Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sheikh Shahjahan: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্ন আদালতে বিচারাধীন যে সমস্ত খুনের মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan), সেগুলির বিচার প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না এই মামলাগুলিতে। বুধবার এমন নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

    বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতার দাবি, পুলিশ সবকিছু জেনেও শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ধরেনি। সেই প্রেক্ষিতে সিআইডির চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা করেন শুভেন্দু। বুধবার এই মামলার কেস ডায়েরিও চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট।  কলকাতা হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশের পরে শাহজাহানের ওপরে চাপ অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে খুন ৩ জন বিজেপি কর্মী

    প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতে খুন হন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। কিন্তু সিআইডি তদন্তে চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে যায় শাহজাহানের নাম। সেই খুনের অভিযোগ সামনে এনে হাইকোর্টের নতুন করে সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদের পরিবারের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে সম্প্রতি ইডি অফিসাররা আক্রান্ত হন। হামলা চালানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেও। তারপর থেকেই বেপাত্তা শাহজাহান।

    শাহজাহানের নাম বাদ পড়ে চার্জশিট থেকে

    জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীদের খুনের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। তদন্তের পরে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সমেত ২৫ জনের নাম বাদ পড়ে চার্জশিট থেকে। মামলার মূল অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিটে নাম ছিল মইজুদ্দিন মোল্লা ও জাভেদ আলি মোল্লার। জানা যায়, পরে এই দুই তৃণমূলের দুষ্কৃতীও জামিন পেয়ে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISF: বিজেপির পর আইএসএফ, শর্তসাপেক্ষে সিদ্দিকির দলকে সভার অনুমতি হাইকোর্টের

    ISF: বিজেপির পর আইএসএফ, শর্তসাপেক্ষে সিদ্দিকির দলকে সভার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস এলাকা। ফি বছর (ISF) একুশে জুলাই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। এই এলাকায় সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বিজেপিকেও। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সেবার সভার অনুমতি পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। ফের সেই একই সমস্যার সম্মুখীন আইএসএফ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভার অনুমতি না পেয়ে মঙ্গলবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দল দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, “অন্য দল সভা করতে পারলে আইএসএফ নয় কেন? সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই সভা হোক।” মঙ্গলবার আদালতে আইএসএফের তরফে জানানো হয়েছিল, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। বুধবার শুনানি হয় এই মামলার। আইএসএফের আবেদনে সাড়া দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে নওশাদের দলকে সভার অনুমতি দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, আদালতের অনুমতি নিয়ে এই জায়গায় ২৯ নভেম্বর সভা করেছিল বিজেপি।

    শর্তসাপেক্ষে সভা

    ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে সভা সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র করা হোক বলে আদালতে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত বছর রানি রাসমণি রোডে আইএসএফের সভায় গন্ডগোলের প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই আইএসএফের (ISF) আইনজীবীকে বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘তৃণমূল বা অন্য দল সভা করলে তাদের বিরুদ্ধে গন্ডগোলের অভিযোগ ওঠে না। কেউ উসকানি দিতেই পারে। কিন্তু নিজের সমর্থকদের আটকানো কার কাজ?’ এর পরেই বিচারপতি বলেন, “ওই জায়গায় সভা করতে বারণ করছে না আদালত। তবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করুক আইএসএফ। সমর্থক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিজেরাই বিধিনিষেধ আরোপ করুক দল।” আদালতের পর্যবেক্ষণ, সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই হোক সভা। তারা কত লোক আনবে, সেই বিষয়ে আদালতকে বৃহস্পতিবার জানাতে আইএসএফ-কে নির্দেশ দিল আদালত। আগামিকাল এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাবে নওশাদের দল ও পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    ভিক্টোরিয়া হাউসের এই জায়গায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা করতে চেয়েছিল বিজেপি। পুলিশের অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিরা। সেই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম প্রশ্ন তুলেছিলেন, “ওখানে সভা করা নিয়ে বৈষম্য কেন? ওখানে কি তৃণমূলের সভাও বন্ধ করে দেব?” তার পরেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপিকে সভার অনুমতি দিয়েছিল (ISF) আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারির রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন, সেদিনই আবার কলকাতাতে সংহতি যাত্রার ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই বিতর্কিত কর্মসূচি নিয়ে এবার জল গড়াল হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই মর্মে যে সংহতি যাত্রা হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। বুধবারই জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানান নন্দীগ্রামে বিধায়ক। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় অন্যতম পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বৃহস্পতিবারই শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি মমতার

