্রাও বেড়েছে বেশ খানিকটা। ইতিমধ্যেই হাওয়া বদলের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কমবে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হওয়ার প্রভাব। বাড়বে দখিনা বাতাস ও পূবের বাতাসের দাপট। শীতের আমেজ কমে বাড়বে উষ্ণতা। বুধবার ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৩-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

    বৃষ্টির পূর্বাভাস

    শীতের গোটা মরশুমেই দফায় দফায় বৃষ্টির (Rainfall) মুখ দেখেছে বাংলা। শহর কলকাতার (Kolkata) পাশাপাশি বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চার ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়। মঙ্গলবার ও বুধবার সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) এবং ভ্যালেন্টাইন্স ডে (Valentines Day)-র দিনে হালকা বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।

    আরও পড়ুুন: “লোকসভা ভোটে বিজেপি ছাড়াবে ৩৭০ আসন”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    শীত বিদায়

    গত সপ্তাহে শীতের শেষ স্পেল ভালোই অনুভব করেছে বঙ্গবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নেবে শীত। চড়বে তাপমাত্রার পারদ। কলকাতায় আপাতত সোমবার সকাল-সন্ধে শীতের হালকা আমেজ থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। আংশিক মেঘলা আকাশ। বুধবার সরস্বতী পুজো ও ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন ও পরের দিন বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। গতকাল, রবিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৩০ থেকে ৯৪ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ১৭ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও ধীরে ধীরে পারদ চড়বে। শহর কলকাতার পারদও চড়ছে। উত্তরবঙ্গে এখনও রয়েছে শীতের আমেজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shamik Bhattacharya: সুবক্তা, দলের একনিষ্ঠ সৈনিক শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বিজেপি

    Shamik Bhattacharya: সুবক্তা, দলের একনিষ্ঠ সৈনিক শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সুবক্তা। দলের প্রতি আনুগত্য অটুট। দল বিরোধী কথা বলেননি কখনওই। তাঁর (Shamik Bhattacharya) প্রতি বরাবরই খুশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রয়েছেন দলের মুখপাত্র হিসেবে। এহেন একনিষ্ঠ নেতা শমীক ভট্টাচার্যকেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে বিজেপি।

    কমিটির মাথায় শমীক

    আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৩৫টি আসন পাওয়ার লক্ষ্যে লড়ছে বিজেপি। এজন্য গঠন করা হয়েছে ৩৫টি কমিটি। এরই একটি কমিটিতে রয়েছেন শমীক। কোন বক্তা কী বলবেন, প্রচারে গুরুত্ব দেওয়া হবে কোন কোন বিষয়কে, এসব ঠিক করতে যে কমিটি গড়া হয়েছে পদ্ম শিবিরে, সেই কমিটিরই মাথায় বসানো হয়েছে শমীককে (Shamik Bhattacharya)। সব সময় দলের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি। বিজেপিতে কোনও প্রশিক্ষণ হলেও, তলব করা হয় শমীককে।

    বাংলায় পদ্ম চিহ্নের প্রথম বিধায়ক

    এসব ছাড়াও শমীকের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। পদ্ম চিহ্নে জিতে বাংলার প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল-বিজেপি জোটের প্রার্থী হিসেবে শমীকের আগে জয়ী হয়েছিলেন বাদল ভট্টাচার্য। তবে বিজেপি একাই লড়ে যে বার বিধানসভায় প্রতিনিধি পাঠাতে সক্ষম হয়, সেবারই জিতেছিলেন শমীক। জিতেছিলেন বসিরহাট থেকে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য দমদম কেন্দ্রে হেরে যান তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শমীককে প্রার্থী করা হয় রাজারহাট নিউটাউনে। এবারও পরাস্ত হন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    তাঁকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হচ্ছে শুনে দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শমীক। বলেন, “দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, সংগঠনের কাছে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি, বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য মনোনীত করেছেন। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে বাংলার মানুষ আমাদের সেই সংখ্যা দিয়েছেন যাতে আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় একজন সদস্য পাঠাতে পারি।”

    এদিন খানিকটা নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন শমীক। বলেন, “সেসব দিনের কথা খুব বেশি করে মনে পড়ছে, যখন আমি, রাহুলদা (রাহুল সিনহা) পার্টি অফিসে বসে থাকতাম। আটের দশক তখন। বুদ্ধদেববাবু বলতেন, যাঁদের বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই, সর্বদলীয় বৈঠকে আমরা তাঁদের ডাকি না। সেদিনের সেসব কথা খুব মনে পড়ছে। অনেকে হয়ত আমাদের মধ্যে নেই। থাকলে খুশি হতেন যে কলকাতা থেকে রাজ্যসভায় আমরা প্রতিনিধিত্ব করতে পারব। সেটাই বারবার মনে হচ্ছে (Shamik Bhattacharya)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে  তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    Sandeshkhali: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ শানালেন। রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ কিছুই করবে না, কেননা তারা শাহজাহানের পয়সায় লালিত-পালিত হয়। নারী নির্যাতনে আমরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা (Sandeshkhali) দেখতে পাচ্ছি এই রাজ্যে।” এছাড়াও তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অন্যের স্ত্রীকে কীভাবে পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া যায় তৃণমূলের নেতাদের মনোরঞ্জন করার জন্য?”

