Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  •  Purulia: ঝালদায় দলের হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা, অনাস্থায় অপসারণ পুরপ্রধানের

     Purulia: ঝালদায় দলের হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা, অনাস্থায় অপসারণ পুরপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় দলেরই হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ঠেকানো গেলে না পুরসভায় অনাস্থা। পুরপ্রধানকে অপ্রসারণ করতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাল তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ফের দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ এবং অস্বস্তি দুই প্রকাশ্যে এলো। এলাকায় এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Purulia)?

    স্থানীয় (Purulia) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরপ্রধান বিজ্ঞপ্তি জারি করে তলবি বৈঠকের দিন ২৭ জানুয়ারি বদলে দেন। অপরে শাসক দল তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলর, কংগ্রেসের ২ কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মিলয়ে ৭-০ ভোটাভুটিতে তৃণমূলের পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়কে অপাসারণ করে দেন। ২০২১ সালে পুর নির্বাচনের পর ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হইয়েছিল। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রকাশ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। এবার এই পুরসভার বোর্ড গঠন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে তৃণমূলের কাউন্সিলরা, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালো। এবার পুরপ্রধানকে হবেন তাই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। এলাকার মানুষের বক্তব্য একেই বলে রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই রাজনীতি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় এই ঘটনায় তৃণমূল নিজের দলের মধ্যে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “এই ঘটনায় ঝালদা শহরের তৃণমূল কর্মী নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তলব করছি। সমস্ত বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছি।” অপর দিকে পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই তলবি সভা বৈধ নয়। এই বৈঠক পিছিয়ে আমি ২৭ জানুয়ারি করেছি। আমি আমার পুরসভার কাজ করে যাবো। ওঁরা যদি আমাকে কাজ করতে না দেয় তাহলে আমি আইনের সাহায্য নেবো।” এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অন্দরে ফের আইনি যুদ্ধের সূচনা যে হতে চলেছে সে কথা এলাকার অনেক মানুষই বলছেন।

    কংগ্রসের বক্তব্য

    এই দিন তলবি সভায় উপস্থিত থাকা শাসক দল তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান (Purulia) সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “৭-০ ভোটেপুর প্রধানকে অপসারণ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভবপর নয়।” অপর দিকে ঝালদা পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা এই তলবি সভায় অংশ গ্রহণ করা কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন, “গত দুই বছরে এই পুরসভায় কোনও কাজ হয়নি, এমন পুরপ্রধান আগে কোনও সময়ে দেখা যায়নি। সেই জন্য আমরা তাঁকে অপসারণ করলাম।” উল্লেখ্য গত ৬ সেপ্টেম্বরে বাঘমুন্ডিতে (Purulia) স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে নির্দল কাউন্সিলরা শিলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। এরপর পুরসভার বোর্ড গঠনের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Puja: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    Ram Puja: কালীঘাটে গেরুয়া শিবিরের রাম পুজোতে পুলিশের ‘না’, হাইকোর্ট দিল অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কালীঘাটে আগামী ২২ জানুয়ারি রাম পুজো (Ram Pujo) করার অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের অনুমতি না মেলায় এবারও বিজেপি দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। বিজেপির মিডিয়া সেলের কনভেনর তুষারকান্তি ঘোষ রামের পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যান। উচ্চ আদালত এদিন বিজেপিকে ২২ জানুয়ারি রাম পুজোর (Ram Puja) অনুমতি দিয়েছে।

    কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি? 

    পুজোর স্থান এবং সময়ও ঠিক করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিজেপি অবশ্য কালীঘাটের ৬৬ পল্লি নেপাল ভট্টাচার্য লেনে রামপুজো করার অনুমতি চেয়েছিল। তবে যানজটে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন এই কথা বিবেচনা করে ওই জায়গাটিতে পুজোয় অনুমতি দিতে আপত্তি জানায় রাজ্য। তাদের বক্তব্য, রাস্তা আটকে পুজো (Ram Puja) করা হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। এর পরে আদালত ওই রাস্তা বাদ দিয়ে পার্কে পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, আগামী ২২ জানুয়ারি কালীঘাটের দেশপ্রাণ শাসমল পার্কে রামপুজোর আয়োজন করতে পারবে বিজেপি। ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পার্কের একাংশে রাম পুজো করা যাবে। 