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে রামভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সারা দেশ জুড়ে এই দিনটি উদযাপন হবে। ধর্মস্থানগুলিতে চলবে কীর্তন। এই দিনেই মমতার ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই দিন কলকাতা সমেত প্রত্যেকটি জেলায় এবং ব্লকগুলিতে মিছিল করবে তৃণমূল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ওই দিনেই। এমন কর্মসূচি ২২ জানুয়ারির আগে বা পরে করা যেতেই পারতো। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সঙ্গে সম্প্রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর উদ্দেশ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আশঙ্কা যে ওইদিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান (Ram Mandir) হবে, সেখানে বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রীতির পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি।

    সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ

    অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সব রামের (Ram Mandir) ইচ্ছা। যারা চিরদিন জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছে, তারাই সংহতি মিছিল করছে। এর থেকে বড় বিড়ম্বনা আর কী হতে পারে। দেশে বা কেন্দ্রে যা অনুষ্ঠান হয়, তার সবসময় উনি বিরোধিতা করে এসেছেন। এটাকেই উনি রাজনীতি মনে করেন। তাই আজ উনি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন, তার আলাদা জাতীয় সঙ্গীত চাই, আলাদা জাতীয় পতাকা চাই, আলাদা কোর্ট চাই, আলাদা পার্লামেন্ট চাইবেন। যার চিন্তাভাবনার মধ্যে সংহতি নেই, তিনি যতই সংহতি যাত্রা করুন, কিছু হবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বিকেলে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কনকনে শীতে ভিজবে কোন কোন জেলা?

    Weather Update: বিকেলে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কনকনে শীতে ভিজবে কোন কোন জেলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনকনে ঠান্ডার মাঝেই এবার বৃষ্টিতে ভিজতে পারে শহর কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাস বলছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বুধবার রাতের দিক থেকেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বুধবার ভিজতে চলেছে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাতেও। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

    বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যজুড়ে

    বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি এলাকা। বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢেকে থাকবে। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গেই নয়, বৃষ্টিতে ভিজতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিও। বুধবার থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: অলিম্পিক্সের দৌড়ে! হকিতে ইতালিকে ৫-১ গোলে হারাল ভারতের মেয়েরা

    কুয়াশার দাপট

    গত ২ দিনের মতোই কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে বুধবার ঘুম ভাঙে শহরবাসীর। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা কাটলেও সারা দিন স্যাঁতস্যাঁতে একটা ঠান্ডা আবহাওয়া থাকবে বলে পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া অফিস বলেছে, বৃষ্টি হতে পারে সন্ধ্যার দিকে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছিল কুয়াশার দাপট। দৃশ্যমানতা কম থাকায় প্রভাব পড়ে ট্রেন চলাচল ও সড়ক পরিবহনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshineswar Skywalk: স্কাইওয়াক ভাঙার খবর গুজব, তার পরেও হাওয়া গরমের চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর?

    Dakshineswar Skywalk: স্কাইওয়াক ভাঙার খবর গুজব, তার পরেও হাওয়া গরমের চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তের হোরিখেলায় তাঁর বিশ্বাস! তাই কখনও রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানে তরুণ কংগ্রেস কর্মীদের এগিয়ে দিয়ে লাশ করে দেওয়া, কখনও আবার শব নিয়ে কলকাতার বুকে মিছিল করার সাক্ষী রয়েছেন রাজ্যবাসী। বিরোধীদের এহেন (Dakshineswar Skywalk) অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলল আরও একবার, মঙ্গলবার। এদিন ফের তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে আনলেন রক্তের অনুষঙ্গ। বললেন, “আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না।”