    সন্দেশখালিতে নারীরা অসুরক্ষিত (Sandeshkhali)!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বোঝাই যাচ্ছে মহিলাদের কী চোখে দেখে তৃণমূল। হাজার টাকা দাও, তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাও। এই অফার চলছে। হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। কোনও ব্যক্তির স্ত্রীকে রাতে ডেকে নিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন সকালে পৌঁছে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কত ভাগ পায়, আমার জানা নেই। পুলিশ সেটাই করছে, মানুষ যাতে মুখ খুলতে না পারে, তাদের বক্তব্য না রাখতে পারে। যেভাবে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, তাতে বাঙালি চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আর আজ চুপ থাকলে, আগামী দিনে আপনার-আমার বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে এমনটাই করবে তৃণমূল কংগ্রেস।”

    নিখোঁজ বিজেপি নেতা

    শেখ শাহজাহানের নিখোঁজ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “শাহজাহান কোথায় আছে পুলিশ জানে, শাহজাহানই (Sandeshkhali) পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে কাজ করাচ্ছে। শিবু হাজরা ও তাঁকে খুঁজে পাবে না। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন তখন পুলিশ গ্রেফতার করবে। আদালতের উচিত নির্দেশ দেওয়া যে শাহজাহানের কান ধরে টেনে নিয়ে আসা হয়। তারপর শুরু হবে খেলা।” আবার সন্দেশখালিতে বিজেপি কনভেনার বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিকাশ সিং আমাদের ওখানে বহু পুরনো নেতা। তাঁর স্ত্রী খুব চিন্তিত। আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম তাঁকে নৌকায় করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উনাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করায় এসপি বলেন, আমরা বলতে বাধ্য নই। সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক কাজ করছে পুলিশ।”

    “মুখ্যমন্ত্রী ঘুমচ্ছেন” (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা এমন একটা বাক্স খুলে দিয়েছে যেখানে তৃণমূলের প্রাণ ভোমরা লুকিয়ে আছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় কীভাবে অত্যাচার করেছে তা সবার সামনে চলে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে। তারা চাইছে না, এটা সবার সামনে আসুক। কীভাবে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মহিলাদের উপর এই ধরনের অত্যাচার হল? এই বাংলার জন্য আমরা গর্ববোধ করি? মহিলাদের নিয়ে একটা কথা বলারও অধিকার নেই এই অভদ্র তৃণমূলের। মুখ্যমন্ত্রী ঘুমচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা তাঁর বাড়ির মহিলাদের নিয়েই, আর কাউকে নিয়ে নয়।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • GPS Based Toll: যানজট কমাতে চালু হচ্ছে জিপিএস নির্ভর টোল ব্যবস্থা, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    GPS Based Toll: যানজট কমাতে চালু হচ্ছে জিপিএস নির্ভর টোল ব্যবস্থা, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সারা দেশে জিপিএস (GPS Based Toll) নির্ভর টোল ব্যবস্থা কার্যকর হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি একথা জানিয়েছেন। দেশের হাইওয়ের টোলপ্লাজগুলিতে বর্তমানে যে ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে পরিবর্তন এনে এবার থেকে জিপিএস নির্ভর টোল আদায়ের পদ্ধতি চালু করা হবে। দেশের সড়ক এবং পরিবহণ দফতরের পক্ষে জানানো হয়েছে, এই ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত কম যানজট হবে। তাছাড়া নিরাপত্তা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে কোনও রকম অনুসন্ধান করতে এটি ব্যাপক কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বছরের আগামী এপ্রিল মাস থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার ইঙ্গিত মিলেছে।

    কী বলেন নিতিন গড়করি (GPS Based Toll)?

    কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি জানিয়েছেন, “ফাস্ট ট্যাগের সঙ্গেই জিপিএস (GPS Based Toll) নির্ভর এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে তা প্রথম চালু হবে। হাইওয়েতে ট্রাফিক জ্যাম কমাতেই এই নতুন পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার ফলে টোল আদায়ও আরও বাড়বে।” এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও আশা প্রকাশ করে বলেন, “ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়ার বর্তমান রাজস্বের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২ থেকে ৩ বছরে এই এই রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়াবে ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা।”

    নতুন টোল আদায় ব্যবস্থা

    এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “সরকার নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। জিপিএস (GPS Based Toll) নির্ভর টোল ব্যবস্থা গোটা দেশে চালু করতে চায় সরকার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্প আসবে।” যদিও গত দশ বছরে হাইওয়ের টোল প্লাজার ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৮ সালে হাইওয়ের টোল প্লাজাতে গড়ি দাঁড়ানোর সময় ছিল ৮ মিনিট। ফাস্ট ট্যাগ পদ্ধতির ফলে টোলপ্লাজায় এখন গাড়ি দাঁড়ানোর সময় কমে হয়েছে মাত্র ৪৭ সেকেন্ড। জিপিএস নির্ভর পদ্ধতি চালু হলে আগামী দিনে আরও সময় কম হবে বলে জানা গিয়েছে।

    কেমন হবে ব্যবস্থা

    জিপিএস নির্ভর ইলেকট্রনিক টোল (GPS Based Toll) গ্রহণ ব্যবস্থায় হাইওয়েতে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে একটি স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট গণনার সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে যানবাহনের কতটা দূরত্বের পথ অতিক্রম করছে সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে টোল ধার্য করা হব। এই পদ্ধতিতে গাড়ি চালানোর সময় গতিবিধি নিরীক্ষণ করে, সঠিকভাবে টোল করা অংশগুলিতে চালকদের প্রবেশ এবং প্রস্থানগুলিকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা থাকবে। একই সঙ্গে গাড়ির যাত্রাপথের দূরত্বকে বিশ্লেষণ করবে। গাড়ির চালক যে টোল প্লাজাগুলি অতিক্রম করেছেন তাও সুনিশ্চিত করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন, ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন, ফের ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নৃশংসভাবে নাবালিকাকে খুন করার ঘটনায় এবার বিশেষ নির্দেশ হাইকোর্ট। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পুলিশের রিপোর্টের বিস্তর ফারাক থাকায় কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। হাইকোর্ট বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।

    আদালত ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে (Murshidabad)…

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত দ্বিতীয়বার ওই কিশোরীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়নাতদন্ত শেষ করে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে ওই রিপোর্ট আদালতে  দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানান মৃতের পরিবারের আইনজীবী।

    আদালতের দ্বারস্থ হন নাবালিকার পরিবার

    গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। তারপর আর ফেরেনি। আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। যে ঘরে ওই কিশোরী থাকত, সেখানে একটি চিরকুট মেলে। তাতে লেখা ছিল, ‘চিন্তা কোরো না’। পরদিন অর্থাৎ, শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি সর্ষের ক্ষেতে নিখোঁজ ওই কিশোরীর দেহ মিলল। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন, গলায় ফাঁসের দাগ আর উপড়ে নেওয়া হয়েছিল দুটি চোখ। নিহত কিশোরীর পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করে পুলিশ। পরিবার অভিযোগ করে তাদের মেয়েকে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। প্রথমে তদন্তে নেমে এক জনকে আটক করে পুলিশ। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শরীরে একাধিক ক্ষত, গলায় ফাঁসের দাগ এবং ধর্ষণের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে থাকে মৃত্যুর কারণ। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা খুঁজতে করা হয় দেহের ময়নাতদন্ত। সেখানে উল্লেখ থাকে শরীরের আঘাতের কথা। ধর্ষণ হয়ে থাকলে তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সেই রিপোর্টে। অপ্রত্যাশিত ভাবে দুই রিপোর্টের বিস্তর ফারাকের কারণে কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি এসএসকেএমের চিকিৎসকদের দিয়ে কিশোরীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমতলায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরে, দলের মন্ডল সভাপতিদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন ও কর্মীসভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। মূলত এদিনের এই জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মমতার ভাইপোকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করেন। আবার একই ভাবে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শাহজাহান সম্পর্কে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাহজাহান একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করছে তাই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছেনা”।

    সন্দেশখালি নিয়ে কী বলেন (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “পুলিশকে আর গ্রেফতার করতে হবে না। সন্দেশখালির মা-বোনেরা জেগে গিয়েছেন। এবারে তাঁরাই ধরবে তৃণমূলের দুষ্কৃতী শিবুকে। শাহজাহান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই রয়েছে। কালীঘাটে রেড করুক তাঁকে পাওয়া যাবে। প্রতিদিন রাতের ডিনার এবং মধ্যাহ্ন ভোজন করছেন একসঙ্গে। ২০১১ আগে নন্দীগ্রাম ছিল এবার তৃণমূলের আমলে সন্দেশখালি হল।” অন্যদিকে তৃণমূল নেতা দেবাশীষ হাজরাকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস এইসব নাটক করছে, এছাড়া অন্য কোনও কিছুই নয়।” অপর দিকে এদিনের সভাস্থল থেকে তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই সিএএ লাগু হবে বাংলায়।”

    দেব প্রসঙ্গে কী বলেন?