    ২২ জানুয়ারি দেশজুড়ে রাম পুজো 

    ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই দিন দেশের ধর্মস্থানগুলিতে নাম সংকীর্তন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছে আরএসএস। বিজেপিও ওই দিনটি বিশেষভাবে পালন করতে চায়। দিকে দিকে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা রাম পুজো (Ram Puja) করবেন। পুজোর প্রসাদ জনগণের বিতরণও করতে দেখা যাবে গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের। দিনভর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। রাম পুজোর অনুমতি চেয়ে কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতি নামে একটি ক্লাব পুলিশের কাছে কালীঘাটের ৬৬ পল্লি ক্লাবের কাছে রামপুজোর আয়োজন করতে চেয়ে আবেদন করে। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অবশেষে কোর্ট অর্ডারে হতে চলেছে পুজো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে ভাষণ নয়…’’, তৃণমূলকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন সংহতি যাত্রার আয়োজন করেছে তৃণমূল। তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের পর ২২ জানুয়ারি তৃণমূলের মিছিলে আর কোনও বাধা রইল না।

    হিংসার আশঙ্কা

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার বলেন, “২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ব্লকে ব্লকে এই মিছিল হলে হিংসা ছড়াতে পারে। রাম নবমীতে রাজ্যে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। তেমন হিংসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।” সওয়াল-পর্ব শেষে (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে মিছিল করা যাবে ২২ জানুয়ারি। তবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে পারে এমন কোনও মন্তব্য করা যাবে না। মিছিল করতে হবে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। শব্দবিধি মানতে হবে। তবে মিছিল থেকে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় নিতে হবে তৃণমূলকে।

    কী বলল আদালত?

    প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের মিছিলের ক্ষেত্রে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে, আটকে পড়তে পারে অ্যাম্বুল্যান্স। এই বিষয়গুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পার্টি ও রাজ্য সরকারকে তৎপর হতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, প্রতি ব্লকে যদি এই মিছিল হয়, তবে সেখানকার সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে। এই মিছিলের জন্য আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই দিন আরও ৩৫টি মিছিলের আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি অনুমতি পেলে সমস্যা আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে মিছিলের যে আর্জি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় রাম মন্দির উদ্বোধন, নেতিবাচক প্রচার শুরু পাকিস্তানের!

    রায়ে বলা হয়েছে, ‘অঘটন ঘটলে দায় বর্তাবে ওই দলের ওপর। আদালতের (Calcutta High Court) রায় লঙ্ঘন করলে দায়ী হতে পারেন ব্যক্তিও।’ প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতার হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেছে তৃণমূল। নাম দেওয়া হয়েছে সংহতি যাত্রা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

    Sheikh Shahjahan: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই হামলার মূল হোতা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) হদিশ পায়নি পুলিশ। যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহের মধ্যে সিপিএমের সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তৃণমূলের প্রধানের বাড়িতেই শাহজাহান! (Sheikh Shahjahan)  

    সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ইডি আধিকারিদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মনিকা রায়ের আশ্রয়েই ছিলেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) । আমাদের কাছে খবর আছে ও সন্দেশখালির ছোট কলাগাছি নদী পেরিয়ে কোড়াকাটিতে গিয়েছে। কোড়াকাটির প্রধানের বাড়িতেই সে রাতে ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে নানাভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। অথচ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশ সব জানে। কী খাচ্ছে, কী করছে সব জানে ন্যাজাট থানার পুলিশ। আমার মনে হয় শেখ শাহজাহান যে টাকা কামিয়েছে সন্দেশখালি থেকে তা তো ও একা ভোগ করেনি। তাই ও ধরা পড়লে অনেক রাঘববোয়ালের নাম যে আসবে এতে কোনও সন্দেহ নেই। শাহজাহান সন্দেশখালিতেই আছে। এখানেই ওর আসল নিরাপত্তা।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা রায় বলেন, নিরাপদ সর্দার তো পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করতে পারেন। পুলিশ তো আর আমার কেনা নয়। পুলিশ এসে আমার বাড়িতে এসে তদন্ত করে দেখতে পারত শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)  ভাই আছে কিনা! আইন আইনের মতো চলবে। আমরা তো নিচুতলার কর্মী। কিন্তু, ভাই (শেখ শাহজাহান) ভাইয়ের মতো এগিয়ে যাবে। ২০ দিন হল আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ভাই আমাদের ফোন করে না। আমরাও ভাইকে ফোন করি না। কোথায় আছে জানি না। নিজের মতোই আছে।ভাইকে আমরা পিতার মতো ভালবাসি। শ্রদ্ধা করি। ও তো জনগণের প্রতিনিধি। গরিব মানুষের পাশে থাকে সর্বদা। আমাদের সবাইকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। উনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না। উনি নিশ্চয় আইনের আশ্রয় নিয়ে আইনের পথে চলছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মেঘলা আকাশ ভরা শীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, মেঘলা আকাশ ভরা শীতে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহর থেকে জেলা, গত কয়েক দিনে শীতের কামড় টের পেয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ। জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জের, ভরা শীতেও বৃষ্টির ভ্রূকুটি। শহরের কোথাও কোথাও বৃষ্টি শুরুও হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে, আজ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। ভরা মাঘে ফের বৃষ্টি-শঙ্কা ঘুম কেড়েছে কৃষকদের। 

    ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব বঙ্গে

    বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এরই পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম ভারতে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। উত্তুরে হাওয়া হাত গুটিয়ে নেওয়ায় বঙ্গে পূবালি হাওয়ার (Rain in Kolkata) দাপট বাড়ছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা (Kolkata) শহরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মহানগরীতে শীতের দাপট কমবে। চড়বে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। কলকাতায় তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি বেড়ে আজ ১৬.৩। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে, বেলার দিকে আবহাওয়ার উন্নতি। রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা নিচে থাকবে। শীতের আমেজ থাকলেও কাঁপন কমবে। কলকাতার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। বৃষ্টির পরেও তাপমাত্রা খুব একটা নামার সম্ভাবনা কম। এবার ধীরে ধীরে শীতের দাপট কমবে, বাড়বে তাপমাত্রা, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।

    আরও পড়ুন: নজির রোহিতের, জোড়া সুপার ওভার, আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বরেকর্ড ভারতের

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে গত কালই তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিং জেলার কিছু অংশে। বরফে ঢেকেছে দার্জিলিং। শীতে কাঁপছে শৈলশহর। আবহাওয়া দফতর আরও জানায়, উত্তরবঙ্গে বিহার সংলগ্ন জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। এছাড়াও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। আজ দার্জিলিঙের তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দু-তিনদিন তুষারপাত হতে পারে। পার্বত্য এলাকায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: কাউন্সিলরের সামনে বেআইনি নির্মাণ হয়ে গেল! বিরক্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: কাউন্সিলরের সামনে বেআইনি নির্মাণ হয়ে গেল! বিরক্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipal Corporation) রেজিস্টারের বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ পুরসভার প্রতিনিধি বা কাউন্সিলররা কাদের চিঠি পাঠাচ্ছেন বা কার কাছ থেকে তাঁদের কাছে চিঠি আসছে, অফিসে এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে একটি খাতায় তা উল্লেখ রাখতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। একবালপুরে একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেন তিনি। 

    কী বললেন বিচারপতি

    বুধবার ওই মামলার শুনানির সময় স্থানীয় কাউন্সিলর সোমা দাসের উপর বেজায় অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, “২ বছর হল, কাউন্সিলর হয়েছেন। আপনার চোখের সামনে একটি বেআইনি নির্মাণ হয়ে গেল, অথচ আপনি জানতেই পারলেন না।” কাউন্সিলরের কাছে কোনও রেজিস্টার নেই জানতে পেরে অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি। তিনি বলেন, “এটা কী ধরনের অফিস? যেখানে একটা রেজিস্টার মেইনটেইন হয় না?” কাউন্সিলরের অফিস নিয়েও কড়া মন্তব্য করেন তিনি। আদালতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) পর্যবেক্ষণ, “একটা আড্ডাখানা তো আছে! যেখানে সবাই মিলে বসে আড্ডা দেন।” 

    আরও পড়ুন: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

    কেমন হবে রেজিস্টার

    প্রত্যেক কাউন্সিলর অফিসে ঠিকঠাক রেজিস্টার মেইনটেন করেন কি না, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এমন একটি রেজিস্টার যেখানে কাউন্সিলর কাকে চিঠি পাঠাচ্ছেন, বা কার কাছ থেকে চিঠি আসছে অফিসে, সেসব বিষয়ে উল্লেখ থাকবে। এর পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন কলকাতা পুরসভাকে (Kolkata Municipal Corporation) নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে বিষয়টি তলিয়ে দেখা হয়। যাতে কাউন্সিলরদের রেজিস্টার মেইনটেন করা বাধ্যতামূলক করা হয়, সেই দিকেও পদক্ষেপ করার জন্য পুরনিগমকে বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে এর আগেও বার বার কড়া মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ময়দানে ইডি, ধৃত প্রসন্ন রায়ের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি

    SSC Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ময়দানে ইডি, ধৃত প্রসন্ন রায়ের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে ফের শহরে অভিযানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid)। বৃহস্পতিবার সাতসকালে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে, রেশন দুর্নীতি নয়, এদিন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC Recruitment Scam) তদন্তে ইডি-র এই বিরাট অভিযান। বিভিন্ন ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়েছে ইডি।

    ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ‘অ্যাকশন’

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ভোর ৬টা নাগাদ সিজিও থেকে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা (ED Raid)। সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় ‘অ্যাকশন’। একদিকে যেমন প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাট, অফিসে হানা দিয়েছে ইডি, ঠিক তেমনই তার ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী টিম। এদিন মোট ৭টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    নিউটাউনের একাধিক জায়গায় হানা

    সাড়ে ছ’টা নাগাদ নিউটাউনের দুটি ভিলায় হানা দেন গোয়েন্দারা। এই ভিলা দুটি প্রসন্ন রায়ের বলেই সূত্রের খবর। নিউটাউনের সিজি ব্লকে একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেয় অন্য টিম। জানা যাচ্ছে, এই আবাসনেই ফ্ল্যাট রয়েছে প্রসন্নর। এছাড়া, আরও একটি দল এ-এইট ব্লকে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, প্রদীপ সিং নামে এক ব্যক্তির এ-ফাইভ ফ্ল্যাটেও চলছে তল্লাশি। এই প্রদীপ হলেন প্রসন্নর সহযোগী। তিনিও নিয়োগ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। 

    চাকরি বিক্রির মিডলম্যান প্রসন্ন!

    শুধু নিউটাউন নয়, নয়াবাদেরও একটি আবাসনেও হানা দিয়েছে ইডি (ED Raid)। জানা যাচ্ছে, আবাসনের তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকেন পরিবহণ ব্যবসায়ী রোহিন ঝা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই রোহিত প্রসন্ন রায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডি সূত্রের দাবি, চাকরি বিক্রির (SSC Recruitment Scam) মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন পরিবহণ ব্যবসায়ী প্রসন্ন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন তিনি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ মামলার তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে গঠিত হয়েছে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সেই বেঞ্চেই চলছে নিয়োগ মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘‘আন্দোলনকারীদের দিকে ছুরির ধার অনেক বেশি’’, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘‘আন্দোলনকারীদের দিকে ছুরির ধার অনেক বেশি’’, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনকারীরা ছুরির যে প্রান্তে রয়েছেন তার ধার অনেক বেশি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন হাইকোর্ট জানায়,  ছুরির দু’দিক দিয়ে কাটা যায়। সেই ছুরির এক প্রান্তে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা, আর অন্য প্রান্তে রয়েছেন চাকরিপ্রাপকেরা। আন্দোলনকারীরা যে প্রান্তে রয়েছেন, সে দিকের ধার অনেক বেশি। আন্দোলনকারীরা চাকরিপ্রাপকদের থেকেও বেশি গরিব বলে এদিন পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করে উচ্চ আদালত। পাশাপাশি বিপক্ষের আইনজীবীকে আন্দোলনকারীদের কথা ভাবারও কথা বলে হাইকোর্ট।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে শুনানি হচ্ছে হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, আগেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি ছ’মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এই সংক্রান্ত মামলাগুলির জন্য গঠন করা বিশেষ বেঞ্চও (Calcutta High Court)। ওই বিশেষ বেঞ্চেই চলছে শুনানি। বুধবারই বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বিশেষ বেঞ্চে গ্রুপ ডি-র নিয়োগ মামলার শুনানি চলছিল।

    হাইকোর্টে সওয়াল জবাব

    সেই মামলায় চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী (Calcutta High Court) অনিন্দ্য মিত্র এদিন বলেন, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সব চেয়ে নীচের স্তরে রয়েছেন গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রাপকেরা। তাঁরা অর্থনৈতিক ভাবে সব চেয়ে দুর্বল। উপরতলার আধিকারিকদের দুর্নীতির দায় তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’’ এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন , ‘‘আন্দোলনকারীরা ছুরির যে প্রান্তে রয়েছেন, তার ধার অনেক বেশি। বিচারপতি বসাকের যুক্তি, গ্রুপ ডি-র কর্মীরা তো তবু চাকরি করছেন। বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু যাঁরা রাস্তায় বসে রয়েছেন, তাঁদের কথাও ভাবা দরকার।’’ প্রসঙ্গত, রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও দীর্ঘদিন রাস্তায় বসে থেকে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে ফের সওয়াল শোনা গেল রাজ্যের উচ্চ আদালতে।

    আরও পড়ুন: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ফের সোনার দোকানে ডাকাতি! ক্রেতা সেজে বন্দুক ঠেকিয়ে চলল দুঃসাহসিক লুটপাট