    পুরোটাই গুজব

    অথচ দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙার বিষয়টি রেলের ভাবনা-চিন্তার স্তরেও নেই বলেই খবর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রেলের কোনও বক্তব্য নেই। তবে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙা হবে, সেকথা রেলের তরফে বলা হয়নি। পুরোটাই গুজব ছড়িয়েছে।” কৌশিকের বক্তব্য থেকে একটি কথা খুব স্পষ্ট, সেটা হল, স্রেফ একটা গুজবকে সত্য বলে ধরে নিয়ে আস্ত একটা সাংবাদিক সম্মেলন করে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী!

    রক্তের অনুষঙ্গ কেন?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওয়া গরম করতেই টেনে আনলেন রক্তের অনুষঙ্গ! যিনি মুখ্যমন্ত্রী, গোটা রাজ্যের ভার যাঁর কাঁধে, সেই তিনিই কিনা খবরের সত্যতা যাচাই না করে, স্রেফ গুজবের ওপর ভিত্তি করে গরম করে ফেললেন হাওয়া। রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে (Dakshineswar Skywalk) নিখুঁত অঙ্ক। রেশন বণ্টনকাণ্ডে কার্যত ফেঁসে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সতীর্থ রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে কেলেঙ্কারির বেলুন ফাটিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ তৃণমূল সুপ্রিমো। এসব থেকে রাজ্যবাসীর দৃষ্টি ঘোরাতেই কারা যেন ছড়িয়ে দিল গুজব। আর সেই গুজবে ভর করেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ফেললেন, “আমার রক্ত থাকতে আমি দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। এটা আমার হৃদয়ের একটি মণিমুক্তোর মতো।”

    মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয়ের মণিমুক্তো ভাঙার কথা তো কেউ বলেননি! রেলের তরফেও তো জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটি স্রেফ (Dakshineswar Skywalk) গুজব। তার পরেও কেন এল রক্তের অনুষঙ্গ? কেনই বা সস্তা সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দেওয়া? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামতে চাইছেন ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী।” মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় হবে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার অতিথি। এই দিনই বাংলায় সম্প্রীতি মিছিলের আয়োজন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই কর্মসূচিকেই নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা

    তিনি বলেন, “এটা খুবই উদ্বেগের। সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট ওঁর কাছ থেকে সরে যাচ্ছে বলে উনি কার্যত রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। উনি উসকানি দিচ্ছেন। চাইছেন, গোটা রাজ্যে ব্লকে ব্লকে সম্প্রীতি মিছিলের নামে যাতে সেদিন রাম নবমীর মতো গোটা রাজ্যে কোথাও কোথাও অশান্তি ও মানুষের জীবন থেকে শুরু করে ধন-সম্পত্তির ক্ষতি হোক। পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে এটা খুবই উদ্বেগের। তিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ও শাসকদলের মুখিয়া। তিনি এই ধরনের আগুন লাগানোর চেষ্টা করছেন। এই উসকানি ছাড়া উনি ওঁর হারিয়ে যাওয়া মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক কিছুতেই ফিরিয়ে আনতে পারবেন না, এটা উনি ভালো করে জানেন।”