    ঘাটালের প্রার্থী হওয়া নিয়ে দেব ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক প্রসঙ্গের বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমতলার সভায় বলেন, “কোনও লাভ হবে না, ঘাটালে বিজেপি ২ লাখ ভোটে জয়লাভ করবে। কেউ পাগল নয় যে দেশটাকে আফগানিস্তান-ইউক্রেন করতে চাইবে। মোদি জিকে সকলে ভোট দেবে।” পাশাপাশি বিশিষ্ট অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং আগামী লোকসভায় একসঙ্গে তাঁরা দুজনে প্রচার কর্মসূচি করবেন এমনটাও জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: পরীক্ষায় নকল করতে না পারায় মাধ্যমিক কেন্দ্রে চলল ব্যাপক ভাঙচুর, জ্বলল আগুন!

    Uttar Dinajpur: পরীক্ষায় নকল করতে না পারায় মাধ্যমিক কেন্দ্রে চলল ব্যাপক ভাঙচুর, জ্বলল আগুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল করতে না পাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর ঘটনা ঘটল স্কুলে। স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নকল করতে বাধা প্রদান করা হয়েছিল ছিল বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই এক শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা আগুন জ্বালিয়ে চেয়ার, টেবিল এবং ফ্যান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইটাহারে।

    পড়ুয়াদের শান্ত করতে আসে পুলিশ (Uttar Dinajpur)

    শনিবার উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইটাহার হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল করার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায়। এই দিন স্কুলে ভৌত বিজ্ঞানের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার সময় নকল করতে স্কুলের শিক্ষকেরা বাধা দিলে নকল করার সুযোগ পায়নি পড়ুয়ারা। ছাত্রদের একাংশের মধ্যে এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা যায়। এরপর স্কুলের একাধিক ক্লাস রুমে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। অবশেষে পড়ুয়াদের শান্ত করতে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    ইটাহার (Uttar Dinajpur) স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ ধর বলেন, “ওই স্কুলে বানবোল উচ্চ বিদ্যালয়, মারনাই উচ্চ বিদ্যালয়, কাপাসিয়া উচ্চবিদ্যালয়, দিগনা হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা ছিল। তারা স্কুলের দেওয়াল ঘড়ি, চেয়ার, টেবিল, বৈদ্যুতিক ফ্যান ভাঙচুর করে।” অপর দিকে বানবোল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপুল মৈত্র বলেন, “আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থী এইসব ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। তদন্ত করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

    ঘটনার তদন্ত শুরু

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশপাশি বিডিও এবং প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক দিন আগেই নতুন ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পরীক্ষার শেষে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় (Uttar Dinajpur) থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে সিএএ”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে সিএএ”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে কার্যকর হবে সিএএ আইন। খুব শীঘ্রই এ নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করা হবে।” এক সংবাদ মাধ্যমের গ্লোবাল সামিট অনুষ্ঠানে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সংসদে পাশ হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তার পর কেটে গিয়েছে চার বছর। এখনও লাগু হয়নি ওই আইন।

    সিএএ জারির আশ্বাস

    এ সংক্রান্ত বিলটি আইনে পরিণত হাওয়ার পর অশান্তি শুরু হয় দেশজুড়ে। বাংলায় প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। গত বছরের শেষের দিকে সিএএ জারি হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ নোটিফিকেশন অফিসিয়ালি জারি করা হবে। এ নিয়ে কারও কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এই আইন কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সিএএ এই দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। এ নিয়ে কারও মনে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। সিএএ লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস সরকারই। দেশভাগের সময় যখন লাখ লাখ উদ্বাস্তু এ দেশে এসে উঠেছিলেন, তাঁদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই কংগ্রেসই। এখন তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভুলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছে।” প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় শাহ সাফ জানিয়েছিলেন, দেশে সিএএ কার্যকর করা হবেই। পৃথিবীর কোনও শক্তি তাকে ঠেকাতে পারবে না।

    কী বললেন সরকারি কর্তা 

    নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে এক পদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইনেই আবেদন জানানো যেতে পারে। এজন্য অনলাইন পোর্টালও তৈরি হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটা অনলাইনেই করা হবে। সেখানে আবেদনকারীদের কেবল জানাতে হবে যে, কোন সালে বিনা নথিতে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও নথি চাওয়া হবে না। এ নিয়ে পদক্ষেপও করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে ১৪৪ ধারা ভাঙার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই এই সিএএ (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share