    Howrah: ফের সোনার দোকানে ডাকাতি! ক্রেতা সেজে বন্দুক ঠেকিয়ে চলল দুঃসাহসিক লুটপাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাওড়ায় (Howrah) দিনেদুপুরে সোনার দোকানে ডাকতির ঘটনা ঘটল। মালিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে চলল ব্যাপক লুটপাট। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই দুঃসাহসিক ডাকতির ঘটনা ঘটেছে বাগনান-শ্যামপুর রাস্তার পাশে থাকা নিউ রায় জুয়েলার্স নামক একটি দোকানে। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ। তবে ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে আগেও একাধিক জেলার সোনার দোকানে ডাকতির ঘটনা ঘটেছিল। বার বার সোনার দোকানে এই ভাবে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা(Howrah)?

    স্থানীয় (Howrah) সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বুধবার দুপুর ১২ টার সময় দুই দুষ্কৃতী একটি মোটর বাইকে করে শ্যামপুরে শশাটি বাজারে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে। দোকানে ঢুকে রীতিমতো মালিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দোকানের অলঙ্কার লুট করে চম্পট দেয়। এরপর দোকানের মালিক চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে দোকানে। দোকানে এই দুষ্কৃতীরা অবশ্য ক্রেতা হিসাবে প্রথমে ঢুকেছিল। এরপর নানা রকমের অলঙ্কার দেখে তারা। একই ভাবে বুঝতে না পেরে দোকানদারও আরও বেশ কিছু গয়না সাজিয়ে দেন। ঠিক পরিস্থিতি বুঝে আচমকা পিস্তল বার করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। এই রকম দিনেদুপুরের ডাকাতির ঘটনায় রীতিমতো সোনার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এইভাবে মানুষের ব্যবসা ক্ষেত্রে যদি সুরক্ষা না থাকে, তাহলে বাজারে যে কোনও ব্যবসায়ীর পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা কার্যত মুশকিল হবে বলে মনে করছে এলাকার মানুষ। ঠিক একই ভাবেই প্রশ্ন তুলেছে শশাটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরাও।

    রাজ্যে আগেও ঘটেছে ডাকতি

    উল্লেখ্য, রাজ্যে আগেও সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। বারাকপুর, পুরুলিয়া, রানাঘাট, মালদা, সোনারপুরে ডাকতির ঘটনা ঘটেছিল। গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়া শহর এবং নদিয়ার রাণাঘাটের সেনকো গোল্ডের দোকানে একই দিনে ডাকাতির ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের একবার হাওড়ায় (Howrah) ডাকতির ঘটনা ঘটল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই আর রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই আর রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২ দিন অতিক্রান্ত। এখনও অধরা সন্দেশখালি-কাণ্ডের (Sandeshkhali Case) অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। নিখোঁজ শাহজাহানের খোঁজে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের একজন করে এসপি পদমর্যাদার অফিসার। তবে ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে ন্যাজাট থানার কোনও পুলিশ আধিকারিক বা কর্মী থাকতে পারবেন না। বুধবার এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 

    কী বলল আদালত

    সন্দেশখালি-কাণ্ডে (Sandeshkhali Case) মোট তিনটি এফআইআর হয়েছে ন্যাজাট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর করেছে ইডি। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআরটি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকর। আদালত জানিয়েছে, প্রথম দুটি এফআইআরের তদন্ত করবে সিট। দলে সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের এসপি পদমর্যাদার অফিসার থাকবে। । রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে তাদের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দলে থাকবেন ইসলামপুর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের এসপি জাসপ্রীত সিং। তবে সিবিআইয়ের তরফে এখনও কোনও আধিকারিকের নাম বলা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রয়োজনে আধা সেনা ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারবে সিট। 

    আরও পড়ুন: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

    আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে সিট

    বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতেই চলবে যৌথ তদন্ত। এই বিশেষ তদন্তকারী দল রাজ্য বা কেন্দ্র কোথাও রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া জমা দেওয়া যাবে না চূড়ান্ত রিপোর্টও। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মারধর খেয়েছিলেন ইডি অফিসাররা। শাহজাহানকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। এই অবস্থায় ইডি আদালতে দাবি করে যে সন্দেশখালি কাণ্ডে তদন্তের ভার রাজ্য পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিবিআইকে দেওয়া হোক। তবে এসব ক্ষেত্রে সাধারণত যৌথ তদন্তের নির্দেশই দিয়ে থাকে আদালত। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিটকে যাবতীয় নথি দিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে বিশেষ তদন্তকারী দল বা (সিট)-কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share