    ‘ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মুসলিমরা। তাই মুসলিমদরদি ভাবমূর্তি দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ককে সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী ধ্বংসের খেলায় নামতে চাইছেন।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “মনরেগা আর আবাস যোজনার টাকার দাবিতে রেড রোডে যে ধর্না দিয়েছিলেন, সেখান থেকে রাম নবমীর উসকানিদাতার নাম যদি কিছু থাকে, তাহলে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উসকানিতেই রিষড়া, ডালখোলা ও শিবপুরের পিএম বস্তিতে দাঙ্গা হয়েছিল।” শুভেন্দু বলেন, “ওঁর কণ্ঠস্বর হায়দরাবাদের পাকিস্তানপ্রেমী নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি মহামান্য রাজ্যপালকে বলব, উনি অবিলম্বে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রকে জানান। রাম নবমী থেকে শুরু করে সিএএ-কে এনআরসির তকমা দিয়ে যেসব জায়গায় সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছিল, নূপুর শর্মা ইস্যুতেও যা হয়েছিল, সেই সব জায়গা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন। ওই সব জায়গায় আধাসেনা মোতায়েন করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Suvendu Adhikari: তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন অনুকূল ঠাকুর! মমতার মন্তব্যে বিতর্ক, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন অনুকূল ঠাকুর! মমতার মন্তব্যে বিতর্ক, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেখানেই তিনি দাবি করেন, যুগাবতার অনুকুল ঠাকুর নাকি তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন এবং তিনি তা দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানের ওই ভিডিও ইতিমধ্যে নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কমেন্ট বক্সে ভেসে আসছে নানা মন্তব্য। মুখ্যমন্ত্রীর এধরনের মন্তব্য অবশ্য নতুন নয়। গতবছর দেশের চন্দ্রাভিযানের সময় তিনি বলেন, রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন।

    কী লিখলেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানের ওই ভিডিওটি পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং তিনি সেখানে লেখেন, “যুগাবতার পুরুষোত্তম্ শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ১৯৬৯ সালে দেওঘরে দেহ ত্যাগ করেন। উনি কি আপনাকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন জমির ব্যাপারে? এই সব মিথ্যাচারের জন্য আপনি ক্ষমা চান এবং কোনও অভিজ্ঞ মানসিক চিকিৎসাবিদের তত্ত্বাবধানে নিজের মস্তিষ্কের চিকিৎসা করান। আপনার সুস্থতা কামনা করি।” 

    শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন এবং সেখানে তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী এমনকাণ্ড নতুন করছেন না, এর আগে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরকেও তিনি অসম্মান করেছেন। এর আগে তিনি এও দাবি করেছেন ইসকনকেও নাকি তিনি জমি দিয়েছেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মত হল যে তারা নাকি দাঙ্গা করে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, অনুকুল ঠাকুরের ভক্তদের কথা চিন্তা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দেওঘরে এইমস-এর মতো হাসপাতাল বানিয়ে দিয়েছেন এবং বিমানবন্দর তৈরি করে দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: নবদ্বীপে আক্রান্ত এবিভিপি, সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

    ABVP: নবদ্বীপে আক্রান্ত এবিভিপি, সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে তৃণমূলের বর্বরোচিত হামলার শিকার এবিভিপি-এর (ABVP) এক ছাত্র ও তিন ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালের তৃণমূলের এই হামলার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা শহরজুড়ে। ঘটনায় আক্রান্তদের গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো পরে অবস্থার অবনতি শুরু হয়। শক্তি নগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় পড়ুয়াদের। ঘটনার পরে ঠিক সন্ধ্যার সময় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন।

    এটাই প্রথম নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই সংঘর্ষ চলছে কলেজে। আসলে পায়ের তলায় মাটি হারিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এমনই শোনা গেল কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিভিপি (ABVP) নেত্রী সুজাতা বিশ্বাসের কথায়। তিনি আরও জানান, কলেজে প্রায়ই নেশাদ্রব্য উদ্ধার হয়, ছাত্রী পড়ুয়াদের প্রতিও ভেসে আসে কটূক্তি। এসবের প্রতিবাদ জানালেই তৃণমূলের হামলার শিকার হন আমাদের ছাত্র নেতৃত্ব। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং লেখেন, ‘‘জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপির ওপর এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’’

    উইকেট দিয়ে মার ছাত্রীদের

    মঙ্গলবার ছাত্রীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলের বাহিনী। উইকেট দিয়ে তাঁদেরকে মারধর করা হয়। এবিভিপির (ABVP) তরফ থেকে শুভ সাহা বলেন, “এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়েছে। মাটিতে ফেলে মারা হয়েছে ওদের। কলেদের ভিতরে এই ধরনের যে সব ঘটনা ঘটছে, তার দায় নিতে হবে কলেজের অধ্যক্ষকে। ওঁর জন্যই এই সব ঝামেলা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জ্বলা যোজনার জেরে ঊর্ধ্বগামী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার লেখচিত্র। তাই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের এই যোজনা বন্ধ করার ফন্দি আঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন তিনি। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ট্যুইট-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    কী বলছেন শুভেন্দু?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। আতঙ্কিত কারণ পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২২টি বাড়ি থেকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জনপ্রিয়তা টের পেয়ে প্রকল্পটি রাজ্যে বন্ধ করতে তিনি প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন।”

    মুখ্যসচিবকে চিঠি

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, উজ্জ্বলা যোজনার প্রথম পর্বে মোট উপভোক্তার ১১ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্বে মোট উপভোক্তার ১৭.২৬ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আমি এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি লিখেছি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখার পর এই রাজ্যে প্রকল্পটি বন্ধ করতে প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন মমতা। ট্যুইটে পশ্চিমবঙ্গে উজ্জ্বলা যোজনার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “অনেক গরিব মানুষ এলপিজি সংযোগের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের নিকটতম পরিবেশকদের সঙ্গে দেখা করলে তৎক্ষণাৎ তাঁদের আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। একটি অযৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা বর্তমানে চালু নেই। এবং কোনও নতুন অ্যাপ্লিকেশনও গ্রহণ করা হচ্ছে না।

    কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তাঁরা আমাকে গোপনে জানিয়েছেন যে, তাঁদের নিজ নিজ জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা নতুন সংযোগের জন্য আর কোনও আবেদন গ্রহণ না করার জন্য মৌখিক নির্দেশ জারি করেছেন। নির্দেশ না মানলে তার ফল ভালো হবে না বলেও তাঁদের শাসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bakibur Rahaman: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    Bakibur Rahaman: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির দাবি, এই ঘটনায় ধৃত বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahaman) এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল নগদ ২২৮ কোটি টাকা। বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এল, সে সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি বলেই চার্জশিটে দাবি ইডির।

    বিপুল পরিমাণ নগদ

    চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, জেরায় বাকিবুর দাবি করেন চাল-আটা বেচেই তাঁর মিলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি টাকা। যদিও ইডির দাবি, রেশন কেলেঙ্কারির টাকাই ঘুরপথে জমা পড়েছে বাকিবুরের মিলের অ্যাকাউন্টে। চার্জশিটের ৪৪ নম্বর পাতায় ইডি জানিয়েছে, বাকিবুরের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের রেকর্ড খতিয়ে দেখতে গিয়েই এই বিপুল পরিমাণ নগদ জমা পড়েছে বলে জানতে পারেন ইডির তদন্তকারীরা।

    টাকার উৎস কী

    চার্জশিটে (Bakibur Rahaman) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাকিবুরের রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে সব মিলিয়ে জমা পড়েছে ৪১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে নগদে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি টাকা। বাকিবুরের সংস্থার চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জয়শঙ্কর গুপ্ত জানিয়েছেন এই টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু জানাননি বাকিবুর। জানিয়েছিলেন, চাল-আটা বিক্রির টাকা জমা পড়েছে নগদে। যেহেতু নগদে টাকা জমা পড়েছে, তাই টাকার উৎস খতিয়ে দেখার কোনও সুযোগ তাঁর কাছে ছিল না।

    আরও পড়ুুন: প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রার সন্ধান! জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ নেই দাবি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্করের

    ইডির অনুমান, এই ২২৮ কোটি টাকার পুরোটাই রেশন কেলেঙ্কারির। রেশনের চাল খোলা বাজারে সস্তায় বিক্রি করে নগদে দাম নিয়েছেন বাকিবুর। পরে সেই চালকে তাঁর মিলের চাল বলে খাতায়-কলমে দেখিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দুর্নীতি। রেশন কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বাকিবুরের একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে কয়েকটি সংস্থা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বাকিবুর ও রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের সদস্যরা। ইডির অনুমান, এভাবেই বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে নগদে লেনদেন করে রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন বাকিবুর (Bakibur Rahaman) ও মন্ত্রিমশাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share